৯:৫৮ অপরাহ্ন

রবিবার, ১ জুন , ২০২৫
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৩, ২০২৫ ১২:৪০ অপরাহ্ন
মৎস্যচাষীদের কল্যাণে ব্লুটেক লাইফ সাইন্স এন্ড এগ্রো লিঃ এর তৃতীয় বার্ষিক বিক্রয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত
প্রাণিসম্পদ

ঢাকার দক্ষিণখানে বিপিকেএস কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হলো ব্লুটেক লাইফ সায়েন্স অ্যান্ড এগ্রো লিমিটেডের তৃতীয় বার্ষিক বিক্রয় সম্মেলন ২০২৫। “নীল পানিই সম্পদ” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত এই সম্মেলনে দেশের মৎস্য খাতের উন্নয়ন এবং চাষিদের কল্যাণ নিশ্চিত করার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজাউল ইসলাম নিজাম।

রেজাউল ইসলাম নিজাম তার বক্তব্যে বলেন, “আমরা শুধু ব্যবসার জন্য কাজ করছি না, বরং চাষীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছি। আমাদের উদ্দেশ্য হলো উন্নতমানের পণ্য ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান, যাতে দেশের মৎস্যচাষীরা লাভবান হতে পারেন। আমাদের দক্ষ প্রযুক্তি-পরামর্শক দল সার্বক্ষণিক চাষিদের পাশে থেকে আধুনিক ও টেকসই মৎস্যচাষের দিকনির্দেশনা দিচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের প্রথম কাজ হলো চাষীর সমস্যার সমাধান করা। যখন একজন চাষি আমাদের সেবা নিয়ে সন্তুষ্ট হন, তখন তিনি অন্য চাষিদেরও আমাদের সম্পর্কে জানান। এভাবেই আমরা সারা দেশে আমাদের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করতে পেরেছি। আমরা চাই, দেশের মৎস্যচাষীরা লাভবান হোক এবং ভোক্তারা নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর মাছ গ্রহণ করুক।”
চাষিদের জন্য উন্নতমানের সেবা নিশ্চিত করতে ব্লুটেক লাইফ সায়েন্স অ্যান্ড এগ্রো লিমিটেড খুব শিগগিরই একটি পুষ্টি গবেষণাগার স্থাপন করতে যাচ্ছে বলে জানান রেজাউল ইসলাম নিজাম। এই গবেষণাগারের মাধ্যমে মাছের খাদ্যমান উন্নত করা সম্ভব হবে, যা চাষীদের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে। এছাড়া, সমুদ্র অর্থনীতির যথাযথ ব্যবহার করে সামুদ্রিক মাছ চাষের প্রসার ঘটানো এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে ব্লুটেকের।
ব্লুটেকের বর্তমান কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের প্রতিষ্ঠান বর্তমানে ব্লুটেক অ্যাকোয়া পণ্য, ব্লুটেক হ্যাচারি, ব্লুটেক অ্যাকোয়া কালচার, ব্লুটেক শুকনো মাছের বাণিজ্য এবং ব্লুটেক সামুদ্রিক খাদ্য বাণিজ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ সেবা প্রদান করছে, যা মাছ ও চিংড়ি চাষের জন্য অত্যন্ত কার্যকর।”

তিনি তার কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “বিক্রয় কর্মীরাই আমাদের প্রাণশক্তি। তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণেই ব্লুটেক আজ দেশের মৎস্য খাতে একটি সুপরিচিত নাম হয়ে উঠেছে।”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিক্রয় ও বিপণন প্রধান মো. মোসলেম উদ্দিন, পরিচালক শাবনাম বেগম শমী, হিসাব ও অর্থ প্রধান মো. ফারুক হোসেন, যশোর অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শামমীম হোসেন শিমুল, ময়মনসিংহ অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইবরাহীম খলিলসহ অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা ও বিক্রয় প্রতিনিধি।
“নীল পানিই সম্পদ” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ব্লুটেক মৎস্য খাতের টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। উন্নতমানের পণ্য ও সেবা প্রদানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের মৎস্যচাষকে আরও লাভজনক ও স্বাস্থ্যসম্মত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। তৃতীয় বার্ষিক বিক্রয় সম্মেলন-২০২৫ সফলভাবে সম্পন্ন হয় এবং কর্মকর্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, আগামী দিনে ব্লুটেক আরও নতুন উদ্যোগ নিয়ে দেশের মৎস্য খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ৪, ২০২৫ ৭:২১ অপরাহ্ন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আমেনা বেগম এর বিএলআরআই পরিদর্শন
প্রাণিসম্পদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অনুবিভাগের নব দায়িত্ব প্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব জনাব আমেনা বেগম আজ ০৪/০১/২০২৫ খ্রি. তারিখে দেশের একমাত্র প্রাণিসম্পদ গবেষণার জাতীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) পরিদর্শন করেন। এসময় তার সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জনাব মো. আরমান হায়দার।

পরিদর্শনকালে তিনি ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন পর্যায়ের বিজ্ঞানী-কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব জনাব আমেনা বেগম, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন উপসচিব জনাব মো. আরমান হায়দার। আর সভায় সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক।

বেলা ১১.০০ ঘটিকায় ইনস্টিটিউটের সম্মেলন কক্ষে (চতুর্থ তলা) মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতেই প্রধান অতিথি জনাব আমেনা বেগম উপস্থিত বিজ্ঞানী-কর্মকর্তাগণের সাথে পরিচিতি হন। মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ইনস্টিটিউটের অতিরিক্ত পরিচালক ড. এ বি এম মুস্তানুর রহমান। সভায় বিএলআরআই এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি এবং বর্তমান গবেষণা কার্যক্রম তুলে ধরেন ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং মহিষ উন্নয়ন ও গবেষণা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. গৌতম কুমার দেব। এসময় জনাব আমেনা বেগম ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে প্রশ্নের মাধ্যমে অবগত হন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব আমেনা বেগম বলেন, ভোক্তার চাহিদা, জনগণের চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে গবেষণা করতে হবে। গ্রামীণ অর্থনীতিকে বিবেচনায় নিয়ে কাজ করতে হবে। গ্রামীণ মানুষের আয়-উপার্জন সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে, গ্রামীণ নারীদের কর্ম-সংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। পাশাপাশি তিনি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিএলআরআই এর কাজের পরিধি বাড়ানোর প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন এবং বিশ্ব বাজারে মাংস রপ্তানির ক্ষেত্রে সুযোগ সৃষ্টির জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।

গবেষকদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির দিকে গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, গবেষকদের কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তাদের জন্য প্রণোদনার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। এলক্ষ্যে বিএলআরআইকেই উদ্যোগী হতে হবে। বিএলআরআই এর বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা নিরসনে মন্ত্রণালয়ের সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাসও তিনি ব্যক্ত করেন।

মতবিনিময় সভা শেষ করে অতিরিক্ত সচিব মহোদয় ইনস্টিটিউটের ট্রান্সবাউন্ডারি এ্যানিমেল ডিজিজ রিসার্চ সেন্টারের ভ্যাকসিন এন্ড বায়োলজিক্স রিসার্চ ল্যাবরেটরি এবং এপিডেমিওলজি রিসার্চ ল্যাবরেটরি পরিদর্শন করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ৪, ২০২৫ ৩:৫২ অপরাহ্ন
বাছুরের ডায়রিয়া হলে যা করবেন
প্রাণিসম্পদ

আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চল থেকে শুরু করে এখন শহরেও দেখা মিলে অনেক গরুর খামার। আর গরু পালন করতে গিয়ে খামারিরা নানাবিধ সমস্যায় পড়ছেন। অনেক সময় বাছুরের ডায়রিয়া রোগ দেখা দিয়ে থাকে। আর তখন একজন খামারিকে কি করতে হবে সেটা জানা উচিত।

 

বাছুরের তীব্র ডায়রিয়ার কারণ:
বাছুরকে অতিরিক্ত ফ্যাটযুক্ত দুধ খাওয়ানো, অতিরিক্ত দুধ খাওয়ানো বা খেয়ে ফেলা, খাবারের পাত্র এবং ফিডার নোংরা বা ময়লা হলে, বাছুর কৃমিতে আক্রান্ত হলে, শাল দুধের গুণাগুণ ভাল না হলে, বাছুরের থাকার জায়গাটা নোংরা, স্যাঁতসেঁতে হলে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হলে।

বাছুরের এই তীব্র ডায়রিয়ায় খামারি যা করবে:
ডায়রিয়া দেখার সাথে সাথে আলাদা করে শুকনা পরিষ্কার জায়গায় রাখতে হবে বাছুরকে।খাবারের পাত্র এবং ফিডার বোতল পরিষ্কার করে খাওয়াতে হবে। বাছুরকে তার বড়ি ওয়েটের ১০% দুধ খাওয়াবেন অর্থাৎ ৪০ কেজি ওজনের বাচ্ছাকে দুধ খাওয়াবেন ৪ লিটার। শালদুধের গুণাগুণ পরিমাপ করে দেখতে হবে। ডায়রিয়া দেখার সাথে সাথেই স্যালাইন খাওয়াতে হবে দিনে ৩ বার ২৫০ মিলি করে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৭, ২০২৪ ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন
ভোলার চরাঞ্চলের মানুষ মহিষ পালন করে জীবিকা নির্বাহ করছে
প্রাণিসম্পদ

দ্বীপ জেলা ভোলায় মহিষ পালন একটি ঐতিহ্যগত পেশা। এখানকার অর্ধশতাধিক চরের মানুষ বংশপরাম্পরায় মহিষ পালন করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। পরিবেশ ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জেলার প্রায় অর্ধশতাধিক বিছিন্ন দ্বীপ চরগুলোতো প্রায় দুইশ’ বছর ধরে মহিষ বাতান আকারে পালন করে আসছেন চাষীরা। প্রতিটি মহিষের বাতানে দু’শ থেকে হাজার পর্যন্ত মহিষ পালন হয়ে থাকে। যা ঘরোয়া পরিবেশে একেবারেই অসম্ভব।

কিন্তু বর্তমানে এ মহিষ পালন অধিক লাভজনক হওয়ায় স্থানীয়রা বসত বাড়ির গোয়ালঘরে পালন শুরু করেছেন। মহিষ পালনের ব্যাপকতায় এলাকার দরিদ্র কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন। একদিকে মহিষ বিক্রি অন্যদিকে মহিষের দুধ বিক্রিতে লাভবান হয়ে উপকূলের চাষীরা দেখছেন দিন বদলের স্বপ্ন। কালের বিবর্তনে দক্ষিণ উপকূলবাসী আধুনিক নিয়মে উন্নতজাতের মহিষ পালন করে নিজেরা যেমনি স্বাবলম্বী হচ্ছেন, তেমনি এখানকার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী তাদের অর্থনৈতিক ভিতকে আরো মজবুত করে গড়ে তুলছেন।

সংশ্লিষ্ট তথ্যসূত্রমতে, জেলা সদর ভোলা, দৌলতখান,বোরহানউদ্দিন, তজুমদ্দিন, লালমোহন,চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলায় প্রায় অর্ধশতাধিক বিচ্ছিন্ন চর রয়েছে। এসব চরে সরকারি হিসেবে ২ লক্ষ ৬০ হাজার মহিষের হিসেব থাকলেও প্রকৃতপক্ষে এ সংখ্যা প্রায় ৩ লক্ষাধিক। এখানে ৯৭ টি মহিষের বড় বাতান (খামার) সহ প্রায় ৭০৫ দুগ্ধ খামার রয়েছে। এসব খামার থেকে প্রতিদিন ৩৫ থেকে ৪০ হাজার লিটার দুধ আসে। এসব দুধ ও দুধের তৈরি দই দিয়ে জেলার ২১ লক্ষ মানুষের চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন জেলায় চাহিদা পূরণ করছে। নদীর মাঝখানে এসব চরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল এলাকা জুড়ে সবুজ ঘাসের সমারোহ। আর এসব চরে পালন করা হয় হাজার হাজার মহিষ। সবুজ ঘাস খেয়ে পালিত হয় এসব মহিষ। যুগ যুগ ধরে বংশপরাম্পরায় বহু পরিবার এখানে মহিষ ও দই বিক্রির পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন।

অনেকে আবার নিজস্ব মহিষের মাধ্যমে দুধ উৎপাদন করে দই তৈরি করেন। দই ব্যবসাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন চরে গড়ে উঠেছে শত শত মহিষের বিশাল বাতান। প্রতিদিন সূর্য উঠার সঙ্গে সঙ্গেএসব বাতান থেকে শত শত লিটার দুধ আসতে শুরু করে শহর ও বাজারগুলোতে। গ্রামাঞ্চলে হাটের দিনে মহিষা দই এর টালির পসরা সাজিয়ে বসেন অনেক বিক্রেতারা। বিভিন্ন দোকানে বিক্রি হয় মহিষের দুধের দই। নির্ভরযোগ্য তথ্যমতে,প্রায় ১২২০ সালে বঙ্গোপসাগর মোহনায় জেগে উঠে দ্বীপ জেলা ভোলা। এরপর এখানে গত ৪শ’ বছর ধরে ক্রমশই জনবসতি গড়ে ওঠে। ধীরে ধীরে মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হলে তারা মহিষ,গরু, ছাগল,ভেড়াসহ নানা জাতের গবাদিপশু পালন শুরু করেন। ভোলা দ্বীপ জনপদ হওয়াতে এখানকার ছোট বড় অসংখ্য চরে মহিষ পালনে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়। বিশেষ করে অবস্থা সম্পন্ন গৃহস্থ পরিবারগুলোর শত শত মহিষ পালন করতে তেমন বেগ পেতে হয়না।

স্থানীয় জানান,প্রায় ২শ’বছর ধরে এ জেলায় মহিষের দুধ থেকে কাঁচা দই উৎপাদন শুরু করে। যা ব্রিটিশ আমল থেকে শুরু হয়ে বর্তমান সময়েও জনপ্রিয়। এখানে বিয়ের অনুষ্ঠানসহ এমন কোন সামাজিক অনুষ্ঠান খুঁজে পাওয়া যাবে না যেখানে দই দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়নি।

মহিষ পালনকারী ভোলার চরের মিন্টু খাঁ বলেন, মাত্র ৫০ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে ২০০১ সালে চারটি মহিষ নিয়ে যাত্রা শুরু করি। এখন আমার ৪১টি মহিষ। বর্তমানে তার দুই একর জমি হয়েছে। যার বাজার মূল্য ২০ লাখ টাকা। এ মহিষের দুধ বেঁচে তিনি তার সংসারের খরচ মেটান। ভোলায় এখন মহিষ পালনে চরাঞ্চলের সবাই ঝুঁকছে। এতোদিন শুধু বাতানে পালন হলেও এখন তা বাড়িতে বাড়িতে ঘরোয়া পরিবেশেও পালন হচ্ছে। মহিষ পালনে দিন বদলের এ গল্প জেলার অনেক কৃষকের। ভোলার চর বৈরাগিয়ার মহিষের বাতান মালিক জাকির হাওলাদার বলেন, তার ৯৫টি মহিষ রয়েছে। এটা আমার দাদা পালন করেছে। তারপর চাচা,এখন আমি করছি। তবে আগে মহিষ একটু সামান্য রোগেই মরে যেত। তাই অনেকে বেশি পালন করতে চাইতো না। কিন্তু এখন কৃমি নাশক ওষুধও বিভিন্ন রোগের ভ্যাকসিন দেয়ার কারণে মহিষ মারা যাওয়ার ঝুঁকি কমেছে। অন্যদিকে মাংস ও দুধের দাম বাড়ার কারণে লাভের পরিমানও বেড়েছে। তাই অনেকের মতো আমারও বেশি মহিষ পালনের আগ্রহ বেড়েছে। আমি এ মহিষ পালন করে প্রায় ৫ একর জমি কিনেছি।

মহিষের বাতানের অপর মালিক মো. ইউনুছ মিয়া বলেন, দৌলতখান উপজেলার মদনপুর চরে তাদের বাতানে প্রায় আড়াই শত মহিষ রয়েছে। যা তারা চার পুরুষ ধরে লালন করে আসছেন। দৈনিক এখান থেকে ১৩০ থেকে ১৫০ কেজি দুধ হয়। জেলায় অনেকেই ঐতিহ্য ধারণ করে মহিষ পালন করে আসছেন। যা তাদের আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।

স্থানীয় দধি বিক্রেতারা বলেন, সাধারণত দেড় থেকে দুই কেজি ওজনের দই (টালির) চাহিদা বেশি। বর্তমানে দেড় কেজি ওজনের দধি ২৫০ ও দুই কেজি ৩শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ দই থেকে মাখন, ঘি ও ঘোল বানানো হয়। মাখনের কেজি ৯শ’ ও ঘিয়ের কেজি ১৬ শত ১৮ শত টাকায় বিক্রি হয়। এর ভালো দাম পাওয়ায় তাদের লাভও ভালো হয়। তবে দুধের দাম বৃদ্ধি পেলে দইর দামও বেড়ে যায় বলে জানান তিনি।

এ বিষয় ভোলা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম খান বাসস’কে বলেন, ভোলায় সরকারী হিসেবে জেলায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার মহিষ রয়েছে।

এতে প্রতিদিন গড়ে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার লিটার দুধ আসে। এগুলো জলা মহিষ নামে পরিচিত। মাংস ও দুধ উৎপাদনের জন্য তারা এসব মহিষ পালন করে থাকে। তিনি বলেন,আমাদের মুদ্রাজাতের মহিষ উৎপাদনের জন্য বাগেরহাট ও টাংগাইলে দু’টি মহিষ প্রজনন খামার রয়েছে। সেখান থেকে ভোলাতে আমরা ১৫০টির মত চেলা মহিষ বিতরণ করেছি । এ চেলা মহিষ দিয়ে বাতানের মহিষগুলোকে কোড়াছ করে উন্নত জাতের মুদ্রাজাতের মহিষ উৎপাদনের জন্য কাজ করছি, যাতে প্রতিটি মহিষ প্রথম থেকেই ১০ থেকে ১৫ কেজি দুধ উৎপাদন করতে পারে। তিনি আরো বলেন, আমরা ভোলা জেলায় ১শ’ একর জমির উপর ডি এল আরই ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রাণালয়ের যৌথ উদ্যোগে উন্নত মুদ্রাজাতের মহিষ উৎপাদনের খামার করার কাজ করে যাচ্ছি, আশা করি ভোলার মহিষের বাতান মালিকরা খুব শীঘ্রই এর সুফল পাবেন। সব মিলিয়ে দ্বীপাঞ্চল ভোলার জনপদে আধুনিক প্রযুক্তিতে মহিষ পালন ও এর ব্যাপক প্রজনন সক্ষমতা

দক্ষিণাঞ্চলবাসীকে ঘুরে দাঁড়ানোর আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

 

(বাসস)

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪ ২:৫৩ অপরাহ্ন
বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস- ২০২৪ উদযাপন, আয়োজনে ওয়ান হেলথ্ ইন্সটিটিউট, সিভাসু
প্রাণিসম্পদ

“Breaking Rabies Boundaries” বা “জলাতঙ্ক নির্মূলে প্রয়োজন সকল প্রতিবন্ধকতা নিরসন” প্রতিপাদ্যে ২৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস-২০২৪। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) অধিনস্থ ওয়ান হেলথ্ ইন্সটিটিউট দিবসটি উদযাপনের জন্যে নানা ধরনের কর্মসূচীর আয়োজন করে। ওয়ান হেলথ্ ইন্সটিটিউট বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগ যেমন, প্রশাসনিক বিভাগ, এস. এ. কাদেরী টিচিং ভেটেরিনারি হসপিটাল এবং বিভিন্ন সংস্থা যেমন, সিভাসু ডিবেইট সোসাইটি, ওয়ান হেলথ্ ইয়ং ভয়েস, বাংলাদেশ এবং ইন্টারন্যাশনাল ভেটেরিনারি স্টুডেন্টস্ এসোসিয়েশান, বাধঁন এর সাথে সম্মিলিতভাবে এই কর্মসূচীর আয়োজন করে।

দিবসের প্রথমার্ধের কর্মসূচীতে ছিলো র‍্যালি, জলাতঙ্ক বিষয়ক আলোচনা সভা, বিনামূল্যে পোষাপ্রাণীর জন্যে টিকাপ্রদান ক্যাম্পেইন, শিক্ষার্থীদের পোস্টার প্রেজেন্টেশান প্রতিযোগিতা। আয়োজনের শেষভাগে “Pathway of One Health Solution for Rabies and it’s Challenges”—শিরোনামে একটি বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এছাড়াও, জলাতঙ্ক নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অনলাইন ভিত্তিক প্রচারণারও উদ্যোগ নেয়া হয়। দিবসটির প্রতিপাদ্যের উপর ভিত্তি করে অনলাইনভিত্তিক প্রচারণার জন্যে বেশকিছু পোস্টার, ছোট ছোট প্রচারপত্র, এবং একটি সচেতনতামূলক ভিডিও তৈরি করা হয়।

ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোঃ লুত্ফর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসিআই এনিম্যাল হেলথ লিমিটেড-এর হেড অব বিজনেস ডা. মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন। জলাতঙ্ক নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন সিভাসু’র মাইক্রোবায়োলজি ও ভেটেরিনারি পাবলিক হেলথ বিভাগের প্রফেসর ড. আবদুল আহাদ এবং এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন-এর পাবলিক হেলথের সহযোগী অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিন আহসানুল কবির চৌধুরী।

আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিভাসু’র ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. এ. কে. এম. সাইফুদ্দিন বলেন, জলাতঙ্কের টিকার দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখা গেলে টিকা গ্রহণের হার বাড়বে। এতে করে জলাতঙ্কের ঝুঁকি কমবে। জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও টিকার সহজলভ্যতা জলাতঙ্ক নির্মূলে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

দিবসের দ্বিতীয়ার্ধের বিতর্ক অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন মেডিসিন ও সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক মোঃ মিজানুর রহমান এবং ফিজিওলোজি, বায়োকেমিস্ট্রি এবং ফার্মাকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ রিদুয়ান পাশা।

বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট ও বিজয়ী শিক্ষার্থীদের পুরষ্কার প্রদানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত করা হয়। সমাপনী পর্বে অধ্যাপক মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, ভবিষ্যতে এই ধরনের বিতর্ক আয়োজন শিক্ষার্থীদের জ্ঞান বিকাশে এবং দক্ষতা বাড়াতে খুব উপযোগী হবে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ওয়ান হেলথ্ ইনস্টিটিউট, সিভাসু- তে পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান মেডিসিন ও সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক মোঃ আহসানুল হক।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১১, ২০২৪ ১০:০০ পূর্বাহ্ন
ভোলায় তিনমাস মেয়াদী গবাদি পশুপালন ও কৃষি প্রশিক্ষণ
প্রাণিসম্পদ

ভোলা জেলা সদরে  তিনমাস মেয়াদী গবাদি পশু, হাঁস মুরগি পালন, প্রাথমিক চিকিৎসা মৎস্য চাষ ও কৃষি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্স শুরু হয়েছে। বুধবার (১০ জুলাই ২০২৪) বেলা ১১টায় সদরের বাংলাবাজার এলাকায় জেলা যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে’র হলরুমে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মানিকহার রহমান।

যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর আব্দুল্লাহ আল আমিনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র প্রশিক্ষক সঞ্জীব দেবনাথ, প্রশিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর (পশু পালন), কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অফিসার আব্দুর রাজ্জাক, প্রদর্শক (মৎস্য) রফিকুল ইসলাম।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, তিনমাস মেয়াদী প্রশিক্ষণ কোর্সের ১০০ তম ব্যাচের মোট ৬০ জন যুবক-যুবতী অংশগ্রহণ করেন। কর্মদিবসে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রশিক্ষণ চলবে। প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য বিনামূল্যে থাকা- খাওয়ার সুব্যবস্থা রয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে তাদের মধ্যে সনদ বিতরণ করা হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৩, ২০২৪ ৩:৪৯ অপরাহ্ন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত সচিব কে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বিপিআইসিসি নেতৃবৃন্দ
প্রাণিসম্পদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত সচিব জনাব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর কে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান “বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাষ্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল” (বিপিআইসিসি) -এর নেতৃবৃন্দ।

দেশীয় পোল্ট্রি শিল্পের বর্তমান অবস্থা, উৎপাদন ও উৎপাদন খরচ এবং বিদ্যমান চ্যালেঞ্জসমূহ সম্পর্কে সচিব মহোদয়কে অবহিত করেন তাঁরা। একই সাথে পোল্ট্রি শিল্পের বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চান বিপিআইসিসি নেতৃবৃন্দ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিপিআইসিসি ও ফিড ইন্ডাষ্ট্রিজ এসোসিয়েশন (এফআইএবি) এর সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ; বিপিআইসিসি’র যুগ্ন-আহŸায়ক ও ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স এসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখার (ওয়াপসা-বিবি) সভাপতি মসিউর রহমান, ব্রিডার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (বিএবি) এর সভাপতি মাহবুবুর রহমান; এফআইএবি’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আহসানুজ্জামান; এফআইএবি’র সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম; বিএবি’র সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ হাবিব এবং বিপিআইসিসি’র যোগাযোগ ও মিডিয়া উপদেষ্টা মোঃ সাজ্জাদ হোসেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৩, ২০২৪ ৮:৪২ অপরাহ্ন
কোরবানির পশু সুস্থ ও স্টেরয়েড মুক্ত কিনা বুঝবেন যে ৭ উপায়ে…
প্রাণিসম্পদ

ডাঃ খালিদ হোসাইনঃ যিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখ মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ-উল-আযহা পালিত হয় । সে অনুযায়ী আর মাত্র ৩ দিন পর আগামী ১৭ জুন পালিত হতে যাচ্ছে  পবিত্র ঈদ-উল-আযহা। ঈদের অন্যতম আনুষ্ঠানিকতা হলো আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পছন্দের পশুকে কোরবানি করা। তাই কোরবানির হাটে যাওয়ার আগে অবশ্যই সুস্থ সবল পশু চিহ্নিত করার উপায়সমূহ জেনে নেওয়া উচিত।

কোরবানির গরু সুস্থ ও রোগমুক্ত কিনা তা চেনার উপায়:

১) কিছু অসাধু ব্যবসায়ী স্টেরয়েড দিয়ে গরু মোটাতাজা করে থাকেন, এসব গরু স্বাস্থ্যবান দেখাবে কিন্তু এরা তেমন চটপটে হবে না। খুব বেশি নড়াচড়া করতে দেখা যাবে না। গরুর শরীরে আঙ্গুল দিয়ে হালকা চাপ দিলে ঢেবে যাবে। কিন্তু সুস্থ গরুর শরীরে আঙ্গুলের চাপ দিয়ে আঙ্গুল সরিয়ে নিলে তাৎক্ষণিকভাবে পূর্বের অবস্থায় ফেরত আসবে।

২) সুস্থ পশুর চোখ উজ্জ্বল, চকচকে ও তুলনামূলক বড় আকৃতির হবে। অবসরে জাবর কাটবে (পান চিবানোর মতো), কান নাড়াবে, লেজ দিয়ে মাছি তাড়াবে। বিরক্ত করলে প্রতিক্রিয়া দেখাবে, সহজেই রেগে যাবে, আশাপাশের পরিবেশে কোন পরিবর্তন দেখলে সে প্রতিক্রিয়া দেখায়।

৩) সুস্থ গরুর নাকের সামনের কালো অংশ (Muzzle) ভেজা থাকবে, অসুস্থ গরুর ক্ষেত্রে শুকনো থাকবে। অসুস্থ গরুর শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকে।

৪) সুস্থ গরুর গোবর স্বাভাবিক থাকে, পাতলা পায়খানা হবে না ।

৫) সুস্থ ও স্বাভাবিক গরুর সামনে খাবার ধরলে জিহ্বা দিয়ে টেনে নিতে চাইবে। অন্যদিকে অসুস্থ পশু দেখে তেমন প্রতিক্রিয়া দেখায় না ।

৬) অসুস্থ গরু ঝিমায়, নিরব থাকে, আশেপাশের কোলাহলে খুব একটা সাড়া দেয় না ।

৭) সুস্থ গরুর লেজ ধরে টেনে পেছনে আনলে সে আবার নিজের আগের পজিশনে চলে যাবে, অসুস্থ গরু আগের জায়গায় যাবে না।

 

আল্লাহপাক আমাদের সবার কুরবানি কবুল করুন৷ আমীন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২, ২০২৪ ৯:৫২ পূর্বাহ্ন
স্মার্ট উন্নত দেশ গড়তে হলে ডিম দুধ মাংসের প্রাপ্যতা বাড়াতে হবে
প্রাণিসম্পদ

ডক্টরস’ ডায়ালগ অন রাইট টু প্রোটিন

বুদ্ধিমান ও স্বাস্থ্যবান জাতি গড়তে হলে প্রোটিনের প্রাপ্যতা বাড়াতেই হবে। উন্নত দেশের মানুষ যেখানে বছরে গড়ে প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০টি ডিম খায় সেখানে সরকারি হিসাবে আমাদের দেশে এ সংখ্যা ১৩৬টি। শুধুমাত্র হাঁস ও মুরগির ডিমের হিসাব করলে প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক কম। মুরগির মাংসের প্রাপ্যতা উন্নত দেশের তিন ভাগের এক ভাগ। দুধের মাথাপিছু দৈনিক প্রাপ্যতা ২৫০ মি.লি. এর বিপরীতে মাত্র ২২২ মি.লি.। তাই ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য পূরণ করতে হলে ডিম, দুধ, মাংসের মাথাপিছু প্রাপ্যতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। ৩০ মে ২০২৪ রাজধানীতে অনুষ্ঠিত “ডক্টরস’ ডায়ালগ অন রাইট টু প্রোটিন” শীর্ষক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সাইন্সেস (বিএউএইচএস), বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাষ্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) এবং ইউ.এস. সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিল (ইউএসএসইসি) যৌথভাবে সেমিনারটি আয়োজন করে।

বিএউএইচএস এর উপাচার্য্য প্রফেসর ডা. ফরিদুল আলম বলেন- আপাত বিচারে মাথাপিছু আয় কম হওয়াকে প্রোটিন বা পুষ্টি ঘাটতির কারণ হিসেবে দায়ী করা হলেও সচেতনতার অভাবকেও এ দায় থেকে মুক্ত করা যায় না। তিনি বলেন- বেসরকারি এমনকি সরকারি টিভি চ্যানেলগুলোতেও ডিম কিংবা দুধের বিজ্ঞাপন চোখে পড়েনা অথচ প্রতিবেশি দেশে প্রচারিত দারুণ চিত্তাকর্ষক বিজ্ঞাপনগুলো সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করছে। ডা. ফরিদুল আলম বলেন- প্রচারেই প্রসার। তাই জনসচেতনতা বাড়াতে তথ্য মন্ত্রণালয়কে আরও এগিয়ে আসতে হবে।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হেলথ সাইন্সেস জেনারেল হাসপাতালের মহাপরিচালক, প্রফেসর ডা. মোঃ ফজলুর রহমান বলেন, তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে মানুষকে কোনো বিষয় সম্পর্কে অবহিত করা আগের চেয়ে অনেক বেশি সহজ হয়েছে তবে আচরণে পরিবর্তন আনা অনেক কঠিন একটি কাজ। আশার কথা হলো অধিকাংশ মানুষ এখনও ডাক্তার, পুষ্টিবিদ কিংবা হেলথ প্রফেশনালদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করেন। তাই প্রোটিন ও পুষ্টি বিষয়ক জনসচেতনতা বাড়াতে ডাক্তার ও হেলথ প্রফেসশনালদের এগিয়ে আসতে হবে।

ইউএস সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিলের বাংলাদেশ টীম লীড খাবিবুর রহমান কাঞ্চন বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছে। পুষ্টি সূচকে উন্নতি করতে পারলে দক্ষিণ এশিয়ার চিত্র পাল্টে যাবে। তিনি বলেন, ভবিষ্যত প্রজন্মের প্রোটিন চাহিদা পূরণ করতে হলে আমাদেরকে স্বল্প জায়গায় এবং পরিবেশের ক্ষতি না করে অধিক পরিমান মাছ, মাংস, ডিম উৎপাদনের কথা ভাবতে হবে। কাঞ্চন বলেন, সয়াবিন এমন একটি শষ্য যা একদিকে যেমন উদ্ভিজ্জ্য প্রোটিনের চাহিদা মেটাচ্ছে অন্যদিকে তেমনি প্রাণিজ প্রোটিন উৎপাদনেও বড় ভূমিকা রাখছে।

ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স এসোসিয়েশন- বাংলাদেশ শাখা’র সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব প্রামাণিক বলেন, পশ্চিম ইউরোপের দেশ মোনাকোর মানুষের গড় আয়ু সবচেয়ে বেশি। চীনের একজন মানুষ ৭৫ বছর বয়সেও অনেক বেশি কাজ করতে পারেন। নেদারল্যান্ডসের মানুষেরা এখনকার মত এতটা লম্বা ছিল না। অলিম্পিকের মেডেল তালিকায় আমেরিকা এবং ইউরোপই শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে বহুকাল কারণ তাঁরা পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ করেন। তিনি বলেন, এক শলাকা সিগারেটের দাম ১৫-১৮ টাকা অথচ পৃথিবীর প্রথম শ্রেণীর প্রোটিন- একটি ডিমের দাম ১৩ টাকা হলেই তুলকালাম কান্ড বেধে যায়। এ মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে।

ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. খালেদা ইসলাম বলেন- জাতি গঠনের প্রেক্ষাপটে প্রতিটি নাগরিকের জন্য পর্যাপ্ত প্রোটিন নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। প্রোটিনের ঘাটতি একটি শক্তিশালী জাতিকেও দূর্বল জাতিতে পরিণত করতে পারে। অপুষ্টিতে আক্রান্ত ও দূর্বল শিশুর জন্মহার, খর্বাকৃতি ও কম ওজনের শিশুর সংখ্যা বাড়তে থাকলে পরিণামে বৃহত্তর সমাজ ও জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

বারডেম হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ শামসুন নাহার নাহিদ মহুয়া বলেন, ডিম সম্পর্কে অনেক ভুল ধারণা প্রচলিত আছে যেমন- ডিম খেলে হার্টের সমস্যা হয়, প্রেসার হয়, শরীর মোটা হয়ে যায়, অপারেশনের রোগীকে ডিম দেয়া যাবেনা, বয়স্কদের ডিম-মাংস দেয়া যাবেনা; ব্রয়লার মুরগির মাংস খাওয়া ঠিক নয় ইত্যাদি। অথচ ডিম ও দুধ হচ্ছে সুপার ফুড। অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগির মাংস হচ্ছে পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় ও স্বাস্থ্যকর মাংস।

বিইউএইচএস -এর পাবলিক হেলথ ফ্যাকাল্টির ডীন, প্রফেসর ডা. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হলে নেতিবাচক প্রচারণা বাদ দিয়ে ইতিবাচক প্রচারণাকে গুরুত্ব দিতে হবে। স্বাস্থ্য বিষয়ক কার্যকর বার্তাগুলো যদি ছড়িয়ে দেয়া যায় তাহলে মানুষ উপকৃত হবে, জনস্বাস্থ্যের উন্নতি হবে, জাতি আরও মেধাবি হবে এবং সার্বিক বিচারে সরকার ও রাষ্ট্র উপকৃত হবে।

সেমিনারে প্রায় ২৫০ জন ডাক্তার, পুষ্টিবিদ, হেলথ প্রফেশনাল ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৬, ২০২৪ ৯:৫৩ পূর্বাহ্ন
কিশোরগঞ্জের এক কোল্ড স্টোরেজে ২৮ লক্ষ ডিম মজুদ; ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান
প্রাণিসম্পদ

ডিমের অবৈধ মজুদের মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি প্রতিহতের লক্ষ্যে অভিযান চালিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। রোববার (৫ মে) দুপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশনা অনুযায়ী কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার এগার সিন্দুর কোল্ড স্টোরেজ এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযান এ দেখা যায় কোল্ড স্টোরেজ এ বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীগণের প্রায় ২৮ লক্ষ পিস ডিম মজুত আছে যা প্রায় বিশ দিন হতে একমাস পূর্বেই কোল্ড স্টোরেজ এ মজুত করা হয়েছে। উক্ত কোল্ড স্টোরেজ এর ম্যানেজার জনাব মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন এর সাথে কথা বলে এবং রেজিস্টার বহি পর্যবেক্ষণ করে এর সত্যতা পাওয়া যায়।

বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীদের এমন ডিম মজুত কার্যক্রম সন্দেহজনক এবং বাজার অস্থির করার পাঁয়তারা বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অভিযান পরিচালনা করেন অধিদপ্তরের কিশোরগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব হৃদয় রঞ্জন বণিক।
পাকুন্দিয়া উপজেলা বিজ্ঞ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সার্বিক সহযোগিতায় অভিযানে সহযোগিতা করেন উপজেলার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর জনাব লুৎফুন্নাহার বেগম, কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশের একটি তদারকি টিম এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সম্মানিত সাংবাদিক বৃন্দ।

অভিযান এ ডিম মজুত রাখা ব্যক্তিদের দ্রুত একদিনের মধ্যেই ডিম খালাস করার জন্য বলা হয় অন্যথায় বাজার অস্থিতিশীল করার জন্য বিশেষ ক্ষমতা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে কঠোর সতর্ক করা হয়। জনস্বার্থে এ সকল কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

 

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop