আট‘শ হাঁসের মৃত্যুতে ভেঙে গেছে তরুণ উদ্যোক্তার স্বপ্ন
প্রাণিসম্পদ
বেকারত্ব ঘুচিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখে উপজেলার পলবান্ধা ইউনিয়নের উত্তর সিরাজাবাদ এলাকার আবুল হাসেম খানের ছেলে আব্দুল আওয়াল খান জিন্নাত (২৮)গত চার মাস আগে নেত্রকোনার সরকারি হাঁসের ফার্ম থেকে ১হাজার ২৫ টি বেইজিং জাতের হাঁসের বাচ্চা নিয়ে গড়ে তুলেন খামার। সম্প্রতি অজ্ঞাত মড়কে তার ৮‘শ হাসের মৃত্যুতে প্রায় ৪লাখ টাকার ক্ষতিতে স্বপ্ন ভেঙে যায় তার।
জিন্নাত জানান, রোববার রাতে ৩-৪টি হাঁস অসুস্থ হয়ে মারা যায়। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. আব্দুল আলিমের পরামর্শে ঔষধ খাওয়ালেও কোন কাজ হয়নি। পরবর্তীতে মাত্র ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে হাঁসগুলো একে একে মারা যেতে শুরু করে।
তিনি আরও জানান, অনেক স্বপ্ন আশা নিয়ে হাঁসের খামার শুরু করলেও হাঁসগুলো মারা যাওয়ায় আমার অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেল। হাঁসগুলোর মৃত্যুতে আমার চার লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান এই তরুণ খামারী।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসের ভেটানারি সার্জন ডাক্তার আব্দুল আলিম বলেন, ‘মৃত একটি হাঁসকে পোষ্টমর্টেম করে ওষুধ লিখে প্রেসক্রিপশন করে দিয়েছি। লকডাউনের কারণে আমি লাইভ রিস্কস্ নিয়ে তার খামারে যেতে পারেনি বলে তিনি জানান।’
বিষয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. ছানোয়ার হোসেন বলেন, ‘এতো গুলো হাঁস মারা গেল বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। হাঁস গুলো কি কারণে মারা গেছে আমি জানি না। তবে আজ (মঙ্গলবার) ওই খামারির বাড়িতে গিয়ে আমি খোঁজখবর নিবো’।