৫:৩৪ পূর্বাহ্ন

মঙ্গলবার, ১১ মার্চ , ২০২৫
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৬, ২০২৫ ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন
ময়মনসিংহে প্রযুক্তির সহায়তায় সংঘটিত জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ শীর্ষক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন
পাঁচমিশালি

বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও এন্ড কমিউনিকেশন (বিএনএনআরসি) এর উদ্যোগে ময়মনসিংহ সাপলা রিসোর্স সেন্টার মিলনায়তনে ২৫ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হলো ‘প্রযুক্তির সহায়তায় সংঘটিত জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ।

প্রশিক্ষণের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং ময়মনসিংহে প্রযুক্তির সহায়তায় সংঘটিত জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতার প্রেক্ষাপট-এর উপর কার্যপত্র উপস্থাপন করেন সিনিয়র সাংবাদিক নিষ্ঠা উন্নয়ন সংঘের নির্বাহী পরিচালক মুক্তমনা লেখক ও উন্নয়ন কর্মী স্বাধীন চৌধুরী। প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন বিএনএনআরসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচএম বজলুর রহমান ও প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর হীরেন পণ্ডিত।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক মীর আকরাম উদ্দীন আহম্মদ। তিনি বলেন, প্রযুক্তির সহায়তায় সংঘটিত সহিংসতার কারণ সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে এবং এর প্রতিকারের জন্য সমাজের সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হবে। সবাইকে সাথে নিয়েই এই যুদ্ধ করতে হবে।

প্রশিক্ষণে উপস্থিত বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক দীন মোহাম্মদ দীনু বলেন, আজকের প্রশিক্ষণের বিষয়টি নিয়ে সবাইকে কাজ করতে হবে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী ।সকলের সচেতনতা ও ডিজিটাল জ্ঞান অর্জন সমাজের এ ভয়াবহ ব্যাধি থেকে আমরা পরিত্রাণ পেতে পারি।বিএনএনআরসি এবিষয়ে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে আশা করছি।

প্রশিক্ষণের শেষ পর্বে প্রত্যেক অংশগ্রহণকারী তাদের গুরুত্বপূর্ণ কী পয়েন্ট ব্যক্ত করেন এবং অতিথিগণ সকল অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।

তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশের সাথে তাল মিলিয়ে এর অপব্যবহারও বেড়ে চলেছে, এতে বেড়েছে জনহয়রানি। সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ প্রতিনিয়ত অনলাইনে হয়রানির শিকার হচ্ছেন, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যকই নারী।এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের ৭৮% এরও বেশি নারী প্রযুক্তির সহায়তায় সংঘটিত জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন।

ময়মনসিংহ অঞ্চলে প্রযুক্তির সহায়তায় সংঘটিত জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং নারী প্রধান নাগরিক সমাজ সংগঠনের প্রতিনিধি, নারী নেত্রী, মানবাধিকার সুরক্ষা প্রদানকারীদের ভূমিকা জোরালো করার লক্ষ্যে এই প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হয়।

প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য ছিলো প্রযুক্তির সহায়তায় সংঘটিত জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ সম্পর্কে নাগরিক সমাজ-সংগঠনের নারী প্রতিনিধি, নারী নেত্রী, মানবাধিকার সুরক্ষা প্রদান সংস্থার নারী প্রতিনিধিদের ধারণা প্রদান এবং সচেতনতা বৃদ্ধি। প্রযুক্তির সহায়তায় সংঘটিত জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে নাগরিক সমাজ-সংগঠনের কর্ম-পরিকল্পনা নির্ধারণ এবং তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে প্রযুক্তির সহায়তায় সংঘটিত জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতা-এর শিকার বা ভুক্তভোগীদের আইনগত প্রতিকার প্রাপ্তিতে সহায়তা প্রদান।উন্নয়ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে প্রযুক্তির সহায়তায় সংঘটিত জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়বে। পাশাপাশি প্রযুক্তির সহায়তায় সংঘটিত জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতার শিকার বা ভুক্তভোগীরা আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থাসমূহ থেকে প্রতিকার গ্রহণে উৎসাহী হবেন।

প্রশিক্ষণার্থীরা প্রযুক্তির সহায়তায় সংঘটিত জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতার প্রভাব সম্পর্কে অবহিত হন। এই সহিংসতা তুলনায় কম গুরুতর বা কম ক্ষতিকারক হিসেবে বিবেচিত হলেও এর ব্যাপক প্রভাব লক্ষ্য করা যায়, কিন্তু গবেষণায় দেখা যায় যে, এটি নারী ও মেয়েদের স্বাস্থ্য, জীবন এবং ভবিষ্যতের ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলে, যা নারী ও মেয়েদের নিরাপত্তা এবং সমন্বয়ের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক হুমকি সৃষ্টি করে। মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও প্রযুক্তির সহায়তায় সংঘটিত জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতা-এর প্রভাবগুলো গুরুতর: স্ট্রেস, উদ্বেগ, বিষন্নতা, পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার, আত্মহত্যার চিন্তাভাবনা এবং এমনকি আত্মহত্যার প্রচেষ্টাও রিপোর্ট করা হয়েছে। প্রযুক্তির সহায়তায় সংঘটিত জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতা থেকে সামলে ওঠা ব্যক্তিরা প্রায়ই কলঙ্কিত ও দোষী সাব্যস্ত হয় এবং তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়, যা তাদের সামাজিক জীবনে নানা ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। যখন নারীরা তাদের পেশাগত জীবনের জন্য অনলাইন স্পেসের উপর নির্ভর করে, তখন প্রযুক্তির সহায়তায় সংঘটিত জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতা তাদের আর্থিক সুযোগ এবং সম্পদের প্রবেশের উপরও গুরুতর প্রভাব ফেলে। এছাড়াও, প্রযুক্তির সহায়তায় সংঘটিত জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতা অনলাইনে নারীদের উপস্থিতি ও অংশগ্রহণ থামিয়ে দেয় এবং জনসাধারণের ও রাজনৈতিক জীবনে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এবং নেতৃত্বের ভূমিকায় তাদের অংশগ্রহণ হ্রাস করে। ফলস্বরূপ, প্রযুক্তির সহায়তায় সংঘটিত জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতা পিতৃতান্ত্রিক ভূমিকা, নিয়ম এবং কাঠামোকে শক্তিশালী করে; জেন্ডার সমতা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
সবশেষে প্রযুক্তির সহায়তায় সংঘটিত জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। সরকার, পেশাজীবী সংগঠন, যুব সংগঠন, টেকনোলজি কোম্পানী, গণমাধ্যম, বিটিআরসি এবং ব্যক্তিপর্যায়ে নিজেদের অবস্থান থেকে এই সহিংসতা প্রতিরোধে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন অংশগ্রহণকারীবৃন্দ।

উল্লেখ্য, বিএনএনআরসি’র কর্মপ্রচেষ্টা হলো গণমাধ্যমের দ্রুত পরিবর্তনশীল বাস্তবতার চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ-সুবিধাসমূহ বিবেচনায় রেখে গণমাধ্যমের জ্ঞানভিত্তিক ও চলমান ইস্যু তথা উভয় বিষয়ে গণমাধ্যমের উন্নয়ন। বিএনএনআরসি নলেজ-ড্রাইভেন মিডিয়া ডেভেলপমেন্ট-এর ভূমিকায় আঞ্চলিক, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কাজ করে থাকে। এটি জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি ও জাতিসংঘের ইকোনোমিক এন্ড সোশ্যাল কাউন্সিল-এর বিশেষ পরামর্শক মর্যাদাপ্রাপ্ত সংস্থা ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৫, ২০২৫ ৫:৪৪ অপরাহ্ন
পিদিম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শেরপুরে পুষ্টি মেলা অনুষ্ঠিত
পাঁচমিশালি

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনুঃ বেসরকারি ক্ষুদ্রঋণদানকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠাণ পিদিম ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার ঝিনাইগাতী সরকারী মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ) পুষ্টি সচেতনতা ও শিখন কার্যক্রম শীর্ষক দিনব্যাপী একটি সচেতনতা বৃদ্ধিমুলক অনুষ্ঠাণের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠাণের মধ্যে ছিল পুষ্টি সচেতনতা ও শিখন কার্যক্রম শীর্ষক বর্ণ্যাঢ্য র্যালি, আলোচনা অনুষ্ঠান,পুষ্টি মেলা, পুষ্টি বিষয়ক মঞ্চ নাটক, পটগান-জারিগান, কবিতা আবৃত্তি, কুইজ প্রতিযোগিতা, পুষ্টিবিষয়ক রান্না এবং স্টলে পুষ্টি বিষয়ক তথ্য কর্নার, বিভিন্ন শাক-সব্জি ও ফলের প্রদর্শনী ইত্যাদি। এ উপলক্ষে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে সকাল ১০.০০ ঘটিকায় উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মোঃ আশরাফুল আলম রাসেল এর উপস্থিতিতে একটি বর্ন্যাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে অনুষ্ঠান স্থলে এসে শেষ হয়। পরে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আশরাফুল আলম রাসেল। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংস্থার উপ-নির্বাহী পরিচালক জনাব মোঃ শফিউল্লাহ শোভন।

আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার সিনিয়র পরিচালক (ইন্টারন্যাল কন্ট্রোল এন্ড প্রজেক্ট) জনাব মোঃ হুমায়ুন কবীর সেলিম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জনাব ডা. রাজীব সাহা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জনাব মোঃ ফরহান হোসেন, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর পুষ্টি বিশেষজ্ঞ জনাব কফিল কুমার পাল প্রমূখ। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর আর্থিক এবং কারিগরী সহায়তায় পিদিম ফাউন্ডেশন, কর্তৃক বাস্তবায়িত উচ্চ মুল্যের ফল-ফসলের জাত সম্প্রসারণ ও বাজারজাতকরণ শীর্ষক ভ্যালু চেইন উপ-প্রকল্পটি ফেব্রুয়ারি,২০২২ সাল হতে ঝিনাইগাতী ও শেরপুর সদর উপজেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষী পরিবার ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের নতুন নতুন নিরাপদ পণ্য উৎপাদন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, পরিবেশ, নিরাপদ পণ্য ও পুষ্টিমান , জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয়কে বিবেচনায় রেখে উৎপাদন ও বাজার ব্যবস্থা সৃষ্টি, নারী ও তরুনদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি,আয় বৃদ্ধি এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে উপ-প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে আসছে।

পিকেএসএফ কর্তৃক বাস্তবায়িত রুরাল মাইক্রোএন্টারপ্রাইজ ট্রান্সফরমেশন প্রজেক্ট (আরএমটিপি) শীর্ষক প্রকল্পটি সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সালে শেষ হবে। প্রকল্পের আওতায় ৬০০০ জন উপকারভোগীকে পুষ্টি, জলবায়ু, পরিবেশগত ও সামাজিক বিষয়, ক্ষুদ্র ঋন গ্রহীতা ও উৎপাদনকারী সংগঠনের সদস্যদের আর্থিক জ্ঞান বিষয়, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও উৎপাদনকারী সমিতির সদস্যদের ব্যবসা সংক্রান্ত , কৃষক দলের জৈব পদ্ধতি অবলম্বনে ফল ও ফসল উৎপাদন বিষয়, কৃষক দলের খামার ব্যবস্থাপনা বিষয়ক উন্নততর প্রশিক্ষণ ণ প্রদান, বিভিন্ন উচ্চমূল্যের ফলের প্রদর্শণী প্লট স্থাপণসহ নানা সুবিধা প্রদান করা হয়। উচ্চমূল্যের ফলের প্রদর্শণী প্লট দেখে প্রকল্প এলাকার অনেকেই এধরনের উচ্চ মানের ফল চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন এবং আর্থিকভাবে লাভবান ও পারিবারিক পুষ্টি উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৩, ২০২৪ ৫:৫৩ অপরাহ্ন
ময়মনসিংহে রূপালী ব্যাংকের কেওয়াটখালী উপশাখার উদ্বোধন
পাঁচমিশালি

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) সংলগ্ন শেষ মোড়ে সোমবার (০৩ জুন) দুপুর ১২ টার দিকে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক রূপালী ব্যাংক পিএলসির ৩১তম কেওয়াটখালী উপশাখার উদ্বোধন করা হয়েছে ।

রূপালী ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান কাজী ছানাউল হক। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আউয়াল, ব্যাংকটির ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রধান মো. ইকবাল হোসেন খান খাঁ, ময়মনসিংহ জোনাল প্রধান নাসরীন সুলতানা, জামালপুর জেলা জোনাল প্রধান মো. মনির উদ্দিন ভূঁইয়া, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যলয়ের উপ মহাব্যবস্থাপক মো. নিজাম উদ্দিন ও ময়মনসিংহ জোনাল কার্যালয়ের এজিএম মো.মঞ্জুরুল ইসলাম, থানাঘাট শাখা ব্যবস্থাপক মো. জিয়াউল হক এবং কেওয়াটখালী উপশাখা ইনচার্জ শুভ্র দেব ও অফিসার তানভীর কামাল । এছাড়া অনলাইনে ও অফলাইনে ব্যাংকটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিভিন্ন পর্যয়ের গ্রাহকগণ এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বাকৃবি ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আউয়াল বলেন, নতুন কেওয়াটখালী উপ শাখাটির মাধ্যমে বাকৃবি ও আশেপাশের এলাকার মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি । এজন্য রূপালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করবো তারা গ্রাহকের আমানতের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদান করবে এবং আস্থার সাথে কাজ করবে।

রূপালী ব্যাংক পিএলসি-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, রূপালী ব্যাংক ৫৮৬টি শাখা ও ৩১টি উপ-শাখার মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এটি সারা বিশ্বের ব্যাংকিং চ্যানেলের সাথে যুক্ত রয়েছে এবং আমরা সর্বোচ্চ গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২৯, ২০২৪ ১০:৫১ অপরাহ্ন
গাজীপুরস্থ ফেনী জেলা ব্যবসায়ী সমিতি লিমিটেডের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
পাঁচমিশালি

দীন মোহাম্মদ দীনুঃ গাজীপুরস্থ ফেনী জেলা ব্যবসায়ী সমিতি লিমিটেড এর আয়োজনে রমজানের তাৎপর্য আলোচনা ও ইফতার মাহফিল গাজীপুরস্থ টেকনগরপাড়ায় জামিয়া মোহাম্মদিয়া এমদাদুল উলূম মাদরাসায় অনুষ্ঠিত হয়েছে শুক্রবার । গাজীপুরস্থ ফেনী জেলা ব্যবসায়ী সমিতি লিমিটেড এর সভাপতি সাইদুল হক মজনুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাহেদুল আলম স্বপন এর সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন হাফেজ মাও: নেয়ামত উল্লাহ খান (ফেনী হুজুর )।

এসময় বক্তব্য রাখেন গাজীপুরস্থ ফেনী জেলা ব্যবসায়ী সমিতি লিমিটেডের প্রধান উপদেষ্টা হাফেজ মো: আল আমিন ,কোষাধ্যক্ষ নবী হোসেন ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ এর জনসংযোগ বিভাগের উপ পরিচালক কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু। এসময় মাদরাসার প্রায় ৫ শতাধীক শিক্ষার্থীদের ইফতার করানো হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২৪, ২০২৪ ৬:৫৯ অপরাহ্ন
ঢাকাস্থ বিষ্ণুপুর ইউনিয়নবাসীর উদ্যোগে মিলনমেলা ও ইফতার অনুষ্ঠিত
পাঁচমিশালি

ঢাকার মতিঝিলে অবস্থিত “হোটেল সেন্ট্রাল ইন” রেস্টুরেন্টে শনিবার অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো ঢাকাস্থ ১নং বিষ্ণুপুর ইউনিয়নবাসী’র উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল। ঢাকায় অবস্থান করা বিষ্ণুপুরের সবাই একত্রিত হয়ে সবার সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার জন্যই ২০২৩ সাল থেকে এই আয়োজনটি করে আসছে আয়োজকরা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক জনাব আজিজ খান বাদল, বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জনাব হুমায়ুন কবীর চুন্নু, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক জনাব আজিজুর রহমান পটু, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক জনাব শাহাবুদ্দিন প্রধানীয়া শাহীন, ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক নাসিরুল ইসলাম খান সহ নানা শ্রেনী পেশার প্রায় ১৫০ জন বিষ্ণুপুরবাসী।

অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া পরিচালনা করেন মুফতি কাউসার আহমেদ চাঁদপুরী। প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্বে ছিলেন তরুণ সমাজসেবক, ব্যবসায়ী মো: সোহেব ইমরান (পারী) ও অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরিচালক কৃষিবিদ মোস্তফা পাটওয়ারী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শিক্ষানবিশ আইনজীবী মাহমুদুল হাসান মাসুম।

উক্ত অনুষ্ঠানে ২০২৩ সালে বাংলা চ্যানেল সাঁতার সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য বিষ্ণুপুরের কৃতি সন্তান “মাহমুদুল হাসান মাসুম”কে সংবর্ধনা দেয়া হয়।

অনুষ্ঠান সম্পর্কে অতিথিরা তাদের শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, এ ধরনের আয়োজন এলাকাবাসীর মধ্যে দল-মত নির্বিশেষে সকলের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বৃদ্ধি করে। এমন আয়োজনের মাধ্যমে এলাকার মানুষের বিপদে এগিয়ে আসা সহজ হয়ে উঠে। কিভাবে এই আয়োজনটিকে দীর্ঘমেয়াদী ভাবে চলমান রাখা যায় সে বিষয়ে দিক নির্দেশনামূলক গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন উপস্থিত সদস্যবৃন্দ।

পরিশেষে অনুষ্ঠানে সবার সরব উপস্থিতি এবং সার্বিক সহযোগিতার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানোর মাধ্যমে মো: সোহেব এমরান (পারী) অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১০, ২০২৪ ৬:১৬ পূর্বাহ্ন
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন এম.পি নির্বাচিত হওয়ায় বিপিআরএ এর অভিনন্দন
পাঁচমিশালি

জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশ জনসংযোগ সমিতি ( বিপিআরএ) পক্ষ থেকে শনিবার(৯ মার্চ) তাঁকে অভিনন্দন জানানো হয়।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতির কক্ষে এসময় জনসংযোগ সমিতির সভাপতি জনাব বজলুল হক রানা, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান টিপু, সাবেক সভাপতি জনাব মোস্তফা ই জামিল, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি রওশন এ রহমান, সহ-সভাপতি নাজমা বিনতে আলমগীর, যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক জনাব তারিকুল ইসলাম খান রবিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল আহসান নিপু, দপ্তর সম্পাদক মো: আনোয়ার হোসেন,কার্যকরী সদস্য কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনুসহ সমিতির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। কর্মসূচির অংশ হিসাবে বাংলাদেশ জনসংযোগ সমিতি ( বিপিআরএ) এর পক্ষ থেকে তাঁকে ফুলেল শুভেচছা দেয়া হয় এবং শুভ কামনা করে কেক কাটা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১, ২০২৪ ৬:২৭ অপরাহ্ন
‘অক্সফ্যাম রান’ ম্যারাথন ঢাকায় অনুষ্ঠিত
পাঁচমিশালি

তৈরি পোশাকখাত, মৎস্যজীবী, চা-বাগান ও গৃহকর্মের মতো অনানুষ্ঠানিক খাতের নারী শ্রমিকদের মজুরি বৈষম্য, কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা, ঝুঁকিপূর্ণ কর্মক্ষেত্রসহ সকল অসমতার বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরিতে নারী দিবস উপলক্ষে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ‘অক্সফ্যাম রান’ শীর্ষক ম্যারাথন। ১লা মার্চ, শুক্রবার রাজধানী ঢাকার হাতিরঝিলে এক হাজারেরও বেশি নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে এই ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়।

‘অক্সফ্যাম রান’ এ এক হাজার প্রতিযোগী ছাড়াও অনানুষ্ঠানিক খাতের নারী শ্রমিক, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সরকারি সংস্থা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ম্যারাথন শেষে অক্সফ্যামের ‘সুনীতি’ প্রকল্পের অধীনে শতাধিক গৃহকর্মীর অংশগ্রহণে নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ক একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অক্সফ্যামের আয়োজনে অনুষ্ঠানটির সার্বিক সহযোগিতায় ছিল বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা এবং এজেন্সি ফ্রান্স দ্যে ডেভলাপমেন্ট।

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু

জনসংযোগবিদ ও উন্নয়নকর্মী

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৬, ২০২৩ ৯:৩৭ পূর্বাহ্ন
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের আয়োজনে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান
পাঁচমিশালি

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রতিষ্ঠাতা হজরত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) এঁর ১৫০ তম জন্মসার্ধশত বার্ষিকী উদযাপনের মাসব্যাপী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ফ্রি স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত গাজীপুরের কামারজুরী সাহেব বাড়ির মোড়স্থ মোনাসেফ আহ্ছানিয়া হেলথ সেন্টারে এই ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।

মোনাসেফ আাহ্ছানিয়া হেলথ সেন্টারের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার হাসিব আহমেদ খানের নেতৃত্বে ৮ জনের একটি মেডিকেল টিম এই কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এসময় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের গাছা থানার অর্ন্তগত ৩৬ নং ওয়ার্ডের কামারজুরী এলাকার ১৩০জন দুস্থ্য ও অসহায় মানুষের মাঝে চিকিৎসা সেবা, ফ্রি ঔষধ প্রদান, ডায়াবেটিস পরিক্ষা, ওজন মাপা এবং রক্ত চাপ নির্ণয় করা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১১, ২০২৩ ৫:৪৯ অপরাহ্ন
“সিন্ডিকেট থামাও, জীবন বাঁচাও” শিরোনামে প্রতিবাদী মানববন্ধনে পৃথক ভোক্তা অধিকার মন্ত্রণালয়ের দাবি
পাঁচমিশালি

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভোক্তাদের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় থাকলেও বাংলাদেশে ভোক্তাদের জন্য পৃথক কোন মন্ত্রনালয় নেই। ভোক্তার অধিকার নিয়ে ক্যাব দীর্ঘদিন ধরে সভা, সেমিনার, মানববন্ধনসহ নানা ভাবে দাবি করে আসলেও বর্তমান সরকারের আমলেই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন ২০০৯, ভোক্তা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা, নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হয়। নিত্যপণ্যের বাজারে চলমান সিন্ডিকেট ও অস্থিরতা ঠেকাতে ভোক্তাদের জন্য সমন্বিত ভাবে বিএসটিআই, ভোক্তা অধিদপ্তর ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষসহ সকলকে নিয়ে ওয়ান স্টপ সেবা প্রদানে পৃথক ভোক্তা অধিকার মন্ত্রণালয়ের বিকল্প নাই। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান ভূমিকা ও কাজ হলো ব্যবসা সম্প্রসারণ ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সুরক্ষা দেয়া। দেশে শিল্প বানিজ্য, আমদানি-রপ্তানির যারা চালিকা শক্তি, তাদের প্রতি অধিকতর সহানুভূতিশীল থাকা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য স্বাভাবিক বিষয়। দেশে ন্যায্য ব্যবসার চর্চা থাকলে হয়তো ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ব্যবসা-বানিজ্যের অন্যতম অংশীজন ভোক্তাদের বিষয়টি বিবেচনায় থাকতো। কিন্তু বর্তমান বাস্তবতায় বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে এই দায়িত্ব পালন করে সব পরিস্থিতিতে ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে না। যদি পৃথক মন্ত্রণালয় হয় তাহলে ১৮ কোটি ভোক্তার সমস্যাগুলি আরও দ্রুত সরকারের নীতি নির্ধারকদের দৃষ্ঠিগোছর করাা সম্ভব হবে। ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের মাঝে বিদ্যমান বৈষম্যও কিছুটা হ্রাস পাবে এবং সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে।

১১ নভেম্বর ২০২৩ইং চট্টগ্রা সিটিকরপোরেশন বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার সম্মুখে পুলিশবক্স চত্ত্বরে  “সিন্ডিকেট থামাও, জীবন বাঁচাও” ও পৃথক ভোক্তা অধিকার মন্ত্রনালয়ের দাবিতে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদী মানববন্ধনে উপরোক্ত দাবি জানানো হয়। কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম মহানগর ও বিভাগ এবং ক্যাব যুব গ্রুপের আয়োজনে আয়োজিত প্রতিবাদী মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি এম নাসিরুল হক, ন্যাপ কেন্দ্রিয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মিটুল দাস গুপ্ত, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরেরর যুগ্ন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, ক্যাব সদরঘাট থানা সভাপতি শাহীন চৌধুরী, ক্যাব চান্দগাঁও থানা সভাপতি মোহাম্মদ জানে আলম, সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আবু ইউনুচ, সাধারন সম্পাদক ইসমাইল ফারুকী, ক্যাব বায়েজিদ থানা সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এবিএম হুমায়ুন কবির, ক্যাব ৬নং পুর্ব ষোল শহর ওয়ার্ড সভাপতি অধ্যক্ষ মনিরুজ্জমান, নারী নেত্রী রুহি দাস, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আবু হানিফ নোমান, সদস্য খালেদ সাইফুল্লাহ, মহারাজ চৌধুরী ও ওমর করিম প্র্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ভোক্তারা দেশের বৃহত্তম অর্থনৈতিক গোষ্ঠি হলেও তাদের স্বার্থ ও অধিকার সুরক্ষায় কোন পৃথক মন্ত্রণালয় নাই। ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি ক্ষুদ্র অধিদপ্তরের মাধ্যমে কিছু উদ্যোগ নেয়া হলেও এটিও প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগন্য। আর ভোক্তাদের অধিকার ও সুবিধা প্রদানের জন্য সবকিছুর ভার দেয়া হয়েছে ব্যবসায়ীদের ওপর। ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষনের দায়িত্বে নিয়োজিত বানিজ্য মন্ত্রণালয় ভোক্তা স্বার্থের বিষয়টি দেখভাল করার কারনে ভোক্তা স্বার্থ বারবার উপেক্ষিত ও ভুলন্টিত হচ্ছে। বিষয়গুলি অনেকটাই বিড়ালকে মাছ পাহারা দেবার মতো। ফলে ব্যবসায়ীরা মুক্ত বাজার অর্থনীতির নামে একবার পেঁয়াজ, একবার চাল, একবার মসলা, একবার সয়াবিন এভাবে পুরো বছর জুড়ে নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরী করে জনগনের পকেট কাটছে। দেশের ভোক্তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের বার্ষিক চাহিদা নিরুপণ, উৎপাদন, যোগান, বাজারজাত করণে প্রতিবন্ধকতা নিয়ে অনুসন্ধান, ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণে চিন্তা করার সময় বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের থাকে না।

বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ভারতীয় নীতিনির্ধারকেরা রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা লগ্নে ১৯৪৭ সালেই ভোক্তা বিষয়ক পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রণালয় গঠন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ভারত শুরুতেই অন্তত কাঠামোগত দিক থেকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছিল। তার কারনে ভারতে মুল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা সব সময় সম্ভব হচ্ছে। তাই দ্রুত পৃথক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করে ভোক্তাদের প্রতি দীর্ঘদিনের অবহেলার পরিসমাপ্তির দাবি জানান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৬, ২০২৩ ৮:১৭ অপরাহ্ন
বাকৃবি এলামনাই অ্যাসোসিয়েশন অস্ট্রেলিয়া এর নতুন কার্যকরী পরিষদ: বাবুল সভাপতি, ড. আসাদুজ্জামান সাধারন সম্পাদক
পাঁচমিশালি

দীন মোহাম্মদ দীনুঃ গত ০৫ই নভেম্বর রোজ রবিবার নিউ সাউথ ওয়েলসের গ্ল্যেনফিল্ডে অবস্থিত গ্ল্যেনফিল্ড কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (BAUAAA) দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা। অনুষ্ঠানে প্রথমেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত ও পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করা হয়। বিদায়ী সভাপতি ড. আনোয়ারুল বকসীর সভাপতিত্বে এবং বিদায়ী সাধারন সম্পাদক মোঃ আব্দুল ওয়ারেস বাবুল এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই সকল শহীদের প্রতি দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরবর্তিতে বিদায়ী সাধারন সম্পাদকঃ মোঃ আব্দুল ওয়ারেস বাবুল বিগত দুই বছরের কার্যক্রম সম্পর্কে সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্ট এবং বিগত দুই বছরের আয় ব্যয়ের রিপোর্ট পেশ করেন। অতঃপর সন্মানিত উপস্থিত সদস্যগনের মধ্যে অনেকেই সংগঠনের উন্নয়নে বিভিন্ন দিক নির্দশনামুলক বক্তব্য প্রদান করেন। অনান্য রাজ্য থেকে জুম এর মাধ্যমে অংশগ্রহন করা সদ্যস্যগণও তাঁদের মতামত প্রদান করেন। এপর্যায়ে বিদায়ী সাধারন সম্পাদক ও বিদায়ী সভাপতি দুরদুরান্ত থেকে আগত উপস্থিত ও জুম এ অংশগ্রহণকারী সহ বিগত কমিটির সবাইকে তাঁদের কার্য্যকালীন সময়ে সাহায্য, অনুদান ও অকুণ্ঠ সমর্থন করার জন্য ধন্যবাদ জানান। পরিশেষে, বিদায়ী সভাপতি ড. আনোয়ারুল বকসী প্রথম পর্বের সমাপ্তি ঘোষণা করেন এবং কার্যকরী কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করেন। সভাপতি পরবর্তী টার্মের জন্য কার্যকরী কমিটি নির্বাচনের জন্য রিটানিং অফিসার ড. রফিকুল ইসলামের এর নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। পূর্ব ঘোষিত সময় অনুযায়ী রিটানিং অফিসার ড. রফিকুল ইসলাম এর নিকট এক পদে একজনের বেশী প্রার্থী আবেদন না করার কারণে তাঁর নিকট আবেদনকৃত প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষনা করেন। ২০২৩- ২৫ সনের জন্য নির্বাচিত কমিটিতে জনাব মোঃ আব্দুল ওয়ারেস বাবুলকে সভাপতি এবং ড. আসাদুজ্জামান সেলিমকে সাধারন সম্পাদক করে মোট ২১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী পরিষদের নাম ঘোষনা করেন। তাঁদের নাম সহ পদবী নীচে প্রদান করা হলো।

সভাপতিঃ জনাব মোঃ আব্দুল ওয়ারেস, সহ সভাপতিঃ মোঃ নজরুল ইসলাম ও জিয়াউল হক বাবলু, সাধারণ সম্পাদকঃ . আসাদুজ্জামান সেলিম , সহ-সাধারণ সম্পাদকঃ সত্যজিৎ সাহা (আবীর), কোষাধ্যক্ষঃ ড. মোঃ আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদকঃ মেহেরুন নেছা সুলতানা (সাথী), প্রকাশনা সম্পাদকঃ মোঃ লতিফ সিদ্দিক (লিটন), সাংস্কৃতিক সম্পাদকঃ মোহাম্মদ শাফায়েত কবির চৌধুরী রুবেল, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদকঃ মোসাম্মত রাবেয়া আক্তার, ক্রীড়া সম্পাদকঃ মোঃ ওয়াহিদ আহমেদ, সহ ক্রীড়া সম্পাদকঃ মোসাম্মত রুমানা ইয়াসমিন, ইসি সদস্য হলেনঃ ড. আনোয়ারুল বকশী, জনাব আব্দুল জলিল, ড. রতন কুন্ডু, শ্রী পরমেশ ভট্টাচার্য, জনাব আবুল সরকার, ডাঃ লাভলী রহমান, খন্দকার মালিক শফি জাকি, জনাব নিউটন মুহুরী (দেবু) ও ড. মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন।
মধ্যাহ্নে আয়োজকদের পক্ষ থেকে বাফে’ লাঞ্চ পরিবেশন করা হয়। নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সভায় আগত কৃষিবিদ, সাংবাদিক ও গন্যমান্য অতিথিদের ধন্যবাদ জানান এবং কৃষিবিদ সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষনা করেন।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop