৫:৪৮ অপরাহ্ন

সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মার্চ ১৮, ২০২৪ ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন
জয়পুরহাটে ৮ শ ৫৫ হেক্টর জমিতে ভূট্টার চাষ
কৃষি বিভাগ

জয়পুরহাট জেলার পাঁচ উপজেলায় চলতি ২০২৩-২৪ রবি মৌসুমে ৮ শ ৫৫ হেক্টর জমিতে ভূট্টার চাষ হয়েছে। এতে ফলনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ হাজার মেট্রিক টন ভূট্টা। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবারও বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষক ও কৃষি বিভাগ। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র বাসস’কে জানায়, মাটির গুণাগুণ অনুযায়ী ভূট্টা চাষ উপযোগী হওয়ায় জয়পুরহাট সদর উপজেলা, পাঁচবিবি ও আক্কেলপুর উপজেলায় ভূট্টার চাষ বেশি হয়ে থাকে। কৃষকদের ভূট্টা চাষে উদ্বুদ্ধ করতে মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। বিএডিসির পক্ষ থেকে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ভূট্টা বীজ সরবরাহ করা হয়েছে । ভূট্টা চাষে তুলনামূলক লেবার ও পরিচর্যা খরচ কম হওয়ার কারণে লাভ হয় বেশী। সদরের দাদরা ধুলাতর গ্রামের কৃষক রুস্তম আলী ফলন ভালো ও ভূট্টা চাষ লাভজনক হওয়ায় প্রতিবারের মতো এবারও দেড় বিঘা জমিতে ভূট্টার চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বাম্পার ফলনের আশা করছেন তিনি। ভূট্টা স্বল্প পানির চাহিদা সম্পন্ন ফসল হিসেবে জনপ্রিয়। ভূট্টা আবাদে বীজ বপনের ২৫-৩০দিন পর ১ম বার সেচ প্রয়োগ ও আগাছা দমন, ৫০-৫৫ দিন পর ২য় বার, ৭০-৭৫দিন পরে ৩য় বার হালকা সেচ প্রয়োগ করলে বাম্পার ফলন পাওয়া যায়। রোগ বালাই, পোকা মাকড়ের আক্রমণ খুবই কম হয় ভূট্টাতে। ফলে জেলায় দিন দিন ভূট্টার চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি ২০২৩-২৪ মৌসুমে জেলায় ভূট্টার চাষ হয়েছে ৮ শ ৫৫ হেক্টর জমিতে । যা গত বছরের তুলনায় ১৫ হেক্টর বেশি। ভূট্টা ফসলের মোচা বা কব সংগ্রহের পরে গাছের অবশিষ্ট অংশ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হয়, ভূট্টা হতে আটা, ময়দা, গো খাদ্য তৈরীতে দেশে এর ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। মুরগি ও গো- খাদ্য তৈরির জন্য জয়পুরহাটের ফিডমিল গুলোকে জেলার বাইরে থেকে ভূট্টা আমদানী করতে হয়। আমদানীরোধে ভূট্টার আবাদ বৃদ্ধিতে জয়পুরহাট জেলায় বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাফসিয়া জাহান। কৃষকদের মাঝে উন্নত জাত সরবরাহ, উদ্ধুদ্ধকরণ ও পরামর্শ প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। জেলায় সুপারসাইন-২৭৬০ জাতের ভূট্টার নতুন জাত প্রবর্তনে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে বলেও জানান তিনি।

কৃষি বিভাগ জানায়, ৩৩ শতাংশ এক বিঘা জমিতে হাইব্রিড জাতের ভূট্টা চাষ করার জন্য সরকারের রাজস্ব খাতের আওতায় প্রতিজন ভূট্টা চাষীকে ২ কেজি করে বীজসহ ১০ কেজি এমওপি সার ও ১০ কেজি ডিএপি সার দেওয়া হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে প্রযুক্তিগত কলাকৌশল ও পরামর্শ পেয়ে চাষাবাদ করতে পেরে অত্যন্ত খুশী বলে জানান ভূট্টা চাষীরা । ৩৪০ হে. ৩৫৭০ ৬০০ জনকে ২ কেজি বীজ ও সার ১০ কেজি ডিএপি, ১০ কেজি, এমওপি
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন বলেন, জেলায় এবার ৮ শ ৫৫ হেক্টর জমিতে ভূট্টার চাষ হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সদর উপজেলায় ৩৪০ হেক্টর, পাঁচবিবিতে ৩৫০ হেক্টর, আক্কেলপুরে ১১০ হেক্টর, ক্ষেতলালে ৩৫ হেক্টর ও কালাই উপজেলায় ২০ হেক্টর । আবহাওয়া ভা লো থাকলে জেলায় এবার প্রায় ১২ হাজার মেট্রিক টন ভূট্টার উৎপাদন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১১, ২০২৪ ৮:১৬ অপরাহ্ন
ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসল উৎপাদন পরিস্থিতি ও ২০২৪ -২০২৫ অর্থবছরের কর্মপরিকল্পনা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনুঃ আজ সোমবার (১১ মার্চ ২০২৪) সকাল ১০টায় বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প (১ম সংশোধিত ) এর আওতায় ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসল উৎপাদন পরিস্থিতি ও ২০২৪ -২০২৫ অর্থবছরের কর্মপরিকল্পনা শীর্ষক কর্মশালা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে ।কর্মশালাটি আয়োজন করেন, অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ময়মনসিংহ অঞ্চল এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প (১ম সংশোধিত ) ডিএই।

অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ,খামারবাড়ি ঢাকা এর মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসাবে ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর সদস্য বিশেষজ্ঞ পুল প্রফেসর ড এম.এ.সাত্তার মন্ডল। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ব্রি এর মহাপরিচালক প্রফেসর ড মো:শাহজাহান কবীর ,বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) মহাপরিচালক ড.মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহ এর অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ আবু মো: এনায়েত উল্লাহ এর সভাপতিত্বে প্রকল্পের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক , বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প , কৃষিবিদ মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান ।
অনুষ্ঠানে নারস ভূক্ত বিভিন্ন গবেষণা ইনস্টিটিউট এর প্রতিনিধি, বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের বিভিন্ন পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দসহ কৃষক ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালায় ২০২৪ –২০২৫ এর লক্ষমাত্রা অর্জনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয় এবং বিশেষ দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়।এছাড়া কর্মশালায় আগত কৃষকগণ এই প্রকল্পের মাধ্যমে তারা কিকি সুবিধা পাবে তা জানতে পেরেছে।তারা এপ্রকল্পের কারনে এলাকার কৃষির আমুল পরিবর্তন ও আধুনিকতার ছোয়া লেগেছে বলেও মতামত দেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৭, ২০২৪ ৭:৪৬ অপরাহ্ন
এসআরডিআই এর কর্মকর্তাদের বিভাগীয় প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

 

মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় সর্বদা নিবেদিত মৃত্তিকা বিজ্ঞানীদের এক মাসব্যাপী বিভাগীয় প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া প্রশিক্ষণটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সমাপনী অনুষ্ঠানে এনালাইটিক্যাল সার্ভিসেস উইং এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদের সনদপত্র বিতরণের মাধ্যমে শেষ হয়।

উক্ত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব ড ড. মো: বক্তীয়ার হোসেন, সদস্য পরিচালক, প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ, বিএআরসি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব ড. বেগম সামিয়া সুলতানা, পরিচালক ফিল্ড সার্ভিসেস উইং, ড. মো. আব্দুর রউফ, পরিচালক এনালাইটিক্যাল সার্ভিসেস উইং, এসআরডিআই। আরও উপস্থিত ছিলেন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের সিএসও, পিএসও,এসএসওসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ। প্রশিক্ষণের কোর্স কোর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জনাব মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, পিএসও, ট্রেনিং ডিভিশন, সহকারী কোর্স কোর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জনাব ড. মো লুৎফর রহমান ও রশিদুন্নাহার, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, এসআরডিআই।

মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জনাব মো. জালাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে উক্ত সমাপনী অনুষ্ঠানে ২৫ জন প্রশিক্ষণার্থীর মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়। প্রধান অতিথি কর্মকর্তাদের উক্ত মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ থেকে লব্ধ জ্ঞান দেশের ও কৃষকের সেবায় কাজে লাগানোর আহবান জানান। কৃষির ভিত্তি ই হলো মাটি। তাই মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় নতুন নতুন গবেষণা ও মাটির উপাদানের রাসায়নিক বিশ্লেষণে কোয়ালিটি নিশ্চিতের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

মহাপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন সভাপতির বক্তব্যে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদের উক্ত প্রশিক্ষণ থেকে লব্ধ জ্ঞান ল্যাবরেটরি এবং ফিল্ড কার্যক্রমে ভালভাবে কাজে লাগানো এবং মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় সচেতনতা বাড়ানোর জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। উল্লেখ্য মাসব্যাপী বিভাগীয় প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষণার্থীরা ফিল্ড এটাচমেন্ট ও ব্যাবহারিক সয়েল ল্যাবের রাসায়নিক বিশ্লেষণের কাজ, গবেষণা সম্পর্কে হাতেকলমে শিখতে পেরেছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২, ২০২৪ ৭:৫৮ অপরাহ্ন
বিএডিসি’র সেচ কার্যক্রম পরিদর্শন করলো আইইবি
কৃষি বিভাগ

দীন মোহাম্মদ দীনুঃ অত্যাধিক খরচ ও সেচের অভাবে প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার জামসা ইউনিয়নের উত্তর জামসা গ্রামের কয়েক কিলোমিটার এলাকার মানুষের কৃৃষিকাজ। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর বৃহত্তর ঢাকা জেলা সেচ এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থায়নে সেচ কার্যক্রম গ্রহণের কারণে নতুন করে চালু হয়েছে কৃষিকাজ। যে জমিতে সেচের কারণে বছরে মাত্র একটি ফসল ফলাতে পারতো, সেই একই জমিতে বছরে ৩টি ফসল আবাদ করছে এখন স্থানীয় কৃষকেরা। এর ফলে উক্ত এলাকায় মোট কৃষিজ উৎপাদন বেড়েছে, কৃষিতে সাফল্যের মুখ দেখেছে অনেক কৃষক।

এবার কৃষকদের সেই সাফল্যের খবর জানতে ও অত্যাধুনিক কৃষি প্রযুক্তির খবর জানাতে টেকনিক্যাল ট্যুর ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করেছে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি), বিএডিসি ও স্থানীয় জনসাধারণ। শনিবার (২ মার্চ ২০২৪) আইইবি’র কৃষিকৌশল বিভাগ এ মাঠ সফরের আয়োজন করে। এসময় তারা উত্তর জামসা ৫-কিউসেক এলএলপি সেচ স্কীম পরিদর্শন ও কৃষকদের সাথে মতবিনিময় করেন।

সুবিধাভোগী কৃষকেরা জানিয়েছেন, ‘ডিজেলের দাম অনেক বেড়েছে। এজন্য কৃষিকাজ অনেকটা বন্ধই করে দিয়েছিলাম। তবে বিএডিসি’র সেচ প্রকল্পের কারণে আমরা কৃষিকাজে প্রাণ ফিরে পেয়েছি। এখন কম খরচেই চাষাবাদ করতে পারছি। সরকারের এই সেচ সুবিধার কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমরা ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

আইইবি’র কৃষিকৌশল বিভাগের চেয়্যারমান প্রকৌশলী মো. মিছবাহুজ্জামান চন্দনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিএডিসি’র বৃহত্তর ঢাকা জেলা সেচ এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও আইইবি কৃষিকৌশল বিভাগের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মোহাম্মদ ওয়াহিদুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘মানিকগঞ্জের জামসা ইউনিয়নের উত্তর জামসা মৌজায় কৃষকরা ইতোপূর্বে ২৭টি ডিজেল চালিত অগভীর নলকূপ (শ্যালো টিউবওয়েলে) ৩/৪ শত বিঘা জমিতে সেচ কার্যক্রম চালাতে হিমশিম খাচ্ছিল। উপরন্তু এ এলাকার প্রায় ২০০০ বিঘা কৃষি জমির অধিকাংশ অনাবাদি থাকতো। আমরা বিএডিসি’র প্রকল্পের মাধ্যমে এ উত্তর জামসায় কালিগঙ্গা নদীতে ২টি ৫-কিউসেক লো লিফট পাম্প স্থাপন, বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ এবং দুই ধাপে প্রায় ৩৪০০ মিটার ভূগর্ভস্থ সেচ নালা ও পাম্প হাউস নির্মাণ করি। ফলে এলাকায় বর্তমানে ২০০০ বিঘা জমি স্বল্পমূল্যে সেচ সুবিধা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে৷ আমাদের এই প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকের প্রায় ৮০ শতাংশ পর্যন্ত সেচ খরচ কমিয়ে ফেলতে ভূমিকা রাখতে পারছি। এ কারণে এ এলাকার কৃষি লাভজনক কৃষিতে রূপান্তরিত হয়ছে। পাশাপাশি ডিজেল চালিত পাম্প বন্ধ হওয়ায় পরিবেশও মারাত্মক দূষণ থেকে রক্ষা পেয়েছে।’

প্রকৌশলী মো. মিছবাহুজ্জামান চন্দন তার বক্তব্যে বলেন, ‘এই সেচ প্রকল্পে (বিএডিসি) বারিড পাইপের মাধ্যমে সেচ দেওযার কারণে মাটির ক্ষয় রোধ হচ্ছে, পানির কোন অপচয়ও হচ্ছে না। এতে নিদিষ্ট সময়ে নিদিষ্ট স্থানে পানি পৌঁছে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার কৃষিবান্ধব উদ্যেগের কারণে দেশের কৃষি ও কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। একই সাথে প্রচলিত কৃষি থেকে বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরিত হচ্ছে।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আইইবির ভাইস-প্রেসিডেন্ট (সার্ভিসেস এন্ড ওয়েলফেয়ার) প্রকৌশলী মো. শাহাদাৎ হোসেন (শিবলু) পিইঞ্জ। এসময় তিনি তার বক্তব্যে বলেন, কৃষিবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগের কারণে প্রান্তিক অঞ্চলের কৃষকরা এই সুন্দর পদ্ধতির মাধ্যমে সেচ সুবিধা পাচ্ছেন। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই, তাঁর সুদূর প্রসারী উদ্যোগগুলোর কারণেই কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্তা অর্জন করেছে।
তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের ঘোষণা দিয়েছেন, এইসব উন্নত প্রকল্পের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সেচ প্রকল্পের এইসব প্রযুক্তি সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এরই মধ্যে যেসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে, সেজন্য কৃষি প্রকৌশলীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আইইবি’র কৃষিকৌশল বিভাগের সাবেক চেয়্যারমান ও বিএডিসি’র সাবেক প্রধান প্রকৌশলী বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম মিয়া, বিএডিসি’র সাবেক সদস্য পরিচালক (ক্ষুদ্র সেচ) ধীরেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আকতার হোসেন খান, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. লুৎফর রহমান এবং আইইবি’র কাউন্সিল সদস্য ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশনের সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নাসির উদ্দিন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিএডিসি, ডিএই, এমইএইচ, কৃষি গবেষণা কাউন্সিল ও এনসিটিবি’র প্রকৌশলীগণ, গণ্যমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ ও শতাধিক সুবিধাভোগী কৃষক উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিএডিসি কুমিল্লা সার্কেলের তত্ত্বাধায়ক প্রকৌশলী ও আইইবি’র কৃষিকৌশল বিভাগের ভাইস-চেয়্যারমান প্রকৌশলী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৯, ২০২৪ ৭:১৫ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে সার্ক এগ্রিকালচার সেন্টার বুক কর্ণারের উদ্বোধন
কৃষি বিভাগ

দীন মোহাম্মদ দীনুঃ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) গ্রন্থাগারে সার্ক এগ্রিকালচার সেন্টার বুক কর্ণারের উদ্বোধন করেছেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড.  এমদাদুল হক চৌধুরী ।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরিতে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাকৃবি লাইব্রেরি এবং সার্ক এগ্রিকালচার সেন্টার, ঢাকা।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাকৃবির উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা কমিটির কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খানের সভাপতিত্বে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত লাইব্রেরিয়ান মো. খাইরুল আলম নান্নুর সঞ্চালনায়  প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড.  এমদাদুল হক চৌধুরী। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সার্ক এগ্রিকালচার সেন্টার,ঢাকা এর পরিচালক ড. মো. হারুনুর রশিদ। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. অলিউল্লাহ, ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর রশিদ, কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাইদুর রহমানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ এবং সার্ক এগ্রিকালচার সেন্টার, ঢাকা এর সিনিয়র পোগ্রাম স্পেশালিষ্ট ড.নাসরিন সুলতানা , সিনিয়র পোগ্রাম স্পেশালিষ্ট লাইভস্টক ড. মো: ইউনুস আলীসহ সার্ক এগ্রিকালচার সেন্টারের সম্মানিত সদস্যবৃন্দ , বাকৃবির শিক্ষক শিক্ষার্থী কর্মকর্তা কর্মচারীগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড.  এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, কৃষি বিষয়ে সার্কের বইগুলো অনেক বেশি তথ্য সমৃদ্ধ। এখানে শিক্ষার্থীরা সহজেই এখন বইগুলো পাবে।  এতে সহজে তাদের জ্ঞান বৃদ্ধি করে দক্ষতা অর্জন করতে পারবে। সার্ক শিক্ষার্থীদের জ্ঞান বৃদ্ধির লক্ষে যে উদ্দ্যোগ নিয়েছে সেটি দেশের মেধাবী জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৭, ২০২৪ ১:২৬ অপরাহ্ন
গোপালগঞ্জে ৫ লাখ ২০ হাজার টন বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ
কৃষি বিভাগ

গোপালগঞ্জে চলতি বোরো মৌসুমে ৫ লাখ ২০ হাজার টন বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে জেলার ৫ উপজেলার ৮১ হাজার ৩৮০ হেক্টর জমিতে। গোপালগঞ্জ জেলায় বোরো ধান আবাদ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে বোরো আবাদ হবে। এ কারণে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি বোরো ধান উৎপাদিত হবে বলে আশা করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আঃ কাদের সরদার এসব তথ্য জানিয়ে বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ২০ হাজার ৯৩৮ হেক্টরে, মুকসুদপুর
উপজেলায় ১৩ হাজার ৩০৬ হেক্টরে, কাশিয়ানী উপজেলায় ১১ হাজার ৭৩৬ হেক্টরে, কোটালীপাড়া উপজেলায় ২৬ হাজার ৪৯৯ ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৮ হাজার ৯০১ হেক্টরে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে। এখান থেকে ৫ লাখ ২০ হাজার টন বোরো ধান উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির অতিরিক্তি উপ-পরিচালক সঞ্জয় কুমার কুন্ডু বলেন, এ জেলায় ধানের উৎপাদন ও আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ৭০ হাজার কৃষককে বিনামূল্যে প্রণোদনার বীজ-সার দিয়েছে। এরমধ্যে ৪০ হাজার কৃষককে ৮০ কেজি হাইব্রিড বোরো ধানের বীজ বিতরণ করা হয়েছে গত নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। এছাড়া ৩০ হাজার কৃষককে উচ্চ ফলনশীল (ইনব্রিড) বোরো ধানের বীজ, ১০ কেজি করে এমওপি এবং ১০ কেজি করে ডিএপি সার দেওয়া হয়েছে। প্রণোদনার এসব বীজ-সার দিয়ে কৃষক ৭০ হাজার বিঘা জমি আবাদ করেছে। তাই এ বছর জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বোরো ধানের আবাদ বেশি হবে। এ কারণে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি বোরো ধান উৎপাদিত হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৭, ২০২৪ ১:২৪ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জের হাওরে সরিষার আবাদ দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে
কৃষি বিভাগ

সুনামগঞ্জের হাওর অঞ্চলের কৃষকদের কাছে সরিষার আবাদ দিনদিন জনপ্রিয় ও লাভজনক হয়ে উঠেছে।  সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন হাওরে প্রতি বছরই ধান চাষের পাশপাশি সরিষার আবাদ বাড়ছে। গতবারের তুলনায় চলতি মৌসুমে প্রায় দেড় হাজার হেক্টর বেশি জমিতে চাষ হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৬৫ কোটি টাকা।  কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় জেলায় সরিষা চাষ বাড়ছে, স্থাহানীয় কৃষকরা এ ফসল চাষে উৎসাহী হয়ে উঠছেন। চলতি বছর দাম ভালো পাওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে। জেলার কৃষক মনফর আলী বিগত ৭ বছর ধরে সরিষা চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়েছেন বলে জানান। চলতি মৌসুমে সাড়ে ১০ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করে ফলন ভালো হওয়ায় তিনি ভীষণ খুশি। তিনি জানান, ধান থেকে সরিষা চাষে লাভ বেশি। সেই সঙ্গে বাজারদরও অনেক বেশি। তবে সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেলে এ অঞ্চলের চাষিরা আরও বেশি সরিষা উৎপাদন করতে পারবেন।

সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সুত্র জানায়, চলতি মৌসুমে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার প্রায় ২০ হাজার কৃষক ৪ হাজার ১০৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। যেখান থেকে ফলন হয়েছে ৫ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন। যার বাজারমূল্য ৬৫ কোটি টাকা।

সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, ‘সরিষার চাষ বাড়াতে মাঠপর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, চলতি মৌসুমে সরিষা থেকে প্রায় ৯১০ লিটার মধু সংগ্রহ করা হয়েছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ৫ লাখ টাকা।’ তিনি আরো জানান,সুনামগঞ্জের হাওরে আমন ধান কাটার পর বোরো চাষের আগে অলস জমিতে সরিষার চাষ করে স্থ্নাীয় কৃষকরা বাড়তি নুনাফা পাচ্চেন। সরিষা চাষ স্বল্প সময়ে উৎপাদনশীল একটি লাভ জনক রবিশস্য ফসল হওয়ায় এ জেলায় দিনে দিনে এর চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বৃদ্ধি পাচ্ছে কৃষকের সংখ্যা। হাওরের পরিবেশ উপযোগী ও অধিক মুনাফা অর্জনের চাষাবাদে স্থানীয় কৃষকদের উৎসাহিত ও সহযোগিতা করতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সকল সময়ই কৃষকদের পাশে রয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৯, ২০২৪ ৯:৫৬ পূর্বাহ্ন
কুমিল্লার লালমাই পাহাড়ের পতিত জমিতে সবুজের বিপ্লব ঘটিয়েছেন আজাদ
কৃষি বিভাগ

জেলার লালমাই পাহাড় এলাকার চাষি আবুল কালাম আজাদ। তিনি পাহাড়ের পতিত জমিতে লেবু, কলা, পেঁপে ও কচুমুখি চাষ করেন। এতে তার গত বছর লাভ হয়েছে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা। পাহাড়ের রূপবানমুড়া এলাকায় কলা, লেবু, মাল্টা, আনারস, আম, কাসাবা, পেঁপে ও মদিনানগর এলাকায় কচুমুখি চাষ করে স্থানীয় কৃষকদের তাক লাগিয়েছেন। সরেজমিনে পাহাড়ে গিয়ে দেখা যায়, পাহাড় ও তার ঢালুতে সবুজের সমারোহ। সবুজ থেকে চোখ ফেরানো দায়। নির্জন পাহাড়ে চলছে কাজের উৎসব। শ্রমিকদের কেউ লেবু তুলছেন। বাগানজুড়ে লেবুর মিষ্টি ঘ্রাণ। কেউ কলা ছড়িয়ে কাটছেন। কয়েকজন ব্যস্ত কচুর ছড়া তোলায়। হাত দিয়ে ছড়া পরিষ্কার করা হচ্ছে। কেউ পেঁপে পেকেছে কি না তা পরীক্ষা করছেন। আবুল কালাম আজাদের বাগানে ও জমিতে নিয়মিত ১০ জন শ্রমিক ও ফসল তোলার মৌসুমে আরও ১৫ জন শ্রমিক কাজ করেন। বসে নেই চাষি আবুল কালাম আজাদও। সমানতালে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তিনি। এত পরিশ্রমের পরও তার মুখে লেগে আছে তৃপ্তির হাসি।

কৃষক আবুল কালাম আজাদ বাসসকে বলেন, কয়েকটি কোম্পানির ডিস্ট্রিবিউটর ছিলাম। এতে খুব চাপ নিতে হয়। পাহাড়ে পরিবারের কিছু পতিত জমি ছিল। সেখানে প্রথমে লেবুর চাষ করি। প্রথম বছর ৫ লাখ টাকার চায়না লেবু-০৩ বিক্রি করি। পরে যোগ করি মাল্টা। এ বছর ৫ টন মাল্টা বিক্রি করেছি। আট বছর ধরে কচুর ছড়ার চাষ করছি। নতুন করে ড্রাগন, কাজুবাদাম ও কফির চারা লাগিয়েছি। কৃষিতে সময় দিয়ে আমি লাভবান হয়েছি। আমার পরিবারে সচ্ছলতা এসেছে।

কৃষি তথ্য সার্ভিস কুমিল্লার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসিন মিজি বলেন, কৃষি তথ্য সার্ভিস বিভাগের কাজে আমাদের বিভিন্ন এলাকার ফসলের মাঠে যেতে হয়। লালমাই পাহাড়ের পতিত জমিতে কৃষক আবুল কালাম আজাদ সবুজের বিপ্লব ঘটিয়েছেন। তিনি নিজে লাভবান হওয়ার সঙ্গে স্থানীয় বাজারে ফল ফসলের জোগান দিচ্ছেন। এতে স্থানীয়রা সাশ্রয়ী মূল্যে প্রয়োজনীয় পণ্য সংগ্রহ করতে পারছেন।

সদর দক্ষিণ উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুল বাশার চৌধুরী বলেন, সরকারের লক্ষ্য বাণিজ্যিক কৃষিকে এগিয়ে দেওয়া। আবুল কালাম আজাদ সে রকম একজন কৃষক। তিনি শুধু এক ফসলে পড়ে থাকেননি। তিনি লেবু, মাল্টা, আনারস, আমসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করেছেন। তিনি গত বছর কৃষিপণ্য বিক্রি করে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা লাভ করেছেন। সামনের বছরগুলোতে তার আয় আরও বাড়বে। তার মতো অন্য শিক্ষিত তরুণরাও কৃষিতে এগিয়ে এলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি হবে।

 

(বাসস)

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৫, ২০২৪ ৯:৫৭ পূর্বাহ্ন
রংপুরে রবি মৌসুমে ২১ হাজার ৮৭০ হেক্টর জমিতে ভূট্টা চাষ
কৃষি বিভাগ

প্রতি বছর রবি ও খরিপ মৌসুমে দুই বার ভুট্টা চাষ করে থাকেন কৃষকরা। চলতি রবি মৌসুমে জেলার ৮টি উপজেলা ও মেট্রো এলাকায় ২১ হাজার ৮৭০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছে। এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৯২৮ মেট্রিক টন। রংপুর কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন ভুট্টা চাষের ওই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, চলতি বছর রবি মৌসুমে রংপুর কৃষি অধিদপ্তরের অন্তর্ভুক্ত ৮টি উপজেলা ও মেট্রো এলাকায় ২১ হাজার ৮৬০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য্য ছিল। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পাশাপাশি অতিরিক্ত ১০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া এবং কৃষি বিভাগের প্রণোদনার আওতায় উন্নতমানের ভুট্টার বীজ সরবরাহ, প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণসহ মাঠ পর্যায়ের উপ-সহকারীদের সহযোগিতা ও কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় জেলায় ভুট্টার বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই মৌসুমে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় বরাবরের মতো অধিক জমিতে ভুট্টার চাষ হয়েছে। গতবছর এই উপজেলায় ভুট্টার চাষ হয়েছিল ৬ হাজার ৮০০ হেক্টর। এ মৌসুমে চাষ হয়েছে ৭ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে।
এছাড়া মিঠাপুকুর উপজেলায় ৩ হাজার ৭৪০ হেক্টর, বদরগঞ্জ উপজেলায় ২ হাজার ৮২০ হেক্টর, গংগাচড়া উপজেলায় ২ হাজার ৪০০ হেক্টর, পীরগাছায় ২ হাজার ২৮০ হেক্টর, সদর উপজেলায় ১ হাজার ২৫০ হেক্টর, তারাগঞ্জ উপজেলায় ১ হাজার ১৩০ হেক্টর, কাউনিয়া উপজেলায় ৮৭৫ হেক্টর ও মেট্রো এলাকায় ১৭৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছে। এতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ হেক্টর বেশি জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছে।
গতবছরের তুলনায় এবছর রবি মৌসুমে অতিরিক্ত প্রায় ৩৫০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে জেলায় প্রতি হেক্টর জমিতে প্রায় ১১ মেট্রিক টন করে ভুট্টা উৎপাদন সম্ভব। গত বছর জেলার কৃষকেরা জমি থেকেই কাঁচা ভুট্টা ভালো মূল্যে বিক্রি করতে পেরেছেন। অনেকেই শুকানোর পর বিক্রি করে অধিক লাভবান হয়েছেন। গত বছর ভুট্টার ফলন ভালো হওয়ায় এবং কৃষকরা লাভবান হওয়ায় চলতি বছর জেলার কৃষকদের মধ্যে ভুট্টা চাষে আগ্রহ বেড়েছে। এবছর জেলার পতিত জমিসহ চর অঞ্চলে ভুট্টা চাষ বেশি হয়েছে।
পীরগঞ্জ উপজেলার ঘাষিপুরের কৃষক মানিক উল্লা, কুয়েতপুরের আবুল কাশেম, বাবলু, আব্দুল মতিন, হাফিজুর, কাটাদুয়ারের জাকির হোসেন ও সৈকত জানান, করতোয়া নদীর চরে পতিত জমি গুলোতে ভুট্টা চাষ করলে সেচের প্রয়োজন কম হয়। চরাঞ্চলের কৃষকেরা কৃষি বিভাগের সাথে পরামর্শ করে এসব জমিতে অধিক হারে ভুট্টা চাষ করেছেন। দিনে দিনে চাষীদের আগ্রহ বাড়ছে। ভুট্টা চাষে সফলতা এসেছে এবং ফলন ভালো হবারও সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষি বিভাগের সরবরাহ করা উন্নত জাতের ভুট্টার বীজে চাষ করেছেন তারা। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে কৃষকেরা অনেকেই ভুট্টা চাষ করেছেন। গত বছরের মতো এবারও বাজার মূল্য ভালো পাওয়া যাবে বলেই প্রত্যাশা তাদের। অধিক লাভের আশায় এবার উপজেলায় আগাম জাতের ভুট্টা চাষ বেশি হয়েছে।
পীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাদেকুজ্জামান সরকার জানান, কৃষিবান্ধব সরকারের কৃষি প্রণোদনা ও স্থানীয় সংসদ সদস্য স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর পরামর্শ ও নির্দেশনায় কৃষকরা বাণিজ্যিক ভাবে ভুট্টা চাষে উৎসাহিত হচ্ছে। এছাড়া ভুট্টা থেকে মাছ ও মুরগির খাদ্য উৎপাদন এবং গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় এটি লাভজনক। এ মৌসুমে উপজেলার ১৮ হাজার ২০০ কৃষককে প্রণোদনার আওতায় ধান, গম, ভুট্টা, সরিষাসহ বিভিন্ন ফসলের বীজ ও বিনামূল্যে সার সরবরাহ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৫, ২০২৪ ৯:৫৬ পূর্বাহ্ন
কুমিল্লায় স্বল্পকালীন জাতের শসার বাম্পার ফলন
কৃষি বিভাগ

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বলারামপুর গ্রামের যুবক কাজী আনোয়ার হোসেন স্বল্পকালীন জাতের শসা চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন। তিন মাসেই শসা বিক্রি করে তিন লাখ টাকা মুনাফা করেছেন। আনোয়ারের মুখে এখন তৃপ্তির হাসি। এর আগেও তিনি হলুদ তরমুজ ও মরুর ফল সাম্মাম চাষ করে সফল হয়েছেন। মুদি দোকানি থেকে কৃষি উদ্যোক্তা হওয়া আনোয়ার কৃষিতেই জীবনে সচ্ছলতা এনেছেন।
আনোয়ার জানান, সেপ্টেম্বরের শুরুতে ১৮০ শতক জমিতে শসার বীজ রোপণ করেন। চারা মাটি ভেদ করে উঁকি দিলে মাচা তৈরি করেন। প্রতিদিনই বেড়ে ওঠে শসাগাছ। মাচা আঁকড়ে ধরে ফুল দেয় গাছগুলো। সেই ফুল থেকে শসা হয়। বুলবুলি, দোয়েল ও শালিক পাখি অনেক শসা নষ্ট করেছে বলে চোখে-মুখে বিরক্তি প্রকাশ করেন আনোয়ার। তিনি জানান, জমি তৈরি, বীজ সংগ্রহ ও সার বাবদ ব্যয় হয় এক লাখ টাকা। পোকামাকড় দমনে সেক্স ফেরোমন ও আলোর ফাঁদ তৈরি করেছেন। তাই শসাগুলো স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ। কৃষক আনোয়ার বলেন, ১৮০ শতক ক্ষেতে শসা চাষ করে ১০ হাজার কেজি বিক্রি করি। এখনও যে শসা আছে আরও ৫০০ থেকে এক হাজার কেজি শসা বিক্রি করা যাবে। সব মিলিয়ে আমার আয় হবে চার লাখ। খরচ এক লাখ বাদ দিলে তিন লাখ টাকা লাভ হবে।
নগরীর রাজগঞ্জ থেকে পাইকাররা যান আনোয়ারের বাড়িতে। ৪০ টাকা দরে তারা শসা কিনে নেন। বাজারে সেই শসা ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন পাইকাররা। রাজগঞ্জ বাজারের পাইকার আবদুল মোতালেব বলেন, আনোয়ারের স্বল্পকালীন জাতের শসা স্বাদে ভালো। গত এক মাসে অনেক বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। ক্রেতারা আমাদের কাছে দু-তিন মণ করে শসার অর্ডার করতেন। আমরা আনোয়ারকে জানাতাম। পরে গাড়িতে সেই শসা নিয়ে আসি। আমরা ৪০ টাকায় এনে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতাম।
কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আইউব মাহমুদ জানান, আনোয়ার হোসেন একজন কৃষি উদ্যোক্তা। নতুন কৃষি ফসল উৎপাদনে আনোয়ারের জুড়ি নেই। চলতি বছরের শুরুতে হলুদ তরমুজ, ব্ল্যাকব্যারি জাতের তরমুজ ও মরুর ফল সাম্মাম চাষ করে সফল হয়েছেন। তিনি জানান, আনোয়ার যখনই কোনো সমস্যায় পড়েন, তখনই কৃষি অফিস থেকে সহযোগিতা করা হয়। তার মতো কৃষকদের যেকোনো ধরনের পরামর্শ দিতে কৃষি অফিস সব সময়ই প্রস্তুত।

Continue reading “কুমিল্লায় স্বল্পকালীন জাতের শসার বাম্পার ফলন”

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop