দিনে ৪ লিটার করে দুধ দিচ্ছে বাছুর!
প্রাণিসম্পদ
নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার খলিশাউড় ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের হায়দার আলী (৫২) নামে এক কৃষকের ‘ময়না’ নামের এক বকনা বাছুর দিনে চার লিটার করে দুধ দিচ্ছে। এ ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই দুধ কিনে নিচ্ছেন, কেউ কেউ গরুটি বেশি দাম দিয়ে কিনে নিতেও আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
কৃষক হায়দার আলী জানান, তিনি প্রতিদিন সকাল ও বিকালে দুধ সংগ্রহ করেন। বিকালেও এ পরিমাণ দুধ সংগ্রহ করেন। এক বেলা দুধ সংগ্রহ না করলে এই বাছুর গরুটির ওলান ফুলে শক্ত হয়ে যায়। তিনি গত এক মাস ছয় দিন ধরে এভাবে দুধ সংগ্রহ করছেন।দিনে দুইবার চার লিটারের বেশি দুধ দেয় গরুটি। প্রথম প্রথম সবাইকে টাকা ছাড়াই দুধ দিতাম। গত দুই সপ্তাহ ধরে দুধ বিক্রি শুরু করেছি বলে জানা হায়দার।
কৃষক হায়দার আলী জানান, গত দুই বছর আগে একটি বিদেশি জাতের গাভী এই বাছুরটিসহ ৮০ হাজার টাকা দিয়ে কিনে আনেন। পরে তার মেজো মেয়ে বাছুরটির নাম রাখে ‘ময়না’। গত চার মাস আগে গাভীটি আরেকটি বাছুর জন্ম দিলে তিনি ১ লাখ ১৫ হাজার টাকায় সেটি বিক্রি করেন। আর ময়না নামের বাছুরকে লালন-পালন করে আসছেন। মাসখানেক আগে সেটিকে গোসল করাতে গেলে গরুটির ওলান ফোলা দেখে ধারণা করেন- এর ওলানে দুধ জমেছে।
তিনি তাৎক্ষণিক গরুটির ওলান থেকে দুধ সংগ্রহ করেন। প্রথম দুই দিন এক লিটার দুধ পান তিনি। এখন চার লিটার, কখনো সাড়ে চার লিটার দুধ সংগ্রহ করেন। বিষয়টি শুনে আশ্চর্য হয়ে প্রতিবেশীসহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে মানুষ তা দেখার জন্য বাড়িতে ভিড় করেন।
তিনি জানান, অনেকেই আমার এই গরুডারে বেশি টেহার লোভ দেখাইয়া কিন্না নিত চাইতাছে। আমি গরিব মানুষ। গরুডা বিক্রি করতাম না। এইডা অহন আমার সোনার হরিণ। প্রত্যেক দিন চার কেজি দুধ বেচি। ৩২০ টেহা পাই। তা দিয়া সংসারের খরচ করি। আল্লার কাছে শুকরিয়া আদায় করি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মতিউর রহমান জানান, হরমোনের কারণে এমনটা হয়। অক্সিটোসিন হরমোন যদি বেড়ে যায় তাহলে এরকম বকনা গরু থেকে দুধ আসতে পারে। এটা নিয়ে কৌতূহলের কিছু নেই। যদি এই দুধ স্বাস্থ্যসম্মত হয় তাহলে এটা যে কেউ খেতে পারেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।
এগ্রিভিউ/এসএমএ