আজ মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে সকল প্রকার মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা
মৎস্য
কার্প জাতীয় মাছের বংশবিস্তার ও প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিত করতে প্রতি বছরের মতো এবারও ১ মে থেকে আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত তিন মাস কাপ্তাই হ্রদে সব ধরনের মাছ ধরা, বাজারজাতকরণ এবং পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) সূত্রে জানা যায়, কাপ্তাই হ্রদে কার্প প্রজাতির মা মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিত করার জন্য ডিম ছাড়ার মৌসুমে মাছ ধরা বন্ধ রাখা প্রয়োজন।
এই হ্রদ দেশের কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজননের একটি অন্যতম স্থান। এ সময় মাছ শিকার বন্ধে কাপ্তাই হ্রদে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। স্থানীয় বরফ কলগুলোও এসময় বন্ধ থাকবে।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) রাঙামাটির ব্যবস্থাপক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম জানান, এবছর ৯ হাজার মেট্রিক টন মাছ আহরণ করা হয়েছিল। বৃষ্টিপাত কম হওয়ার কারণে হ্রদেও পানি দ্রুত শুকিয়ে যায়। যার ফলে ছোট মাছ আহরণ কম হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবছর এক হাজার ৫০০ মেট্রিক টন কম মাছ আহরণ হয়েছে। এবছর বন্ধকালীন সময়ে ৫০ মেট্রিক টনের মতো কার্প জাতীয় পোনা ছাড়া হবে।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ও বংশ বৃদ্ধির লক্ষে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে মৎস্য আহরণের ওপর নির্ভরশীল প্রায় ২০ হাজার জেলেকে বিশেষ ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।