৩:৪৫ অপরাহ্ন

রবিবার, ১৭ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৪, ২০২২ ৩:২২ অপরাহ্ন
হালদা নদীকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণার দাবি
মৎস্য

হালদা নদীকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণার দাবির জন্য হালদা নদী রক্ষা কমিটির উদ্যাগে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের হাটহাজারীর গড়দুয়ারা নতুনহাট এলাকায় হালদা নদী (বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ) রক্ষায় মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ করার সবগুলো বৈশিষ্ট্য হালদা নদীতে রয়েছে। তাই বিশ্ব ঐতিহ্য রক্ষার স্বার্থে হালদা নদীকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা করা এখনমাএ সময়ের দাবি।

হালদা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মো. মনজুরুল কিবরীয়ার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলীর সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আইডিএফ’র নির্বাহী পরিচালক জহিরুল আলম।

হালদা নদী রক্ষা কমিটির আয়োজন ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন নর্থ আমেরিকা ইন্ক এর সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত সভায় অতিথি ছিলেন চবি এলামনাই এসোসিয়েশন নর্থ আমেরিকা ইন্ক উপদেষ্টা মাহমুদ আহমেদ, হালদা নদী রক্ষা কমিটির উপদেষ্টা আমেরিকান প্রবাসী মো. আবু ইউসুফ, আইডিএফ’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য প্রফেসর শহীদুল আমিন চৌধুরী, চবি এলামনাই এসোসিয়েশনের সদস্য মুবিনুল হক, বিএমএ জাতীয় কাউন্সিলর ডা. ইমতিয়াজ উদ্দিন নাহিদ, রাজিব চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক আবু তালেব, খোরশেদ আলম শিমুল, মনসুর আলী, ডিম সংগ্রহকারী কামাল উদ্দিন সওদাগর প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, হালদা নদীকে বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ ঘোষণা করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানান। এটি একটি সময়োপযোী সিদ্ধান্ত। এ নদীকে ঘিরে প্রশাসন, মৎস্য, পরিবেশ, বন, কৃষি, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরগুলো সমন্বিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ নদী শুধু রুই ও কাতলা জাতীয় মাছের প্রজননের জন্য নয়, হালদার সুপেয় পানি নিয়ে নগরীতে সরবরাহ দিচ্ছে চট্টগ্রাম ওয়াসা।

তাই হালদা নদী রক্ষায় সবাইকে কাজ করে যেতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৩, ২০২২ ৫:০৮ অপরাহ্ন
নদীতে মিলছে না মাছ, পেশা পরিবর্তনে জেলেরা
মৎস্য

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার মাঝিপাড়া গ্রামের বলরাম চন্দ্র। চার দশক ধরে যুমনা নদীতে মুঠোজাল দিয়ে মাছ ধরে তা বাজারে বিক্রি করে ছয় সদস্যের পরিবারের ব্যয়ভার বহন করে আসছেন। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে নদীতে চাহিদামতো মাছ মিলছে না। সারাদিন নদী, খাল-বিলে জাল ফেলেও দুই থেকে তিনশ’ টাকার মাছ ধরা না পাড়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন বলরামের মতো মাঝিপাড়ার হরিচন্দ্র, নিপেন, কার্তিকসহ অর্ধশত পরিবারের অভিবাবক জেলেরা।

বংশপরম্পরায় প্রাকৃতিক উৎস্য নদী, খাল-বিল থেকে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে জেলার সাত উপজেলার ৩৪ হাজার ২২৭ জন। আর মৎস্য অফিসের মাধ্যমে নিবন্ধিত মৎস্যজীবীর সংখ্যা ১৮ হাজার ৬৭৫ জন।

অথচ বর্তমানে মৎস্যজীবী পরিবারের সংখ্যা ৫ হাজারের বেশি হবে না বলে জানান ফুলছড়ির বালাসীঘাটের মৎস্যজীবী সমিতির সদস্য বিধান চন্দ্র। তিনি বলেন, নদী বা খাল-বিলের ওপর নির্ভর করে সংসার চালানো কঠিন। একারণে এই পেশা ছেড়ে মানুষজন ভিন্ন পেশায় সম্পৃক্ত হতে বাধ্য হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, মুক্ত জলাশয় এখন আর মুক্ত নেই, স্থানীয় প্রভাবশালীরা খাল-বিল দখল করে মাছ নিধন করছেন। যার ফলে, মুক্ত জলাশয়ে মাছ ধরা পেশার সঙ্গে সম্পৃক্তরা চরম কষ্টে দিনাতিপাত করছেন।

ফুলছড়ির গজারিয়া গ্রামের উৎপল চন্দ্র জানান, নদীতে মাছ ধরে আর সংসার চলে না। স্থানীয় লোকজন বিভিন্ন ধরনের জাল কিনে নদীতে মাছ ধরছেন। ক্রমান্নয়ে কমে যাচ্ছে মাছের পরিমাণ। এ কারণে একটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে মাছ ব্যবসায় সম্পৃক্ত হয়েছি। এতে সংসারের অভাব-অনটন কিছুটা কমেছে বলে তিনি জানান।

উত্তরাঞ্চলভিত্তিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা গণউন্নয়ন কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী এম. আবদুস সালাম জানান, এসব পরিবারের লোকজনের কোন আর্থিক সামর্থ্য, সঞ্চয় ও ভিন্ন কর্মদক্ষতা না থাকায় কষ্টে জীবনযাপন করছে।

তিনি মনে করেন, সময়ের বিবর্তনে এসব পরিবারের জীবনজীবিকার উন্নয়নে সরকারের বিশেষ দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। এজন্য তিনি জেলে পরিবারের শিশুদের শিক্ষা ও যুবদের কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ নিয়ে আয়-উপার্জনমূলক কর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া উচিত বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।

ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সাঈদ সরকার জানান, নদীর নাব্যসংকটে মাছের অভয়াস্থলও আর নেই। আর এর প্রভাব পড়েছে মৎস্যজীবী জেলে পরিবারগুলোতে। এসব পরিবারের লোকজন অনেকেই ভিন্ন পেশায় সম্পৃক্ত হচ্ছে বলে তিনি জানান।

তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এসব পরিবারের জীবনজীবিকার উন্নয়নে সরকারের বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৩, ২০২২ ৩:৫৫ অপরাহ্ন
শীতলক্ষ্যায় হরহামেশা মিলছে সাকার ফিশ
মৎস্য

নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে মাছের দেখা না মিললেও ক্ষতিকর সাকার ফিশের দেখা মিলছে অহরহ। জাল ফেললেই উঠে আসছে এই সাকার ফিশ। অনেক সময় হাত দিয়েও এই মাছটি ধরা যাচ্ছে। মাঝেমধ্যে পথশিশুরা হাত দিয়ে মাছ ধরে নদীর পাড়েই বসে পড়ছে বিক্রি করতে।

যদিও খুব কম মানুষই এই সাকার ফিশ কিনে থাকে। তবুও তারা কিছু টাকা পাওয়ার আশায় অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই হাত দিয়ে এসব মাছ ধরছে। কখনও কখনও সাকার মাছের কাটায় হাত কেটেও যাচ্ছে তাদের।

শীতলক্ষ্যা নদীতে প্রায় সময়ই মাছ ধরে থাকেন মজনু মিয়া। তিনি বলেন, শিল্প কারখানর বর্জের কারণে শীতলক্ষ্যা নদীর পানি নষ্ট হয়ে গেছে। যার কারণে নদীতে এখন আর মাছ পাওয়া যায় না। তবে ইদানিংকালে একটি কাটাওয়ালা মাছের দেখা মিলছে। লোকজনের মুখে শুনেছি এটাকে নাকি সাকার ফিশ বলে। এটা নাকি মাছের জন্য খুবই ক্ষতিকর। মনে হচ্ছে নদী ভরে গেছে এই মাছে। জাল ফেললেই এই মাছ উঠে আসছে।

পথশিশু সুজন জানায়, সে পলিথিন টোকাই। মাঝে মধ্যে নদীতে নামে। আর এ সময় হাতে পায়ে মাছের মতো কি জানি লাগে। পরে হাত দিলেই এই কাটাওয়ালা মাছ পায়। একদিন অনেকগুলো মাছ ধরে নদীর পাড়ে বসেছিল। কিন্তু কেউ কেনেনি।

নারায়ণগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আয়নাল হক বলেন, এই সাকার ফিশ খাওয়ার উপযোগী না। অন্য দেশ থেকে এই মাছগুলো আমাদের নদীতে চলে এসেছে। কোনোভাবেই এই মাছটিকে দমন করা যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে আমাদের বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এই সাকার ফিশটি অন্য মাছের খাবার খেয়ে ফেলে। ছোট মাছের ডিম খেয়ে ফেলে। এছাড়াও নদীর অন্যান্য উপাদানও খেয়ে ফেলে। এটা আমাদের জীব বৈচিত্রের জন্য ক্ষতিকর। তাই সবাইকে বলবো এই সাকার ফিশ থেকে সতর্ক থাকার জন্য।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১, ২০২২ ২:৩৩ অপরাহ্ন
পদ্মায় জাটকা নিধন, বিক্রি হচ্ছে হাটবাজারে
মৎস্য

ভেদরগঞ্জে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে জাটকা ইলিশ। নিষেধাজ্ঞার সময়ে ১ নভেম্বর থেকে পরবর্তী আট মাস ১০ ইঞ্চি বা ২৫ সেন্টিমিটার আকারের জাটকা আহরণ, পরিবহন, বিক্রি ও মজুত করা নিষিদ্ধ হলেও ভেদরগঞ্জে প্রায় মাছের সব আড়ত এবং হাট-বাজারে বিক্রি হচ্ছে জাটকা। উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের নিয়মিত অভিযান এবং তদারকি না থাকায় প্রকাশ্যে বাজারে জাটকা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে বলে দাবি সচেতন মহলের।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পদ্মা নদীর তীরে দুর্গম এলাকায় অস্থায়ী আড়ত বসিয়ে প্রকাশ্যেই বেচাকেনা করা হচ্ছে জাটকা। এসব জাটকা আবার মজুত করা হচ্ছে নদীর পাড়ের মাছঘাটগুলোতে। হাঁকডাক দিয়ে প্রকাশ্যেই চলছে জাটকা বেচাকেনা। অসময়ে ধরা পড়া এসব জাটকা বিক্রি হচ্ছে নামমাত্র মূল্যে। প্রতি হালি জাটকা বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৬০ টাকায়। এরপরও প্রশাসনের নজরদারি শুধু কাগজে-কলমে থাকায় হতাশ সচেতন মানুষ।

নড়িয়া উপজেলার ওয়াপদা থেকে ভেদরগঞ্জ উপজেলার উত্তর তারাবনিয়া পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার এলাকা জাটকার অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হয়েছে। জাটকার অভয়াশ্রমে এ সময় জাল ফেলা নিষেধ। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নড়িয়া উপজেলার ওয়াপদা, চণ্ডীপুর, সুরেশ্বর, বীরমইশাল, চরমোহন, মনিরাবাদ, ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাচিকাটা, চরভাঘা, গৌরঙ্গবাজার, দুলারচর ও স্টেশন বাজার এলাকায় অবাধে মাছ শিকার করা হচ্ছে। যার অধিকাংশই জাটকা। এসব জাটকা বিক্রির জন্য নৌপথে ট্রলারযোগে ঢাকার বিভিন্ন বাজারে নেওয়া হচ্ছে।

নড়িয়ার চরমোহন গ্রামের জেলে আবুল হাসেম বলেন, নদীতে মাছ শিকার করা ছাড়া আমাদের আর কোনো পেশা নেই। মাছ শিকার করে যা আয় হয় তা দিয়ে সংসার চালাতে হয়। তাই নিষেধাজ্ঞার সময়ও আমাদের জাল নিয়ে নদীতে নামতে হয়।

ভেদরগঞ্জের দুলারচর গ্রামের জেলে খবির উদ্দিন বলেন, বছরের অধিকাংশ সময় নদীতে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা থাকে। বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা না থাকাতে আমরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকার করছি।

ভেদরগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, জাটকা শিকার ও বিক্রি বন্ধের জন্য নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। প্রতিদিনই জেলেদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। তারপরও জাটকা শিকার বন্ধ করা যাচ্ছে না।

শরীয়তপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রণব কুমার কর্মকার বলেন, নদীতে ছোট ইলিশ ধরা এবং বিক্রি বন্ধ করতে সরকার নানাবিধ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সব ধরনের কারেন্ট জালের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অসাধু জাটকা ইলিশ ব্যবসায়ী এবং শিকারি জেলেদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ৩১, ২০২২ ৩:০০ অপরাহ্ন
কক্সবাজারের সাগরে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ
মৎস্য

শীতের মৌসুমের শেষদিকে কক্সবাজারের সাগরে ধরা পড়ছে বিপুল পরিমাণ ইলিশ মাছ। এতে খুশি জেলে ও ট্রলার মালিকরা। জেলার চাহিদা মিটিয়ে ইলিশ পাঠানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। গত এক সপ্তাহ ধরে গড়ে ৩০ মেট্টিক টন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ অবতরণ কেন্দ্রে এসেছে। বেশিরভাগই ইলিশ। এতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ২ লাখ টাকার বেশি।

কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর নুনিয়াছটা ফিশারিঘাট। মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত এই ঘাটের দৃশ্য এটি। ট্রলার থেকে মাছ নামিয়ে অবতরণ কেন্দ্রে আনার পর বেচা-বিক্রি চলছে পুরোদমে।

অবতরণ কেন্দ্রে অন্যান্য প্রজাতির মাছ থাকলেও অধিকাংশই ইলিশ। এগুলোর মধ্যে ৬০০ গ্রাম থেকে শুরু করে ২ কেজি ওজনের ইলিশও রয়েছে। প্রতি কেজি ৬০০ টাকা থেকে ১২শ’ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে এসব ইলিশ।

ট্রলারপ্রতি ৫ থেকে ১৫ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করার কথা জানায় ট্রলার মালিক ও ব্যবসায়ীরা।

কক্সবাজার ফিশারীঘাট মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক জানে আলম বলেন, সাগরে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। প্রতিটি বোট ৫ থেকে ১৫ লক্ষ টাকার মাছ বিক্রি করচে প্রতি ট্রিপে।

প্রতিদিন গড়ে ৩০ মেট্টিক টন মাছ ঘাটে আসছে। যেখান থেকে রাজস্ব আদায় ভাল হচ্ছে বলে জানায় মৎস্য অতরণ কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ।

কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো. এহসানুল হক চৌধুরী বলেন, আমাদের কেন্দ্রে ২৫- ৩২ মেট্রিক টন মাছ অবতরণ করছে। ২৫-৩০ হাজার টাকা আমরা রাজস্ব আদায় করতে পারছি।

জেলা মৎস্য বিভাগের তথ্য মতে, গত বছর জেলায় ১৫ হাজার ২৫৬ মেট্রিক টন ইলিশ ধরা হয়েছিল। এবার ইলিশ আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৭ হাজার মেট্রিক টন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ৩১, ২০২২ ২:০০ অপরাহ্ন
জেলের জালে ১০ মণের শাপলাপাতা মাছ
মৎস্য

পূর্ব সুন্দরবনের দুবলার চর সংলগ্ন গভীর বঙ্গোপসাগরের এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ১০ মণ ওজনের একটি বিশাল আকৃতির শাপলাপাতা মাছ।

রবিবার দিবাগত গভীর রাতে সাগরে জেলে কুতুবআলীর জালে মাছটি ধরা পড়ে। এরপর সোমবার সকালে মাছটি বিক্রির জন্য আনা হয় মোংলা পৌর শহরের প্রধান মাছ বাজারে।

এ সময় বিশাল আকৃতির মাছটি দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় জমে। মাছ বাজারের রাইজিং ফিস আড়ৎ মালিক দ্বীন ইসলাম ডাকের মাধ্যমে ৬৫ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন। তিনি মাছটি কেটে ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, সাগরে জেলের জালে ধরা পড়া মাছটি শাপলাপাতা মাছ নামে পরিচিত। স্থানভেদে কেউ কেউ এটিকে বাড়ুল মাছও বলে থাকেন।

তিনি আরও বলেন, সাগর-নদীতে সাধারণত মাটি ছুঁই ছুঁই করে এটি চলাচল করে। এই মাছটি সামুদ্রিক মাছ, উপকূলীয় এলাকায় বেশি দেখা যায়।

প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ হওয়ায় বাজারে মাছটির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ৩০, ২০২২ ২:২৯ অপরাহ্ন
মুন্সীগঞ্জের মাছের আড়তে তাজা মাছের সমাহার
মৎস্য

মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিমে ধলেশ্বরী তীরের এ মাছের হাটে ভোর থেকেই শুরু হয় ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়। যদিও স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই নেই।

এ যেন মাছের মেলা। খোলা মাঠের এ আড়তগুলোতে হরেক রকম মাছে ভরপুর। রুপালি ইলিশের পাশাপাশি কই, শিং, রুই, কাতল, চিতল আর বোয়াল ঘিরেও বেচাকেনার ধুম। মাছের সরবরাহ থাকায় দামও তুলনামূলক সস্তা। এ জন্য বরাবরই পাইকারি এ হাটের কদর বেশি। এ নিয়ে বিক্রেতারা জানান, খাল বিলের শিং, কই পাওয়া যাচ্ছে। এর জন্য ক্রেতার আনাগোনা বাড়ছে। এখানে সব ধরনের টাটকা মাছ পাওয়া যায়।

মিরকাদিম আড়তে প্রতি কেজি ইলিশ ৩০০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা, পাঙাশ ১১০ থেকে ১২০ টাকা, রুই ২২০ থেকে ২৮০ টাকা, কাতল ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৬৫০ থেকে ৬০০ টাকা, গুলসা টেংরা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, শোল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, গজার ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, টাকি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, পুঁটি ১১০ থেকে ১২০ টাকা, নলা ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, মলা ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, কাচকি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, চিতল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, ফলি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, চেউয়া ১২০ থেকে ৬০০ টাকা, পাবদা ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, চাষের কই ১২০ থেকে ১৮০ টাকা, দেশি কই ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, চাষের শিং ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, দেশি শিং ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি মাগুর ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, চাষের মাগুর ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, বোয়াল ৩৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, আইড় ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা, বাইলা ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, রুপচাঁদা ২৫০ থেকে ৬০০ টাকা, সুরমা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, ভোল পোয়া ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

আড়তের হরেক রকম তাজা মাছের বিষয়ে ক্রেতারা বলেন, এখান থেকে প্রতিদিন মাছ পাইকারি দরে কিনে নিয়ে যাই। পরে তা বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করি। এখানের বাজার ভালো।

তবে ধলেশ্বরীর নাব্য সংকট আর ভাঙা সরু সড়কটির কারণে শতাব্দী প্রাচীন এ হাটটি এখন রয়েছে বড় চ্যালেঞ্জে। এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম মৎস্য আড়তের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাজা মিয়া বলেছেন, নাব্যতার কারণে লঞ্চ আসতে পারে না। এখানে রাস্তাঘাটের অসুবিধা। রাস্তাঘাট ভাঙা। এদিকে খোলা আকাশের নিচে বৃষ্টিতে ভিজে ব্যবসায় করি। সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করি যেন এটি নিয়ে একটি পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, এখানে প্রায় ১৫ জেলা থেকে মাছ আসে। প্রতিদিন ভোরে ২ থেকে ৩ ঘণ্টায় এ হাটে বিক্রি হয় প্রায় এক থেকে দেড় কোটি টাকার মাছ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২৯, ২০২২ ২:৫০ অপরাহ্ন
ফিরছে ইলিশের হারানো মৌসুম
মৎস্য

নির্বিঘ্ন প্রজনন, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণের কারণে গত কয়েক বছরে দেশে ইলিশের শানশওকত বেড়েছে। ওজনে-আকৃতিতে যেমন পুষ্ট হয়েছে, তেমনি উৎপাদন বেড়েছে দ্বিগুণ। ফলে বর্ষা মৌসুমকেন্দ্রিক ইলিশ এখন বছরজুড়েই কমবেশি পাওয়া যাচ্ছে। তার সঙ্গে জাতীয় মাছের আরেক বর্ধিত মৌসুম যোগ হয়েছে শীতে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ইলিশের এ সাফল্যের ধারাবাহিকতা ম্লান হয়ে যেতে পারে নির্বিচার জাটকা নিধনের কারণে।

বিশেষজ্ঞদের এ আশঙ্কার সত্যতা মিলেছে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের পাইকারি ও খুচরা বাজারগুলো ঘুরে। গত বুধ বৃহস্পতিবার বরিশাল নগরের কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, এসব বাজার রুপালি ইলিশে ঠাসা। বড় ইলিশের পাশাপাশি ঝাঁপিতে সাজানো অসংখ্য জাটকাও চোখে পড়ল।

কয়েক বছর ধরে শীতে ইলিশের প্রাচুর্য পর্যবেক্ষণ করে মৎস্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকেও দেশে শীত মৌসুমে ইলিশের একটি বর্ধিত মৌসুম ছিল। কিন্তু নির্বিচার জাটকা নিধনের ফলে তা লোপ পায়। এরপর দেশে ইলিশের মাত্র একটি মৌসুম ছিল, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর। ঘূর্ণিঝড় সিডরের পর এ মৌসুমেও হেরফের লক্ষ করা যায়। দেখা যায়, বৃষ্টিপাতে হেরফেরের কারণে তা আগস্টের শেষ থেকে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে সরে গেছে।

আন্তর্জাতিক মৎস্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড ফিশের ইকোফিশ প্রকল্পের প্রধান ও মৎস্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আবদুল ওয়াহাব বলেন, প্রায় এক যুগ ধরে ইলিশের নতুন নতুন অভয়াশ্রম এলাকা ঘোষণা করা ও সমুদ্রে ৬৫ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ করার পর ইলিশের উৎপাদনে গুণগত ও পরিমাণগত পরিবর্তন এসেছে। ফলে শীতকালে এত ইলিশ ধরা পড়ছে।

বরিশালের পাইকারি বাজার পোর্ট রোডে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে প্রায় দেড় হাজার মণ ইলিশ এসেছে। এর মধ্যে ৫০ মণ বড়, আর বাকি সব জাটকা। এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ প্রতি মণ ৪৮ থেকে ৫০ হাজার, এক কেজি ওজনের ৪৫ হাজার, ৬০০ গ্রাম থেকে ৯৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি মণ ৩৩ হাজার ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম মণ ২৫ থেকে ২৬ হাজার টাকা, ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৩ হাজার, ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম ওজনের প্রতি মণ ৮-১০ হাজার এবং ১২ থেকে ১৪টায় এক কেজি হয় এমন ওজনের ইলিশ প্রতি মণ ৬ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তর জানায়, কয়েক বছর ধরে বরিশাল বিভাগ দেশের মোট ইলিশের ৬৬ ভাগের জোগান দিচ্ছে। এ পরিমাণ প্রায় সাড়ে তিন লাখ মেট্রিক টন। এতে শীত মৌসুমের বড় একটা অংশ যোগ হচ্ছে। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বিভাগের বিভিন্ন নদ-নদীতে ১৯ হাজার ৫৯১ মেট্রিক টন ইলিশ পাওয়া যায়। ২০১৯ সালে কিছুটা কম থাকলেও এই সময়ে ১৭ হাজার মেট্রিক টনের মতো ইলিশ মিলেছিল। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ৯ হাজার ৬৫৭ মেট্রিক টন, ২০১৭–তে ১২ হাজার ২০ মেট্রিক টন এবং ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে ২০ হাজার ৩৪৭ মেট্রিক টন ইলিশ ধরা পড়েছিল। তবে এ বছর শীত মৌসুমে ইলিশের উৎপাদন ২৫ হাজার মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যেতে পারে।

মৎস্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইলিশ সারা বছর ডিম ছাড়লেও ৮০ শতাংশ ইলিশ ডিম ছাড়ে আশ্বিনের পূর্ণিমায়। সে সময় (অক্টোবর মাস) ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার কারণে মা ইলিশ নিরাপদে ডিম ছাড়ে। ইলিশ যে পরিমাণ ডিম ছাড়ে, তা থেকে মাত্র ২ শতাংশ জাটকা টিকে থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়ে দুটি ধাপ গুরুত্বপূর্ণ। প্রজনন মৌসুমে বেশিসংখ্যক ডিম ছাড়ার জন্য মা ইলিশের নির্বিঘ্ন পরিবেশ-প্রতিবেশ সুরক্ষা এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে জাটকা সুরক্ষা করা। কিন্তু এ বছর এ দুটি বিষয় নিশ্চিত করা পুরোপুরি সম্ভব হয়নি।

ইকোফিশ প্রকল্পের ইলিশ বিশেষজ্ঞ জলিলুর রহমান বলেন, দেশে আগেও ইলিশের শীতকালীন একটি মৌসুম ছিল। কিন্তু বংশবিস্তার কমে যাওয়ায় সেটি হারিয়ে যায়। তবে কয়েক বছর ধরে দেশে ইলিশ বৃদ্ধি পাওয়ায় মৌসুমটি ফিরে এসেছে। এখন এ উৎপাদন ধরে রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ

পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার সকালে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, এখানে ১২০ মণ ইলিশ এসেছে। এর অর্ধেকই জাটকা। এফবি মায়ের দোয়া নামের একটি ট্রলারের জেলে জামাল হোসেন বলেন, ‘গভীর সাগরে ইলিশের জাল দিয়ে মাছ ধরি। কিন্তু ইলিশের জালে অনেক জাটকা ধরা পড়ে।’

তবে ইকোফিশের বিশেষজ্ঞরা জেলেদের এ যুক্তির সঙ্গে একমত নন। তাঁরা বলছেন, সরকার জাটকা ধরা বন্ধে আগের সাড়ে ৪ সেন্টিমিটার ফাঁসের জালের পরিবর্তে ন্যূনতম সাড়ে ৬ সেন্টিমিটার জাল ব্যবহারের আইন করেছে। এতে জাটকা ধরা পড়ার কথা নয়। নিশ্চয়ই সাগর-নদীতে ছোট ফাঁসের জাল ব্যবহৃত হচ্ছে।

বরিশাল মৎস্য বিভাগের উপপরিচালক আনিছুর রহমান তালুকদার বলেন, ‘নদীতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। তবে এত বড় এলাকায় কমসংখ্যক জনবল দিয়ে নজরদারি করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২৮, ২০২২ ২:৫৬ অপরাহ্ন
চট্টগ্রামের ফিশারিঘাটে বেড়েছে রুপালি ইলিশ সমারোহ
মৎস্য

ভরা মৌসুম না হলেও চট্টগ্রামের ফিশারিঘাটে দেখা মিলছে দেড় থেকে দুই কেজি ওজনের বড় রুপালি ইলিশ। দামও নাগালের মধ্যে।

বঙ্গোপসাগরের নোয়াখালী ও কক্সবাজার এলাকায় হঠাৎ জেলেদের জালে ধরা পড়ছে এ মাছ।

রুপালি ইলিশ। রুপার মতোই দেখতে যেমন আকর্ষণীয় ওজনেও তেমন ভারী। এক-একটি ইলিশ দেড় থেকে দুই কেজির মতো। মৌসুম ছাড়াই এত বড় ইলিশ বাজারে পাওয়ার কথা না। তাইতো চট্টগ্রামের এ ফিশারিঘাটের প্রতি ক্রেতা-বিক্রেতাদের আগ্রহ বেড়েছে!

তবে ছোটো আকৃতির কিছু ইলিশ বাজারে দেখা গেলেও তাতে ক্রেতা-বিক্রোতাদের আগ্রহ কম। প্রকারভেদে এগুলো কেজিতে বিক্রি হচ্ছে দুই থেকে তিনশ’ টাকায়।

ছুটির দিনে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে এমনিতেই বিয়েসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন হয় একটু বেশি। তাই তো চাহিদার কথা মাথায় রেখে ব্যাপারিরা এ বাজারে তুলেছেন নানা আকৃতির চিংড়িও। যদিও জেলিমুক্ত চিংড়ির প্রতি আগ্রহ ক্রেতাদের।

বঙ্গোপসাগর থেকে ট্রলার ভর্তি সামুদ্রিক মাছ আর খুলনা, সাতক্ষীরা ও টেকনাফসহ নানা এলাকা থেকে ট্রাকে ট্রাকে মাছ আসে এ বাজারে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২৭, ২০২২ ৪:৪৭ অপরাহ্ন
টাটকা মাছ চেনার সহজ উপায়
মৎস্য

আমাদের সবার কাছেই অতি প্রিয় খাবার মাছ। মাছ ছাড়া যেন আমাদের চলেই না। তবে এই স্বাদের মাছ যদি হয় পঁচা তাহলে তার টাকাও লস আবার অন্যদিকে শুনতে হয় পরিবারের অনেকের কথা। তাই বাজারে গিয়ে সচেতনতার সাথে কিনতে হবে তাজা মাছ। তাতে একদিকে যেমন থাকবে টাটকা স্বাদ অন্যদিকে কারো কথাও শুনতে হবে না। একটু সাবধানতায় এমনটি সম্ভব। আপনি একটু বুদ্ধি খাটিয়ে কিছু উপায় কাজে লাগালেই খুব সহজেই টাটকা মাছ কিনতে পারবেন।

আসুন টাটকা মাছ চেনার সহজ কিছু উপায় জেনে নিই –

১. মাছ হাতে তুলে দেখুন। যদি দেখেন যে মাছটি পিছলে যাচ্ছে তবে বুঝবেন মাছ টাটকা।

২. মাছ কেনার আগে মাছের চোখের দিকে লক্ষ্য করুন চোখ যদি ফ্যাকাসে আর ভেতর দিকে বসে যাওয়া হয় তাহলে তা ভুলেও কিনবেন না। কারণ, তাজা মাছের চোখ কখনো ঘোলাটে হয় না। আর তা খানিকটা বাইরের দিকে বেরিয়ে থাকে।

৩. মাছ হাতে নিয়ে কানকো তুলে দেখুন লাল না ফ্যাকাসে। যদি লাল হয় তবেই কিনবেন।

৪. ছোট মাছের ক্ষেত্রে পেট কাটার পর যদি পটকার রঙ লাল ও ভেজা থাকে তাহলে সেটি টাটকা। কারণ পচা ছোট মাছের পেটের ভেতরের অংশ শুকনো হয়।

৫. অনেকেই আবার মাছের পেটি কিনেন। এক্ষেত্রে হালকা চাপ দিয়ে দেখুন, কাঁটা থেকে মাছ আলাদা হয়ে গেলে বুঝবে তা তাজা নয়।

৬. চিংড়ি কেনার সময় চিংড়ি মাথা সহজেই ভেঙে যাচ্ছে কিনা দেখুন। ভেঙে গেলে তা টাটকা নয়।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop