১:৩২ পূর্বাহ্ন

শনিবার, ১৬ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মার্চ ২৭, ২০২২ ১০:৫১ অপরাহ্ন
নোয়াখালী জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের কমিটি গঠিত
পাঁচমিশালি

বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের নোয়াখালী জেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত ২৪ মার্চ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের নোয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পদে দু’জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে, বলে জানিয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সাইদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক লায়ন শেখ আজগর নস্কর, কার্যকারী সভাপতি মো. সাইফুল আলম মানিক আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের নোয়াখালী জেলা কমিটির সভাপতি সৈয়দ মুশফিকুর রহমান সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটির অনুমোদন দেন। আগামী এক মাসের মধ্যে পূণাঙ্গ কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় কমিটির নিকট জমা দিতে নির্দেশ প্রদান করা হয়।কমিটি ঘোষণার সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মো. আবুল বাসার, সহ-সভাপতি এসএম নাসির উদ্দিন মানিক, যুগ্ম সম্পাদক মো. রফিক উল্ল্যা। সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল গফ্ফার কুতুবীসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য গত ১৬ মার্চ (বুধবার) জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২১, ২০২২ ২:৫৬ অপরাহ্ন
পূর্ব শত্রুতার আগুনে পুড়ল কৃষকের ৫০ বিঘার কলাবাগান
পাঁচমিশালি

পাবনা সদর উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রায় ৫০ বিঘা জমির কলাবাগান আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ভুক্তভোগী কৃষক ইসলাম প্রামাণিকের।

রোববার (২০ মার্চ) রাতে সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নের ভাওডাঙ্গা পীরপুর চর এলাকার কৃষক ইসলাম প্রামাণিকের কলাবাগানে এ ঘটনা ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মো. ইসলাম বলেন, আজ (সোমবার) সকালে খবর পাই কে বা কারা আমার বাগানে আগুন দিয়েছে। এ সময় আমি লোকজন নিয়ে বাগানে ছুটে যাই। ততক্ষণে বাগানের প্রায় ৫০ বিঘা জমির কলাগাছ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা।

তিনি আরো জানান, রমজান মাসকে সামনে রেখে ১৫ লাখ টাকার ঋণ নিয়ে তিনি ১০০ বিঘা জমিতে কলার আবাদ করেছিলেন। এর মধ্যে ৫০ বিঘা জমির গাছ পুড়ে ছাই হলো। এখন পথে বসা ছাড়া তার সামনে আর কিছুই নেই। তিনি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে এখনো কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক থানায় অভিযোগ দিলে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৯, ২০২২ ১:২৬ অপরাহ্ন
টানা ৩ দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস
পাঁচমিশালি

দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিস। শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় আবহাওয়া অফিস পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়, আগামী তিন দিন অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এসময় নানা স্থানে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এ ছাড়া রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে ভোরের দিকে দেশের নদী অববাহিকার কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে।

শনিবার মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজারের টেকনাফে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং এর কাছাকাছি এলাকায় বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

আজ ঢাকায় পশ্চিম অথবা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। রাজধানীতে সকাল ৬টায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৬৯ শতাংশ।

ঢাকায় আজ সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৫টা ৫৬ মিনিটে এবং আগামীকাল রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) সূর্যোদয় ভোর ৬টা ২৯ মিনিটে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৩, ২০২২ ২:২৬ অপরাহ্ন
নকল সার-কীটনাশক ফেলে পালালেন মালিক
পাঁচমিশালি

পাবনার ঈশ্বরদীতে ৩টি গোডাউন থেকে বিপুল পরিমাণ ভেজাল সার ও কীটনাশক জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত প্রায় দুই ঘণ্টা ওই তিনটি গোডাউনে অভিযান চালানো হয়।

ঈশ্বরদী উপজেলার আই-কে রোডের সলিমপুর ডিগ্রী কলেজের পাশে অবস্থিত ওই তিনটি গোডাউন। আব্দুল হালিম, জহুরুল ইসলাম ও মাসুদ রানা নামে তিন ব্যক্তি তিনটি গোডাউন ভাড়া নিয়ে নকল সার ও কীটনাশক উৎপাদন এবং বাজারজাতকরণ করে আসছিলেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, গোডাউনগুলো থেকে কৃষি কেয়ার, রাফি ফার্টিলাইজার, এক্সপোর্ট ফার্টিলাইজার, রিয়েল ফার্টিলাইজার নামের বেশ কয়েকটি কোম্পানির নাম দিয়ে ৯৯৫ বস্তা সার ও ১৪শ ৪০ কেজি প্যাকেটজাত জিপসাম (মুক্তা জিপসাম, সুপার জিপসাম নাম মুদ্রিত), ৫০০ কেজি বোরন, (সেলুলোজ বোরণ, বিজলী বোরণ নাম মুদ্রিত), ১৭৮ বোতল ভিটামিন (ভিটামিন মিক্স নামে মুদ্রিত), ৮১০ বোতল কীটনাশক (প্লাস কমপ্লেক্স নামে মুদ্রিত), ৪২০ বস্তা লবণসহ সেফরন দানাদার, স্টার মেগা সালফার নামের বিভিন্ন সার ও কীটনাশক জব্দ করা হয়। এ তিনজন ব্যবসায়ী বিভিন্ন কোম্পানির স্টিকার লাগিয়ে নকল সার ও কীটনাশক বাজারজাত করে আসছিলেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে আরো জানা গেছে, অন্তত ৩০ রকমের ভেজাল কীটনাশক ও সার রয়েছে এসব গোডাউনে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্টিকার লাগিয়ে নকল সার ও কীটনাশকের বাজারজাত হয়ে আসছিল। নকল সার ও কীটনাশক মজুদের পাশাপাশি স্থানীয় ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে নকল সার ও কীটনাশক চাষিদের কাছে বিক্রি করাও হচ্ছিল। মূল্য তলিকা অনুযায়ী এসব ভেজাল সার-কীটনাশক বিক্রি হতো ৪০ লাখ টাকায়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান বুঝতে পেরে গোডাউনের মালিক-শ্রমিকরা পালিয়ে যান বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পি.এম ইমরুল কায়েস এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযান শেষে ভ্রাম্যমাণ আদালত তিনটি গোডাউন সিলগালা করে দেন।

এদিকে এ অভিযানে স্থানীয় কৃষকরা আনন্দিত বলে তারা জানিয়েছেন। বুধবার রাতে উপজেলার বেশ কিছু চাষির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা দীর্ঘদিন ধরে ঈশ্বরদীতে ভেজাল সার-কীটনাশকের কথা বলে আসছিলেন। কিন্তু কোনো অভিযান পরিচালনা না হওয়ায় ভেজাল ব্যবসা রমরমা চলছিল। চাষিরা এসব ভেজাল সার-কীটনাশক ব্যবহার করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলেন। তারা এ অভিযান অব্যাহত রাখা ও ভেজাল কারখানা মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২, ২০২২ ২:৫৮ অপরাহ্ন
খাদ্য ভেজালকারীরা কথা কানে নিচ্ছে, মনে নিচ্ছে না: খাদ্যমন্ত্রী
পাঁচমিশালি

নয় মাসে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে, সদিচ্ছা থাকলে নয় মাসের কম সময়ে খাদ্য নিরাপদ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

তিনি বলেন, সব স্তরে আমাদের সচেতনতা ও ইচ্ছের ঘাটতি রয়ে গেছে। উৎপাদনকারী-প্রস্তুতকারীরা বাড়তি মুনাফার লোভে খাদ্যে ভেজাল দিচ্ছেন। সরকার খাদ্য নিরাপদ করতে যেসব আইনের প্রয়োগ ও সচেতনতার প্রচার-প্রচারণা করছে সেগুলো তারা কানে নিচ্ছে, কিন্তু মনে নিচ্ছে না।

বুধবার জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে রাজধানীর নিউ ইস্কাটনের বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, আমরা বলি কৃষক কীটনাশক দেয়। কিন্তু সেটা যখন খাবার টেবিল পর্যন্ত আসে, সেটা কতটা অনিরাপদ থাকে। এরচেয়ে বেশি খাবারকে অনিরাপদ করা হয় প্রক্রিয়াকরণ ও উৎপাদন পর্যায়ে। এমনকি পরিবারের মানুষ সেটা কেনার পরও অনেক সময় মুখে ওঠা পর্যন্ত সচেতনতার অভাবে অনিরাপদ করে ফেলেন।

খাদ্য প্রস্তুতকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা ব্যবসা করছেন, লাভ করুন। কিন্তু সেটা সততার সঙ্গে পরিমিত করুন। ভেজাল দিয়ে মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেবেন না। তাতে দুনিয়াতে নিজেদের ক্ষতি হবে, পাপও হবে।

তিনি বলেন, প্রতিটি মানুষের সচেতনতা-সদিচ্ছা না থাকলে শত চেষ্টায়ও খাদ্য নিরাপদ করা যাবে না। এটি দুই-তিনটি মন্ত্রণালয়ের একার কাজ নয়। কঠোর আইন করে, বা এর কঠোর প্রয়োগ করেও সম্ভব নয়। প্রত্যেকের বিবেককে জাগাতে হবে।

নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা এখন বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি বলেন, খাদ্য প্রাপ্তির এখন কোনো সমস্যা নেই। স্বাধীনতার পর দেশে সাত কোটি মানুষের খাদ্যের সমস্যা ছিল। কিন্তু এখন প্রায় ১৮ কোটি মানুষের খাদ্য নিশ্চিত করেছে সরকার।

খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ৩০, ২০২২ ৩:১৩ অপরাহ্ন
বনায়নে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানালেন পরিবেশ উপমন্ত্রী
পাঁচমিশালি

পরিবেশ সুরক্ষায় বনায়নসহ পরিবেশবান্ধব কাজে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার।

তিনি বলেন, “বৈশ্বিকভাবে এখন অগ্নুৎপাত হচ্ছে, সমুদ্রের উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে, সুন্দরবনের কিছু অংশ ডুবে যাওয়ায় আয়তন কমে গেছে। সবদিক থেকে পরিবেশের উপর বিপর্যয়কর অবস্থা ঠেকাতে আমাদের সবাইকে একযোগে সচেতন হতে হবে।”

আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে পরিবেশ ক্লাব বাংলাদেশের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পরিবেশ উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পরিবেশ ক্লাব বাংলাদেশের চীফ মেন্টর ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ’র স্কুল অব আর্টসের ডীন প্রফেসর ড. মো. ওসমান গনী, আরএফএল গ্রুপের টেল প্লাস্টিকসের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মোহাম্মদ কামরুল হাসান, ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিলের নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আবদুল অদুদ, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের গবেষণা কর্মকর্তা গাজী মো. নাজমুল হোসেন ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক তাজুল ইসলাম চৌধুরী।

ক্লাবের কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনা উপস্থাপন করেন ক্লাবের সচিব ও মুখপাত্র রাকিবুল ইসলাম। এসময় পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টিতে বিশেষ অবদানের জন্য সারাদেশ থেকে ৭ জন সংগঠককে ‘পরিবেশ বন্ধু’ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

বাঘ গণনায় অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রতি গুরুত্বারোপ করে পরিবেশ উপমন্ত্রী বলেন, বাঘের গায়ের ডোরা ডোরা দাগগুলো ভিন্ন ভিন্ন রকম হয়, যেমন আমাদের একজনের ফিঙ্গার প্রিন্টের সাথে অন্যজনের ফিঙ্গার প্রিন্ট মিলে না। অথচ কেউ কেউ বলেন, বাঘ গণনার দরকার কি? বাঘ রক্ষায় এটা অবশ্যই প্রযয়োজন রয়েছে।

তিনি বলেন, গাছ কাটলে পরিবেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়, সেটা আমরা সবাই জানি। তবুও আমরা পরিবেশ দূষণ করছি। অথচ আমাদের বেশী বেশী করে গাছ লাগানো উচিত। শিল্পোন্নত দেশগুলোর অধিকমাত্রায় কার্বন নিঃসরণের কারণে বৈশ্বিক পরিবেশ আজ হুমকির মুখোমুখি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এককভাবে এই হুমকি থেকে আমাদেরকে কেউ বাঁচাতে পারবে না। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবেই এই হুমকি মোকাবেলা করতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২৮, ২০২২ ১২:০৬ অপরাহ্ন
ছাগলে ধান খাওয়ায় পিটিয়ে কৃষককে হত্যা
পাঁচমিশালি

ছাগল অন্যর জমির ছোট ছোট কিছু ধানের চারা খেয়ে ফেলে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জমির মালিক সিরাজ তালুকদার ছাগলটিকে পার্শ্ববর্তী একটি ডোবার পানিতে চুবায় এবং পেটায়। পরে ছাগলের মালিক  কাঞ্চন রাঢ়ী অবুঝ প্রাণিকে এভাবে নির্যাতনের প্রতিবাদ জানান। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাঞ্চন রাঢ়ীকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে  সিরাজ তালুকদারের লোকেরা

আহত কাঞ্চন রাঢ়ীকে হাসপাতালে নিলে সেখানে তিনি মৃত্যবরণ করেন।

বরিশালের হিজলায় এই ঘটনা ঘটে। গত বুধবার রাত ৯টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে কৃষকের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহত কাঞ্চন রাঢ়ী হিজলা উপজেলার হিজলা গৌরব্দী ইউনিয়নের বিশর গ্রামের আলী আহম্মদ রাঢ়ীর ছেলে। পেশায় তিনি একজন কৃষক।

কাঞ্চন রাঢ়ীর মেয়ে জেসমিন জানান, বুধবার বেলা ১১টার দিকে তাদের একটি ছাগল পার্শ্ববর্তী সিরাজ তালুকদারের জমির ছোট ছোট কিছু ধানের চারা খেয়ে ফেলে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সিরাজ তালুকদার ছাগলটিকে পার্শ্ববর্তী একটি ডোবার পানিতে চুবায় এবং পেটায়।

তিনি বলেন, অবুঝ প্রাণিকে এভাবে নির্যাতন করার প্রতিবাদ জানায় আমার বাবা কাঞ্চন রাঢ়ী। এতে পুনরায় ক্ষিপ্ত হয়ে সিরাজ তালুকদার তার শ্যালক মিলন মোল্লাসহ ১০-১৫ জন স্বজন নিয়ে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে বাবাকে গুরুতর জখম করে। হামলার সময় আমি ও আমার দুই ভাই রাসেল, মোকসেদ ও চাচাতো ভাই সোহেলসহ ৮-১০ জন বাবাকে রক্ষায় এগিয়ে যাই। এ সময় হামলাকারীরা আমাদেরও মারধর করে।

এ ঘটনায় বাবাসহ ৪-৫ জন গুরুতর আহত হলে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে সন্ধ্যায় বাবাকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। বুধবার রাত ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে হিজলা থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ। হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক নারীকে আটক করা হয়েছে। এই বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার মামলা দায়েরের পর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২২, ২০২২ ২:৪৫ অপরাহ্ন
বাঘ সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
পাঁচমিশালি

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাবউদ্দিন বলেছেন, সরকার বন্য বাঘ সংরক্ষণের দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছে। বাঘ রক্ষায় বিশ্বের ১৩টি বাঘসমৃদ্ধ দেশকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে বলেও জানান তিনি।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী গতকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত বাঘ সংরক্ষণবিষয়ক ৪র্থ এশিয়া মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে তার সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এ কথা বলেন। এ সময় মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে, যৌথ কুয়ালালামপুর বিবৃতি বাস্তবায়ন বাঘের জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও স্থিতিশীল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

মালয়েশিয়ার পানি, ভূমি ও প্রাকৃতিক সম্পদমন্ত্রী দাতুক সেরি তাকিউদ্দীন বিন হাসান সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন এবং ভুটান, কম্বোডিয়া, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, লাও পিডিআর, মিয়ানমার, মালয়েশিয়া, নেপাল ও রাশিয়ার মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও বাঘসমৃদ্ধ দেশগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার অন্যান্য বন্যপ্রাণীসহ আমাদের জাতীয় প্রাণী সংরক্ষণে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। জীববৈচিত্র্য, জলাভূমি, বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও উন্নতির জন্য সংবিধানে একটি নতুন ধারা সংযোজন করা হয়েছে।

বাঘ সংরক্ষণের বিষয়ে ১৯-২১ জানুয়ারি ২০২২ অনুষ্ঠিত ৪র্থ এশিয়া মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন বন্য বাঘের সংখ্যা এবং এর শিকার স্থিতিশীল করার পাশাপাশি বাঘসমৃদ্ধ দেশগুলোর মধ্যে নতুন সমস্যা মোকাবিলা করে সংরক্ষণ প্রচেষ্টা জোরদার করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বাঘসমৃদ্ধ দেশগুলোর প্রতিনিধিরা, সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং বাঘের আবাসস্থলের অবক্ষয় রোধ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

সম্মেলনটি বন্য বাঘ শিকার, আবাসস্থলের নিয়মিত রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন, বাঘ ও এর শিকার এবং আবাসস্থল রক্ষার জন্য ক্রমাগত ও পদ্ধতিগত টহল দেওয়ার জন্য উপযুক্ত এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রয়োগ ক্ষমতা জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২০, ২০২২ ৪:৪৯ অপরাহ্ন
লালমনিরহাটে ক্ষতিকর তামাক চাষে যুক্ত ১৫ হাজার শিশু
পাঁচমিশালি

তামাক উৎপাদন ও প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলে শারিরীক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিশুরা। এমন সচেতনতামূলক কোন প্রচারণা না থাকায় লালমনিরহাটে ক্ষতিকর তামাক ক্ষেতে শিশুদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তামাক ক্ষেত গুলোতে তাকালেই দেখা মেলে অসংখ্য শিশুর। ধারণা করা হচ্ছে জেলার প্রায় ১৫ হাজার শিশু তামাক চাষের সঙ্গে যুক্ত। 

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা মহিষামুড়ী গ্রামে তামাক ক্ষেতে কাজ করছে শিশুরা। বাবা-মায়ের সঙ্গে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তামাক খেতে কাজ করতে হয় তাদের। এখন তামাক গাছে সার মিশ্রিত পানি আর খেতের মাটি সমান করতে হচ্ছে তাদের। কিছুদিন পর ভাঙতে হবে তামাকপাতা। এরপর তামাকপাতা শুকানোর কাজেও থাকবে তারা।

কথা বলে জানা যায়, তামাকে ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে কারও তেমন কিছুই জানা নেই। অভিভাবকরা অসচেতন ও উদাসীন। শুধু কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা মহিষামুড়ী গ্রামেই শুধু নয়, শিশুদের তামাক ক্ষেতে কাজ করার এমন দৃশ্য এখন জেলার প্রতিটি গ্রামের তামাক ক্ষেতে।

লালমনিরহাট জেলা শিশু নেটওয়ার্ক সূত্রে জানা গেছে, শিশুদের দিয়ে তামাকের কাজ করা এ জেলার একটি প্রতিদিনের দৃশ্য। অভিভাবকরা কোনোভাবেই বুঝতে চাচ্ছেন না, তামাকের কাজ করলে শিশুর স্বাস্থ্য ও মানসিক অবস্থার চরম ক্ষতি হতে পারে। তামাক মৌসুমে জেলায় প্রায় ১৫ হাজার শিশু তামাক উৎপাদন ও প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত থাকে। বিভিন্ন তামাক কোম্পানির প্রলোভনে প্রলুদ্ধ হয়ে চাষিরা তামাক চাষ করছেন। আর তাদের অসচেতনতায় শিশুদের তামাক খেতে কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে।

তামাক ক্ষেতে কাজ করা শিশু রিয়াজুল, মোস্তাকিন, রিয়াদ, জুলফা সহ কয়েক জনের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা বাবার সাথে সকাল বেলা আসে আর বিকাল বেলায় বাড়ি যায়। দুপুরের খাবার টাও খেতে হয় তামাক ক্ষেতে। তামাক ক্ষেতে না আসলে বাবা রাগ করেন। তাই প্রতিদিনেই ক্ষেতে আসে তারা।

অভিভাবক হযরত আলী, রবিউল ও মফিজার রহমান জানান, তামাকের ক্ষেতে কাজ করা একটি পারিবারিক কাজ। পরিবারের সবাইকে নিয়ে কাজ করা হয়। তাহলে তামাক চাষে আশানুরূপ আয় হয়। একজন শ্রমিক নিলে দিন ৪০০ টাকা খরচ দিতে হয়। কিন্তু পরিবারের সবাইকে নিয়ে ক্ষেতে কাজ করলে বাড়তি আর শ্রমিক নিতে হয় না। এতে শ্রমিক খরচ বেচে যায়। তাছাড়া, কৃষক পরিবারের সন্তানকে কৃষি কাজ করতে হবে এটাই স্বাভাবিক। গ্রামে এখন শিশু-বৃদ্ধ সবাই তামাকের কাজ করছে। তামাকপাতা বিক্রি না করা পর্যন্ত আমাদের তামাকের কাজ করতে হয়।

সমাজ সেবক ও তরুণ উদ্যেক্তা মোঃ মমতাজ আলী শান্ত বলেন, স্বাস্থ্য সচেতনতায় পিছিয়ে রয়েছে গ্রামাঞ্চলের মানুষ। বিষবৃক্ষ তামাক চাষে ঝুঁকছে এ অঞ্চলের মানুষ। তামাক চাষ বন্ধে কোম্পানি গুলোর দিকে নজর দিতে হবে। কম সময়ে অধিক লাভের আশায় এ অঞ্চলের মানুষের তামাক চাষ করে থাকেন। তামাকের পরিবর্তে এ মৌসুমে গম, ভূট্টা সহ বিভিন্ন শাক-সবজি চাষ করলে জমি উর্বরতা হারাবে না। এ জন্য কৃষি বিভাগকে কৃষকদের বোঝাতে হবে।

লালমনিরহাট কৃষি সস্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামীম আশরাফ বলেন, এ বছর জেলায় কী পরিমাণ জমিতে তামাক চাষ হয়েছে তা মাঠ পর্যায়ে নিরুপণ চলছে। তবে গত বছর ৮০ হাজার বিঘা জমিতে চাষ হলেও এ বছর কম জমিতে তামাক চাষ হয়েছে বলে তার ধারণা। তামাক চাষ থেকে কৃষকদের ফিরিয়ে আনতে কৃষি বিভাগ থেকে সচেতনতামূলক প্রচারণা প্রতিনিয়ত চালানো হচ্ছে।

লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডাঃ নির্মলেন্দু রায় জানান, শিশুরা তামাক উৎপাদন ও প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলে তারা শারিরীক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তামাকের নিকোটিনের কারণে শিশুদের জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই অভিভাবকদের উচিত শিশুদেরকে তামাক ক্ষেতে নিয়ে না যাওয়া।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, তামাক চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে তামাক কোম্পানিগুলো যাতে সক্রিয় ভুমিকা না রাখে সেজন্য কৃষি বিভাগকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগের চেয়ে তামাক চাষ দিন দিন কমছে। শিশুরা যেন তামাক উৎপাদন ও প্রক্রিয়ার কাজে জড়িয়ে না যায় সেজন্য অভিভাবকদেও সচেতন করার পাশাপাশি স্থানীয পর্যায়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২০, ২০২২ ২:৪১ অপরাহ্ন
তরমুজ গাছ উপরে ফেলা ক্ষতিগ্রস্ত সেই কৃষকের ক্ষেত পরিদর্শন করলেন ইউএনও
পাঁচমিশালি

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পাউবোর প্রকৌশলী কর্তৃক সাড়ে তিন হাজার তরমুজ গাছ উপড়ে ফেলা ক্ষতিগ্রস্থ সেই কৃষকের ক্ষেত পরিদর্শন করেছেন ইউএনও ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।

বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বেলা ১২টায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় উপজেলার ধুলাসার ইউনিয়নের পশ্চিম চাপলী গ্রামের ওই ক্ষেত পরিদর্শনে যান তারা। পরিদর্শন শেষে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন এবং আগামী তিন দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসক বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে জানিয়েছেন।

প্রায় ২ মাস আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং বন বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে মৌখিক অনুমতি নিয়ে পশ্চিম চাপলী গ্রামের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ঢালে সাড়ে তিন হাজার তরমুজ গাছ রোপন করেন কৃষক দেলোয়ার। কিন্তু গত ১৬ জানুয়ারী হঠাৎ সকল তরমুজ চারা উপরে ফেলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন বেড়িবাঁধ রক্ষা প্রকল্পের প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম। ওই কর্মকর্তার হা-পা ধরে তাকে ফেরাতে না পেরে কান্নায় ভেঙে পরেন দেলোয়ার। এতে তার প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

কৃষক দেলোয়ার কাঁদো কাঁদো কন্ঠে জানান, আমি মনির স্যারের হা-পা ধরে কান্নাকাটি করেছি। বলেছি প্রয়োজনে আমার নামে মামলা দেন। কিন্তু এই ক্ষতিটা করিয়েন না। সে আমার কথা শোনেনি। আমি ব্যাংক থেকে ঋন নিয়ে এ ব্যবসা শুরু করেছিলাম। আগে তাদের থেকে অনুমতিও নিয়েছি। তখন তারা বাঁধা দেয়নি। আমার বড় সর্বনাশ হয়ে গেছে।

কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এমআরএম সাইফুল্লাহ জানান, কৃষক দেলোয়ারের ৮শ‘ মাদায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার তরমুজ গাছ হয়েছিল। আর একমাস পরই এসব গাছে ফল আসতো। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সতত্যা পেয়েছি। আশা করছি খুব শীঘ্রই জেলা প্রশাসক বরাবরে প্রতিবেদন দাখিল করতে পারবো।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানান, কলাপাড়া উপজেলায় ব্যাপক তরমুজের আবাদ হয়। এটা একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। এই কৃষকের বড় ক্ষতি হয়ে গেছে। আমরা তার পক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করবো এবং তার ব্যাংক ঋন যেন মৌকুফ করা হয় সে ব্যাপরে আমরা সুপারিশ করবো। এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop