৮:৪৯ অপরাহ্ন

শুক্রবার, ৮ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১, ২০২২ ২:৫৮ অপরাহ্ন
পেঁয়াজ রসুনের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অর্ধেকে
এগ্রিবিজনেস

রংপুরের বাজারগুলোতে পেঁয়াজ রসুনের দাম গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে অর্ধেকে নেমেছে।

রংপুর নগরীর সিটি বাজার, স্টেশন বাজার, শঠিবাড়ী বাজার ঘুরে দেখা গেছে খুচরা মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিলো ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। আর রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে যা গত সপ্তাহে ছিলো ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে কৃষকদের দেশিয় পেঁয়াজ রসুন নামায় দাম হঠাৎ করে অর্ধেকে নেমেছে।

মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে শঠিবাড়ি বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি পেঁয়াজ (কাঁচা) পাইকারি দরে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা দরে। এলসি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে পাইকারি ১৫ থেকে ১৮ টাকা দরে। আর রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ টাকা।

ওই বাজারের সামছুল হক নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, গত ১০ থেকে ১৫ দিন‌ ধরে বাজারে পেঁয়াজ রসুনের চাহিদা কিছুটা কমেছে। কারণ এই সময়ে প্রত্যেক কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পেঁয়াজ উত্তোলন করেন। এছাড়া শীত মৌসুমে দাম কিছুটা কম থাকে তবে এবারের দামটা একটু বেশি কমেছে। আগের ক্রয়কৃত মজুদ পেঁয়াজ রসুন অনেক লোকসান দিয়ে বিক্রি করছেন বলেও জানান তিনি।

এদিকে দাম কম থাকায় অনেক খুচরা ক্রেতা কয়েক মাসের চাহিদা অনুযায়ী একবারে বেশি করে পেঁয়াজ রসুন ক্রয় করতেও দেখা গেছে। আজগর আলী নামের এক ক্রেতা বলেন, বাজারে পেঁয়াজের দাম অনেক কমেছে এই সময়ে। তাই কয়েক মাসের জন্য একবারে কিনে রাখলাম।

শঠিবাড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য রাসেল খন্দকার জানান, পেঁয়াজ রসুনসহ অনেক কাঁচামালের দামই কমে এসেছে। কারণ এই সময়ে এসব কাঁচামাল কৃষকদের জমি থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে উৎপাদন হয়ে বাজারে আসে। হয়তো আরও একমাস এই মূল্য থাকতে পারে পরবর্তীতে আস্তে আস্তে দাম বাড়বে‌‌।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ৩১, ২০২২ ৪:৩৩ অপরাহ্ন
১০ হাজার মেট্রিক টন আলু রপ্তানি করা হবে
এগ্রিবিজনেস

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) চেয়ারম্যান এ এফ এম হায়াতুল্লাহ বলেছেন, ‘গত বছর বিদেশে দেড় হাজার মেট্রিক টন আলু রপ্তানি করা হয়েছিল। এবার গুনগত মানসম্মত আলু উৎপাদন হওয়ায় বিভিন্ন দেশে ১০ হাজার মেট্রিক টন আলু রপ্তানি করা হবে।’

সোমাবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ভিত্তি আলুবীজ উৎপাদন খামারে সারা দেশের ৫০ জন ডিলারের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

এ এফ এম হায়াতুল্লাহ বলেন, ‘প্রতি বছর আমাদের দেশে ১ কোটি ১০ লাখ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হয়। আর যাতে কোনো আলু আমদানি করতে না হয়, এ জন্য সান্তনা ও এ্যালকেন্ডার জাতের আলু নিয়ে এ উৎপাদন কেন্দ্রে গবেষণা চলছে। হয়তো আর কয়েক বছরের মধ্যে আমরা আর কোন আলু আমদানি করবো না। আলু দেশের রপ্তানির অন্যতম পণ্য থাকবে।’

বিএডিসি’র অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক মো. রাজেন আলীর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএডিসি পরিচালক সদস্য মো. আমিরুল ইসলাম, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বিএডিসি সচিব মো. আশরাফুজ্জামান, মহাব্যবস্থাপক (সার) প্রদিপ কুমার দে, ডোমার ভিত্তি আলুবীজ উৎপাদন খামারের উপ-পরিচালক আবু তালেব প্রমুখ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ৩১, ২০২২ ৩:৩২ অপরাহ্ন
ঝিনাইদহের পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দরপতন
এগ্রিবিজনেস

ঝিনাইদহের পাইকারি বাজারে মুড়িকাটি পেঁয়াজের দাম কমেছে। প্রতি মণ পেঁয়াজ ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঝিনাইদহ জেলা অফিস সূত্রে জানা যায়, দেশের মধ্যে এ জেলা পেঁয়াজ উৎপাদনে অন্যতম। এ বছর প্রায় ১ হাজার হেক্টরে মুড়িকাটি পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। অক্টোবর মাস থেকে মুড়িকাটি পেঁয়াজ উঠতে শুরু করে। এখন ভরা মৌসুম চলছে। শৈলকুপা উপজেলায় পেঁয়াজের চাষ বেশি হয়ে থাকে।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রচুর পেঁয়াজ উঠেছে। ছোট সাইজের পেঁয়াজ প্রতি মণ ৪০০ টাকা এবং বড় সাইজের পেঁয়াজ ৭০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হয়। অর্থাৎ প্রতি কেজির দাম ১০ টাকা থেকে সাড়ে ১৭ টাকা।

শৈলকুপা উপজেলার নৌপাড়া গ্রামের চাষি খয়বার হোসেন বলেন, প্রতি মণ মুড়িকাটি পেঁয়াজ ৪০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করেছেন।

আর হাকিমপুর গ্রামের চাষি আবুল কাশেম বলেন, তার মুড়িকাটি পেঁয়াজ ভালো হয়েছে। ৭০০ টাকা দরে দুই মণ বিক্রি করেছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঝিনাইদহের উপপরিচালক মো. আজগর আলি বলেন, এ জেলার চাহিদা মেটানোর পরও বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ উদ্বৃত্ত থাকে, তা দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ৩১, ২০২২ ১:০১ অপরাহ্ন
ফরিদপুরে রসুনের কেজি ৫ টাকা!
এগ্রিবিজনেস

ফরিদপুরে প্রতি কেজি রসুন ৫-৭ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। জেলার চরাঞ্চলের কৃষকদের মাঠ এবং নিজ আঙ্গিনা থেকে এ দামেই রসুন বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাজারে প্রকারভেদে সেই রসুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৫-২০ টাকায়।

জানা গেছে, জেলাটিতে এ বছরও অনেক কৃষক রসুন চাষ করেছেন।

এদিকে জেলার একাধিক কৃষক জানান, আগামীতে যদি রসুনের দাম এভাবেই নিচের দিক নামতে থাকে, তবে তারা রসুন চাষ আর করবেন না।

ফরিদপুরের নগরকান্দা, মধুখালী, সদর উপজেলা, সদরপুর, চরভ্রাসন, ভাঙ্গা উপজেলায় মসলা জাতীয় ফসলের মধ্যে পেঁয়াজ ও রসুনের আবাদ বেশি হয়। এর মধ্যে সদর উপাজেলার নর্থচ্যানেল, অম্বিকাপুর, মাধবদিয়া, ঈশানগোপালপুর, নগরকান্দা, সালথা ও ভাঙ্গার বিস্তীর্ণ এলাকার মাঠজুড়ে আবাদ করা হয় রসুন।

গত বছর জেলাটিতে রসুনের বাম্পার ফলন হয়েছিল। এবারও বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে। তবে দাম নিয়ে কৃষকরা শঙ্কায় রয়েছেন।

সদর উপজেলার শওকত সেকেন্দার নামে এক কৃষক বলেন, বাজারে পুরাতন রসুন এখন প্রতি মণ ২০০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যে কারণে কৃষকরা রসুন নিয়ে বিপাকে পড়ছেন।

হোসেন নামে আরেক কৃষক বলেন, রসুন চাষ করে এখন লাভের মুখ দেখা তো দূরের কথা, কামলা (শ্রমিক) খরচই উঠছে না।

চরমাধবদিয়ার কৃষক হাচান ফকির বলেন, এ বছর আমি দুই বিঘা জমিতে রসুন আবাদ করেছি। সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে প্রায় ৫০-৫৭ হাজার টাকা। আর আবাদ জমি থেকে রসুন পাবো আনুমানিক ৪০ মণ। যা বিক্রি হবে প্রতি মণ ২৫০-৩০০ টাকা দরে। এ হিসাবে সব মিলিয়ে রসুন চাষ করে ক্ষতি হবে প্রায় ৪০ হাজার টাকার মতো।

নগরকান্দার কৃষক সেকেন মাতুব্বর বলেন, এবার রসুনের দাম একেবারেই কম। পুরাতন রসুনের দাম ৩০০ টাকা মণ। বাজারের সেরা রসুনের দামই মাত্র ৩৩০-৩৫০ টাকা।

সদরপুরের কৃষক হাওলাদার লতিফুল হক বলেন, সদরপুর বাজার রসুন এবার পানির দামে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া বাজারে এখন দেশি রসুনের কদর কম।কারণ বিদেশি রসুন দেখতে বড় এবং লোভনীয় হওয়ায় এর চাহিদা বেশি।

ফরিদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. হযরত আলী বলেন, চলতি বছর জেলায় রসুন আবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমিতে। ফলনও ভালো হয়েছে। তবে রসুনের দাম যেভাবে কমছে, তাতে কৃষকরা কষ্টের মূল্যও ঘরে তুলতে পারবেন কিনা সন্দেহ আছে।

রসুনের কম মূল্য হওয়ার বিপরীতে চরাঞ্চলের কৃষকরা জানান, চর থেকে শহরের দূরত্ব প্রায় ২৫-৩০ কিলোমিটার। এখান থেকে শহরের গাড়ি ভাড়া জন প্রতি ৪০ টাকা। আসা-যাওয়ায় ৮০ টাকা। মালসহ গাড়ি ভাড়া ১৫০ টাকা। ১ মণ নতুন রসুন বাজারে বিক্রি হয় সর্বোচ্চ ১০০ টাকা।

তার চেয়ে নদী পথে ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, মীরকাদিম, কমলঘাট, দোহার, নবাবগঞ্জ থেকে যেসব মহাজনরা আসেন, তাদের কাছে ফসলের ক্ষেত থেকে ৫-৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলেই আমাদের ভালো হয়।

কৃষকরা আরও জানান, তাছাড়া শ্রমিকের মূল্যও অনেক চড়া। আগে ৪০০ টাকায় একজন শ্রমিক মিললেও এখন তা বেড়ে ৬০০-৬৫০ টাকা। তারপর দুই বেলা খাওন-দেওন লাগে। তাতে সব মিলে দেখা যায়, ১ মণ প্রায় ৬ মণ রসুনের সমান। মানে, একজন শ্রমিকের দাম।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ৩০, ২০২২ ৪:০১ অপরাহ্ন
দামুড়হুদায় ভারত সুন্দরী কুল চাষে লাভবান চাষি আব্দুস সামাদ
এগ্রিবিজনেস

ভারত সুন্দরী কুল আবাদ করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন তরুণ চাষি আব্দুস ছামাদ। আব্দুস সামাদ দামুড়হুদা উপজেলার দেউলী-চিৎলা হাসপাতাল মাঠে তিন বিঘা জমিতে উন্নত জাতের এ কুলের আবাদ করেছেন।

জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা সদরের চিৎলা গ্রামের বজলু রহমানের ছেলে আ. সামাদ (৩২) এইচএসসি পাস করে আর লেখোপড়া করেননি। পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন কৃষিকাজ। ভাবতে থাকেন কি চাষ করলে ভালো লাভবান হওয়া যাবে। বিশ্বস্ত সূত্রে তিনি জানতে পারেন ভারত সুন্দরী কুল চাষ করে লাভবান হওয়া যাবে। যশোরের এক নার্সারি থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচে চারা নিয়ে এসে প্রাথমিকভাবে তিন বিঘা জমিতে এ জাতের কুলচারা লাগান। অল্প সময়ে চারাগুলো বেড়ে ওঠে। তিন মাসের মধ্যেই ফুল ও ফল ধরা শুরু করে। এখন প্রতিদিন ২-৩ মণ করে কুল তুলে চুয়াডাঙ্গার আড়তে বিক্রি করছেন।

ইতোমধ্যে তিনি প্রায় তিন লাখ টাকার কুল বিক্রি করেছেন। আরও দুই লাখ টাকার কুল বিক্রি হবে বলে আশা করছেন তিনি। কুল গাছের ওপরে নেট জাল টাঙিয়ে দিয়েছেন যাতে পাখিরা কুল নষ্ট করতে না পারে। অপরদিকে, গাছের কলম করতে শুরু করেছেন।

ইতোমধ্যে বিক্রির জন্য ৫ হাজার চারা প্রস্তুত করেছেন। সুস্বাধু মিষ্টি এ কুল গাছে কোনো কাটা নেই। সহজেই পরিচর্যা ও কুল তোলা যাচ্ছে। আর দুমাস পরেই কুল তোলা শেষ হলে গাছের ডাল কেটে দেয়া হবে। সাথে সাথে গাছের চারাও কমিয়ে দেয়া হবে। জমিতে এখন ৯ শতাধিক গাছ রয়েছে। আগামী বছরে অর্ধেক গাছ থেকে আরও বেশি কুল ধরবে বলে আশা করছেন তিনি। ইতোমধ্যে কুল গাছের ফাঁকে ফাঁকে সাথী ফসল হিসেবে উন্নত জাতের তরমুজের চারা রোপণ করেছেন। তিন বিঘা জমিতে পরিচর্যার জন্য রক্ষণাবেক্ষণ, কুল তোলা, চারা কলম করার জন্য ৪-৫ জন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করছেন। কুলের চারা লাগানোর আগে জমিতে রাসায়নিক সারের পাশাপাশি জৈব সার দিয়েছিলেন তিনি। আর কোনো সার দিতে হয়নি তাকে। সব খরচ বাদ দিয়ে তিনি ২ লাখ টাকা লাভ করবেন। পাশাপাশি চারা তৈরি করে বিক্রিও করবেন।

কুলচাষি আব্দুস সামাদ জানান, বাবার সাথে সহযোগী হিসেবে চাষ শুরু করেছিলাম। কিন্তু ওইসব চাষে লাভ করতে পারিনি। বিকল্প হিসেবে উন্নত জাতের ভারত সুন্দরী কুল চাষ করে লাভের মুখ দেখছি। আমার বাবার এক ইঞ্চি জমি পতিত থাকবে না। প্রতিটি জমিই চাষের আওতায় আনা হবে।

দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মনির জানান, চাষিরা যে ফসল চাষ করে লাভ হবে সেই ফসলই আবাদ করবে। আর এসব ফসলের উপর পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এজন্য মাঠ পর্যায়ে আমাদের কর্মকর্তারা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে সামাদের মতো অন্য তরুণ, যুবকেরা এরকম উন্নত জাতের কুল চাষ করে স্বাবলম্বী হতে পারেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ৩০, ২০২২ ৩:৩৩ অপরাহ্ন
ফলন ভালো, দাম নিয়ে উদ্বেগ
এগ্রিবিজনেস

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মার তীরবর্তী এলাকায় শীতকালীন সবজি টমেটোর ভালো ফলন হয়েছে। তবে অসময়ের বৃষ্টিতে টমেটোতে কালচে দাগ ও পচন দেখা দিয়েছে। খেতে পুনরায় কীটনাশক ছিটানোর কারণে চাষিদের খরচ বেড়ে গেছে। মান খারাপ হওয়ায় বাজারে টমেটোর দাম কমে গেছে।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার শীত মৌসুমে বৃষ্টিতে টমেটোর গায়ে ছোট কালচে দাগ ও পচন দেখা দিয়েছে। এ কারণে টমেটোর দাম কম পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি টমেটো ১০-১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক বিঘা জমিতে টমেটো চাষে ২৫-৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। ইজারা নিয়ে জমি চাষ করলে খরচ বেড়ে দ্বিগুণ হয়। প্রতি বিঘায় ভালো ফলন হলে ১৫০-২০০ মণ টমেটো পাওয়া যায়।

গোয়ালন্দের দেবগ্রামের অন্তার মোড়, উজানচরের চর কর্নেশনায় গিয়ে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ এলাকার মাঠজুড়ে টমেটোর খেত। গাছে গাছে ঝুলছে কাঁচা-পাকা টমেটো। নারী-পুরুষ টমেটো তোলার কাজে ব্যস্ত।

অন্তার মোড় এলাকার চাষি ইউনুস শেখ ও শুকুর আলী বলেন, চরে টমেটো চাষ বেশ লাভজনক। বৃষ্টির কারণে এবার টমেটোতে কালচে দাগ পড়েছে। অনেক টমেটোয় পচন ধরছে। মৌসুমের শুরুতে টমেটোর মূল্য বেশি ছিল। এখন বাজার পড়ে গেছে। যে লাভের আশা তাঁরা করেছিলেন, এবার তা হবে না।

উজানচর ইউনিয়নের মজলিশপুর চরের কয়েকজন চাষি বলেন, ‘টমেটোর দাম এত কম হলে আমাদের এবার লাভ হবে না। তারপর আবার বৃষ্টিতে টমেটোতে পচন ধরাতে কীটনাশক দিতে হয়েছে। ফলে খরচও বেড়ে গেছে।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ বছর রাজবাড়ীতে ৭২২ হেক্টর জমিতে টমেটোর আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে গোয়ালন্দে ৩৫৭ হেক্টর জমিতে।

গোয়ালন্দের কৃষি কর্মকর্তা খোকন উজ্জামান বলেন, উপজেলায় উচ্চ ফলনশীল জাতের টমেটোর আবাদ হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে আবাদ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে পরে কৃষি বিভাগের পরামর্শে কৃষকেরা খেতে কীটনাশক দেওয়ায় ফলন ভালো হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২৯, ২০২২ ৩:৪৩ অপরাহ্ন
হারিয়ে যাচ্ছে কালোজিরা ধান
এগ্রিবিজনেস

পোলাও, বিরিয়ানি, পায়েস, ক্ষীর, জর্দা তৈরিতে একসময়ের প্রসিদ্ধ ধান কালোজিরা এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। খরচ বেশি ও লাভ কম হওয়ায় কৃষকরা এই ধান চাষে আগ্রহ হারিয়েছেন।

৩০ বছরের ব্যবধানে এ ধানের জায়গা দখল করে নিয়েছে উফশি ও উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, সাতকানিয়া, বোয়ালখালী ও মিরসরাই উপজেলায় একসময় দেশিয় জাতের সুগন্ধি কালোজিরা ধান চাষ হতো কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে। ক্রমবর্ধমান খাদ্যের চাহিদা মেটাতে দেশ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতিবান্ধব এমন হাজারও জাতের দেশি ধান।

কালোজিরা, কাশিয়াবিন্নি, লক্ষ্মীদীঘা, হিজলদীঘা, খৈয়ামটর, শিশুমতি, দুধকলম, দেবমণি, বাঁশিরাজ, মানিকদীঘা, রায়েন্দা, জাবরা, লালদীঘাসহ নানান জাতের সুগন্ধি চালের নাম ছিল সবার মুখে মুখে। কিন্তু উচ্চ ফলনশীল আধুনিক ধানের জাত বাজারে আসায় দেশিয় ওইসব ধানের নাম ভুলতে বসেছে মানুষ। বীজের অভাব, সার, ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধিসহ নানান কারণে হারিয়ে গেছে এসব সুগন্ধি ধানের চাষাবাদ। তবে সুখের কথা, বিচ্ছিন্নভাবে কম পরিমাণে হলেও বিলুপ্তপ্রায় কালোজিরা ধানের চাষ হচ্ছে চট্টগ্রামে।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কালোজিরা ধানের ফলন হয় কম। বিঘা প্রতি অন্য জাতের ধান যেখানে ১৫ থেকে সর্বোচ্চ ২০ মণ উৎপন্ন হয় সেখানে এ জাতের ফলন হয় সর্বোচ্চ আট মণ পর্যন্ত। তবে বাজারে দাম দ্বিগুণ পাওয়া যায়। সার, সেচ ও পরিচর্যাও লাগে কম। সে হিসেবে আবাদে তেমন লোকসান হয় না। এখনও গ্রামের গৃহস্থ পরিবারের কাছে এ ধানের কদর রয়েছে।

কৃষি কর্মকর্তাদের মতে, এ জাতের ধান আগে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে চাষ করা হতো। কিন্তু উৎপাদন কম হওয়ায় কৃষকরা বীজ আমদানির ওপর নিভর্রশীল হয়ে পড়ে। এর ফলে হারিয়ে যাচ্ছে এক সময়ের জনপ্রিয় কালোজিরা, কাশিয়াবিন্নি, সরু, বেগুনবিচি, জামাইভোগ, দাদখানি ও খৈয়া মটরসহ নানান জাতের দেশি ধান।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের কৃষি বিভাগের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা বা প্রদর্শনী প্লট প্রকল্প গ্রহণ করলে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করা যাবে এসব দেশিয় ধান।

মিরসরাই উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এখানকার ১৬টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় প্রায় ৫০ হাজার কৃষক পরিবার রয়েছে। আমন মৌসুমে উপজেলায় ২০ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়। এরমধ্যে কালোজিরা ধান চাষ হয়েছে ৮০ হেক্টর জমিতে। গত বছর চাষ হয়েছিল ৮৫ হেক্টর জমিতে। প্রায় ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করেছেন কৃষকরা।

মিরসরাইয়ের কৃষক নাজিম উদ্দীন বলেন, একসময় প্রত্যেক কৃষক আমনের পাশাপাশি কম-বেশি কালোজিরা চাষ করতো। এখন হাতেগোনা কিছু কৃষক কালোজিরা ধান চাষ করেন। এই ধানের ফলন অন্য ধানের চেয়ে অনেক কম। যে জমিতে আমন চাষ করে ৫ মণ ধান পাওয়া যায় সে পরিমাণ জমিতে কালোজিরা ৩ মণও পাওয়া যায় না।

মিরসরাইয়ের সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রঘুনাথ সাহা বলেন, আমন মৌসুমে মিরসরাই উপজেলায় ২০ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়। এরমধ্যে কালোজিরা ধান চাষ হয়েছে ৮০ হেক্টর জমিতে। আগের চেয়ে এই জাতের ধান চাষ কমতে শুরু করেছে। এখন কৃষকেরা উচ্চ ফলনশীল ধান চাষ করছে। দেশিয় ধান চাষে আগ্রহ কমে যাচ্ছে।

সীতাকুণ্ডের ১টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নের কৃষকরা একসময় কালোজিরা ধান চাষ করতেন। মুরাদপুর, বাড়বকুণ্ড, কুমিরা, বারৈয়াঢালা, শিবপুর, সৈয়দপুর, ইদিলপুর, বশরতনগর, মহানগরসহ বেশ কিছু এলাকা ঘুরে কালোজিরা ধানের চাষ দেখা যায়নি।

স্থানীয় কৃষক জয়নাল আবেদীন জানান, ১০ বছর আগে আমন চাষের পাশাপাশি গুরা ধানের (কালোজিরা) চাষও করতাম। কিন্তু খরচ বেশি ও লাভ কম হওয়ায় এই চাষ একপ্রকার বন্ধ করে দিয়েছি। বর্তমানে মাত্র ৪ শতক জমিতে এই ধানের চাষ করেছি।

সীতাকুণ্ডের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুপর্না বড়ুয়া বলেন, সলিমপুরে একসময় কালোজিরা ধান চাষ করতেন কৃষকরা। তবে এখন এই ধানের চাষ হচ্ছে না। অন্যান্য এলাকায়ও কমে গেছে এই ধানের আবাদ।

সাতকানিয়া উপজেলায় আমন মৌসুমে ১১ হাজার ৯৬৫ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়। এরমধ্যে ১০ হেক্টর জমিতে চাষ হয় কালোজিরা ধান।

সাতকানিয়ার উপ সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা শম্ভু নাথ দেব বলেন, একসময় কৃষকরা শখের বসে কালোজিরা চাষ করতেন। এখন অনেক কমে এসেছে। সাতকানিয়ায় মাত্র ১০ হেক্টর জমিতে এ ধান চাষ হচ্ছে। পাওয়া যায় ৫০-৭০ আড়ি পর্যন্ত। উচ্চ ফলনশীল আউশ, আমন, বোরো ধানের ফলন বেশি হওয়ায় কৃষকরাও ওইদিকে ঝুঁকছে।

বোয়ালখালীর পোপাদিয়া, শাকপুরা, আমুচিয়া, কড়লডেঙ্গা, সারোয়াতলী ও পূর্ব গোমদণ্ডী ইউনিয়নের কৃষি জমিতে একসময় কালোজিরা ধান চাষ হয়েছে। স্থানীয়ভাবে ‘কাইল্যা জিরা’ নামে পরিচিত এই ধান বীজের অভাব, সার, ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধিসহ নানান কারণে চাষাবাদ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর তথ্যমতে, ১৯১১ সালে ১৮ হাজার জাতের ধানের রেকর্ড রয়েছে। ১৯৮৪ সালে কৃষি মন্ত্রণালয়ের জরিপে ১২ হাজার ৪৮৭ জাতের হিসাব পাওয়া যায়। ২০১১ সালের জরিপ অনুযায়ী দেশে বর্তমানে আট হাজার জাতের ধান আছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২৮, ২০২২ ২:২৬ অপরাহ্ন
গোপালগঞ্জে বল সুন্দরী কুলের বাম্পার ফলন
এগ্রিবিজনেস

কাশ্মিরি বা বল সুন্দরী কুলের বাম্পার ফলনে খুশি গোপালগঞ্জের চাষীরা। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় হাইব্রিড জাতের এই কুলের বাম্পার ফলন হয়েছে। দিনদিন চাষীরা কাশ্মিরী  কুল চাষের দিকে বেশি ঝুঁকছে। 

গোপালগঞ্জে আগে আপেল কুল ও বাউ কুলের চাষ হলেও এখন নতুন জাত কাশ্মীরি বা বল সুন্দরী কুলের খামার বাড়ছে। জেলার ৫ টি উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে আবাদ হচ্ছে হাইব্রিড জাতের এই কুল।

সেখানে চলতি মৌসুমে এক হাজার ৬ শত ৮০ হেক্টর জমিতে কাশ্মিরী কুলের আবাদ হয়েছে। বছরে তিনবার  ফলন পাওয়া যায় । আর পরিচর্যাও সহজ।

কাশ্মিরী কুল আকারে বড়, খেতেও সুস্বাদু। লাভ ভালো হওয়ায় জেলার বেকার যুবকরা আগ্রহী হয়ে উঠছে এই কুল চাষে ।

জেলা কৃষি কর্মকর্তা অরবিন্দু কুমার রায় জানালেন , কাশ্মিরী কুল পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দারিদ্র বিমোচনেও ভূমিকা রাখবে।

তিনি জানালেন , আগামীতে গোপালগঞ্জে কাশ্মিরী কুলের আবাদ আরো বাড়বে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২৮, ২০২২ ১:০৩ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জে বিদেশি তরমুজ চাষে ব্যাপক সাড়া
এগ্রিবিজনেস

সুনামগঞ্জের ছাতকে বিদেশি তরমুজের চাষ করে সাড়া ফেলেছেন ৫ যুবক। সোয়া একর অনাবাদী জমিতে হলুদ রঙের এ তরমুজ চাষ করে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছেন তারা। প্রথমবারই বাম্পার ফলনে লাভবান হওয়ার আশা তাদের।

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের, তাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায়, প্রায় সোয়া একর অনাবাদি জমিতে ঝুলছে হলুদ রঙের তরমুজ। স্থানীয় ৫ যুবক, আশরাফুর রহমান, আব্দুর রহমান, নজরুল ইসলাম, নাঈম আহমদ ও মোস্থাফিজুর রহমান মিলে নিজেদের অর্থায়নে বিদেশি জাতের এ হলুদ তরমুজ চাষ করে ইতিমধ্যে জেলায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন।

কচি লতানো গাছের সবুজ পাতার ফাঁকে মাচায় ঝুলছে অসংখ্য হলুদ রঙের তরমুজ। অন্যান্য তরমুজের তুলনায় এ জাতটি অধিক মিষ্টি হওয়ায় বাজারে এর চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। এদিকে, তরমুজ বাগানটি দেখতে বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রতিদিনই দর্শনার্থী ও আগ্রহী চাষীরা ভিড় করছেন এখানে।

উদ্যোক্তারা জানান, বাজারে চাহিদা থাকায় লাভের আশা করছেন তারা। তবে, পর্যাপ্ত সহযোগিতা পেলে আগামীতে আরো বড় পরিসরে তরমুজ চাষ করার কথা জানান উদ্যোক্তারা।

এদিকে, কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকেও এ ধরনের উদ্যোক্তাদের সহযোগিতার কথা জানান সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ফরিদুল হাসান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২৮, ২০২২ ১২:৩৭ অপরাহ্ন
বাড়তি বাজার মূল্যের হেরফের নেই
এগ্রিবিজনেস

বাজারে হরেক পদের শীতের সবজি। সবজির রঙে রঙ্গিন বাজারটায় মূল্য সপ্তাহের ব্যবধানে হেরফের হয়নি তেমনটা। তবে কমেছে মুরগির দাম।

আজ শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকা, গাজরের কেজি ২০-৩০ টাকা। শিম মানভেদে ৩০-৬০ টাকা, ফুলকপি পিস ৪০-৬০ টাকা, শাল গম ৩০-৪০ টাকা কেজি। বরবটির বাজারটা চড়া, প্রতি কেজি ৫০-৭০ টাকা। লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা।

লালশাকের আঁটি ১০-১৫ টাকা, পালংশাক ১৫-২০ টাকা। এদিকে, দেশি পিয়াজের কেজি ৩০ টাকা, ভারতীয় পিয়াজ ৪৫-৫০ টাকা, আলু প্রতি কেজি ১৫ টাকা, ডিমের ডজন ১১০ থেকে ১১৫ টাকা।

মাছ বাজারে দেখা যায়, রুই ও কাতল মাছের কেজি ৩০০-৪৫০ টাকা। শিং ও টাকি ২৫০-৩৫০ টাকা, শোল মাছ কিনতে গুণতে হবে ৪০০-৬০০ টাকা।

তেলাপিয়া ও পাঙাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৭০ টাকা। এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১০০০-১২০০ টাকায়, ছোট ইলিশ মাছের কেজি ৫০০-৬০০ টাকা। নলা মাছের কেজি ১৭০-২০০ টাকা ও চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৬৫০ টাকায়।

আর ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৬০-১৬৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা। পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০-২৬০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop