৮:১৫ পূর্বাহ্ন

শনিবার, ৯ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জানুয়ারী ৪, ২০২২ ১১:২৭ পূর্বাহ্ন
এক কেজি গরুর মাংসের দামে এক মণ রসুন
এগ্রিবিজনেস

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার লক্ষ্মীকোল বাজার। এখানে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকায়। আর এখানকার কৃষকরা প্রতি মণ রসুন বিক্রি করেছেন ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা।

চলতি মৌসুমে ভালো ফলন পেলেও ন্যায্য দাম পাননি বড়াইগ্রাম উপজেলার রসুন চাষিরা। অনেক পরিশ্রমের ফসল রসুন বিক্রি করে খরচের টাকাই উঠছে না তাদের। দাম না থাকায় তাই এক কেজি গরুর মাংস কিনতে এক মণ রসুন বেচতে হচ্ছে।

উপজেলার বড়াইগ্রাম ইউনিয়নের দুকুল গ্রামের কৃষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, চলতি মৌসুমে রসুনের দাম একেবারেই কম। ভালো মানের রসুন ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা দরে বিক্রি হলেও অধিকাংশ রসুন ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে। এতে কৃষকের উৎপাদন খরচই উঠছে না। অথচ চায়না থেকে আমদানি করা রসুন চার হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। এ অবস্থা হলে কৃষক বাঁচবে না।

ভজিদপুর গ্রামের কৃষক হাসানুল বান্না উজ্জ্বল বলেন, একসময় প্রতি মণ রসুন আট হাজার টাকা দরে বিক্রি করেছি। তখন প্রতি হাটেই রসুন বেচে মাংস কিনে মনের আনন্দে বাড়ি ফিরতাম। তখন দুই-আড়াই কেজি রসুনের দামেই এক কেজি মাংস কেনা যেত। অথচ এখন এক কেজি মাংস কিনতে এক মণ রসুন বেচতে হচ্ছে। এ অবস্থার পরিবর্তন না হলে কৃষক সর্বস্বান্ত হয়ে যাবে।

এক মণ রসুন নিয়ে হাটে এসেছেন আব্দুল মালেক নামে এক কৃষক। বাড়িতে মেয়ে আর নাতিরা এসেছে। রসুন বিক্রি করে মাংস কিনে বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু বাজারে রসুনের দাম দেখে তিনি হতাশ। কেননা এক মণ রসুনের দাম এক কেজি মাংসের সমান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ১, ২০২২ ৪:১৮ অপরাহ্ন
আগাম আলুতে লোকসানে চাষিরা
এগ্রিবিজনেস

গত বছর অধিক আলু উৎপাদন ও দাম ভালো পাওয়ায় এবছরও লাভের আশায় আগাম আলু চাষে ঝোঁকেন ঠাকুরগাঁওয়ের আলুচাষিরা। কিন্তু এবার আগাম আলুর দাম কম থাকায় লোকসানের কবলে পড়েছেন তারা। গত বছর আলুচাষিরা প্রতি কেজি আলু মাঠেই বিক্রি করেছিলেন ২৫-২৮ টাকা দরে। এবার তা এক ধাক্কায় নেমে এসেছে ১০-১২ টাকায়। ফলে উৎপাদন খরচের সঙ্গে আলুর দামের ফারাক বিস্তর।

জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার মধুপুর গ্রামের কৃষক রবীন রায় বলেন, গতবার যে পরিমাণ আলু উৎপাদন হয়েছে এবারও তেমনই আলু উৎপাদন হয়েছে। বৃষ্টির কারণে সামান্য ক্ষতি হয়েছে তবে তা মানিয়ে নেওয়ার মতোই। কিন্তু গতবার আলুর দাম পেলেও এবার আলুর দাম আমাদের কপালে হাত ঠেকিয়েছে। সামনের দিনগুলো আরও ভয়াবহ হতে পারে।

সদর উপজেলার বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের ভোপলা গ্রামের কৃষক মিঠুন বাবু বলেন, এবারের আলুর যা দাম তা হিসাব করলে দেখা যায় প্রতি বিঘা জমিতে আমাদের উৎপাদন খরচ বেশি হয়েছে। বিঘায় আমাদের আলু উৎপাদন করতে খরচ হয় ২১-২২ হাজার টাকা। কিন্তু আমরা আলুর দাম পাচ্ছি গড়ে ১৮-১৯ হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত আমরা আলু চাষে লোকসানের মধ্যে আছি।

কৃষক হাবিবর রহমান বলেন, সারের দাম, শ্রমিকের মজুরি, সেচ সব মিলিয়ে যা খরচ তার চেয়ে আলুর অনেক কম দাম পাচ্ছি আমরা। এবার আলুর উৎপাদন খরচ আর দামের ফারাক মেটাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে আমাদের।

সবজি ক্রেতা জাহাঙ্গীর হাসান পাপন বলেন, বর্তমানে আলুর দাম বাজারে ১৫ থেকে ১৬ টাকা। শীতকালীন সবজির লাগামহীন দাম ছিলো কিছুদনি আগে। তখন আলুর চাহিদা মানুষের বেশি ছিলো। ফলে আলুর দামও ছিলো। এখন শীতকালীন সবজির দাম মানুষের অনেকটা নাগালের মধ্যে এসেছে তাই আলুর প্রতি মানুষের চাহিদাও কিছুটা কমেছে।

জেলার শাহী হিমাগারের আলু ব্যবসায়ী আব্দুর রফিক বলেন, গত বছর জেলায় অধিক আলু উৎপাদন হয়েছিল। যার কারণে আমরা ডিসেম্বর পর্যন্ত হিমাগেরর আলুটা বাজারে পেয়েছি। ফলে নতুন আলুর চাহিদার ওপর প্রভাব পড়েছে। নতুন আলু বেশিদিন সংরক্ষণ করে রাখা যায় না। যার কারণে আলুর চাহিদা কম, দামও কম।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আবু হোসেন বলেন, গত বছর জেলায় ২৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে আলু উৎপাদন হয়েছিল ৭ লাখ ৪১ হাজার ২৯৭ মেট্রিক টন। এবার জেলার ৫ উপজেলায় ২৬ হাজার ৫৩০ হেক্টর জমিতে আগাম আলুর চাষ হয়েছে।

এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৭৩০ হেক্টর জমির আলু কর্তন করা হয়েছে। এতে উৎপাদন ধরা হয়েছে ২৫ হাজার ৫৫৮ মেট্রিক টন। হিসাব করলে দেখা যায় প্রতি বিঘায় আলু উৎপাদন হয়েছে গড়ে ৪৫-৪৮ মণ। যা গতবারের তুলনায় সমান বলা চলে। কিন্তু বর্তমান বাজার দরে চাষিরা প্রতি বিঘায় আলুর দাম পাচ্ছেন ১৮-১৯ হাজার টাকা।

তিনি আরও জানান, ঠাকুরগাঁওয়ে গ্যানুলা, ডায়মন্ড, রোমানা, স্টিকসহ আরও বেশ কয়েকটি জাতের আলুচাষ করে থাকে আলুচাষিরা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ১, ২০২২ ৩:০৫ অপরাহ্ন
ধান কাটার যন্ত্র উদ্ভাবন করেছে ব্রি, কৃষিতে আসছে বিপ্লব
এগ্রিবিজনেস

দেশের জমিতে ব্যবহারের সবচেয়ে উপযোগী ও সুলভ মূল্যের ধান কাটার যন্ত্র- কম্বাইন হারভেস্টার উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) বিজ্ঞানীরা।

ব্রি সূত্রে জানা যায়, উ্দ্ভাবিত মেশিনটির ধান কাটার ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে বেশি, দেশের ছোট ছোট জমিতে ব্যবহারের উপযোগী। বিদেশের ইয়ানমারসহ বিভিন্ন কম্বাইন হারভেস্টারের দাম ২৫-৩০ লাখ টাকা, আর এটির খরচ পড়বে ১২-১৩ লাখ টাকা। হার্ভেস্ট লসও কম।

ব্রির বিজ্ঞানীরা জানান, তাদের উদ্ভাবিত ব্রি হোল ফিড কম্বাইন হারভেস্টারের ইঞ্জিনটি বিদেশ থেকে আনা। অন্যান্য যন্ত্রপাতি স্থানীয়ভাবে তৈরি। এর ইঞ্জিনের ক্ষমতা ৮৭ হর্স পাওয়ার। ঘন্টায় মেশিনটি ৩-৪ বিঘা জমির ধান কর্তন করতে পারে। জ্বালানি খরচ হয় ঘন্টায় ৩.৫- ৪ লিটার। হারভেস্টিং লস শতকরা এক ভাগের কম। খন্ড খন্ড জমিতেও ব্যবহার উপযোগী। বিদেশ থেকে আমদানিকৃত যেকোন কম্বাইন হারভেস্টারের তুলনায় এটি ভাল বলে জানান ব্রির বিজ্ঞানীরা।

শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে গাজীপুরে ব্রির চত্বরে কম্বাইন হারভেস্টারটির কার্যক্রম পরিদর্শন করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক।

এসময় তিনি বলেন, ব্রির বিজ্ঞানীরা নিজেরা গবেষণা করে ধান কাটার মেশিনটি উদ্ভাবন করেছে। এটি একটি অসাধারণ সাফল্য। উদ্ভাবিত যন্ত্রটি আমরা যদি স্থানীয়ভাবে তৈরি করে সারা দেশে ব্যবহার করতে পারি, তাহলে বাংলাদেশে কৃষি যান্ত্রিকীকরণে বিপ্লব ঘটবে। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও কৃষিকে লাভজনক করতে অনন্য ভূমিকা রাখবে।

এসময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিদায়ী সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম, সদ্য যোগদানকৃত সচিব মো: সায়েদুল ইসলাম, ব্রির মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংস্থাপ্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে কৃষিমন্ত্রী ব্রির চত্বরে ব্রির শ্রমিকদের জন্য নির্মিত পাঁচতলা নতুন আবাসিক ভবন ‘ব্রি শ্রমিক কলোনী ভবন’ উদ্বোধন করেন। এসময় মন্ত্রী বলেন, নতুন জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে কৃষি শ্রমিকদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। বিজ্ঞানীদের মেধা ও মনন আর কৃষি শ্রমিকদের শ্রম ও ঘামে দেশে শতাধিক উচ্চফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট। যা দেশের খাদ্য নিরপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

একইদিন দুপুরে মন্ত্রী ব্রির প্রাঙ্গণে কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক পুনর্মিলনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন। সভায় বিদায়ী সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম ও সদ্য যোগদানকৃত সচিব মো: সায়েদুল ইসলামকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ১, ২০২২ ২:৫০ অপরাহ্ন
লাভ ভালো হওয়ায় ঝিনাইদহে কমলা চাষ বাড়ছে
এগ্রিবিজনেস

ঝিনাইদহ জেলায় কমলা ও মাল্টা চাষ বাড়ছে। অন্য ফসলের চেয়ে লাভ বেশি হওয়ায় চাষিরা এ দুটি ফল চাষে ঝুঁকছে।  প্রতি বছরই এ দুটি ফলের নতুন নতুন বাগান তৈরি হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঝিনাইদহ জেলা অফিস সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে জেলায় ৫ হাজার  ৮৩২  বিঘাতে ( ৬৭১ হেক্টরে )  কমলা ও মাল্টার চাষ হয়েছে। চায়না ও দার্জিলিং  জাতের কমলা চাষ হচ্ছে। ফলনও ভাল হচ্ছে।  কমলা গুলো সুমিষ্ঠ, বাজারে চাহিদাও ভাল।

মহেশপুর উপজেলার চাঁপাতলা গ্রামের রফিকুল ইসলাম ৭২ বিঘা জমিতে ফলের বাগান তৈরি করেছেন। তার বাগানে  চায়না ও দার্জিলিং  জাতের কমলা আছে। আছে মাল্টা ও পেয়ারা।  এবার কমলার ভাল ফলন হয়েছে। নতুন উঠার পর প্রতি কেজি চায়না কমলা দেড়’শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।  পরে দাম কমে প্রতি কেজি এক’শ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। মাল্টা বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকা কেজি দরে। পাইকাররা এসে বাগান থেকে কিনে নিয়ে যায়। চলতি বছরে এ পর্যন্ত প্রায় ২২ লাখ টাকার কমলা বিক্রি করেছেন। চারা লাগানোর  আড়াই তিন বছর পর ফল ধরকে শুরু করে। গাছ বড় হলে ফল বেশি ধরে।  ফলের ভারে গাছ নুইয়ে পড়ে। দেখতে সুন্দর লাগে। বিভিন্ন স্থান থেকে কমলা বাগান দেখতে মানুষ আসে।

ঝিনাইদহের সদর উপজেলার পোড়া বাকড়ি গ্রামে কলেজ ছাত্র মোঃ রিফাত হোসেন তিন বিঘা জমিতে কমলা ও মাল্টা বাগার গড়ে তুলেছেন। চায়না ও দার্জিলিং জাতের কমলা বাগান তৈরি করেছেন। এ বছর প্রথম ফল ধরেছে। তিনি জানান, এ বছরে এক লাখ ৭০ হাজার টাকা কমলা বিক্রি করেছেন। বাগান তৈরিতে দুই লাখ টাকা খরচ হয়েছে। প্রথমে প্রতি কেজি কমলা দেড়’শ টাকা দরে বিক্রি করেন। পরে দাম কমে যায়। ১শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। এখন গাছে কিছু কমলা আছে। মাল্টা অক্টোবরে উঠতে শুরু করে। আর কমলা উঠে নভেম্বরের প্রথমে। মাস দেড়েকের মধ্যে ফুরিয়ে যায়। এখনো কিছু কমলা বাগানে আছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঝিনাইদহের উপ পরিচালক মো. আজগর আলি জানান, জেলায় কমলার চাষ বাড়ছে। চাষে লাভ ভাল হচ্ছে। ভরা মৌসুমে কমলা বাগান দেখতে সুন্দর লাগে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে চাষিদের প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ১, ২০২২ ১২:১৪ অপরাহ্ন
ভৈরবের মোকামগুলো আমন ধানে ভরপুর
এগ্রিবিজনেস

ভৈরবের মোকামগুলো এখন আমন ধানে ছয়লাব। আবাদ ভলো হওয়ায় আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে ধান আসছে ভৈরবে। বিক্রিও হচ্ছে ভালো দামে। এতে লাভবান হচ্ছেন কৃষক ও ধান ব্যবসায়ীরা। সংশ্লিষ্টরা জানালেন, ধানের বর্তমান বাজার দর ঠিক থাকলে, চালের বাজার স্থিতিশীল থাকবে। 

অগ্রহায়ণ মাস থেকে শুরু হয় আমন ধান কাটার মৌসুম। এখন পৌষ মাসের মাঝামাঝি। কৃষকরা ধান কেটে মাড়াই শেষে বিক্রি শুরু করেছেন। যার চিত্র ভেসে উঠেছে ভৈরবের মোকামগুলোতে।

ভৈরবের মোকামগুলোতে বিগত বছরের তুলনায় আমন ধানের আমদানি বেড়েছে কয়েকগুণ। কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা ও কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কৃষকরা ধান বিক্রি করতে ভৈরবের মোকামে আসছে। দামও ভালো পাচ্ছে বলে জানান তারা।

ধান ব্যবসায়ীরা জানালেন, প্রতি মণ ধান প্রকারভেদে ৭শ’ থেকে ৭শ’ ৫০ এবং ৮শ’ থেকে ৮শ’ ৫০ টাকায় টাকায় কেনা হচ্ছে। এতে কৃষকরাও যেমন উপকৃত হচ্ছেন, তেমনি লাভবান হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

ভৈরব খাদ্যশস্য সমিতির নেতারা জানালেন, ভৈরব মোকামে আমন ধানের মূল্য স্বাভাবিক রয়েছে। ইরি-বোরো মৌসুমের আগ পর্যন্ত ধানের বাজার দর স্বাভাবিক থাকলে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এতে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ী নেতারা ।

এবার সারাদেশে আমন ধানের ভালো ফলন হয়েছে। আগামীতে আমনের আবাদ আরো বাড়বে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ী নেতারা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৩১, ২০২১ ৩:৪৮ অপরাহ্ন
উত্তরাঞ্চলে রেকর্ড চা উৎপাদনের সম্ভাবনা
এগ্রিবিজনেস

দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল সাম্প্রতিক বছরগুলোয় চা উৎপাদনকারী অঞ্চল হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে। স্থানীয়দের মধ্যে চা চাষে ক্রমবর্ধমান আগ্রহ ও চলতি মৌসুমে অনুকূল আবহাওয়ার কারণে রেকর্ড পরিমাণ চা উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে৷

পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী ও লালমনিরহাট–উত্তরাঞ্চলের এই ৫ জেলায় চা উৎপাদন ইতোমধ্যেই বছরে ৩১ শতাংশ বেড়েছে। গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৫ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। গত বছর এই অঞ্চলে চা উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১০ দশমিক ৩ মিলিয়ন কেজি।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের তথ্য মতে, এই বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে উৎপাদিত ৮৯ দশমিক ৫৭ মিলিয়ন কেজি উৎপাদিত চায়ের মধ্যে উত্তরাঞ্চলের মোট উৎপাদন ছিল ১৫ শতাংশ।

বিটিবির তথ্য অনুসারে, দেশে বার্ষিক চায়ের ব্যবহার ২০১৯ সালে ছিল ৯৫ মিলিয়ন কেজি, ২০০৭ সালে যা ছিল ৪৬ মিলিয়ন কেজি।

যেহেতু চলতি ডিসেম্বরের শেষ পর্যন্ত উৎপাদন অব্যাহত থাকবে, চা-বাগান মালিক ও বিটিবি কর্মকর্তারা আশা করছেন যে এই বছর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে মোট চা উৎপাদন ১৪ মিলিয়ন কেজি ছাড়িয়ে যাবে।

চা চাষি ও কারখানার মালিকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে সরকার সীমান্তবর্তী পঞ্চগড় জেলায় চা নিলাম কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা করছে। গত মাসে মন্ত্রিসভা বিটিবিকে উত্তরাঞ্চলে চা নিলাম কেন্দ্র স্থাপন করতে নিরীক্ষা করার নির্দেশনা দিয়েছে।

ইতোমধ্যে পঞ্চগড়ে দেশের তৃতীয় নিলাম কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়ে চা শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা গত সপ্তাহে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে রংপুরে আরও একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন বিটিবির আঞ্চলিক কার্যালয়, পঞ্চগড়ের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামীম আল মামুন।

চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত সভায় পঞ্চগড়ে চা নিলাম কেন্দ্র স্থাপনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, পঞ্চগড়ের কারখানাগুলোয় উৎপাদিত চা চট্টগ্রাম ও শ্রীমঙ্গল চা নিলাম কেন্দ্রে বিক্রি করা হয়।

দূরত্বের কারণে পরিবহণে চায়ের গুণগত মান হ্রাস পাওয়ায় পঞ্চগড়ের চা একদিকে নিলামে কম দামে বিক্রি হচ্ছে, অপরদিকে উত্তরাঞ্চলের চা কারখানাগুলোকে তুলনামূলক বাড়তি পরিবহন খরচ বহন করতে হচ্ছে।

এসব সমস্যার কারণে ওই অঞ্চলের চা শিল্পে উত্তরোত্তর সফলতা ও অপার সম্ভাবনা প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে। এ কারণে উত্তরবঙ্গে চা নিলাম কেন্দ্র স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।

তিনি পঞ্চগড়ে চা নিলাম কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়ে চা বোর্ডের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার পাশাপাশি টিটিএবি, টিপিটিএবি ও ব্রোকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

‘পঞ্চগড়ে নিলাম কেন্দ্র স্থাপনের জন্য চা চাষিরা উপকৃত হবেন। এটি উত্তরাঞ্চলে চা শিল্পের বিকাশে সহায়তা করবে এবং আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে,’ বলেন অঞ্চলের স্মল টি গার্ডেন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিরুল হক খোকন।

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার চা চাষি ইসহাক আলী মন্ডল জানান, চা চাষিরা প্রতি কেজি সবুজ চা পাতার জন্য ১৬ থেকে ২৫ টাকা পান। এখানে নিলাম কেন্দ্র স্থাপিত হলে আরও ভালো দাম পাওয়া যাবে যাতে করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি চাষিরা উপকৃত হবেন এবং চা চাষে আগ্রহ বাড়বে।

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার পেডিয়াগাছ গ্রামের চা উৎপাদনকারী আবুল হোসেন বলেন, নিজের জমিতে চা চাষ করা ক্ষুদ্র চাষিরা এখন সচ্ছল হয়ে উঠেছেন। তিনি বলেন, ‘চা চাষ শুরু করার আগে আমার জমি অব্যবহৃত ছিল।’

বিটিবি কর্মকর্তার মতে, বর্তমানে এই অঞ্চলে চা চাষের উপযোগী প্রায় ৫০ হাজার একর জমির মধ্যে পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, দিনাজপুর ও নীলফামারীতে ১০ হাজার ১৭০ একর জমিতে চা চাষ হয়।

এ বছর প্রায় ২ হাজার একর জমি চা চাষের আওতায় এসেছে, এতে করে চা চাষের পরিধি ১২ হাজার একর ছাড়িয়ে যাবে।

বিটিবির তথ্যমতে, গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে চা চাষ বার্ষিক গড়ে ১৫ শতাংশ হারে বেড়েছে।

এই অঞ্চলে ২৬টি বড় বাগান ছাড়াও ৭ হাজার ৩১০ জন ক্ষুদ্র চাষি রয়েছেন।

করতোয়া চা বাগান ও কারখানার মালিক এএস শাহ আলম ভূঁইয়া বলেন, এই অঞ্চলে চা নিলাম কেন্দ্র স্থাপন করা হলে পরিবহন খরচ কমবে। এতে করে চাষি ও কারখানা মালিক উভয়ই উপকৃত হবেন।

১৯৯৬ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই অঞ্চলে সফরের পর তার নির্দেশনা অনুযায়ী স্থানীয় প্রশাসন পরীক্ষামূলক চা চাষ করে।

পরীক্ষামূলকভাবে চা চাষে সফলতা দেখা দিলে ধীরে ধীরে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় চা চাষ সম্প্রসারিত হতে শুরু করে।

চা চাষের ফলে পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁওয়ে প্রায় ২৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, যাদের একটি অংশ নারী।

উত্তরাঞ্চল এখন দেশের তৃতীয় বৃহত্তম চা উৎপাদনকারী অঞ্চল।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৩১, ২০২১ ১২:০৭ অপরাহ্ন
সবজির দাম কমলেও চড়া মুরগি ও মাছের বাজার
এগ্রিবিজনেস

সপ্তাহের ব্যবধানে অধিকাংশ শীতের সবজির দাম কমেছে। তবে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা করে বেড়েছে সব ধরণের মুরগির দাম। চড়া মাছের বাজারও।

রাজধানীতে বৃহৎ আড়ত কারওয়ান বাজারে অধিকাংশ সবজির দাম কমেছে। সীম, আলু, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেট, গাজর, ধনেপাতা, কাঁচামরিচের দাম কেজিতে কমেছে ৫ থেকে ১০ টাকা। দাম কমেছে পেঁয়াজ, আদা, রসুনেরও।

এই বাজারে পাইকারীতে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি। ফুলকপি প্রতিপিস ১৫ থেকে ৩০ টাকা। বেগুনের কেজি ১৫টাকা, কাঁচামরিচ ৩০ টাকা, বাঁধাকপি পিস ২০ টাকায়   বিক্রি হচ্ছে। তার পাশেই খুচরা বাজারে এসব সবজি ৫ থেকে ১০ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।

তবে রাজধানীর মহাখালী কাঁচাবাজারে অধিকাংশ সবজি দ্বিগুন দামে বিক্রি হচ্ছে।

সবজির দাম কমলেও মুরগী ও মাছের বাজার চড়া। ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা আর কক মুরগী কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৯০ টাকায়। আর চাষের মাছের দামও চড়া।

গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা, ছাগল ৯০০ আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকা কেজিতে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৩০, ২০২১ ৪:৫৪ অপরাহ্ন
চাল আমদানির হুঁশিয়ারির পরও দাম কমছে না
এগ্রিবিজনেস

মজুদদারদের বিরুদ্ধে খাদ্যমন্ত্রীর ব্যবস্থা নেওয়া এবং আমদানির হুঁশিয়ারির পরও কমছে না চালের দাম। তবে চাল আমদানি করা হলে দাম কমতে পারে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরাও। দাম না কমলে সরকারও চাল আমদানির পথে হাঁটতে পারে বলে জানা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আমন মৌসুমের শুরুতে চালের দাম এক দফা বাড়ে। দিন দশেক আগে বাড়ে আরেক দফা। এ সময় কেজিপ্রতি দুই থেকে ছয় টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম। এমন পরিস্থিতিতে গত সোমবার চালের বাজার ও মজুদ পরিস্থিতি নিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠক হয়। ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত বৈঠকে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার মাঠ পর্যায়ের খাদ্য কর্মকর্তাদের আগামী ৭ জানুয়ারির মধ্যে ধান-চালের অবৈধ মজুদের তথ্য দিতে বলেন। এ সময় মজুদদারদের বিরুদ্ধে অভিযান এবং চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে না এলে আমদানির হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, এবার ২৫ শতাংশের কম শুল্কে চাল আমদানি করতে হবে। অনুমতিটা আগেই নিয়ে নিতে হবে।

তবে মন্ত্রীর হুঁশিয়ারি কাজে আসেনি। কমেনি চালের দাম। মন্ত্রীর এমন কথায় চালের বাজার নামবে না বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

চালের পাইকারি বাজার বাবুবাজারে ১০ দিন আগে মিনিকেট চাল কেজিপ্রতি দু-তিন টাকা বেড়ে ৫৭-৫৯ টাকায় ওঠে। এখনো সেই দামেই আছে। পাইকারিতে যে নাজিরশাইলের দাম প্রতি কেজি ৬২ টাকা ছিল, তা ৬৮ টাকায় ওঠে। ৪০ টাকার মোটা চাল পাইকারিতে ৪২ টাকা, ৫০ টাকার আঠাশ চাল বেড়ে হয় ৫২-৫৪ টাকা।

গতকাল খিলগাঁও, মালিবাগ ও মুগদার বাজারে গিয়ে দেখা যায়, আড়তে সিরাজ, এরফান, দাদা, মজুমদারসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মিনিকেট চাল কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরায় এসব চালের দাম ৬৩ থেকে ৬৪ টাকা। আড়তে নাজিরশাইল ৬৩ থেকে ৬৮ টাকা এবং খুচরায় ৬৮ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। আড়তে আঠাশ, পাইজামের দাম ৪৩ থেকে ৪৫ টাকা এবং খুচরায় ৪৮ থেকে ৫২ টাকা।

বাজারের মেসার্স মাসুদ ট্রেডার্সের মালিক মাহবুব রহমান বলেন, চালের দাম সর্বশেষ বৃদ্ধির পর আর কমেনি। আমদানি করা হলে কমতে পারে বলে মনে হচ্ছে।

মালিবাগ বাজারের মিতালী রাইস এজেন্সির মালিক মো. সবুজ বলেন, মন্ত্রীর বক্তব্যে চালের দাম নামবে না। দাম কমাতে পর্যাপ্ত সরবরাহ লাগবে।

সেগুনবাগিচা বাজারে মিনিকেট চাল ৬৪ থেকে ৬৬ টাকা, নাজিরশাইল ৬৪ থেকে ৬৮ টাকা, আঠাশ ৫২ টাকা এবং পাইজাম ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) চলতি মাসের ‘খাদ্যশস্য : বিশ্ববাজার ও বাণিজ্য’ শীর্ষক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ ২৬ লাখ ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করেছে, যা চাল আমদানিকারক দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তবে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, গত অর্থবছরে ১৩ লাখ ৬০ হাজার টন চাল আমদানি করা হয়েছে। ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারিভাবে আমদানি করা হয়েছে ৮.৬২ লাখ টন। বেসরকারি পর্যায়ে এখন আমদানি বন্ধ।

সরকার ৭ নভেম্বর থেকে আমন ধান সংগ্রহ করছে, চলবে আগামী বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এর মধ্যে তিন লাখ মেট্রিক টন আমন ধান এবং পাঁচ লাখ টন সিদ্ধ আমন চাল সংগ্রহের লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার।

গত ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৭ হাজার ৬৮১ টন আমন ধান এবং দুই লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৫ টন সিদ্ধ আমন চাল সংগ্রহ করতে পেরেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এই সংগ্রহের পর সরকারি গুদামে মোট চালের মজুদ দাঁড়িয়েছে ১৩.৭০ লাখ টন। এ ছাড়া ৩.৩৩ লাখ টন গম, ০.১৮ লাখ টন ধানসহ মোট খাদ্যশস্যের সরকারি মজুদ দাঁড়াল ১৮.১৪ লাখ টন।

গত বছর চালের বাজার অস্থির হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে গবেষণা করা হয়। এতে বলা হয়, বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল রাখতে সরকারকে সব সময় কমপক্ষে সাড়ে ১২ লাখ টন চালের মজুদ এবং ২৫ লাখ টন চালের সংগ্রহ নিশ্চিত করতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৯, ২০২১ ১:০২ অপরাহ্ন
দৌলতপুরে তুলার চাষ, ন্যায্য দামে চাষিদের মুখে হাসি
এগ্রিবিজনেস

সাম্প্রতিককালে হাইব্রিড ও উচ্চফলনশীল জাতের তুলা চাষ প্রবর্তনের ফলে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় তুলার ফলন বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে তুলার বাজার মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। এ উপজেলায় তুলা এখন একটি লাভজনক ফসল হিসেবে পরিণত হয়েছে। এখানে এক সময় ব্যাপকভাবে তামাকের চাষ হতো। ফলে তামাকের জনপদ হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছিল এই উপজেলাটি। তবে সেই দিন এখন অনেকটাই বদলে গেছে। উপজেলার ১৪ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে তামাকের জায়গায় ব্যাপক হারে তুলার চাষ হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, চলতি বছর দৌলতপুর উপজেলায় দুই হাজারেরও বেশি হেক্টর জমিতে তুলার চাষ হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে এখন তুলার সমারোহ। যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই তুলা ক্ষেতের দেখা মেলে। তুলা চাষের মাধ্যমে আর্থিকভাবে বেশ লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। তুলা চাষ বাড়াতে চাষিদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি উন্নত জাতের বীজ ন্যায্যমূল্যে সরবরাহ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে। তামাক ছেড়ে তুলা চাষে আগ্রহ বাড়ার বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন কর্মকর্তারা।

তুলা চাষিরা জানান, তামাক এখন তুলার চেয়ে অলাভজনক ফসল। তামাক চাষে পরিশ্রম বেশি এবং উৎপাদনেও অনেক ব্যয়। এ কারণে তারা এ বছর গত বছরের তুলনায় বেশি তুলা চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। কাঙ্ক্ষিত দামও পাচ্ছেন। হাইব্রিড জাতের রূপালি-১, হোয়াইট গোল্ড-১, হোয়াইট গোল্ড-২ তুলার বীজ উচ্চ ফলনশীল হওয়ায় বিঘা প্রতি ২০-২২ মণ উৎপাদনের আশা এ উপজেলার তুলা চাষিদের।

জেলার মিল মালিকরা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এ বছরে চড়া দামে তুলা কিনতে হচ্ছে। এবার প্রতি মণ তুলা তিন হাজার ৪০০ টাকা দরে ক্রয় করা হচ্ছে। তবে লোকসান হওয়ার কারণে শুকনো তুলা ছাড়া ভেজা ও গুটি যুক্ত তুলা ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে।

জানা যায়, বর্তমানে তুলা উন্নয়ন বোর্ড তুলা গবেষণা, এর সম্প্রসারণ, বীজ উৎপাদন ও বিতরণ, প্রশিক্ষণ, বাজারজাতকরণ এবং জিনিং কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে। তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে চাষিদের তুলা উৎপাদন কার্যক্রমে সহায়তা করছেন। ফলে দিন দিন অনেকেই তুলা চাষের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছেন। দেশে বর্তমানে যেসব অর্থকরী ফসল রয়েছে তার মধ্যে লাভের দিক দিয়ে তুলা অন্যতম বলে মনে করা হচ্ছে।

দৌলতপুর উপজেলা তুলা উন্নয়ন বোর্ডের ইউনিট কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, এ বছর উপজেলায় দুই হাজার ৬০ হেক্টর জমিতে তুলার চাষ হয়েছে। হাইব্রিড জাতের উচ্চ ফলনশীল তুলা চাষে আগ্রহী কৃষকরা ন্যায্যদাম পেয়ে সন্তুষ্ট। যার কারণে গত বছরের তুলনায় এ বছরে তুলা চাষির সংখ্যাও অনেকাংশে বেড়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৮, ২০২১ ৩:৪৫ অপরাহ্ন
নাটোরের বাজারে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম
এগ্রিবিজনেস

নাটোরের বাজারে কন্দ জাতের নতুন পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে। এতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দর ১০ থেকে ১২ টাকা কমে গেছে। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে বলে দাবি কৃষকদের। এদিকে বাইরের দেশ থেকে আমদানি করায় পেঁয়াজের দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

বিগত দুই সপ্তাহ ধরে নাটোর জেলার বৃহত্তম পেঁয়াজের হাট নলডাঙ্গায় কন্দ জাতের নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ শুরু হয়েছে। শুরুতে প্রতি কেজি নতুন পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও গত সপ্তাহে তা কমে ৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে চলতি সপ্তাহে প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ১২ কমে যাওয়ায় বর্তমানে ২৩ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।

এ বিষয়ে কৃষকরা জানিয়েছেন, চলতি বছর অতিরিক্ত দামে কন্দ জাতের পেঁয়াজের বীজ ক্রয় করতে হয়েছে। এছাড়া শ্রমিকের খরচ বৃদ্ধিসহ উৎপাদন খরচ বেড়েছে। এতে করে প্রতি কেজি নতুন পেঁয়াজ উৎপাদনে ২৫ টাকা খরচ হয়েছে।

তবে বাজারে পেঁয়াজ ২৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যার কারণে লোকসান গুণতে হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে হলে উৎপাদন মৌসুমে বিদেশি পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে বাজার তদারকির দাবি কৃষকদের।

পেঁয়াজের দর কমে যাওয়া নিয়ে স্থানীয় আড়তদাররা জানিয়েছেন, বাইরের দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির কারণে নতুন পেঁয়াজের চাহিদা কমেছে। এছাড়া কন্দ জাতের পেঁয়াজ সংরক্ষণ না হওয়ার করণে বাজারে নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলসরূপ নতুন পেঁয়াজের দাম কমেছে।

গত মৌসুমে নাটোর জেলায় প্রায় ৮০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। এ দিকে স্থানীয় কৃষি বিভাগ চলতি মৌসুমে প্রায় ১ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop