১০:৪৭ অপরাহ্ন

মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • পিরোজপুরে ছাগল চুরি করে হাসপাতালে ডাক্তারদের ভুরিভোজ!
ads
প্রকাশ : নভেম্বর ২৪, ২০২১ ১১:২৮ পূর্বাহ্ন
পিরোজপুরে ছাগল চুরি করে হাসপাতালে ডাক্তারদের ভুরিভোজ!
পাঁচমিশালি

পিরোজপুরের নাজিরপুরে অসহায় এক ব্যক্তির ছাগল চুরি করে ভুরিভোজ করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা, চিকিৎসক ও কর্মচারীরা।

এ ঘটনায় ছাগলের মালিক ভুক্তভোগী আব্দুল লায়েক ফরাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান ও থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এ নিয়ে গত তিনদিন ধরে নাজিরপুরসহ জেলাব্যাপী ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বইছে।

জানা গেছে, ভুক্তভোগী লায়েক ফরাজী উপজেলা সদরের আওয়ামী লীগ অফিস সংলগ্ন একটি ছোট দোকানে চা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতার কারণে তিনি কয়েকটি ছাগল পালন করেন।

লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে, গত শুক্রবার দুপুরে ভুক্তভোগীর একটি ছাগল হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকা থেকে চুরি হয়ে যায়। পরে ওই ছাগলের চামড়া স্থানীয় ঋষি (চামড়া ক্রেতা) বিশ্ব নাথের কাছ থেকে গত সোমবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে উদ্ধার করা হয়।

চামড়া ক্রেতা জানান, ওই চামড়াটি হাসপাতালের সুইপার বাশার শেখ আমাকে দিয়েছে। বাশার শেখের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘চামড়াটি হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মচারীদের ভুরিভোজের জন্য জবাই করা ছাগলের। স্যারেরা ছাগলটি গত শুক্রবার রাতে খেয়েছেন। আমি যদি এ বিষয়ে আটকে (অভিযুক্ত হলে) যাই তাহলে সব তথ্য ফাঁস করে দেব। আমি তো হুকুমের গোলাম’।

ওই ছাগলটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রান্না ঘরেই রান্না হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন হাসপাতালে রান্নার দায়িত্বে থাকা খাদিজা বেগম। আর ওই রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার অফিস কক্ষেই ওই ভুড়িভোজের আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেন ওই হাসপাতালে দায়িত্বরত ৪-৫ জন চিকিৎসক ও কয়েকজন কর্মচারী।

ভুড়িভোজে অংশ নেওয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চিকিৎসক ওই ভোজের তথ্য স্বীকার করে জানান, তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মো. ফজলে বারীর দাওয়াতে সেখানে গিয়েছেন। সেখানে খাওয়া মাংসের ছাগলটি চুরি করা না ক্রয় করা তা তাদের জানা নেই। সেখানে ভোজে অংশ নেওয়া এক নারী চিকিৎসক জানান, ‘স্যার ফোন দিয়ে আমাকে সেখানে ডেকে নিয়েছেন’।

এক পুরুষ চিকিৎসক জানান, ‘ওই রাতে আমি ও আমার আর এক সহকর্মী হাঁসের মাংস দিয়ে রুটি খাচ্ছিলাম। কিন্তু স্যারে এসে আমাদের ডেকে নিয়ে যান’।

ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা প্রত্যক্ষদর্শী মো. সজল হোসেন হাওলাদার জানান, ‘গত শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে তিনি তার স্ত্রীর সন্তান প্রসবজনিত কারণে হাসপাতালের দোতালায় কেবিনের পাশের একটি কক্ষে অবস্থান করছিলেন। এ সময় ওই হাসপাতালের ঝাড়ুদার আবুল বাশারসহ তিনজন একটি ছাগল দোতলায় নিয়ে হাসপাতালের কেবিনের একটি টয়লেটে আটকে রাখে। আমি তাদের নিষেধ করলেও তারা একটি বটি দিয়ে সেটি জবাই করে বাজারের শপিং ব্যাগে করে নিয়ে যায়’।

নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওবায়দুর রহমান জানান, এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মো. আব্দুল লায়েক ফরাজীর একটি অভিযোগ পেয়েছি। তিনি অভিযোগটি উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছেও করেছেন।

থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশ্রাফুজ্জামান জানান, ছাগলের ব্যাপারে একটি অভিযোগ এসেছে বলে শুনেছি। আমি থানায় ছিলাম না তাই এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবারপরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচ অ্যান্ড এফপিও) ডাক্তার মো. ফজলে বারীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমি গত সোমবার (২২ নভেম্বর) আমার শ্বশুরের চিচিৎসার জন্য ঢাকায় আসছি। এখন ব্যস্ত আছি, বাসায় ফিরে আপনাকে ফোন দেব।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop