মাছিবাহিত রোগে বাঘ শাবক দুর্জয়-অবন্তিকার মৃত্যু
প্রাণ ও প্রকৃতি
রাজধানীর মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানায় মারা গেল রয়েল বেঙ্গল দম্পতি টগর ও বেলির ঘরে জন্ম নেয়া ছয় মাসের বাঘ শাবক দুর্জয় ও অবন্তিকা। শনিবার (২৭ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর আবদুল লতিফ।
লতিফ জানান, গত ১৫ নভেম্বর শাবক দুটিকে খুঁড়িয়ে হাঁটতে দেখার পর, তাদের চিকিৎসার উদ্যোগ নেয় চিড়িয়াখানা মেডিক্যাল বোর্ড। পরে তাদের রক্ত পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় রক্তে মাছিবাহিত পরজীবী ধরা পড়লে তাদের চিকিৎসাও শুরু হয়।
শাবক দুটির চিকিৎসায় গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক থেকেও একজন চিকিৎসককে যুক্ত করে চিড়িয়াখানার মেডিক্যাল বোর্ড। যে রোগে বাঘ ছানা দুটি আক্রান্ত হয়েছিল, সেটিকে মানব শরীরের ডেঙ্গুর সঙ্গেও তুলনা করেন আবদুল লতিফ।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুর্জয় ও অবন্তিকাকে আর বাঁচানো যায়নি। গত ২১ নভেম্বর মারা যায় দুই শাবকই।
করোনা মহামারিতে দেশজুড়ে যখন লকডাউন চলছিল, তখন চিড়িয়াখানার নিরিবিলি পরিবেশে জন্ম হয় শাবক দুটির। বাঘ দম্পতি টগর আর বেলী হলো তাদের বাবা-মা। বাঘিনী বেলীর জন্ম ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর ও বাঘ টগরের জন্ম ২০১৭ সালের ১ মার্চ। চলতি বছরের ২৬ মে প্রথমবারের মতো সন্তান প্রসব করে এই বাঘ দম্পতি। তবে দুর্জয় ও অবন্তিকার খবরটি গণমাধ্যমে দেয়া হয় ১৬ আগস্ট।
মৃত্যুর আগে মা বেলীর সঙ্গে থাকত দুর্জয় ও অবন্তিকা। তাই মাছিবাহিত রোগে ছানা দুটির মৃত্যুর পর মা বাঘটিকেও বিচ্ছিন্ন করে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এমনকি বাঘিনী বেলীকে এই মুহূর্তে দর্শনার্থীরাও দেখার সুযোগ পাচ্ছেন না।
বাঘ শাবকের মৃত্যুতে কিউরেটর আবদুল লতিফ কিছুটা বিষাদগ্রস্ত হলেও জানালেন আশার কথা। শিগগিরই চিড়িয়াখানায় নতুন ব্যাঘ্র শাবক যুক্ত হবে বলে নিশ্চিত করেছেন। তবে এই বিষয়ে এখনই বিস্তারিত কিছু জানাতে চাননি তিনি।