১১:৩৯ পূর্বাহ্ন

শনিবার, ১৬ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৭, ২০২১ ৫:২০ অপরাহ্ন
ফেনীতে হাতি আতঙ্ক!
প্রাণ ও প্রকৃতি

সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশের ফেনীতে ঢুকে পড়েছে একটি দলছুট হাতি। হলছুট এ হাতিটি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে জেলার বিভিন্ন এলাকা।

এ সময় হাতিটি কৃষি জমি, ফসলি মাঠ, বসত ভিটাসহ বিভিন্নস্থানে ক্ষতি করছে। যার ফলে আতঙ্ক বিরাজ করছে জনসাধারণের মধ্যে।

বন বিভাগের ফেনী সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা তপন কুমার দেব নাথ বলেন, সর্বশেষ হাতিটিকে ফেনী সদর উপজেলার ধর্মপুর এলাকায় দেখতে পাওয়ায় যায়। সকালে তাকে আর দেখা যায়নি। বন বিভাগের লোকজন খুঁজছে কিন্তু কোনো হদিস মিলছেনা। এর আগে হাতিটিকে দাগনভূঞাঁ, কাশিমপুর ও পাঁচগাছিয়া এলাকায় দেখতে পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা বলেন রাতের বেলায় হাতিটি তাণ্ডব চালায়। দিনের বেলায় কম দেখতে পাওয়া যায়। সামান্য দেখলেও ভয়ে কেউ কাছে যেতে পারেনা।

বন বিভাগের ফেনী সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা তপন কুমার দেব নাথ জানান, হাতিটি ছাগলনাইয়া নিকটবর্তী সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করেছে।

এদিকে সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকা থেকে ফেনীতে নেমে আসা হাতিটির নিরাপত্তা দিতে ফেনীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোট।

শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মাকসুদ আলমকে ফোন করেন জোটের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার। এ সময় তিনি হাতিটির নিরাপত্তায় কি ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে জানতে চান বন কর্মকর্তার কাছে।

হাতিটির ক্ষতি না করতে জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সহযোগিতা নেওয়ার পরামর্শ দেন বন্যপ্রাণী রক্ষার দাবিতে ৩৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত এই জোটের প্রধান।

এ সময় ফেনী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মাকসুদ আলম জানান, হাতিটি ছাগলনাইয়া নিকটবর্তী সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করেছে। হাতিটি হয়তো ফের সীমান্ত অতিক্রম করে তার দলে ফিরে যাবে। বন বিভাগ হাতিটিকে খুঁজছে।

হাতিটির প্রতি নজরদারির পাশাপাশি কেউ যেন হামলা না করে সে বিষয়ে জনগণকে সচেতন করা হচ্ছে বলেও জানান এই বন কর্মকর্তা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৬, ২০২১ ১:৪৮ অপরাহ্ন
ঝিনাইদহের মহেশপুর থেকে বিষধর সাপ রাসেল ভাইপার উদ্ধার
প্রাণ ও প্রকৃতি

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নের ভবনগর গ্রাম থেকে বিষধর সাপ রাসেল ভাইপার উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে ঐ গ্রামের একটি আমবাগানে সাপটি দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে কয়েক জন যুবক সাপটি বস্তাবন্দি করে রাখে।

ভবনগর গ্রামের প্রকৃতিপ্রেমিক সংগঠনের সভাপতি নাজমুল হোসেন জানান, তিনি খবর পান ভবনগর গ্রামের কয়েক জন যুবক এক বিষধর সাপ বস্তাবন্দি করে রেখেছে। খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। এ সময় তিনি এটি রাসেল ভাইপার বলে শনাক্ত করে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তরে খবর দেন পরে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তরের লোকজন এসে সাপটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অফিস যশোর বেনাপোল ক্রাইম কন্ট্রোল ইউনিটের জুনিয়ার ওয়াইল্ডলাফ স্কাউট জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সাপটি আসল রাসেল ভাইপার বলে আমরা শনাক্ত করতে পেরেছি। সাপটি উদ্ধার করে আমাদের কার্যালয়ে নিয়ে যাচ্ছি| ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী সুবিধাজনক স্থানে সাপটি অবমুক্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৫, ২০২১ ১২:১২ অপরাহ্ন
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হবে ১০০ কুমির
প্রাণ ও প্রকৃতি

সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হচ্ছে ১০০ টি লবণ পানির প্রজাতির কুমির। আজ ১৫ ডিসেম্বর দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের সামনের নদীতে আনুষ্ঠানিক ভাবে এসব কুমির অবমুক্ত করা হবে। এ সময় উপস্থিত থাকবেন বন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার।

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকতা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড সুন্দরবনে ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণী রয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ম্যানগ্রোভ বন থেকে দুই প্রজাতির হরিণ, দুই প্রজাতির গন্ডার, এক প্রজাতির বন্য মহিষ ও মিঠাপানি প্রজাতির কুমির বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারনে সুন্দরবনে বন্যপ্রানী হুমকির মুখে রয়েছে। সর্বশেষ জরিপে এই বনে লবণপানি প্রজাতির দেড়শত থেকে দুইশত কুমির রয়েছে বলে বলা হয়েছে। যা সুন্দরবনের ৪৫০টি নদ-নদী ও খালসহ ১৮৭৪ দশিমক ১ বর্গ কিলোমিটার জলভাগের জন্য পর্যাপ্ত নয়। এই অবস্থায় কুমিরের সংখ্যা বাড়াতে বন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীতে সুন্দরবনে ১০০টি কুমির অবমুক্ত করা হচ্ছে।

সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে জন্ম নেয়া লবণপানি প্রজাতির এসব কুমির আনুষ্ঠানিক ভাবে অবমুক্ত করার পরপরই চাঁদপাই, শরণখোলা, খুলনা ও সাতক্ষীরা রেঞ্জের নদ-নদী ও খালে ছেড়ে দেয়া হবে।

এসময় প্রধান বন সংরক্ষক (সিসিএফ) মোঃ আমীর হোসেন চৌধুরী,খুলনা অঞ্চলের বনসংরক্ষক( সিএফ) মিহির কুমারদোসহ সুন্দর বন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৪, ২০২১ ৫:১২ অপরাহ্ন
হাতি হত্যা মামলায় বাবা-ছেলে কারাগারে
প্রাণ ও প্রকৃতি

চট্টগ্রামে বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়নের পাহাড়ি লটমনি এলাকায় হাতি হত্যার মামলায় বাবা ও ছেলেকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন কামাল (৫০) ও নেজাম (২০)।

আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ নভেম্বর সাধনপুর ইউনিয়নের পাহাড়ি লটমনি এলাকায় বিদ্যুতায়িত হয়ে হাতিটির মৃত্যু হয়। পরে আসামি কামাল ও নেজাম হাতিটি মাটিচাপা দেন। স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে বন বিভাগের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান। পরে ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক থেকে চিকিৎসক এসে হাতিটির ময়নাতদন্ত ও নমুনা সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে বন বিভাগ বাদী হয়ে বাঁশখালীর আমলি আদালতে পিতা কামাল ও ছেলে নেজামকে আসামি করে মামলা করা হয়।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কর্মকর্তা দক্ষিণ সফিকুল ইসলাম বলেন, হাতি হত্যা মামলায় স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) বাঁশখালী আমলি কোর্টে বাবা-ছেলে হাজির হন। কোর্টে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি তারা হাতি হত্যায় জড়িত। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন। বাঁশখালী থেকে আজ মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে তাদের।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৪, ২০২১ ৪:১১ অপরাহ্ন
হাকালুকি হাওরে বেপরোয়া পাখি শিকারিরা
প্রাণ ও প্রকৃতি

প্রতিবছরের মতো এবারও মুড়িয়া-হাকালুকি হাওরে নানা প্রজাতির অতিথি পাখি আসতে শুরু করেছে। এতে মুখরিত হয়ে উঠেছে হাওর এলাকা। পাখি দেখতে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাওরে ছুটে আসছেন পাখিপ্রেমী মানুষ।

এদিকে, হাওরে পাখি আসা শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে তৎপর হয়ে উঠেছে অসাধু পাখি শিকারি চক্র। তারা বিষটোপসহ নানাভাবে ফাঁদ পেতে অবাধে পাখি শিকার করছে। কিন্তু পাখি শিকার বন্ধে কার্যকর কোনো উদ্যোগই নেই। ফলে পাখি শিকার কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না।

সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন শীতপ্রধান দেশ থেকে মুড়িয়া-হাকালুকি হাওরে নানা প্রজাতির পাখি আসে। এসব পাখির মধ্যে রয়েছে, বালিহাঁস, ভূতিহাঁস, গিরিয়া হাঁস, ল্যাঞ্জা হাঁস, গুটি ইগল, কাস্তেচড়া, কুড়া ইগল, সরালি, পানভুলানি, কালিম, সাদা বক, কানি বক, পানকৌড়ি। এর মধ্যে দেশীয় প্রজাতির নানা জাতের পাখি রয়েছে।

সরেজমিন বিয়ানীবাজারের মুড়িয়া হাওরে গিয়ে দেখা গেছে, হাওরে দল বেধে নানা প্রজাতির পাখি ওড়াওড়ি করছে। কিছু পাখি বিভিন্ন বিল থেকে খাবার খাচ্ছে। কিছু পাখি খাবার শেষে নীড়ে ফিরছে। হাওরের বিভিন্ন বাড়ির গাছগাছালিতে এসব পাখি বাসা বেঁধেছে। পাখিদের কলকাকলিতে হাওর এলাকা মুখরিত হয়ে উঠেছে। বিভিন্নস্থান থেকে মানুষজন পরিবার-পরিজন নিয়ে হাওরে পাখি দেখতে আসছেন।

স্থানীয়রা জানান, হাওরে অতিথি পাখি আসার সঙ্গে সঙ্গে পাখি শিকারি চক্র তৎপর হয়ে উঠেছে। চক্রটি রাত-দিন নানাভাবে ফাঁদ পেতে হাওরে পাখি শিকার করছে। ধানের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া তাদের বিষটোপ খেয়ে পাখির পাশাপাশি অনেক খামারির হাঁসও মারা যাচ্ছে। শিকারিরা এসব পাখি বিভিন্ন বিয়ানীবাজার ও দুবাগ পয়েন্টে, বড়লেখা বিভিন্নস্থানে প্রকাশ্যে বিক্রি করছে। বিভিন্ন হোটেলে এসব পাখির মাংস বিক্রি হচ্ছে। এমনকি অনেক প্রভাবশালীদের ঘরেও এসব পাখি যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক নূর বলেন, শীতকালে হাকালুকি হাওরের বিভিন্ন দেশ থেকে অতিথি পাখি আসে। অতিথি পাখি হাওরের জীববৈচিত্র্যের একটা অংশ। পাখি শিকার রোধে আমরা জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছি। এরপর যদি কেউ পাখি শিকার করে তাহলে আমরা তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৪, ২০২১ ২:৫৮ অপরাহ্ন
বাগেরহাটে ধানক্ষেত থেকে অজগর উদ্ধার
প্রাণ ও প্রকৃতি

বাগেরহাটের শরণখোলা থেকে বিশাল আকৃতির একটি অজগর উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকালে ওয়াইল্ড টিমের সদস্যরা বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন জিলবুনিয়া গ্রামের ধানক্ষেত থেকে ১৬ কেজি ওজনের ওই অজগরটি উদ্ধার করে। এসময় ওমর নামে (১৫) এক মাদরাসা ছাত্রকে আঘাত করে অজগরটি।

সোমবার রাতেই অজগরটিকে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ এলাকায় অবমুক্ত করা হয়েছে। সুন্দরবন থেকে একের পর এক অজগর লোকালয়ে বেড়ি আসায় গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে গত এক বছরে সুন্দরবন সংলগ্ন লোকালয় থেকে শতাধিক অজগর উদ্ধর করা হয়েছে বলে বনবিভাগ জানায়।

অজগরের আঘাতে আহত মাদরাসা ছাত্র ওমর হাওলাদারকে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার করা অজগরটি প্রায় ১২ ফুট লম্বা। বয়স আনুমানিক আড়াই বছর। ওজন প্রায় ১৬ কেজি।

শরণখোলা উপজেলা ওয়াইল্ড টিমের সদস্যরা জানান, তারা খবর পেয়ে উপজেলার জিলবুনিয়া গ্রামের ধানক্ষেত থেকে বিশাল আকৃতির ওই অজগরটি উদ্ধার করে। স্থানীয়দের সহায়তায় অক্ষত অবস্থায় অজগরটি উদ্ধার করা হয়।

বিভিন্ন গ্রামের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, প্রায়ই সুন্দরবন ছেড়ে নদী-খাল পাড়ি দিয়ে অজগরসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী লোকালয়ে আসছে। মাঝে মধ্যে অজগর তাদের বসতঘর, বাড়ির উঠান, গোয়ালঘর, হাঁস-মুরগির ঘরে আসছে। অনেক সময় রাতে ঘুম থেকে উঠে বাড়িতে অজগর দেখে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে উঠে। এখন প্রায়াই গ্রামে অজগর দেখা মিলছে।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, বিশাল ওই অজগরটি সুন্দরবন ছেড়ে ভোলা নদী পাড়ি দিয়ে লোকালয়ে আসে। জিলবুনিয়া গ্রামের ধানক্ষেত থেকে অজগরটিকে উদ্ধার করা হয়। সোমবার রাতে ওই অজগরটিকে সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়েছে।

ডিএফও মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন আরো জানান, এক বছরে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা এবং চাঁদপাই রেঞ্জ সংলগ্ন লোকালয় থেকে শতাধিক অজগর উদ্ধার করা হয়েছে। প্রায়ই নদী-খাল পাড়ি দিয়ে অজগর লোকালয়ে আসছে।

ডিএফও মনে করেন, সুন্দরবনে অন্যান্য বণ্যপ্রাণীর সাথে অজগরের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। একারণে মাঝে মধ্যে অজগর এবং হরিণসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী সুন্দরবন ছেড়ে লোকালয়ে আসছে। বন্যপ্রাণী লোকালয়ে এলে না মেরে বন বিভাগকে খবর দেওয়ার কথা জানালেন ডিএফও।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৪, ২০২১ ১:৫৬ অপরাহ্ন
লোকালয়ে হাতির তান্ডবে জনমনে আতঙ্ক
প্রাণ ও প্রকৃতি

খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে দুটি বন্য হাতি হঠাৎ করে লোকালয়ে প্রবেশ করে তাণ্ডব চালিয়েছে। এতে করে এলাকাবাসীর মনে উৎকণ্ঠা ও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, গহীন অরণ্য থেকে লোকালয়ে চলে আসে হাতি দুটি। এদিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই দুই হাতি লোকালয়ের খুব কাছাকাছি অবস্থান করছে। তবে হাতি দুটিকে গহীন অরণ্যে তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে কাজ করছে বন বিভাগ।

স্থানীয়রা জানায়, গতকাল সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে মানিকছড়ি সদরের অদূরে কর্নেল বাগানের পশ্চিমে এয়াতলংপাড়া এলাকায় হঠাৎ দুটি বন্য হাতির উপস্থিতি চোখে পড়ে। তার কিছুক্ষণ পর উৎসুক জনতা হাতি দুটিকে দেখতে ভিড় করে। এ সময় জনতার ভিড় সামলাতে বন বিভাগকে খবর দেওয়া হয়। বন বিভাগের লোকজন, পুলিশ, সেনাবাহিনী ও স্থানীদের সহায়তায় লোকজনকে শান্ত রাখার চেষ্টা করা হয়। পাশাপাশি হাতি দুটিকে বিরক্ত না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।

এদিকে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে পান্নাবিলের নাথপাড়া হরিমন্দির এলাকায় দিলীপ দাশের একটি মাটির ঘর ও একটি টিনশেড ঘরসহ চারপাশে ভাঙচুর চালায় হাতি দুটি।

ইউপি সদস্য মো. আবুল হাশেম জানান, স্থানীয়দের জানমালের নিরাপত্তায় বন বিভাগের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও পুলিশ সকাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে। তবে এলাকাবাসী খুবই আতঙ্কের মধ্যে আছে।

মানিকছড়ির লোকালয়ে আসা হাতিগুলো এখনও গহীন অরণ্যে অবস্থান করছে জানিয়ে মানিকছড়ি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহনুর আলম বলেন, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় সকাল থেকেই পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে।

খাগড়াছড়ির সহকারী বন সংরক্ষক মো. মুজাম্মেল হোসেন জানান, খবর পেয়ে আমাদের লোকজন হাতিকে নিরাপদ গন্তব্যে পৌঁছাতে সন্ধ্যার পর মশাল, বাঁশি, টিন, আতশবাজিসহ প্রয়োজনীয় নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৩, ২০২১ ২:০০ অপরাহ্ন
পেলিক্যানের সঙ্গী জোটেনি ৪ বছরেও
প্রাণ ও প্রকৃতি

বিশাল আকারের জলজ পাখি গ্রেট হোয়াইট পেলিক্যান। ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের হ্রদ ও সাগরের কাছাকাছি জায়গায় তাদের বসবাস। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এ পাখির আগমন ঘটে ২০১৪ সালে।

দর্শনার্থীদের বিনোদন তৈরির লক্ষ্যে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্ক প্রতিষ্ঠালগ্নে বিদেশি নানা প্রজাতির প্রাণীর সঙ্গে দুটি পেলিক্যান পাখি আনা হয়। ২০১৭ সালের প্রথম দিকে অসুস্থ হয়ে স্ত্রী পেলিক্যানটি মারা যায়। এরপর থেকেই একাকিত্ব শুরু হয়েছে পুরুষ পাখিটির। চার বছরেও সঙ্গী জোটেনি তার।

সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য মতে, জলের পাখি পেলিক্যান। বড় ঠোঁটের জন্য এরা বিখ্যাত। ঠোঁটের নিচে চামড়ার থলি থাকে, যার মধ্যে এরা খাবার জমিয়ে রাখে। মাছ এদের প্রধান খাদ্য। জলাশয়ের ধারে শিকারের সন্ধানে এদের বসার ভঙ্গি খুবই বৈচিত্র্যময়। এ পাখি প্রায় দেড় মিটার লম্বা। এদের পা ছোট। আঙুলগুলো পরস্পরের সঙ্গে চামড়া দিয়ে জোড়া লাগানো।

খাবার শিকারের সময় এরা পানিসহ মাছ উঠিয়ে নেয়। পরে মাছ নিজের থলিতে ঢুকিয়ে পানিগুলো ফেলে দেয়। পানিতে ভালো সাঁতারও কাটতে পারে এ পেলিক্যান। এ পাখি ঝাঁক তৈরি করে ভ্রমণ করে। এখন পর্যন্ত বিশ্বে আট প্রজাতির পেলিক্যানের দেখা মেলে। প্রজননের সময় এরা মূলত গাছে বাসা তৈরি করে। ১-৪টি ডিম দেয়।

২৮-৩৬ দিন পর্যন্ত ডিমে তা দিলে তা থেকে ছানার জন্ম হয়। বিশাল আকারের পাখি হলেও এরা ঘণ্টায় ৬০ মাইল বেগে উড়তে পারে।

গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্কের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক আনিছুর রহমান বলেন, সাফারি পার্কের ধনেশ অ্যাভিয়ারিতে পেলিক্যানের বসবাস। প্রায় এক একর আয়তনের এ জায়গার চারদিক দিয়ে বেষ্টনী তৈরি করা। মূলত, এখানেই তার দিনগুলো অতিবাহিত হচ্ছে। কখনো একাকী চুপচাপ বসে থাকা, আবার কখনো উড়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা এসবই তার সারা দিনের রুটিনে লিপিবদ্ধ। এছাড়া সে দর্শনার্থীদের নানাভাবে কসরতও দেখায়। শিশুসহ অনেকেই দেশে অপরিচিত এ পাখিকে দেখে আলাদা বিনোদন পায়।

তিনি আরও বলেন, সঙ্গী স্ত্রী মারা যাওয়ায় পুরুষ এ পাখিকে দৈনিক দেড় কেজি করে ছোট রুই মাছ (নলা) দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত এ পাখির তেমন কোনো অসুস্থতা তৈরি হয়নি। ভিনদেশি হলেও আশা করা যায় এ পাখিটি আমাদের পরিবেশের সঙ্গে ভালোভাবেই মিশে আছে।

সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তবিবুর রহমান বলেন, পেলিক্যানের সঙ্গীটি অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়ার পর চার বছর ধরে একাকী রয়েছে পুরুষ পাখিটি। তার একজন সঙ্গী হলে প্রজননের একটি সম্ভাবনা ছিল। তবে সে উপায় যে এখনো তৈরি হয়নি। তবে টিকে থাকা এ সদস্যকে কেন্দ্র করে সাফারি পার্কের পর্যটকরা ভালোই বিনোদন পাচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১২, ২০২১ ৫:৩৩ অপরাহ্ন
সাফারি পার্কে মায়ের সঙ্গে ঘুরছে থমসন গজেল পরিবারের ছোট্ট শাবকটি
প্রাণ ও প্রকৃতি

গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে আফ্রিকান প্রাণী থমসন গজেল পরিবারে জন্ম নেওয়া নতুন শাবককে মায়ের সঙ্গে ঘুরতে দেখা যাচ্ছে।

রোববার সকালে সরেজমিন সাফারি পার্কে গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়।

এর আগেও এ পার্কে থমসন গজেল শাবকের জন্ম দিয়েছিল। তবে হিংস্র প্রাণীর আক্রমণে শেষ পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারেনি। নতুন অতিথি নিয়ে সাফারি পার্কে থমসন গজেল পরিবারের সংখ্যা ৩-এ দাঁড়াল। নতুন শাবকটির এখনও লিঙ্গ নির্ধারণ করতে পারেনি পার্ক কর্তৃপক্ষ।

পার্ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, থমসন গজেল মূলত আফ্রিকান অ্যান্টিলুপ প্রজাতির প্রাণী। এগুলো দেখতে হরিণের মতো। অভিযাত্রী জোসেফ থমসনের নামে এ প্রাণীটির নামকরণ করা হয়েছে। অনেক স্থানে প্রাণীটিকে ‘টমি’ নামেও ডাকা হয়। পূর্ব আফ্রিকার কেনিয়া ও তানজানিয়ার সেরিঙ্গেটি অঞ্চলে এ প্রাণীর মূল আবাসস্থল।

এরা তৃণভূমিতে বিচরণ করে থাকে। এদের প্রধান খাবার ঘাস। দৈর্ঘ্যে এরা ৮৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়। এরা ঘণ্টায় ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার গতিতে দৌড়াতে সক্ষম।

চিতার পরে চতুর্থ দ্রুততম স্থলপ্রাণী হিসেবে বিবেচনা করা হয় থমসন গজেলকে। একটি পুরুষ গজেলের ওজন হয় ২০-৩০ কেজি হয়ে থাকে। স্ত্রীদের ওজন ১৫-২৫ কেজি পর্যন্ত হয়। চোখের চারপাশে সাদা রিং, চোখের কোণ থেকে নাকের দিকে কালো ডোরা, নাকের ওপর একটি কালো দাগ থাকে।

পুরুষের চোখের সঙ্গে সুবিকশিত প্রিঅরবিটাল গ্রন্থি থাকে, যেগুলো ঘ্রাণ চিহ্নিত অঞ্চলের জন্য ব্যবহৃত হয়। পুরুষের রিংযুক্ত শিং রয়েছে। স্ত্রীদের শিং থাকে না। দলের পুরুষ সদস্যরা অনেকটা যুদ্ধ করে নিজের অবস্থান তৈরি করে। স্ত্রী গজেলের গর্ভকাল সময় ১৬৬ দিন। প্রতিবার একটি করে শাবকের জন্ম দেয় থমসন গেজেল। সংখ্যার দিক দিয়ে কমে যাওয়ায় প্রাণীকে প্রায় বিপদাপন্ন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তবিবুর রহমান জানান, সাফারি পার্কের প্রাকৃতিক পরিবেশে এর আগেও থমসন গজেল শাবকের জন্ম দিয়েছিল। এরা আফ্রিকান সাফারিতে উন্মুক্ত অবস্থায় বিচরণ করে। উন্মুক্ত অবস্থায় বিচরণের কারণে হিংস্র প্রাণীর আক্রমণে সেগুলো আর টেকেনি।

তবে গত এক সপ্তাহ আগে গেজেল পরিবারে শাবকের জন্ম হলেও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে মা সন্তানকে লুকিয়ে রাখায় এদের দেখা মেলেনি। পরে শাবক নিয়ে বের হয়ে আসায় তাদের দেখা যায়।

তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত শাবকটি সুস্থ রয়েছে। মায়ের সঙ্গে ঘুরে দুধপান করতে দেখা গেছে। এবার প্রাণীটিকে টিকিয়ে রাখতে আমরাও নজরদারির চেষ্টা করছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১১, ২০২১ ১:৫৯ অপরাহ্ন
লোকালয়ে নেমে আসছে বন্যহাতির পাল
প্রাণ ও প্রকৃতি

প্রতিদিনই বন্যহাতির পাল নেমে আসছে লোকালয়ে। ধ্বংস করছে বাড়িঘর, খেয়ে সাবার করছে ক্ষেতের ফসল। নষ্ট হচ্ছে ফল ও সবজির বাগান। একই সপ্তাহ কয়েকবার আক্রান্ত হয়েছে শেরপুরের তিন উপজেলার সীমান্ত এলাকার মানুষ। হাতির বিচরণ ঠেকাতে বন বিভাগের কোন পদক্ষেপই কাজে আসছে না।

শেরপুরের ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী, শ্রীবরদী-এই তিন উপজেলার বিস্তীর্ণ জনপদ ভারতীয় সীমান্ত সংলগ্ন। সীমান্তবর্তী এসব জনপদে মাঝে মধ্যেই হানা দেয় হাতির পাল। রাতে এমন কি, কখনো কখনো দিনেও জনপদে নেমে আসে বন্যহাতি।

এলাকাবাসী জানায় ভারতের পিক পাহাড় থেকে বন্যহাতির দল খাবারের সন্ধানে নেমে আসে। ক্ষেতের ফসল, সবজি, ফলের বাগান নষ্টের পাশাপাশি বাড়িঘরেও তাণ্ডব চালায়। ঘটেছে মৃত্যুর ঘটনাও। গত এক সপ্তাহেই কয়েকবার তাণ্ডব চালিয়েছে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এসব এলাকার মানুষ।

হাতির অবাধ বিচরণ ঠেকাতে বন বিভাগে উদ্যোগে ২০১৪ সালে কাটাযুক্ত বেত ও বড়ই গাছ রোপন, এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম গঠন করা হয়। এছাড়া, ৯১ লাখ টাকা ব্যয়ে ১১কিলোমিটার এলাকায় সোলার পাওয়ার ফেন্সিং স্থাপন করা হয়। এসব কোন উদ্যোগ কাজে আসছে না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

অভিযোগ অস্বীকার করে আরো ১০ কিলোমিটার এলাকায় নতুন করে সোলার ফেন্সিং স্থাপন করা হবে বলে জানালেন, বন বিভাগের কর্মকর্তা আমীর হেসেন চৌধুরী।

হাতির উপদ্রপ ঠেকাতে স্থায়ি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি ভুক্তভোগীদের।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop