১:০৫ পূর্বাহ্ন

সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অগাস্ট ২৭, ২০২৪ ১:৩৭ অপরাহ্ন
প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে এক দিনের বেতন দেবেন বাকৃবির শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা
ক্যাম্পাস

বন্যার্তদের সহযোগিতায় প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে এক দিনের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ দেবেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ ড. মো. হেলাল উদ্দীন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ওই আদেশে বলা হয়েছে, দেশের চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় বন্যাপীড়িত এলাকার মানুষদেরকে সহযোগীতার লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের প্রশাসন বিভাগের প্রেরিত পত্রের প্রেক্ষিতে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আওতাধীন দপ্তর/সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা/ কর্মচারীগণের ০১ দিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ ‘প্রধান উপদেষ্টার ত্রান ও কল্যাণ তহবিল’-এ জমা প্রদান করার গৃহীত সিদ্ধান্তের আলোকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কার্মচারীগণের এক দিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ কর্তনপূর্বক ‘প্রধান উপদেষ্টার ত্রান ও কল্যাণ তহবিল’-এ জমা প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৬, ২০২৪ ২:০৮ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে জন্মাষ্টমী পালিত
ক্যাম্পাস

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বাকৃবিতে সোমবার (২৬ আগস্ট ২০২৪ ) শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি ও শুভ জন্মাষ্টমী পালন করেছে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠান উদযাপনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর এর দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড.খন্দকার মো:মোস্তাফিজুর রহমান ,ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক , শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার,সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড.আসাদুজ্জামান সরকার ,রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ ড. মো. হেলাল উদ্দীন , বাকৃবি নিরাপত্তা কাউন্সিল এর সভাপতি অধ্যাপক ড.মাসুম আহমেদ , প্রোক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলীম ,
কেন্দ্রীয় মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড.গোপাল দাস সনাতন সংঘের সভাপতি জয়ন্ত ভট্টাচার্য, অধ্যাপক ড. প্রিয় মোহন দাস,অধ্যাপক ড. সচ্চিদানন্দ দাস, অধ্যাপক ড. চয়ন কুমার সাহা, জনসংযোগ পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলামসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দসহ বাকৃবি ক্যাম্পাসের সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২২, ২০২৪ ৩:৩১ অপরাহ্ন
প্রফেসর ড. হুমায়ুন কবির বাকৃবির ট্রেজারার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নিযুক্ত
ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতী গ্র্যাজুয়েট ও কৃষি অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. হুমায়ুন কবিরকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম ট্রেজারার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) পালন করবেন। ২১ আগস্ট ২০২৪ ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয়ের (দায়িত্বপ্রাপ্ত) আদেশক্রমে বাকৃবির সংস্থাপন শাখার এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানা যায় ।

প্রফেসর ড. হুমায়ুন কবির ১৯৭৫ সালে জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সানন্দ বাড়ি গ্রামের
এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা বিশিষ্ট সমাজসেবক ও অবসরপ্রাপ্ত হাইস্কুল শিক্ষক মোহাম্মদ শামছুল হক ও মাতা মাহমুদা বেগম।

শিক্ষা জীবনে প্রফেসর ড. হুমায়ুন কবির ১৯৯০ সনে সানন্দ বাড়ি হাই স্কুল থেকে কৃতিত্বের সাথে এসএসসি এবং ১৯৯২ সালে সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ জামালপুর থেকে এইচএসসি ডিগ্রী লাভ করেন। পরে তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ থেকে ১৯৯৬ সালে কৃতিত্বের সাথে বি এস সি এজি ইকন প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন এবং ২০০০ সালে এমএস ইন কৃষি অর্থনীতি ডিগ্রী অর্জন করেন । পরে তিনি জার্মানীর জিসেন ইউনিভার্সিটি থেকে ২০১৩ সালে এগ্রিকালচারাল সায়েন্স বিষয়ে পিএইচ.ডি ডিগ্রী অর্জন করেন ।

প্রফেসর ড. হুমায়ুন কবির ২০০২ সনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি বিভাগে লেকচারার হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ২০০৫ সনে সহকারী প্রফেসর, ২০১১ সনে সহযোগী প্রফেসর এবং ২০১৫ সনে প্রফেসর পদে উন্নীত হন। প্রফেসর ড. হুমায়ুন কবির বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওর্য়াকশপ ও কনফারেন্সে যোগদান করে গবেষণালব্ধ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এবং বিভিন্ন টেকনিক্যাল সেশনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি গবেষণা ও শিক্ষা সংক্রান্ত কাজে পৃথিবীর বহু দেশ ভ্রমণ করেছেন।
কর্মজীবনে প্রফেসর ড. হুমায়ুন কবির বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি বিভাগীয় প্রধান, হাউজ টিউটর, ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। তিনি কৃষি অর্থনীতি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হিসেবে এফএও, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, জার্মানীর ডাড এ কাজ করেছেন।

তাঁর এই বর্ণাঢ্য শিক্ষকতা জীবনে ৩৯টি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক প্রকাশনা রয়েছে। ৪০জন এম.এস. শিক্ষার্থীর সুপারভাইজার, ২জন পিএইচ.ডি শিক্ষার্থীর সুপারভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
একজন নিবেদিত প্রাণ কৃষি অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. হুমায়ুন কবির বিএনপিপন্থী শিক্ষক সংগঠন সোনালী দলের প্রচার সম্পাদক ও কার্যকরী সদস্য সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। তিনি বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন ্এর মধ্যে তিনি সদস্য, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমিতি, সদস্য, বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতি সমিতি, সদস্য, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট, সদস্য, বাংলাদেশ কৃষিবিদ সমিতি ছাড়াও তিনি বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পেশাগত সংগঠনের কার্যক্রমের সাথে জড়িত রয়েছেন ।

২০২৪ সালের এই আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী এবং এক দফা স্বৈরাচার সরকার পতনের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বাকৃবি ক্যাম্পাসের পাশাপাশি ময়মনসিংহ সিটি এলাকায় মিছিলসহ সকল কর্মসূচীর সভা সংগঠিত করার জন্য বাকৃবি শিক্ষকদের সমন্বয়কারী হিসাবে ভূমিকা পালন করেছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২২, ২০২৪ ২:৫৬ অপরাহ্ন
বাকৃবির নতুন ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুল হক
ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতী গ্র্যাজুয়েট এবং বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুল হককে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। ২১ আগস্ট ২০২৪ ভাইস-চ্যান্সেলর (দায়িত্বপ্রাপ্ত) আদেশক্রমে বাকৃবির সংস্থাপন শাখার এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানা যায় ।

প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুল হক ১৫ নভেম্বর ১৯৬২ সনে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি ১৯৭৮ সনে মির্জাপুর এস.কে হাই স্কুল থেকে কৃতিত্বের সাথে এসএসসি এবং ১৯৮০ সনে মির্জাপুর কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। পরে তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ থেকে ১৯৮৪ সনে কৃতিত্বের সাথে বিএসসি এজি এবং একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৫ সনে এমএস ইন ক্রপ বোটানি ডিগ্রী লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি জাপানের নাগোয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৬ সনে মাস্টার অব এগ্রিকালচারাল সায়েন্স, ১৯৯৯ সনে ডক্টর অব এগ্রিকালচারাল সায়েন্স, ২০০২ থেকে ২০০৪ সন পর্যন্ত পোস্ট- ডক্টরাল রিসার্চ, ২০০৮ থেকে ২০০৯ সন পর্যন্ত ফেলোআপ রিসার্চ এবং ২০১১ সনে জেএসপিএস ব্রীজ ফেলো ডিগ্রী অর্জন করেন।

প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুল হক ১৯৮৮ সনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগে লেকচারার হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৯১ সনে সহকারী প্রফেসর, ২০০০ সনে সহযোগী প্রফেসর এবং ২০০৬ সনে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন। এছাড়াও ২০১৩ সনে তিনি জাপানের নাগোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োসায়েন্স অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি সেন্টারের ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

দীর্ঘ এ চাকরিজীবনে তিনি বিভিন্ন সময় বায়োটেকনোলজি ও ক্রপ বোটানী বিভাগের প্রধান, হল প্রভোস্ট, হাউস টিউটর, হাউস টিউটর জেনারেল, বাকৃবি কমিউনিটি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, সিকিউরিটি কাউন্সিলের সদস্য এর দায়িত্ব সফলতার সাথে পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি বর্তমানে বাঁধনের উপদেষ্টা এবং দরিদ্র মেধাবী ছাত্রীদের সাহায্যার্থে দাতব্য প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে পালন করছেন।

তাঁর এই বর্ণাঢ্য শিক্ষকতা জীবনে ১৫০টি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক প্রকাশনা রয়েছে। ১২০জন এম.এস. শিক্ষার্থীর সুপারভাইজার, ৮৮জন এম.এস. শিক্ষার্থীর কো- সুপারভাইজার, ১৫জন পিএইচ.ডি শিক্ষার্থীর সুপারভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ বিএনপি সমর্থিত সোনালী দলের সদস্য, কোষাধ্যক্ষ, সহ-সভাপতি ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২১, ২০২৪ ১০:১৪ অপরাহ্ন
কৃষিবিদ ড. মোঃ হেলাল উদ্দীন বাকৃবির রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) নিযুক্ত
ক্যাম্পাস

বাকৃবি প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতী গ্র্যাজুয়েট এবং সংস্থাপন শাখার এডিশনাল রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মোঃ হেলাল উদ্দীনকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে । তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করবেন। ২১ আগস্ট ২০২৪ ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয়ের (দায়িত্বপ্রাপ্ত) আদেশক্রমে বাকৃবির সংস্থাপন শাখার এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানা যায় ।

কৃষিবিদ ড. মোঃ হেলাল উদ্দীন ১৯৬৮ সালে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের ২৪ নং ওয়ার্ডে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা বিশিষ্ট সমাজসেবক মরহুম আব্দুল মান্নান ও মাতা মরহুমা আয়েশা খাতুন।
শিক্ষা জীবনে ড. মোঃ হেলাল উদ্দীন ১৯৮৪ সনে কৃষি বিশ^বিদ্যালয় হাই স্কুল থেকে কৃতিত্বের সাথে এসএসসি এবং ১৯৮৬ সালে নাসিরাবাদ কলেজ, ময়মনসিংহ থেকে এইচএসসি ডিগ্রী লাভ করেন। পরে তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ থেকে ১৯৯১ সালে কৃতিত্বের সাথে বিএসসি এজি এবং একই বিশ^বিদ্যালয় থেকে ২০০৩ সালে এমএস ইন এগ্রোনমী ডিগ্রী লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগ থেকে পিএইচ.ডি ডিগ্রী অর্জন করেন।

ড. মোঃ হেলাল উদ্দীন ২০০৩ সনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্থাপন শাখার পরিষদ বিভাগে সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ২০০৮ সনে ডেপুটি রেজিস্ট্রার এবং ২০১২ সনে এডিশনাল রেজিস্ট্রার পদে উন্নীত হন।

ছাত্র জীবনে ড. মোঃ হেলাল উদ্দীন, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী একজন সাহসী ও ত্যাগী রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। তিনি শিক্ষার্থীদের ন্যয়সঙ্গত দাবী আদায়ে সর্বদা সোচ্চার থাকতেন। ড. মোঃ হেলাল উদ্দীন তার ছাত্র রাজনীতির সময়কালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (বাকসু ১৯৯০-৯১) এ বিপুল ভোটে বার্ষিকী সম্পাদক নির্বাচিত হোন এবং সে সময় তিনি সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাহসী ছাত্রনেতা হিসাবে তিনি ১৯৯০ এর স্বৈরাচার এরশাদ রিরোধী আন্দোলনের অগ্র সৈনিক ছিলেন। এছাড়াও তিনি পেশাজীবী সংগঠন এ্যাব, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছাড়াও তাঁর কর্মময় জীবনে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক বিভিন্ন সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন । এখনও নিজ এলাকার বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কার্যক্রমে তাঁর সম্পৃক্ততা অব্যাহত রয়েছে যা সর্বমহলে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত। এছাড়া একজন পেশাজীবী নেতা হিসাবে তিনি দীর্ঘ ১৬ বছরের অগণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে সর্বদা সরব ছিলেন এবং ২০২৪ সালের এই আগস্ট মাসে বৈষম্য ও কোঠা বিরোধী এবং এক দফা স্বৈরাচার সরকার পতনের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরাসরি অংশ গ্রহণ করে তিনি একাধিকবার সরকারী পেটোয়া বাহিনী কতৃক লাঞ্চিত হয়েছেন এবং বিভিন্ন মামলা-হামলার হুমকীর সম্মুখিন হয়েছেন। ।

ব্যক্তিগত জীবনে ড. মোঃ হেলাল উদ্দীন বিবাহিত এবং দুই কন্যা সন্তানের জনক।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৮, ২০২৪ ১:২৩ অপরাহ্ন
সিকৃবি ভিসির পদত্যাগ দাবিতে উত্তপ্ত সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
ক্যাম্পাস

পতিত স্বৈরাচারের দোসর দুর্নীতিবাজ জামালের একমাত্র গুন দুর্নীতি – বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ডিন কাউন্সিলের আহবায়ক 

১৬ আগস্ট  শুক্রবার ছুটির দিনে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পলাতক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা অজ্ঞাত অবস্থান  থেকে  অফিস আদেশ জারির হিন চেষ্টার প্রতিবাদে শনিবার (১৭ আগস্ট) সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র , শিক্ষক , কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। বিক্ষোভ মিছিলে বক্তারা বলেন অনিয়ম , দুর্নীতি  ও স্বজনপ্রীতির বরপুত্র ডা. জামাল ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে পতিত স্বৈরাচারের পতনের পর ছাত্র – জনতার রোষানল থেকে  প্রান ভিক্ষা চেয়ে  ও পদত্যাগের  আশ্বাস দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে পালিয়ে যান  ।
তিনি ৬ – ১৫ আগস্ট   পর্যন্ত ডিন কাউন্সিলের আহবায়ককে দায়িত্ব  দিয়ে ছুটির দরখাস্ত  পাঠান। পরে বৈষম্যবিরোধী  ছাত্রআন্দোলন ও সাধারন ছাত্রদের দাবির  প্রেক্ষিতে  ১৪ আগস্ট ডিন কাউন্সিলের আহবায়ক প্রফেসর ড.  মো. ছিদ্দিকুল ইসলামের  সভাপতিত্বে ক্যাম্পাসের সার্বিক পরিস্থিতিতে ডিন কাউন্সিলের সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সকল প্রকার  রাজনৈতিক কর্মকান্ড নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত  গৃহীত হয়।  এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদ থেকে শিক্ষক কর্মকর্তারা পদত্যাগ করায়  উদ্ভূত পরিস্থিতিতে  বিদ্যমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা সাপেক্ষে  একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে সিদ্ধান্ত  হয়।
এই সকল সিদ্ধান্তকে পাশ কাটিয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর অগ্যাত স্থান থেকে ফ্যাসিস্ট  হাসিনা সরকারের আমলে  রুজুকৃত প্রফেসর ড. মো. ইউনুসের বিচারকার্য স্থগিতের দাবির প্রতিবাদ জানিয়ে  স্মারক লিপিতে স্বাক্ষরকরা সিকৃবির দুর্নীতিবাজ  ভিসি প্রফেসর ডা.  জামাল উদ্দিন  ভূঞা ১৮ আগস্ট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম যথারীতি চলবে মর্মে অফিস আদেশ জারীর প্রেক্ষিতে ক্যাম্পাস সংশ্লিষ্ট ছাত্র, শিক্ষক , কর্মকর্তা  ও কর্মচারীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে ।
যার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ অস্থিতিশীল করার পায়তারা করছেন  বলে উল্লেখ করেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংশ্লিষ্টরা।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ অফিস আদেশ প্রত্যাখ্যান করি।
কেননা দেশের এমন জরুরী পরিস্থিতিতে শুক্রবার ছুটির দিনে একজন পলাতক ও অবাঞ্ছিত উপাচার্য (যার অসীম দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে) কর্তৃক স্বাক্ষরিত (নীল রংয়ের কলম দ্বারা স্বাক্ষরিত, যা দাপ্তরিক নথি হিসেবে অগ্রহণযোগ্য) যে কোন বিজ্ঞপ্তি বাতিল ও অগ্রহণযোগ্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, অফিস আদেশটির অস্তিত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে নেই। পলাতক ও অবাঞ্ছিত উপাচার্য কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোন স্বার্থান্বেষী মহল অজ্ঞাত স্থান থেকে এ ধরণের বিব্রতকর অফিস আদেশ প্রকাশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যৌক্তিক দাবি আদায়ে বাঁধা প্রদান করতে চাচ্ছে।  ৬ আগস্ট থেকে  উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞার পদত্যাগ দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে গত ১৪ আগস্ট ডিন কাউন্সিলের জরুরী সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সবাই একমত হয়ে বিশ্ব বিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম অনতিবিলম্বে শুরু করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের অধিকাংশ পদ হতে (পরিচালক, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা, প্রক্টর, প্রভোস্ট, সহকারী প্রভোস্ট ইত্যাদি) শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ পদত্যাগ করায় প্রশাসনিক কার্যক্রম ও ছাত্রদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে বিধায় ১৮ আগস্ট হতে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব নয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১১, ২০২৪ ৭:৫০ অপরাহ্ন
প্রত্যয় স্কিমে অন্তর্ভুক্তি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে বাকৃবির কর্মকর্তারা
ক্যাম্পাস

দীন মোহাম্মদ দীনু, বাকৃবি থেকেঃ প্রত্যয় স্কিমে অন্তর্ভুক্তি বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কর্মকর্তারা ১১তম দিনেও পূর্ণ দিবস কর্মবিরতিসহ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। একই সঙ্গে অভিন্ন নীতিমালা বাতিলসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কেল সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনের দাবি জানান কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন করিডোরে আলাদা আলাদা ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বাকৃবি শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা।বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি আরিফ জাহাঙ্গীর এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার আমজাদ এর সঞ্চালনায় প্রশাসন ভবনের করিডোরে বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃস্থানীয় কর্মকর্তাগন বক্তব্য রাখেন।।
আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি, প্রশাসনিক ভবনে ইতোমধ্যেই তালা দিয়েছেন। এছাড়াও, দুই দিন যাবৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন শাখা বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে। ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা বিরাজ করছে।


এছাড়াও, প্রত্যয় স্কিম এবং অভিন্ন নীতিমালা বাতিলের দাবিতে আজ থেকে বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক পূর্ণদিবস কর্মবিরতি অবস্থান ও প্রতিবাদ সভা পালন করছে জানান আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কর্মচারীবৃন্দ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৮, ২০২৪ ৯:১৫ পূর্বাহ্ন
৭ম দিনের মতো সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতি
ক্যাম্পাস

সিকৃবি প্রতিনিধি: শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের আন্দোলনে অচলাবস্থা চলছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে ০৭ জুলাই রবিবার সপ্তম দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। তারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক,কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রত্যয় স্কিমে অন্তর্ভুক্তিকে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে তা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছেন।কৃষি অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সামনে অনুষ্ঠিত কর্মবিরতি পালন অনুষ্ঠানে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আল মামুনের সঞ্চালনায় এবং সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ছফি উল্লাহ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার পরিষদের উদ্যোগে প্রশাসনিক ভবনের সামনে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। অফিসার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. আফরাদুল ইসলামের সঞ্চালনায় এবং সভাপতি মোহাম্মদ ছায়াদ মিয়ার সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে অফিসার নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। অপর দিকে সিলেট কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের কর্মচারী পরিষদের উদ্যোগে সাধারণ সম্পাদক মোঃ আসাদুজ্জামান এর সঞ্চালনায় এবং সভাপতি মোঃ শরীফ হোসেন ভূইয়ার সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সম্মুখে কর্মবিরতি ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

‘প্রত্যয়’ স্কিম ঘোষণার পর থেকেই ক্ষুদ্ধ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। বাংলাদেশ বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের ডাকা আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন ৩৫টি পাবালিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এই স্কিম বাতিলের দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনের আহবানে একই দাবিতে প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন কর্মকর্তরা। অপর দিকে বাংলাদেশ আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের আহবানে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছে কর্মচারীরা। ফলে অচলাবস্থা বিরাজ করছে সিলেট কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ে। এতে সেশনজটের আশঙ্কা করছে শিক্ষার্থীরা। যদিও শিক্ষক কর্মকর্তারা বলছেন পরবর্তীতে বিশেষ ক্লাস-পরীক্ষা ও দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে তাদের ক্ষতি পুষিয়ে দেয়া হবে।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ছফি উল্লাহ ভূঁইয়া বলেন শিক্ষা হচ্ছে জাতির মেরুদন্ড। তাই মেরুদন্ড  কে শক্ত করতে হলে, টেকসই ও মজবুত করতে হলে, শিক্ষায় বিনিয়োগ করতে হবে। এবং যারা এই শিক্ষাদাতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ সব স্তরের শিক্ষকের অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে। একটি স্বতন্ত্র পে-স্কেল থাকলে জাতির মেধাবী সন্তানরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতায় আগ্রহী হয়ে উঠবে। সরকারি কর্মকর্তাদের আমরা বিশ্বাস করি না। ২০১৫ সালে যেভাবে তারা আমাদের রাস্তায় নামিয়েছে। সুপার গ্রেড আমাদের দেয়নি। সেসময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, একটি কমিটিও হয়েছে। তবে নয় বছরেও আমরা সুপার গ্রেড পাইনি। তখনও আশ্বাস দিয়েছে। সুতরাং আশ্বাস দিলে হবে না। প্রধানমন্ত্রী আমাদের নিয়ে বসতে হবে। আমাদের সুপার গ্রেড দিতেই হবে।

অফিসার পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ ছায়াদ মিয়া বলেন বিদ্যমান পেনশন স্কিমের অধীনে যারা একই সুবিধাদি পেতেন নতুন স্কিমে তাদের একই স্কিমের অন্তভর্‚ক্ত করা হলে সেটি নিয়ে বৈষম্যের কথা উঠতো না। এটি বৈষম্যমূলক ও দুরভিসন্ধিমূলক। এসময় তিনি অবিলম্বে প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবী জানান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১, ২০২৪ ১২:০৭ অপরাহ্ন
ইতালিতে সম্মান সূচক পুরষ্কার পেলেন সিকৃবির ড. ইব্রাহিম খলিল
ক্যাম্পাস

সিকৃবি প্রতিনিধি: সম্প্রতি ইতালির ইউনির্ভাসিটি অব উদিনথেকে পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্নকারী সিলেট কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের মৎস্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী প্রফেসর ড. সরকার মোঃ ইব্রাহিম খলিল ২৮তম ইতালীয় ন্যাশনাল ফিশ প্যাথলজিকাল কনফারেন্সে মর্যাদাপূর্ণ সেরা পিএইচডি থিসিস পুরস্কার পেয়েছেন। প্রতি বছর ইতালীয় ফিশ প্যাথলজিক্যাল সোসাইটি (ঝওচও) ইতালীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলি থেকে গত এক বছরে সম্পন্ন থিসিসের মধ্যে একটি পিএইচডি থিসিসকে সেরা থিসিস হিসেবে পুরষ্কার প্রদান করে। এটি ইতালিতে পিএইচডি সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার। পুরস্কারের অংশ হিসেবে একটি সনদপত্র, নগদ অর্থ পুরস্কার প্রদান করা হয় । ২৮ জুন ভলানিয়া সিটির ইউর্ভাসিটি অব ভলানিয়াতে অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে ড. ইব্রাহিম খলিলকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়। ড. ইব্রাহিম খলিলের পক্ষে পিএইচডি কো-সুপারভাইজার ড. ডোনাটেলা ভলপাত্তিপুরস্কার গ্রহন করেন। উল্লেখ্য, ২০০৬ সাল থেকে শুরু হওয়া এই পুরষ্কার এই প্রথম ইতালিয়ানদের বাহিরে কেউ অর্জন করল। এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন  দেশের পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্নকারী শিক্ষার্থীদের থিসিস মুল্যায়ন করে এই পুরষ্কার প্রদান করা হয়।

এই পুরষ্কার প্রাপ্তিতে ড. ইব্রাহিম খলিল তার সুপারভাইজার, সহ-তত্ত¡াবধায়ক, তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং সহকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৯, ২০২৪ ২:১৪ অপরাহ্ন
নব-প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান নিশ্চিত করার পরামর্শ ইউজিসি চেয়ারম্যানের
ক্যাম্পাস

নব-প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার মানোন্নয়নের পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর।

এজন্য শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর পূর্বে প্রয়োজনীয় শিক্ষা অবকাঠামো নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি তিনি আহ্বান জানান।

‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন: চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণ’ শীর্ষক নলেজ শেয়ারিং কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি ) কৃষি অনুষদের কনফারেন্স রুমে শনিবার সকালে (২৯ জুন ২০২৪) ইউজিসি এই কর্মশালা আয়োজন করে।

ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান – এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাকৃবি’র এপিএ ও ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. সাজেদা আক্তার ও কৃষি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. গোলাম রাব্বানি বক্তব্য রাখেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর আলমগীর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি ও শিক্ষার মান নিয়ে নানা সমালোচনা রয়েছে। উচ্চশিক্ষা সম্প্রসারণের মাধ্যমে শিক্ষা জনগণের দোড়গোড়ায় পৌঁছতে সরকার প্রতি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ গ্ৰহণ করা হয়েছে। উচ্চশিক্ষা সম্প্রসারণের সাথে সাথে শিক্ষার মানোন্নয়ন করা না গেলে শিক্ষার্থীরা বৈশ্বিক শ্রমবাজারের প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে পারে।

নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান বিষয়ে প্রফেসর আলমগীর আরও বলেন, জেলার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে প্রথমসারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো একই মানের শিক্ষা প্রদান ও গবেষণার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য, মানসম্মত শিক্ষক নিয়োগ, পর্যাপ্ত রিসোর্সের ব্যবস্থা করা এবং দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে শিক্ষায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন ছাড়া এই অভীষ্ট অর্জন করা কঠিন বলে তিনি মনে করেন। তিনি ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চশিক্ষার কৌশলগত লক্ষ্য বাস্তবায়নে শিক্ষাখাতে বাজেট বরাদ্দ মোট জিডিপির ০৬ শতাংশ করার পরামর্শ দেন।

অনুষ্ঠানে প্রফেসর সাজেদা আক্তার বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য লক্ষ্যগুলো সুনির্দিষ্ট ও সময়মতো করতে হবে। এছাড়া, আগামী অর্থবছরে এপিএতে বাকৃবির অবস্থান সুদৃঢ় করা এবং লক্ষ্য পূরণে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, নানা কারনে চাষযোগ্য জমি কমলেও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈপ্লবিক গবেষণার কারণে দেশ আজ খাদ্য ও বস্ত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ। উচ্চশিক্ষার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে দেশের কৃষি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়কে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।

উল্লেখ্য, এপিএ কর্মপরিকল্পনার আওতায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ইউজিসির জ্ঞান বিনিময় এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তম চর্চাসমূহ দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে বাস্তবায়নের জন্য এই কর্মশালা আয়োজন করা হয়।

ইউজিসি’র অতিরিক্ত পরিচালক ও এপিএ ফোকাল পয়েন্ট বিষ্ণু মল্লিক- এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ইউজিসি’র অতিরিক্ত পরিচালক মো. ফজলুর রহমান, জেসমিন পারভীন, শাহ মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, বাকৃবি’র বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক, রেজিস্ট্রারসহ ইউজিসি, বাকৃবি, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এপিএ’র ফোকাল পয়েন্ট ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop