জলবায়ু পরিবর্তনে নারী নেতৃত্ব নিশ্চিতের ওপর জোর দেয়া হয়েছে
প্রাণ ও প্রকৃতি
জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যা মোকাবেলায় নারী ও বালিকাদের নেতৃত্ব নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বিশ্ব নারী নেতৃবৃন্দ আজ একটি ঘোষণাপত্র গ্রহণ করেছেন।
তারা বলেন “আমরা বিশ্বাস করি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই অবশ্যই লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হতে হবে এবং একমত যে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টা সফল করতে নারী ও বালিকাদের নেতৃত্ব নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক।”
গ্লাসগোতে স্কটিশ প্যাভিলিয়নে কপ২৬ ওয়ার্ল্ড লিডার্স সামিটের সাইডলাইনে অনুষ্ঠিত নারী ও জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত উচ্চ-স্তরের প্যানেলে ‘গ্লাসগো উইমেন লিডারশিপ অন জেন্ডার ইকুয়ালিটি অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ’ ঘোষণাটি গৃহীত হয়।
জলবায়ু পরিবর্তন এবং এর লিঙ্গগত প্রভাব মোকাবেলায় নারী নেতৃত্বের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনার জন্য স্কটিশ কর্তৃপক্ষ এবং ইউএন উইমেন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও ইউএন উইমেনের নির্বাহী পরিচালক সিমা সামি বাহাউস, এস্তোনিয়ান প্রধানমন্ত্রী কাজা ক্যালাস, তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু এবং আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্যাট্রিন জ্যাকবসদোত্তির।
ঘোষণাপত্রে নারী নেতৃবৃন্দ বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তন একটি জরুরি মানবাধিকার সমস্যা যা জীবন, স্বাস্থ্য, খাদ্য, পানি ও স্যানিটেশন, শালীন কাজ এবং ব্যক্তি ও সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রার পর্যাপ্ত মানের মৌলিক অধিকারের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে। বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন লিঙ্গ বৈষম্য সহ বিদ্যমান বৈষম্যকে আরও বাড়িয়ে তোলে।”
তারা মনে করেন যে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইটি অবশ্যই লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হতে হবে এবং একমত যে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টা সফল হলে নারী ও মেয়েদের নেতৃত্ব নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক।
তারা মতামত দেন যে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নারী ও বালিকারা সাধারণত অসমভাবে প্রভাবিত হয় এবং এর প্রভাব থেকে বিশেষ করে দারিদ্রের পরিস্থিতিতে বেশি ঝুঁকি ও বোঝার সম্মুখীন হয়।-বাসস