দাবি না মানলে ১ জানুয়ারি থেকে ডিম-মুরগি উৎপাদন বন্ধ: বিপিএ
পোলট্রি
প্রান্তিক পোলট্রি খামারিদের স্বার্থ রক্ষায়, করপোরেট কোম্পানির সিন্ডিকেট বন্ধ করার দাবিতে ১ জানুয়ারি থেকে সারা দেশে প্রান্তিক পোলট্রি খামারে ডিম–মুরগি উৎপাদন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। আজ রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘প্রান্তিক খামারিদের স্বার্থ রক্ষায় বিপিএর পক্ষ থেকে সরকারকে প্রান্তিক পোলট্রি শিল্পের এ খাতের সমস্যার সমাধানের দাবিগুলো বারবার বলার পরেও সরকার প্রান্তিক খামারিদের দিকে নজর দিচ্ছে না। উল্টো করপোরেট সিন্ডিকেটকে সহযোগিতা করছে সরকার। ডিম-মুরগির বাজারের স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে প্রান্তিক খামারিদের রক্ষায় সরকারের প্রতি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।’
এতে বলা হয়, ‘সরকারের কাছে বারবার দাবি জানানোর পরেও সরকার সিন্ডিকেটের ব্যবস্থা না নিয়ে তাদের সহযোগিতা করছে। প্রান্তিক সময় এদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে না, আমাদের দাবিগুলো সরকার যদি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তবে আমরা ১ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় প্রান্তিক খামার বন্ধের কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হব।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘দেশের পোলট্রিশিল্পে প্রান্তিক খামারিরা যাতে টিকে থাকতে পারে, বিপিএর পক্ষ থেকে সরকারের কাছে সে আবেদন করা হয়। বর্তমানে করপোরেট কোম্পানির আধিপত্য ও সিন্ডিকেটের কারণে দেশের মুরগি ও ডিমের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে, যার ফলে প্রান্তিক খামারিরা ক্ষতির মুখে পড়ছে। এই সংকট দেশের খাদ্যনিরাপত্তা, কর্মসংস্থান এবং অর্থনীতির জন্য গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করছে।’
এতে আরও বলা হয়, ‘বর্তমানে প্রায় ৫০ লাখ লোকের কর্মসংস্থানও এই সংকটের কারণে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। যদি সরকারের পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তবে পোলট্রি খাতে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হতে পারে এবং প্রান্তিক খামারিরা তাদের উৎপাদন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে, যা জাতীয় অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।’
বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন সরকারের কাছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দাবি তুলে ধরেছে যা প্রান্তিক খামারিরা টিকিয়ে রাখতে, খাতের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে অত্যন্ত জরুরি। দাবিগুলো হলো—