৫:২৯ অপরাহ্ন

রবিবার, ১৭ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মার্চ ১৬, ২০২৩ ৬:১২ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত
ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের নবাগত ছাত্রছাত্রীদের ওরিয়েন্টেশন ২০২২।

আজ (১৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে এই ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান।
ওরিয়েন্টেশন কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. খান মোঃ সাইফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিন পরিষদের আহবায়ক প্রফেসর ড. মোঃ নজরুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ আসলাম আলী, প্রভোস্ট পরিষদের আহবায়ক প্রফেসর ড. মোঃ নূরুল হায়দার, প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ আজহারুল ইসলাম এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ মোঃ অলিউল্লাহ ও সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড মুহাম্মদ জিয়াউল হক ।

এছাড়াও আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বাকৃবি শাখার সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ মেহেদী হাসানসহ ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছত্রফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ এবং নবীন শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিগন।

এসময় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান বলেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সন্ত্রাস ও র‌্যাগিংমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। যেকোনো সংকট দূরীকরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধভাবে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। তিনি প্রতিটি সেক্টরকে সমন্বয় করে কৃষিকে স্মার্ট কৃষিতে রূপান্তর করতে নবাগত ছাত্রছাত্রীদের ভূমিকা থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়াও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের যোগ্য সম্মান দেয়ার জন্য নবাগতদের আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সকল অনুষদীয় ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, নবীন শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৩, ২০২৩ ৯:৩৬ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে মহান স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত
ক্যাম্পাস

দীদ দীনু, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় : স্বাধীনতা দিবস ২০২৩ উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির আয়োজনে ১৩ মার্চ ২০২৩ সোমবার শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে সকাল ১০ঃ৩০ ঘটিকায় আলোচনা সভা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গ এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের বীর মুক্তিযোদ্ধা শব্দসৈনিকবৃন্দের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাকৃবির কৃষিতত্ত্ব বিভাগের সহকারী প্রফেসর ড. ফাহমিদা আক্তার ও প্যারাসাইটোলজি বিভাগের লেকচারার ডাঃ নুসরাত নওরীন সোহানা এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ সোহ্রাব হোসাইন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিক, সাবেক প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও স্বাধীন বাংলা বেতার কর্মী পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষে সকলকে এক যোগে কাজ করার আহবান জানান।
জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি এবং ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. খান মোঃ সাইফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান । উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ মো অলিউল্লাহ, সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড মুহাম্মদ জিয়াউল হক, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বাকৃবি প্রতিষ্ঠানিক কমান্ড এর সভাপতি এফ এম আনোয়ার হোসেন বাবু , মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন ।
পরে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারবর্গের সদস্য এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আমন্ত্রিত অতিথিদের সম্মাননা ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয় । সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, মুক্তিযোদ্ধা ও পরিবারের সদস্য ও শিক্ষার্থীবৃন্দগণ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৯, ২০২৩ ৬:৫৫ অপরাহ্ন
পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে আমাদের সবাইকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে – বাকৃবি ভিসি
ক্যাম্পাস

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে আমাদের সবাইকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। মাছ অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার, ভালো আমিষ আমরা মাছ থেকে পাই। বর্তমান সরকারও এবিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন। নিরাপদ মাছ উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে তা বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ভূমিকা রাখবে। এতে দেশের অর্থনীতির ব্যাপক উন্নতি হবে,

“বাংলাদেশের মাছ ও মুরগির মূল্য শৃঙ্খলে খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধিকরণ” ” শীর্ষক প্রদর্শনী ও প্রচার কর্মসূচি বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুর ১টায় ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার রুপালি হ্যাচারিতে ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফোর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএআইডি) ফিড দ্য ফিউচার ইনোভেশন ল্যাব ফর ফুড সেফটি (এফএসআইএল) প্রকল্পের অর্থায়নে ওই অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড লুৎফুল হাসান।

প্রকল্পের প্রধান গবেষক (বাংলাদেশ অংশের) এবং বাকৃবির কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান জানান, প্রকল্পটি ২০২১ সাল থেকে সাড়ে তিন বছর মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস স্টেট ইউনিভার্সিটি এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একদল গবেষকের সমন্বয়ে পরিচালিত হচ্ছে। এ প্রকল্পের যুক্তরাষ্ট্র অংশের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রফেসর ড. মদন মোহন দে।


প্রকল্পের প্রধান গবেষক (বাংলাদেশ অংশের) এবং বাকৃবির কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান, ফিশারিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল মনসুর, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ড. মো. আনিসুর রহমান, ময়মনসিংহের মৎস্য বিভাগের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়াও মাইক্রোবায়োলজি এন্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. কে. এইচ. এম নাজমুল হোসাইন নাজির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফাসহ রূপালি হ্যাচারির আশেপাশের মাছচাষীরা অংশ নেন।

এসময় রুই মাছ চাষাবাদে খাদ্য প্রস্তুত থেকে শুরু করে পোনা অবমুক্তকরণ, সময়ে সময়ে মাছের বৃদ্ধি ও ওজন নিরক্ষণ, নিয়মিত পুকুর পরিদর্শন, মাছ আহরণ ও বিক্রয় ইত্যাদি ক্ষেত্রে যে সমস্ত কার্যাবলী সম্পাদন করা হয়েছে এবং ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনাসমূহ কি হবে, সে সম্পর্কে আলোকপাত করেন অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান। হ্যাচারী প্রাঙ্গণে পরবর্তীতে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অধ্যাপক ড. কে. এইচ. এম নাজমুল হোসাইন নাজির গবেষণাগারে করা রুইমাছের মাইক্রোবায়োলজিক্যাল ফলাফল তুলে ধরে বলেন, দেশের বাজারে মাছ নিয়ে ভুল ধারণা রয়েছে তা হলো বাজারের মাছ খারাপ বা মাছে দূষিত এবং ভারি ধাতুর উপস্থিতি বেশি। কিন্তু আমরা মুক্তাগাছা বাজারের মাছ এবং আমাদের প্রকল্পের রুপালি হ্যাচারিতে চাষকৃত মাছের ব্যাকটেরিয়া এবং ভারি ধাতুর (আর্সেনিক, লেড, ক্যাডমিয়াম, ক্রোমিয়াম) পরীক্ষা করি। ফলাফলে দেখা যায় সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে দুই জায়গার মাছেই ব্যাকটেরিয়া এবং ভারি ধাতুর পরিমাণ কম রয়েছে। তবে আমাদের প্রকল্পের হ্যাচারিতে চাষকৃত মাছে ভারি ধাতুর পরিমাণ বাজারের মাছের তুলনায় কম ছিলো। ময়মনসিংহের বাজারের মাছ নিরাপদ এটি এ গবেষণার ফলাফলে উঠে এসেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা বলেন,
মাছ চাষের সকল কার্যক্রমে নারীদের ভূমিকা রয়েছে কিন্তু তাদের কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ ক্ষমতা নাই। নিরাপদ মাছ চাষে আরও অবদান রাখতে নারীদের একটি বড় সুযোগ রয়েছে। তবে তাদের সে সুযোগ করে দিতে হবে। নারীদের মতামতের গুরুত্ব দিবে হবে।

মাছ চাষী সৌরভ দাস জানান, আমরা অনেক ক্ষেত্রে সঠিক ও মানসম্মত পোনা নির্বাচনে ভুল করি। বছর শেষে অনেক ক্ষেত্রে উৎপাদন কম হয়।


আমরা তো আসলে জানি না যে কোন খাবার মাছের জন্য ভালো। কেউ যদি বলে যে এই খাবার ভালো বা কারো যদি দেখি যে একটি খাবার ব্যবহার করে উৎপাদন বেড়েছে। তাহলে আমরা সেটি ব্যবহার করি। কিন্তু সেটি নিরাপদ কি না জানি না। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলে আমরা নিরাপদ মাছের খাদ্য এবং মাছ পাবো।

প্রকল্পের প্রধান গবেষক (বাংলাদেশ অংশের) এবং বাকৃবির কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান এ প্রতিবেদককে জানান, প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হচ্ছে, নিরাপদ খাদ্য, বিশেষ করে নিরাপদ মাছ ও মুরগি উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও ভোগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের জ্ঞানের পরিধি, তাদের মনোভাব ও বাস্তব জীবনে তা অনুশীলন করার মাত্রা কেমন তা জানা, সে অনুযায়ী বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার রুপরেখা প্রস্ততকরণ এবং তা বাস্তবায়নের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট সকলকে কার্যকরী নীতিমালা প্রণয়নে উৎসাহিত করা।
এছাড়াও নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় উৎপাদিত অধিকতর নিরাপদ মৎস খাদ্য প্রয়োগের মাধ্যমে পাঙ্গাস, তেলাপিয়া ও রুই মাছ উৎপাদন করা এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় তা কতটুকু নিরাপদ তা নিরুপণ করা। একই সাথে প্রচলিত খাদ্য ব্যবস্থাপনায় চাষকৃত মাছসমূহ থেকে নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনায় উৎপাদিত মাছ প্রাপ্তিতে ভোক্তাদের চাহিদা কেমন বা ভোক্তারা কত দাম প্রদান করতে ইচ্ছুক তা অকশন বা নিলাম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্ণয় করা এবং নীতি নির্ধারক মহলে তা প্রকাশ করে নিরাপদ মাছ চাষের প্রসারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের স্বার্থে পরামর্শ প্রদান করাও এ প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য ।
তিনি আরও জানান, এই উদ্দেশ্য সাধনের জন্য প্রকল্প সংশ্লিষ্ট গবেষকবৃন্দ অধিকতর নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনায় ময়মনসিংহের ফুলপুরে দুটি পুকুরে তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস এবং মুক্তাগাছার একটি পুকুরে রুই মাষ চাষ করেছেন। স্থানীয় খাদ্য প্রস্তুতকারী একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মৎস্য বিজ্ঞানীদের পরামর্শ অনুযায়ী খাদ্য প্রস্তুত করা হয়েছে যেখানে কোন এন্টিবায়োটিক, হরমোন, বৃদ্ধি প্রবর্ধক কিংবা কোন ফিড এডিটিভস ব্যবহার করা হয়নি।

প্রকল্পের বিভিন্ন কর্মকান্ড যা ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে তা প্রদর্শনী ও প্রচারের উদ্দেশ্যে এ প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়, যেখানে নীতি নির্ধারণী কার্যে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন এমন ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে কৃষক পর্যায়ে অধিকতর নিরাপদ মাছ চাষে উৎসাহ প্রদানের স্বার্থে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ২০ এর অধিক মৎস্য উদ্যোক্তা ও চাষীকে।
অনুষ্ঠানে মৎস্যচাষী,সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা ও গবেষকগণ অংশ নেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৫, ২০২৩ ১০:১৪ অপরাহ্ন
গবেষকদের সময়োপযোগি এবং প্রয়োজনের নিরিখে গবেষণা প্রস্তাবনা তৈরি করতে হবে – সিকৃবি ভিসি
ক্যাম্পাস

সিকৃবি প্রতিনিধি: সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডাঃ মোঃ জামাল উদ্দিন ভূঞা বলেছেন, ‘গবেষকদের সময়োপযোগি এবং প্রয়োজনের নিরিখে গবেষণা প্রস্তাবনা তৈরি করতে হবে। ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা কাজে লাগিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে গবেষকবৃন্দ গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ সিস্টেম (সাউরেস) এর উদ্যোগে ২ দিন ব্যাপী “ট্রেনিং কোর্স অন গ্র্যান্ট এপ্লিকেশন রাইটিং” শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অথিতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

৫ মার্চ রবিবার সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি) ভেটেরিনারি, এনিম্যাল ও বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের কনফারেন্স রুমে সিকৃবি রিসার্চ সিস্টেম (সাউরেস) এর পরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহম্মদ এর সভাপতিত্বে এবং সহযোগী পরিচালক ড. মুহাম্মদ মাহমুদুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় সেমিনারের উদ্ভোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডাঃ মোঃ জামাল উদ্দিন ভূঞা। ২ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এবং সহযোগী প্রফেসরসহ ১১৫ জন শিক্ষক প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২, ২০২৩ ৯:১২ অপরাহ্ন
শেকৃবিতে অগ্রণী ব্যাংকের ৯৬৮তম শাখার শুভ উদ্বোধন
কৃষি বিভাগ

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের ৯৬৮তম শাখার শুভ উদ্বোধন হয়েছে।

আজ (২ মার্চ) বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় শেকৃবির মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোঃ শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শাখার শুভ উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেকৃবির মাননীয় ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোঃ নজরুল ইসলাম, অগ্রণী ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব রেজিনা পারভীন, শেকৃবির রেজিস্ট্রার জনাব শেখ রেজাউল করিম। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অগ্রণী ব্যাংকের মহা-ব্যবস্থাপক জনাব হোসাইন ঈমান আকন্দ।

প্রধান অথিতির বক্তব্যে মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো: শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া বলেন, আজকের দিনটি আমাদের জন্য খুব আনন্দের একটি দিন। শেকৃবিতে অগ্রণী ব্যাংকের শাখা চালু হওয়ায় আমাদের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ব্যাংকের একটি পূর্নাঙ্গ শাখা খোলায় সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন শেকৃবি’র মাননীয় ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো: নজরুল ইসলাম, অগ্রণী ব্যাংকের উপ-ব্যবস্হাপনা পরিচালক জনাব রেজিনা পারভীন, শেকৃবি’র রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অগ্রণী ব্যাংকের এজিএম ও শেকৃবি শাখার প্রধান জনাব কাজী মোহাম্মদ এনামুল হক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অগ্রণী ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্হাপক ও ঢাকা উত্তর অঞ্চলের অঞ্চল প্রধান জনাব মো: হুমায়ুন কবির।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, পরিচালক, প্রক্টর, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, হল প্রভোস্ট, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তাবৃন্দ।

উউল্লেখ্য, অগ্রণী ব্যাংকের এ শাখা স্থাপনের ফলে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলেই সকল ধরণের ব্যাংকিং সুযোগ সুবিধাসহ গৃহনির্মাণের জন্য হোলসেল ঋন সুবিধা পাবেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ব্যাংকিং সুবিধাসহ সহজ শর্তে ল্যাপটপ/ডেস্কটপ ক্রয়ে ঋণ সুবিধা পাবেন। শিক্ষার্থীরা অগ্রণী ই-পে এর মাধ্যমে অনলাইনে সকল ধরনের ফি প্রদান করতে পারবে। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বেতন ভাতাদি সব অনলাইনে অটোমেশন পদ্ধতিতে সম্পন্ন করতে পারবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২, ২০২৩ ৪:৪৩ অপরাহ্ন
বাকৃবি’তে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব পেলেন মোঃ অলিউল্লাহ
ক্যাম্পাস

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু,বাকৃবিঃ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) এর রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সংস্থাপন শাখার এডিশনাল রেজিস্ট্রার জনাব মোঃ অলিউল্লাহ। তিনি গত ০১ মার্চ অপরাহ্নে এ দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।

গত রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রেজিস্ট্রার মোঃ ছাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জনাব মোঃ অলিউল্লাহকে রেজিস্ট্রার এর দায়িত্ব প্রদান করা হয়। তিনি বিদায়ী রেজিস্ট্রার মোঃ ছাইফুল ইসলাম এর স্থলাভিষিক্ত হলেন ।

মোঃ অলিউল্লাহ কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার শম্ভুপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মরহুম আলাউদ্দিন ও মাতা মরহুম শাহেরা খাতুন।

মোঃ অলিউল্লাহ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ থেকে ১৯৮৬ সালে স্নাতক, কৃষিতত্ত্ব বিভাগ থেকে ১৯৯০ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বাকৃবি শাখার সভাপতি, বাকসু ১৯৮৭-১৯৮৮ সালে ঈশা খা ছাত্র সংসদের নির্বাচিত ভিপি, বাকৃবি অফিসার পরিষদ এর সভাপতি, বাকৃবি অফিসার পরিষদ এর প্রধান নির্বাচন কমিশনার, বিভিন্ন প্রশাসনিক কমিটির সভাপতি, সদস্য-সচিবসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সফলতার সাথে পালন করেছেন। এছাড়াও অলিউল্লাহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন এবং বর্তমানেও আছেন ।

ব্যাক্তিগত জীবনে মোঃ অলিউল্লাহ বিবাহিত। তার স্ত্রী ডাঃ রুবীনা ইয়াসমিন ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ এর সহকারী অধ্যাপক এবং তিনি দুই কন্যা ও এক পুত্র এর পিতা ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১, ২০২৩ ৯:৪৭ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে বাংলা ভাষায় গল্প বলা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী
ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলা ভাষায় গল্প বলা প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে ওই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হল ছাত্রলীগ।

জানা যায়, অনুষ্ঠান কার্যক্রমটি বাংলা ভাষায় গল্প বলা, বিচারকদের রায় এবং পুরস্কার বিতরণ মাধ্যমে পরিচালিত হয়। প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন ছাত্রী ও ছাত্র হলের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

আসিফ আহমেদ শুভ ও মেহেদী আলিফ অয়নের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি ও ফলিত পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম। এছাড়াও বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেরিন ফিশারিজ সায়েন্স বিভাগের প্রভাষক উম্মে অহিদা রহমান, হাওর ও চর উন্নয়ন ইন্সটিটিউটের প্রভাষক মো. মাহবুবুল আলম, মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ডা. চন্দ্রশেখর চৌহান এবং কৃষি ব্যবসায় ও বিপণন বিভাগের প্রভাষক এস. এম. শাহরিয়ার। অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষকের দায়িত্ব পালন করেন বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন হলের শতাধিক শিক্ষার্থী।

এসময় প্রধান বিচারক বলেন, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের এই বাংলা ভাষার অর্জন। তাই ভাষার ব্যবহারে আমাদের সচেতন হতে হবে। নতুন শব্দের জন্য আমাদের অনেক বই পড়তে হবে। ভাষার মাসে আমাদের সকল ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হবে।

এ ধরনের আয়োজন আমাদের অনেক নতুন নতুন শব্দের সাথে পরিচিত করে। আমরা নিজে লিখতে না পারলেও পাঠক হিসেবে আমাদের বন্ধুদের উৎসাহ দিতে পারি। নিজ নিজ আঞ্চলিক ভাষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। তবে প্রমিত বাংলা ভাষাটাও সকলকে জানতে হবে। সাবলীল বাংলায় উপস্থাপন করা শিখতে হবে আমাদের সকলকে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৫, ২০২৩ ৬:৩৪ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে বিএসভিইআর এর আন্তর্জাতিক বার্ষিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন-২০২৩ শুরু।
ক্যাম্পাস

দীন মোহাম্মদ দীনু, বাকৃবি থেকে: বাংলাদেশ সোসাইটি ফর ভেটেরিনারি এডুকেশন এন্ড রিসার্চ (বিএসভিইআর) এর আন্তর্জাতিক বার্ষিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন-২০২৩ এর উদ্বোধন করেন বাকৃবির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান। “চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে পশুসম্পদের স্বাস্থ্য এবং উৎপাদনের টেকসই উন্নতি” শিরোনামে অনুষ্ঠানটি বাকৃবি শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনে ২৫ ফেব্রæয়ারি ২০২৩ সকাল ১০টায় শুরু হয়।
বিএসভিইআর এর সভাপতি প্রফেসর ড. ফরিদা ইয়াসমীন বারি এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাকৃবি ভাইস চ্যান্সেলর বলেন, বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। শস্য, প্রাণী সম্পদ, মৎস্য, যান্ত্রিকীকরণ, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং খাদ্য প্রযুক্তির সাথে মূল্য সংযোজনে বিপণন চ্যানেলগুলি আমাদের দেশের কৃষি উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। কৃষি উন্নয়নে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে। কৃষির উন্নয়নে বাকৃবি ও সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠান একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও তিনি খাদ্য রপ্তানির প্রতি গুরুত্ব দিয়ে বলেন, আমাদেরকে সব কৃষিজাত পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্য নিতে হবে। এটি আমদানি হ্রাস করবে এবং রপ্তানি বৃদ্ধি করবে। এতে বিদেশ নির্ভরতা কমে যাবে এবং বৈদেশিক মুদ্রা সংরক্ষণ ও বৃদ্ধি পাবে।

অনুষ্ঠানে বিএসভিইআর এর সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোঃ আরিফুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল আউয়াল, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ড. অমলেন্দ ঘোষ, কেজিএফ এর নিবার্হী পরিচালক ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস, একমি লিমিটেড এর এডিএমডি ড. আফতাব আলী, রেনেটা লিমিটেড এর পরিচালক ড. নাথুরাম সরকার।
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে সাবেক প্রফেসর ড. মোঃ আকতার হোসেনকে আজীবন সম্মাননা পুরষ্কার প্রদান করা হয় এবং সাবেক প্রফেসর ড. মোঃ ইকবাল হোসেনকে এ্যানুয়াল লেকচারার অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
এছড়াও সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজক কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ মকবুল হোসেন এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন আয়োজক কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. নাছরীন সুলতানা জুয়েনা।

এছাড়াও দুইদিন ব্যাপি অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে ভেটেরিনারি অনুষদের গবেষক, শিক্ষকসহ আমন্ত্রিত অতিথি উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৪, ২০২৩ ১২:০৪ পূর্বাহ্ন
শেকৃবির এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদের শিক্ষার্থীদের ডিন’স অ্যাওয়ার্ড প্রদান
ক্যাম্পাস

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদের শিক্ষার্থীদের ডিন’স অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ প্রদান করা হয়েছে। ২০০৭ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মোট ১১৫ জন শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন লেভেলের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে এ ডিন’স অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। এছাড়াও অসামান্য কৃতিত্বের জন্য ১৯ জন শিক্ষার্থীকে ডিসটিংকশন অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে ডিন’স অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের হাতে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া।

সামগ্রিক ফলাফল বিবেচনা এবং নীতিমালা অনুসরণে যারা একই লেভেলের উভয় সেমিস্টারে ৩.৮ বা তদুর্ধ্ব জিপিএ অর্জন করেছন তাদেরকে ডিন’স অ্যাওয়ার্ড এর জন্য মনোনীত করা হয়। ৩.৯ তদুর্ধ্ব সিজিপিএ প্রাপ্ত ১৯ জন শিক্ষার্থীকে ডিসটিংকশন অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত করা হয়।

অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো: আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক মো: জুলফিকার আহমেদ রেজা। প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন শেকৃবি’র মাননীয় ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোঃ নজরুল ইসলাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া বলেন, ‘যেকোনো ধরণের স্বীকৃতি মানুষকে উজ্জীবিত করে এবং সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার আগ্রহ তৈরি করে। তেমনি ডিন’স অ্যাওয়ার্ড শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যাওয়ার্ড। এই সম্মাননা শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনের একটি মাইলফলক। যারা এটাকে অবলম্বন করে সামনের পথ খুঁজে নিবে তারা নিশ্চয় ভালো করবে। তিনি আরও বলেন, এই সফলতা সেদিনই সার্থক হবে যেদিন তোমরা কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করে দেশ ও জাতিকে উপযুক্ত সেবা দিতে পারবে’।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২১, ২০২৩ ১০:১৭ অপরাহ্ন
পদোন্নতি জটিলতায় খুকৃবির ৩৭ জন শিক্ষক
ক্যাম্পাস

২০১৮ সালে উপাচার্য নিয়োগের মাধ্যমে যাত্রা শুরু হওয়া খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েক ধাপে যোগদান করেন ৭৩ জন শিক্ষক যারা প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞপ্তি ও সকল আইন অনুসরণ করেই নিয়োগ পান। গত ২৩ জানুয়ারী ২০২২ ইং তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের মানোন্নয়নের জন্য ইউজিসির তদন্ত কমিটির সুপারিশে বলা হয়, আইন, বিধি, সংবিধি ও প্রবিধি অনুসরণ করে বিষয় বিশেষজ্ঞসহ পৃথকভাবে প্রতিটি বাছাই কমিটি গঠন করে অবিলম্বে কমিশনকে অবহিত করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া যেতে পারে। কিন্তু, শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ৩ আগষ্ট ২০২২ ইং তারিখে বিষয় বিশেষজ্ঞ ছাড়া বাছাই কমিটি কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত ৭৩ জন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন, শিক্ষক সমিতি ও আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের নেতৃবৃন্দ কয়েক দফায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির সাথে আলোচনা করে এবং বিষয়টি সমাধান করার জন্য প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেয়া হয়। ইতিমধ্যে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশকিছু আইন ও বিধি পরিমার্জিত করে একাডেমিক কাউন্সিলে পাস করা হয়েছে যা আগামী সিন্ডিকেট সভায় উত্থাপিত হবে। উল্লেখ্য, নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা বাছাই কমিটি গঠন বা নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে কোনভাবেই অবহিত না এবং বিষয়টি একান্তই নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব।

শিক্ষকদের মধ্যে ৩৭ জন প্রভাষক গত ২২ নভেম্বর ২০২২ ইং তারিখে সকল শর্তপূরণ সাপেক্ষে পদোন্নতির আবেদনপত্র জমা দেন। অথচ, দীর্ঘ ৩ মাস অতিক্রম করলেও এখনো শিক্ষকদের পদোন্নতির ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন কর্তৃক কোন অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায়নি। উল্লেখ্য যে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনাটি কোনভাবেই শিক্ষকদের পদোন্নতির বাধা নয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষক জানায়, এই বিষয়ে ইউজিসিকে জানালে তারাও বলেন সকল শর্তপূরণ করলে শিক্ষকদের পদোন্নতি দিতে কোন বাধা নেই, কারন এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রমেরই অংশ। শিক্ষক সমিতি ও নীল দলের নেতৃবৃন্দসহ শিক্ষকরা একাধিকবার প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে পদোন্নতির পদক্ষেপ নিতে বলে। কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই বিষয়ে কোন প্রকার পদক্ষেপ নিচ্ছেনা এবং বিভিন্ন অজুহাতে শিক্ষকদের পদোন্নতিকে বিলম্বিত করা হচ্ছে। অথচ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য সকল কার্যক্রম নিয়মিতভাবে চলছে, এমনকি নতুন নিয়োগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে। এদিকে শিক্ষকরা সকল দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে যাচ্ছেন এবং এখন পর্যন্ত একদিনের জন্যও শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়নি। । এই শিক্ষকদের মধ্যে অনেকেই উচ্চ শিক্ষার লক্ষ্যে সম্মানজনক স্কলারশিপসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু পদোন্নতির বিলম্বের জন্য তারা উচ্চ শিক্ষায় যেতে পারছেন না যার কারনে বিভিন্ন স্কলারশিপে নিষেধাজ্ঞাও পেয়েছেন। এমতাবস্থায়, শিক্ষকগণ ও তাদের পরিবার মানসিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop