৯:৩৩ পূর্বাহ্ন

বুধবার, ২০ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুন ৬, ২০২১ ১:১৫ অপরাহ্ন
পদ্মায় ধরা পড়ল বিরাট বাগাড়!
মৎস্য

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার ঢল্লাপাড়া এলাকায় পদ্মা ও যমুনা নদীর মোহনায় ২১ কেজি ওজনের একটি বাগাড় মাছ ধরা পড়েছে। মাছটি বিক্রি করা হয়েছে ২২ হাজার ৫০ টাকায়।

রোববার (৬ জুন) ভোরে রাজবাড়ীর বানিবহ এলাকার জেলে আশরাফ প্রামাণিকের জালে মাছটি ধরা পড়ে। পরে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা ১ হাজার ৫০ টাকা কেজি দরে মাছটি কিনে নেন।

আশরাফ প্রামাণিকের ছেলে সাদ্দাম প্রামাণিক বলেন, শনিবার দিবাগত রাতে বাবার সঙ্গে পদ্মায় মাছ ধরার জন্য জাল নিয়ে নদীতে আসি। রাতে কোনো মাছের দেখা না পাওয়ায় বাড়ি ফিরে যাওয়ার মুহূর্তে রোববার ভোর ৬টার দিকে জালে জোরে একটা টান অনুভব করি। সে সময় বুঝতে পারি জালে বড় কোনো মাছ ধরা পড়েছে।

পরে একটু সময় নিয়ে জাল তুলে দেখি বিশাল একটি বাগাড় মাছ। দৌলতদিয়ার আড়তে আনলে মাছটির ওজন হয় ২১ কেজি।

দৌলতদিয়া মিলন সরদারের আড়ত থেকে মৎস্য ব্যবসায়ী মো. চান্দু মোল্লা ১০৫০ টাকা কেজি দরে ২২ হাজার ৫০ টাকায় কেজিতে কিনে নেন। এখন ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের পরিচিত ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। ১ হাজার ১০০ টাকা কেজি দরে কেউ দাম করলেই তিনি মাছটি বিক্রি করবেন বলে জানান।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল জানান, বর্তমানে পদ্মা ও যমুনা নদীর মোহনায় জেলেদের জালে ধরা পড়ছে বড় আকৃতির বাগাড় মাছ বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৫, ২০২১ ৯:২৮ অপরাহ্ন
কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরার ৯ নৌকা ও ৭ হাজার মিটার জাল জব্দ
মৎস্য

কাপ্তাই হ্রদে অভিযান চালিয়ে নয়টি নৌকা জব্দ এবং প্রায় সাত হাজার মিটার জাল উদ্ধার করা হয়। বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) লংগদু শাখা কার্যালয় ও নৌপুলিশের টহল দল যৌথভাবে এ অভিযান চালায়।

শুক্রবার (৪ জুন) রাতভর কাপ্তাই হ্রদে অভিযান চালিয়ে এসব নৌকা ও জাল জব্দ করা হয়।

লংগদু উপজেলা বিএফডিসি কর্মকর্তা আকবর হোসেন জানান, শুক্রবার রাতে উপজেলার কাট্টলী বিল, শীলকাটাছড়া, হাজাছড়া, ৯নং ও ১০নং এলাকায় হ্রদে অভিযান চালিয়ে আটটি সাধারণ নৌকা, একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকাসহ তিন হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও চার হাজার মিটার সুতার জাল জব্দ করা হয়।

তিনি আরও জানান, এসব এলাকায় অসাধু ক্ষতিপয় লোকজন সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাতের আঁধারে মাছ ধরছিল। অভিযান টের পেয়ে লোকজন জাল আর নৌকা ফেলে পালিয়ে যান। জাল আর নৌকার মালিক কাউকে পাওয়া যায়নি। এ কারণে কাউকে আটক করা যায়নি।

প্রসঙ্গত, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম কৃত্রিম জলাধার রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে প্রতিবছরই কার্পজাতীয় মাছের বংশবিস্তার ও মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিত করতে ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত তিন মাস মাছ আহরণ বন্ধ থাকে। এসময়ে হ্রদে সব ধরনের মাছ ধরা, বাজারজাতকরণ এবং পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৪, ২০২১ ২:১১ অপরাহ্ন
ভাগীরথীতে ধরা পড়ল ২০ কেজির বিশাল বিরল প্রজাতির মাছ!
মৎস্য

ভাগীরথী নদী থেকে মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ল প্রায় কুঁড়ি কেজি ওজনের (20 kgs rare species fish) এক বিরল প্রজাতির মাছ! যা দেখে খুবই উচ্ছ্বসিত সকলে৷ ২০ কেজির এত বড় মাছ হালে অনেকদিনই ওঠেনি জালে৷ এত বড় মাছ কোন প্রজাতির তা বুঝে উঠতে পারছেন না এলাকার কোনও মৎসজীবী (rare fish bengal)৷

তাই মাছটির গায়ে ভারতীয় জাওয়ানদের পোশাকের ছাপ থাকায় মৎস্যজীবীরা মাছটির নাম দিয়েছেন মেলেটারি মাছ (spot on fish skin)! আপাতত এই মিলিটারি মাছ (military fish) নিয়ে চলছে নানা জল্পনা এবং সকলেই একবার এসে দেখে যাচ্ছেন এই বিশালাকার মাছটি৷

ঘটনাটি শান্তিপুর স্টিমার ঘাট এলাকার, ভাগীরথী নদীতে৷ বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিদিনের মতো মৎস্যজীবীরা মাছ ধরতে জাল পাতেন নদীতে৷ জাল টানার সময় লক্ষ্য করেন একটি ১০ কেজি ওজনের রুই মাছ জালে বেঁধে রয়েছে। এরপরই মৎস্যজীবীদের নজরে পড়ে জালে আটকে রয়েছে বিশাল আকৃতির (Big 20 kg fish)একটি মাছ৷ যা জাল টেনে নৌকায় তুলতেও হিমশিম খায় মৎস্যজীবীরা।

মুখ হা করা এই মাছের প্রজাতি চিনতে পারেননি কেউ৷ তাই মাছের চেহারার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নাম রাখা হয়েছে মিলিটারি মাছ এবং সেই নামেই এলাকায় সাড়া পড়ে গিয়েছে৷ নৌকায় তোলার পর দেখা যায় মাছটির গায়ে মেলেটারি পোশাকের ছাপ।

মৎস্যজীবীরা জানান মাছটির ওজন প্রায় কুড়ি কেজি৷ স্বভাবতই এই ধরনের মাছ এর আগে কখনও ভাগীরথী নদীতে (Bhagirathi River Fish) দেখা যায়নি বলে দাবি মৎসজীবীদের। মৎসজীবী রায় মোহন বিশ্বাস জানান যে, ‘অনেকদিন এই পেশায় রয়েছি৷ মাছ ধরছি৷

তবে এত বড় মাছ আগে কখনও জালে ওঠেনি৷ অনেক রকম মাছ দেখলেও, এমন মাছ আগে দেখিনি৷ তাই নাম বা কোন প্রজাতির মাছ, সেটাও সঠিক বলতে পারব না৷’ খবর ছড়াতেই স্টিমার ঘাট এলাকার এক বাসিন্দা মাছটি কিনে নেন৷ কেজি প্রতি ২০০ টাকা দামে তিনি মাছটি কেনেন। বিরল প্রজাতির এই মাছটিকে দেখার জন্য স্থানীয়রাও ভিড় জমান ভাগীরথী নদীর ধারে। সূত্র: নিউজ১৮.বাংলা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৩, ২০২১ ৬:২১ অপরাহ্ন
পদ্মায় মিলল বিলুপ্তপ্রায় ঢাই মাছ, বিক্রি ২১ হাজার টাকা!
মৎস্য

রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার পদ্মা ও যমুনা নদীর মোহনা থেকে সাত কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের একটি বিলুপ্তপ্রায় ঢাই মাছ ধরা পড়েছে। কেজি দুই হাজার ৮০০ টাকা মাছটি বিক্রি করা হয়েছে ২১ হাজার টাকায়। নদীতে বিলুপ্ত হওয়া এতবড় ঢাই মাছ এক নজর দেখার জন্য উৎসুক জনতা ফেরিঘাটে ভিড় করেন।

আজ বৃহস্পতিবার(৩ জুন) ভোরে জেলে নুরুল হালদারের জালে ওই ঢাই মাছটি ধরা পড়ে। পরে দৌলতদিয়া বাইপাস সড়কের পাশের আড়তে মাছটি আনা হলে জেলে নুরুল হালদারের কাছ থেকে দুই হাজার ৮০০ টাকা কেজি দরে ২১ হাজার টাকা দিয়ে মাছটি কিনে নেন দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সম্রাট সাজাহান।

দৌলতদিয়ার মৎস্য ব্যবসায়ী সম্রাট সাজাহান বলেন, ২১ হাজার টাকা দিয়ে মাছটি কিনলেও বিক্রির জন্য ঢাকার কিছু ব্যবসায়ীর সঙ্গে দুই হাজার ৯০০ টাকা কেজি দরে মোবাইল ফোনে বিক্রির জন্য যোগাযোগ করা হচ্ছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল যুগান্তরকে জানান, পদ্মা ও যমুনা নদীর মোহনায় প্রায়ই জেলেদের জালে বড় আকৃতির বিভিন্ন প্রজাতির সুস্বাদু মাছ ধরা পড়ছে। তবে বিলুপ্তপ্রায় এত বড় ঢাই মাছ নদীতে খুব একটা পাওয়া যায় না ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২, ২০২১ ১২:৪১ পূর্বাহ্ন
বৃষ্টিতে রাজধানীর রাস্তায় উঠেছে মাছ!
মৎস্য

আমাদের এই দেশে নদী মাতৃক দেশ। এই দেশের খাল-বিল, নদী-নালা সব মাছে ভরা। মাছ ছাড়া যেমন এই দেশের মানুষের একদিনও চলে না, তেমনি মাছও আছে এই দেশের সর্বত্র। মুষলধারে বৃষ্টি হওয়াতে ইট-পাথরের রাজধানীর শহরেও মিলেছে মাছ।

রাজধানীতে মঙ্গলবার (১ জুন) সকাল থেকে হয়েছে মুষলধারে বৃষ্টি। সোমবার দিনগত মধ্যরাতে বৃষ্টি হলেও থেমে গিয়ে আবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শুরু হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে আজ ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করা হয়। আর এতেই তলিয়ে যায় রাজধানীর অনেক অলিগলি। সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা।

সে জলাবদ্ধতায় বৃষ্টির পানির উজানে ডোবা থেকে উঠে এসেছে মাছ। বসুন্ধরার আবাসিক এলাকার রাস্তায় দেখা গেছে এমন চিত্র। সেখানকার একটি সড়কে টাকি এবং খলিসা মাছ দেখা গেছে এই বৃষ্টিতে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৩১, ২০২১ ১০:৪৪ অপরাহ্ন
এবারের বাজেটে মাছ চাষে বাড়তে পারে আয়কর
মৎস্য

আসন্ন বাজেটে মাছ চাষে বাড়তে পারে আয়কর। তবে আগের মতো মাছ চাষের আয়ের প্রথম ১০ লাখ টাকা করমুক্ত থাকবে। পরের ১০ লাখে ৫ শতাংশ এবং এর পরের ১০ লাখে ১০ শতাংশ কর অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে ৩০ লাখ বেশি আয়ে ১৫ শতাংশ হারে কর আরোপ হতে পারে।

আসন্ন বাজেটে অর্থমন্ত্রী এ প্রস্তাব করবেন বলে জানা গেছে।

সূত্র বলছে, মাছ চাষ থেকে আয়ের ওপর কর কম থাকায় অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি তাদের অন্য খাতের আয়কে মৎস্য খাতের আয় হিসাবে দেখান। এতে তাদের আয়কর দিতে হয় কম। কারণ ব্যক্তি আয়করের সর্বোচ্চ হার ২৫ শতাংশ।

এনবিআর থেকে জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে মাছ চাষের আয়ের প্রথম ১০ লাখ টাকা করমুক্ত থাকবে। পরের ১০ লাখে ৫ শতাংশ এবং পরের ১০ লাখে ১০ শতাংশ কর অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ৩০ লাখ টাকার পরে কোনো আয় থাকলে সেখানে ১৫ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। সূত্র: জাগো নিউজ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৩১, ২০২১ ৩:১৩ অপরাহ্ন
পদ্মায় ধরা পড়ল ৮ কেজি ওজনের কাতল!
মৎস্য

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার পদ্মা নদী থেকে আট কেজি ওজনের একটি কাতল মাছ ধরা পড়েছে। কাতল মাছটি বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৮০০ টাকায়।

সোমবার(৩০ মে) ভোরে দৌলতদিয়া ৭নং ফেরিঘাটের অদূরে সাহাদাত মেম্বারপাড়া এলাকার কয়েকশ গজ দূর থেকে এক জেলে মাছটি ধরেন।

জানা যায়, প্রতিদিনের মতো রোববার রাতে কয়েকজন সহযোগী নিয়ে পদ্মায় মাছ শিকার করতে যায় ওই জেলে। সোমবার ভোরের দিকে জাল জোরে একটা টান দিলে বোঝা যায় জালে বড় কোনো মাছ ধরা পড়েছে। পরে জাল তুলতেই বড় আকৃতির কাতল মাছটি চোখে পড়ে।

পরে সোমবার সকালের দিকে মাছটি দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের সোহেল সেখের আড়তে তোলা হয়। মাছ ব্যবসায়ী সোহেল সেখ কাতল মাছটি ৬০০ টাকা কেজিতে কিনে নেন।

স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী সোহেল সেখ বলেন, ওই জেলের কাছ থেকে ৬০০ টাকা কেজিদরে চার হাজার ৮০০ টাকায় মাছটি কিনে নিই। এখন ৯০০ টাকা কেজিদরে ঢাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করব বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৩০, ২০২১ ৯:২৮ পূর্বাহ্ন
হালদার রেণুর মূল্য লাখ টাকা!
মৎস্য

ডিম থেকে ফুটেছে রেণু। চেষ্টা করছে যেন শতভাগ রেণুগুলোকে বাঁচাতে পারেন। তবে সংগৃহীত ডিম থেকে গড়ে এক চতুর্থাংশ রেণু নষ্ট হয়ে যায়। তাই বলে হতাশ নয় ডিম আহরণকারীরা। তারা যা ডিম পেয়েছেন তা নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করছেন। রেণুও বিক্রি হচ্ছে অনেক দামে। ক্রেতারা ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় কিনছেন রেণু।

জানা যায়, চলতি প্রজনন মৌসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, পর্যাপ্ত মূষলধারে বজ্রসহ বৃষ্টি না হওয়াসহ উজানের পানি না নামায় পুরোদমে ডিম ছাড়েনি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদার কার্প জাতীয় মা মাছ।

গত মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার ও বৃহস্পতিবার রাত বারোটা থেকে ভোররাত ৩টা পর্যন্ত দুই দফা ডিম ছাড়ে মা মাছ। প্রথম দফার ডিম কে নমুনা ডিম বললেও দ্বিতীয় দফার ডিম কে ডিম হিসেবে আখ্যায়িত করলেও পর্যাপ্ত ডিম না পাওয়ায় অনেক ডিম আহরণকারী নমুনা ডিম হিসেবে ধরে নেয়। তবে অধিকাংশ আহরণকারী নমুনা ডিম বলতে নারাজ। পুরোদমে না ছাড়লেও মোটামোটি ছেড়ে দিয়েছিল কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ।

মাছুয়াঘোনা, শাহমাদারি হ্যাচারিতে দেখা গেছে, ডিম আহরণকারীরা রেণু ফোটাতে ব্যস্ত। খালি পড়ে আছে অনেক কুয়া। যেখানে গত বছর কুয়া সঙ্কট পড়েছিল। তবে কুয়া খালি থাকায় যারা রেণু ফোটাচ্ছেন তাদের সুবিধে হয়েছে। সহজেই কুয়া পরিবর্তন করতে পারছেন রেণু ফোটাতে।

হাছন তালুকদার বাড়ির মৃত ফুল মিয়া পুত্র মো. সওকত আলি ৭ নৌকায় ১৮ বালতি ডিম পেয়েছেন। তিনদিন বয়সী রেণু পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত আছেন। ১৮ বালতি ডিম থেকে ৪ থেকে ৫ কেজি রেণু টিকাতে পারবেন বলে আশা করছেন। গতবার রেণু ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকার রেণু বিক্রি করলেও এবার কম হওয়ায় রেণু বিক্রি করবেন না। এলাকায় ৫টি পুকুর প্রস্তুত করে রেখেছেন যাতে পোনা বিক্রি করতে পারেন। গ্যারান্টি দিয়ে শতভাগ হালদার পোনা বিক্রি করবেন বলে জানান। এ জন্য গ্যারান্টি কার্ডও তৈরি করেছেন তিনি। ভেজাল প্রমাণিত করতে পারলে টাকা ফেরত দেয়ার কথাও বলেন সওকত আলি মাছুয়াঘোনার হ্যাচারির ব্যবস্থাপনা নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট বলেও জানান।

এদিকে এবার পর্যাপ্ত ডিম না ছাড়ায় রেণু ফোটানোর একদিনের মধ্যেই ক্রেতারা যোগাযোগ করছেন হ্যাচারিগুলোতে। দু’একজন ক্রেতা রেণু কিনতে অগ্রিম টাকাও দিয়েছেন বলে জানান, ডিম আহরণকারী শফি ও জামসেদ। যার মূল্য রাখা হচ্ছে ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার পর্যন্ত।

মাছুয়াঘোনা হ্যাচারীতে রেণু ফোটার জন্য প্রয়োজনীয় পুকুর, ডিপ কলসহ যাবতীয় সব কিছু থাকায় রেণু নষ্টের পরিমাণ কম হলেও শাহমাদারিতে ডিম নেই বললেই চলে। পানি পরিবর্তন, ডিপ কল বা মোটর না থাকায় অধিকাংশ ডিম নষ্ট হয়ে গেছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২৯, ২০২১ ১০:৩২ অপরাহ্ন
সাড়ে ৩১ কে‌জি ওজনের বাঘাইড় ধরা পড়ল পদ্মায়!
মৎস্য

গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলত‌দিয়া ফে‌রিঘা‌ট এলাকায় পদ্মা নদী‌তে এক জেলের জালে ধরা পড়া সাড়ে ৩১ কেজি ওজনের একটি বাঘাইড় মাছ। মাছটি বিক্রি করা হয় ৪৪ হাজার টাকা।

শনিবার সকালে ডা‌কের মাধ্য‌মে ১২৫০ টাকা কে‌জি দ‌রে ৩৯ হাজার ৩৭৫ টাকায় মাছটি কিনে নেন দৌলতদিয়া ঘাটের মাছ ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা। প‌ড়ে তি‌নি ১৪০০ টাকা কে‌জি দ‌রে ৪৪ হাজার ১০০ টাকায় মাছ‌টি ঢাকায় বি‌ক্রি ক‌রেন।

চান্দু মোল্লা জানান, এখন নদীতে প্রায়ই বড় বড় বি‌ভিন্ন প্রজা‌তির মাছ ধরা পড়‌ছে। ফ‌লে ভাগ্য খুলে‌ছে জে‌লে‌দের। ‌ভো‌রে ফে‌রি ঘা‌টের কাছে পদ্মা নদী‌তে জয়নাল হালদা‌রের জা‌লে বাগাইড় মাছ‌টি ধরা পড়ে। সকা‌লে তি‌নি মাছটি দৌলত‌দিয়া ঘা‌টের আড়‌তে বিক্রি কর‌তে আনেন। ওই সময় মাছটি দেখ‌তে অনেকে ভিড় করেন।

গোয়ালন্দ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল শরীফ জানান, এবার পদ্মায় ইলিশের আকাল থাকলেও এ মৌসুমে পানি বাড়ায় মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন প্রজাতির মিঠা পানির বড় বড় মাছ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২৮, ২০২১ ৬:০৬ অপরাহ্ন
ঝালকাঠিতে ৪ কিমি বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত, তলিয়ে গেছে দুই সহস্রাধিক মাছের ঘের
মৎস্য

ঝালকাঠিতে দুই হাজার ১১৯টি মাছের ঘের ও পুকুর পানিতে তলিয়ে গেছে। আর এতে করে বিভিন্ন মাছ ও মাছের পোনা ভেসে যাওয়ায় প্রায় তিন কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে মৎস্য বিভাগ। জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কাঁঠালিয়ায়।

মঙ্গলবার (২৫ মে) বিকেল থেকেই জেলার নদ-নদীগুলোতে পানি বাড়তে থাকে। বুধবার (২৬ মে) ইয়াস ও পূর্ণিমার প্রভাবে নদীতে ৪-৫ ফুট পানি বেড়ে যায়। অরক্ষিত ভাঙা বাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে ১৫ গ্রামের ৫ শতাধিক মানুষ এখনো পানিবন্দি রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পানি বেড়ে উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠির সুগন্ধা ও বিষখালী নদী তীরের প্রায় চার কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

জেলা মৎস্য বিভাগ জানায়, জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে চার-পাঁচ ফুট বেড়ে যাওয়ায় তলিয়ে গেছে ২ হাজার ১১৯টি পুকুর, মাছের ঘের ও জলাশয়। । মৎস্যখাতে জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কাঁঠালিয়ায়। এ উপজেলায়ই ১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ জানিয়েছেন, পানিতে তলিয়ে গেছে দুই হাজার ১১৯টি পুকুর, মাছের ঘের ও জলাশয়। এতে জেলায় ২ কোটি ৮০ লাখ ৯৭ হাজার টাকার মাছ পানিতে ভেসে গেছে।

কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, পানিতে আউশ ধানের বীজতলা, রবিশষ্য তিল, মুগ ও মরিচের ক্ষেত তলিয়ে আছে। পানি না নামলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. ফজলুল হক।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop