১১:৫৫ পূর্বাহ্ন

শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মে ৬, ২০২৩ ৮:০০ অপরাহ্ন
রাজশাহীর ‘ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার’ নিয়ে বিতর্ক, যা বলছে প্রশাসন
কৃষি বিভাগ

রাজশাহী অঞ্চল আমের জন্য বিখ্যাত। স্থানীয় এই সুনাম ধরে রাখতে এবং বাজারে মানসম্মত আমের সরবরাহ নিশ্চিত করতে ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার প্রকাশ করে জেলা প্রশাসন।

ঘোষিত ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার দশ দিন আগে থেকেই আম পাড়ার তারিখ নির্ধারণ করার পর এনিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

সমালোচনাকারীরা বলছেন, এমন সিদ্ধান্তের কারণে আম চাষীরা ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। কারণ ৪ মে থেকে গুটি আম পাড়া শুরুর কথা বলা হলেও এখনো অনেক আম পরিপক্ক হয়নি। তবে জেলা প্রশাসন বলছে যে, বাজারে মানসম্মত আম নিশ্চিত করতেই চাষীদের স্বার্থের দিক বিবেচনা করে এই ক্যালেন্ডার তৈরি করা হয়েছে।

এবারের প্রকাশিত ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ৪ মে থেকে গুটি আম পাড়া যাবে। এছাড়া ১৫ মে থেকে গোপালভোগ, ২০ মে থেকে রানীপছন্দ, লক্ষণভোগ বা লখনা, ২৫ মে থেকে হিমসাগর বা খিরসাপাত, ৬ জুন থেকে ল্যাংড়া, ১০ জুন থেকে আম্রপালি, ১৫ জুন থেকে ফজলি, ১ জুলাই থেকে আশ্বিনা, বামি আম-৪, গৌড়মতি এবং ২০ অগাস্ট থেকে ইলামতি আম পাড়া যাবে।

এবিষয়ে রাজশাহীর জেলার প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, জেলায় উৎপাদিত বিভিন্ন জাতের আম কোন সময় থেকে বিক্রির জন্য পাড়া শুরু করা যাবে তার সময় সীমা উল্লেখ করে তালিকা প্রকাশ করা হয়। স্থানীয়ভাবে এই তালিকাকে বলা হচ্ছে ‘ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার’।

তিনি বলেন, এবার যেহেতু বেশি খরা ছিল সেজন্য আম পাড়ার তারিখ কিছুটা এগিয়ে আনা হয়েছে। এমন আবহাওয়ার কারণে বাঘা উপজেলার কিছু বাগানে গুটি আম পাকতে শুরু করায় তারিখ এগিয়ে আনার বিষয়টিতে জোর দেয়া হয়েছে। কিছু বাগানে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু আম পাকছে যেগুলো কৃষকরা বাজারজাত করতে চায়। এই কৃষককে যদি আরো ১০দিন পর্যন্ত ওয়েট করতে হয় তাহলে কিন্তু তার আমগুলো নষ্ট হলে সে বাজারমূল্য থেকে বঞ্চিত হবে।

আম পাড়ার সময়সীমা এগিয়ে আনার বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ৪ মে থেকে আম পাড়া শুরু করার কথা বলা হয়েছে। যাদের আম পাকেনি তারা আম পাকার জন্য অপেক্ষা করতে পারবে। এতে কোন বাঁধা নেই।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে এই দিন থেকে তারা আম নামাতে পারবে। তার মানে এই নয় যে, সব আম নামিয়ে ফেলতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৫, ২০২৩ ১০:৫৩ অপরাহ্ন
রাজশাহীতে হলুদের বাম্পার ফলন
কৃষি বিভাগ

রাজশাহীতে মসলা জাতীয় ফসল হলুদ চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। এই ফসলটি রান্নায় ব্যাপক ব্যবহার। ফলে সারাবছরই এর চাহিদা রয়েছে। গত কয়েক বছর যাবত এই ফসল চাষ করে কৃষকরা লাভবান হতে পারছেন বলে দিন দিন এর চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও এবছর হলুদের ভাল ফলনের পাশাপাশি বর্তমান বাজারদরেও খুশি কৃষকরা।

জানা যায়, রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের চাষিরা ব্যাপক পরিমানে হলুদ চাষ করছেন। অল্প খরচে ও কম পরিচর্যায় বেশি ফলন পাওয়া যায় বলে কৃষকরা এর চাষ করে থাকেন। এছাড়াও পুরো বছর জুড়েই এর চাহিদা রয়েছে। এই জেলায় চাষের পরিমান বাড়ার পাশাপাশি অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর হলুদের ফলন বেশি হয়েছে। আশানুরূপ ফলন ও বাজার ভাল পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র মতে, চলতি বছর জেলার বছর পুঠিয়া উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নে প্রায় সাড়ে চারশত হেক্টর জমিতে হলুদের চাষ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ৪০ হেক্টর বেশি। আর ৮ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন হলুদ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

বানেশ্বর হাটে আগত হলুদ চাষী কাওসার আলী বলেন, প্রায় প্রতিটি রান্নায় ব্যবহার হয় বলে সারাবছর হলুদের চাহিদা থাকে। এর চাষে সার ও কীটনাশকের পরিমান খুবই কম লাগে। গত বছরের তুলনায় এবছর ফলন বেশি পেয়েছি। চাহিদার কথা মাথায় রাখতে হয় না। এর চাষে লাভবান হতে পারায় অনেকেই এর চাষ করছেন।

হলুদ ব্যবসায়ী আজগর উদ্দিন বলেন, সারাদেশে পুরো বছরজুড়ে হলুদের চাহিদা রয়েছে। এর চাহিদা কখনো কমেনি। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর হলুদের বাজারদর ভাল। বর্তমানে প্রকারভেদে প্রতি মণ হলুদ ১৩০০-১৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, রাজশাহী জেলায় দিন দিন হলুদ চাষ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। কৃষকরা আবাদি জমির পাশাপাশি অনাবাদি পতিত জমিতেও এর চাষ করছেন। অল্প পুঁজি ও সঠিক পরিচর্যায় বেশি ফলন পাওয়া যায়। এছাড়াও সারাবছর জুড়ে এর চাহিদা ও দাম দুটোই ভাল পাওয়া যায়। আমরা কৃষকদের মাঠপর্যায়ে যেয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা করছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২, ২০২৩ ১০:২১ পূর্বাহ্ন
মিষ্টি কুমড়া চাষে লাভবান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুস্তাকিম!
কৃষি বিভাগ

মিষ্টি কুমড়া চাষে কৃষক মুস্তাকিম সরকার বাম্পার ফলন পেয়েছেন। তিনি সারাবছর বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষাবাদ করে থাকেন। এরমধ্যে টমেটো, শসা, ক্যাপসিকাম বেগুন, তরমুজ, সাম্মামও রয়েছে। তাই এবছর তিনি মিষ্টিকুমড়া চাষ করে সফলতা পেয়েছেন।

জানা যায়, কৃষক মুস্তাকিম সরকার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউপির ধাতুরপহেলা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি এবছর প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করে ব্যাপক ফলন পেয়েছেন। তিনি আদমপুর গ্রামে বিশাল এলাকা নিয়ে দোয়া বহুমুখী কৃষি খামার নামে একটি কৃষি খামার গড়ে তোলেন। সেখানে তিনি শসা, টমেটো, বেগুন, ক্যাপসিকাম, তরমুজ, বাউকুল বরই, সাম্মামসহ নানা জাতের ফল ও সবজি বাণিজ্যিকভাবে চাষ করছেন। চলতি বছর তাতে মিষ্টি কুমড়া যোগ করেন। এবং প্রায় ৪০ টনের ওপরে কুমড়া উৎপাদন করেন। স্থানীয় পর্যায়ে খুচরা ও পাইকারি বিক্রি করছেন। মিষ্টি কুমড়া চাষে লাভবান হওয়া যায় বলে অনেক কৃষকরা এর চাষে ঝুঁকছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তিনি একটি টিনশেড ঘরের ভেতরে ছোট বড় মিষ্টি কুমড়া গুলো স্তূপ করে রেখেছেন। তার উৎপাদিত একেকটি মিষ্টি কুমড়ার ওজন প্রায় ২-৫ কেজি। আর মোট ৪০ টনের বেশি। এখান থেকেই তিনি তা বিক্রি করছেন। পাইকরার সরাসরি তার কাছ থেকে কুমড়া সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছে।

কৃষক মুস্তাকিম সরকার বলেন, আমি সারাবছর বিভিন্ন সবজি ও ফলের চাষ করে থাকি। এবছর ১০ বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড জাতের মিষ্টি কুমড়ার আবাদ করেছি। এতে সব মিলে বিঘাপ্রতি ১৩ হাজার করে খরচ হয়েছে। চারা রোপনের ৩ মাসের মধ্যেই জমি থেকে মিষ্টি কুমড়া তুলে বিক্রি করতে পেরেছি।

তিনি আরো বলেন, জমিতে ৪০ টনের ওপরে ফলন পেয়েছি। আশা করছি প্রতি টন মিষ্টি কুমড়া ২০-২২ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারবো।

স্থানীয় অন্য কৃষকরা জানায়, চাষাবাদে তার এমন সফলতা এলাকার বেকার যুবকদের উৎসাহিত করছে। তিনি নিজেকে একজন আদর্শ চাষি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আশা করছি তিনি আরো এগিয়ে যাবেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম বলেন, কৃষক মুস্তাকিম এবছর প্রথমবারের মতো মিষ্টি কুমড়ার চাষ করেছেন। তিনি অন্যান্য আরো সবজি ও ফল চাষ করে নিজেকে একজন আদর্শ কৃষক হিসেবে গড়ে তুলেছেন। আশা করছি বর্তমান বাজারদর ভালো থাকলে তার উৎপাদিত মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১, ২০২৩ ১১:৪৭ অপরাহ্ন
আখ চাষে লাভবান গাজীপুরের চাষিরা!
কৃষি বিভাগ

আখ চাষে গাজীপুরের চাষিরা ব্যাপক ফলন পেয়েছেন। আগে শুধু গরমের মৌসুমেই আখের চাষ করা হতো। তবে বর্তমানে শীত ও গ্রীষ্ম দুই মৌসুমেই আখ চাষ করা হচ্ছে। চাষিরা চাষের পাশাপাশি বাজারে ভালো দাম পেয়ে লাভবানও হচ্ছেন। আর কম খরচে মাত্র ৭-৮ মাসের মধ্যেই উৎপাদিত আখ বাজারজাত করা যায় বলে কৃষকরা আখ চাষে ঝুঁকছেন।

জানা যায়, গাজীপুর উপজেলার প্রায় সবগুলো ইউনিয়নে কম বেশি আখের চাষ হলেও কালীগঞ্জ, বাহাদুরসাদী, জামালপুর, মোক্তারপুর পৌরসভা এলাকায় বেশি চাষ হয়েছে। এখানকার চাষিরা ঈশ্বরদী ১৬ ও ৩৬, টেনাই, বি.এস.আর.আই ৪১ ও ৪২ জাতের আখের বেশি চাষ করছেন। মাত্র ৭-৮ মাসের মধ্যে এর বাজারজাত করা যায়। আর কম খরচে উৎপাদন করে বেশি দামে বিক্রি করে লাভবান হওয়া যায় বলে কৃষকরা এর চাষে ঝুঁকছেন।

স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মতে, চলতি মৌসুমে গাজীপুর উপজেলায় ৬২ হেক্টর জমিতে আখের চাষ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ২ হেক্টর বেশি জমিতে চাষ হয়েছে। গত বছর ৩ হাজার ৬১৪ মেট্রিকটন আখের ফলন পাওয়া গেলেও এবছর ৩ হাজার ৭৩৫ মেট্রিকটন আখের আবাদ হয়েছে। বর্তমানে সব মৌসুমে আখের চাষ করে লাভবান হতে পারায় কৃষকরা এর চাষে ঝুঁকছেন।

বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের বাশাইর গ্রামের চাষি আব্দুর রহমান বলেন, গত বছরের তুলনায় বছর চাষের খরচ বেড়েছে। গত বছর ১০ শতাংশ জমিতে আখের চাষ করতে ১০-১৫ হাজার টাকা খরচ হলেও এবছর আরো বেশি খরচ হয়েছে। আর জমির আখ ৫৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি।

খলাপাড়া গ্রামের আরেক চাষি ইসলাম সরকার বলেন, আখের চাষ করতে আমার বেশি খরচ হয় না। কারণ আমি নিজেই জমিতে সব কাজ করি। এবছর ৯ শতাংশ জমিতে চাষ করেছি। চাষে ১০-১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। জমিতে আখের ব্যাপক ফলন হয়েছে। তাই প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকার আখ বিক্রি করতে পেরেছি।

কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারজানা তাসলিম বলেন, উপজেলায় দিন দিন আখ চাষের পরিমান বাড়ছে। কম খরচে চাষ করে বেশি লাভ করা যায় বলে কৃষকরা আখ চাষে ঝুঁকছেন। আমরা কৃষকদের আখ চাষের প্রশিক্ষণ ও প্রদর্শনীর মাধ্যমে চাষে আগ্রহী করা হচ্ছে। এছাড়াও চাষের জন্য মাঠ পর্যায়ে যেয়ে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে। কৃষকরা আখের বাম্পার ফলন পেয়েছেন। আর বাজারে ভালো দামে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৬, ২০২৩ ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন
সূর্যমুখী চাষে লাভের আশা খুলনার কৃষকদের
কৃষি বিভাগ

খুলনার কয়রা উপজেলায় লবণাক্ত জমিতে সূর্যমুখী চাষে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন কৃষক কালিপদ সরকার। তিনি আগের বছর ১৬ শতাংশ পতিত জমিতে সূর্যমুখী চাষ করে সফল হয়েছেন। সূর্যমুখী চাষে খরচ কম ও পরিশ্রম কম লাগে। তাই এ বছর তিনি ২ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ করছেন।

সুত্রে জানা যায়, খুলনার কয়রা উপজেলার আমাদি ইউনিয়নের পাটুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা কৃষক কলিপদ সরকার। এবার সবচেয়ে বেশি সূর্যমুখী চাষ হয়েছে আমাদি ইউনিয়নে। ইউনিয়নটিতে গত বছর ৪ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছিল। আর এবার ২৫ হেক্টর জমিতে। এবার সূর্যমুখী চাষে কৃষকরা লাভবান হতে পারবেন বলে আশা করছেন।

গ্রামের কৃষক চণ্ডীপদ সরকার বলেন, গত বছর ২ বিঘা জমি চাষাবাদে আমার খরচ হয়িছিল ২৫ হাজার টাকা। সূর্যমুখীর বীজ বিক্রি করিছিলাম ৭০ হাজার টাকা। লাভ হয়িছে ৪৫ হাজার টাকার মতো। তাই এবারও সূর্যমুখীর চাষ করিছি।’

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের খুলনা কার্যালয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. হারুনর রশীদ বলেন, এ উপজেলায় জমিতে নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে লোনা পানি প্রবেশ করার কারনে আমন ধান ছাড়া কোন সফল উৎপাদন হয় না। উপকূলের এসব লবণাক্ত জমিতে সূর্যমুখীর উৎপাদন বাড়াতে পারলে একদিকে যেমন অনাবাদি জমির পরিমাণ কমবে, অন্যদিকে দেশে ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতা অনেকাংশে কমে যাবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অসীম কুমার দাস বলেন, এক মণ সূর্যমুখীর বীজ থেকে ১৮-২০ কেজি তেল উৎপন্ন হয়। প্রতি কেজি তেল বিক্রি হয় ৪০০-৪৫০ টাকা। বর্তমানে সূর্যমুখী তেলের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে এ ফসল উৎপাদনের আগ্রহ বাড়ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৬, ২০২৩ ৯:২২ পূর্বাহ্ন
পতিত জমিতে লেবু চাষে কৃষক সেলিমের ভাগ্যবদল!
কৃষি বিভাগ

ময়মনসিংহে পতিত জমিতে লেবু চাষে ভাগ্য বদলেছেন কৃষক সেলিম মিয়া। তিনি উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ২ একর পতিত জমিতে উন্নতজাতের সিডলেস লেবু চাষে সফল হয়েছেন। মাত্র ১ বছরের মধ্যেই ফলন পাওয়ায় উৎপাদিত লেবু বিক্রি করে তিনি লাভবান হয়েছেন। আগামীতে লাভের পরিমান দ্বিগুণ হবে বলে তিনি আশা করছেন।

জানা যায়, কৃষক সেলিম মিয়া ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার ঘোষগাঁও ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি ২০২১ সালের শেষের দিকে উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ২ একর পতিত জমিতে উন্নতজাতের সিডলেস ৮০০ লেবুর চারা রোপন করেন। চারা রোপনের ১ বছরের মধ্যেই গাছে ফলন পেয়েছেন। এতে প্রথম বছরে লেবু বিক্রি করে খরচের টাকা উঠিয়ে ফেলেছেন। দ্বিতীয় বছর থেকে লাভের পরিমান দ্বিগুণ হবে বলে তিনি জানান।

কৃষক সেলিম মিয়া বলেন, আমার এই জমিটি পতিত পড়ে ছিল। ২০২১ সালের শেষের দিকে কৃষি অফিসের পরামর্শে ৮০০ লেবুর চারা রোপন করি। আমাদের এই পতিত জমিতে এত সুন্দর লেবু বাগান হতে পারে তা আমরা কোনো দিন কল্পনাও করিনি। কৃষি অফিসাররা নিয়মিত আমার বাগানটি পরিদর্শন করেন। এছাড়াও আমার এখানে পানির ব্যবস্থা ছিল না। কৃষি অফিস থেকে পানির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।

স্থানীয় আরেক কৃষক করিম উদ্দিন বলেন, আমি সেলিমের বাগানটি দেখেছি। এখানে যে এমন বাগান সৃষ্টি হবে তা আগে চিন্তা করা যায় নি। আমিও সেলিম থেকে পরামর্শ নিচ্ছি। আগামীতে আমিও লেবুর বাগান করবো।

ধোবাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সারোয়ার আলম তুষার বলেন, নদীর পাড়ের জমিগুলো খুব উর্বর হয়। এই জমি গুলো আগে পতিত পড়ে থাকতো। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে লেবুজাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ, ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় আমরা কৃষক সেলিম মিয়াকে ৮০০ লেবুর চারা দিয়েছিলাম। আমরা তাদের পানি সেচের ব্যবস্থাও করে দিয়েছি। আশা করছি আগামীতে এই অঞ্চলে লেবুর চাষ আরো বাড়বে। আমরা তাদের সহযোগিতা করবো।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১৯, ২০২৩ ৫:৩২ অপরাহ্ন
এবছর বোরোতে রেকর্ড উৎপাদন হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, চলমান ২০২২-২৩ অর্থবছরে সারা দেশে প্রায় ৫০ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ও সময়মতো ধান ঘরে তুলতে পারলে বোরোতে রেকর্ড উৎপাদন হবে। হাওরে বোরো ধান কাটা চলছে, এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৫ ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে। এই মুহূর্তে শুধু সুনামগঞ্জেই এক হাজার কম্বাইন হারভেস্টারে ধান কাটা চলছে। আশা করি, ৩০ তারিখের মধ্যেই হাওরের ধান কাটা হয়ে যাবে, এবার ধান কাটায় কোন সমস্যা হবে না।

আজ বুধবার সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার ডেকার হাওরে বোরো ধান কর্তন উৎসব ও কৃষকদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অফিস এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

হাওরে ধানকে ঝুঁকিমুক্ত, শঙ্কামুক্ত করতে সরকারের নানান পদক্ষেপ তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, আগাম বন্যা ও পাহাড়ি ঢলের কারণে হাওরের ধান ঘরে তোলা নিয়ে প্রতিবছর আমাদের আতঙ্কে থাকতে হয়। আমরা এমনভাবে কাজ করছি, ইনশাআল্লাহ আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে হাওরের ধান হবে ঝুঁকিমুক্ত ও শঙ্কামুক্ত। পাকা ধান দ্রুত কাটার জন্য আমরা ৭০% ভর্তুকিতে হাওরে কম্বাইন হারভেস্টার দিয়ে যাচ্ছি। এর সুফল আমরা পাচ্ছি। গত কয়েক বছর ধরে দ্রুততার সাথে ধান কাটা যাচ্ছে। ফলে হাওরের ধান নিয়ে শঙ্কা অনেকটা কমে এসেছে।

মন্ত্রী বলেন, এছাড়া আমরা স্বল্পজীবনকালীন ও ঠাণ্ডাসহিষ্ণু আগাম জাতের ধান চাষে গুরুত্ব দিচ্ছি। যাতে ১৫ দিন আগেই ধান পাকে। ইতোমধ্যে বিজ্ঞানীরা অনেকগুলো জাত উদ্ভাবন করেছেন। এ জাতগুলো দ্রুত সম্প্রসারণ করতে পারলে হাওরের ধান ঘরে তোলা নিয়ে কোন শঙ্কা থাকবে না। পানি আসার আগেই ঘরে ধান তোলা যাবে।

ব্রি ২৮ ও ব্রি ২৯ জাতের ধান চাষ না করার জন্য কৃষকদের আহ্বান জানান মন্ত্রী। বলেন, ব্রি ২৮ জাতটি পুরনো হয়ে গেছে, সহজেই ব্লাস্টসহ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, উৎপাদনশীলতাও কমে গেছে। ব্রি ২৯ একটু দেরিতে পাকে। এসব জাতের পরিবর্তে উচ্চ উৎপাদনশীল নতুন জাত যেমন ব্রি- ৮১, ব্রি- ৮৯, ব্রি- ৯২ চাষ করতে হবে। এদের ফলন প্রতি শতকে এক মণেরও বেশি।

অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে এবছর ৫০ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে, আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২ কোটি ১৫ লাখ মেট্রিক টন চাল। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে বোরো ধান আবাদ হয়েছিল ৪৮ লাখ ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে, উৎপাদন হয়েছিল প্রায় ২ কোটি ২ লাখ টন চাল।

এদিকে হাওরভুক্ত ৭টি জেলা সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাওরে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত হাওরের ৩৫% ধান কাটা হয়েছে। হাওরে এবছর বোরো আবাদ হয়েছে ৪ লাখ ৫২ হাজার হেক্টর জমিতে। আর এই ৭টি জেলায় মোট বোরো আবাদ হয়েছে (হাওর ও উচুঁ জমি মিলে) ৯ লাখ ৫৩ হাজার হেক্টর জমিতে, উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৪০ লাখ টন চাল।

উল্লেখ্য, এবছর বোরোর আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ১৭০ কোটি টাকার প্রণোদনা দেয়া হয়েছিল। সারা দেশের প্রায় ২৭ লাখ কৃষক এ প্রণোদনার আওতায় বিনামূল্যে বীজ ও সার পেয়েছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১৯, ২০২৩ ৩:৫৫ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জে ধান কাটা উৎসবে যোগ দিয়েছেন তিন মন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

সুনামগঞ্জের দেখার হাওরে বোরো ধান কাটা উৎসবে যোগ দিয়েছেন তিন মন্ত্রী। এ সময় তারা একসঙ্গে ধান কাটেন।

বুধবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে উৎসবে যোগ দেন তারা। তিন মন্ত্রী হলেন- কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান ও উপ-মন্ত্রী এনামুল হক শামীম।

এ সময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষকরা অনেক পরিশ্রম করে হাওরে ধানের চাষাবাদ করে। কিন্তু আগাম বন্যার কারণে কৃষকদের ধান ঘরে তোলার আগেই তলিয়ে যায়। এ বছর হাওরে এসে খুব ভালো লাগছে বোরো ধানের ফলন দেখে। এরই মধ্যে হাওরের ৩০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। এ বছর ধানের যে দাম নির্ধারণ হয়েছে তা থেকে কৃষকরা অনেক লাভবান হবেন।

তিনি আরও বলেন, যে বছর হাওরের ধান হয়, সে বছর সারাদেশের মানুষ খেতে পারেন। আর যে বছর হাওরের ধান তলিয়ে যায়, সে বছর খাদ্যের সংকট দেখা দেয়। এবার বন্যার আগেই হাওরের ধান ঘরে উঠে যাবে। এরই মধ্যে ১ হাজার ধান কাটার মেশিন হাওরের ধান কাটছে।

এদিকে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, জলাভূমি হাওরে আর কোনো সড়ক নির্মাণ হবে না।  হাওরে আর মাটির বাঁধ নির্মাণ করা হবেনা।

মন্ত্রী আরও বলেন, প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে হাওরে ধান ঘরে তোলা সম্ভব নয়। প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের মানিয়ে নিতে হবে। তবে হাওরে আর মাটির বাঁধ নির্মাণ হবে না। বৈজ্ঞানিক ভাবে গবেষণা করে ফসলের সময়টা ১২০ দিনের জায়গায় যদি ১০০ দিন করা পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১৬, ২০২৩ ১১:১৯ পূর্বাহ্ন
যমুনার চরে বাদামের বাম্পার ফলন
কৃষি বিভাগ

সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর তীরে বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এমন ফলন হয়েছে বলে কৃষকরা মনে করেন। চরের মাটিতে অন্যান্য ফসলের তুলনায় বাদাম চাষে ঝুঁকি কম। আর এর চাষে খরচ কম হয়। এর বাজার দর ভালো থাকে বলে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত বাদাম বিক্রি করে লাভবান হতে পারেন। ফলে চরে এর চাষ ‍দিন দিন বাড়ছে।

জানা যায়, চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুর থানা আওতাধীন যমুনা নদীর চরের কৃষকরা ব্যাপক পরিমানে বাদামের চাষ করেছেন। উপজেলার সোদিয়া চাদপুর, স্থল, খাষকাউলিয়া ইউনিয়নের যমুনা নদীর চরে বাদামের চাষ হয়। এছাড়াও নদীর তীরবর্তী আরো ৪ ইউনিয়নেও কিছু সংখ্যক জমিতে এ চাষ হয়। এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। চরের মাটি বেলে দো-আঁশ, অধিক তাপমাত্রা ও মাঝারি বৃষ্টিতে দেশীয় জাতের ও চীনা বাদামের ব্যাপক ফলন হয়। কৃষকরা সাধারনত এই দুই জাতের বাদামের চাষ করেই লাভবান হতে পারেন। এর চাষে খরচ কম লাগে, সেচ ও নিরানির কোনো প্রয়োজন হয় না। অল্প দিনেই এর ফলন পাওয়া যায়্ উৎপাদিত বাদাম বাজারে ভালো দামে বিক্রি করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।

কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, প্রায় ৫০০ কৃষককে বাদামের বীজ ও সার বিনামূল্যে বিতরন করা হয়। কম খরচে বেশি লাভ হয় বলে দিন দিন চাষিরা এর চাষে ঝুঁকছেন।

সৌদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের চাষী আবুল কাসেম বলেন, এবছর আমি ১ বিঘা জমিতে বাদামের চাষ করেছি। বিঘায় ১০-১৩ মণ ফলন পেয়েছি। অন্যান্য ফসলের তুলানায় বাদামে লাভ বেশি। তাই প্রতি বছরই এ চাষ করি।

ব্যবসায়ীরা জানায়, চলতি বছর বাদামের বাজারদর ভালো। বর্তমানে প্রতিমণ ৩৫০০-৪৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম ভালো হওয়ায় চাষিরা চাষ করে লাভবান হতে পারছেন। আর আমরা ব্যবসা করেও লাভ করতে পারছি।

চৌহালী কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছর যমুনার চরের কৃষকরা বিঘাপ্রতি ১০-১৩ মণ বাদামের ফলন পেয়েছেন। চরাঞ্চলের মাটি বাদামে চাষের উপযোগী হওয়ায় এর চাষ আরো বৃদ্ধি করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগ কৃষকদের চাষের পরামর্শ ও সহযোগিতা করছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মাজেদুর রহমান বলেন, আমরা কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও ঢাকা-১, ঢাকা-৪ বাড়ী চিনা বাদাম, বিতরণ করা হয়েছে। এর চাষে কৃষকরা বেশি ফলন পাচ্ছেন। আর বাজারদর ভালো থাকায় বিক্রি করে লাভবান হতে পারছেন। আমরা সর্বদা কৃষকদের সহযোগিতা করছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১৩, ২০২৩ ২:০৪ অপরাহ্ন
আগামী ৭ মে থেকে খাদ্যশস্য সংগ্রহ করা শুরু করবে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

চলতি বোরো মৌসুমে ৩০ টাকা কেজি দরে ৪ লাখ মেট্রিক টন ধান, ৪৪ টাকা কেজি দরে সাড়ে ১২ লক্ষ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল এবং ৩৫ টাকা কেজি দরে ১ লাখ মেট্রিক টন গম কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

আগামী ৭ মে  থেকে শুরু হয়ে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে খাদ্যশস্য সংগ্রহ।

বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে খাদ্য পরিধারন কমিটির বৈঠক শেষে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এ কথা জানান।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop