২:৩২ পূর্বাহ্ন

বুধবার, ১৩ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৮, ২০২১ ১২:৩৮ অপরাহ্ন
টাঙ্গাইলে মধু চাষে বাড়তি আয়
এগ্রিবিজনেস

টাঙ্গাইলের সখীপুর ও বাসাইল উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন শর্ষে ফুলের হলুদ রঙের সমারোহ। শর্ষের এসব জমির পাশেই মৌ চাষের বাক্স বসিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ চাষিরা। এতে মৌমাছির মাধ্যমে শর্ষে ফুলের পরাগায়নে সহায়তা হচ্ছে। ফলে একদিকে শর্ষের উৎপাদন বাড়ছে, অন্যদিকে মধু আহরণ করা যাচ্ছে। সমন্বিত এই চাষে শর্ষেচাষি ও মৌচাষি উভয়ই লাভবান হচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলার সখীপুর ও বাসাইল উপজেলায় এ বছর প্রায় ছয় হাজার হেক্টর জমিতে শর্ষের আবাদ হয়েছে। এসব খেতের পাশে কয়েক শতাধিক মৌ চাষের বাক্স স্থাপন করা হয়েছে। এই বাক্স থেকে এবার কমপক্ষে ১০ টন মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। সখীপুর উপজেলায় ৮২০ ও বাসাইলে ১ হাজার ৮০টি বাক্স বসানো হয়েছে।

স্থানীয় কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, উচ্চফলনশীল ও স্থানীয় উভয় জাতের শর্ষে কৃষকেরা চাষ করেন। দুই জাতের শর্ষে নভেম্বরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আবাদ করতে হয়। ফসল ঘরে উঠতে সময় লাগে জাতভেদে ৭০ থেকে ৯০ দিন।

সখীপুর ও বাসাইল বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন শর্ষে ফুলের সমারোহ। কৃষকেরা যেমন মাঠে শর্ষের পরিচর্যা করছেন, তেমনি খেতের পাশে মৌমাছির বাক্স বসিয়ে মধু সংগ্রহ করছেন ভ্রাম্যমাণ মৌচাষিরা।

গত রোববার উপজেলার বেড়বাড়ী ও লাঙ্গুলিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, শর্ষেখেতের পাশে টাঙ্গাইলের গোপালপুর থেকে আসা মুন্না আহমেদ ১৮০টি ও ধনবাড়ী উপজেলা থেকে আসা আশরাফ আলী ২৫০টি মৌ চাষের বাক্স স্থাপন করেছেন। এসব বাক্স থেকে তাঁরা সপ্তাহে পাঁচ থেকে সাত মণ মধু সংগ্রহ করছেন বলে জানান।

সখীপুর উপজেলার পলাশতলী গ্রামে ১০০টি বাক্স বসিয়েছেন সাতক্ষীরার রফিকুল ও মনিরুল ইসলাম। ওই গ্রামেরই সেতুর পশ্চিম পাশে গোপালপুরের আবদুল মালেক ১২০টি বাক্স বসিয়ে মধু আহরণ করছেন। মৌ চাষ সম্পর্কে জানতে চাইলে তাঁরা জানান, শুধু সখীপুর ও বাসাইল অঞ্চলে শর্ষে ফুলের মধু সংগ্রহে ১০ থেকে ১২ জন ব্যবসায়ী এসেছেন। পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ের মৌচাষিরাও মধু সংগ্রহ করছেন। সংগ্রহ করা মধু ঢাকার বিভিন্ন কোম্পানির কাছে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা মণদরে বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন মধু সংগ্রাহকেরা।

উপজেলার বেড়বাড়ী গ্রামের শর্ষেচাষি মকবুল হোসেন বলেন, শর্ষেখেত থেকে মধু আহরণ করলে পরাগায়ন হয়। এতে উৎপাদন বাড়ে। তাই তিনি ও আশপাশের জমির মালিকেরা মৌচাষিদের উৎসাহিত করছেন।

ভ্রাম্যমাণ মধুচাষি আশরাফ আলী বলেন, ‘তাঁরা শর্ষেখেত থেকে মধু সংগ্রহ করায় শর্ষের উৎপাদন বাড়ছে। পাশাপাশি মধু আহরণ করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে যাতে মধু রপ্তানি করা যায়, সেদিকে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিয়ন্তা বর্মণ বলেন, সখীপুর উপজেলায় প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর জমিতে শর্ষের আবাদ হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। মৌমাছি শর্ষের ফুলে উড়ে উড়ে বসে মধু সংগ্রহ করে। এতে শর্ষে ফুলে সহজে পরাগায়ন ঘটে। তাই শর্ষেখেতের পাশে মৌ চাষের বাক্স স্থাপন করলে শর্ষের ফলন অন্তত ২০ শতাংশ বাড়ে। পাশাপাশি মৌচাষিরাও মধু আহরণ করে লাভবান হন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৭, ২০২১ ২:৩১ অপরাহ্ন
সরিষা মাঠে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌ খামারিরা
এগ্রিবিজনেস

উল্লাপাড়ায় সরিষা মাঠে শুরু হয়েছে মৌ খামারিদের মধু সংগ্রহের কাজ। গত ১৫ দিনে এখানে এখন পর্যন্ত ১১৫টি মৌ খামারি উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের বিভিন্ন সরিষার মাঠে মধু সংগ্রহের জন্য মৌ বাক্স ফেলেছেন খামারিরা। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর এখানে মৌ খামারিদের সংখ্যা বেশি।

এ বছর উল্লাপাড়ায় অন্ততঃ ১৯০ টন মধু উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছে উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি বিভাগ।

উল্লাপাড়ার আশার আলো মৌ খামারের মালিক আব্দুর রশিদ জানান, চলনবিল অধ্যুষিত আলীগ্রাম মাঠে ৩৫০টি মৌ বাক্স স্থাপন করেছেন। তার মৌ খামারে ৪ জন শ্রমিক কাজ করছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর তিনি মধু উৎপাদনে সফল হবেন বলে উল্লেখ করেন। তিনি জানান, মধু পাইকারি ২৫০ টাকা কেজি দরে এবং খুচরা ৩০০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

সংগৃহীত মধু দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে। আশার আলো খামারে কর্মরত অনার্স পড়ুয়া শ্রমিক মো. শরিফুল ইসলামের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, প্রতি বছর মধু সংগ্রহের সময় তিনি মৌ খামারে কাজ করেন। এ সময় যে আয় হয় তা দিয়ে তিনি সারা বছর পড়াশোনার কাজে ব্যয় করেন।

তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে তিনি নিজেই মৌ খামার স্থাপনের পরিকল্পনা করছেন।

উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আজমল হক জানান, চলতি রবি মৌসুমে উল্লাপাড়ার ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌর সভায় ১৮ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। ইতিমধেই উপজেলার বিভিন্ন সরিষা মাঠে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ১ শত মৌ খামারি মধু সংগ্রহের জন্য উল্লাপাড়ায় এসেছে। এদের মৌ বাক্সের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ১২ হাজার। আগামী কয়েকদিনে আরও ১৫ জন মৌ খামারি উল্লাপাড়ায় আসার প্রস্তাব দিয়েছে।

গেল বছর উল্লাপাড়ার সরিষা মাঠ থেকে ১৭০ টন মধু সংগ্রহ করেছিলেন। এ বছর এখানে ১৯০ টন মধু সংগ্রহ করা হবে বলে কৃষি বিভাগের ধারণা। দেশে উপজেলার মধ্যে উল্লাপাড়া উপজেলা সরিষা উৎপাদনে শীর্ষে রয়েছে। ফলে দেশের সবচেয়ে বেশি মধু উল্লাপাড়ায় উৎপাদিত হয়। এখান থেকে দেশের বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি ও বিভিন্ন বাজারে মধু পাঠানো হয়ে থাকে। সরিষা মৌসুমে এখানে অনেক বেকার যুবক সাময়িকভাবে কাজের সুযোগ পান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৭, ২০২১ ১১:৩১ পূর্বাহ্ন
২০ হাজার টন সার গায়েবের ঘটনায় তোলপাড়
এগ্রিবিজনেস

জামালপুরে যমুনা সার কারখানা থেকে ২০ হাজার টন ইউরিয়া সার গায়েব হওয়ার ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে এক ম্যানেজারসহ কারখানার তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিসিআইসি। আরো ছয়জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে বিভাগীয় মামলা করা ছাড়াও আরও কারা এই সার চুরির সঙ্গে জড়িত তার তদন্ত চলছে।

দেশের ২০ জেলার ইউরিয়া সারের চাহিদা মেটায় জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার তারাকান্দিতে অবস্থিত যমুনা সার কারখানা। কারখানার গুদাম থেকে প্রায় ৩০ কোটি টাকা মূল্যের ২০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার গায়েব হওয়ার ঘটনাটি প্রথমে নজরে আসে গেলো সেপ্টেম্বর মাসে। এ নিয়ে তদন্ত শুরু করে বাংলাদেশ ক্যামিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন- বিসিআইসি।

বিসিআইসির তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১২ সাল থেকে এখানে বিক্রয় শাখার প্রধান হিসেবে কর্মরত ওয়ায়েছুর রহমানের যোগসাজশে ২০ হাজার টন সার আত্মসাৎ করা হয়। ৬ সদস্যের কমিটির প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ম্যানেজার ওয়ায়েছুর রহমান, সাবেক মহাব্যবস্থাপক খোকন চন্দ্র দাস ও রসায়নবিদ নজরুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বিভাগীয় মামলাও হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

জড়িত ব্যক্তিরা সার সংকট তৈরির ষড়যন্ত্র করছে কি-না তা খতিয়ে দেখার দাবি জানান সংশ্লিষ্টরা।

যমুনা সার কারখানার মহাব্যবস্থাপক দেলোয়ার হোসেন জানান, চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার অভিযুক্তদের ব্যাপারে আরও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এর আগেও যন্ত্রাংশ চুরিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে সংবাদের শিরোনাম হয় যমুনা সার কারখানা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৫, ২০২১ ২:৪১ অপরাহ্ন
হলুদ ও সবুজ রঙের স্কোয়াশ ফলনে খুশি কৃষক
এগ্রিবিজনেস

হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার ভুলকোট গ্রাম। এই গ্রামের সড়কের পাশ দিয়ে যাতায়াতকালে তাকালেই নজর আটকে যাবে। মাত্র ১৫ শতক জমিতে সবুজ ও হলুদ রঙের স্কোয়াশের বাম্পার ফলন হয়েছে

স্থানীয় কৃষক সানু মিয়া স্কোয়াশের চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে চলতি বছর তিনি এ সবজি চাষ করেছেন। ব্যয় হয়েছে প্রায় ৮ হাজার টাকা। ৯০ থেকে ১ লাখ টাকা বিক্রি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সানু মিয়া বলেন, গত বছর একই জমিতে আমি সবুজ রঙের স্কোয়াশ চাষ করে লাভবান হয়েছিলাম। তাই চলতি মৌসুমে দুই রঙের স্কোয়াশ চাষ করেছি। ফলন ভালো দেখে এলাকার অন্য চাষিরা এই সবজি চাষে আগ্রহী হয়েছেন। ক্ষেত ভরা স্কোয়াশ দেখলে মনটা আনন্দে ভরে ওঠে। ইতোমধ্যে বিক্রি শুরু হয়েছে।

অক্টোবর মাসে বীজ বপন করা হয়েছে। চারা লাগানো থেকে শুরু করে ফল সংগ্রহ পর্যন্ত জমি সবসময় আগাছামুক্ত রাখতে হবে। পরাগায়নের ১০-১৫ দিনের মধ্যে ফল সংগ্রহ করতে হয়। তখনও ফলে সবুজ রঙ থাকবে এবং ফল মসৃণ ও উজ্জ্বল দেখাবে। আর হলুদ রঙেরটাও শুরু থেকেই হলুদ হয়। নখ দিয়ে ফলের গায়ে চাপ দিলে নখ সহজেই ভেতরে ঢুকে যাবে। চোরের হাত থেকে রক্ষায় ক্ষেতের মধ্যে খুপরি ঘর তৈরি করে রাতে পাহারা দিতে হচ্ছে।

ক্রেতা তারেক তালুকদার বলেন, স্কোয়াশ খেতে সুস্বাদু। পুষ্টিভরা এ সবজির চাষ হবিগঞ্জে কম। তবে বাহুবলের ভুলকোটে কৃষক সানু মিয়া চাষ করছেন। তার কাছ থেকে লোকজন স্কোয়াশ কিনে নিচ্ছেন। এ সবজির চাষ বাড়ালে কম দামে পাওয়া যাবে।

উপজেলার দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম বলেন, স্কোয়াশ একটি সুস্বাদু ও জনপ্রিয় সবজি হিসেবে বিদেশিদের কাছে অনেক আগে থেকেই পরিচিত। বর্তমানে দেশে স্কোয়াশ একটি উচ্চমূল্যের ফসল। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এ সবজির চাষাবাদ বাড়ছে। তুলনামূলকভাবে কম উর্বর জমি এবং চরাঞ্চলে স্কোয়াশের চাষাবাদ সম্প্রসারিত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, স্কোয়াশ দ্রুত বর্ধনশীল। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ফলন সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করা যায়। সবজির পাইকারি দাম ৫০ টাকা কেজি। তবে এটি খুচরা ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। স্কোয়াশ সাধারণ কুমড়ার মতো সবজি হিসেবে ব্যবহৃত হলেও এর খাদ্য ও পুষ্টিগুণ কুমড়ার চেয়ে অনেক বেশি। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বিশেষ করে ডায়াবেটিস, ক্যান্সার ও হার্টের রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।

স্কোয়াশে একইসঙ্গে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ই ও ভিটামিন বি-৬ এবং নায়াসিন, থায়ামিন, প্যানথোটোমিন এসিড ও ফলনিড। এছাড়া স্কোয়াশ ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, খনিজ, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ক্যারোটিনয়েড এবং অন্যান্য অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানে ভরপুর। নিয়মিত স্কোয়াশ খেলে ফ্রি রেডিকেলসের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করা সম্ভব, বলেন তিনি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ তমিজ উদ্দিন খান বলেন, স্কোয়াশ চাষে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এ সবজি চাষে প্রচুর লাভবান হওয়া সম্ভব। ভুলকোটে গত বছর প্রথমবারেই স্কোয়াশ চাষে কৃষক সানু মিয়ার সাফল্য এসেছিল। চলতি মৌসুমে তিনি দুই রঙের স্কোয়াশ চাষ করে লাভবান।

তিনি বলেন, স্কোয়াশ শরীরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও বিটা ক্যারোটিন সরবরাহ করে। যা আমাদের চোখের জন্য খুবই উপকারী। এটি হাড়ের গঠন, শক্তি ও ঘনত্ব বৃদ্ধি করে। এছাড়া হাইপার টেনশনের রোগীদের জন্য স্কোয়াশ খুবই উপকারী। স্কোয়াশ রক্ত চাপকে কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। বর্তমানে অনেকেই বাড়ির ছাদে, ফুলের টবে সবজি কিংবা ফল গাছ লাগান। সেক্ষেত্রে ছাদ, ফুলের টব বা পতিত জায়গায় স্কোয়াশও লাগাতে পারেন। কারণ এতে জায়গা খুবই কম লাগে। ফলন আসে প্রচুর।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৪, ২০২১ ১২:৫৭ অপরাহ্ন
ঢাকায় দাম বেড়েছে চাল-মুরগি-ডিম-সবজির
এগ্রিবিজনেস

ঢাকায় বছরের শেষে বাজারে দাম বেড়েছে চাল, মুরগি, ডিম ও সবজির। কমেছে পেঁয়াজের দাম।এছাড়াও অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম।

শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম কেজিতে বেড়ছে ৫ থেকে ১০ টাকা দাম কমেছে। এসব বাজারে প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, শিম বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা, (গোল) বেগুন ৬০ টাকা, (লম্বা) বেগুন ৫০ টাকা, ফুল কপি প্রতি পিস ৫০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৮০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, মুলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা ও পেঁপের কেজি ৪০ টাকা।

মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা আলামিন বলেন, শীতের মৌসুমে হলেও দামে বাড়তি সবজির। বাজারে সবজির সরবরাহ ও আমদানি কম থাকায় বেড়েছে দাম। অন্য সময় বছরের শেষে সবজির দাম কম থাকে কিন্তু এবার বন্যার কারণে বেড়েছে দাম।

এ সব বাজারে কমেছে আলুর দাম। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা। দাম কমে নতুন আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কমেছে। পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা।

আগের দামে বিক্রি হচ্ছে রসুন। চায়না রসুনের বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। দেশি আদার কেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। চায়না আদা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা।

এইসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকায়।

এছাড়া শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, রসুনের কেজি ৮০ থেকে ১৩০ টাকা, আদা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজি। হলুদের কেজি ১৬০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেড়েছে দেশি ডালের দাম। কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা। গতসপ্তাহে দেশি ডালের কেজি ১০০ টাকা। ইন্ডিয়ান ডালে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়।

এসব বাজারে ভোজ্যতেলের প্রতি লিটার খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের তেলের লিটারও বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়।

বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।

বাজারে বেড়েছে ডিমের দাম। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। সোনালি (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।

ডিম বিক্রেতা মো. আশিক বলেন, বছরের শেষে ডিমের সাপ্লাই কম থাকায় দাম বেড়েছে। সাপ্লাই বাড়লে আবার দাম কমবে। বিগত বছরগুলোতে বাজারে শেষের দিকে দাম কম থাকে। কিন্তু এবার দাম বেশি।

বাজারে বেড়েছে মুরগির দাম। ১০ টাকা দাম বেড়ে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকা। ২০ টাকা দাম বেড়ে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। সপ্তাহে সোনালি মুরগির কেজি ছিল ২৬০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা।

১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. রুবেল মিয়া বলেন, সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে মুরগির দাম। নতুন বছর বরণ ও ক্রিসমাস ডে থাকার কারণেই মুরগির দাম বাড়তি যাচ্ছে।

বাজারে বেড়েছে চালের দাম। এসব বাজারে নাজিরশাইল চালে কেজিতে বেড়েছে ৩ থেকে ৪ টাকা। নাজিরশাইল চালে কেজি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিনিকেট চালের প্রতি কেজিতে ৩ থেকে ৪টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৩-৬৫ টাকা, আটাশ চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ১ থেকে ২ টাকা। আটাশ চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। একসপ্তাহে আগেও আটাশ চালের কেজি বিক্রি হয়েছে ৪৭-৪৮ টাকা কেজি।

মিরপুর ১১ নম্বর বাজারে চাল বিক্রেতা কালাম সরকার বলেন, শীতকাল আসলেই চালের দাম বেড়ে যায়। চালের সিজন শেষ হওয়াতেই দাম বেড়েছে।

সিন্ডিকেটের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, চাল ব্যবসায় চলে আসছে বড়-বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান। এরা একবারে অনেক চাল কিনে মজুদ করে, হঠাৎ করে বাজারে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। আকিজ, তীর ছাড়াও অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠান নেমেছে চালের ব্যবসায়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৩, ২০২১ ৪:২৭ অপরাহ্ন
কচু ও লতি বিক্রিতে লাখ টাকা আয় জামাল উদ্দিনের
এগ্রিবিজনেস

ময়মনসিংহের নান্দাইলে চরকামট খালী গ্রামের জামাল উদ্দিন (৬৫) কচু ও লতি বিক্রি করে হয়েছেন লাখপতি। কঠোর পরিশ্রম করে নিজের ভাগ্যকে বদলে দিয়েছেন।

নিজের ৩০ শতাংশ জমিতে তিনি কচু চাষ করেন। এখন পর্যন্ত তিনি ৮৫ হাজার টাকার কচু ও লতি বিক্রি করেছেন। পরিচর্যা,সার ও কীটনাশকসহ তার মোট ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কচুর পাশাপাশি লাউ, শিম এবং টমেটোও রোপন করেছেন একই জমিতে। সেখান থেকেও আরও লাভ আসবে বলে জানান এই কৃষক।

সরেজমিন দেখা যায়, জামাল উদ্দিন কচু ক্ষেতে লতি তুলছেন। এখন লতি তোলার শেষ সময়। আর এক সপ্তাহ লতি তুলতে পারবেন বলে তিনি জানান। এক মাঘ মাসে তিনি কচুর চারা রোপন করে আরেক পৌষ-মাঘ পর্যন্ত (১ বছর) লতি তুলতে পারেন।এখন পর্যন্ত তিনি ৮৫ হাজার টাকার লতি বিক্রি করেছেন।

কচু গাছে এখনো যে পরিমান লতি রয়েছে তাতে তিনি ধারনা করছেন অন্তত আরো ৫ থেকে ৭ হাজার টাকার লতি বিক্রি করতে পারবেন।স্থানীয় বাজারগুলোতে তিনি প্রতিটি লতির আটি ২০ থেকে ২৫ টাকা এবং প্রতিটি কচু ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি করেছেন।

কৃষক জামাল উদ্দিন জানান,তিনি ৬ বছর ধরে কচু ও লতি চাষ করছেন। ত্রিশাল থেকে চারা কিনে আনেন। তিনি বগুড়া জাতের কচু রোপণ করেছেন। তিনি কচু ও লতি চাষ করে সবসময় লাভবান থাকেন। নিজে পরিশ্রম করেন তার সুফলও তিনি পান। তিনি তৃপ্তির হাসি হেঁসে বলেন,আমি লতি চাষ করে এখন স্বাবলম্বী। আমার ৫ জনের সংসারে এখন  কোনো অভাব নাই।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান বলেন, কচু একটি দীর্ঘমেয়াদী লাভজনক ফসল। কৃষক অন্য যেকোন ফসলের চাইতে কচু চাষ করে অল্প খরচে বেশী লাভবান হতে পারেন। এবিষয়ে কৃষি অফিস থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৩, ২০২১ ১:০২ অপরাহ্ন
শ্রীমঙ্গলে ১৬তম নিলামে দেড়লাখ কেজি চা বিক্রি
এগ্রিবিজনেস

দেশের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক চা নিলাম কেন্দ্রে চলতি মৌসুমের ১৬তম নিলামে দেড়লাখ কেজি চা বিক্রি হয়েছে। নিলামে প্রায় অর্ধশতাধিক বায়ার অংশ নেন।

বুধবার (২২ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী শ্রীমঙ্গল মৌলভীবাজার সড়কের খান টাওয়ারে এই নিলাম কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

নিলামে সোনার বাংলা টি ব্রোকার্স, শ্রীমঙ্গল টি ব্রোকার্স, রূপসী বাংলা টি ব্রোকার্স, জালালাবাদ টি ব্রোকার্স ও জে এস টি ব্রোকার্সের মাধ্যমে নিলামে বিভিন্ন বাগানের চা নিলামে তোলা হয়।

ক্লোনাল টি এস্টেট, নাহার চা বাগান, সাগরনাল চা বাগান, সিরাজনগর চা বাগান, বৃন্দাবন চা বাগান, শাহবাজপুর চা বাগান, হামিদিয়া চা বাগান, জঙ্গলবাড়ি চা বাগান, আলীবাহার চা বাগান, জুলেখানগর চা বাগান, স্টার টি এস্টেট, ইমাম চা বাগান এবং বাওয়ালি চা বাগান।

শ্রীমঙ্গল সোনার বাংলা ব্রোকার্সের চেয়ারম্যান মো. শহীদ আহমদ ও ডিরেক্টর মুহিব আহমদ জানিয়েছেন, প্রতি নিলামে চা উত্তোলনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিলামে বৃন্দাবন চা বাগানের ৩৮০ টাকা সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২২, ২০২১ ৪:২৯ অপরাহ্ন
হিলিতে পেঁয়াজের কেজি ২৬ টাকা
এগ্রিবিজনেস

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজের দাম কমেছে। একদিনের ব্যবধানে পাইকারিতে দাম কমেছে কেজিপ্রতি দুই টাকা। বর্তমানে ২৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একদিন আগেও ২৭ থেকে ২৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

বুধবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা ইসরাইল হোসেন বলেন, গত দুই সপ্তাহ ধরে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। তবে চলতি সপ্তাহ থেকে দাম কমতে শুরু করেছে।

ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম বলেন, চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন থেকেই পেঁয়াজের দাম কমতির দিকে। কারণ, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দেশীয় পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। বাজারে এসব পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে।

তিনি বলেন, গত ২০ ডিসেম্বর থেকে সরকার যে পেঁয়াজ আমদানির ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) বন্ধ করে দিয়েছে, তার কোনও প্রভাব পড়বে না। অনেক আমদানিকারকের আগের বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি রয়েছে। এতে আগামী ২-৩ মাস বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকবে। ফলে দেশের বাজারে দাম বাড়ার কোনও আশঙ্কা নেই।

বন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন জানান, বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি কিছুটা কমেছে। আগে বন্দর দিয়ে ১৭ থেকে ২০ ট্রাক আমদানি হলেও বর্তমানে কমে ১০ থেকে ১৫ ট্রাক আসছে। মঙ্গলবার বন্দর দিয়ে ১৪টি ট্রাকে ৪১১ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২২, ২০২১ ৩:১৮ অপরাহ্ন
নওগাঁয় মধু বিক্রি করে স্বাবলম্বী
এগ্রিবিজনেস

নওগাঁয় সরিষার ক্ষেতে বাক্স স্থাপন করে কৃত্রিম পদ্ধতিতে মৌ-চাষ ও মধু সংগ্রহ করে লাভবান হচ্ছেন মৌচাষীরা। মধু থেকে যেমন আয় হচ্ছে, মৌমাছির মাধ্যমে পরাগায়নের ফলে সরিষার উৎপাদনও বাড়ছে। লাভবান হওয়ায় অনেক শিক্ষিত বেকার যুবকও মৌচাষে নেমেছেন।

নওগাঁয় মাঠজুড়ে সরিষার আবাদ। যত দূর চোখ যায় হলুদ বরণ ফুল। মাঠের মাঝে ফাঁকা স্থানে ও জমির আইলে রাখা হয়েছে বাক্স। মান্দা উপজেলার কৈইকুড়ি গ্রামে ১৩০টি বাক্স থেকে মধু সংগ্রহ করছে মৌচাষীরা। অন্যান্য মাঠেও মধু সংগ্রহের জন্য বাক্স বসানো হয়েছে। এক সপ্তাহ পরপর মধু সংগ্রহ করেন খামারীরা। মধু সংগ্রহ ও বিক্রির সাথে যুক্ত হয়ে সাবলম্বী হয়েছেন অনেক শিক্ষিত বেকার যুবক।

নভেম্বর থেকে ফেব্রয়ারি মাস পর্যন্ত সরিষার আবাদ হয়। মৌমাছিরা ফুল থেকে মধু আহরণ করায় ঘটে পরাগায়ন। এছাড়া পোকার আক্রমণ কম হওয়ায় ফলন ভাল হয় বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।

খামারি জানান, বাজারে খুচরা তিন’শ থেকে চার’শ টাকা কেজি এবং পাইকারী ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা মণ দরে মধু বিক্রি হয়।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক শামছুল ওয়াদুদ বলেন, মৌচাষীদের দেখে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন অনেক শিক্ষিত বেকার যুবক। এবার মৌবক্সের সংখ্যা এবং মধুর উৎপাদন বাড়বে বলে তিনি আশা করেন।

চলতি মৌসুমে জেলায় সরিষার আবাদও বেড়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২০, ২০২১ ৪:৪১ অপরাহ্ন
মুড়িকাটা পেঁয়াজের দাম না পেয়ে বিপাকে কৃষক
এগ্রিবিজনেস

রাজবাড়ীতে মুড়িকাটা পেঁয়াজ লাগিয়ে বিপাকে পড়েছেন জেলার হাজার হাজার কৃষক। ন্যায্য দাম না পাওয়ায় লোকসানের মুখে পড়ছেন তারা।

জানা গেছে, দেশের পেঁয়াজ উৎপাদনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে রাজবাড়ী জেলা। দেশে উৎপাদিত মোট পেঁয়াজের ১৪ শতাংশ উৎপাদন হয় এ জেলা থেকে। এ বছর বিঘা প্রতি পেঁয়াজ আবাদে চাষিদের সার, বীজ, কীটনাশক, জমি চাষ ও মজুরিসহ খরচ হয়েছে ৫০-৬০ হাজার টাকা। মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিঘা প্রতি উৎপাদন হচ্ছে ৪০-৫০ মণ।

প্রতি মণ পেঁয়াজ মান ভেদে পাইকারি ১১০০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ৫০-৬০ হাজার টাকা। আর বিঘা প্রতি উৎপাদিত পেঁয়াজ মান ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫৫ হাজার টাকা। এতে বিঘাতে মণ প্রতি লোকসান হচ্ছে ৫ হাজার টাকারও বেশি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে, জেলার পাঁচ উপজেলায় এ বছর মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষ হয়েছে ৫ হাজার ২১৫ হেক্টর জমিতে। মুড়িকাটা পেঁয়াজের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৬৭ হাজার ৮০০ টন। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে অতিরিক্ত বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১ হাজার ৩৬২ হেক্টর জমির পেঁয়াজ। ফলে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় পেঁয়াজ কম পাওয়া যাবে। গত বছর হালি ও মুড়িকাটা দিয়ে রাজবাড়ীতে ৩২ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছিল। তবে হালিকাটা পেঁয়াজ উঠলে এ বছর পেঁয়াজ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

দৌলতদিয়া উত্তর পাড়া এলাকার পেঁয়াজচাষি মহিউদ্দিন শেখ বলেন, আমি এ বছর দুই একর জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজ লাগিয়েছিলাম।প্রতি বিঘায় আমার খরচ পড়েছে ৬০-৬৫ হাজার টাকা। বর্তমানে পেঁয়াজের যে বাজার দর তাতে আমার বিঘা প্রতি ৫-১০ হাজার টাকা লোকসান হবে। এত কষ্টে করে টাকা খরচ করে পেঁয়াজ লাগিয়ে যদি দামটাই না পাই তাহলে আমরা চলবে কীভাবে?

বালিয়াকান্দির জামালপুর এলাকার পেঁয়াজচাষি হায়দার আলী বলেন, এ বছর শুরু থেকেই মুড়িকাটা পেঁয়াজের দাম কম। প্রতি মণ ১১০০-১২০০ টাকা করে পাচ্ছি। তারপর আবার পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ বেচতে গেলে বস্তার জন্য দুই কেজি, ধলতা দুই কেজি বাদ দেয়। এতে মণ প্রতি চার কেজি বাদ যাওয়াতে আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি আমরা। এক মণ পেঁয়াজ দিলে ৩৬ কেজির দাম পাচ্ছি।পাইকারি বাজারের এই পদ্ধতি বাদ দেওয়া উচিত।

রাজবাড়ী বাজারে পাইকারি মার্কেটের মোস্তাক ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারি মো. মোস্তাক আহমেদ বলেন, মাত্র মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে উঠেছে। পেয়াঁজের বাজার কেমন হবে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। আর কিছু দিন যাক তাহলে বোঝা যাবে। তবে পাইকারি বাজারে বর্তমানে ১১০০-১২০০ টাকা মণ দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় পেঁয়াজ আসলে মাঠ পর্যায়ের কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক এস এম শহীদ নূর আকবর বলেন, রাজবাড়ীতে প্রতি বছর ৫ হাজার হেক্টরের ওপরে মুড়িকাটা পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। এর বেশির ভাগই উৎপাদন হয় গোয়ালন্দ ও বালিয়াকান্দিতে। এ বছর ৫ হাজার ২১৫ হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষ হয়। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে ১ হাজার ৩৬২ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খোঁজ নিয়ে জেনেছি, বর্তমানে পেঁয়াজের বাজার দর ৩২-৩৪ টাকা কেজি। দাম একটু কম হলেও কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, চাষিরা যেন লাভবান হন সেজন্য সব সময় তাদের কৃষি বিষয়ক পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়া লাভজনক উৎপাদনের জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তাসহ মাঠ পর্যায়ে যারা কাজ করেন, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেও বলা হয়ে থাকে তাদের।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop