৯:২৬ পূর্বাহ্ন

শনিবার, ১৬ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৫, ২০২১ ১২:৪৫ অপরাহ্ন
ভোলায় বিলুপ্তির পথে খেজুর গাছ
প্রাণ ও প্রকৃতি

একসময় ভোলার গ্রামে গ্রামে খেজুর গাছ দেখা গেলেও এখন তা প্রায় বিলুপ্তির পথে। গাছ কমতে থাকায় হারিয়ে যাচ্ছে রস সংগ্রহের ঐতিহ্যও। শীত মৌসুমেও দেখা মিলছে না গাছিদের।

শীতের ভোরে খেজুরের রসের হাঁড়ি কাঁধে নিয়ে গ্রামে গ্রামে বিক্রি করছেন গাছিরা। এমন চিত্র এখন আর খুব একটা চোখে পড়ে না ভোলায়। যদিও এক দশক আগেও দেখা মিলতো এই দৃশ্যের।

কিছুদিন আগেও জেলার ইটভাটাগুলোতে পোড়ানো হতো খেজুর গাছ। আর এ কারণে দিন দিন কমেছে গাছের সংখ্যা। শুধু তাই নয়, নতুন করে চারা রোপণেও নেয়া হয়নি কোন উদ্যোগ।

স্থানীয় এক বৃদ্ধ বলেন, অনেক গাছ বেচে ফেলেছি। পরে আরো লাগানো হয়না। কারও কোন উদ্যোগও নেই।

কিছু এলাকায় বাড়ির আশপাশে ও ফসলের মাঠে দেখা মেলে কিছু গাছের। কিন্তু, মাটির হাঁড়ি সহজে না মেলায় রস সংগ্রহে ব্যবহার করা হচ্ছে প্লাস্টিকের পাত্র।

এক তরুণ বলেন, একটা হাড়ি কিনতে গেলে ৩০ টাকা লাগে। আমাদের গ্রামে পাওয়া যায়না, অনেক দূর থেকে আনতে হয়। এ কারণে আমরা হাড়ি বসাইনা।

তবে, খেজুর গাছ রোপণে লোকজনকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে, বলছে কৃষি বিভাগ।

ভোলা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন বলেন, খেজুর থেকে রস ও গুড় পাওয়া যায়। বজ্রপাত থেকে রক্ষা করে খেজুর গাছ অনন্য ভূমিকা পালন করে। কৃষকদের আমরা উদ্বুদ্ধ করছি তারা যেন রাস্তার পাশে, ফাঁকা মাঠে খেজুর গাছ রোপণ করে। যা একটা বাড়তি আয়েরও উৎস হতে পারে।

পরিবেশের বৈচিত্র্য রক্ষার পাশাপাশি রসের ঐতিহ্য ধরে রাখতে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে রাস্তার পাশে খেজুর গাছ লাগানোর দাবি স্থানীয়দের।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৩, ২০২১ ১১:৪১ পূর্বাহ্ন
বিলের জলে কলরব
প্রাণ ও প্রকৃতি

নওগাঁর সাপাহার উপজেলার জবই বিল এখন মাছের পাশাপাশি পাখিদেরও অভয়াশ্রম। প্রতিদিন ঝাঁকে ঝাঁকে পরিযায়ী পাখির দেখা মিলছে এ বিলে। সকাল-সন্ধ্যা অতিথি ও দেশীয় পাখিদের কলকাকলিতে মুখর থাকছে জবই বিলের চারপাশ। পাখি দেখতে প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে আসা শত শত মানুষ ভিড় করছেন এখানে।

নওগাঁ জেলা শহর থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে সাপাহার উপজেলার শিরন্টি, আইহাই ও পাতাড়ী ইউনিয়নে এই জবই বিল। সাত-আট বছর ধরে সাইবেরিয়াসহ বিশ্বের শীতপ্রধান নানা দেশ থেকে এই বিলে পাখি আসা শুরু করে। এ বিলটিকে পাখিদের অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

বিলের আশপাশের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, প্রতিবছর শীতকালে বিল এলাকায় পাখিদের বিচরণ বেড়ে যায়। এবার গত নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে নানা জাতের পরিযায়ী পাখির কলরবে মুখর হতে শুরু করে বিল এলাকা। ফেব্রুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত পরিযায়ী পাখিদের বিচরণ থাকবে।

গত সোমবার বিকেলে জবই বিলে গিয়ে প্রথম দর্শনে মনে হয় যেন হাঁসের খামার। কাছে যেতেই ভুল ভাঙে। মানুষের উপস্থিতি টের পেয়েই উড়াল দিচ্ছে পাখিগুলো। স্থানীয়রা এসব পাখিকে বালিহাঁস, সরালি ও পাতিসরালি বলে ডাকেন। পরিযায়ী পাখি ছাড়াও এই বিলে শামুকখোল, পানকৌড়ি, ছন্নিহাঁস, বকের দেখা মিলল।

বিলের ভেতর দিয়ে গেছে একটি সড়ক। এ সড়কে হাঁটতে হাঁটতে পাখি দেখছিলেন বিভিন্ন স্থান থেকে আসা দর্শনার্থীরা। পত্নীতলার নজিপুরের রিতু আক্তার (২০) এসেছিলেন মা–বাবা ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে। বলেন, ‘নিজেদের এলাকায় পরিযায়ী পাখির অভয়াশ্রম দেখে খুব ভালো লাগছে। পাখিদের এমন কলকাকলির মাঝে বারবার আসতে ইচ্ছা করে।’

দর্শনার্থীদের কেউ সাপাহার উপজেলা সদর থেকে এই বিলে যেতে চাইলে ১২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে। উপজেলার শিরন্টি ইউনিয়ন বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তঘেঁষা। বিলের উত্তর অংশে ভারত সীমান্ত। জবই বিলের জলমহালের আয়তন ৪০৩ হেক্টর। এসব তথ্য জানান আইহাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হামিদুর রহমান।

গত সোমবার আলাপকালে হামিদুর রহমান বলেন, সাত-আট বছর ধরে এ বিলে পরিযায়ী পাখি আসছে। শীতের শুরুতে এখানে পাখিরা আসতে শুরু করে। শুরুতে স্থানীয় লোকজন পাখি শিকার করতেন। কিন্তু প্রশাসন ও স্থানীয় কিছু সচেতন মানুষের তৎপরতায় পাখি শিকার অনেকটাই বন্ধ হয়ে গেছে। বিল ঘিরে স্থানীয় কয়েকটি গ্রামের সচেতন তরুণেরা জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কমিটি নামে একটি কমিটি গঠন করেন। কেউ যাতে পাখি শিকার করতে না পারেন, সেদিকে নজর রাখেন কমিটির সদস্যরা।

জবই বিলের পশ্চিম অংশে কলমুডাঙ্গা গ্রাম। বাসিন্দা জয়নাল আবেদিন বলেন, পাখিরা জলাশয় ছাড়াও গ্রামের গাছের ডালপালা, বাড়ির ছাদসহ বিভিন্ন জায়গায় ওড়াউড়ি করে। গাছের ফল খেয়ে ফেলে। এরপরও গ্রামের মানুষ পাখিদের কোনো সমস্যা করে না।

বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন অনুযায়ী, পরিযায়ী পাখি হত্যার দায়ে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড অথবা এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডের বিধান আছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২২, ২০২১ ৪:১০ অপরাহ্ন
১৫ ফুট দৈর্ঘ্যের অজগর সাপ উদ্ধার পরে অবমুক্ত
প্রাণ ও প্রকৃতি

কাপ্তাই ন্যাশনাল পার্কে আবারও ১৫ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি অজগর সাপ অবমুক্ত করল বন বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মীরা। বুধবার সকাল ১১টার দিকে ২০-২২ কেজি ওজনের সাপটি অবমুক্ত করা হয়েছে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের আওতাধীন কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা তানজিলুর রহমান।

এর আগে বুধবার সকাল ৮টার দিকে কাপ্তাই উপজেলার ১নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের রেশম গবেষণা কেন্দ্র এলাকায় স্থানীয় তরনমনি তনচংগ্যা অজগর সাপটি দেখতে পেয়ে বস্তাবন্দি করেন। পরে কাপ্তাই রেশম বাগান পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যদের মাধ্যমে বন বিভাগকে খবর দেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা তানজিলুর রহমান এসে সাপটিকে নিয়ে বন বিভাগের রাম পাহাড় বিটের কাপ্তাই ন্যাশনাল পার্কে নিয়ে যান। সেখানেই কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) গঙ্গা প্রসাদ চাকমার উপস্থিতিতে ধরা অজগর সাপটি কাপ্তাই ন্যাশনাল পার্কে অবমুক্ত করা হয়। এসময় রেঞ্জ কর্মকর্তা তানজিলুর রহমানসহ বন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) গঙ্গা প্রসাদ চাকমা বলেন, প্রায় ২২ কেজি ওজনের অজগরটি ন্যাশনাল পার্কে অবমুক্ত করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২২, ২০২১ ৩:৩৫ অপরাহ্ন
হাতি হত্যা করলে আইনগত ব্যবস্থা: বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী
প্রাণ ও প্রকৃতি

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, যেকোনো মূল্যেই হাতি হত্যা বন্ধ করতে হবে। হাতিসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী নিধনের যেকোনো অপচেষ্টা প্রতিরোধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কাজ করছে। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি বন্যহাতি হত্যার ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় আয়োজিত হাতি-সংরক্ষণ এবং হাতি ও মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনকল্পে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভা এবং হাতি কর্তৃক ক্ষতিগ্রস্ত জনসাধারণের নিকট ক্ষতিপূরণের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

হাতি সংরক্ষণে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে বনমন্ত্রী বলেন, হাতি চলাচলের প্রচলিত রাস্তা ও করিডোর পুনরুদ্ধার ও পুনঃ বনায়ন করা হচ্ছে। হাতির খাবারের জন্য কলাগাছ এবং অন্যান্য তৃণ জাতীয় উদ্ভিদের চাষ করা হবে। জনসচেতনতা সৃষ্টিসহ হাতি হত্যার শাস্তি এবং হাতির কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট বন বিভাগের কর্মীদের হাতি মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসন, লোকালয়ে হাতি প্রবেশ করলে বনে ফিরানো, মানুষকে সচেতন করার কৌশল ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বনাঞ্চলে অবৈধ বসবাসকারীদের অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। সকলের সহযোগিতায় বিশ্বের এই মহাবিপন্ন প্রাণীকে অবশ্যই বাঁচার সুযোগ দিতে হবে।

অনুষ্ঠান শেষে হাতির আক্রমণে নিহত একজনের পরিবারকে তিন লাখ টাকা এবং ফসলের ক্ষতির জন্য অন্য দুজনকে পঁয়তাল্লিশ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জনগণ হাতি হত্যা প্রতিরোধে কাজ করতে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২১, ২০২১ ১:২৭ অপরাহ্ন
কিশোরগঞ্জের বাফলার বিলে অতিথি পাখির মেলা
প্রাণ ও প্রকৃতি

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার রণচণ্ডী ইউনিয়নের বাফলার বিলে হাজার হাজার বালিহাঁস, সরালিসহ নানা জাতের পরিযায়ী পাখির মেলা বসেছে। কাকডাকা ভোরে দল বেঁধে আসা পাখির কলরব কানে আসে। বলতে গেলে রোজ ঘুম ভাঙে এসব পাখির কিচিরমিচির শব্দে। ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি এসে পড়ছে বিলের জলাশয় ও হাফিজ উদ্দিন স্বপনের মৎস্য খামারে।

পাখিদের নানা সুরেলা কণ্ঠের হাঁকডাক, ওড়াউড়ি, জলকেলিতে মুখর হয়ে উঠেছে চারপাশ। পাখি ও প্রকৃতিপ্রেমীরা বাফলার বিলকে পাখির অভায়রণ্য ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন।

স্হানীয়রা জানান, প্রতি বছর শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে এই পাখিগুলোর আগমন ঘটে। বিলের আশপাশের গাছে পাখিরা বাসা বাঁধে। ছানা ফুঁটিয়ে বড় করে। বসন্তের সময় আবার চলে যায়। প্রতিদিন অতিথি পাখির পাশাপাশি পানকৌড়ি, চাপাখি, টুনটুনি, দোয়েল, শালিক, রাতচরা, কানা বক, সাদা বক, ধূসর বক, মাছরাঙ্গাসহ নাম না জানা অনেক প্রজাতির পাখির যেন মেলা বসে এখানে।

সরেজমিনে দেখা যায়, শত শত একরের সরকারি খাসভুক্ত বাফলার বিলের একাংশ দখলমুক্ত ও খনন করে গড়ে তোলা হয়েছে মৎস্য অভয়াশ্রম। পাশেই ১০০ বিঘা এলাকা জুড়ে মাছের খামার। সব মিলে ঐ স্হান পাখিদের প্রজনন, খাদ্য আহরণসহ আবাসস্হলের নিরাপদ ভূমি। পাখিদের ডুব-ডুব লুকোচুরি, আহার শিকার, খুঁনসুটি, কিচিরমিচির শব্দ, পাখা ঝাঁপটানির মোহনীয় তাল, ডানা মেলে ঝাঁকে ঝাঁকে ওড়া—এমন মনোরম দৃশ্য অন্যরকম আবহ তৈরি করে। গোধূলির দিকে পাখিরা আশ্রয় নেয় আশপাশের গাছপালা, বাঁশঝাড়, কচুরিপানার ঝোপে।

মৎস্য খামারের মালিক হাফিজ উদ্দিন স্বপন জানান, আমরা বাফলা গ্রামের মানুষ প্রকৃতিপ্রেমী, পাখিপ্রেমী। এ কারণেই পাখির অভয়ারণ্য এই বাফলার বিলপাড়া গ্রাম।

তিনি আরো জানান, খামারসহ বিলে পাখির নিরাপত্তা রক্ষায় সচেনতামূলক কার্যক্রমের পাশাপাশি পাখিদের যেন কেউ ক্ষতি না করে, সেজন্য খামার তত্ত্বাবধায়ক সার্বিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে এই এলাকাকে সরকারিভাবে পাখির অভায়রণ্য ঘোষণা করা হলে শীত মৌসুমে পাখির ভিড় আরো বাড়বে।

রণচণ্ডী ইউপি চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান (বিমান) বলেন, ‘অতিথি পাখির আগমনে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি এসব পাখি আমাদের মনে আনন্দ দেয় এবং এলাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে এই বিল পাখিদের একটি অন্যতম নিরাপদ আবাসস্হল হিসেবে গড়ে উঠেছে। এদের শিকারির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সচেতনতাসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২১, ২০২১ ১২:০৭ অপরাহ্ন
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বিলুপ্ত প্রায় শকুন উদ্ধার
প্রাণ ও প্রকৃতি

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতির একটি শকুন উদ্ধার করেছেন করেছে বন বিভাগ। উদ্ধারকৃত শকুনটি অসুস্থ থাকায় অবমুক্ত না করে সোমবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কুড়িগ্রাম জেলা বন বিভাগে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ফুলবাড়ী উপজেলা বন কর্মকর্তা নবীর উদ্দিন।

জানা গেছে, সোমবার সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের চন্দ্রখানা এলাকার আমতলা বাজার সংলগ্ন মাঠ থেকে ধান শুকানো জালে আটকে পড়ে শকুনটি। পরে সেখান থেকে শকুনটি আহম্মদ আলী নামে এক ব্যক্তি উদ্ধার করে কুটিচন্দ্রখানা এলাকার নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। মুহুর্তের মধ্যে এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শকুনটিকে এক নজর দেখার জন্য শিশু-কিশোরসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ সেখানে ভিড় জমান। পরে খবর পেয়ে উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতির শকুনটি উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম বন বিভাগে প্রেরণ করে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৯, ২০২১ ৩:৫২ অপরাহ্ন
হাতিসহ বন্যপ্রাণী হত্যায় বন দখলদাররা সম্পৃক্ত: বিএনসিএ
প্রাণ ও প্রকৃতি

সাম্প্রতিক সময়ে হাতিসহ বন্যপ্রাণী হত্যায় বনভূমিতে স্থানীয় অবৈধ বন দখলদারীদের সম্পৃক্ততা পেয়েছেন পরিবেশবাদীরা। গত ৬ থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত ১৪ দিনের ব্যবধানে পাঁচটি বন্যহাতি হত্যার ঘটনা ঘটে। এরমধ্যে চট্টগ্রাম অঞ্চলে তিনটি ও শেরপুরে দুটি হাতি হত্যা করা হয়।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের তথ্য বলছে, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ৪৩টি হাতির মৃত্যু হয়েছে। এ তিন বছরে নয়টি হাতি হত্যা করা হয়েছে বৈদ্যুতিক তারের ফাঁদ পেতে।

গত নভেম্বরে শেরপুরসহ দেশজুড়ে একাধিক হাতিসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী হত্যার ঘটনার কারণ উদঘাটনে ছায়া তদন্তে নামে বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোট (বিএনসিএ)। এরপরই হাতি হত্যার সঙ্গে জড়িতদের তথ্য পায় পরিবেশবাদী এ সংস্থাটি।

শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) হাতি হত্যায় স্থানীয় অবৈধ বন দখলদারীদের সস্পৃক্ততার কথা জানান বিএনসিএ’র আহ্বায়ক ও ছায়া তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার।

বন্যপ্রাণী হত্যার কারণ খুজতে শেরপুর ও কক্সবাজারে ছায়া তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।

তদন্তের অংশ হিসেবে শেরপুরে হাতি হত্যার ঘটনাস্থলসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন সংস্থাটির প্রতিনিধিরা। এসময় তারা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বন কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয়দের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

ড. আহমদ কামরুজ্জামান বলেন, বন, বনভূমি ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় বন বিভাগ ক্রমাগতভাবে ব্যর্থ হচ্ছে। বনের জায়গায় অবৈধ দখলই হাতিসহ বন্যপ্রাণীদের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যাচাই-বাছাইয়ে হাতি হত্যায় বনে অবৈধ বসবাসকারীদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে। এ কাজে সহযোগিতার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের দায় কোনো অংশে কম ছিল না। তারা বনের জমিতে অবৈধ দখলদারদের বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে সুস্পষ্টভাবে আইন লঙ্ঘন করেছে। এত আলোচনা-সমালোচনার পরও সংরক্ষিত বন থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ সরানো হয়নি। ফলে এসব ঘটনার দায় বিদ্যুৎ বিভাগ কোনোভাবে এড়াতে পারে না।

তিনি বলেন, বন বিভাগ হাতি নিয়ন্ত্রণে প্রকল্পের মাধ্যমে সোলার ফেন্সিং পদ্ধতি সংযুক্ত করেছিলো। এখন সেটির কোনো কার্যকারিতা নেই। তারা বরারবই প্রকল্পের মাধ্যমে বন-বন্যপ্রাণী রক্ষার চেষ্টা করে। তবে প্রকল্প শেষ হলে বনও অনিরাপদ হয়ে পড়ে। বনে হাতির খাদ্য সংকটের কারণেও সংঘাত বেড়েছে।

জনসচেতনতার নামে নানা সময়ে প্রকল্পের টাকা ব্যয় হলেও বন্যপ্রাণী রক্ষা সংক্রান্ত তেমন জ্ঞান জনগণের মধ্যে দেখা যায়নি বলেও মনে করেন ড. কামরুজ্জামান। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে হাতি হত্যার ঘটনাগুলোর বিচার বিভাগীয় তদন্তের ব্যবস্থা এবং হাতি হত্যায় জড়িতদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি৷

অন্যদিকে বনের জায়গায় সাধারণ মানুষের বসবাসই বন উজাড় এবং বন্যপ্রাণীর জন্য সবচেয়ে বেশি হুমকির কারণ হচ্ছে বলে মনে করছেন ছায়া তদন্ত কমিটির প্রধান।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৮, ২০২১ ৪:২১ অপরাহ্ন
ভোলায় আবারও রাসেল ভাইপার উদ্ধার
প্রাণ ও প্রকৃতি

বাড়ির রান্নাঘরে হঠাৎ সাপটিকে দেখে বন বিভাগকে খবর দেওয়া হলে জানা যায় এটি বিষধর রাসেল ভাইপার সাপ। ভোলার দৌলতখান উপজেলা থেকে একটি বিষধর রাসেল ভাইপার সাপ উদ্ধার করেছে উপজেলা বন বিভাগের কর্মীরা।

শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সি বাড়ি থেকে সাপটি উদ্ধার করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাড়ির রান্নাঘরে সাপটিকে দেখে চিৎকার দিলে আশেপাশের বাড়ির সবাই সেখানে দৌড়ে আসেন। পরে সাপটিকে একটি পাত্রে আটকে ফেলেন তারা। পরে উপজেলা প্রশাসনকে খবর দেওয়া হলে তারা সাপটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ তারেক হাওলাদার জানান, ইতোমধ্যে বিষয়টি বন বিভাগকে জানানো হয়েছে। তারা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

রাসেল ভাইপার সম্পর্কে বাংলাদেশ বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা জোহরা মিলা বলেন, “আইইউসিএনের ২০১৫ সালের লাল তালিকা অনুযায়ী রাসেলস ভাইপার বাংলাদেশে সংকটাপন্ন প্রাণীর তালিকায় রয়েছে। এটি ইঁদুর ও টিকিটিকি খায়। বসতবাড়ির আশেপাশে এদের প্রাচুর্যতা বেশি থাকায় খাবারের খোঁজে রাসেলস ভাইপার অনেক সময় লোকালয়ে চলে আসে এবং মানুষকে দেখে আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে কখনও কখনও আক্রমণও করে।”

জোহরা মিলা বলেন, “এই সাপের বিষ ‘হেমোটক্সিন’ হওয়ায় মাংস পঁচেই আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তাই সাপটির কবল থেকে বাঁচতে সচেতনতাই কার্যকর পথ। বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ অনুযায়ী সাপটি সংরক্ষিত।”

উল্লেখ্য, চন্দ্রবোড়া বা উলু বোড়া ভাইপারিডি পরিবারভুক্ত একটি অন্যতম বিষধর সাপ রাসেল ভাইপার। এই সাপ সবচেয়ে বিষাক্ত ও এর অসহিষ্ণু ব্যবহার ও লম্বা বহির্গামী বিষদাঁতের জন্য অনেক বেশি লোক দংশিত হন। বিষক্রিয়ায় রক্ত জমা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে অত্যধিক রক্তক্ষরণে অনেক দীর্ঘ যন্ত্রণার পর মৃত্যু হয়।

চন্দ্রবোড়ার দেহ মোটাসোটা, লেজ ছোট ও সরু। প্রাপ্তবয়স্ক সাপের দেহের দৈর্ঘ্য সাধারণত এক মিটার; দেহের সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ১.৮ মিটার পর্যন্ত হয়। চন্দ্রবোড়া নিচু জমির ঘাসযুক্ত উন্মুক্ত পরিবেশে এবং কিছুটা শুষ্ক পরিবেশে বাস করে। এরা নিশাচর, এরা খাদ্য হিসেবে ইঁদুর, ছোট পাখি, টিকটিকি ও ব্যাঙ ভক্ষণ করে।

চন্দ্রবোড়া সাপ পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দুর্লভ সাপ। নদীয়া বর্ধমান ও উত্তর চব্বিশ পরগনা বর্তমানে বাঁকুড়া জেলার গ্রাম অঞ্চলে এই সাপ ভয়ের অন্যতম কারণ। বাংলাদেশের রাজশাহী অঞ্চলে এ সাপ বেশি পাওয়া যায়। নদীয়া জেলাসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অংশে এছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা, চীনের দক্ষিণাংশ, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, বার্মা ও ইন্দোনেশিয়ায় পাওয়া যায়। সাপ সাধারণত ডিম পাড়ে এবং ডিম ফুটে বাচ্চা হয়। তবে চন্দ্রবোড়া সাপ ডিম পাড়ার পরিবর্তে সরাসরি বাচ্চা দেয়। এরা বছরের যে কোনো সময় প্রজনন করে। একটি স্ত্রী সাপ গর্ভধারণ শেষে ২০ থেকে ৪০টি বাচ্চা দেয়। তবে কোনো কোনো চন্দ্রবোড়া সাপের ৭৫টি পর্যন্ত বাচ্চা দেওয়ার রেকর্ড আছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৮, ২০২১ ১:৩৫ অপরাহ্ন
কুষ্টিয়ার গড়াই নদীর তীরে রাসেল ভাইপার বস্তাবন্দী
প্রাণ ও প্রকৃতি

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের পূর্বপাড়া জামে মসজিদ সংলগ্ন গড়াই নদীর তীরবর্তী এলাকায় রাসেল ভাইপার সাপ পাওয়া গেছে। শুক্রবার বিকেলে বিষাক্ত এ সাপটিকে আটক করে বস্তাবন্দী করে স্থানীয় জনগণ।

পরে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশকে স্থানীয়রা খবর দিলে ঘটনাস্থলে কেউ আসেননি। যে কারণে সাপটিকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন জনগণ। অপরদিকে রাসেল ভাইপার সাপ ধরার খবর ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক জনতা ভিড় জমায় সাপটি দেখতে।

স্থানীয় বাসিন্দা লিংকন জানান, বিকালে গড়াই নদীর তীরবর্তী এলাকায় সাপটিকে দেখতে পাওয়া যায়। সাপটি দেখে শারীরিকভাবে দুর্বল মনে হয়। এসময় একটি প্লাস্টিকের বস্তায় সাপটিকে ভরে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনকে খবর দেওয়া হয় কিন্তু কেউ আসেননি।

জানা গেছে, রাসেল ভাইপার সাপ বাংলাদেশে চন্দ্রবোড়া বা উলুবোড়া নামেও পরিচিত। বাংলাদেশে যেসব সাপ দেখা যায় সেগুলোর মধ্যে এটিই সবচেয়ে বিষাক্ত। এই সাপের কামড়ে শরীরের দংশিত অংশে বিষ ছড়িয়ে অঙ্গহানি, ক্রমাগত রক্তপাত, রক্ত জমাট বাঁধা, স্নায়ু বৈকল্য, চোখ ভারী হয়ে যাওয়া, পক্ষাঘাত, কিডনির ক্ষতিসহ বিভিন্ন রকম শারীরিক উপসর্গ দেখা যেতে পারে।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, জনগণ সাপটিকে বস্তাবন্দী করে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ বনবিভাগকে জানিয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মণ্ডল বলেন, বনবিভাগকে জানানো হয়েছে। তারা বিষয়টি দেখছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৮, ২০২১ ১২:৩২ অপরাহ্ন
শেরপুরে বিলুপ্তপ্রায় বনরুই উদ্ধার
প্রাণ ও প্রকৃতি

গতকাল ভোররাতে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে অভিযান চালিয়ে বিলুপ্তপ্রায় একটি বনরুই উদ্ধার করেছে র‌্যাব-১৪।

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মিস্টার আলী (৪২) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। মিস্টার ঝিনাইগাতী উপজেলার রোকন উদ্দিনের ছেলে। এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে র‌্যাব। অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মৃণালকান্তি সাহা।

জানা গেছে, বনরুইটি জীবত আছে এবং পুলিশের মাধ্যমে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। গ্রেফতার মিস্টারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop