৫:০০ অপরাহ্ন

সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অক্টোবর ১০, ২০২৩ ৯:৪১ পূর্বাহ্ন
মুরগির বাজারে কারসাজির জন্য কাজী ফার্ম ও সুগুনাকে সাড়ে ৮ কোটি টাকা জরিমানা
পোলট্রি

ডিম ও ব্রয়লার মুরগির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির অভিযোগে ২০২২ সালে কয়েকটি করপোরেট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন। এর মধ্যে সোমবার (৯ অক্টোবর) কাজী ফার্মস লিমিটেড ও সুগুনা ফুড অ্যান্ড ফিডস বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেডের মামলার রায় দিয়েছে কমিশন।

 

সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনে ব্রয়লার মুরগির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি সংক্রান্ত দুটি মামলার রায় দেওয়া হয়েছে। কাজী ফার্মস লিমিটেড মামলা নং-৪৫/২০২২ এবং সুগুনা ফুড অ্যান্ড ফিডস বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড মামলা নং-৪৬/২০২২। প্রতিযোগিতা আইন-২০১২ এর ধারা ১৫ লংঘনের অপরাধে কাজী ফার্মসকে ৫ কোটি এবং সাগুনাকে ৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা আগামী ১০ কার্য দিবসের মধ্যে কমিশনকে প্রদান করতে হবে। আদেশ পালনে ব্যর্থ হলে প্রতিদিনের জন্য আরও এক লাখ টাকা করে জরিমানা দিতে হবে।

এদিকে কমিশনের এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। সংগঠনটি মনে করে, তাদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে করপোরেট প্রতিষ্ঠানের কারসাজি রোধে প্রতিযোগিতা কমিশন সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ৯, ২০২৩ ১১:২১ পূর্বাহ্ন
মুরগির খামারে খাদ্য অপচয় কমিয়ে আনার ৬ উপায়
পোলট্রি

আমাদের দেশে এখন বেশির ভাগ খামারিরা মুরগির খামারের সাথে জড়িত। আর এই খামার করতে গিয়ে অনেক সমস্যায় পড়েন খামারিরা। এর মধ্যে বেশির ভাগ খামারিরা পড়েন খাদ্য সমস্যায়। নানা কারণে তাদের খামারের খাদ্য অপচয় হচ্ছে। খাদ্য অপচয় রোধ করতে পারলে খামারিরা হবে আরো লাভবান। এই জন্য জানতে হবে খামারের খাদ্য অপচয় কমানোর উপায়।

মুরগির খামারে খাদ্য অপচয় কমিয়ে আনার উপায়:

১। খামারে মুরগিতে কৃমির সংক্রমন বিশেষ করে সোনালি বা কক মুরগির গোলকৃমির কারণে খাবার নষ্ট করতে পারে। এজন্য সময়মতো কৃমিনাশক ওষুধ প্রদান করতে হবে।

২। খামারে খাবারের পাত্র পূর্ণ করে খাবার দিলে খাবার নষ্ট করে ফেলতে পারে। সেজন্য খাদ্যের পাত্র কিছুটা খালি রেখে খাদ্য প্রদান করতে হবে।

৩। মুরগির খামারে প্রয়োজনের তুলনায় কম সংখ্যক খাবার ও পানির পাত্র দিলে মুরগি অনেক সময় খাদ্য নষ্ট করে ফেলে। তাই খামারে মুরগির সংখ্যা অনুযায়ী খাদ্য ও পানির পাত্র দিতে হবে।

৪। খামারে মুরগির খাদ্য হঠাৎ পরিবর্তন করলে মুরগি খাদ্য নষ্ট করতে পারে। সেজন্য খাদ্য পরিবর্তন করলে অল্প অল্প করে খাদ্য পরিবর্তন করতে হবে।

৫। মুরগির খামারে জায়গার তুলনায় বেশী পরিমাণ খাদ্য প্রদান করা হলে মুরগি খাদ্য নষ্ট করে থাকে। এজন্য খামারে জায়গা অনুপাতে খাদ্য প্রদান করতে হবে।

৬। মুরগির খামারে খাবারের পাত্র সঠিক উচ্চতায় স্থাপন না করলে মুরগি খাবার নষ্ট করে ফেলতে পারে। খাদ্যের পাত্র খুব বেশি উচ্চতায় রাখা যাবে না।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ৯, ২০২৩ ১১:২০ পূর্বাহ্ন
ব্রয়লারকে টিকা দেওয়ার আগে যা করবেন
পোলট্রি

আমাদের দেশে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে বর্তমানে অনেকেই মুরগি পালন করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। এসব খামারিদের মধ্যে অনেকেই ব্রয়লার মুরগি পালন করছেন। তবে, খামারে ব্রয়লার মুরগি পালনে টিকা দেওয়ার আগের সতর্কতাগুলো খামারিদের সঠিকভাবে জেনে রাখতে হবে।

ব্রয়লার মুরগি পালনে টিকা দেওয়ার আগের সতর্কতা:
ব্রয়লার মুরগিকে টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন অসুস্থ মুরগিকে টিকা প্রদান করা যাবে না। এতে টিকার কার্যকারিতা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে। এমনকি মুরগি আরও বেশি অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। টিকা দেওয়ার জন্য আবহাওয়া যখন ঠান্ডা সেই সময়ে টিকা দিতে হবে। এতে করে টিকা কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে ও মুরগির রোগের আশঙ্কাও অনেকাংশেই কমে যায়।

টিকা দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত উপকরণসমূহ ফুটন্ত পানিতে সিদ্ধ করে নিতে হবে। এতে টিকার মাধ্যমে ব্রয়লার মুরগির শরীরে কোন জীবাণু প্রবেশ করতে পারবে না। ব্রয়লার মুরগিকে টিকা দেওয়ার সময় যত্ন সহকারে ধরতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যাতে কোনভাবেই মুরগি আঘাত না পায়। এতেও টিকার কার্যকারিতা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ব্রয়লার মুরগিকে টিকা দেওয়ার আগেই খেয়াল করতে হবে কোন ধকল আছে কিনা। ব্রয়লার মুরগিকে যে কোন ধরনের ধকলমুক্ত অবস্থায় টিকা প্রয়োগ করতে হবে। তা না হলে টিকার কার্যকারিতা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।টিকা জীবাণুমুক্তকরণের জন্য রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা যাবে না। এতে প্রদান করা টিকার কার্যকারিতা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ৯, ২০২৩ ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন
হাঁসের ভ্যাকসিন শিডিউল
পোলট্রি

অল্প পুঁজি ও কম রোগাক্রান্ত হওয়ার কারনে দিন দিন আমাদের দেশে হাঁস পালন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। হাঁসের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশ ভাল হলেও বেশ কিছু ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগে হাঁস মারা যেতে পারে। তাই হাঁস পালনের জন্য টিকা প্রদান বা হাঁসের ভ্যাকসিন সিডিউল খুব জরুরী।

হাঁস বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তবে আমাদের দেশে ডাক প্লেগ ও ডাক কলেরার কারনে হাঁসের মৃত্যুর রেকর্ড সবথেকে বেশী। তাই মূলত এই দুটি রোগের টিকা প্রদানের জন্য সরকারি ভাবে বলা হয়ে থাকে।

হাঁসের টিকা প্রদান কর্মসূচি নিচে দেওয়া হলোঃ

বয়স (দিন) টিকার নাম রোগের নাম টিকার ডোজ টিকা প্রাদানের স্থান
২০-২২ ডাক প্লেগ ডাক প্লেগ ১ মিলি বুকের চামড়ার নীচে
৪০-৪২ ডাক প্লেগ ডাক প্লেগ ১ মিলি বুকের চামড়ার নীচে
৭০ ডাক কলেরা ডাক কলেরা ১ মিলি বুকের চামড়ার নীচে
৯০ ডাক কলেরা ডাক কলেরা ১ মিলি বুকের চামড়ার নীচে
১০০ ডাক প্লেগ ডাক প্লেগ ১ মিলি বুকের বা রানের মাংসে

*এরপর প্রতি চার মাস অন্তর ডাক প্লেগ টিকা এবং ৬ মাস অন্তর ডাক কলেরা টিকা প্রদান করাতে হবে।

*উল্ল্যেখ্য বার্ড ফ্লুর প্রভাব বেশী থাকলে চার মাসে বার্ড ফ্লু টিকা দিতে হবে।

হাঁসের ভ্যাকসিন দেওয়ার নিয়ম:

ডাক প্লেগ ১০০ ডোজের ভ্যাকসিন ১০০ মিলি পরিস্কার পানির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে ভ্যাকসিন গান অথবা ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রইয়োগ করা হয়। ডাক কলেরার ভ্যাকসিন লাইভ হলে একই নিয়মে দিতে হবে। কিল্ড হলে সরাসরি প্রয়োগ করা যায়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ৭, ২০২৩ ১০:২৬ পূর্বাহ্ন
আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে মুরগির রোগ প্রতিরোধে যা করবেন
পোলট্রি

আমাদের দেশের ডিম ও মাংসের চাহিদা পূরণ করার জন্য এখন বিপুল সংখ্যক পোলট্রি তথা মুরগির খামার গড়ে উঠেছে। আবহাওয়া বা ঋতু পরিবর্তনজনিত কারণে খামারে অনেক সময় প্রভাব পড়ে থাকে। আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে মুরগির রোগ প্রতিরোধে করণীয় কি কি রয়েছে সেগুলো খামারিদের ভালোভাবে জেনে রাখা দরকার।

আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে মুরগির রোগ প্রতিরোধে করণীয়:
আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে খামারে বাচ্চা আসার সময় বক্স মর্টালিটি হয়। আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে ব্রুডিং অব্যবস্থাপনাজনিত কারণে মুরগির বাচ্চা মারা যায়।

লেয়ার মুরগির খামারের ক্ষেত্রে প্রোডাকশন কিছুটা কমে যায়। শীতকালের মত কম জায়গায় বেশি মুরগি পালনের ফলে মুরগির ওজন কম আসে।

খামারে পর্দা ব্যবস্থাপনার কারণে গ্যাস জমে এবং মুরগির চোখে এ্যামোনিয়া বার্ন হয়, এসসাইটিস দেখা দেয়। খামারে হঠাৎ মুরগির মড়ক দেখা দিতে পারে এবং খামারিদের লোকসান হয়ে থাকে।

আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত সমস্যায় করণীয়:
আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত সমস্যায় প্রথম এবং সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে বায়োসিকিউরিটিতে।খামারের মুরগি অসুস্থ হলে সব ঔষধ বন্ধ করে পরিস্কার পানি দেয়া এবং দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা প্রদান করতে হবে।

সঠিক ভাবে এলাকা উপযোগী ভ্যাকসিনেশন শিডিউল মেনে চলা।ব্রুডিংয়ের সময় মুরগীর অবস্থা বুঝে তাপ দেয়া। যেমন বাচ্চা ব্রুডারের নিচে গাদাগাদি করলে তাপ বাড়িয়ে দেয়া।

হঠাৎ অনেক বেশী মড়ক দেখা দিলে অতিদ্রুত পার্শ্ববর্তী ল্যাবে পরীক্ষা করানো।মুরগির খামারে সবসময় জীবাণুমুক্ত পানি সরবরাহ করতে হবে। রাতের বেলা কোন মতেই যেন পানি গ্যাপ না পড়ে তার দিকে খেয়াল রাখা। যদি গ্যাপ পড়ে যায় এবং পাত্র খালি হয়ে যায় তা হলে পরের বার পানি দেয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই পানির পাত্র বাড়িয়ে দিতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ৪, ২০২৩ ৬:২১ অপরাহ্ন
মুরগির ডিম খাওয়া সমস্যার কারণ ও প্রতিকার
পোলট্রি

ডিম পাড়া মুরগির আরও একটি মারাত্মক বদঅভ্যাস হলো নিজের ডিম নিজে খাওয়া। এটা প্রায়ই লেয়ার খামারে দেখা যায়। এর ফলে খামারি তার লাভের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারে না।

ডিম খাওয়ার কারণঃ

  • দীর্ঘক্ষণ ডিম খাঁচায় রাখা।
  • যদি কোনো কারণে একবার ডিম ভেঙে যায় এবং সেই ডিম যদি মুরগি খেয়ে স্বাদ পায় তাহলে পরে সে নিজের ভালো ডিম খেতে অভ্যস্ত হয়ে যায়।
  • ডিমের খোলস যদি খুব পাতলা হয়। রক্ত বা ভেজা ভেজা অবস্থার উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।
  • মুরগির খাবারে যদি প্রোটিনের অভাব হয়।

সমাধানঃ

  • মুরগিকে পরিমিত সব উপাদান দেয়া প্রয়োজন,
  • যত দ্রুত সম্ভব মুরগির ডিম অন্য জায়গায় সরিয়ে নিতে হবে,
  • মুরগির ঠোঁট কেটে দিতে হবে।
  • মুরগির খাবারে অতিরিক্ত ক্যালসিয়ামের সরবরাহ বাড়াতে হবে। ক্যালসিয়াম ডিমের সেল গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
  • মুরগির ডিম পাড়ার জায়গা তুলনামূলক ঢালু করে রাখতে হবে। এতে ডিম পাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা নিচে চলে আসে।
  • ডিম পাড়া স্থানে তুলনামূলক অন্ধকার হলেও এ অভ্যাসের প্রকোপ কমে।
  • ডিম সংগ্রহের বিরতি কমাতে হবে।
শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৩ ১:৩৫ অপরাহ্ন
যে প্রক্রিয়ায় মুরগির বদ অভ্যাস দূর করবেন
পোলট্রি

দেশে মাংস ও ডিমের চাহিদা পূরণে বর্তমানে ব্যাপকহারে মুরগি পালন করা হচ্ছে। খামারে মুরগি পালনের সময়ে কিছু বদঅভ্যাস লক্ষ্য করা যায়। মুরগির বদঅভ্যাস রোধে প্রয়োজনীয় কিছু ব্যবস্থাপনা খামারিদের জেনে রাখা দরকার। 

মুরগির বদঅভ্যাস রোধে প্রয়োজনীয় কিছু ব্যবস্থাপনা:

খামারের তাপের প্রভাব:
মুরগির খামারে অতিরিক্ত গরম দেখা দিলে মুরগির মধ্যে বদঅভ্যাস মারাত্মক আকারে লক্ষ্য করা যায়। অতিরিক্ত তাপের ফলে মুরগির বিপাকক্রিয়া ভালো হয় না। যার ফলে মুরগির খাদ্যের প্রতি অনীহা দেখা যায়। গরমে একে অপরের সঙ্গে হিংসাত্মক ভাব প্রদর্শন করে। যার ফলে এক মুরগি অন্য মুরগিকে ঠোকর মারতে থাকে।

খাদ্য ও খাদ্যের পাত্র:
মুরগির জন্য সর্বদা পানির সরবরাহ রাখতে হয়। মুরগি তার প্রয়োজন মতো পানি পান করতে থাকে। পানিপাত্রের অভাব হলে মুরগির মধ্যে হিংসাত্মক ভাব প্রকাশ পায়। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পানি ও খাদ্য গ্রহণ করে। আর এসব অবস্থার জন্য মুরগির মধ্যে ক্যানাবলিজমের প্রভাব বেড়ে যায়।

মুরগির ঘনত্ব:
মুরগিকে তার প্রয়োজন মতো জায়গা দিতে হয়। সেক্ষত্রে যদি তার জায়গার ঘাটতি হয় সেক্ষেত্রে এ বদঅভ্যাস শুরু হয়ে যেতে পারে। এজন্য খামারে বাচ্চার জন্য নির্ধারিত জায়গা রাখা জরুরী।

আলোর তীব্রতা:
প্রয়োজনীয় আলো মুরগির জন্য খুবই জরুরী। এর চেয়ে মাত্রা বেশি হলে তা ক্ষতিতে রূপ নিতে থাকে। এজন্য খামারের প্রয়োজন অনুযায়ী আলোর ব্যবস্থা করতে হবে।

চিকিৎসার অভাব:
মুরগি কোনো জীবাণু বা কোনোভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হলে চিকিৎসার প্রয়োজন। অন্তত তাকে আলাদাকরণ খুব প্রয়োজন। আর এ চিকিৎসার যদি কোনো ঘাটতি হয় এবং যদি দেরি হয় তাহলে অন্য মুরগি সেই আক্রান্ত মুরগিকে নতুন করে ঠোকরানো শুরু করে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩ ৯:৪৮ পূর্বাহ্ন
ব্রয়লারের বাচ্চা পরিবহণে খামারিদের সতর্কতা
পোলট্রি

ব্রয়লার খামার করে লাভবান হয়েছেন যেমন অনেক খামারী তেমনি মাংসের চাহিদাও পূরণ হয়েছে সবার। তবে এতে লাভ পেতে হলে শুরু থেকেই করতে হবে যত্ন। আর এই যত্নে শুরুটা হতে হবে ব্রয়লার খামার বাচ্চা পরিবহণ থেকে। কারণ ব্রয়লারের বাচ্চা পরিবহণের সময় কোন সমস্যা হলে মুরগির জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে।

ব্রয়লার খামারে বাচ্চা পরিবহণ করার সময় সতর্কতা:
ব্রয়লারের বাচ্চা পরিবহণ করার সময় এমনভাবে বাচ্চাগুলো পরিবহণ করতে হবে যাতে সূর্যের আলো সরাসরি বাচ্চার শরীরে এসে না পড়ে। এছাড়াও বৃষ্টির পানিতে বাচ্চাগুলো যাতে না ভিজে যায় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। গরমকালে ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা পরিবহণ করতে হলে সকালের দিকে বাচ্চা পরিবহণ করতে হবে। এ সময় কোনভাবেই দুপুর কিংবা প্রচন্ড রোদে বাচ্চা পরিবহণ করা যাবে না। এতে বাচ্চা ক্ষতি হতে পারে। আর শীতের দিনে বাচ্চা দুপুর বা রোদের সময় পরিবহণ করা ভালো।

ব্রয়লার খামারের জন্য বাচ্চা পরিবহণ করার সময় লক্ষ্য করতে হবে পরিবহণ বাক্স জীবাণুমুক্ত আছে কিনা। যদি না থাকে তাহলে বাক্সগুলো ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করে তার পর বাচ্চা পরিবহণ করতে হবে। সম্ভব হলে বাচ্চা পরিবহণের যানবাহন জীবাণুনাশক নিয়ে স্প্রে করে দিতে হবে। বাচ্চা পরিবহণের সময় যদি বেশি তাপ কিংবা বেশি ঠাণ্ডা থাকে তাহলে তাপ ও ঠাণ্ডা থেকে বাচ্চাগুলোকে রক্ষা করেই তারপর বাচ্চাগুলো পরিবহণ করতে হবে।

ব্রয়লারের বাচ্চা পরিবহণ করার সময় সকল প্রকার ধকল থেকে বাচ্চাগুলোকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩ ৪:১৯ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে গবেষণা: এন্টিবায়োটিক ছাড়াই নিরাপদ ব্রয়লার উৎপাদন
পোলট্রি

দীন মোহাম্মদ দীনু, বাকৃবি: বাংলাদেশে প্রাণী সম্পদ খাতের উপখাত হিসাবে পোল্ট্রি খাত বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলছে। ৯০ এর দশকে দেশে বাণিজ্যিক ভাবে দেশে পোল্ট্রি শিল্প ও ব্রয়লার উৎপাদন শুরু হয়। তবে এ শিল্পে অদক্ষ, অল্পশিক্ষিত এবং অধিক মুনাফালোভী খামারারিদের এন্টিবায়োটিক্স অপব্যবহারের কারণে গত কয়েক বছর ধরে জনমনে ব্রয়লার পণ্য ভীতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এবার সে জায়গায় এন্টিবায়োটিক্স মুক্ত ও এন্টিবায়োটিক্সেরে বিকল্প ব্রয়লার উৎপাদনে সফলতার পথে হাঁটছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম এবং সহযোগী গবেষক মো. আবু রায়হান পারভেজ। র্দীঘ ৫ বছর ধরে এন্টিবায়োটিকস এর বিকল্প ও মুক্ত ব্রয়লার উৎপাদনে এ গবেষণা কার্যক্রম তারা চালিয়ে যাচ্ছেন।

জানা গেছে, ব্রয়লারের বিভিন্ন পণ্য শিশু এবং বয়স্কদের কাছে জনপ্রিয় এবং সুস্বাদু খাদ্য হওয়ায় বাংলাদেশের সচেতন জনগোষ্ঠীর দাবি এন্টিবায়োটিক্সস মুক্ত এবং এন্টিবায়োটিক্স বিকল্প ব্রয়লার উৎপাদন। তারই ধারাবাহিকতায় ড. মো. শফিকুল ইসলামের নের্তৃত্বে এই গবেষক দল এন্টিবায়োটিক্স মুক্ত এবং এন্টিবায়োটিক্স বিকল্প ব্রয়লার উৎপাদনে নিরলসভাবে গবেষণা করে যাচ্ছেন। গবেষকদল গতানুগতিক ধারাবাহিকতার উর্ধ্বে থেকে পরীক্ষাগারে সক্সলেট পদ্ধতিতে প্লান্ট নির্যাস থেকে সম্পূর্র্ণ নিরাপদ ব্রয়লার উৎপাদনে সফলতা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। গবেষক দল মনে করেন অধিকতর গবেষণার মাধ্যমে নিরাপদ পোল্ট্রি উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে দাঁড়াবে।

গবেষণার বিষয়ে জানতে চাইলে ড. মো. শফিকুল ইসলাম জানান, মানুষ এবং প্রাণীর রোগ বালাই নিয়ন্ত্রণে এবং চিকিৎসায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে ঔষধ এবং এন্টিবায়োটিক্স অত্যাবশ্যকীয়। তবে অবৈজ্ঞানিক চিকিৎসা প্রদানের ফলে রোগ জীবাণু ও এন্টিবায়োটিকের অবশিষ্টাংশ মুরগির শরীরে থেকে যায়, যা খাদ্যের মাধ্যমে মানুষের শরীরে আসে। অপ্রয়োজনীয় এন্টিবায়োটিক ব্যবহার এড়াতে প্রাণী চিকিৎসকের পরামর্শে সঠিক এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা দরকার। সঠিক মাত্রা ও প্রত্যাহার সময়সীমা মেনে চললে মুরগির মাংসে এন্টিবায়োটিক এবং রেসিডিও সহনশীল মাত্রায় কমে আসে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিমুক্ত। সে বিষয়গুলো মাথায় রেখে আমি ব্রয়লারে বিভিন্ন ধরণের প্লান্টের নির্যাস, হারবাল নির্যাস ব্যবহার করেছি। এতে দেখা যায়, এন্টিবায়োটিক্সের চেয়েও সেগুলো ভালো কাজ করেছে। দেশে প্রচলিত ব্যবহৃত এন্টোবায়োটিক্স ও গ্রোথ প্রমোটারের চেয়েও আমাদের পরীক্ষাগারে তৈরি প্লান্টের নির্যাস কিংবা হারবাল নির্যাস সেসবের থেকে ভালো কাজ করেছে। ব্রংলারের ওজন তুলনামূলক বেশি পাওয়া গেছে, রোগবালাই ও মৃত্যুর হার অনেক কম। আমি মনে করি এন্টিবায়োটিক্সস মুক্ত পোলট্রি শিল্প এবং এন্টিবায়োটিক্সস বিকল্প পোলট্রি উৎপাদনে এই গবেষণাটি দেশে একটি নতুন বিপ্লবের সূচনা করবে। তবে এটি নিয়ে আরো গবেষণার প্রয়োজন আছে, সেটি আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। সেক্ষেত্রে অধিকতর গবেষণার জন্য সরকারি, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য, গবেষক দলের প্রধান ড. শফিক দীর্ঘজীবন জাপানে গবেষনারত ছিলেন। উচ্চ শিক্ষাজীবনে তিনি ‘দি ইউনিভার্সিটি অফ টোকিও’ থেকে পিএইচডি, পোষ্টডক্টরাল, স্পেশাল আমন্ত্রিত গবেষক এবং ভিজিটিং অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিদেশে অবস্থানকালে নিরাপদ খাদ্য এবং সুস্বাস্থ্য সম্পর্কে কৌতুহলী ড. শফিক পিএচিডি গবেষনায় আইবিডি (ইনফ্লামেটরি বয়েল ডিজিজ) এর উপর কাজ করেছেন । ২০১৭ সালে টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেশে ফিরে পোলট্রি এন্টিবায়োটইক্স রেসিডিউ নিয়ে গবেষণা শুরু করেন এবং অদ্যাবধি সে গবেষণা চলমান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩ ৮:৫৪ পূর্বাহ্ন
ব্রয়লারের বাচ্চা পরিবহণে খামারিদের সতর্কতা
পোলট্রি

ব্রয়লার খামার করে লাভবান হয়েছেন যেমন অনেক খামারী তেমনি মাংসের চাহিদাও পূরণ হয়েছে সবার। তবে এতে লাভ পেতে হলে শুরু থেকেই করতে হবে যত্ন। আর এই যত্নে শুরুটা হতে হবে ব্রয়লার খামার বাচ্চা পরিবহণ থেকে। কারণ ব্রয়লারের বাচ্চা পরিবহণের সময় কোন সমস্যা হলে মুরগির জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে।

ব্রয়লার খামারে বাচ্চা পরিবহণ করার সময় সতর্কতা:
ব্রয়লারের বাচ্চা পরিবহণ করার সময় এমনভাবে বাচ্চাগুলো পরিবহণ করতে হবে যাতে সূর্যের আলো সরাসরি বাচ্চার শরীরে এসে না পড়ে। এছাড়াও বৃষ্টির পানিতে বাচ্চাগুলো যাতে না ভিজে যায় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। গরমকালে ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা পরিবহণ করতে হলে সকালের দিকে বাচ্চা পরিবহণ করতে হবে। এ সময় কোনভাবেই দুপুর কিংবা প্রচন্ড রোদে বাচ্চা পরিবহণ করা যাবে না। এতে বাচ্চা ক্ষতি হতে পারে। আর শীতের দিনে বাচ্চা দুপুর বা রোদের সময় পরিবহণ করা ভালো।

ব্রয়লার খামারের জন্য বাচ্চা পরিবহণ করার সময় লক্ষ্য করতে হবে পরিবহণ বাক্স জীবাণুমুক্ত আছে কিনা। যদি না থাকে তাহলে বাক্সগুলো ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করে তার পর বাচ্চা পরিবহণ করতে হবে। সম্ভব হলে বাচ্চা পরিবহণের যানবাহন জীবাণুনাশক নিয়ে স্প্রে করে দিতে হবে। বাচ্চা পরিবহণের সময় যদি বেশি তাপ কিংবা বেশি ঠাণ্ডা থাকে তাহলে তাপ ও ঠাণ্ডা থেকে বাচ্চাগুলোকে রক্ষা করেই তারপর বাচ্চাগুলো পরিবহণ করতে হবে।

ব্রয়লারের বাচ্চা পরিবহণ করার সময় সকল প্রকার ধকল থেকে বাচ্চাগুলোকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এগ্রিভিউ/এসএমএ

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop