মুরগির বাচ্চার যত্ন নিবেন যেভাবে
পোলট্রি
বর্তমানে খামার করে অনেকেই লাভবান হয়েছেন। এই শিল্পে আরো লাভবান হওয়ার জন্য দরকার খামারে আরো পরিচর্যা। আর তা দরকার মুরগির বাচ্চার শুরু বয়স থেকেই। মুরগির বাচ্চার যত্ন যত বেশি নিতে পারবেন খামারে তত লাভ বেশি হবে। তাই খামারিদের উচিত মুরগির বাচ্চার যত্ন নেয়ার প্রতি আরো মনোযোগী হওয়া।
মুরগির বাচ্চার যত্নে যা করতে হবে”
খামারে যে বাচ্চা আনা হয়েছে তার হ্যাচিং হয়েছে প্রায় (২০-২৪ ঘণ্টা পূর্বে) যোগাযোগ ব্যবস্থা ও হ্যাচারী থেকে খামারের দূরত্বের উপর সময় কম বেশি হতে পারে। আবার আনসোন্ড বাচ্চা প্রায় ২ দিনেরও বেশি সময় না খেয়ে থাকে।তাহলে বাচ্চা কিভাবে না খেয়ে বেঁচে থাকে? আসলে একদিনের বাচ্চার পেটে কুসুমের কিছু পরিমান জমা থাকে।যার ফলে বাচ্চা বেশ কিছু সময় না খেয়ে থাকতে পারে।তবে সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে বাচ্চা দূর্বল হতে থাকে। অনেক সময় দূরের পথ অতিক্রম করায় বাচ্চার ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা হয়ে থাকে।
ডিহাইড্রেশন লক্ষণ:
বাচ্চার পায়ের বিদ্যমান শিরাগুলো ফুলে ওঠে,নীলবর্ন ধারণ করে। পায়ে কোথাও কোথাও লাল রক্তজমাটের মত পরিলক্ষিত হয়।বাচ্চা তুলনামূলক কম নড়াচড়া করে।
জেনে রাখা দরকার যে, এমন ডিহাইড্রেশনে আক্রান্ত বাচ্চাকে গ্লুকোজ দেওয়া মোটেই উচিৎ নয়। যদি অধিকাংশ বাচ্চার এমন অবস্থা দেখা যায় তাহলে ঠান্ডা পানিতে ভিটামিন সি অথবা স্যালাইন দিতে হবে। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। তবে ভিটামিন খাওয়ানোতে সতর্কতার প্রয়োজন আছে।অধিক ভিটামিন প্রদান ডায়রিয়ার কারন হতে পারে।
একদিনের বাচ্চাকে এন্টিবায়োটিক খাওয়ানো হয় যেন এর নাভি কাচা সমস্যা সমাধান হয়। যদি বাচ্চার এমন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু বাচ্চার পেটে জমা থাকা কুসুম শুকানো জন্য কোন এন্টিবায়োটিকের প্রয়োজন নেই,বা এক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক কাজও করে না। আলো বা তাপ দিয়েই পেটে জমা থাকা কুসুম শুকাতে হয়।