৯:০৬ অপরাহ্ন

বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুন ২৬, ২০২৩ ২:১১ অপরাহ্ন
মুরগির খামারে খাদ্য অপচয় কমিয়ে আনার ৬ উপায়
পোলট্রি

আমাদের দেশে এখন বেশির ভাগ খামারিরা মুরগির খামারের সাথে জড়িত। আর এই খামার করতে গিয়ে অনেক সমস্যায় পড়েন খামারিরা। এর মধ্যে বেশির ভাগ খামারিরা পড়েন খাদ্য সমস্যায়। নানা কারণে তাদের খামারের খাদ্য অপচয় হচ্ছে। খাদ্য অপচয় রোধ করতে পারলে খামারিরা হবে আরো লাভবান। এই জন্য জানতে হবে খামারের খাদ্য অপচয় কমানোর উপায়।

মুরগির খামারে খাদ্য অপচয় কমিয়ে আনার উপায়:

১। খামারে মুরগিতে কৃমির সংক্রমন বিশেষ করে সোনালি বা কক মুরগির গোলকৃমির কারণে খাবার নষ্ট করতে পারে। এজন্য সময়মতো কৃমিনাশক ওষুধ প্রদান করতে হবে।

২। খামারে খাবারের পাত্র পূর্ণ করে খাবার দিলে খাবার নষ্ট করে ফেলতে পারে। সেজন্য খাদ্যের পাত্র কিছুটা খালি রেখে খাদ্য প্রদান করতে হবে।

৩। মুরগির খামারে প্রয়োজনের তুলনায় কম সংখ্যক খাবার ও পানির পাত্র দিলে মুরগি অনেক সময় খাদ্য নষ্ট করে ফেলে। তাই খামারে মুরগির সংখ্যা অনুযায়ী খাদ্য ও পানির পাত্র দিতে হবে।

৪। খামারে মুরগির খাদ্য হঠাৎ পরিবর্তন করলে মুরগি খাদ্য নষ্ট করতে পারে। সেজন্য খাদ্য পরিবর্তন করলে অল্প অল্প করে খাদ্য পরিবর্তন করতে হবে।

৫। মুরগির খামারে জায়গার তুলনায় বেশী পরিমাণ খাদ্য প্রদান করা হলে মুরগি খাদ্য নষ্ট করে থাকে। এজন্য খামারে জায়গা অনুপাতে খাদ্য প্রদান করতে হবে।

৬। মুরগির খামারে খাবারের পাত্র সঠিক উচ্চতায় স্থাপন না করলে মুরগি খাবার নষ্ট করে ফেলতে পারে। খাদ্যের পাত্র খুব বেশি উচ্চতায় রাখা যাবে না।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৫, ২০২৩ ৮:০০ অপরাহ্ন
ডিম, মুরগি ও ১ দিনের বাচ্চার রবিবারের (২৫ জুন) পাইকারি দর
পোলট্রি

পোল্ট্রি পণ্য (ডিম ও মুরগীর) আজকের খামারীদের প্রাপ্ত মূল্য(টাকা) নিন্মরুপ:-
★এখানে বর্ণিত পোল্ট্রি পণ্যের মূল্য মূলত : পোল্ট্রি খামারিদের প্রাপ্ত মূল্য।

ইউনাইটেড এগ(সেল পয়েন্ট)
লাল ডিম=১১.২০ (খুচরা)
সাদা ডিম=১০.০০ (খুচরা)

ডাম্পিং মার্কেট-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৫০
সাদা ডিম=৯.১০

গাজীপুর:-
লাল(বাদামী)ডিম=১০.৪০
সাদা ডিম=৯.০০
ব্রয়লার মুরগী=১৩৫/কেজি
কালবার্ড লাল=২৮০/কেজি
কালবার্ড সাদা=/কেজি
সোনালী মুরগী=২১০/ কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=৩৫-৩৬
লেয়ার সাদা=৪০-৪২
ব্রয়লার=৩৫-৩৭

ডায়মন্ডঃ-
লাল(বাদামী)
ডিম=
লাল(বাদামী) মাঝারী ডিম=

চট্টগ্রাম:-
লাল(বাদামী) ডিম=১১.১০
সাদা ডিম=
ব্রয়লার মুরগী=১৩৭/কেজি
কালবার্ড লাল=২৯৫/কেজি
সোনালী মুরগী=২০৫/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=৩০-৩৩
লেয়ার সাদা=৪০-৪৩
ব্রয়লার=৪০-৪৩

রাজশাহী:-
লাল(বাদামী) ডিম=৯.৮০
সাদা ডিম=৮.৯০
ব্রয়লার মুরগী =/কেজি
সোনালী =/কেজি

খুলনা:-
লাল(বাদামী) ডিম=১১.২০
সাদা ডিম=

বরিশাল:-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৭০
ব্রয়লার মুরগী=/কেজি
কালবার্ড লাল=৩১৫/কেজি
সোনালী মুরগী=২৩০/কেজি বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =৩৭
ব্রয়লার=
সোনালী =

ময়মনসিংহ:-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৬০
ব্রয়লার মুরগী=১৩৪/কেজি
সোনালী মুরগী=২১০/ কেজি

সিলেট=
লাল(বাদামী)ডিম=১১.৫০
সাদা ডিম=১১.৩০
ব্রয়লার মুরগী=১৩০/কেজি
সোনালী মুরগী=২০০/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =৩০-৩৫
লেয়ার সাদা =
ব্রয়লার =৩৫

[ খাদ্যের দাম কমানোর দাবি করছি]

রংপুর:-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৩০
কাজী(রংপুর):-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৩৫
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=
ব্রয়লার=
হাইব্রিড সুপার=
সোনালী হাইব্রিড=

বগুড়া :
লাল(বাদামী)ডিম=১০.৮০
ব্রয়লার মুরগী=১৪০/কেজি
সোনালী মুরগী =২০০/কেজি
কাজী(বগুড়া):-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৮৩
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=
ব্রয়লার=
হাইব্রিড সুপার=
সোনালী হাইব্রিড =

টাংগাইল :–
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৪৫
সাদা ডিম=
ব্রয়লার মুরগী=/কেজি
সোনালী মুরগী=/কেজি

কিশোরগঞ্জ:-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৪০
ব্রয়লার মুরগী=/কেজি

নরসিংদী :-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৭০

সিরাজগঞ্জ :-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৭০
ব্রয়লার মুরগী=/কেজি
কালবার্ড লাল=২৮০/কেজ
সোনালী মুরগী=১৯০/কেজি

ফরিদপুর :-
লাল(বাদামী) ডিম=১১.১০
কাজী(ফরিদপুর) :-
লাল(বাদামী) ডিম=১১.৩০
ব্রয়লার মুরগী=/কেজি
লেয়ার মুরগী=২৮০/কেজি
সোনালী মুরগী=১৮০/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=
ব্রয়লার=
হাইব্রিড সুপার=
সোনালী হাইব্রিড =

পাবনা :-
লাল(বাদামী)ডিম=১০.৫০
সাদা ডিম=১০.২০

নোয়াখালী:-
লাল(বাদামী)ডিম=১০.৫০
ব্রয়লার মুরগী=১৪০/কেজি
কালবার্ড লাল=২৯০/কেজি
সোনালী মুরগী=২২০/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =
লেয়ার সাদা =
ব্রয়লার =

পিরোজপুর (স্বরুপকাঠী:-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৫০
সাদা ডিম=৯.৭০
ব্রয়লার মুরগী =/কেজি

যশোর :-
লাল(বাদামী) ডিম=১১.৬০

চুয়াডাঙ্গা:-
লাল(বাদামী ডিম)=১১.০০

কুমিল্লা:-
লাল (বাদামী) ডিম=১০.৫০
সাদা ডিম=১০.১০
ব্রয়লার মুরগী=/ কেজি
বাচ্চার দর:-
ব্রয়লার =

লক্ষীপুর:-
লাল(বাদামী)ডিম=১০.৯০
ব্রয়লার মুরগী=/কেজি
কালবার্ড লাল=/কেজি
সোনালী মুরগী=/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =
লেয়ার সাদা =
ব্রয়লার =

কক্সবাজার :-
লাল (বাদামী) ডিম=৯.৯০
সাদা ডিম=৯.৩০
ব্রয়লার মুরগী =/কেজি
সোনালী মুরগী =/কেজি

একটি যৌথ উদ্যোগ:
বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশন (B P I A),
বাংলাদেশ পোল্ট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদ (B P K R J P) এবং পোল্ট্রি প্রফেশনাল’স বাংলাদেশ(PPB)।

ধন্যবাদান্তে
মো:শিমুল হক রানা
যোগাযোগ:০১৮৫৫৯৪৪২৭০

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৫, ২০২৩ ১২:১৩ অপরাহ্ন
মুরগির বাচ্চার যত্ন নিবেন যেভাবে
পোলট্রি

বর্তমানে খামার করে অনেকেই লাভবান হয়েছেন। এই শিল্পে আরো লাভবান হওয়ার জন্য দরকার খামারে আরো পরিচর্যা। আর তা দরকার মুরগির বাচ্চার শুরু বয়স থেকেই। মুরগির বাচ্চার যত্ন যত বেশি নিতে পারবেন খামারে তত লাভ বেশি হবে। তাই খামারিদের উচিত মুরগির বাচ্চার যত্ন নেয়ার প্রতি আরো মনোযোগী হওয়া।

মুরগির বাচ্চার যত্নে যা করতে হবে”
খামারে যে বাচ্চা আনা হয়েছে তার হ্যাচিং হয়েছে প্রায় (২০-২৪ ঘণ্টা পূর্বে) যোগাযোগ ব্যবস্থা ও হ্যাচারী থেকে খামারের দূরত্বের উপর সময় কম বেশি হতে পারে। আবার আনসোন্ড বাচ্চা প্রায় ২ দিনেরও বেশি সময় না খেয়ে থাকে।তাহলে বাচ্চা কিভাবে না খেয়ে বেঁচে থাকে? আসলে একদিনের বাচ্চার পেটে কুসুমের কিছু পরিমান জমা থাকে।যার ফলে বাচ্চা বেশ কিছু সময় না খেয়ে থাকতে পারে।তবে সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে বাচ্চা দূর্বল হতে থাকে। অনেক সময় দূরের পথ অতিক্রম করায় বাচ্চার ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা হয়ে থাকে।

ডিহাইড্রেশন লক্ষণ:
বাচ্চার পায়ের বিদ্যমান শিরাগুলো ফুলে ওঠে,নীলবর্ন ধারণ করে। পায়ে কোথাও কোথাও লাল রক্তজমাটের মত পরিলক্ষিত হয়।বাচ্চা তুলনামূলক কম নড়াচড়া করে।

জেনে রাখা দরকার যে, এমন ডিহাইড্রেশনে আক্রান্ত বাচ্চাকে গ্লুকোজ দেওয়া মোটেই উচিৎ নয়। যদি অধিকাংশ বাচ্চার এমন অবস্থা দেখা যায় তাহলে ঠান্ডা পানিতে ভিটামিন সি অথবা স্যালাইন দিতে হবে। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। তবে ভিটামিন খাওয়ানোতে সতর্কতার প্রয়োজন আছে।অধিক ভিটামিন প্রদান ডায়রিয়ার কারন হতে পারে।

একদিনের বাচ্চাকে এন্টিবায়োটিক খাওয়ানো হয় যেন এর নাভি কাচা সমস্যা সমাধান হয়। যদি বাচ্চার এমন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু বাচ্চার পেটে জমা থাকা কুসুম শুকানো জন্য কোন এন্টিবায়োটিকের প্রয়োজন নেই,বা এক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক কাজও করে না। আলো বা তাপ দিয়েই পেটে জমা থাকা কুসুম শুকাতে হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৫, ২০২৩ ১২:১১ অপরাহ্ন
Broiler Feed Color Put to the Test
পোলট্রি

Birds, including chickens, can see in a broad range of the colour spectrum, and some colours can be stimulatory. A recent study in the US set out to determine whether colouring feed could stimulate broiler chickens to consume more.

Chickens have well-developed trichromatic vision, allowing them to see all sections of the visible light spectrum and some ultraviolet, and it has been reported that simple tasks by birds, such as pecking, can be influenced by colour and can be utilised for increased interest in a particular food item.

Previous studies on poultry feed colour

Although somewhat inconsistent, previous research has demonstrated that feed colour has the potential to increase or decrease feed consumption in broilers, thus affecting body weight gain during the growing period.

  • H Khosravinia observed that broilers consumed significantly more feed with green lighting and green feed over other light and feed combinations.
  • Additionally, JB Cooper explored feed colours in turkeys and reported that the birds preferred green colours, as indicated by their strong acceptance of green feed.
  • White Leghorns were tested on their response to red, yellow, green, and blue feed colours, preferring blue feed the most and red the least, with red feed significantly decreasing feed consumption.
  • In contrast, Leslie et al. found that when broiler chicks were given a choice between a non-coloured and coloured feed, they preferred non-coloured diets.

Impact of feed colour on broiler performance

To expand the base of knowledge related to the colouration of poultry feeds, this research was undertaken to assess how altered feed colour may impact the performance of broilers grown to 21 days of age. Colours were selected for this research to represent primary and secondary colours, and representing longer (red, orange, yellow, green) and shorter wavelengths (blue and purple).

Broiler feed colour trials

2 trials were conducted by researchers at the School of Agriculture at the Middle Tennessee State University in the US to determine feed colour effects on broiler performance:

  • Trial 1 included 4 treatments, namely control (complete broiler starter diet), red, green, and blue
  • Trial 2 included 4 treatments, including control, orange, yellow, and purple

Dietary colour treatments consisted of added non-nutritive human food-grade powdered dyes. Control diets had a no dye inclusion. Each treatment (60 birds/treatment) was fed to 240 male Cobb 500 broilers during a 21-day growout, and data was analysed.

Results

For Trial 1, little effects of feed colour on bird performance were recorded. Most observed differences appeared to reside with feed colour effects on feed conversion. Red and green feed depressed day 1 to 21 AFCR by 3.2 and 2.4% (p<0.05), respectively, compared to the control diet. A similar effect from red feed was seen for AFCR between day 1 and 14, with a 2.6% increase compared with control (p<0.05).

Interestingly, birds consuming the blue feed had similar AFCR to control birds at every time period. However, no other performance parameters differed across treatments in this trial. Like the results of Trial 1, Trial 2 showed minimal influences of orange, yellow, or purple feed on overall bird performance compared to the control diet.

However, some interesting effects were detected. The BWG between day 1 and 14 of birds consuming the purple feed was 6.4% higher than birds consuming yellow (p<0.05). A similar trend was observed for day 7 to 14 BWG (p<0.05).

Discussion

Broiler performance results from this study suggest feed colour effects are inconsistent, but do not indicate an aversion to certain colours.

This study was conducted by Joseph P. Gulizia and Kevin M. Downs at the School of Agriculture at the Middle Tennessee State University in the US.

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৪, ২০২৩ ৭:৩১ অপরাহ্ন
ডিম, মুরগি ও ১ দিনের বাচ্চার আজকের (শনিবার, ২৪ জুন) পাইকারি বাজারদর
পোলট্রি

পোল্ট্রি পণ্য (ডিম ও মুরগীর) আজকের খামারীদের প্রাপ্ত মূল্য(টাকা) নিন্মরুপ:-

★এখানে বর্ণিত পোল্ট্রি পণ্যের মূল্য মূলত : পোল্ট্রি খামারিদের প্রাপ্ত মূল্য।

ইউনাইটেড এগ(সেল পয়েন্ট)
লাল ডিম=১১.০০ (খুচরা)
সাদা ডিম=১০.০০ (খুচরা)

ডাম্পিং মার্কেট-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৪০
সাদা ডিম=৯.১০

গাজীপুর:-
লাল(বাদামী)ডিম=১০.৩০
সাদা ডিম=৯.০০
ব্রয়লার মুরগী=১৩৫/কেজি
কালবার্ড লাল=২৮০/কেজি
কালবার্ড সাদা=/কেজি
সোনালী মুরগী=২১০/ কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=৩০-৩৫
লেয়ার সাদা=৪০-৪২
ব্রয়লার=৩৫-৩৬

ডায়মন্ডঃ-
লাল(বাদামী)
ডিম=
লাল(বাদামী) মাঝারী ডিম=

চট্টগ্রাম:-
লাল(বাদামী) ডিম=১১.০০
সাদা ডিম=
ব্রয়লার মুরগী=১৩৫/কেজি
কালবার্ড লাল=২৯৫/কেজি
সোনালী মুরগী=২০৫/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=৩০-৩৩
লেয়ার সাদা=৪০-৪৩
ব্রয়লার=৩৬-৩৮

রাজশাহী:-
লাল(বাদামী) ডিম=৯.৭০
সাদা ডিম=৮.৮০
ব্রয়লার মুরগী =/কেজি
সোনালী =/কেজি

খুলনা:-
লাল(বাদামী) ডিম=১১.০০
সাদা ডিম=

বরিশাল:-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৭০
ব্রয়লার মুরগী=/কেজি
কালবার্ড লাল=৩১৫/কেজি
সোনালী মুরগী=২৩০/কেজি বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =৩৭
ব্রয়লার=
সোনালী =

ময়মনসিংহ:-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৫০
ব্রয়লার মুরগী=১৩৫/কেজি
সোনালী মুরগী=২১০/ কেজি

সিলেট=
লাল(বাদামী)ডিম=১১.২০
সাদা ডিম=১১.০০
ব্রয়লার মুরগী=১৪০/কেজি
সোনালী মুরগী=২১০/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =৩০-৩৫
লেয়ার সাদা =
ব্রয়লার =৩৫-৪০

[ খাদ্যের দাম কমানোর দাবি করছি]

রংপুর:-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৩০
কাজী(রংপুর):-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৮৫
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=
ব্রয়লার=
হাইব্রিড সুপার=
সোনালী হাইব্রিড=

বগুড়া :
লাল(বাদামী)ডিম=১১.০০
ব্রয়লার মুরগী=১৫০/কেজি
সোনালী মুরগী =২১০/কেজি
কাজী(বগুড়া):-
লাল(বাদামী) ডিম=১১.০১
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=
ব্রয়লার=
হাইব্রিড সুপার=
সোনালী হাইব্রিড =

টাংগাইল :–
লাল(বাদামী) ডিম=১০২০
সাদা ডিম=৯.০০
ব্রয়লার মুরগী=/কেজি
সোনালী মুরগী=/কেজি

কিশোরগঞ্জ:-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.২০
ব্রয়লার মুরগী=/কেজি

নরসিংদী :-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৫০

সিরাজগঞ্জ :-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৫০
ব্রয়লার মুরগী=/কেজি
কালবার্ড লাল=২৯০/কেজ
সোনালী মুরগী=২০০/কেজি

ফরিদপুর :-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৬০
কাজী(ফরিদপুর) :-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৮৭
ব্রয়লার মুরগী=১৪৫/কেজি
লেয়ার মুরগী=২৮০/কেজি
সোনালী মুরগী=১৮০/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=
ব্রয়লার=
হাইব্রিড সুপার=
সোনালী হাইব্রিড =

পাবনা :-
লাল(বাদামী)ডিম=১০.৪০
সাদা ডিম=১০.১০

নোয়াখালী:-
লাল(বাদামী)ডিম=১০.২০
ব্রয়লার মুরগী=১৩৭/কেজি
কালবার্ড লাল=২৮৫/কেজি
সোনালী মুরগী=২৩০/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =
লেয়ার সাদা =
ব্রয়লার =

পিরোজপুর (স্বরুপকাঠী:-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৫০
সাদা ডিম=৯.৭০
ব্রয়লার মুরগী =/কেজি

যশোর :-
লাল(বাদামী) ডিম=১১.৪০

চুয়াডাঙ্গা:-
লাল(বাদামী ডিম)=১০.৮০

কুমিল্লা:-
লাল (বাদামী) ডিম=১০.৫০
সাদা ডিম=১০.১০
ব্রয়লার মুরগী=/ কেজি
বাচ্চার দর:-
ব্রয়লার =

লক্ষীপুর:-
লাল(বাদামী)ডিম=১০.৮০
ব্রয়লার মুরগী=/কেজি
কালবার্ড লাল=/কেজি
সোনালী মুরগী=/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =
লেয়ার সাদা =
ব্রয়লার =

কক্সবাজার :-
লাল (বাদামী) ডিম=
সাদা ডিম=
ব্রয়লার মুরগী =/কেজি
সোনালী মুরগী =/কেজি

একটি যৌথ উদ্যোগ:
বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশন (B P I A),
বাংলাদেশ পোল্ট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদ (B P K R J P) এবং পোল্ট্রি প্রফেশনাল’স বাংলাদেশ(PPB)।

ধন্যবাদান্তে
মো:শিমুল হক রানা
যোগাযোগ:০১৮৫৫৯৪৪২৭০

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৩, ২০২৩ ৮:২০ অপরাহ্ন
ডিম, মুরগি ও ১ দিনের বাচ্চার শুক্রবারের পাইকারি দর
পোলট্রি

পোল্ট্রি পণ্য (ডিম ও মুরগীর) আজকের খামারীদের প্রাপ্ত মূল্য(টাকা) নিন্মরুপ:-
তারিখ:২৩/০৬/২০২৩ ইং
★এখানে বর্ণিত পোল্ট্রি পণ্যের মূল্য মূলত : পোল্ট্রি খামারিদের প্রাপ্ত মূল্য।

ইউনাইটেড এগ(সেল পয়েন্ট)
লাল ডিম=১০.৮০ (খুচরা)
সাদা ডিম=১০.০০ (খুচরা)

ডাম্পিং মার্কেট-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.২০
সাদা ডিম=৯.১০

গাজীপুর:-
লাল(বাদামী)ডিম=১০.০০
সাদা ডিম=৮.৯০
ব্রয়লার মুরগী=১৪৫/কেজি
কালবার্ড লাল=২৮০/কেজি
কালবার্ড সাদা=/কেজি
সোনালী মুরগী=১৯০/ কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=৩০-৩৫
লেয়ার সাদা=৪০-৪২
ব্রয়লার=৩৫-৩৬

ডায়মন্ডঃ-
লাল(বাদামী)
ডিম=
লাল(বাদামী) মাঝারী ডিম=

চট্টগ্রাম:-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৪০
সাদা ডিম=
ব্রয়লার মুরগী=১৩৫/কেজি
কালবার্ড লাল=২৯৫/কেজি
সোনালী মুরগী=২০০/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=৩৫-৩৮
লেয়ার সাদা=৪০-৪৩
ব্রয়লার=৩০-৩৩

রাজশাহী:-
লাল(বাদামী) ডিম=৯.৫০
সাদা ডিম=৮.৬০
ব্রয়লার মুরগী =/কেজি
সোনালী =/কেজি

খুলনা:-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৮০
সাদা ডিম=

বরিশাল:-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৭০
ব্রয়লার মুরগী=/কেজি
কালবার্ড লাল=৩১৫/কেজি
সোনালী মুরগী=২৩০/কেজি বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =৩৭
ব্রয়লার=
সোনালী =

ময়মনসিংহ:-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৩০
ব্রয়লার মুরগী=১৩৮/কেজি
সোনালী মুরগী=১৯৫/ কেজি

সিলেট=
লাল(বাদামী)ডিম=১১.০০
সাদা ডিম=১০.৮০
ব্রয়লার মুরগী=১৪০/কেজি
সোনালী মুরগী=২১০/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =৩০-৩৫
লেয়ার সাদা =
ব্রয়লার =৩৫-৪০

[ খাদ্যের দাম কমানোর দাবি করছি]

রংপুর:-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.১০
কাজী(রংপুর):-
লাল(বাদামী) ডিম=
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=
ব্রয়লার=
হাইব্রিড সুপার=
সোনালী হাইব্রিড=

বগুড়া :
লাল(বাদামী)ডিম=১০.৮০
ব্রয়লার মুরগী=১৫০/কেজি
সোনালী মুরগী =১৯০/কেজি
কাজী(বগুড়া):-
লাল(বাদামী) ডিম=
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=
ব্রয়লার=
হাইব্রিড সুপার=
সোনালী হাইব্রিড =

টাংগাইল :–
লাল(বাদামী) ডিম=৯.৯০
সাদা ডিম=৮.৮০
ব্রয়লার মুরগী=/কেজি
সোনালী মুরগী=/কেজি

কিশোরগঞ্জ:-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.০০
ব্রয়লার মুরগী=/কেজি

নরসিংদী :-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.২০

সিরাজগঞ্জ :-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৩০
ব্রয়লার মুরগী=/কেজি
কালবার্ড লাল=২৯০/কেজ
সোনালী মুরগী=২০০/কেজি

ফরিদপুর :-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.২০
কাজী(ফরিদপুর) :-
লাল(বাদামী) ডিম=
ব্রয়লার মুরগী=১৪৫/কেজি
লেয়ার মুরগী=২৮০/কেজি
সোনালী মুরগী=১৮০/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=
ব্রয়লার=
হাইব্রিড সুপার=
সোনালী হাইব্রিড =

পাবনা :-
লাল(বাদামী)ডিম=১০.৩০
সাদা ডিম=১০.০০

নোয়াখালী:-
লাল(বাদামী)ডিম=১০.০০
ব্রয়লার মুরগী=১৩৫/কেজি
কালবার্ড লাল=২৮৫/কেজি
সোনালী মুরগী=২২০/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =
লেয়ার সাদা =
ব্রয়লার =

পিরোজপুর (স্বরুপকাঠী:-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৫০
সাদা ডিম=৯.৭০
ব্রয়লার মুরগী =/কেজি

যশোর :-
লাল(বাদামী) ডিম=১১.২০

চুয়াডাঙ্গা:-
লাল(বাদামী ডিম)=১০.৭০

কুমিল্লা:-
লাল (বাদামী) ডিম=১০.২০
সাদা ডিম=৯.৮০
ব্রয়লার মুরগী=/ কেজি
বাচ্চার দর:-
ব্রয়লার =

লক্ষীপুর:-
লাল(বাদামী)ডিম=১০.৬০
ব্রয়লার মুরগী=/কেজি
কালবার্ড লাল=/কেজি
সোনালী মুরগী=/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =
লেয়ার সাদা =
ব্রয়লার =

কক্সবাজার :-
লাল (বাদামী) ডিম=৯.৩০
সাদা ডিম=৮.৮০
ব্রয়লার মুরগী =/কেজি
সোনালী মুরগী =/কেজি

একটি যৌথ উদ্যোগ:
বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশন (B P I A),
বাংলাদেশ পোল্ট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদ (B P K R J P) এবং পোল্ট্রি প্রফেশনাল’স বাংলাদেশ(PPB)।

ধন্যবাদান্তে
মো:শিমুল হক রানা
যোগাযোগ:০১৮৫৫৯৪৪২৭০

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২১, ২০২৩ ১০:৫২ পূর্বাহ্ন
ব্রয়লার খামারে যেসব ব্যবস্থাপনা খুব জরুরী
পোলট্রি

মুরগির খামারের মাধ্যমে বর্তমান সময়ে অনেক বেকার যুবকরা স্বাবলম্বী হচ্ছেন। ব্রয়লার মুরগির পালনের মাধ্যমে দেশে মাংসের চাহিদা অনেকাংশেই পূরণ হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির খামারে যেসব ব্যবস্থা অবশ্যই থাকতে হবে সেগুলো খামারিদের ভালোভাবে জেনে রাখা দরকার।

ব্রয়লার মুরগির খামারে যেসব ব্যবস্থা অবশ্যই থাকতে হবে:
ব্রয়লার মুরগির খামারে পর্যাপ্ত পরিমাণে আলো ও বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এতে খামারে স্যাঁতস্যাঁতে ভাব বা গাসের সৃষ্টি হবে না। ব্রয়লার মুরগির খামার জনবসতি থেকে কিছুটা দূরে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো এমন স্থানে হতে হবে।

ব্রয়লারের খামারে প্রয়োজনীয় তাপের ব্যবস্থা করতে হবে। আর গরমের দিনে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ফ্যান ও প্রয়োজনীয় ভ্যান্টিলেশন ব্যবস্থা রাখতে হবে। ব্রয়লারের খামার কিছুটা উঁচু স্থানে নির্মাণ করতে হবে। খামারে বন্যার পানি ও অন্যান্য প্রতিকূল আবহাওয়া থেকে যাতে রক্ষা করা যায় সেই ব্যবস্থা রাখতে হবে।

সম্ভব হলে ব্রয়লার খামারের চারদিকে উঁচু দেয়াল বা বেড়া দিয়ে দিতে হবে যাতে প্রতিকুল আবহাওয়া, বন্যপ্রাণী কিংবা শত্রুর হতে রক্ষা করা যায়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২১, ২০২৩ ১০:৫০ পূর্বাহ্ন
ব্রয়লার বাচ্চা পরিবহণে খামারিদের সতর্কতা
পোলট্রি

ব্রয়লার খামার করে লাভবান হয়েছেন যেমন অনেক খামারী তেমনি মাংসের চাহিদাও পূরণ হয়েছে সবার। তবে এতে লাভ পেতে হলে শুরু থেকেই করতে হবে যত্ন। আর এই যত্নে শুরুটা হতে হবে ব্রয়লার খামার বাচ্চা পরিবহণ থেকে। কারণ ব্রয়লারের বাচ্চা পরিবহণের সময় কোন সমস্যা হলে মুরগির জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে।

ব্রয়লার খামারে বাচ্চা পরিবহণ করার সময় সতর্কতা:
ব্রয়লারের বাচ্চা পরিবহণ করার সময় এমনভাবে বাচ্চাগুলো পরিবহণ করতে হবে যাতে সূর্যের আলো সরাসরি বাচ্চার শরীরে এসে না পড়ে। এছাড়াও বৃষ্টির পানিতে বাচ্চাগুলো যাতে না ভিজে যায় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। গরমকালে ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা পরিবহণ করতে হলে সকালের দিকে বাচ্চা পরিবহণ করতে হবে। এ সময় কোনভাবেই দুপুর কিংবা প্রচন্ড রোদে বাচ্চা পরিবহণ করা যাবে না। এতে বাচ্চা ক্ষতি হতে পারে। আর শীতের দিনে বাচ্চা দুপুর বা রোদের সময় পরিবহণ করা ভালো।

ব্রয়লার খামারের জন্য বাচ্চা পরিবহণ করার সময় লক্ষ্য করতে হবে পরিবহণ বাক্স জীবাণুমুক্ত আছে কিনা। যদি না থাকে তাহলে বাক্সগুলো ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করে তার পর বাচ্চা পরিবহণ করতে হবে। সম্ভব হলে বাচ্চা পরিবহণের যানবাহন জীবাণুনাশক নিয়ে স্প্রে করে দিতে হবে। বাচ্চা পরিবহণের সময় যদি বেশি তাপ কিংবা বেশি ঠাণ্ডা থাকে তাহলে তাপ ও ঠাণ্ডা থেকে বাচ্চাগুলোকে রক্ষা করেই তারপর বাচ্চাগুলো পরিবহণ করতে হবে।

ব্রয়লারের বাচ্চা পরিবহণ করার সময় সকল প্রকার ধকল থেকে বাচ্চাগুলোকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এগ্রিভিউ/এসএমএ

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৯, ২০২৩ ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন
সোনালী মুরগির অধিক ডিম পেতে খামারী যা করবেন
পোলট্রি

আমাদের দেশে মুরগির মাংস এবং ডিমের চাহিদা ব্যাপক। এই মুরগির মাংস এবং ডিমের চাহিদা পূরণে গড়ে উঠেছে নানান মুরগির খামার। আর এসব খামারের মধ্যে অন্যতম হলো সোনালি মুরগির খামার। যা অনেক আগ থেকেই আমাদের দেশে গ্রামাঞ্চলে পালন করা হচ্ছে। এরমধ্যে অনেকে কেবল ডিমের চাহিদা পূরণেও এই সোনালি মুরগির খামার করে থাকেন।

ডিম উৎপাদনের জন্য সোনালী মুরগি পালনে যা করা জরুরীঃ

সোনালি মুরগি পালনের ক্ষেত্রে শুরুতেই মনে রাখতে হবে এটি একটি ব্যবসা। আর ব্যবসাকে হেলার চোখে দেখার কিছু নেই। সোনালী মুরগি পালনে উদাসীনতা দেখালে মুরগি পালনে লোকসান দেখা দিতে পারে। সেজন্য সোনালি মুরগি পালনের প্রতিটি পদক্ষেপ গুরুত্বের সাথে নিতে হবে। সোনালীর ক্ষেত্রে ব্রূডিং এর সময় “এস্পারজিলোসিস” হবার অনেক সম্ভবনা থাকে। সেজন্য মুরগির ব্রূডিং কালে লিটারে তুঁতের পানি ছিটিয়ে ব্রূডিং করাতে হবে। এতে ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।

সোনালি মুরগি পালনের ক্ষেত্রে অনেক খামারিরা ভ্যাকসিন প্রদান নিয়ে অনেকটা উদাসীনতা দেখায়। সময়মতো মুরগিকে ভ্যাকসিন দিনে না পারলে অনেক সময় খামারিদের লোকসানে পড়তে হয়। আর সেজন্য ভ্যাকসিনসূচী অনুযায়ী ভ্যাকসিন প্রদান করতে হবে।সোনালি মুরগি পালনের ক্ষেত্রে লেয়ার মুরগির মতোই আলোকসূচি মেনে চলতে হবে। লেয়ার মুরগির মতোই সোনালি মুরগিতে আলোক নিয়ম মানলে সবচেয়ে ভাল হয়।

সোনালি মুরগি পালনের ক্ষেত্রে মুরগির বয়স ৮ থেকে ১০ সপ্তাহ হলে পুরুষ ও স্ত্রী সোনালী মুরগীগুলোকে পৃথক করতে হবে। সাধারনত মুরগী গুলোর ঝুটি ও পালক দেখেই পুরুষ ও স্ত্রী সোনালী মুরগী চেনা যায়। যেহেতু আপনার উদ্দেশ্য ডিম উৎপাদন তাই পুরুষ গুলো রাখার কোন প্রয়োজন নেই।সোনালী মুরগি সাধারনত দিনে ৮০ থেকে ১০০ গ্রাম খাবার গ্রহন করে। অতিরিক্ত বা কম খাবার দেয়া কোনটিই ঠিক না। এক্ষেত্রে মোট খাদ্যের ৬০% সকালে দিয়ে দিতে হবে। আর বাকি ৪০% খাবার ২০% -২০% করে দুপুরে ও বিকেলে দিতে হবে।

খামারের মুরগিগুলোর বয়স ১৪ থেকে ১৬ সপ্তাহ হলে মুরগীগুলোকে খাঁচায় তুলতে হবে। মেঝেতে মুরগিগুলোকে না রেখে খাঁচায় রাখলে বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যায়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৯, ২০২৩ ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন
অধিক ডিম আর মাংস উৎপাদনে দেশি মুরগির যত্ন নিবেন যেভাবে
পোলট্রি

বাংলাদেশের গ্রাম এলাকায় প্রায় প্রতিটি পরিবার দেশী মুরগি পালন করে থাকে। এদের উৎপাদন ক্ষমতা বিদেশী মুরগির চেয়ে কম। উৎপাদন ব্যয়ও অতি নগণ্য। এটি অধিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন। এদের মাংস ও ডিমের মূল্য বিদেশী মুরগীর তুলনায় দ্বিগুণ, এর চাহিদাও খুবই বেশী। দেশী মুরগির মৃত্যুহার বাচ্চা বয়সে অধিক এবং অপুষ্টিজনিত কারনে উৎপাদন আশানুরূপ নয়। বাচ্চা বয়সে দেশী মোরগ-মুরগির মৃত্যুহার কমিয়ে এনে সম্পূরক খাদ্যের ব্যবস্থা করলে দেশী মুরগি থেকে অধিক ডিম ও মাংস উৎপাদন করা সম্ভব।

উল্লেখিত অবস্থার আলোকে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট দেশী মুরগি উৎপাদনে উন্নত কৌশল শীর্ষক প্রযুক্তিটি উদ্ভাবন করেছে। এ কৌশল ব্যবহার করে খামারিরা দেশী মুরগি থেকে অধিক ডিম ও মাংস উৎপাদন করে পারিবারিক পুষ্টি ও আয় বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবে।

উদ্দেশ্য:
সম্পুরক খাদ্য, রানীক্ষেত ও বসন্তের প্রতিষেধক প্রদান করে এবং বন্য জন্তুর কবল থেকে মুক্ত রেখে দেশী মুরগি, বিশেষ করে ছোট বাচ্চার মৃত্যুর হার কমিয়ে আনা যায়।
দেশী মুরগির দৈহিক ওজন ও ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি করা।

প্রযুক্তি ব্যবহারের পদ্ধতি:
প্রযুক্তিটি গ্রামীণ পর্যায়ে সকল গৃহস্থ পরিবারই ব্যবহার করতে পারবেন। খামারের আকার অনুযায়ী প্রত্যেক খামারীর জন্য মোরগ-মুরগির সংখ্যা

নিম্নে দেওয়া হলো-
খামারের আকার আবাদী জমির পরিমাণ (শতাংশ) মোরগ/মুরগি
ছোট ৫০ শতাংশ ১টি মোরগ ও ৩টি মুরগি
মাঝারী ও বড় ৫০ ও তার অধিক ১টি মোরগ ও ৬টি মুরগি

দেশীয় পদ্ধতিতে দেশি মোরগ পালন:
অনেকেই জানতে চেয়ে ছিলেন যে সল্প মূলধন দিয়ে কি ব্যবসা করা যায়। তাদের জন্য দেশি মোরগ হতে পারে একটি সময়পযোগি ব্যবসা। সল্প জায়গায় অল্প টাকা বিনিয়োগ করে সল্প সময়ে অধিক আয় করা যায়। বসত বাড়িতে মুরগি চাষ হচ্ছে একটি সহজ এবং লাভজনক কাজ। বাড়ির গৃহিণীরা খামার স্থাপন ও পরিচালনা করতে পারে। একটি মোরগ একটি মুরগির তুলনায় দ্রুত বাড়ে আর বাজারে দেশি মোরগের প্রচুর চাহিদা থাকায় মোরগ বিক্রি করতে তেমন বেগ পেতে হয়না এবং বাজারে ভাল দাম ও পাওয়া যায়।

দেশি মোরগ আবদ্ধ ও ছেড়ে পালন করা যায়। তবে ছেড়ে পালন করলে বেশি লাভবান হওয়া যায় কারন মোরগ নিজের খাদ্য নিজে কুড়িয়ে খায়।এরা মুক্ত আলো বাতাস বিশেষ করে প্রচুর সূর্য কিরণে বেড়ে উঠে যা তাদের শরীরে ভিটামিন ‘ডি’ তৈরি করতে সাহায্য করে। এদের খাবারের জন্য তেমন কোন খরচ করতে হয় না।

মোরগ নির্বাচনঃ- দেশি মোরগ বা মুরগির বাচ্চা উৎপাদনের জন্য তেমন কোন হ্যাচারি গড়ে ওঠেনি তাই নিজেকে ই দেখে শুনে সুস্থ সবল ও নিরোগ মোরগ সংগ্রহ করতে হবে। মূলত ৪০০-৬০০ গ্রামের মোরগ দিয়ে শুরু করলে ভাল ফলাফল আশা করা যায়। কারন ঐ সময়ের পর মোরগ গুলো দ্রুত বাড়ে এবং সঠিক ব্যবস্থাপনা ও পরিচর্যা পেলে ২ মাস পর মোরগ গুলোর গড় ওজন ২ কেজির উপর হবে। প্রতি কিলো দেশি মোরগের মূল্য কেমন আছে সেটা নাই বা বললাম। আপনারা নিজেরা লাভ-ক্ষতি বের করে নিন।

মুরগির ঘর তৈরির নিয়মঃ- মোরগের জন্য খোলামেলা ঘর হতে হবে। ১.৫ মিটার (৫ ফুট) লম্বা X১.২ মিটার (৪ ফুট) চওড়া এবং ১ মিটার (৩.৫ ফুট) উঁচু ঘর তৈরি করতে হবে। ঘরের বেড়া বাঁশের তরজা বা কাঠের তক্তা দিয়ে তৈরি করতে হবে। এছাড়া মাটির দেয়ালও তৈরি করা যাবে। বেড়া বা দেওয়ালে আলো বাতাস চলাচলের জন্য ছিদ্র থাকতে হবে। ঘরের চাল খড়, টিন বা বাঁশের তরজার সাথে পলিথিন ব্যবহার করে তৈরি করা যাবে। এরকম ঘরে ১০-১৫টি মোরগ পালন করা যায়।

খাবারঃ- বাড়ির প্রতিদিনের বাড়তি বা বাসী খাদ্য যেমন ফেলে দেওয়া এঁটোভাত, তরকারি,
ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গম, ধান, পোকামাকড়, শাক সবজির ফেলে দেওয়া অংশ, ঘাস, লাতা পাতা, কাঁকর, পাথর কুচি ইত্যাদি মুরগি কুড়িয়ে খায়।

পরিচর্যাঃ- ছেড়ে পালন পদ্ধতিতে মুরগি পরিচর্যার জন্য সময় বা লোকজনের তেমন দরকার পড়ে না। তারপরও কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখতে হয়। সকালে মুরগির ঘর খুলে কিছু খাবার দিতে হবে। সন্ধ্যায় মুরগি ঘরে ওঠার আগে আবার কিছু খাবার দিতে হবে। ঘরে উঠলে দরজা বন্ধ করে দিতে হবে।মুরগির পায়খানা ঘরের মেঝেতে যেন লেপ্টে না যায় সেজন্য ঘরের মেঝেতে ধানের তুষ, করাতের গুঁড়া ২.৫ সে.মি. (১ ইঞ্চি) পুরু করে বিছাতে হবে। পায়খানা জমতে জমতে শক্ত জমাট বেঁধে গেলে বারবার তা উলট-পালট করে দিতে হবে এবং কিছুদিন পর পর পরিষ্কার করতে হবে। এ পদ্ধতিতে দেশি মোরগ পালন করা গেলে প্রায় তেমন কোন খরচ ছাড়াই ভাল একটা মুনাফা পাওয়া যাবে।

দেশি মুরগি পালনে যত্ন নিতে হবে:
সাকুল্যে ৫-১০টি মুরগি। বাড়ির আশপাশে চরে বেড়িয়ে বাড়ির উচ্ছিষ্ট খাবার, পোকামাকড়, কেঁচো, কচি ঘাসপাতা খায় তারা। সে অর্থে প্রতিপালনের কোনও খরচ নেই বললে চলে। আপাতদৃষ্টিতে লাভজনক মনে হলেও আসলে অতটা লাভ হয় না। ছাড়া মুরগি অন্যত্র ডিম পেড়ে আসে, কখনও রোগে মারা যায়। তাই দেশি মুরগির পালন লাভজনক করতে হলে কিছু নিয়ন্ত্রণ থাকা দরকার, সে জাত নির্বাচনেই হোক বা রোগ পরিচর্যায়।

প্রথমে আসি মুরগির জাতে। ব্রয়লার খামারের হাইব্রিড মুরগি উঠোনে ছেড়ে পালন করা যায় না। তাই খাঁটি জাতগুলোকে বাছতে হবে। যেমন, রোড আইল্যান্ড রেড (আরআইআর) বা ব্ল্যাক অস্ট্রালর্প। রঘুনাথপুর, বালুরঘাটের রাজ্য মুরগি খামারে লাল বা আরআইআর এবং কালো বা ব্ল্যাক অস্ট্রালর্প মুরগির বাচ্চা পাওয়া যায়। ইদানীং কালে বনরাজা, গিরিরাজা, গ্রামরপ্রিয়া ইত্যাদি জাত কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা হয়েছে।

মুরগি রাতে রাখার জন্য ঘর বানাতে হবে। মাটি থেকে সামান্য উপরে বাঁশ বা কাঠ দিয়ে কম খরচে খড় বা টালি ঢেকে তৈরি ঘরগুলো যেন শুকনো, পরিষ্কার হয়। আর আলো-বাতাস খেলে। প্রতিটি পাখির জন্য গড়ে তিন বর্গফুট জায়গা ধরতে হবে।

দেশি মুরগি চরে বেড়িয়ে তার খাবার সংগ্রহ করে নিলেও এ ধরনের উন্নত জাতের মুরগির পুরো উৎপাদন ক্ষমতা কাজে লাগাতে অল্প পরিমাণে সুষম খাবার দেওয়া প্রয়োজন। চালের গুঁড়ো (৩০০ গ্রাম), খুদ বা গম ভাঙা (২৮০ গ্রাম), সর্ষে/ তিল খোল ( ২০০ গ্রাম), মাছ বা সোয়াবিন গুঁড়ো (২০০ গ্রাম), ভিটামিন ও খনিজ লবণ মিশ্রণ যেমন সাপ্লিভিট এম (২০ গ্রাম) মিশিয়ে মুরগির সংখ্যা অনুযায়ী মাথা পিছু ৫০-৭০ গ্রাম হিসাবে অর্ধেক সকালে ও অর্ধেক বিকালে খেতে দিতে হবে। রাতে মুরগি রাখার যে ঘর আছে, সেখানে নির্দিষ্ট পাত্রে জল ও খাবার দিতে হবে। যাতে সকালে ঘর থেকে বেরনো বা পরে ঘরে ঢোকার সময় ওই খাবার ও জল খাওয়া অভ্যাস তৈরি হয়। এই অভ্যাস থাকলে ওষুধ গুলে খাওয়াতে সুবিধা হয়। মুরগির খাবার সবসময় শুকনো ও পরিষ্কার রাখতে হবে। বেশি দিন জমা রাখলে ছত্রাক সংক্রমণ ঘটে।

সংকরায়ণ পদ্ধতিতে দেশি মুরগির সঙ্গে উন্নত মোরগ রেখে প্রাকৃতিক প্রজনন ঘটিয়ে দেশি মুরগির জিনগত উৎকর্ষতা বাড়ানো যায়। প্রতি ১০টি দেশি মুরগি পিছু ১টি উন্নত জাতের মোরগ রাখতে হবে। যে সংকর মুরগি জন্মাবে, তা দেশি মুরগির চেয়ে দ্রুত (৪-৫ মাস বয়সে) এবং প্রায় দ্বিগুণ (বছরে ১২০-১৪০টি) ডিম দেবে।

রোগব্যাধি মুরগি পালনের অন্যতম সমস্যা। তাই নিয়মিত মুরগির ঘর চুন বা জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। প্রতি মাসে একবার করে কৃমিনাশক ওষুধ (পাইপেরাজিন তরল বয়স অনুযায়ী ০.৫-১ মিলি) জলে গুলে খাওয়াতে হবে। রানিক্ষেত বা বসন্তের মতো কয়েকটি সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে নিয়মিত টিকাকরণ জরুরি। টিকা দেওয়ার দশ দিন আগে কৃমির ওষুধ খাওয়াতে হবে। টিকাকরণ বিশেষত রানিক্ষেত টিকা ৭-১০ দিন বয়সে নাকে বা চোখে এক ফোঁটা, ৩০ দিন বয়সে আর এক বার, ২ মাস বয়সে প্রথম কৃমির ওষুধ এবং আড়াই মাস বয়সে ডানার তলায় ০.৫ মিলি ইঞ্জেকশন অবশ্যই নিতে হবে। ঝিমুনি, সর্দি, শ্বাসকষ্ট, পাতলা বা রক্ত পায়খানা নজরে এলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যাকট্রিম ডিএস বা সেপম্যাক্স (১টি বড়ি ১০টি বড় বা ২০টি বাচ্চা মুরগির জন্য) খাবারে বা জলে গুলে ড্রপারে করে খাইয়ে দিতে হবে (৩/৫/৭ দিন)।

দেশী মুরগি বাণিজ্যিকভাবে পালন:
দেশী মুরগি বানিজ্যিকভাবে পালন কৌশল আয় বৃদ্ধি ও পারিবারিক পুষ্টির নিশ্চয়তা বিধানে দেশী মুরগী প্রতিপালন বিশেষ অবদান রাখতে পারে । আমরা সবাই বলে থাকি দেশী মুরগির উৎপাদন কম । কিন্তু বিভিন্ন পর্যায়ে বিশেষ লক্ষ্য এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করে দেশী মুরগীর উৎপাদন দ্বিগুনের ও বেশী পাওয়া সম্ভব। দেশী মুরগি থেকে লাভ জনক উৎপাদন পওয়ায় বিভিন্ন কৌশল এখানে বর্ননা করা হয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে দেশী মুরগির ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি করে বাজারে বিক্রি করার চেয়ে ডিম ফুটিয়ে বাচ্চা তৈরী করে ৮-১২ সপ্তাহ বয়সে বিক্রি করলে লাভ বেশী হয়। এক সংঙ্গে ১০-১২ টি মুরগি নিয়ে পালন শূরু করতে হবে। তবে কখনও ১৫-১৬ টির বেশী নেওয়া ঠিক না । তাতে অনেক অসুবিধাই হয় । শুরুতে মুরগি গুলোকে কৃমি নাষক ঔষধ খাওয়ানোর পরে রানীক্ষেত রোগের টীকা দিতে হবে। মুরগির গায়ে উকুন থাকলে তাও মেরে নিতে হবে। প্রতিটি মুরগিকে দিনে ৫০-৬০ গ্রাম হারে সুষম খাদ্য দিতে হবে। আজকাল বাজারে লেয়ার মুরগির সুষম খাদ্য পাওয়া যায় । তা ছাড়া আধা আবদ্ধ এ পদ্ধতিতে পালন করলে লাভ বেশী হয়।

মুরগির সাথে অবশ্যই একটি বড় আকারের মোরগ থাকতে হবে। তা না হলে ডিম ফুটানো যাবে না । ডিম পাড়া শেষ হলে মুরগি উমে আসবে । তখন ডিম দিয়ে বাচ্চা ফুটানোর ব্যবস্থা নিতে হয়।এক সঙ্গে একটি মুরগির নীচে ১২-১৪ টি ডিম বসানো যাবে। খামারের আদলে বাঁশ, কাঠ খড়, বিচলী তাল নারকেল সুপারির পাতা দিয়ে যত কম খরচে স্থানান্তর যোগ্য ঘর তৈরী করা সম্ভব তা করা যায়। ঘর তৈরীর সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যেন সঠিক মাপের হয় এবং পর্যাপ্ত আলো বাতাস চলাচল করতে পারে । বানানোর পর ঘরটিকে বাড়ীর সব চেয়ে নিরিবিলি স্থানে রাখতে হবে । মাটির উপর ইট দিয়ে তার উপর বসাতে হবে। তাহলে ঘর বেশী দিন টিকবে ।

ফুটানোর ডিম সংগ্রহ ও সংরক্ষনঃ- আরেকটি প্রয়োজনীয় ̧গুরুত্বপূর্ন কাজ। ডিম পাড়ার পর ডিম সসংগ্রহের সময় পেন্সিল দিয়ে ডিমের গায়ে তারিখ লিখে ঠান্ডা জায়গায় সংরক্ষন করতে হবে। ডিম পাড়া শেষ হলেই মুরগি কুঁচো হবে। গরম কালে ৫-৬ দিন বয়সের ডিম এবং শীত কালে ১০-১২ দিন বয়সের ডিম ফুটানোর জন্য নির্বাচন করতে হবে।

দেশী মুরগি পালন কৌশলের বিশেষ নজর দেয়ার ধাপ সমূহ:
উমে বসানো মুরগির পরিচর্যা করতে হবে। মুরগির সামনে পাত্রে সবসময় খাবার ও পানি দিয়ে রাখতে হবে যাতে সে ইচ্ছে করলেই খেতে পারে । তাহলে মুরগির ওজন হ্রাস পাবেনা এতে বাচ্চা তোলার পর আবার তাড়াতাড়ি ডিম পাড়া আরম্ভ করবে।

ডিম বসানোর ৭-৮ দিন পর আলোতে রাতের বেলা ডিম পরীক্ষা করলে বাচ্চা হয় নাই এমন ডিম ̧লো চেনা যাবে এবং বের করে অনতে হবে। বাচ্চা হওয়া ডিম ̧লো সুন্দর করে সাজিয়ে দিতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন মুরগি বিরক্ত না হয়।
প্রতিটি ডিমের গায়ে সমভাভে তাপ লাগার জন ̈ দিনে কমপেক্ষ ৫-৬ বার ওলট পালট করে দিতে হবে।
বাতাসের আর্দ্রতা কম হলে বিশেষ করে খুব গরম ও শীতের সময় ডিম উমে বসানোর ১৮- ২০দিন পর্যন্ত কুসুম গরম পানিতে হাতের আঙ্গুল ভিজিয়ে পানি স্প্রে করে দিতে হবে।
*ফোটার পর ৫-৬ ঘন্টা পর্যন্ত মাকে দিয়ে বাচ্চাকে উম দিতে হবে। তাতে বাচ্চা শুকিয়ে ঝরঝরে হবে।

বাচ্চা ফুটার পর বাচ্চার পরিচর্যা ও ডিম পাড়া মুরগির পরিচর্যা :- গরম কালে বাচ্চার বয়স ৩-৪ দিন এবং শীত কালে ১০-১২ দিন পর্যন্ত বাচ্চার সাথে মাকে থাকতে দিতে হবে। তখন মুরগি নিজেই বাচ্চাকে উম দিবে। এতে কৃত্রিম উমের (ব্রুডিং ) প্রয়োজন হবে না। এ সময় মা মুরগিকে খাবার দিতে হবে। মা মুরগির খাবারের সাথে বাচ্চার খাবার ও কিছূ আলাদা করে দিতে হবে।

বাচ্চা গুলো মায়ের সাথে খাবার খাওয়া শিখবে। উপরোক্ত বর্ণিত সময়ের পর মুরগিকে বাচ্চা থেকে আলাদা করতে হবে। এ অবস্থায় বাচ্চাকে কৃত্রিম ভাবে ব্রুডিং ও খাবার দিতে হবে। তখন থেকেই বাচ্চা পালনের মত বাচ্চা পালন পদ্ধতির সব কিছুই পালন করতে হবে। মা মুরগিকে আলাদা করে লেয়ার খাদ্য দিতে হবে। এ সময় মা মুরগিকে তাড়াতাড়ি সুস্থ হওয়ার জন্য পানিতে দ্রবনীয় ভিটামিন দিতে হবে।

মা মুরগি ও বাচ্চা এমনভাবে আলাদা করতে হবে যেন তারা দৃষ্টির বাহিরে থাকে। এমন কি বাচ্চার চিচি শব্দ যেন মা মুরগি শুনতে না পায় । তা না হলে মা ও বাচ্চার ডাকা ডাকিতে কেউ কোন খাবার বা পানি কিছুই খাবে না । আলাদা করার পর অবস্থার সাথে খাপ খাইয়ে গেলে আর কোন সমস্য থাকে না ।প্রতিটি মুরগিকে এ সময় ৮০-৯০ গ্রাম লেয়ার খাবার দিতে হবে। সাথে সাথে ৫-৭ ঘন্টা চড়ে বেড়াতে দিতে হবে। প্রতি ৩-৪ মাস পর পর কৃমির ঔষধ এবং ৪-৫ মাস পর পর আর. ডি. ভি . টীকা দিতে হবে।

দেশে একটি মুরগি ডিম পাড়ার জন্য ২০ -২৪দিন সময় নেয় । ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানোর জন্য ২১ দিন সময় নেয় । বাচ্চা লালন পালন করে বড় করে তোলার জন্য ৯০-১১০ দিন সময় নেয় । ডিম থেকে এ ভাবে (৯০-১১০ দিন ) বাচ্চা বড় করা পর্যন্ত একটি দেশী মুরগির উৎপাদন চক্র শেষ করতে স্বাভাবিক অবস্থায় ১২০- ১৩০ দিন সময় লাগে।

কিন্তু মাকে বাচ্চা থেকে আলাদা করার ফলে এই উৎপাদন চক্র ৬০ -৬২ দিনের মধ্যে সমাপ্ত হয়। বাকি সময় মুরগিকে ডিম পাড়ার কাজে ব্যবহার করা যায় । এই পালন পদ্ধতিকে ক্রিপ ফিডিং বলে । * ক্রিপ ফিডিং পদ্ধতিতে বাচ্চা পালন করলে মুরগিকে বাচ্চা পালনে বেশী সময় ব্যায় করতে হয় না । ফলে ডিম পাড়ার জন্য মুরগি বেশী সময় দিতে পারে । এই পদ্ধতিতে বাচ্চা ফুটার সংখ্যা বেশী হয় । দেখা গেছে বাচ্চার মৃত্যুহারও অনেক কম থাকে। মোট কথা অনেক দিক দিয়েই লাভবান হওয়া যায় । এই পদ্ধতি বর্তমানে অনেকে ব্যবহার করে লাভবান হচ্ছেন।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop