দুটি পোয়ামাছের ওজন দেড়মণ ,সাড়ে ৭ লাখ টাকায় বিক্রি
মৎস্য
কক্সবাজারের টেকনাফে জেলেদের জালে দুটি বড় পোয়া মাছ ধরা পড়েছে। কালো পোয়া মাছ দুটির ওজন হয়েছে ৬৪ কেজি ৭০০ গ্রাম। এ ওজনের পোয়া মাছ দুটি বিক্রি হলো সাড়ে সাত লাখ টাকায়। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণ পাড়া এলাকার আব্দুল মান্নানের মালিকানাধীন মাছ ধরার নৌকায় জেলেদের জালে মাছটি ধরা পড়ে।
স্থানীয় জেলেরা জানান, এয়ার ব্লাডার বা বায়ুথলির কারণে পোয়া মাছের দাম বেশি হয়ে থাকে। মাছের বৈশিষ্ট্য অনুসারে দামও ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। পুরুষ পোয়া মাছ হওয়ায় মাছ দুটির দাম বেশি পাওয়া গেছে। তবে সেটি সোনালী বর্ণের হলে আরো কয়েক গুণ দাম পাওয়া যেত।
নৌকার মালিক আব্দুল মান্নান বলেন, গত দুইদিন আগে কয়েকজন জেলে নিয়ে আমার ইঞ্জিনচালিত মাছ ধরার নৌকাটি সাগরে মাছ ধরতে যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে তারা মাছ ধরে ফিরে আসার পথে জাল তোলার পর দেখতে পায় বড় পোয়া মাছ দুটি। তারা মাছ দুটি নিয়ে কূলে ফিরে আসে। বিভিন্ন মাছ ব্যবসায়ীর সঙ্গে মাছটির দরদাম শেষে কক্সবাজারের এক ব্যবসায়ী মাছ দুটি সাড়ে সাত লাখ টাকায় কিনে নেয়।
ট্রলারের মাঝি হাসু আলী বলেন, তিন দিন আগে সাগরে মাছ শিকারে যায়। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার বিকেলে জাল তুললে দুটি কালো পোয়া মাছ ধরা পড়ে। এরপর আমরা ট্রলারে নিয়ে ঘাটে ফিরে আসি। প্রতি বছর মাছ ধরার মৌসুমে এ ধরনের বড় পোয়ামাছ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, টেকনাফ উপকূলে প্রতিবছর দুই চারটা এ ধরনের বড় পোয়া মাছ ধরা পড়ে জেলেদের জালে। পোয়া মাছের এয়ার ব্লাডার বা বায়ুথলির কারণে এটির দাম বেশি হয়ে থাকে। পোয়া মাছের এয়ার ব্লাডার দিয়ে বিশেষ ধরনের সার্জিক্যাল সুতা তৈরি হওয়ায় মাছটির কদর রয়েছে।