৪:৩১ পূর্বাহ্ন

রবিবার, ১৭ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : নভেম্বর ৪, ২০২১ ৮:৩২ পূর্বাহ্ন
জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা সৃষ্টিতে বাংলাদেশকে সাহায্য করতে অস্ট্রেলিয়ার আগ্রহ প্রকাশ
প্রাণ ও প্রকৃতি

অস্ট্রেলিয়া জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা সৃষ্টি ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে সাহায্য করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন মঙ্গলবার কপ-২৬ এর সাইডলাইনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে এ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তিনি আরো বলেন, উভয় নেতা দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। তারা বিশেষভাবে জলবায়ু সহযোগিতা ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার দেশ জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা সৃষ্টি ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে বিশেষভাবে সহায়তা করবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতিগ্রস্ত দেশ। অস্ট্রেলিয়ারও দাবানল, বন্যাসহ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চরম ক্ষতির অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই উভয় দেশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাবের বিরুদ্ধে স্থিতিস্থাপকতা গঠনে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে পারে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ঐতিহাসিকভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী নয়। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক প্রভাবের সম্মুখীন বাংলাদেশ। তিনি বলেন, এ পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে প্রধান প্রধান কার্বন নির্গমনকারী উন্নত দেশগুলোর উচিত জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রয়োজনে সাড়া দেয়া। উন্নত দেশগুলোকে অবশ্যই তাদের প্রতিশ্রুত ১শ’ বিলিয়ন ডলার জলবায়ু তহবিল ছাড় দেয়া এবং এটি বাস্তবায়ন করা উচিত।

শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব, স্থিতিস্থাপকতা সৃষ্টি এবং কভিড-১৯ উত্তর পুনরুদ্ধারে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রতি কার্যকর সাড়া দিয়ে গ্রীন ও ক্লিন প্রযুক্তি স্থানান্তরের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা ইস্যুতে অব্যাহত সমর্থনের জন্য অস্ট্রেলিয়াকে ধন্যবাদ জানান। ২০১৭ সাল থেকে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে কোন অগ্রগতি না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা মিয়ানমারের ওপর আরো আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগে ভূমিকা রাখতে অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আহ্বান জানান।বাসস

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৩, ২০২১ ৯:১২ পূর্বাহ্ন
জলবায়ু পরিবর্তনে নারী নেতৃত্ব নিশ্চিতের ওপর জোর দেয়া হয়েছে
প্রাণ ও প্রকৃতি

জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যা মোকাবেলায় নারী ও বালিকাদের নেতৃত্ব নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বিশ্ব নারী নেতৃবৃন্দ আজ একটি ঘোষণাপত্র গ্রহণ করেছেন।

তারা বলেন “আমরা বিশ্বাস করি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই অবশ্যই লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হতে হবে এবং একমত যে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টা সফল করতে নারী ও বালিকাদের নেতৃত্ব নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক।”

গ্লাসগোতে স্কটিশ প্যাভিলিয়নে কপ২৬ ওয়ার্ল্ড লিডার্স সামিটের সাইডলাইনে অনুষ্ঠিত নারী ও জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত উচ্চ-স্তরের প্যানেলে ‘গ্লাসগো উইমেন লিডারশিপ অন জেন্ডার ইকুয়ালিটি অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ’ ঘোষণাটি গৃহীত হয়।

জলবায়ু পরিবর্তন এবং এর লিঙ্গগত প্রভাব মোকাবেলায় নারী নেতৃত্বের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনার জন্য স্কটিশ কর্তৃপক্ষ এবং ইউএন উইমেন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও ইউএন উইমেনের নির্বাহী পরিচালক সিমা সামি বাহাউস, এস্তোনিয়ান প্রধানমন্ত্রী কাজা ক্যালাস, তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু এবং আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্যাট্রিন জ্যাকবসদোত্তির।

ঘোষণাপত্রে নারী নেতৃবৃন্দ বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তন একটি জরুরি মানবাধিকার সমস্যা যা জীবন, স্বাস্থ্য, খাদ্য, পানি ও স্যানিটেশন, শালীন কাজ এবং ব্যক্তি ও সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রার পর্যাপ্ত মানের মৌলিক অধিকারের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে। বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন লিঙ্গ বৈষম্য সহ বিদ্যমান বৈষম্যকে আরও বাড়িয়ে তোলে।”

তারা মনে করেন যে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইটি অবশ্যই লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হতে হবে এবং একমত যে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টা সফল হলে নারী ও মেয়েদের নেতৃত্ব নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক।

তারা মতামত দেন যে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নারী ও বালিকারা সাধারণত অসমভাবে প্রভাবিত হয় এবং এর প্রভাব থেকে বিশেষ করে দারিদ্রের পরিস্থিতিতে বেশি ঝুঁকি ও বোঝার সম্মুখীন হয়।-বাসস

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ৩০, ২০২১ ২:০৪ অপরাহ্ন
ম্যানগ্রোভ সম্পদ মূল্য বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ তৃতীয়
প্রাণ ও প্রকৃতি

গত প্রায় দুই যুগে বাংলাদেশের ম্যানগ্রোভ (প্রাকৃতিক বন) সম্পদের মূল্য লাফিয়ে বেড়েছে। এ খাতে সম্পদ মূল্য বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ ১৯টি দেশের মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। তালিকায় শীর্ষে চীন এবং ভিয়েতনাম দ্বিতীয়। বিশ্বব্যাংকের বুধবার প্রকাশিত ‘দ্য চেঞ্জিং ওয়েলথ অব নেশন-২০২১’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। এতে বাংলাদেশের মোট সম্পদের একটা ধারণা দেওয়া হয়েছে।

১৯৯৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১৪৬টি দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ, মানবসম্পদ, উৎপাদিত সম্পদ ও বিদেশে থাকা সম্পদের তথ্য পর্যালোচনা করে বিশ্বব্যাংক এ প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদনে প্রথমবারের মতো ম্যানগ্রোভ এবং সমুদ্রের মৎস্যকে প্রাকৃতিক সম্পদে জন্য হিসাব করা হয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের মতে, বাংলাদেশে বর্তমানে মাথাপিছু সম্পদের পরিমাণ ১৯ হাজার ২৬৫ মার্কিন ডলার। প্রতি ডলার ৮৫ টাকা দরে হিসাব করলে দেশীয় মুদ্রায় তা দাঁড়ায় ১৬ লাখ ৩৭ হাজার ৫২৫ টাকা।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে মাথাপিছু সম্পদের মধ্যে উৎপাদিত সম্পদের বাজারমূল্য ৫ হাজার ৩৪৬ ডলার এবং প্রাকৃতিক সম্পদের মূল্য ২ হাজার ১৬৭ ডলার। এ ছাড়া বাংলাদেশে যে পরিমাণ চাষযোগ্য জমি রয়েছে, তার মাথাপিছু আর্থিক মূল্য ১ হাজার ৫০১ ডলার ও মানবসম্পদের মূল্য মাথাপিছু ১২ হাজার ৯৩৪ ডলার।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ম্যানগ্রোভ সম্পদের মূল্য ১৯৯৫ সালে ২০৪ কোটি ডলার থেকে ২০১৮ সালে বেড়ে এক হাজার ২২৩ কোটি ৬০ লাখ ডলারে উন্নীত হয়েছে। অর্থাৎ ২৩ বছরে এ খাতে সম্পদমূল্য বেড়েছে ৪০২ শতাংশ। একই সময়ে চীনে ম্যানগ্রোভ সম্পদের মূল্য বেড়েছে সর্বোচ্চ ৭৬৭ শতাংশ।

আর ভিয়েতনামে ৫৯১ শতাংশ। এছাড়া জাপানে ৩১১ শতাংশ, তাইওয়ানে ২৬৭ শতাংশ, ভারতে ১৯৪ শতাংশ ও ইন্দোনেশিয়ায় ১৪৩ শতাংশ বেড়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী ম্যানগ্রোভের মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি এ খাতে সুরক্ষার থাকা অন্যান্য সম্পদের দামও বেড়েছে। হেক্টর প্রতি বার্ষিক ম্যানগ্রোভ সম্পদের মূল্য ২৩ বছরের মধ্যে দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

ম্যানগ্রোভ সম্পদের মূল্য চীন, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ ও তাইওয়ানে সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বব্যাংক বলেছে, এসব দেশে ম্যানগ্রোভের আয়তন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং প্রতি বর্গকিলোমিটার সংরক্ষিত সম্পদের মূল্য বেড়েছে।

বিশ্বব্যাংক বলছে, বন্যা সুরক্ষার জন্য ম্যানগ্রোভের মূল্য সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে। মূল্য পরিবর্তন নির্ভর করে ম্যানগ্রোভের পরিমাণ, বন্যার ঝুঁকি এবং বন্যার কারণে ক্ষতির ঝুঁকিতে উৎপাদিত সম্পদহ বিভিন্ন কারণের ওপর।

যেমন-একটি দেশে বিস্তীর্ণ ম্যানগ্রোভ বন থাকতে পারে, কিন্তু যদি সেই বন বন্যার ঝুঁকি থেকে অনেক বেশি সম্পদ রক্ষা না করে, তবে সেটির মূল্য একটি ছোট ম্যানগ্রোভ বনের চেয়ে কম হবে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উপকূলীয় সুরক্ষার জন্য সামগ্রিকভাবে ম্যানগ্রোভ সম্পদের মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ম্যানগ্রোভ বনগুলো উপকূলীয় উন্নয়নের জন্য হুমকির সম্মুখীন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২৮, ২০২১ ৩:০৯ অপরাহ্ন
বনবিভাগের ব্যতিক্রমী অভিযানে, জীবন ফিরে পেল ৫ টি মেছোবিড়াল
প্রাণ ও প্রকৃতি

গতকাল ২৬ অক্টোবর বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, সিলেট (সদর দপ্তর- মৌলভীবাজার) এর আওতাধীন সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার লামা টোকের বাজারের দোড়গোড়ীয়া গ্রামে উক্ত ঘটনাটি ঘটে। জনৈক মো: ইউসুফ মিয়া নামে এক ব্যক্তি সকাল আনুমানিক পৌনে ১১ টার দিকে ফোনে অত্র বন বিভাগকে জানান যে, তাদের একটি লোহার খাঁচায় ০১ (এক)টি বাঘ (মেছো বিড়াল) ধরা পড়েছে এবং বন বিভাগকে তারা অনুরোধ করেন তা উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
সংবাদ পাওয়া মাত্র বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মহোদয় জনাব মো: রেজাউল করিম চৌধুরীর নির্দেশে তাৎক্ষনিক আমি মির্জা মেহেদী সরোয়ার, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তার নেতৃত্বে ০৫ সদস্যের একটি সশস্ত্র রেস্কিউ টিম গঠন করা হয়। রেস্কিউ টিমের অন্যান্য সদস্যের মধ্যে ছিলেন ফরেষ্টার জনাব মো: মিজানুর রহমান, ফরেষ্ট গার্ড মো: সাদেকুর রহমান, জুনিয়র ওয়াইল্ডলাইফ স্কাউট মো: শাহীন আলম, ও ড্রাইভার টিপলু দেব।

বেলা ১২:৩০ মি. দিকে মেছো বিড়ালটি উদ্ধারের উদ্দেশ্যে সরকারী গাড়ী যোগে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রেসকিউ টিম নিয়ে রওনা দেই। বেলা ২.০০ টার দিকে রেসকিউ টিম মধ্যিপথে পৌছলে মো: ইউসুফ মিয়া জানান যে, আঁটকে রাখা বাঘটি (মেছো বিড়ালটি) খাঁচার মধ্যে ২টি বাচ্চা প্রসব করেছে এবং বাইরে থাকা পুরুষ বাঘটি (মেছোবিড়ালটি) খাঁচার আশে পাশে ঘুরতে দেখা গেছে।
এই খবর পাওয়া মাত্র আমি পরামর্শের জন্য বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মহোদয়কে বিষয়টি জানাই এবং বলি যে, স্ত্রী মেছোবিড়ালটিকে বাচ্চাসহ উদ্ধার করে নিয়ে আসলে পুরুষ মেছোবিড়ালটি থেকে মেছোবিড়ালের পরিবারটি আলাদা হয়ে যাবে। বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মহোদয় কিছুক্ষণ পর রেসকিউ টিমকে জানান যে, স্থানীয় জনগনকে বিষয়টি ভালোভাবে বুঝিয়ে ঘটনাস্থলে আশেপাশেই বাচ্চাসহ মেছোবিড়ালটি অবমুক্ত করার জন্য। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌছতে পৌছতে মেছোবিড়ালটি ০৪ টি বাচ্চা প্রসব করে ফেলেছে।

বেলা পৌনে ৪:০০ টায় দিকে রেসকিউ টিম নিয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌছে আমরা দেখতে পাই যে, শতশত স্থানীয় জনসাধারণ মেছো বিড়ালটিকে বাঘ ভেবে চারপাশ ঘিরে রয়েছে এবং বাচ্চাগুলো মায়ের বুকের দুধ পান করছে। অতপর: রেসকিউ টিমের টিমলিডার হিসেবে আমি জনগণের উদ্দেশ্যে বলি, “আপনাদের ভীত সন্ত্রস্ত হওয়ার কিছু নেই, আঞ্চলিকভাবে একে মেছোবাঘ নামে ডাকলেও, এটি আসলে বাঘ নয়। এটি বিড়াল জাতীয় প্রাণী, এর প্রকৃত নাম মেছোবিড়াল। প্রাণীটি মানুষকে আক্রমন করে না, বরং এটি মানুষকে ভয় পায়।

তাছাড়া প্রাণীটি মাছ ছাড়াও ইদুর ও ফসলের ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে ফসলের উৎপাদন বাড়ায়। মেছোবিড়াল কৃষকের শত্রু নয় বরং এরা কৃষকের বন্ধু। তাছাড়া সৃষ্টিকর্তা প্রত্যেকটি প্রাণীকেই মানুষের কল্যানেই সৃষ্টি করেছেন। তাই এদের বাঁচানোর দায়িত্ব আমাদেরই। মেছোবিড়ালটি বন্দি অবস্থায় ০৪ টি বাচ্চা প্রসব করে আজ বিপদে রয়েছে। একে যদি তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া না হয় তাহলে মা সহ বাচ্চাগুলো মৃত্যুর মুখে পতিত হবে। এখন আপনারাই বলেন আমরা এখন কি করতে পারি।”
রেসকিউ টিমের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত জনগণের মাঝে সচেতনামুলক লিফলেট বিতরণ করেন। জনৈক মো: ইউসুফ মিয়াসহ সাধারণ জনগণ তাদের ভুল বুঝতে পারেন এবং বাচ্চাসহ মেছোবিড়ালটিকে ঘটনাস্থলের পাশ্ববর্তী বাশঁঝাড়ে অবমুক্ত করতে সকলেই একমত হন। অত:পর রেসকিউ টিমের সদস্যদেরকে বলি উৎসুক জনগনকে নির্দিষ্ট দুরূত্ব বজায় রেখে অবস্থান করতে এবং খাঁচার বাচ্চাগুলোসহ মা মেছোবিড়ালটিকে উপস্থিত স্থানীয় জনগণের সামনে অবমুক্ত করে দেই। বন্দি খাঁচার দরজা খুলতেই মা মেছোবিড়ালটি এক রুদ্ধশ্বাস মুক্তির দৌড় দেয়। আমি রেসকিউ টিমের সদস্যদের নিয়ে বাচ্চাগুলোকে তাদের মা (স্ত্রী মেছোবিড়াল) এসে নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে থাকি। অতপর: সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে সকলকে চমকে দিয়ে মেছোবিড়াল ছানাগুলোকে তাদের মা (স্ত্রী মেছোবিড়াল) এসে নিয়ে যায়।

রেসকিউ টিমের সদস্যরা ০৪ টি ছানা ও ০১ টি মাসহ মোট ০৫ টি মেছোবিড়ালের জীবন বাঁচাতে পেরে এক স্বস্থির নি:শ্বাস ফেলেন। অন্যদিকে সন্তানের প্রতি মায়ের আকুতি যে মানুষের মতই তা স্থানীয় জনগনও পুরোপুরি উপলদ্ধি করেন। সাথে সাথে তারাও ভবিষ্যতে কোন মেছোবিড়ালকে ধরবে না ও মারবে না বলে অঙ্গীকার করেন। “

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২৩, ২০২১ ৮:৩৩ অপরাহ্ন
রান্নার ঘরে মিলল বিষধর সাপ, উদ্ধার হলো ২০টি ডিম
প্রাণ ও প্রকৃতি

সিলেটের শাহপরান থানার এক বসতবাড়ি থেকে ২০ টি গোখরা সাপ ডিম উদ্ধার করা হয়েছে।গত ২১ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার গোখরা সাপের ডিম গুলো উদ্ধার করে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের  ভেটেরিনারি অনুষদের  শিক্ষক অধ্যাপক ড. সুলতান আহমেদ।পরে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণি অধিকার এবং জীববৈচিত্র সংরক্ষণ বিষয়ক সংগঠন ‘প্রাধিকার’ এর কাছে ডিম গুলো হস্তান্তর করা হয়।

ড. সুলতান বলেন, শাহপরানের  এক বসতবাড়ির রান্না ঘরে গোখরা সাপটি দেখতে পায় স্থানীয়রা । ঘরে সাপ ও বাচ্চা রয়েছে এমন খবর শুনে অনেকেই সেখানে ভিড় করে মা গোখরাকে মেরে ফেলে । পরে মাটি খুঁড়ে  ডিমগুলো উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া মা সাপটি  সাত ফুট লম্বা।

তিনি আরও বলেন, এটি মনোক্লেড কোবরা ,যা বাংলায় ‘গোখরা সাপ’ হিসেবে পরিচিত । এটি ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম বিষাক্ত সাপ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এ সাপটি ফসলের খেত, জলাভূমি, বন ও মানুষের বসতিতে বাস করে। নিশাচর এই সাপটি মাছ, ইদুর, ব্যাঙ, টিকটিকি, ছোট সাপ ইত্যাদি খেয়ে থাকে। সাপটি সারাদেশেই কমবেশি দেখা যায়।

প্রাধিকারের সদস্যরা বলেন, ২০ টি গোখরা সাপের ডিম ইনকিউবেটরে হেচিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা আশাবাদী ডিম  গুলো ফুটে বাচ্চা বের হবে।  সার্বক্ষনিক দেখা শোনা করছে আমাদের সদস্যরা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২২, ২০২১ ৫:০৯ অপরাহ্ন
লোকালয়ে অজগর, সুন্দরবনে অবমুক্ত
প্রাণ ও প্রকৃতি

পূর্ব সুন্দরবন থেকে লোকালয়ে আসা একটি বিশাল অজগর সাপ উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার (২২ অক্টোবর) সকালে সেটি সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বন সংলগ্ন খুড়িয়াখালী গ্রামের একটি বাড়ির পাশ থেকে ওয়াইল্ড টিমের সদস্যরা অজগরটি উদ্ধার করে।

পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা মো. আব্দুল মান্নান জানান, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ভোলানদী সাতরে অজগর সাপটি জামাল ফরাজির ঘরের পাশে অবস্থান নেয়। শব্দ পেয়ে ঘরের লোকজন বাইরে বের হয়ে অজগরটি দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তারা স্থানীয় বনসুরক্ষা কমিটি ওয়াইল্ড টিম ও টাইগারটিমের সদস্যদের খবর দেয়। খবর পেয়ে টিমের সদস্যরা বন বিভাগের সহায়তায় অজগরটি উদ্ধার করে।

শুক্রবার সকালে প্রায় ২০ ফুট লম্বা ৪০ কেজি ওজনের অজগরটিকে শরণখোলা রেঞ্জ অফিস সংলগ্ন বনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে ঐ স্টেশন কর্মকর্তা জানান।

বনবিভাগ ও এলাকাবাসীর ধারণা, ভোলা নদী ভরাট হয়ে সুন্দরবন ও লোকালয় প্রায় মিশে যাওয়ায় খাদ্যের সন্ধানে অজগরগুলো প্রায়ই গ্রামে চলে আসছে। এনিয়ে গত এক বছরে শতাধিক অজগর লোকালয় থেকে উদ্ধার করে বনে অবমুক্ত করা হয়েছে বলে তারা জানান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২০, ২০২১ ১:৪৮ অপরাহ্ন
ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা
প্রাণ ও প্রকৃতি

দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।

আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল. চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরণের বৃৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

আগামী তিনদিন বা ৭২ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে এই সময়ে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে।
এ ছাড়া সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চট্টগ্রামে ৩৩ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং আজকের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ২১ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

মঙ্গলবার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং আজ ঢাকায় সর্বনি¤œ তাপমাত্র রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

গত ২৪ ঘন্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ১৭৩ মিলিমিটার। এছাড়া চাঁদপুরে ১১১ মিলিমিটার এবং বরিশালে ৮৬ মিলিমিটার।

আবহাওয়া চিত্রের সংক্ষিপ্তসারে বলা হয়েছে, বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। মধ্য প্রদেশ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত আরেকটি লঘুচাপও বর্তমানে গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল থেকে বিদায় নিয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের অন্যত্র মোটামুটি সক্রিয় আছে এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে তা মাঝারী থেকে দূর্বল অবস্থায় রয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২০, ২০২১ ১:৩৩ অপরাহ্ন
ফজলি আম ও বাগদা চিংড়ি পাচ্ছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি
প্রাণ ও প্রকৃতি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ক্ষীরশাপাতি আমের পর এবার রসালো, আঁশবিহিন, আকারে বিশাল ফজলি আম এবং কালো ডোরা কাটা বাগদা চিংড়ি খুব শীঘ্রই জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেটর বা জি-আই সনদ পেতে যাচ্ছে।

সরকারের পেটেন্টস, ডিজাইন এবং ট্রেডমার্ক বিভাগের রেজিস্টার মোঃ আবদুস সাত্তার জানিয়েছেন, ফজলি আম ও বাগদা চিংড়ির জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিতে গেজেট প্রকাশ করা হয়ে গেছে।আর দিন পনেরোর মধ্যে সনদ দেবার কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে তিনি জানান।

 নিয়ম অনুযায়ী স্বীকৃতির জন্য আবেদন আসার পরে এই দুটি কৃষি পণ্যের ভৌগলিক নির্দেশক যাচাই করা হয়েছে, দুটি জার্নাল প্রকাশ করা হয়েছে।এই পণ্যের নির্দেশক নিয়ে এখনো কেউ আপত্তি করেনি। জার্নাল প্রকাশের দুই মাসের মধ্যে এটি নিজেদের বলে কেউ আপত্তি না করলে সনদ দেয়া হবে বলে তিনি জানান।ফজলি আমের জিআই সনদের আবেদন করেছিল ফল উন্নয়ন গবেষণা কেন্দ্র। আর বাগদা চিংড়ির জন্য আবেদন করে মৎস্য অধিদপ্তর।

ফজলি আমের ভৌগোলিক নির্দেশক স্বীকৃতির জন্য আবেদন করা হয় ২০১৭ সালের ৯ মার্চ। আবেদন করে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, রাজশাহী অফিস। অন্যদিকে বাগদা চিংড়ির ভৌগোলিক নির্দেশক স্বীকৃতির জন্য আবেদন করা হয় ২০১৯ সালের ২১ মে। আবেদন করে মৎস্য অধিদপ্তর। আমের মৌসুমের শেষের দিকে বাজারে আসা ফজলি পাশের দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও উৎপাদন হয়। আর লবণাক্ত পানির বাগদা চিংড়ি এশিয়ার বেশ কিছু দেশে হয়। কিন্তু এই কৃষিপণ্য দুটি কেন বাংলাদেশের জিআই সনদ কেন পাবে সেটি ব্যাখ্যা করেন মো. আবদুস সাত্তার। তিনি বলেন, যে পণ্য একটি অঞ্চলের ঐতিহ্যের অংশ সেটির ক্ষেত্রে এই সনদ দেয়া হয়। আবহাওয়া, মাটি, পানি ও ভৌগোলিক গঠনের উপরে যেকোনো কৃষিপণ্যের বৈশিষ্ট্য, ঘ্রাণ ও স্বাদ নির্ভর করে এবং নির্দিষ্ট অঞ্চলেই সেটা হবে। যেমন এশিয়ার বেশ কিছু দেশে ‘ব্ল্যাক টাইগার শ্রিম্প’ বা বাগদা চিংড়ি পাওয়া যায়। কিন্তু আমাদের এখানে যেটা হয় সেটার বৈশিষ্ট্য অন্য কোনোটার সঙ্গে মিলবে না। অন্য কোথাও চাষ হলেও সেটার স্বাদ ও ঘ্রাণ মিলবে না।

 পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তর সূত্র জানায়, প্রথম দফায় ৩টি পণ্যের ভৌগোলিক নির্দেশক স্বীকৃতি পায় বাংলাদেশ। এগুলো হচ্ছে- জামদানি, ইলিশ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ক্ষীরশাপাতি আম। দ্বিতীয় ধাপে ৬টি পণ্যের ভৌগোলিক নির্দেশক স্বীকৃতি মেলে। পণ্যগুলো হলো- ঢাকাই মসলিন, রাজশাহী সিল্ক, কালিজিরা চাল, দিনাজপুরের কাটারিভোগ, বিজয়পুরের (নেত্রকোনা) সাদামাটি ও শতরঞ্জি। এর সঙ্গে ফজলি আম ও বাগদা চিংড়ি যুক্ত হলে মোট জিআই পণ্য হবে ১১টি। জিআই সনদ পেলে ফজলি আম ও বাগড়া চিংড়ি উৎপাদন করার অধিকার এবং আইনি সুরক্ষা পাবে। অন্য কোনো দেশ আর সেগুলোকে নিজেদের বলে দাবি করতে পারবে না।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১৮, ২০২১ ৬:১৩ অপরাহ্ন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে জেব্রা পরিবারে নতুন অতিথি
প্রাণ ও প্রকৃতি

গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে জেব্রা শাবকের জন্ম হয়েছে। সোমবার (১৮ অক্টোবর) ভোরে শাবকটির জন্ম হয়।

পার্কের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক সারোয়ার হোসেন খান বলেন, নতুন জন্ম নেওয়া শাবকটি পুরুষ। এ পার্কে এর আগে ১৪ পুরুষ জেব্রা ছিল। ১৬ মাদিসহ এখানে বর্তমানে ৩১ জেব্রা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জেব্রাদের প্রধান খাবার ঘাস। আফ্রিকান এ জেব্রা পুরুষ চার ও মাদি তিন বছরে প্রজননের উপযোগী হয়। প্রাকৃতিক পরিবেশে এরা ২০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।

সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তবিবুর রহমান বলেন, কয়েকটি পালে জেব্রাগুলো নির্দিষ্ট এলাকায় ঘুরে বেড়ায়। পরিবেশ, খাদ্য ও নজরদারির কারণে এখানকার জেব্রার পরিবার ক্রমেই বড় হচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১৮, ২০২১ ৭:৩৬ পূর্বাহ্ন
রাসেল ভাইপারের কামড়ে পদ্মার চরে জেলের মৃত্যু
পাঁচমিশালি

রাজশাহীর বাঘায় পদ্মার চরে রাসেল ভাইপারের কামড়ে সুবহান উদ্দিন শেখ (৩৫) নামের এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। সুবহান উদ্দিন শেখ পদ্মার চকরাজাপুর ইউনিয়নের দাদপুর চরের তৌলিফ উদ্দিন শেখের ছেলে।

রোববার রাত ৮টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

সূত্র জানায়, সুবহান শেখ গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কালিদাসখালী পাকা রাস্তার পাশে পদ্মা নদীতে ছ্যাকনা জাল দিয়ে মাছ ধরতে যান। মাছ ধরার একপর্যায়ে হঠাৎ বিষধর রাসেল ভাইপার তাকে কামড় দেয়। ঘটনার পর তিনি চিৎকার দিলে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে। তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চারদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর রোববার রাত ৮টার দিকে তিনি মারা যান।

ঘটনা নিশ্চিত করে চকরাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুল আযম বলেন, সাপ কামড় দেওয়ার পর সুবহান চিৎকার করছিল। এ সময় এলাকার লোকজন এগিয়ে এসে তার পাশে থাকা সাপটিকে ধরে মেডিকেলে নিয়ে যায়। সাপটি দেখে চিকিৎসকরা চিকিৎসা দিয়েও তাকে বাঁচাতে পারেননি।

বিষাক্ত রাসেল ভাইপার এ বছর বন্যার পানিতে ভেসে এসে পদ্মার বিভিন্ন চরে আশ্রয় নিয়েছে। বর্তমানে চরের মানুষ আতঙ্কে রয়েছে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop