৩:৫২ অপরাহ্ন

শনিবার, ১৬ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ডিসেম্বর ৩, ২০২১ ১:৩২ অপরাহ্ন
বেগমগঞ্জে শিয়ালের ফাঁদে মেছো বাঘ,পরে বনে অবমুক্ত
প্রাণ ও প্রকৃতি

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের লোকালয় থেকে আটক হওয়া একটি মেছো বাঘের বাচ্চাকে কোম্পানীগঞ্জের উপকূলীয় বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকালে স্থানীয় বন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মুছাপুর ক্লোজার গভীর বনে মেছো বাঘটি অবমুক্ত করা হয়।

নোয়াখালী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. ফরিদ মিঞা জানান, গত বুধবার দুপুরে কুতুবপুর ইউনিয়নের কিত্তনিয়ারহাটের মুসলিম বাজার এলাকার বাসিন্দা রহিমের মুরগির খামারে ধরা পড়ে বাঘের বাচ্চাটি। পরে উপজেলা বন কর্মকর্তা শামছুদ্দিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাঘটি উদ্ধার করে জেলা বিভাগীয় বন কার্যালয়ে আনা হয়। বাঘের বাচ্চাটি লম্বায় সাড়ে চার ফুট ও উচ্চতায় দুই ফুট।

বৃহস্পতিবার বিকেলে স্থানীয় বন বিভাগের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুরের গভীর বনে মেছো বাঘটি অবমুক্ত করা হয়। বনের ওই এলাকায় লোকজনের আনা গোনা নেই।

বন কর্মকর্তা জানান, এই প্রজাতির বাঘগুলো বিশেষ করে মানুষের কোনো ক্ষতি করে না। ছোট প্রজাতির প্রাণী খেয়ে তারা বেঁচে থাকে। ধারণা করা হচ্ছে কুতুবপুর ইউনিয়নে পার্শ্ববর্তী কোনো জঙ্গল থেকে বাঘটি লোকালয়ে চলে আসে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৩, ২০২১ ১২:১০ অপরাহ্ন
সৈয়দপুর বিমানবন্দরের রানওয়েতে শিয়াল আতঙ্ক
প্রাণ ও প্রকৃতি

সৈয়দপুর বিমানবন্দরে প্রতিদিন ১৫ থেকে ১৬টি উড়োজাহাজ ওঠানামা করে। কিন্তু নানা কারণে বিমানবন্দরের রানওয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে বিমানবন্দরে নিরাপত্তা প্রাচীরের নিচের ফাঁকা জায়গা দিয়ে অনায়াসেই ভেতরে ঢোকা যায়। অনেকে ভেতরে ঢুকে ঘাসও কাটেন। বিমানবন্দরের আশপাশের জঙ্গল থেকে শিয়ালসহ বিভিন্ন জীবজন্তু প্রায়ই রানওয়েতে উঠে পড়ে। বিমানবন্দরের একাধিক কর্মকর্তা মনে করেন, এসব কারণে যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

সৈয়দপুর বিমানবন্দর নিয়ে আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের-৪ (এপিবিএন) অধিনায়ক জয়নুল আবেদীনের পক্ষ থেকে গত ২৬ অক্টোবর একটি চিঠি দেওয়া হয়। পুলিশ সদর দপ্তর ও সিভিল এভিয়েশন অব বাংলাদেশে (সিএএবি) পাঠানো ওই চিঠিতে বিমানবন্দরের নিরাপত্তার ঝুঁকির বিষয়টি উঠে আসে।

জয়নুল আবেদীন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, বিমানবন্দরের সীমানা প্রাচীরের নিচে ফাঁকা থাকা এবং ড্রেন খোলা হওয়ায় প্রতিদিন বাইরের লোকজন ভেতরে প্রবেশ করে ঘাস কাটে। যে কোনো দুষ্কৃতকারী রানওয়েতে ঢুকে দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। তাই সীমানা প্রাচীর সংস্কার করা প্রয়োজন। বিমানবন্দর এলাকার চারদিকে ও রানওয়েতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নেই। সীমানা প্রাচীরের নিচে খোলা ও চারপাশে জঙ্গল থাকায় বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণের সময় শিয়াল বা যে কোনো বন্যপ্রাণী দ্বারা উড়োজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলেও চিঠিতে আশঙ্কা করা হয়।

নিরাপত্তা প্রাচীরের নিচে সুড়ঙ্গ আছে স্বীকার করে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক সুপ্লব কুমার ঘোষ বলেন, এলাকাবাসী এটা করেছে। তারা সুড়ঙ্গ করে ভেতরে ঢোকে। অনুমোদন পেলে প্রাচীরের সুড়ঙ্গ বন্ধসহ নিরাপত্তা বাড়ানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সৈয়দপুর বিমানবন্দরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে ‘সেন্ট্রি পোস্ট’ ও ‘ওয়াচ টাওয়ার’ নির্মাণ করতে হবে। উড়োজাহাজ উড্ডয়ন-অবতরণের সময় যাত্রীদের লাগেজসহ মালামাল আরও ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। বাড়াতে হবে পার্কিং এলাকায় টহল ও ভিআইপি গেটসহ প্রবেশমুখের নিরাপত্তা। সিভিল এভিয়েশনের সিসি ক্যামেরা ভাগাভাগিসহ নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সহযোগিতা ও সমন্বয়ও জরুরি।

জানা গেছে, ২০১২ সালে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করা হয়। সাত বছর না যেতেই ২০১৯ সালের ২৪ আগস্ট প্রাচীরের ১০০ ফুট ধসে পড়ে। বিভিন্ন অংশে ফাটলও দেখা দেয়। নিম্নমানের হওয়ায় ২০১৭ সালেও প্রায় ১২০ ফুট সীমানাপ্রাচীর ধসে পড়েছিল।

এদিকে ঢাকার বাইরের বিমানবন্দরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে গতকাল বিকালে রাজধানীর কুর্মিটোলা সিভিল এভিয়েশনের প্রধান কার্যালয়ে বৈঠক হয়। তাতে সভাপতিত্ব করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। বৈঠকে ঢাকার বাইরের বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। বিমানবন্দরের চারদিকে নিরাপত্তা প্রাচীর নির্মাণ, প্রাচীরের সুড়ঙ্গ বন্ধ করা, ভেতরে যাতে মানুষ ও জীবজন্তু প্রবেশ করতে না পারে, দেওয়া হয় সেই নির্দেশনাও

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২, ২০২১ ৬:৪৭ অপরাহ্ন
দেশে প্রথম মেছো বিড়াল হত্যার সাজা
প্রাণ ও প্রকৃতি

মৌলভীবাজারে একটি মেছো বিড়াল হত্যার ঘটনায় মামুন মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে শাস্তি দিয়েছেন আদালত। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী ।

বিড়ালটি হত্যার এক বছর পর মামুনকে সাজা হিসেবে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আদালত সূত্র জানিয়েছে, মেছো বিড়াল হত্যার ঘটনায় এই প্রথম বন আদালতে কাউকে সাজা দেওয়া হলো।মৌলভীবাজার বন আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান গত সোমবার মামুন মিয়াকে সাজা দেন।

জানা যায়, ২০২০ সালের নভেম্বরে বাড়ির পুকুরে মাছ খাওয়ার সময় সহযোগীদের নিয়ে মেছো বিড়ালটি হত্যার অভিযোগ ওঠে মামুনের বিরুদ্ধে। তিনি মৌলভীবাজারের রাজনগরের কাজীরহাট গ্রামের বাসিন্দা।

বন বিভাগের বন মামলা পরিচালক জুলহাস উদ্দিন সাজার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মামুন মিয়া আদালতে দোষ স্বীকার করেছেন।

বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, মেছো বিড়াল হত্যা বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কাজীরহাটে মেছো বিড়ালটি হত্যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সে সূত্র ধরে মামুনকে শনাক্ত করা হয়। পরে এ ঘটনায় মামলা করেন বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের ফরেস্টার মো. আনিসুজ্জামান।

২০২০ সালের নভেম্বরে বাড়ির পুকুরে মাছ খাওয়ার সময় সহযোগীদের নিয়ে মেছো বিড়ালটি হত্যার অভিযোগ ওঠে মামুন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তিনি মৌলভীবাজারের রাজনগরের কাজীরহাট গ্রামের বাসিন্দা।ঘটনার তদন্ত ও স্থানীয় লোকজনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর বন আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় রাজনগর থানা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২, ২০২১ ১১:২৫ পূর্বাহ্ন
চট্টগ্রামে বৈদ্যুতিক তারের ফাঁদ পেতে আরেকটি হাতি হত্যা
প্রাণ ও প্রকৃতি

চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার আনুমানিক ২২ বছর বয়েসী হাতিটির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। বৈদ্যুতিক শকে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে।ময়নাতদন্ত শেষে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এর আগে গত ৬ নভেম্বর সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নে ধান ক্ষেতে বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে একটি হাতির মৃত্যু হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১, ২০২১ ৩:২০ অপরাহ্ন
সুন্দরবনে বছর জুড়ে হরিণ শিকার
প্রাণ ও প্রকৃতি

বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন। এই বনের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে রয়েছে উপকূলের মানুষের জীবন-জীবিকা। সেই সাথে একই বনে বসবাস নানান প্রজাতির প্রাণীর। কিন্তু বনে থেকেও নিরাপদ নেই প্রাণীরা। অনিরাপদ প্রাণিদের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে হরিণ। সারা বছর ধরেই চলতে থাকে হরিণ হত্যা।

হরিণের মাংসের কদর অনেক বেশি। খুব সামান্য চেষ্টায় মেলে হরিণের মাংস। শিকার কিংবা হত্যা নিষিদ্ধ হলেও মাংস বিক্রির জন্য সারা বছর ধরে চলে হরিণ নিধন। কিন্তু হঠাৎ করেই সুন্দরবনে হরিণ শিকারের হার উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। শিকারিদের ধরতে সুন্দরবনে স্মার্ট প্যাট্রল এবং বন বিভাগের টহল বহাল থাকলেও অদৃশ্য কারণে শিকার কমছে না।

এদিকে অভিযোগে উঠে এসেছে, বন বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রভাবশালী, স্থায়ী জনপ্রতিনিধির কিছু সদস্যদের সাহায্য নিয়ে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে এই হরিণ হত্যা চলছে। শুধু তাই নয়, হরিণ হত্যা করে বনেই মাংস কেটে প্যাকেট করে থাকে শিকারিরা। প্যাকেটের জন্য তারা ককশিটেরও ব্যবহার করে থাকে।

স্থানীয়ভাবে হরিণের মাংস ৩০০-৭০০ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে। কিন্তু প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এবং কিছুটা ঝুঁকি নিয়ে শহরে নিয়ে বিক্রি করলে কেজিতে পাওয়া যায় ১৫০০-২০০০ টাকা। এছাড়াও শৌখিন কিংবা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা যেমন হরিণের মাংসের কদর করে থেকে, ঠিক তেমনি তাদের কাছে হরিণের চামড়া এবং শিং সংগ্রহ করতেও আগ্রহী হয়ে থাকে।

করোনাভাইরাসের প্রকোপে জাতীয় চিড়িয়াখানায় প্রজনন বেড়ে হরিণের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও সুন্দরবনের চিত্র পুরোটাই বিপরীত। সুন্দরবনে হরিণের মোট সংখ্যা এখন পর্যন্ত সঠিকভাবে জানা যায়নি। কেননা ১৯৯৫-৯৬ সালে সর্বশেষ জরিপ করা হয়েছিল। তখন হরিণের সংখ্যা ছিল প্রায় দেড় লাখ। এদিকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে সেই সংখ্যা এখন একই রয়েছে। হরিণ নিধন হতে থাকায় ২৪ বছরেও সেই সংখ্যা বাড়েনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৩০, ২০২১ ১২:২৯ অপরাহ্ন
খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে বিরল প্রজাতির মুখপোড়া হনুমান
প্রাণ ও প্রকৃতি

পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় হঠাৎ দেখা মিলেছে বিরল প্রজাতির একটি দলছুট মুখপোড়া হনুমানের। খাবারের সন্ধানে হন্যে হয়ে ছুটছে বাসা-বাড়ি, দোকানপাট ও হাট-বাজারে। এই বন্য প্রাণীকে অনেকেই দিচ্ছেন সাধ্যমতো খাবার কিনে।

সোমবার দুপুরে উপজেলার কলোনি বাজার এলাকায় মুখপোড়া হনুমানটি দেখা যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন হনুমানটিকে সিঙ্গারা, রুটি, বিস্কুট দিলে তা সাদরে গ্রহণ করে খেতে শুরু করে।

জানা যায়, বেশকিছু দিন থেকেই জেলার বিভিন্ন স্থানে দেখা মিলছে হনুমানটির। হঠাৎ করেই লোকালয়ে আসা হনুমানটির লাফ-ঝাঁপ দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় জমালে, প্রাণের ভয়ে নিজের স্থান পরিবর্তন করছে সে।

স্থানীয় বাসিন্দা বাইজিদ জানান, গত দুই দিন ধরে উপজেলার কলোনি বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছে হনুমানটি। শুনেছি যশোর থেকে আসা ফল বা সবজির ট্রাকে এসেছে প্রাণীটি।

বন বিভাগের বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনা কার্যালয়ের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) নির্মল কুমার পাল বলেন, হনুমানটি খাদ্যের অভাবে দলছুট হয়ে এ এলাকায় চলে এসেছে। এরা সারা দেশজুড়ে বিচরণ করে। হয়তো যেখান থেকে এসেছে সেখানে চলে যাবে। তবে প্রাণীটিকে বিরক্ত না করার আহবান জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২৯, ২০২১ ১:২৯ অপরাহ্ন
চলনবিলে পাখি শিকারিদল আটকের পর মুচলেকায় ছাড়া
প্রাণ ও প্রকৃতি

নাটোরের সিংড়ার চলনবিলে কোন দিন পাখি শিকার করবো না ও পাখি রক্ষায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবো মর্মে মুচলেকা নিয়ে সোমবার তিনজন পাখি শিকারিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অবমুক্ত করা হয়েছে পাঁচটি পাখি ও আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে পাখি শিকারের দশটি (দুই হাজার ফুট) কারেন্ট জাল।

চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জানান, সোমবার কাক ডাকা ভোরে উপজেলার খরসতি বিলের দুর্গম এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয় কারেন্ট জাল ও পাখি। তারা হলেন- খরসতি গ্রামের হাসান আলী, ফিরোজুল ও সজিব ইসলাম।

পরে স্থানীয় তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিনের জিম্মায় আটক পাখি শিকারিদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। পাখি শিকার রোধে বিভিন্ন বাজারে পথসভা ও প্রচারণা চালানো হয়। এই প্রচারণায় পরিবেশবাদী সংগঠন চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সদস্য, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ গ্রাম্য প্রধানবর্গ অংশ নেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২৯, ২০২১ ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন
হাতির বিরুদ্ধে জিডি
প্রাণ ও প্রকৃতি

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় গোলা ভেঙে ১৫০ আড়ি ধান নষ্ট করার অভিযোগে হাতির বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন এক কৃষক।

গত শনিবার উপজেলার জ্যৈষ্ঠপুরা গ্রামের কৃষক নিপুল কুমার সেন বোয়ালখালী থানায় জিডি করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাহাড় থেকে মাঝে মাঝে বন্যহাতি লোকালয়ে এসে ফসলের ক্ষতি করে। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার ভোরে জ্যৈষ্ঠপুরা এলাকায় হাতি প্রবেশ করে। এ সময় ওই এলাকার কৃষক নিপুল কুমারের গোলা ভেঙে সব ধান খেয়ে ফেলে। পরে লোকজন হাতিগুলোকে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেয়।

এ বিষয়ে বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল করিম জানান, গোলা ভেঙে ধান নষ্ট করার অভিযোগে নিপুন কুমার নামে এক কৃষক হাতির বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করেছেন। বিষয়টি কী করা যায় দেখছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২৮, ২০২১ ১:০২ অপরাহ্ন
মাছিবাহিত রোগে বাঘ শাবক দুর্জয়-অবন্তিকার মৃত্যু
প্রাণ ও প্রকৃতি

রাজধানীর মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানায় মারা গেল রয়েল বেঙ্গল দম্পতি টগর ও বেলির ঘরে জন্ম নেয়া ছয় মাসের বাঘ শাবক দুর্জয় ও অবন্তিকা। শনিবার (২৭ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর আবদুল লতিফ।

লতিফ জানান, গত ১৫ নভেম্বর শাবক দুটিকে খুঁড়িয়ে হাঁটতে দেখার পর, তাদের চিকিৎসার উদ্যোগ নেয় চিড়িয়াখানা মেডিক্যাল বোর্ড। পরে তাদের রক্ত পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় রক্তে মাছিবাহিত পরজীবী ধরা পড়লে তাদের চিকিৎসাও শুরু হয়।

শাবক দুটির চিকিৎসায় গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক থেকেও একজন চিকিৎসককে যুক্ত করে চিড়িয়াখানার মেডিক্যাল বোর্ড। যে রোগে বাঘ ছানা দুটি আক্রান্ত হয়েছিল, সেটিকে মানব শরীরের ডেঙ্গুর সঙ্গেও তুলনা করেন আবদুল লতিফ।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুর্জয় ও অবন্তিকাকে আর বাঁচানো যায়নি। গত ২১ নভেম্বর মারা যায় দুই শাবকই।

করোনা মহামারিতে দেশজুড়ে যখন লকডাউন চলছিল, তখন চিড়িয়াখানার নিরিবিলি পরিবেশে জন্ম হয় শাবক দুটির। বাঘ দম্পতি টগর আর বেলী হলো তাদের বাবা-মা। বাঘিনী বেলীর জন্ম ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর ও বাঘ টগরের জন্ম ২০১৭ সালের ১ মার্চ। চলতি বছরের ২৬ মে প্রথমবারের মতো সন্তান প্রসব করে এই বাঘ দম্পতি। তবে দুর্জয় ও অবন্তিকার খবরটি গণমাধ্যমে দেয়া হয় ১৬ আগস্ট।

মৃত্যুর আগে মা বেলীর সঙ্গে থাকত দুর্জয় ও অবন্তিকা। তাই মাছিবাহিত রোগে ছানা দুটির মৃত্যুর পর মা বাঘটিকেও বিচ্ছিন্ন করে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এমনকি বাঘিনী বেলীকে এই মুহূর্তে দর্শনার্থীরাও দেখার সুযোগ পাচ্ছেন না।

বাঘ শাবকের মৃত্যুতে কিউরেটর আবদুল লতিফ কিছুটা বিষাদগ্রস্ত হলেও জানালেন আশার কথা। শিগগিরই চিড়িয়াখানায় নতুন ব্যাঘ্র শাবক যুক্ত হবে বলে নিশ্চিত করেছেন। তবে এই বিষয়ে এখনই বিস্তারিত কিছু জানাতে চাননি তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২৮, ২০২১ ১২:৪১ অপরাহ্ন
হাতি হত্যার প্রতিবাদে ৩৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের অবস্থান কর্মসূচি
প্রাণ ও প্রকৃতি

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া হাতি হত্যাসহ বিভিন্ন সময় বন্যপ্রাণী হত্যা ও বন উজাড় প্রতিরোধে বন অধিদপ্তরের ব্যর্থতা, এসব ঘটনায় বন সংশ্লিষ্টদের জনগণের কাছে জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ এবং সমস্যাগুলো দূর করে দ্রুত বন্যপ্রাণীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে ৩৩টি পরিবেশবাদী সংগঠন যৌথভাবে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বন অধিদপ্তরের সামনে দিনভর অবস্থান নিয়ে সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে।

একই সঙ্গে বন ও বন্যপ্রাণীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থতার জন্য বর্তমান বন ব্যবস্থাপনার প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করে বন অধিদপ্তরে একটি পত্রও পাঠিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

হাতিসহ বন্যপ্রাণীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে গত ২৪ নভেম্বর ৭টি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত হয় বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোট। নবগঠিত জোটটি বন ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিলে এতে একাত্মতা ঘোষণা করে এই ৩৩টি পরিবেশবাদী সংগঠন ও ১২ জন বিশেষ ব্যক্তি।

ঘোষণা অনুযায়ী, রোববার (২৮ নভেম্বর) সকাল ৯টায় বন ভবন এলাকায় মানববন্ধনের মাধ্যমে শুরু হয় কর্মসূচি। জোটের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদারের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন জোট নেতারা। পরে দিনব্যাপী অবস্থান নিয়ে হাতির বিচরণ এলাকার চিত্রাঙ্কন, গান, কবিতা ও বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন তারা।

এ সময় বন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে একটি কার্যকরি কমিশন গঠনসহ বন বিভাগের সক্ষমতা এবং জবাবদিহিতা বাড়ানোর দাবি তুলে ধরছেন বক্তারা।

বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোটের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশকারী ৩৩টি সংগঠনের মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতি (বেলা), বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস), পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), পিপল ফর এনিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন, সেভ আওয়ার সি, নোঙর বাংলাদেশ, ডীপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ ফাউন্ডেশন।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop