৩:৩৬ পূর্বাহ্ন

সোমবার, ১৮ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৩, ২০২১ ৩:৫৫ অপরাহ্ন
​নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ধ্বংস
মৎস্য

নাটোরের নলডাঙ্গা বারনই নদীতে অবৈধভাবে মাছ শিকারের প্রস্ততির সময় প্রায় ৫০ হাজার টাকা মূল্যের চায়না দুয়ারী ৩০০ মিটার জাল জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করেছে মৎস্য বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসন

সোমবার দুপুরে উপজেলার পূর্ব সোনাপাতিল মহাশ্মাশান ঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে বারনই নদীর পার থেকে এসব জাল জব্দ করে ধ্বংস করে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুখময় সরকার ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্চয় কুমার সরকার যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযান শেষে নলডাঙ্গা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্চয় কুমার সরকার বলেন, চায়না দুয়ারী জালে ছোট বড় থেকে শুরু করে যে কোন জলজ প্রাণী একবার প্রবেশ করলে আর বের হতে পারেনা। ফলে নদ-নদী,খাল-বিল ও জলাশয়ের দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছসহ সকল প্রকার জলজ প্রাণী বিলুপ্ত হতে বসেছে। বাজারে নতুন আসা এ চায়না দুয়ারী জাল কারেন্ট জালের চেয়েও ভয়ংকর। তাই পরিবেশ ও মাছের জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষায় চায়না দুয়ারী জাল নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

সোমবার দুপুরে উপজেলার পূর্ব সোনাপাতিল মহাশ্মশান ঘাট বারনই নদীর পার থেকে ৩০০ মিটার চায়না দুয়ারী জাল দিয়ে মাছ শিকারের প্রস্ততি নিচ্ছেছিলেন ওই গ্রামের জেলে জামাল হোসেন।

গোপন সংবাদে এ খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মৎস্য বিভাগ অভিযান চালিয়ে ৩০০ মিটার চায়না দুয়ারী নিষিদ্ধ জাল যার অনুমানিক ৫০ হাজার টাকা মূল্যের এ ক্ষতিকর জাল গুলো জব্দ করে জনসম্মুখে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এসময় জেলে পূর্ব সোনাপাতিল গ্রামের জেলে জামাল হোসেন পালিয়ে গেলে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা যায়নি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৩, ২০২১ ১২:৩১ অপরাহ্ন
এক মাছের দাম ৭ লাখ!
মৎস্য

কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ি এক জেলের জালে ধরা পড়েছে বিশাল একটি ‘কালো পোয়া’ মাছ। মাছটির ওজন ২৮ কেজি। এই মাছটি ৭ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। শনিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সাগরে মাছটি ধরা পড়ে। এরপর মাছটি সাইরার ডেইল বাজারে ৭ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়।

মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু হায়দার জানান, মাতারবাড়ি সাইরার ডেইল এলাকার বহদ্দার ছৈয়দুল হকের জালে ধরা পড়ে ২৮ কেজি ওজনের কালা পোয়াটি। যেটি স্থানীয় কয়েকজন জেলে ৭ লাখ টাকা দিয়ে কিনে নেন। এর ৩ দিন আগেও ওই বহদ্দারের বোটে ১৫টি কালা পোয়া ধরা পড়ে বলে জানা যায়। যেগুলো চট্টগ্রামের ফিশারি ঘাটে ১১ লাখ টাকা দিয়ে বিক্রি করা হয় বলে জানা যায়।

বোটের মালিক ছৈয়দুল হক বলেন, ‘প্রায় ২৮ কেজি উজনের কালা পোয়া ধরা পড়েছে। যেটি ৭ লাখ টাকায় স্থানীয় কয়েকজনে কিনে নিছে। আমার বোটে কালা পোয়া ধরা পড়ায় আমি অনেক খুশি ও লাভবান হয়েছি।’

মাতারবাড়ি মৎস্যজীবী লীগে ৯নং ওয়াড়ের সভাপতি এবং জেলে সমিতির মো. ইসমাইল জানান, সাইরারডেইল এলাকার ছৈয়দুল হক বহদ্দারের বোটে বিশাল কালা পোয়াটা ধরা পড়ে। তা সন্ধ্যায় ৭ লাখ টাকা দিয়ে স্থানীয় কয়েকজন কিনে নেন।

সাইরারডেইলের ৮ জনে জেলে ব্যবসায়ী মিলে মাছটি ৭ লাখ টাকা দিয়ে ক্রয় করেন বলে জানান বাদশা সওদাগর। তিনি আরও বলেন, অল্প লাভে আমরা রবিবার (১২ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম ফিশারি ঘাটে মাছটি বিক্রি করি।

মহেশখালী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুর রহমান জানান, বন্ধ মৌসুমে মাছ ধরা বন্ধ থাকার সুফল পাচ্ছে জেলেরা। প্রজনন বৃদ্ধি ও ছোট মাছগুলো বড় হওয়ার সুযোগ পাওয়ায় জেলেরাও উপকৃত হচ্ছে। এর আগেও বড় বড় অনেক পোয়া মাছ পেয়ে অনেক জেলের কপাল খুলে গেছে। তবে এটি সব চেয়ে বড় পোয়া মাছ ধরা পড়েছে মহেশখালীর জেলেদের জালে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১২, ২০২১ ৩:২০ অপরাহ্ন
হালদা নদীতে চলছে বালু উওোলন, হুমকির মুখে মৎস প্রজনন
মৎস্য

চট্টগ্রামে কিছুদিন বিরতি দিয়ে হালদা নদীতে আবারও শুরু হয়েছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। ড্রেজার ও পাওয়ার পাম্প বসিয়ে অব্যাহতভাবে বালু উত্তোলন করায় হুমকির মুখে পড়েছে প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রায় সময় অভিযান পরিচালনা করে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু এ অভিযানের তোয়াক্কা করছে না বালু উত্তোলনকারীরা।

প্রতিনিয়তই হালদা নদীর বিভিন্ন অংশে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু৷ যার কারণে হালদার নানামুখি ক্ষতির সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, নাঙ্গলমোড়া ইউনিয়নের তিন জায়গায় হালদা হতে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। জায়গাগুলো হলো- নাঙ্গলমোড়া বাজার, চৈতারো ঘাটা ও চাটাল গাছতল (চাইলদাতল)।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলা চেয়ারম্যানের ইন্ধনে আলতাফ নামের এক নেতার কর্মীরা হালদার বিভিন্ন স্থান থেকে বালু উত্তোলন করছে।

এক জায়গায় উপজেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করলে অন্য জায়গা থেকে বালু উত্তোলন করে তারা৷ কোনভাবেই এদের নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিদুল আলম বলেন, আমরা বিষয়টি শুনেছি। আমাদের নিয়মিত অভিযান চলছে। যারা হালদার ক্ষতিসাধন করে বালুর ব্যবসা করছে, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সে যেই হোক আইনের আওতায় আসতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১২, ২০২১ ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন
গরুর খামার করে সফল উদ্যোক্তা তানজিমুল
মৎস্য

দিনাজপুরের বিরল উপজেলার রামপুরা গ্রামের সফল উদ্যোক্তা তানজিমুল ইসলাম। লেখাপড়া শেষে চাকরি না পেলেও নিজ বাড়ির পাশে গড়ে তুলেছেন গরুর খামার। দুগ্ধ উৎপাদনের পাশাপাশি গরুর গোবর, উচ্ছিষ্ট আর কেঁচো দিয়ে তৈরি করছেন জৈব সার। তার খামারে কর্মসংস্থান হয়েছে অনেকের।

দিনাজপুরের বিরল উপজেলার রামপুর গ্রামের যুবক তানজিমুল ইসলাম। ইচ্ছা ছিলো লেখাপড়া শেষে সরকারি ভালো চাকুরি করার। তবে, তা ভাগ্যে জোটেনি। এতে দমে যাননি, আত্মপ্রত্যয়ী এই যুবক বাড়ির পাশে গড়ে তোলেন গরুর খামার।

সেই খামার করেই বসে থাকেননি তিনি। খামারে পালিত গরুর গোবর, কেঁচো দিয়ে তৈরি করছেন জৈব সার। দুগ্ধ খামারের পাশাপাশি এই সার বিক্রি করে অনেক আয়ও করছেন।

নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন তানজিম। তার খামারে কাজ করে জীবিকার পথ পেয়েছেন অনেকে বেকার যুবক।

কৃষি কর্মকর্তারা জানান, কৃষি জমির উর্বরতা ও ফসলের উৎপাদন বাড়াতে জৈব সারের অনেক চাহিদা রয়েছে। দুগ্ধ উৎপাদন ও সার বিক্রি করে সফল উদ্যোক্তা তানজিমুল এখন অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা।

লেখাপড়া শিখে শুধু চাকরির পেছনে না ছুটে এমন খামার করে অনেক বেকার স্বাবলম্বী হতে পারবে বলে মনে করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাওছার আহমেদ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১১, ২০২১ ৯:২০ অপরাহ্ন
নতুন প্রজন্মের ভেতরকার শূন্যতা পূরণে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পাঠ জরুরি- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মৎস্য

মোঃ ইফতেখার হোসেন :নতুন প্রজন্মের ভেতরকার শূন্যতা পূরণে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পাঠ জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি।

শনিবার বিকেলে রাজধানীর ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির উন্মুক্ত মঞ্চে ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরে বিজয়ের উৎসব’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। ইনডেপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

ইনডেপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক তানভীর হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এমপি। অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি। উৎসবের উদ্বোধক ছিলেন ইনডেপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন,  “যারা দেশের স্বাধীনতা দিয়ে গেছে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হলে মুক্তিযুদ্ধের কথা জানতে হবে। আমি তরুণ প্রজন্মকে রাজনৈতিক দল করতে বলি না। কিন্তু এ দেশের একজন মানুষ হিসেবে তাদের বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে, তাঁর আত্মজীবনী পড়তে হবে, মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস পাঠ করতে হবে। তাহলে তরুণ প্রজন্মের ভেতরে যে অসম্পূর্ণতা আছে, যে শূন্যতা আছে তা পরিপূর্ণ হবে।”

মন্ত্রী আরো বলেন, “নতুন প্রজন্মকে নিয়ে আমার একটি স্বপ্ন আছে। আগামীর বাংলাদেশে তাদেরকে সঠিক নেতৃত্ব দিতে হবে। তাদের হতে হবে আমাদের গর্ব, আমাদের সম্পদ। নতুন প্রজন্ম যেন অন্ধকারের বিলীন না হয়ে যায় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে”।

তিনি আরো বলেন, “এ দেশটা ত্রিশ লক্ষ শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত। মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ কোন কিছুর বিনিময়ে ভুলে যাওয়ার মতো নয়। তাদের রক্তের বিনিময়ে, তাদের ত্যাগের মধ্য দিয়ে আমাদের জাতীয় পতাকা আজ পতপত করে উড়ছে। মুক্তিযোদ্ধাদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনিই বাংলাদেশ। তিনি পরাধীনতার শৃংঙ্খল ভেঙ্গে আমাদের মুক্তি এনে দিয়েছিলেন। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার জন্য লাল সবুজের পতাকা এনে দিয়েছেন”।

শ ম রেজাউল করিম আরো যোগ করেন, “আজ আমরা এমন একটি সময়ে দাঁড়িয়ে কথা বলছি যখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বের বিস্ময়কর নেতা মনে করা হয়। বাংলাদেশকে বলা হয় উন্নয়নের রোল মডেল। আর রোল মডেল বাংলাদেশের ক্যাপ্টেনকে বলা হয় উন্নয়নের ম্যাজিশিয়ান। সেই ম্যাজিশিয়ান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা”।

পরে মন্ত্রী অতিথিদের নিয়ে স্বাধীনতার ৫০ বছরে বিজয়ের উৎসব উপলক্ষ্যে কেক কাটেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১১, ২০২১ ৪:১৪ অপরাহ্ন
জেলের জালে ৪ মন ওজনের গোলপাতা মাছ
মৎস্য

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে ধরা পরেছে প্রায় ৪ মন (১৫০ কেজি) ওজনের বিরল প্রজাতির একটি গোলপাতা মাছ। বৈজ্ঞানিকভাবে মাছটির নাম সেইল ফিস।

আজ শনিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে বাগেরহাট শহরের কেবি মৎস্য অবতারন কেন্দ্রে জেলেরা মাছটি নিয়ে আসে। এসময় মাছটিকে একনজর দেখতে উৎসুক জনতা ভীড় করতে থাকে। পরে ডাকের (নিলাম) এর মাধ্যমে ১৩ হাজার টাকা দিয়ে মাছটি কিনে নেয় জাহিদ শেখ নামের এক মাছ ব্যবসায়ী।

জাহিদ শেখ জানান, আজ শনিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে কেবি বাজারের মহিতোষ বাবুর ঘরে মাছটি উঠানো হলে ডাকের মাধ্যমে মাছটি আমি ১৩ হাজার টাকা দিয়ে কিনে নি। মাছটি প্রায় ১৫ ফুট লম্বা। মাছটি কেটে দুই’শ টাকা কেজি দরে সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়নের কাশিমপুর বাজারে বিক্রি করবো। সুস্বাদু মাছ হিসাবে স্থানীয় বাজারে মাছটির সুনাম রয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১১, ২০২১ ৩:৫৯ অপরাহ্ন
​মাছের সাথে এ কেমন শত্রুতা?
মৎস্য

মাছের ঘেরের মালিক গত ৮দিন ধরে একটি মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেলহাজতে আছেন। এই সুযোগে প্রতিপক্ষরা গভীর রাতে তার একটি মাছের ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে সব মাছ মেরে ফেলেছেন। এঘটনায় ওই ঘেরের প্রায় ৪লাখ টাকার মাছ মারাগেছে দাবি ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারের। তাদের অভিযোগ শত্রুতা মানুষের সাথে মাছের সাথে এ কেমন শত্রুতা?

ঘটনাটে ঘটেছে আজ শনিবার সকালে বরগুনার বামনা উপজেলার উত্তর খোলপটুয়া গ্রামে। ওই মাছের ঘেরের মালিক মো. আল-মামুন ফেরদৌস।

সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, সকালে মাছ মারা যাওয়ার খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন সেচযন্ত্র দিয়ে ঘের এর পানি সেচ করছেন। একে একে ছোটবড় সব মারা যাওয়া মাছ ঘেরের পাড়ে সাজিয়ে রাখছেন। এলাকাবাসীরা সবাই ভীড় করছেন সেই মারা যাওয়া মাছ গুলো দেখতে কিংবা স্বল্প দামে কিনে নিতে।

পরিবার সূত্রে জানাগেছে, একটি মামলায় ঘের মালিক মো. আল মামুন ফেরদৌস বর্তমানে বরগুনা জেল আজতে রয়েছেন। ওই মামলার বাদী পক্ষ এই সুযোগে মাছের ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে সব মাছ মেরে ফেলেছে। ঘেরে প্রায় ৪ লাখ টাকার মাছ ছিলো বলে তারা জানায়।

ঘের মালিকের স্ত্রী মোসা. পারভীন আক্তার মুন্নি বলেন, আমার স্বামীকে প্রতিবেশী ফারুক মল্লিক গং এরা একটি সাজানো মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার স্বামীকে জেলে পাঠিয়ে তার মাছের ঘেরে বিষ দিয়েছে। আমি এই ঘটনার বিচার চাই। শত্রুতা আমাদের সাথে মাছ গুলো কেন মেরে ফেলা হলো।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তপন কুমার বেপারী বলেন, আমি ঘটনাটি শুনে আমার এক কর্মচারীকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। তিনি আমাকে জানিয়েছেন ঘেরে বিষ প্রয়োগের ফলে মাছ গুলো মারা গেছে।

এ ব্যাপারে বামনা থানার আবুল হোসেন শরিফ বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে আসছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার অভিযোগ দিলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১০, ২০২১ ৩:৩২ অপরাহ্ন
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সঙ্গে আপোষ করেন না- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মৎস্য

মোঃ ইফতেখার হোসেন : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, “বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কখনো সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সঙ্গে আপোষ করেন না। তাঁর নেতৃত্বে আমাদের সকলকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করতে হবে। ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার। এ বাঙালি সত্তার জন্য বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা লড়াই করেছিলাম।আবার যেন সাম্প্রদায়িক, স্বাধীনতাবিরোধী, উগ্র কোন পক্ষ রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে না পারে, সম্প্রীতির এ দেশকে আবার যেন কেউ সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করতে না পারে, সে বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকতে হবে”।

 শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে অনুভব বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের ২১তম বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 অনুভব বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি ও সরকারের প্রাক্তন সচিব হীরালাল বালার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সরকারের প্রাক্তন সচিব ও সমিতির উপদেষ্টা ড. মিহির কান্তি মজুমদার, সমিতির সাধারণ সম্পাদক অতুল চন্দ্র মন্ডল, সমিতির সদস্য মিন্টু কুমার মন্ডল, সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভার আহ্বায়ক জগদীশ চন্দ্র বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 মন্ত্রী আরো বলেন, “আমাদের ভ্রাতৃপ্রতিম মানসিকতায় হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানের ঊর্ধ্বে একটি পরিচিতি আছে, সেটা হলো আমরা বাঙালি, আমরা মানুষ। এদেশের মানুষের সম্প্রীতির অনুভূতি পৃথিবীর আর কোথাও পাওয়া যাবে না। তবে কিছু মানুষরূপী অমানুষ এদেশে রয়েছে যাদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের লড়াই। মনে রাখতে হবে কদর্য লোকদের মৌলিক চরিত্রের প্রকাশ ধর্মের উপর নির্ভর করে না। বঙ্গবন্ধু কন্যা বারবার বলেন এ দেশ হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সকল ধর্মের মানুষের দেশ।”।

 সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, “আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, নিজেদের বাংলাদেশের নাগরিক ভাবুন। কে কোথায় কী তির্যক মন্তব্য করলো, এটা ধরে রাখলে সামনে এগুনো যাবে না। দেশের নাগরিক হিসেবে আপনাদের দৃঢ়চেতা মানসিকতা রাখতে হবে। সংকটের মধ্যেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার জন্য কাজ করতে হবে। ভয় শূন্য চিত্ত নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে”।

 এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, “বাংলাদেশ ত্রিশ লক্ষ শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত দেশ। আমাদের হাজার বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, কৃষ্টি হচ্ছে যার যার ধর্ম তারা পালন করবে। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর আবার সাম্প্রদায়িক রাজাকাররা স্বনামে-বেনামে নানাভাবে এ দেশ শাসন করেছে। কিন্ত এ সুযোগ তারা আর পাবে না। সম্মিলিতভাবে আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে হবে যার জন্য রাম-রহিমের রক্তে একাত্ম হয়ে আমরা স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে এনেছি। এ বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবো। শেখ হাসিনা সকল ধর্মের মানুষের সাথে আছেন”।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৮, ২০২১ ৪:৪৯ অপরাহ্ন
পাঙাশ চাষ করে স্বাবলম্বী গ্রামের দুই শতাধিক চাষি
মৎস্য

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারের আটিয়া গ্রামে যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই পাঙাশ মাছের পুকুর। গ্রামটির ঘরে-ঘরে এখন পাঙাশ চাষি। এ মাছ চাষে গ্রামটির দুই শতাধিক চাষি অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন।

জানা গেছে, আটিয়া গ্রামে ১৯৯৪ সালে আসাদুজ্জামান আসাদ নামের এক ব্যক্তি প্রথম পাঙাশ মাছ চাষ শুরু করেছিলেন। আসাদের সফলতায় উৎসাহিত হয়ে গ্রামটির ঘরে-ঘরে তৈরি হয়েছে পাঙাশ চাষি। এই গ্রামে বর্তমানে দেড় শতাধিক পুকুরে পাঙাশ চাষ হচ্ছে। পোনা মজুত, চাষ, মাছ ধরা, এমনকি বাজারে বিক্রি করাকে কেন্দ্র করে গ্রামের দুই শতাধিক পরিবার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পাঙাশ চাষের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এক হাজার পাঙাশ চাষ করে বছরে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা উপার্জন করছেন চাষিরা। এসব চাষিরা বদলে দিয়েছেন গ্রামের অর্থনৈতিক চাকা। মাছের বর্তমান পাইকারি বিক্রয় মূল্য প্রতি মণ চার থেকে চার হাজার ২০০ টাকা।

তবে চাষিদের অভিযোগ, খাবারের দাম দফায়-দফায় বেড়ে দ্বিগুণ হলেও মাছের পাইকারি দাম কেজি প্রতি ১০০ থেকে ১০৫ টাকার মধ্যেই থাকছে। সম্প্রতি চাষিরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। খাবারের দাম না কমলে অনেকেই পাঙাশ চাষ ছেড়ে দেবেন।

গ্রামের প্রথম পাঙাশ চাষি আসাদুজ্জামান বলেন, গ্রামটিতে আমি প্রথমে একটি পুকুরে পাঙাশ চাষ শুরু করি। এখন আমার চারটি পুকুর রয়েছে। দুটিতে ৩০ হাজার পাঙাশ চাষ করছি। বাকি দুইটি পুকুরে পাঙাশের পোনা মজুত রেখেছি। গ্রামে এখন দেড় শতাধিক পুকুরে পাঙাশ চাষ হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে খাবারের দাম দ্বিগুণ। ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা মূল্যের খাবারের বস্তা হয়েছে ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকা। মাছের দাম আগের মতোই রয়েছে। পাঙাশ চাষে দুবার সেরা চাষির পুরস্কার পেলেও বর্তমানে হতাশায় আছি। খাবারের দাম কমানোর দাবি জানাচ্ছি।

দেলদুয়ার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান বলেন, আটিয়া গ্রামে পাঙাশ চাষে বেশ সফলতা এসেছে। অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। আমরা মাছ চাষিদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছি। তাদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৬, ২০২১ ৩:৫৬ অপরাহ্ন
বরিশালে ৫০ মণ জাটকা জব্দ
মৎস্য

বরিশালের শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেতুর টোল প্লাজা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫০ মণ জাটকা জব্দ করেছে নৌ পুলিশ।

সোমবার (৬ ডিসেম্বর) ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বরিশাল নৌ পুলিশ নগরের দপদপিয়া সেতুর টোল প্লাজা এলাকায় চেক পোস্ট বসিয়ে বিভিন্ন যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকে অভিযান চালিয়ে এসব জাটকা জব্দ করে।

এ সময় বরিশাল নৌ পুলিশের এসপি কফিল উদ্দিন ও সদর নৌ থানার ওসি হাসনাত জামান উপস্থিত ছিলেন।

কফিল উদ্দিন জানান, পটুয়াখালীর কলাপাড়া, মহিপুর থেকে নিয়মিত জাটকা ঢাকা যাচ্ছে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা অভিযান চালায়। পরে জব্দকৃত মাছগুলো বিভিন্ন এতিম খানা, মাদ্রাসা ও গরিবদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop