৫:১৮ অপরাহ্ন

সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অগাস্ট ২৩, ২০২৩ ১২:৪১ অপরাহ্ন
দু‘জোড়া কবুতর দিয়ে এখন ২২০ জোড়া কবুতরের মালিক তিনি!
প্রাণিসম্পদ

মাঝেমধ্যে সব কটি খোপ খুলে দিলে আকাশে উড়াল দেয় ৪৪০টি কবুতর। মাথার ওপর চক্কর দেয়, ডিগবাজি খায়। এ দৃশ্য দেখে তাঁর প্রাণ ভরে যায় ইব্রাহীমের। এই কবুতরপ্রেমীর বাড়ি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের ভালকুটিয়া গ্রামে। তিনি শমসের ফকির ডিগ্রি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক।

প্রায় ২৬ বছর আগে কবুতর পালন শুরু করেন ইব্রাহীম। তখন ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। নানার কাছ থেকে টাকা নিয়ে হাট থেকে চার জোড়া কবুতর কিনেছিলেন। আস্তে আস্তে কবুতরের সংখ্যা বাড়ে। কিন্তু পরে শিয়াল ও গুইসাপের আক্রমণে তাঁর স্বপ্ন ভেঙে যায়। তবে ২০১৪ সালে নতুন করে নিজের বাড়ির পাশে খোলা জায়গায় ঢেউটিনের ছাউনি দিয়ে শুরু করেন খামার। মাত্র দুই জোড়া কবুতরে যাত্রা শুরু। এখন তাঁর আছে ২২০ জোড়া কবুতর।

ইব্রাহীম জানান, ‘ছোটবেলা থেকেই কবুতর পোষার স্বপ্ন ছিল। উড়ন্ত কবুতর দেখতে আমার খুব ভালো লাগত। তাই প্রাণিবিদ্যায় পড়াশোনা করেছি; যাতে সঠিকভাবে পশুপাখি লালন-পালন করতে পারি। পড়াশোনা শেষ করে এই খামার গড়ে তুলেছি। কোনো কারণে কবুতর মারা গেলে চোখে পানি এসে যায়। মনে হয় যেন আমার একজন সন্তান দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছে। আমি কখনো খামার থেকে ডিম বা কবুতর নিই না। ওরা ওদের মতো ভালো থাকুক, সুস্থ থাকুক এটাই আমার প্রত্যাশা।’

শুরুতে দুই হাজার টাকা বিনিয়োগ করলেও, এখন তাঁর খামারের মূলধনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে সাত থেকে আট লাখ টাকা। ইব্রাহীমের মতে, কেউ চাইলে বাণিজ্যিকভাবে কবুতরের খামার করে মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৩, ২০২৩ ৭:৫৭ অপরাহ্ন
সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদের টেকসই উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে – মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনে সরকার সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদের টেকসই উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

রবিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি)-১৪ (জলজ জীবন) এর বাস্তবায়ন অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ করণীয় শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এ কর্মশালা আয়োজন করে।

এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, এসডিজি-১৪ অর্জন তথা টেকসই উন্নয়নের জন্য সাগর, মহাসাগর ও সামুদ্রিক সম্পদের সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে লিড মন্ত্রণালয় হিসেবে কাজ করছে। সাগর-মহাসাগরে সুষ্ঠু পরিবেশ ও উৎপাদনশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং সমুদ্রে অবৈধ, অনিয়ন্ত্রিত ও অনুল্লিখিত মৎস্য আহরণ বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৭ হাজার ৩৬৭ বর্গ কিলোমিটার সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। সমুদ্রগ্রামী মৎস্য নৌযান মনিটরিংয়ের জন্য ৮ হাজার ৫০০ নৌযানে ট্র্যাকিং ডিভাইস স্থাপন করা হয়েছে। সমুদ্রে মৎস্যসম্পদের মজুদ নিরূপণে কাজ চলছে। সামুদ্রিক মৎস্য আইন ও সামুদ্রিক মৎস্য বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। মৎস্য অধিদপ্তর এই কার্যক্রমগুলো বাস্তবায়ন করছে। ফলে সুনীল অর্থনীতির বিকাশে ঢব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তা, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও সুপরিকল্পিত নীতির কারণে এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে সমন্বিতভাবে কাজ করা জরুরি। তাছাড়া এসডিজি অর্জনের জন্য দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা যেমন দরকার তেমনি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার উন্নয়নের বিকল্প নেই। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে সমন্বিত পদক্ষেপ নেয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আখতার হোসেন। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও এসডিজি বিষয়ক ফোকাল পয়েন্ট এ টি এম মোস্তফা কামাল। কর্মশালায় এসডিজি বিষয়ে উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এসডিজি) মো. মনিরুল ইসলাম। এসডিজি-১৪ এর লক্ষ্য ও অর্জন নিয়ে উপস্থাপন করেন মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক ড. মোহাম্মদ শরিফুল আজম।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নৃপেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শেখ মো. শরীফ উদ্দিন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক এবং পরিকল্পনা কমিশন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়, আইইউসিএন, বন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) ও মৎস্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৩, ২০২৩ ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন
ছাগলের কৃমি দমনে করণীয়
প্রাণিসম্পদ

ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালন বাংলাদেশের খামারীদের ভাগ্যবদলের অন্যতম পাথেয়। ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের মাংস যেমন সুস্বাদু, চামড়া তেমনি আন্তর্জাতিকভাবে উন্নতমানের বলে স্বীকৃত। তবে ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলেও নিতে হয় আলাদা যত্ন। বিশেষ করে কৃমি দমনে কার্যকরী পদক্ষেপ খামারীদের জন্য বেশ উপকারী।

ছাগলের বাচ্চার কৃমি দমনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ:

কৃমি দমন : কৃমি ছাগলের মারাত্মক সমস্যা। বয়স্ক ছাগল ও বাচ্চার কৃমি দমনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, শুধু পর্যাপ্ত খাদ্য সরবরাহ ও উন্নত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই আশানুরূপ উৎপাদন পাওয়া যায় না।

কৃমির জন্য উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। কাজেই কাছের প্রাণিসম্পদ হাসপাতাল থেকে ছাগলের মল পরীক্ষা করে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ছাগলকে নিয়মিত কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়াতে হবে।

১-৪ মাস পর্যন্ত বাচ্চা দের কৃমি মুক্ত করার পদ্ধতি:

বাচ্চা ছাগল, ভেড়া, গাড়ল:- বিভিন্ন খামারী এরং ছাগল পালন কারীর সাথে আলোচনা করে এবং নিজে অভিজ্ঞতা থেকে একটি সাধারণ বিষয় লক্ষ্যণীয় হল ছাগলের ক্ষেত্রে বাচ্চা জন্মানোর প্রথম ১ মাস বাচ্চা গুলোর দৈহিক বৃদ্ধি ভাল থাকে এবং দেখতে খুব সুন্দর থাকে কৃমি মুক্ত না করা বাচ্চাগুলো দ্বিতীয় মাস থেকেই আস্তে আস্তে দৈহিক বৃদ্ধি এবং সৈন্দর্য কমতে থাকে, দিন দিন শুকিয়ে যায় আর পেটের সাইজ বড় হতে থাকে,খুবই ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হয়, আবার পায়খানার সাথে সাদা সাদা ফিতা কৃমি,হুক কৃমি,চাবুক কৃমি বের হতে থাকে ।

বাচ্চাগুলো খুবই দূর্বল হয়ে ধীরে ধীরে হাড় চামড়ার সাথে ভেসে উঠে কিছু বাচ্চা মারা যায় আবার কিছু বাচ্চা বছর পার হলেও শরির স্বাস্হ্য খারাপ হতেই থাকে । আমারা খামারে সাধারণতঃএই সমস্যার সন্মুখিন হচ্ছি বা হতে পারি। সেজন্য নিচের নিয়মে ছাগল,গাড়লের বাচ্চাদের কৃমি মুক্ত করতে পারলে খামার কে লাভবান করা সম্ভব।

বাচ্চাকে ১ মাস বয়স হলে নিওট্যাক্স,বা এক্সট্রাস মানুষের সিরাপ জেনেরিক নেইম লিভামিসোল প্রতি কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ১ এমএল হিসেবে খাওয়াতে হবে । (বিঃদ্রঃ কৃমির প্রভাব দেখা দিলে ১৫দিন বয়স থেকেও দেওয়া যেতে পারে।) দুই মাস বয়স পূর্ন হলে এলটিভেট জেনেরিক নেইম লিভামিসোল + ট্রাইক্লাবেন্ডাজল ৪০ কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ১ টি ট্যাবলেট হিসেবে খাওয়াতে হবে ।

তিন মাস বয়স হলে এমেকটিন প্লাস জেনেরিক নেইম আইভারমেকটিন + ক্লোরসুলন ২৫ কেজি হিসেবে ১ এমএল চামড়ার নীচে ইঞ্জেকশন দিতে হবে। চার মাস বয়স হলে প্যারাক্লিয়র ফেনবেন্ডাজল গ্রুপের ট্যাবলেট ১০-২০ কেজির জন্য ১ টি । তার ৭-৮ মাস পূর্ণ হলে বড় ছাগলের রুটিনে কৃমি মুক্ত করতে হবে ।

বাচ্চা গাড়ল, ভেড়া, ছাগলের ক্ষেত্রে যেহেতু ১-২ মাসের অধিক সময় পর্যন্ত মায়ের দুধ পান করে তাই কৃমির ঔষধ খাওয়ানোর পর লিভারটনিক না খাওয়াতে পারলে তেমন কোন সমস্যা হবে না আর ৩-৪ মাসে কৃমির ঔষধের দেওয়ার পর লিভারটনিক খাওয়াতে হবে ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১২, ২০২৩ ১০:৩১ অপরাহ্ন
BCVS এর আয়োজনে ঢাকায় MCVS Graduation Ceremony অনুষ্ঠিত
প্রাণিসম্পদ

Bangladesh College of Veterinary Surgeons (BCVS) এর আয়োজনে এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক সংস্থা-FAO এবং USAID এর সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হলো Member of the College of Veterinary Surgeons (MCVS) এর দ্বিতীয় ব্যাচের আনুষ্ঠানিক “MCVS Graduation Ceremony”। ১২ আগষ্ট, ২০২৩ শনিবার রাজধানী ঢাকার গুলশানে “হোটেল আমারি ঢাকা”-তে সকাল ১০:৩০ টায় অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। বিসিভিএস এর সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ আখতার হোসেন এর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোঃ এমদাদুল হক তালুকদার। এফএও এর টেকনিক্যাল এডভাইজর অধ্যাপক ড. মোঃ মাহমুদুল হাসান শিকদারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিসিভিএস এক্সাম এডমিন অধ্যাপক ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের শুরুতেই বিসিভিএস এক্সাম এর খুটিনাটি নিয়ে বিস্তারিত উপস্থাপন করেন ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম।

প্রধান অতিথি মেম্বার অব দ্য কলেজ অব ভেটেরিনারি সার্জনস বা এমসিভিএস ডিগ্রি অর্জনকারী ৬ জনকে সার্টিফিকেট তুলে দেন। উল্লেখ্য, এবার দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করা হয় এমসিভিএস পরীক্ষার। আন্তর্জাতিক টেস্টিং সার্ভিস প্রতিষ্ঠান প্রোমেট্রিকের মাধ্যমে ১০০ নম্বরের একটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। যাতে পাস নম্বর নির্ধারণ করা হয় ৬৫%। সফলভাবে উত্তীর্ণরা হলেন: ডাঃ মোঃ তাজিনুর রহমান, ড. দিব্যেন্দু বিশ্বাস, ডাঃ মোঃ শাহজাহান আলী সরকার, ডাঃ মোঃ ফজলুল হক, ডাঃ ফয়সাল তালুকদার এবং ডাঃ আবু আল ফারাবী প্রভাত।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিসিভিএস এর এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সম্মানিত সদস্যবৃন্দ ও আমন্ত্রিত অতিথিরা। অনুষ্ঠানে FAO, ECTAD এর কান্ট্রি টিম লিডার ড. এরিক ব্রুম, ইউএসআইডি এর প্রতিনিধি ড. আবুল কালাম, বিসিভিএস এর এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক ড. নীতিশ চন্দ্র দেবনাথ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডাঃ রেয়াজুল হক, বিএসবিইআর এর সভাপতি অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমিন বারী, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি পেডাগগি ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ আরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের রেজিস্টার ডাঃ গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ডাঃ ফজলে রাব্বি মন্ডল, ডীন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোঃ জালাল উদ্দিন সরদার, দ্য ভেট এক্সিকিউটিভের সভাপতি ডা: বিশ্বজিৎ রায়, ওয়ার্ল্ড ভেটেরিনারি পোল্ট্রি এসোসিয়েশন বাংলাদেশ শাখার সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মোঃ নুরুল ইসলাম শাওন, আহকাবের এক্সিকিউটিভ মেম্বার ডাঃ মোঃ জসিম উদ্দিন বক্তব্য রাখেন।

অতিথিরা এ বছর এমসিভিএস ডিগ্রি অর্জনকারী ৬ জন এবং প্রথমবার উত্তীর্ণ ১০ জন সহ ১৬ জন গ্র্যাজুয়েটকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন এবং তাদেরকে অভিনন্দন জানান এবং নতুন এ যাত্রাকে বাংলাদেশের ভেটেরিনারি শিক্ষার জন্য একটি মাইলফলক বলে উল্লেখ করেন৷ বক্তারা বলেন, “ভেটেরিনারি শিক্ষায় এগিয়ে যেতে হলে এবং প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বাড়াতে হলে আমাদের স্পেশালাইজেশনের দিকে যেতে হবে যেটি বাংলাদেশ কলেজ অব ভেটেরিনারি সার্জনস বা বিসিভিএস এর হাত ধরে শুরু হলো। বিসিভিএস ডেইরি, পোল্ট্রি, পেট এনিম্যাল বিষয়ে বিশেষজ্ঞ তৈরির লক্ষ্যে হিউম্যান ডাক্তারদের এফসিপিএস ডিগ্রির মতো স্পেশালাইজইড ডিগ্রির ব্যবস্থা করবে ভবিষ্যতে”। বক্তারা এর প্রয়োজনীয় তুলে ধরে বেশি করে প্রচার ও প্রসার করার ব্যবস্থা গ্রহণে বিভিন্ন উদ্যোগের কথা ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে তৃতীয় পর্যায়ের এমসিভিএস পরীক্ষার রেজিষ্ট্রেশনের শুভ উদ্বোধন করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ মোঃ এমদাদুল হক তালুকদার। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের এই পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য তিনি উৎসাহ প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের ডীনবৃন্দ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের গ্রাজুয়েটদের এ পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য আহবান জানান। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভেটেরিনারি শিক্ষায় ডিগ্রিপ্রাপ্ত (ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন বা ডিভিএম এবং বি. এস. সি. ভেট. সাইন্স এন্ড এ. এইচ) এবং বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল থেকে রেজিষ্ট্রেশনপ্রাপ্ত যেকোনো ভেটেরিনারিয়ান এ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন শুরু হবে ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ এবং রেজিষ্ট্রেশনের শেষ তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩। রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করে পরীক্ষা দেওয়া যাবে ২ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর, ২০২৩ এর মধ্যে। বিস্তারিত জানা যাবে বিসিভিএস এর ওয়েবসাইট থেকে (https://bcvsbd.org)।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১২, ২০২৩ ৯:২১ অপরাহ্ন
বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদকপ্রাপ্ত ডা. মো. নাজমুল হক এর সাথে কিছুক্ষণ
প্রাণিসম্পদ

প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কর্মদক্ষতা, মননশীলতা ও উদ্ভাবনী প্রয়াসকে উৎসাহিত করতে ২০১৬ সাল থেকে জনপ্রশাসন পদক দেওয়া শুরু করে সরকার। গত বছর থেকে এই পদকের নাম বদলে বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক করা হয়। দেশের জনপ্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এই বছর ২৮ ব্যক্তি ও দুটি প্রতিষ্ঠানকে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক ২০২৩’ দেয়া হয়েছে। গত ৩১ জুলাই ‘জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস’ উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে মনোনীতদের হাতে পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । এবার ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’ শ্রেণিতে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নাজমুল হক বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক পান। এগ্রিভিউ২৪.কম এর সম্পাদকের সাথে কথা হচ্ছিল ডা. মো. নাজমুল হক এর, পদক প্রাপ্তির অনুভূতি ও আনুষঙ্গিক বিষয় নিয়ে এই সাক্ষাতকারটি পাঠকের জন্য তোলে ধরা হলোঃ

 

এগ্রিভিউ২৪.কম : সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আপনি জনপ্রশাসন পদক নিয়েছেন, আপনার অনুভূতি কেমন ছিল?

ডা. মো. নাজমুল হক : আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহর শুকরিয়া যে তাঁর রহমতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট থেকে জনপ্রশাসনের এই সর্বোচ্চ পদক “বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক” গ্রহণ করলাম। এই সম্মাননা ও স্বীকৃতি প্রদানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। এ অনুভূতি ব্যক্ত করার মতো ভাষা আমার জানা নাই। শুধু এতটুকু বলবো এ পাওয়া আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ পাওয়া।

এগ্রিভিউ২৪.কম : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অবদানের জন্য আপনি এই রাষ্ট্রীয় পদক পেয়েছেন, আসলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি তে কিভাবে অবদান রাখলেন?

ডা. মো. নাজমুল হক : আসলে আমার উদ্যোগটি ছিলো “মডেল লাইভস্টক সার্ভিস” যার ৪ টি মিশন ছিলোঃ ক) ভেটেরিনারি জরুরী বিভাগ স্থাপন করা, এর জন্য জরুরী সেবা ডেস্ক নির্মাণ করেছি; খ) ভেটেরিনারি হাসপাতালের সকল সেবা কাঠামো ও ইউনিট স্থাপন করে একটি পূর্ণ ভেটেরিনারি হাসপাতাল গড়ে তোলা, এর জন্য হাসপাতালে সীমানা প্রাচীর, গেইট, গ্যারেজ, বাইকস্ট্যান্ড এর পাশাপাশি ৭ টি সেবা ইউনিট নির্মাণ করেছি, যেমন: অপারেশন থিয়েটার, আলট্রাসনোগ্রাম চেম্বার, এনিমেল কেয়ার শেড, পেট এন্ড বার্ডস কেয়ার সেন্টার, স্যাম্পল কালেকশন চেম্বার, পোল্ট্রি ভ্যাক্সিনেশন চেম্বার, জরুরী বিভাগ। এর বাহিরে আরো কয়েকটি শাখা নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে; গ) ডিজিটাল প্রযুক্তি ও মিডিয়া ব্যবহার করে প্রাণিসম্পদ সেবা, প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়া। এর জন্য নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল “লাইভস্টক ভিশন” প্রতিষ্ঠা করা, অনলাইন ভেটেরিনারি মেডিকেল সার্ভিস, অনলাইন পশুরহাট, অনলাইন খামার/হ্যাচারি/ফিডমিল নিবন্ধন ইত্যাদি সেবা চালু করা। ডিজিটাল আলট্রাসাউন্ড মেশিন ব্যবহার করে এনিমেল প্রেগন্যান্সি টেস্ট, মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক এর ব্যবহার ইত্যাদি এবং ঘ) প্রাণিসম্পদ জনসুশাসনমূলক কার্যাবলী অফিস ও মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা। এর অধিনে সেবা সহজীকরণে সেবার তালিকাসহ সেবা শাখা বিভাজন, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল লালন, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন, ই-গভ: ও ইনোভেশনমূলক উদ্যোগ গ্রহণ, তথ্য অধিকার ও অভিযোগ প্রতিকারে ব্যবস্থাগ্রহণ, নিরাপদ প্রাণিজ আমিষ নিশ্চিতকরণ, প্রাণিজাত পন্যের মান পরীক্ষা, প্রাণিসম্পদ আইন অনুশাসন বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ যেমন: প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে বুদ্ধিবৃত্তিক প্রোগ্রাম, কর্মকর্তা কর্মচারীদের বাৎসরিক কর্মমূল্যায়ন, তাদের অফিসিয়াল স্মার্ট আইডি কার্ড প্রদান ইত্যাদি নানান কার্যক্রম বাস্তবায়ন। এই ৪ টি মিশন নিয়ে যদিও আমার উদ্যোগটি ছিলো সাধারণ প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা ক্যাটেগরিতে। কিন্তু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় যাচাই বাছাই করে ওভারঅল এটিকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন দেয়।

 

এগ্রিভিউ২৪.কম : আমরা যতদূর জানি আপনি ২৪ ঘন্টাই সার্ভিস দিচ্ছেন, ২৪ ঘন্টা কিভাবে সার্ভিস দিচ্ছেন? দেশের ভেটেরিনারি হাসপাতাল গুলোয়ে কি আসলে ২৪ ঘন্টা সার্ভিস দেবার মত জনবল কিংবা সুযোগ সুবিধা আছে? জনবল কি সরকার থেকে দেওয়া নাকি নিজেই নিয়েছেন?

ডা. মো. নাজমুল হক : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন-২০৪১ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে স্মার্ট লাইভস্টক লাগবে। আর এর জন্য লাইভস্টক সেক্টর ও ভেটেরিনারি সেবাকে জরুরী পরিসেবার আওতাভুক্ত করা অত্যন্ত জরুরী। কেননা প্রাণীদের স্বাস্থ্য ও জীবনের নিরাপত্তার জন্য ২৪ ঘণ্টা সার্ভিসের বিকল্প নেই। তাদের জন্য যে কোন সময় জরুরী চিকিৎসা, অপারেশন, ভ্যাক্সিনেশন ইত্যাদির প্রয়োজন হয়। আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রাণীদের প্রতি মমত্ববোধ ও ভালোবাসা থেকে বিনামূল্যে এ সেবা কার্যক্রম চালু করেছি। এবং এটি সরকারের সর্বোচ্চ মহলের নজরে এনেছি যে, ভেটেরিনারি সেবাকে জরুরী সেবার আওতাভুক্ত করে সারা বাংলাদেশে এটিকে যেন বাস্তবায়ন করা হয়। তবে বর্তমানে আমাদের অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টা জরুরী সেবা নিশ্চিত করা খুবই কঠিন একটি কাজ এবং আমাদের জনবলের প্রচুর সঙ্কট রয়েছে। তথাপি আমি এটি বাস্তবায়ন করার জন্য হাসপাতাল ক্যাম্পাসে জরুরী বিভাগ ডেস্ক স্থাপন করেছি এবং ডক্টর স্টাফদের ডিউটি ভাগ করে দিয়েছি। এছাড়া একটি ৫ সদস্যের ইমারজেন্সি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম গঠন করে তাদের কন্ট্যাক্ট নংসহ তালিকা জরুরী বিভাগে টানিয়ে দিয়েছি। যাতে যে কোন সেবাগ্রহীতা ছুটির সময় কিংবা রাতের বেলা যদি সেবা নিতে আসে, এবং তারা যদি ডেস্কে কোন কারণে কাউকে না পান, তাহলে এই মেডিকেল টিমের সাথে যোগাযোগ করলে দ্রুততম সময়ে এ টিমের সদস্যবৃন্দ জরুরী সেবা নিশ্চিত করবে। আর এই জরুরী সেবাকে সাসটেইনেবল ও দেশব্যাপী সম্প্রসারণ করার জন্য বিজ্ঞ সরকারকে আমি ২ টি প্রস্তাবনা দিয়েছি। (১) বিদ্যমান অর্গানোগ্রাম সংশোধন করে ২৪ ঘণ্টা অফিস কাঠামো তৈরী করা এবং জনবলের চাহিদা পূরণ করা। (২) সেটি এই মুহুর্তে সম্ভব না হলে আপাতত “মডেল লাইভস্টক সার্ভিস” নামক একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া। যে প্রকল্পের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ডক্টর স্টাফ নেওয়া হবে জরুরী সেবা নিশ্চিত করতে এবং ভেটেরিনারি হাসপাতালের সকল সেবা কাঠামো এই প্রকল্পের মাধ্যমে নির্মাণ করা হবে।

 

এগ্রিভিউ২৪.কম : জরুরি বিভাগ আপনি চালু করেছেন, কি কি সুযোগ সুবিধা এখানে রয়েছে??

ডা. মো. নাজমুল হক : আমি বাংলাদেশে ১ম লাইভস্টক সেক্টরে উপজেলা পর্যায়ে জরুরী বিভাগ চালু করেছি। এই বিভাগের মাধ্যমে যে কোন সময় জরুরী চিকিৎসা, অপারেশন, ডেলিভারি, ভ্যাক্সিনেশন এবং কৃত্রিম প্রজনন সেবা দেওয়া হচ্ছে। এভাবে আমরা বিগত ১ বছরের অধিক সময় জরুরী সেবা রেজিস্টার এর তথ্য অনুযায়ী পঞ্চাশ হাজারের উপর প্রাণীকে ছুটির দিনে জরুরী সেবা প্রদান করেছি।

 

এগ্রিভিউ২৪.কম : সম্প্রতি ক্যাডার সার্ভিসে ১০ বছরে পা দিয়েছেন, এই বছরগুলো কেমন কেটেছে? আগামী ১০ বছরে প্রাণিসম্পদ কে কোথায় নিয়ে যেতে চান??

ডা. মো. নাজমুল হক : হ্যাঁ, ক্যাডার সার্ভিসে আমি ৯ বছর পূর্ণ করে ১০ম বছরে পা দিয়েছি। এই ৯ বছর ভেটেরিনারি সার্জন, সায়েন্টিফিক অফিসার এবং উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার হিসেবে কাজ করেছি। খুবই আমেজিং ও উপভোগ্য ছিল এ জার্নি। পেয়েছি সকল ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের স্নেহ সান্নিধ্য ও ভালোবাসা। জুনিয়রদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা ও সম্মান। খামারি, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও মিডিয়া প্রতিনিধিদের অকুন্ঠ ভালবাসা। পেশার প্রতি নিবেদন থেকে ইতোপূর্বে সায়েন্টিফিক অফিসার পদে কর্মরত অবস্থায় ল্যাবকে দিয়েছি “ভেটেরিনারি ল্যাব এইড” নামক স্বতন্ত্র ম্যানুয়াল। আর সর্বশেষ ইউএলও পদে থেকে ড্রিম ইনিশিয়েটিভ ছিলো “মডেল লাইভস্টক সার্ভিস”। এটি আমার স্বপ্ন ধ্যান জ্ঞান। সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন ও স্বীকৃতি দিয়েছে মহামান্য সরকার ” বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক” প্রদানের মাধ্যমে। আগামী ১০ বছর এই মডেল নিয়ে কাজ করতে চাই এবং প্রাণিসম্পদ সেক্টরকে আধুনিক, স্মার্ট, স্টান্ডার্ড, কোয়ালিটি সম্পন্ন করতে চাই। গড়ে তুলতে চাই সারা বাংলাদেশে পূর্ণ ভেটেরিনারি হাসপাতাল।। দু’আ, সহযোগিতা ও সমর্থন চাই সকলের কাছে।।

 

এগ্রিভিউ২৪.কম : ধন্যবাদ, আপনার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি ।

ডা. মো. নাজমুল হক : আপনাকেও ধন্যবাদ, জয় বাংলা ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১২, ২০২৩ ১০:১৪ পূর্বাহ্ন
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে গরুর দুধ উৎপাদন করবেন যেভাবে
প্রাণিসম্পদ

গবাদিপশু দিয়ে লাভবান হওয়ার আশায় অনেকে খামার গড়ে তুলেছেন। গবাদিপশু তথা গরু পালনে লাভবান হওয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে দুধ উৎপাদন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে গরুর দুধ উৎপাদনে যা জানা জরুরী তা আমাদের অনেকেরই জানা নেই।

স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে গরুর দুধ উৎপাদন করবেন যেভাবে:

  • যথাসম্ভব কম লোক দিয়ে খামারের সকল গরুর দুধ দোহন করতে হবে।
  • খামারের প্রবেশদ্বারে জীবানু নাশক সহ ফুটবাথ রাখতে হবে।
  • দুধ দোহনের পরে গাভীকে খাবার দিতে হবে, ফলে ওলান ফুলা রোগ বা ম্যাসটাইটিস হবার সম্ভবনা থাকবে না।
  • ম্যাসটাইটিস প্রতিরোধে নিয়মিত সিএমটি পরীক্ষা করা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
  • চিকিৎসা ও কৃত্রিম প্রজনন গুরুত্ব দেয়ার সাথে সাথে খামার ব্যবস্থাপনায় অধিক গুরুত্ব দিতে হবে।
  • বছরে ২-৩ বার সঠিক পরিমানে কৃমি নাশক ওষুধ খাওয়াতে হবে।
  • রোগ প্রতিরোধে নিয়মিত সঠিক মাত্রায় টিকা প্রদান করতে হবে।
শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১০, ২০২৩ ৫:১৬ অপরাহ্ন
বারবারি ছাগলের এ টু জেড…
প্রাণিসম্পদ

পৃথিবীতে প্রায় ৩০০ জাতের ছাগল রয়েছে৷ কুচি, বারবারি, যমুনাপ্যারি, ব্ল্যাক বেঙ্গল, বিটল এমনই বিভিন্ন জাতের ছাগলের চাহিদা সর্বদাই তুঙ্গে থাকে ৷ অল্প পরিশ্রম আর স্বল্প পুঁজিতে (Low Investment) বারবারি জাতের ছাগল পালন খুবই লাভজনক হওয়ায় অনেকেই এখন বারবারির (Barbari Goat) প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করছেন৷ এটি মাঝারি আকারের ছাগল৷ এর মাংস অতি সুস্বাদু হওয়ায় এর চাহিদাও প্রচুর৷ এরা তাড়াতাড়ি বেড়ে ওঠে৷ এদের কানের আকার ছোট এবং এরা ২৩-৪০ কিলো ওজনের হতে পারে৷ এদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও অন্যান্যদের থেকে বেশি৷ এই ছাগলের আদি বসবাস আফ্রিকা মহাদেশের সোমালিয়া বলে জানা যায়।

বারবারি জাতের ছাগল মাংস ব্যবসায়ের জন্য বিশেষভাবে লালন করা হয়। আসলে, এই জাতটি দ্রুত বৃদ্ধি পায় তাই এটি দ্রুত বিক্রি করা যায়। এর সাথে এটি ভাল পরিমাণে দুধও দেয়। গ্রাম, শহর সকল জায়গাতেই সহজেই এর পালন করা যায়। এটি প্রতিদিন এক থেকে দেড় লিটার দুধ দেয়।

মাংসের জন্য দরকারী –

এই জাতের ছাগল উষ্ণ আবহাওয়াও সহ্য করতে পারে এবং দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এটি সাত-আট মাসে ৩০ কেজি হয়ে যায়। এক বছর পরে এই প্রজাতির ছাগল ওজনে ১০০ কেজি হয়ে যায়। মাংসের জন্য এর চাহিদা প্রচুর। এই জাতের ছাগল বছরে দুই থেকে তিনটি বাচ্চার জন্ম দেয়। এই জাতের বিশেষত্ব হ’ল যদি চারণ খাওয়ানোরকোনও জায়গা না থাকে, তবে আপনি কেবল শস্য খাওয়ানোর মাধ্যমেও এর পালন করতে এটি পারবেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৯, ২০২৩ ৭:১৩ অপরাহ্ন
দেশে শিগগিরই গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজের টিকা উৎপাদন শুরু হবে – মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

দেশে শিগগিরই গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি)-এর টিকা উৎপাদন শুরু হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বুধবার (৯ আগস্ট) বিকেলে সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই)-এর পরিচালনা বোর্ডের ৪৬তম সভায় মন্ত্রী একথা জানান। বিএলআরআই পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে সভায় সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রী।

এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, লাম্পি স্কিন ডিজিজ নিয়ন্ত্রণে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। দেশের যেখানেই গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ দেখা যাবে সেখানে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, বিএলআরআই বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানকে আমরা যত গতিশীল করতে পারব, যত আমাদের গবেষণা বাড়বে, তত প্রাণিসম্পদ খাতকে আমাদের সমৃদ্ধ করতে পারবো। এ প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজের ভ্যাকসিন সিড উদ্ভাবন করেছে। এটি দেশের প্রাণিসম্পদ খাতের অত্যন্ত বড় অর্জন। এর মাঠ পর্যায়ের পরীক্ষা-নিরিক্ষা শেষ পর্যায়ে রয়েছে। শিগগিরই এ ভ্যাকসিন সিড প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হবে।প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান এই সিডের মাধ্যমে লাম্পি স্কিন ডিজিজের বহুসংখ্যক টিকা উৎপাদনে সক্ষম হবে। এ টিকা প্রয়োগের মাধ্যমে সহজেই লাম্পি স্কিন ডিজিজ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

মন্ত্রী আরও জানান, এক সময় আমাদের লক্ষ্য ছিল শুধু প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধি করা। এখন আমাদের লক্ষ্য প্রাণিসম্পদের গুণগত মান বৃদ্ধি এবং এর বহুমুখী ব্যবহার ও প্রক্রিয়াকরণ। এক্ষেত্রে বিএলআরআই এর বিজ্ঞানীরা নিরলসভাবে কাজ করছে।

তিনি বলেন, মাছ, মাংস, ডিম উৎপাদনে আমরা শুধু সক্ষমতা অর্জনই নয় বরং উদ্বৃত্ত অবস্থানে রয়েছি। পৃথিবীর অনেক দেশে আমাদের মাংসের চাহিদা রয়েছে। তারা আমাদের গবাদিপশুর রোগমুক্ত অঞ্চল থেকে মাংস আমদানি করতে চায়। রোগ মুক্ত অঞ্চল সৃষ্টি করতে হলে আমাদের গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম গতিশীল করতে হবে। গবাদিপশুর রোগ নির্মূল করতে না পারলে আমরা প্রত্যাশিত মাত্রায় মাংস রপ্তানি করতে পারবো না। এজন্য গবাদিপশুর রোগ প্রতিরোধ করার ওপর সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে। এক্ষেত্রে বিএলআরআই ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

বিএলআরআই পরিচালনা বোর্ডের সদস্য ও ময়মনসিংহ-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. মোসলেম উদ্দিন, পরিচালনা বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, পরিচালনা বোর্ডের সদস্য ও বিএলআরআই-এর প্রাক্তন মহাপরিচালক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম খান, পরিচালনা বোর্ডের সদস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদার,পরিচালনা বোর্ডের সদস্য সচিব ও বিএলআরআই-এর মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, পরিচালনা বোর্ডের সদস্য ও প্যারাগন গ্রুপ লিমিটেডের পরিচালক ইয়াসমিন রহমান, পরিচালনা বোর্ডের সদস্য ও বিএলআরআই-এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শাকিলা ফারুক, পরিচালনা বোর্ডের সদস্য ও বিএলআরআই-এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান বোর্ড সভায় উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৫, ২০২৩ ১:৩৩ অপরাহ্ন
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে গরুর দুধ উৎপাদন করবেন যেভাবে
প্রাণিসম্পদ

গবাদিপশু দিয়ে লাভবান হওয়ার আশায় অনেকে খামার গড়ে তুলেছেন। গবাদিপশু তথা গরু পালনে লাভবান হওয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে দুধ উৎপাদন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে গরুর দুধ উৎপাদনে যা জানা জরুরী তা আমাদের অনেকেরই জানা নেই।

স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে গরুর দুধ উৎপাদন করবেন যেভাবে:
যথাসম্ভব কম লোক দিয়ে খামারের সকল গরুর দুধ দোহন করতে হবে। খামারের প্রবেশদ্বারে জীবানু নাশক সহ ফুটবাথ রাখতে হবে।
দুধ দোহনের পরে গাভীকে খাবার দিতে হবে, ফলে ওলান ফুলা রোগ বা ম্যাসটাইটিস হবার সম্ভবনা থাকবে না।

ম্যাসটাইটিস প্রতিরোধে নিয়মিত সিএমটি পরীক্ষা করা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। চিকিৎসা ও কৃত্রিম প্রজনন গুরুত্ব দেয়ার সাথে সাথে খামার ব্যবস্থাপনায় অধিক গুরুত্ব দিতে হবে।

বছরে ২-৩ বার সঠিক পরিমানে কৃমি নাশক ওষুধ খাওয়াতে হবে। রোগ প্রতিরোধে নিয়মিত সঠিক মাত্রায় টিকা প্রদান করতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৫, ২০২৩ ১:৩১ অপরাহ্ন
বাছুরের ডায়রিয়া দেখা দিলে যা করবেন
প্রাণিসম্পদ

আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চল থেকে শুরু করে এখন শহরেও দেখা মিলে অনেক গরুর খামার। আর গরু পালন করতে গিয়ে খামারিরা নানাবিধ সমস্যায় পড়ছেন। অনেক সময় বাছুরের ডায়রিয়া রোগ দেখা দিয়ে থাকে। আর তখন একজন খামারিকে কি করতে হবে সেটা জানা উচিত।

বাছুরের ডায়রিয়া সমস্যায় খামারিদের করণীয়ঃ

বাছুরের তীব্র ডায়রিয়ার কারণ:
বাছুরকে অতিরিক্ত ফ্যাটযুক্ত দুধ খাওয়ানো, অতিরিক্ত দুধ খাওয়ানো বা খেয়ে ফেলা, খাবারের পাত্র এবং ফিডার নোংরা বা ময়লা হলে, বাছুর কৃমিতে আক্রান্ত হলে, শাল দুধের গুণাগুণ ভাল না হলে, বাছুরের থাকার জায়গাটা নোংরা, স্যাঁতসেঁতে হলে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হলে।

বাছুরের এই তীব্র ডায়রিয়ায় খামারি যা করবে:
ডায়রিয়া দেখার সাথে সাথে আলাদা করে শুকনা পরিষ্কার জায়গায় রাখতে হবে বাছুরকে।খাবারের পাত্র এবং ফিডার বোতল পরিষ্কার করে খাওয়াতে হবে। বাছুরকে তার বড়ি ওয়েটের ১০% দুধ খাওয়াবেন অর্থাৎ ৪০ কেজি ওজনের বাচ্ছাকে দুধ খাওয়াবেন ৪ লিটার। শালদুধের গুণাগুণ পরিমাপ করে দেখতে হবে। ডায়রিয়া দেখার সাথে সাথেই স্যালাইন খাওয়াতে হবে দিনে ৩ বার ২৫০ মিলি করে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop