৩:০৫ অপরাহ্ন

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : নভেম্বর ৯, ২০২৪ ১০:০৮ অপরাহ্ন
এসডিজি অ্যাওয়ার্ড’র পর পিএমআই সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট অ্যাওয়ার্ড পেল মিশন গ্রিন বাংলাদেশ
প্রাণ ও প্রকৃতি

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি ক্ষেত্রে সেরা সামাজিক প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে পিএমআই সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট অফ দ্যা ইয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’ পেল পরিবেশবাদী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘মিশন গ্রিন বাংলাদেশ’।

শনিবার (৯ নভেম্বর ২০২৪) রাজধানীর রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান পিএমআই বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের আয়োজনে অনুষ্ঠিত জমকালো অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। মিশন গ্রিন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক আহসান রনি এবং প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ আবুল বাশার মিরাজ এ পুরস্কারটি গ্রহণ করেন।
জানা গেছে, প্রায় ৫৫ বছর পূর্বে (১৯৬৯ সালে) যাত্রা শুরুর পর থেকেই সারা পৃথিবীর সেরা সেরা প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছে পিএমআই। বর্তমানে পৃথিবীর ১৮০টি দেশে ৩০৪টি চ্যাপ্টার নিয়ে কাজ করছে পিএমআই। বাংলাদেশ চ্যাপ্টার থেকে আয়োজিত সিম্পোজিয়াম ও অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন ইউনিলিভার বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জাভেদ আখতার, পিএমআই সাউথ এশিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর অমিত গোয়েল, এভারেস্টজয়ী বাবর আলী, পূবালী ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ আলী, লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হুমায়রা আজম, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়্যারমান মমিনুল ইসলাম, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর কবিতা বোসসহ পিএমআই-এর আন্তর্জাতিক ও বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের মেম্বাররাসহ দেশের সরকারি ও বেসরকারি নানা প্রজেক্ট সমূহের প্রতিনিধিগণ।

পুরস্কার গ্রহণের পর আহসান রনি বলেন, ‘বাংলাদেশের পরিবেশের চরম বিপর্যয়ের থেকে রক্ষার প্রত্যয় নিয়ে আমাদের এই যাত্রা। এজন্য আমরা শুরু থেকেই পরিবেশ বিষয়ে সল্যুশন বেজড কাজ করার চেষ্টা করেছি। সারা দেশে একদিনে ৫৩ জায়গায় গাছ লাগানোও সেই চেষ্টার প্রাথমিক ধাপ। ক্রমে ক্রমে আমরা সারাদেশে ২ শতাধিক বৃক্ষরোপণ ও পরিবেশ সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। একটি ইয়্যুথ অর্গানাইজেশন হয়ে এরকম বিশাল আয়োজন করতে পারা আমাদের জন্যও বড় গর্বের। দেশের পরিবেশের কল্যাণ কাজ করে দেশী-বিদেশী বড় বড় প্রতিষ্ঠান ও প্রজেক্টকে পেছনে ফেলে এরকম আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ড পাওয়া আমাদের জন্য অনেক বেশি সম্মানের। এই অর্জন প্রমাণ করে তরুণরা চাইলে নিজেদের উদ্যম দিয়ে সারা পৃথিবীর সেরা সেরা স্বীকৃতি জয় করতে পারে। মিশন গ্রিন বাংলাদেশ-এর পক্ষ থেকে সামনে আরও বড় বড় আয়োজনের মাধ্যমে দেশের পরিবেশের কল্যাণই আমাদের মূল লক্ষ্য।’
কৃষিবিদ আবুল বাশার মিরাজ বলেন, ‘আমাদের বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম শুধুমাত্র পরিবেশ সংরক্ষণে সীমাবদ্ধ নয়। এটি একটি বৃহত্তর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে—ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সবুজ ও বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি। পরিবেশ দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মতো বড় চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে হলে আমাদের এই ধরনের কার্যক্রমের কোনো বিকল্প নেই। এই পুরস্কার শুধু আমাদের কাজের স্বীকৃতি নয়, বরং এটি আমাদের ভবিষ্যতের সবুজ স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তরের জন্য আরও উদ্যম এবং অনুপ্রেরণা যোগাবে।’

উল্লেখ্য, সম্প্রতি টেকসই উন্নয়ন ও পরিবেশ সুরক্ষার অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘মিশন গ্রিন বাংলাদেশ’ অর্জন করেছে আকিজ বশির গ্রুপের সৌজন্যে বাংলাদেশ ইনোভেশন কনক্লেভ, বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম ও সাসটেইনেবল ব্র্যান্ড ইনিশিয়েটিভ আয়োজিত ‘এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’। বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমের মাধ্যমে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস, বায়ুদূষণ প্রতিরোধ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য এই অ্যাওয়ার্ড পায় মিশন গ্রিন বাংলাদেশ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৪ ১১:২৭ অপরাহ্ন
‘এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’ পেল মিশন গ্রিন বাংলাদেশ
প্রাণ ও প্রকৃতি

দীন মোহাম্মদ দীনুঃ টেকসই উন্নয়ন এবং পরিবেশ সুরক্ষার অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে ‘মিশন গ্রিন বাংলাদেশ’ অর্জন করেছে আকিজ বশির গ্রুপের সৌজন্যে বাংলাদেশ ইনোভেশন কনক্লেভ, বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম ও সাসটেইনেবল ব্র্যান্ড ইনিশিয়েটিভ আয়োজিত ‘এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’। সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪) রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।

সংগঠনটি বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমের মাধ্যমে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস, বায়ু দূষণ প্রতিরোধ, এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার কারণেই এই অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। প্রধান অতিথি পুরস্কারপ্রাপ্তদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আজকের এই পুরস্কারগুলো শুধুমাত্র অর্জনের উদাহরণ নয়; এগুলো হলো কীভাবে সহযোগিতা, নেতৃত্ব এবং প্রতিশ্রুতি বাস্তব জীবনের প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে, তার উদাহরণ। আমরা যখন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের পথে এগিয়ে যাচ্ছি, তখন আমাদের বেসরকারি ও সরকারি খাত, এনজিও এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে এই অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। একসাথে আমরা ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পারব এবং এমন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব, যা নিয়ে আমরা সকলেই গর্বিত হতে পারি।”

জানা গেছে, পরিবেশবাদী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মিশন গ্রিন বাংলাদেশ দেশে পরিবেশগত সচেতনতা বাড়ানো এবং বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। সংগঠনটি স্বাধীনতার ৫৩ বছর উপলক্ষ্যে বিশ্ব পরিবেশ দিবসে একযোগে দেশের ৫৩ টি স্থানে বৃক্ষরোপণ ও সচেতননতা কার্যক্রম পরিচালনা করায় তাদেরকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়৷ এই কার্যক্রম ছাড়াও সংগঠনটি ৬৪ জেলায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী, সারাদেশে অনলাইন গ্রিন ভলিন্টিয়ার নেটওয়ার্ক তৈরি, ফ্রি ট্রি ইনিশিয়েটিভের মাধ্যমে ১০ সহস্রাধিক বিনামূল্যে চারা বিতরণ, বৃক্ষরোপণে সচেতনতা বাড়াতে দেশের বিভিন্ন স্থানে পুতুল নাট্যের আয়োজন, সবুজের জন্য মানববন্ধন, সবুজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রজেক্ট , গ্রিন ভলেন্টিয়ার স্কলারশীপ প্রোগ্রাম, ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে বৃক্ষরোপণ, বন্যায় ইমার্জেন্সী রেসপন্স ও দীর্ঘমেয়াদী কমিউনিটি রিবিল্ডিং ফান্ড, কমিউনিটি সোলার এনার্জি প্রোজেক্ট, প্লাস্টিক রিসাইকেল প্ল্যান্ট ও প্ল্যাস্টিকের বিকল্প তৈরী প্রকল্প, প্রকৃতির পাঠশালা ক্যাম্পসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন সবুজ আন্দোলন পরিচালনা করে যাচ্ছে।

পুরস্কার গ্রহণের পর অনুভূতি জানতে চাইলে, মিশন গ্রিন বাংলাদেশের আহ্বায়ক আহসান রনি বলেন, “এই পুরস্কার আমাদের জন্য এক বিশাল অনুপ্রেরণা। আমরা যখন এই উদ্যোগ শুরু করি, তখন আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল দেশকে একটি সবুজ ও বাসযোগ্য পরিবেশ উপহার দেওয়া। আজকের এই স্বীকৃতি প্রমাণ করে যে আমরা সঠিক পথে আছি। আমরা আরও বৃহত্তর পরিসরে কাজ করার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। মিশন গ্রিন বাংলাদেশের প্রতিটি সদস্য এবং স্বেচ্ছাসেবকের কঠোর পরিশ্রমের ফলেই আজ আমরা এই পর্যায়ে পৌঁছেছি। এই অর্জনটি নতুন বাংলাদেশ তৈরীর জন্য যারা জীবন দিয়েছেন সেই শহীদদের প্রতি উৎসর্গ করছি এবং দেশকে সবুজ করে তোলার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা দিয়ে কাজ করে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করছি।”

 

মিশন গ্রিন বাংলাদেশের প্রজেক্ট ডিরেক্টর কৃষিবিদ আবুল বাশার মিরাজ বলেন, “প্রতিটি গাছ আমাদের ভবিষ্যতের দিকে এক ধাপ এগিয়ে নেয়। আমরা বিশ্বাস করি, পরিবেশকে রক্ষা করা মানেই আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি সুস্থ ও নিরাপদ পৃথিবী তৈরি করা। মিশন গ্রিন বাংলাদেশের সাফল্য শুধুমাত্র আমাদের একার নয়, পুরো জাতির অর্জন। এই পুরস্কার আমাদের আরও উৎসাহ দেবে আরও অনেক বেশি গাছ লাগানোর এবং পরিবেশ সুরক্ষায় নতুন নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করার। সারা বাংলাদেশে আমাদের সকল পার্টনার ও সহস্রাধিক ভলান্টিয়াররাও এই অ্যাওয়ার্ডের সমান ভাগীদার।”

এদিকে, বাংলাদেশ ব্যান্ড ফোরাম আয়োজিত এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে দেশের শীর্ষস্থানীয় টেকসই ব্র্যান্ড এবং উদ্যোগগুলোর উপস্থিতি ছিল। অনুষ্ঠানে বক্তারা পরিবেশ সংরক্ষণ ও টেকসই উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে মিশন গ্রিন বাংলাদেশসহ অন্যান্য উদ্যোগের সফলতা নিয়ে আলোচনা করেন। এই সম্মাননা দেশের টেকসই উদ্যোগগুলোকে সম্মানিত করে ভবিষ্যতে আরও পরিবেশবান্ধব ও সাসটেইনেবল ব্র্যান্ড গড়ে তোলার প্রতি উৎসাহ যোগাবে বলে মনে করেন আয়োজকরা।

উল্লেখ্য, আকিজ বশির গ্রুপের সৌজন্যে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সংস্করণের এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ডে ৩৯টি টেকসই ব্র্যান্ড উদ্যোগকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে ১৬টি উদ্যোগকে বিজয়ী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এবং ২৩টি উদ্যোগ সম্মানসূচক উল্লেখ পেয়েছে। বাংলাদেশ ইনোভেশন কনক্লেভের উদ্যোগে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে, যার লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের বেসরকারি সংস্থা ও ব্র্যান্ডগুলোকে সম্মাননা দেওয়া, যারা জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে অসামান্য অবদান রেখেছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৩১, ২০২৪ ৬:২৭ অপরাহ্ন
গাজীপুরে মিশন গ্রিন বাংলাদেশের বৃক্ষরোপণ,পাপেট শো ও মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত
প্রাণ ও প্রকৃতি

দীন মোহাম্মদ দীনুঃ প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা, জলবায়ুর সমতা বজায় রাখা, জমির ক্ষয়রোধ, বনজসম্পদে সমৃদ্ধ হওয়া সবকিছুর জন্য চাই বৃক্ষ। আর এসব কারণে সারাদেশের মানুষেকে বৃক্ষরোপণে উৎসাহী করতে ‘বৃক্ষরোপণ উৎসব’ শুরু করেছে মিশন গ্রিন বাংলাদেশ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। শুক্রবার (৩১ মে ২০২৪) গাজীপুর থেকে তারা এ উৎসবের শুরু করেন। বর্ষা মৌসুমে (জুন-জুলাই মাস) সারাদেশের ৬৪ জেলাতেই তারা এমন উৎসব করবেন বলে জানিয়েছেন।

জানা গেছে, দেশের মানুষদের মাঝে বৃক্ষরোপণের সচেতননতা বাড়াতে এবং বর্ষা মৌসুমে সঠিকভাবে যাতে বৃক্ষরোপণ ও পরিচর্যা করে এমন বিষয়গুলো জানাতেই এমন উৎসবের আয়োজন করেছে সংগঠনটি। গাজীপুরে দিনব্যাপী আয়োজনে তারা জেলার ৫ টি স্থানে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী, বৃক্ষরোপণে সচেতনতামূলক পুতুল নাট্য পরিবেশনা, মানববন্ধন, গাছ লাগানো প্রতিজ্ঞাসহ স্বাক্ষর অভিযান, বৃক্ষ নিয়ে পদযাত্রাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। আয়োজনের সহযোগিতায় ছিল হেলদি লিভিং, আশা (Asha-hoffnung für Bangladesh e.V.), সৈয়দ শাকিল ট্রাস্ট, হেল্প দ্যা ফিউচার, কান্ডারি, স্বপ্নডানা, ট্রাভেল উইথ ডিয়ানা, ব্র্যান্ড অ্যান্ড ভিজ্যুয়াল, স্থানীয় সহযোগী হিসাবে ছিল স্পেশাল রেসপন্স টিম- এসআরটি। কমিউনিটি সহযোগি হিসাবে ছিল জেসিআই ঢাকা মেট্রো, আরডিআরসি।

দিনব্যাপী বৃক্ষরোপণের এই উৎসবে উপস্থিত ছিলেন মিশন গ্রিন বাংলাদেশের আহবায়ক আহসান রনি, পরিচালক কৃষিবিদ আবুল বাশার মিরাজ, হেলথি লিভিং বিডির সিইও প্রতিষ্ঠাতা মৌসুমী আক্তার বাঁধন, স্পেশাল রেসপন্স টিমের প্রতিষ্ঠাতা ফানতাহিল আলীম তামীম, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দফতরের উপপরিচালক দীন মোহাম্মদ দীনুসহ শতাধিক শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবী।

এমন আয়োজন সম্পর্কে জানতে চাইলে মিশন গ্রিন বাংলাদেশের আহবায়ক আহসান রনি বলেন, ‘আমরা একটি সবুজ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি। দেশের তরুণরা যেন বাংলাদেশকে সবুজ করে তোলার জন্য একত্রে কাজ করতে পারে সেই উদ্দেশেই মিশন গ্রিন বাংলাদেশের সার্বিক কার্যক্রম ও এগিয়ে চলা। সারাদেশের তরুণদেরকে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, আমাদের সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য এবং সবুজ বাংলাদেশ গড়ার আমাদের মিশনকে নিজেদের ও ভবিষ্যতের বাংলাদেশের কল্যাণে সফল করে তুলতে।’

মিশন গ্রিন বাংলাদেশের পরিচালক কৃষিবিদ আবুল বাশার মিরাজ বলেন, ‘দিন যতই যাচ্ছে বৃক্ষ ততই নিধন হচ্ছে। বৃক্ষ নিধনের তুলনায় সে পরিমাণে গাছ লাগানো হয়নি। ফলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হতে বসেছে। নগরজীবন বৃক্ষবিরল হয়ে আসায় মানুষের প্রাণের অস্তিত্ব আজ বিপন্ন। দেশের অর্থনীতি ও জনজীবনে স্বাচ্ছন্দ্য ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের প্রত্যেকের প্রতি বছর অন্তত দুটি করে বৃক্ষরোপণ করা দরকার।’

সহযোগী প্রতিষ্ঠান সৈয়দ শাকিল ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ শাকিল বলেন, ‘বৃক্ষরোপণের এই মহতী উদ্যোগে আমরা সহযোগী হতে পেরে আনন্দিত। দেখা গেছে, একটি বৃক্ষ যদি পঞ্চাশ বছর বাঁচে তবে তা থেকে পঞ্চাশ লাখ টাকার সমপরিমাণ অক্সিজেন পাওয়া যেতে পারে। প্রাকৃতিক পরিবেশের সাম্য রক্ষার জন্য দেশের মোট ভূখণ্ডের অন্তত শতকরা ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা দরকার। কিন্তু বাংলাদেশে এ পরিমাণ অনেক কম, এটি বাড়াতে হলে সবাইকেই এগিয়ে আসতে হবে।’

স্পেশাল রেসপন্স টিমের প্রতিষ্ঠাতা ফানতাহিল আলীম তামীম বলেন, ‘পরিবেশের দূষণ রোধ ও বৈশ্বিক উষ্ণতা কমাতে গাছ সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখে থাকে। অথচ নগরায়ণ, অপরিকল্পিত উন্নয়ন আর যন্ত্র-প্রযুক্তির মোহে অযাচিতভাবে বৃক্ষ নিধন করা হচ্ছে, উজাড় হচ্ছে বন। ফলে দেখা দিচ্ছে প্রাকৃতিক বিপর্যয়, বাড়ছে উষ্ণায়ন আর মানবসভ্যতা পড়ছে হুমকির মুখে। এ কারণে বৃক্ষরেপণের কোনই বিকল্প নেই।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২৭, ২০২৪ ১০:৪১ পূর্বাহ্ন
সবুজ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে তরুণদের ‘মিশন গ্রিন বাংলাদেশ’
প্রাণ ও প্রকৃতি

দীন মোহাম্মদ দীনুঃ বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে সবুজ বাংলাদেশ গড়ার শপথ নিয়েছে দেশের এক ঝাঁক তরুণ৷ মঙ্গলবার (২৬ মার্চ, ২০২৪) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে বাংলাদেশ সবুজ বাংলাদেশ গড়ার শপথ নেন তারা। এসময় তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি), চারুকলা বিভাগ, বেশ কিছু আবাসিক হল ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বৃক্ষরোপণ করেন।

জানা গেছে, সারাদেশের তরুণদের নিয়ে একটি সবুজ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ‘মিশন গ্রিন বাংলাদেশ’-নামের উদ্যোগ নিয়েছে দেশের মানুষের হেলথ ও ওয়েলনেস নিয়ে কাজ করে চলা প্রতিষ্ঠান হেলথি লিভিং বিডি। সহযোগী হিসাবে আছে পরিবেশ নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করে চলা সংগঠন ‘হেল্প দ্যা ফিউচার’ ও গাছ নিয়ে কাজ করে চলা প্রতিষ্ঠান ‘প্লান্ট ইজি’। বৃক্ষরোপণের প্রথম পর্বের এ মিশনটি চলবে আগামী ৩১ মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত।

আয়োজকরা জানায়, প্রথম পর্বে স্বাধীনতার ৫৩ বছর উপলক্ষে প্রতীকীভাবে দেশের ৫৩টি স্থানে চারাগাছ রোপণ করবেন তারা। তাদের উদ্দেশ্য শুধু চারাগাছ রোপণই নয়, বৃক্ষরোপণের বার্তাটি সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া যাতে করে সবাই বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধ হয়। আর ২০২৪ সালে সারাবছর জুড়েই চলবে তাদের সবুজ বাংলাদেশ গড়ার কার্যক্রম। এই মিশনের অংশ হিসেবে এক লক্ষেরও বেশি গাছ রোপণ করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এছাড়াও কার্যক্রমের আওতায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান, প্লাস্টিক দূষণ কমানো, ১কোটি মানুষের মাঝে জনসচেতনতা তৈরীসহ নানা উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন তারা।

অনন্য এ আয়োজনের বিষয়ে জানতে চাইলে হেলথি লিভিং বিডির প্রতিষ্ঠাতা আহসান রনি বলেন, ‘আমরা একটি সুস্থ ও সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখি, যেখানে প্রতিটি মানুষ সুস্থ জীবনযাপন করবে। সুস্থ জীবনযাপনের এক নম্বর শর্ত হচ্ছে সুস্থ পরিবেশ অর্থাৎ শুদ্ধ বাতাস, শুদ্ধ মাটি, পরিষ্কার পানি; সবকিছুর প্রধান সমাধান হচ্ছে একটি সবুজ বাংলাদেশ গড়ে তোলা, যেখানে চারিদিকে গাছের সমারোহ। এজন্যই হেলদি লিভিং বিডি ও সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে আমরা সারাদেশে লক্ষাধিক গাছ যেমন লাগাতে চাই, তেমনি কোটি মানুষকে সচেতন করতে চাই গাছ লাগানোর জন্য।’

কার্যক্রমের প্রজেক্ট ডিরেক্টার কৃষিবিদ আবুল বাশার মিরাজ বলেন, ‘সুস্থভাবে বাঁচতে হলে সবার আগে আমাদের সুস্থ পরিবেশ দরকার। যেভাবে দেশের প্রতিটি পতিত জায়গা, রাস্তা, কিংবা নদীর ধারে প্রতিটি জায়গায় আমরা বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে সবুজ বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমরা আশা করছি সবুজ বাংলাদেশ গড়ে তোলার এই উদ্যোগে প্রতিটি মানুষই আমাদের সাথে থাকবেন।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২৯, ২০২৩ ১২:৫৬ অপরাহ্ন
কপ-২৮কে সামনে রেখে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে অভিনব প্রতিবাদী আবেদনঃ “আমাদের কথা কেউ শুনে না?”
প্রাণ ও প্রকৃতি

প্রতিবছর পৃথিবীর অধিকাংশ রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধান, বৈশ্বিক সংস্থাগুলোর প্রধান, বিজ্ঞানী, জলবায়ুু-অধিকারকর্মী, সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ জলবায়ুু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ‘জলবায়ুু সনদে স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্রীয় পক্ষসমূহের সম্মেলন’ (Conference of Parties) বা ‘কপ’ সম্মেলনে মিলিত হন। কিন্তু সম্মেলনের সিদ্ধান্ত কতটুকু কার্যকর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, সে প্রশ্ন অমিমাংশিত থেকেই যাচ্ছে। বিভিন্ন দেশের ভিন্ন ভিন্ন স্বার্থের কারণে কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব হয় না। আবার, আইনি বাধ্যবাধকতা না থাকায় অধিকাংশ সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এ বছরও জাতিসংঘ জলবায়ুু পরিবর্তন কর্মকাঠামো সনদ (UNFCCC)-এর উদ্যোগে আগামি ৩০ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরে ‘কপ-২৮’ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর এ কারণেই জলবায়ুু-কর্মীগণ দাবি তোলেন, ‘বকবক করো না, কাজ করো’ কিংবা ‘ঐচ্ছিক সমঝোতা নয়, আইনগত চুক্তি চাই’, “আমাদের কথা কেউ শুনে না?”
২৮ নভেম্বর ২০২৩ইং চট্টগ্রামের হালিশহর নয়াবাজার চৌচালা বিচ সাগর পাড়ে অভিনব প্রতিবাদী মানববন্ধনে কয়লা ও গ্যাসসহ জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ নিষিদ্ধ করো এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ বিশ্ব নিশ্চিত করার দাবিতে বেসরকারী উন্নয়ন সংগঠন আইএসডিই বাংলাদেশ, ক্যাব যুব গ্রুপ, বিডাব্লুজিইডি (বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ ফর ইকোলোজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, ক্লীন (কোষ্টাল লাইভলিহুড এন্ড এনভার্মেন্টাল একশন নেটওয়ার্ক) যৌথ আয়োজনে এ দাবি বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেন।

প্রতিবাদ সমাবেশে আরও দাবি করা হয়; ২০৩০ সালের মধ্যে শিল্পোন্নত দেশগুলোর কার্বন নির্গমন ২০০৫ সালের তুলনায় কমপক্ষে ৩০ শতাংশ কমাতে হবে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে শূন্য নির্গমন নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে ‘নেট জিরো’ নয়, প্রকৃত’ ‘শূন্য নির্গমন’ চাই, উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশ নির্বিশেষে ২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্র ও শিল্পখাতে কয়লার ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। এক্ষেত্রে কার্বন ধারণ ও সংরক্ষণ (Carbon Capture and Storage) বা সিসিএস প্রযুক্তি ব্যবহারের দোহাই দেয়া যাবে না, জীবাশ্ম গ্যাস (এলএনজিসহ) ও পেট্রোলিয়ামে অর্থায়ন ও প্রযুক্তি সরবরাহ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। রূপান্তরকালীন জ্বালানির নামে এলএনজি’র সম্প্রসারণ বন্ধ করতে হবে, স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর বিপদাপন্ন জনসাধারণের জলবায়ুু অভিযোজনের জন্য সরাসরি অর্থায়ন ও প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে হবে, এলএনডি তহবিলে ঋণ কিংবা বেসরকারি বিনিয়োগ নয়, ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এলএনডি তহবিলে বিশ্বব্যাংক ও অন্যান্য অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানের অন্তর্ভুক্তি নিষিদ্ধ করতে হবে, বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে দ্রুত ও ন্যায্য জ্বালানি রূপান্তরের জন্য শিল্পোন্নত দেশগুলো থেকে প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে জাতীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে এবং সহজ অর্থায়নের মধ্য দিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তুলতে হবে, শিল্পোন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুসারে জিসিএফ-এ প্রতি বছর ১০ হাজার কোটি ডলার দিতে হবে যাতে স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জলবায়ুু-ঝুঁকি মোকাবেলায় পর্যাপ্ত অর্থায়ন নিশ্চিত হবে, জিসিএফ থেকে চরম বিপদাপন্ন স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের অভিযোজনে অধিকতর গুরুত্বারোপ করতে হবে। এছাড় এসব দেশে জ্বালানি খাতে ন্যায্য রূপান্তরে অর্থায়ন করতে হবে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাধ্যতামূলক বাস্তচ্যুত জনগোষ্ঠীকে ‘জলবায়ু উদ্বাস্ত’ ঘোষণা করে স্বাধীন ও সম্মানজনক অভিবাসনের অধিকার দিতে হবে, ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ মিথেন হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশের খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে কৃষিখাতকে এ লক্ষ্যমাত্রার বাইরে রাখতে হবে। এবং শিল্প, পরিষেবা ও বাণিজ্যসহ সকল খাতে সবুজ রূপান্তরের জন্য স্পষ্ট ও বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে।

প্রতিবাদ কর্মসুচিতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন আইএসডিই বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ও ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, জেলা সামাজিক উদ্যোক্তা পরিষদের যুগ্ন সম্পাদক মোহাম্মদ জানে আলম, ক্যাব হালিশহর থানা সভাপতি এমদাদুল করিম সৈকত, মানবাধিকার নেতা ওসমান জাহাঙ্গীর, ক্যাব যুব গ্রুপের সভাপতি আবু হানিফ নোমান, ক্যাব যুব গ্রুপের যুগ্ন সম্পাদক আমজাদুল হক আয়াজ, প্রচার সম্পাদক এমদাদুল ইসলাম, মহারাজ চৌধুরী প্রমুখ।
শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৩ ৭:২৯ অপরাহ্ন
নবায়নযোগ্য জ্বালানী ভিত্তিক ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’ বাস্তবায়নের দাবিতে গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত
প্রাণ ও প্রকৃতি

বিদেশ নির্ভর জ্বাবাশ্ম জ্বালানী নির্ভর এলএনজি ভিত্তিক জ্বালানী পরিকল্পনা বাদ দিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানী নির্ভর মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, অবিলম্বে কয়লাসহ জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ করা, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জলবায়ু-বিপদাপন্নদের জন্য পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশকে সহায়তা করা, ২০৫০সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন শূন্যে নামিয়ে আনার জন্য টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার দাবিতে ১৯ সেপ্টেম্বর’২৩ইং দুপুরে নগরীর সাফরান রেস্টেুরেন্ট কনফরেন্স হলে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আইএসডিই বাংলাদেশ, ক্লিন ও বাংলাদেশ বৈদেশিক দেনা কর্মজোট (বিডাব্লিউজিইডি) এর আয়োজনে কনজ্যুমারস রাইটস মিডিয়া এলায়েন্স এর সদস্যদের অংশগ্রহণে গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জ্বালানি অধিকার সপ্তাহ ২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেন পেট্রোল, ডিজেল, কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাসসহ জীবাশ্ম জ্বালানিতেই কার্বন বিদ্যমান এবং তা পুড়িয়ে শক্তি উৎপাদন করলে কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গত হবেই। এই কার্বন ডাই-অক্সাইডই পৃথিবীর গড় উষ্ণতা বাড়িয়ে দিয়েছে, পাশাপাশি বায়ুমন্ডলে অবস্থিত ওজন স্তরকে ক্ষতিগ্রস্থ করছে। এই পরিস্থিতি চলমান থাকলে যতক্ষণ না নিঃসরণ বন্ধ হয়, ততক্ষন পৃথিবীর তাপমাত্রা ৩, ৪ বা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে। এটি আমাদের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এবং সৃষ্ট বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে দুই মেরুতে থাকা বরফ গলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি করছে। ফলে কার্বনের এই নিঃসরণ যদি কমিয়ে আনা না যায়, তাহলে ২০৫০ সালের মধ্যে বছরে একবার করে ৩০ কোটি মানুষ বসবাসের বিশাল এলাকা সমুদ্রের পানিতে তলিয়ে যাবে। তাই দেশের অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগত দিক বিবেচনায় এলএনজি টার্মিনাল ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে এবং মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা অনুসারে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে অর্থায়ন, নিজস্ব স্থায়ীত্ব, জ্বালানি স্বাধীনতা এবং জ্বালানি সুরক্ষিত করা এবং সবুজ জ্বালানি রপ্তানিকারক দেশে উপনীত হওয়া, দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ ও সহযোগিতার মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০% এবং ২০৪১ সালের মধ্যে কমপক্ষে ৪০% ২০৫০ সালের মধ্যে শতভাগ পর্যন্ত নবায়নযোগ্য শক্তিতে পৌঁছানোর দাবি জানানো হয়।
আইএসডিই বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ও ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইনের সভাপতিত্বে ও ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরীর সঞ্চালনায় সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নেরে সাবেক সভাপতি এম নাসিরুল হক, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নেরে সাধারন সম্পাদক এম শামসুল ইসলাম, কনজ্যুমারস রাইটস মিডিয়া এলায়েন্স সভাপতি ও দেশটিভির ব্যুরো প্রধান আলমগীর সবুজ, সদস্য সচিব ভোরের কাগজের প্রীতম দাস, দৈনিক পূর্বদেশের এম এ হোসেন, ডেইলী স্টারের এফ এম মিজানুর রহমান, টিভিএস এর ওমর ফারুক, সুপ্রভাত বাংলাদেশ এর শুভ্রজিৎ বড়ুয়া, আজকে পত্রিকার জমির উদ্দীন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের রেজা মুজাম্মেল, সিভয়েস২৪ এর শারমিন রিমা প্রমুখ।

গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ এখন এক সংকটাপন্ন অবস্থানের মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছে। বর্তমানে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বছরে প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার লাগছে। ২০৩০ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর শুধু জ্বালানি আমদানিতে ২০ থেকে ২৫ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। এর মধ্যে ২৫০ কোটি ঘনফুট এলএনজি আমদানিতে লাগবে বছরে প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার। বছরে ২ দশমিক ৫ কোটি টন কয়লা আনতে খরচ হবে পাঁচ বিলিয়ন ডলার। বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেল এবং নিউক্লিয়ার জ্বালানি আমদানিতে লাগবে ৯ বিলিয়ন ডলার। এর বাইরে বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎ ও দেশে উত্তোলিত গ্যাস কিনতে বছরে চার থেকে পাঁচ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে। জুলাই পর্যন্ত পেট্রোবাংলার কাছে শেভরনের পাওনা ২৮ কোটি ডলার। এলএনজি আমদানি খাতে বকেয়া প্রায় ১০ কোটি ডলার। বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো সরকারের কাছে প্রায় ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার পাবে। বিপিসির কাছে জ্বালানি তেল সরবরাহকারী কোম্পানিগুলোর পাওনা ১০ দশমিক ৬ কোটি ডলার।

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দায় বাংলাদেশকে আর ডলার সংকটের দিকে ঠেলে না দেবার দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ২০৪১ সালের মধ্যে ১৭০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে। যেখানে  ২০১৩ সালে দেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ এসেছিলো ১৩৯ কোটি ডলার, ২০২২ সালে সেটা ২০২২ সালে দেশে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ দাড়িয়েছে ২ হাজার ১১৫ কোটি ডলার। দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার ৮২ শতাংশই গ্যাস, কয়লা ও ডিজেল ভিত্তিক এবং এর অধিকাংশই আমদানি নির্ভর। পিডিবি ২০২১-২২ অর্থবছরে বিদ্যুতকেন্দ্রভাড়া দিতে হয়েছে ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি। গত ১৫ বছরে ১৩ বার বাড়ানো হয়েছে বিদ্যুতের দাম। এর মধ্যে এ বছরের প্রথম তিন মাসে বাড়ানো হয় তিনবার, ওদিকে বসে বসে কেন্দ্রভাড়া পাচ্ছে বিদ্যুৎকেন্দ্র। প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে আমদানি করা ৭৪৬ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। স্পট মার্কেটে দাম বাড়ায় সেটির আমদানি সীমিত করেছে সরকার। আশংকার বিষয় হলো এ বছরই এলএনজি আমদানি করতে সরকারে ৩৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। যদিও পুরোপুরি এলএনজি নির্ভর বেসরকারি খাতের চারটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ শেষের দিকে রয়েছে, সে সব কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পেট্রোবাংলা। সেই গ্যাস কোথা থেকে আসবে সেটা পরিষ্কার নয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩ ১:৩২ অপরাহ্ন
জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
প্রাণ ও প্রকৃতি

রাজধানী ঢাকার হোটেল শেরাটনে রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং) শেষ হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অংশগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়া তিনদিনব্যাপী আঞ্চলিক জলবায়ু সম্মেলন ২০২৩।

এর আগে গত শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং) থেকে রাজধানী ঢাকার হোটেল শেরাটনের হল রুমে শুরু হয় এই সম্মেলন।

ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশ, দ্য আর্থ সোসাইটি, অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন (ওআরএফ) ও ক্লাইমেট পার্লামেন্ট এর যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘আঞ্চলিক জলবায়ু সম্মেলন ২০২৩’।

আঞ্চলিক জলবায়ু সম্মেলন ২০২৩ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী একে এম এনামুল হক শামীম এমপি।

এসময় উপমন্ত্রী বলেন- এই ধরণের আলোচনায় আঞ্চলিক সহযোগিতা ও পারস্পরিক সম্পর্ক দৃঢ় হয়। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো আগামীতেও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একসাথে কাজ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক ও জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব, কান্নি উইগনারাজা। এসময় তিনি বলেন- জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ। ইউএনডিপি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর পাশে সবসময় আছে। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সবার জন্য টেকসই ভবিষ্যত গড়ে তোলা সম্ভব।

তিন দিনব্যাপী এই আয়োজনে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত, ভুটান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপসহ বিভিন্ন দেশের সংসদ সদস্যবৃন্দ, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, শীর্ষ পর্যায়ের নীতিনির্ধারকগণ, কর্পোরেট সেক্টর, উন্নয়ন সহযোগী দেশীয় ও আর্ন্তজাতিক সংস্থা সহ বিভিন্ন সেক্টরের ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনে ৪ টি থিমেটিক সেগমেন্ট ও ১৯ টি সেশনে আলোচক (প্যানেলিস্ট) হিসেবে অংশগ্রহণ করেন ১২০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

সমাপনী অনুষ্ঠানে এম্বাসেডর রিফলেকশনে বিশেষ বক্তব্য প্রদান করেন- বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, ঢাকায় নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি, নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের ডেপুটি হেড অফ কো-অপারেশন থিজস ওয়ডস্ট্রা, ব্রিটিশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাই কমিশনার ও ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর মার্ট ক্যানেল এবং সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের ডেপুটি হেড অফ কো-অপারেশন করিন হেনচোজ পিগনানি।

বোট অব থ্যাংকস প্রদান করেন ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের চেয়ারপারসন তানভির শাকিল জয় এমপি ও সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি।

 

তিনদিনের এই আঞ্চলিক সম্মেলনে দেশ ও দেশের বাইরের প্রায় ৬০০ জন প্রতিনিধি এতে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন।

এই আয়োজনের সাথে সরাসরি সংশ্লিষ্ঠ আছেন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, বিভিন্ন দেশের দূতাবাস, জাতীয় ও আন্তজার্তিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা মিলিয়ে মোট ২২টি প্রতিষ্ঠান।

সমাপনী দিনে সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত তিনটি পৃথক হল রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম অধিবেশনে আঞ্চলিক জ্বালানি সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য আঞ্চলিক সংসদীয় ফোরাম: বাংলাদেশ কনসালটেশন দক্ষিণ এশিয়া পার্লামেন্টারিয়ানদের গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ ও জলবায়ু বিষক বিশেষ দূত সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি।

এর আগে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন ইউএসএআইডি’র সিনিয়র কর্মকতা শায়ান শাফী। মডারেটর এর দায়িত্ব পালন করেন জলবায়ু সংসদের পরিচালক ডা: মুকুল শর্মা।

আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ সরকারের পাওয়ার সেল বিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন, সাউথ এশিয়া জেনারেল ও ডেপুটি চিফ অব পার্টি নম্রতা মুখোপাধ্যায়। এনার্জি পার্টনারশিপ এন্ড পাওয়ার মার্কেট স্পেশালিস রাজীব রত্মা পান্ডা। আরপিএফ হিসেবে ছিলেন ক্লাইমেট পার্লামেন্ট ভারতের চেয়ারম্যান ডাঃ সঞ্জয় জয়ওয়াল এমপি। আরপিএফ নিয়ে আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, ভুটান, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কার এমপিগণ। সেশনটির মূল পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করেন ইউএসএআইডি ভারতের আঞ্চলিক শক্তি ও পরিচ্ছন্ন শক্তি বিশেষজ্ঞ এবং মিশন মোনালি জিয়া হাজরা। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন দ্যা আর্থ সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন মিয়া।

এরপর প্রকৃতির সাথে সম্প্রীতি: উন্নয়ন এবং বাস্তুতন্ত্র পরিচালনার ভারসাম্য সেশনের কি-নোটে উপস্থাপন করেন জেমস জে শোয়ার, পিএইচডি, পিই, এমবিএ
, মার্কিন বিজ্ঞান দূত ও মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের অধ্যাপক পিটারসন-র্যাডার-হাওন, অধ্যাপক উইলিয়াম সি বয়েল উইসকনসিন-ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। স্পীকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এর মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম। মার্কিন দূতাবাস বাংলাদেশের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফাভে, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতি (বেলা)’র প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। বাংলাদেশ

আইসিডিডিআর’বি এর জনসংখ্যা অধ্যয়ন বিভাগের প্রকল্প সমন্বয়কারী পরিবেশগত স্বাস্থ্য এবং ওয়াশ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ডাঃ মোঃ মাহবুবুর রহমান। প্রকৃতি সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা: পিএইচডি, নির্বাহী পরিচালক,এস এম মনজুরুল হান্নান খান।

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র আরবান ট্রান্সপোর্ট স্পেশালিস্ট উশাচা, সুইডেন দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি ড্যানিয়েল নোভাক। এই সেশনটির মডারেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শক্তি ফাউন্ডেশনের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ইমরান আহমেদ।

গ্রিন সিটি, স্মার্ট সিটি সেশনে- জলবায়ু-প্রতিক্রিয়াশীল নগর উন্নয়নের জন্য সবুজ অবকাঠামো এবং স্মার্ট সমাধানগুলি একীভূত করা বিষয়ক সেশনে কি নোট উপস্থাপন করেন গ্রামীণফোনের চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) ড. আসিফ নাঈমুর রশীদ, সেশন চেয়ার ছিলেন সংসদ সদস্য রানা মোহাম্মদ সোহেল এমপি৷ স্পীকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি); সহকারী অধ্যাপক স্থাপত্য বিভাগ শাফিনাজ শামীম।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সদস্যের প্রাক্কলন সম্পর্কিত কমিটির সদস্য আহসান আদেলুর রহমান এমপি, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ অতিরিক্ত সচিব(পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, দ্য প্রিন্স ফাউন্ডেশন এর সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার ভিক্টোরিয়া হবডে.। সেশনটির মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স এর সভাপতি মোহাম্মদ ফজলে রেজা সুমন।

সবুজ উদ্যোক্তা উন্নয়নের জন্য জলবায়ু নীতি সিকোয়েন্সিং সেশনের মূল প্রবন্ধে ছিলেন,
এলএসই’র গ্রান্থাম রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ভিজিটিং ফেলো পরিবেশ অর্থনীতিবিদ কিংস্টন ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির সিনিয়র লেকচারার শেখ ইস্কান্দার। স্পীকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সংসদ সদস্য, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি। স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড এর সিইও সামি আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংক এর ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার, জাহাজি লিমিটেড এর সিইও সহ-প্রতিষ্ঠাতা কাজল আবদুল্লাহ, মডারেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আইসিটি ডিভিশনের আইডিয়া অপারেশন টিম লিড সিদ্ধার্থ গোস্বামী।

“টেকসই শক্তির জন্য আঞ্চলিক সহযোগিতা: আঞ্চলিক শক্তি শাসনের জন্য নতুন স্থাপত্য” অধিবেশনের মূল কি-নোট উপস্থাপন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূ চার্লস হোয়াইটলি.।
স্পীকার হিসেবে ছিলেন সংসদ সদস্য ভিনসেন্ট পালা এমপি। জাতীয় অর্থনীতি ও ভৌত পরিকল্পনা সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য ইরান বিক্রমারত্নে এমপি, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি (ভুটান) ও চেয়ারপার্সন গাইম দর্জি এমপি। নেপালের সংসদ সদস্য মাধব সাপকোটা এমপি। মডারেটর হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন,
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি।

সার্কুলার ইকোনমি কৌশল: প্লাস্টিক বর্জ্য হ্রাস এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সার্কুলার সম্প্রসারণ সেশনের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ শিল্প মন্ত্রণালয় এর অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) শেখ ফয়জুল আমিন, স্পীকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সদস্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সদস্য মীর মুশতাক আহমেদ রবি এমপি। কোকা-কোলা বেভারেজেস লিমিটেডের এমডি মায়াঙ্ক অরোরা।
কর্ডএইড বাংলাদেশ কান্ট্রি অফিস, হেড অব প্রোগ্রাম মোঃ আবুল কালাম আজাদ। ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড এর পরিচালক- কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স, পার্টনারশিপ অ্যান্ড কমিউনিকেশনস শামীমা আক্তার। আমাল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক ইসরাত করিম। মডারেটর হিসেবে ছিলেন গায়ক, গীতিকার – চিরকুট, যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ-সল্ট ক্রিয়েটিভস, জলবায়ু যত্ন কর্মী, শারমিন সুলতানা। জলবায়ু পরিবর্তনের উপর বায়ু পরিষ্কার করা: কীভাবে বায়ু মানের সহ-সুবিধাগুলি জলবায়ু পদক্ষেপ চালাতে সহায়তা করতে পারে” সেশনটির
মূল প্রবন্ধে ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ডাঃ ফারহিনা আহমেদ
স্পীকারের দায়িত্ব পালন করেন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য উগেন শেরিং এমপি ৷ বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (সিএপিএস) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার। সেন্টার অব পিস অ্যান্ড জাস্টিস এর রিসার্চ এসোসিয়েট, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ও ক্লাইমেট অ্যাকশন চ্যাম্পিয়নস নেটওয়ার্ক (CACN), তাসনিয়া খন্দকার প্রভা।
মডারেটর হিসেবে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি।

“জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতার দিকে: আমাদের সাধারণ লক্ষ্য অর্জনের জন্য তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগানো” সেশনটির মূল প্রবন্ধে উপস্থাপন করেন ফারজানা ফারুক ঝুমু।

ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের সদস্য ও সংসদ সদস্য রুমানা আলী এমপি।

ইনস্পিরেটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুইজারল্যান্ড দূতাবাস এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার শিরিন লিরা।

দুটি ভাগে অনুষ্ঠিত সেশনে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সোহানুর রহমান, মহিউদ্দিন সৌরভ, সাদিয়া আফরোজ এশা, আরুবা ফারুক, এস কে রেজওয়ানা কাদির রাইসা, রুবাইতা ইউনুস। এই সেশনে মডারেটর হিসেবে ছিলেন নিশাত উনজুম।

স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মোঃ ওমর ফারুক জয়, বোট অব থ্যাংকস প্রদান করেন জুহাইর আহমেদ কৌশিক।

 

 

 

সম্মেলনের স্ট্র‍্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে আছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও ইউএনডিপি বাংলাদেশ।

বিভিন্ন সেশনের লিড অর্গানাইজেশন হিসেবে আছেন- এ্যাকশনএইড বাংলাদেশ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, নেদারল্যান্ডস অ্যাম্বাসি, সুইজারল্যান্ড অ্যাম্বাসি, শক্তি ফাউন্ডেশন ও ইউএসএআইডি।

গোল্ড স্পনসর হিসেবে আছেন- কোকা-কোলা ও গ্রামীণফোন।

কো-লিড অর্গানাইজেশন হিসেবে আছেন- এএফডি- ফ্রান্স এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট ও চেইঞ্জ ইনিশিয়েটিভ।

সাসটেইনেবল ইনভেস্টমেন্ট পার্টনার হিসেবে আছেন স্ট্যান্ডার্ট চাটার্ড ব্যাংক ও সাসটেইনেবিলিটি পার্টনার হিসেবে থাকছেন ইউনিলিভার।

পার্টনার হিসেবে আছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স, সেন্টার ফর অ্যাটমোস্ট অ্যাটমোস্ফিয়ারিক পলিউশন স্ট্যাডিজ, সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল এন্ড জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সার্ভিসেস, শক্তি ইনস্টিটিউট-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সাউথ এশিয়ান জাস্ট ট্রানজিশন এ্যালায়েন্স, ইউএস এম্বাসি টু বাংলাদেশ, ওয়াটারএইড এবং ইয়ুথ ফর কেয়ার প্ল্যাটফর্ম।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৪, ২০২৩ ১১:৫৩ অপরাহ্ন
তিস্তার পানি বিপৎসীমায়, কুড়িগ্রামে ফের বন্যার শঙ্কা
প্রাণ ও প্রকৃতি

পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া আগাম বার্তার সঙ্গে মিলে বাড়ছে কুড়িগ্রামের নদনদীর পানি। বৃহস্পতিবার তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমায় উঠেছে। এদিকে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমারের পানিও বাড়ছে দ্রুত গতিতে। ফলে দু-তিন দিনের মধ্যে আরও একটি বন্যার শঙ্কায় কুড়িগ্রামের নদনদী পাড়ের মানুষ।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর তথ্য বলছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। কিন্তু সন্ধ্যা ৬টায় ওই পয়েন্টে পানি কমে ১ সেন্টিমিটারে আসে। তবে দ্রুত গতিতে বাড়ছে ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার ও ধরলার পানি। এতে করে নদনদীর তীরবর্তী কিছু নিচু এলাকা প্লাবিত হতে পারে যেকোনো সময়। অন্য নদনদীর পানিও বিপৎসীমার কাছাকাছি যেতে পারে। সব মিলিয়ে এ সপ্তাহে আরও একটি বন্যা দেখতে পারে জেলার মানুষ।

এর আগে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের দেয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী কুড়িগ্রাম পাউবো জানায়, ২২-২৩ আগস্ট থেকে নদনদীর পানি বাড়বে এবং ২৫-২৬ আগস্ট ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমায় পৌঁছাতে পারে। ফলে এ অঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী বন্যা হতে পারে।

পাউবোর কুড়িগ্রাম নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ভারতের আসাম ও অরুণাচলে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। কুড়িগ্রামের ভারী বৃষ্টি হয়েছে। আরও হতে পারে। ফলে নদনদীর পানি বাড়বে। তবে বড় ধরনের বন্যার শঙ্কা নেই।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। খাদ্য সহায়তা, বন্যার্তদের উদ্ধার এবং আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৩, ২০২৩ ৯:২৫ অপরাহ্ন
ডালিম খাওয়ার ১০ উপকারিতা
প্রাণ ও প্রকৃতি

ডালিমে ক্যালোরি এবং চর্বির পরিমাণ কম, কিন্তু ফাইবার, ভিটামিন, এবং খনিজ উপাদানে পরিপূর্ণ। একটি মাঝারি সাইজের ডালিমে মেলে ২৩৪ ক্যালোরি, ৪.৭ গ্রাম প্রোটিন, ৩.৩ গ্রাম চর্বি এবং ১১.৩ গ্রাম ফাইবার। এছাড়া উল্লেখযোগ্য পরিমাণে আয়রন, ভিটামিন সি, ফলেট, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং পটাশিয়াম পাওয়া যায় ফলটি থেকে। নানা ধরনের রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব সুমিষ্ট ফল ডালিম খেলে।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পলিফেনলিক যৌগের সমৃদ্ধ উৎস ডালিম। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে ডালিম খেলে।
ডালিমের যৌগগুলোতে ক্যানসার প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি টিউমারের বৃদ্ধিকে ধীর করে দিতে পারে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

হৃদরোগীদের জন্য দালিম বেশ উপকারী ফল। হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের উপর একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ডালিমের রস পান করলে বুকে ব্যথার তীব্রতা হ্রাস পায়। সেইসাথে হার্টের স্বাস্থ্যের উপর প্রতিরক্ষামূলক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে ফলটি।
প্রচুর পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায় ডালিম থেকে। রক্তশূন্যতা রোধ করতে ডালিম খেতে পারেন প্রতিদিন।

২০১৪ সালের এক গবেষণায বলছে, ডালিমের নির্যাস রক্তে অক্সালেট, ক্যালসিয়াম এবং ফসফেটের ঘনত্ব নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে। এতে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমে।

ডালিমে এমন যৌগ রয়েছে যা ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে, বিশেষ করে মুখের জীবাণু যা নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ এবং দাঁতের ক্ষয় সৃষ্টি করতে পারে।
ডালিমের নির্যাস ক্লান্তি দূর করে ও কর্মক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে।
ডালিমে রয়েছে এলাজিটানিন নামক এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
মস্তিষ্ক ভালো রাখে ডালিম। আলঝেইমার এবং পারকিনসন রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে ফলটি।
ফাইবার সমৃদ্ধ ডালিম হজমের গণ্ডগোল দূর করতে পারে।
তথ্যসূত্র: হেলথলাইন

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৪, ২০২৩ ৫:৪৯ অপরাহ্ন
চট্টগ্রামে মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত
প্রাণ ও প্রকৃতি

চট্টগ্রামে মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা এবং সমন্বিত বিদুৎ ও জ্বালানি মহাপরিকল্পনা (আইইপিএমপি) বাতিলের দাবিতে যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার ২৪ জুন বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম সিটিকরপোরেশনের বহদ্দারহাট পুলিশ ফাঁড়ি ও কাঁচা বাজার চত্বরে এ যুব সমাবেশর আয়োজন করা হয়েছে। বেসরকারী উন্নয়ন সংগঠন আইএসডিই বাংলাদেশ, ভোক্তা অধিকার সংগঠন ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগর, উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্মজোট (ক্লিন) ও বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলোজি এন্ড ডেভেলপমেন্ট (বিডবিøউজিইডি) এর উদ্যোগে এই কর্মসূচি হয়।

ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইনের সভাপতিত্বে ও ক্যাব যুব গ্রুপ  চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আবু হানিফ নোমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা সভাপতি এম নাসিরুল হক, এডাব চট্টগ্রামের সভাপতি ও বিশিষ্ঠ নারী জেসমিন সুলতানা পারু, প্রশিকার উপ-পরিচালক অজয় মিত্র শংকু, বহ্দ্দারহাট সিটিকরপোরেশন ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী জানে আলম, সাধারন সম্পাদক হাজী বদিউল আলম, বন গবেষণাগার কলেজের অধ্যাপক একেএম হুমায়ুন কবির, ক্যাব সদরঘাটের সভাপতি শাহীন চৌধুরী, ক্যাব চান্দগাঁও থানা সভাপতি জানে আলম, সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ ইসমাইল ফারুকী, ক্যাব নেতা অধ্যক্ষ আবু ইউনুচ, অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান দুর্জয়, ক্যাব যুব গ্রুপের  যুগ্ন সম্পাদক আমজাদুল হক আয়াজ, সহ-সাংগঠনিক মিশকাত, সহ-অর্থ সম্পাদক ইব্রাহিম ফারুক, আইন সম্পাদক মিনা আকতার, প্রচার সম্পাদক এমদাদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাব যুব গ্রুপের রাব্বি তৌহিদ, তুষার চৌধুরী প্রমুখ।

সমাবেশে এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে জলবায়ু-সহিষ্ণু মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে বাংলাদেশ সরকার ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’ গ্রহণ করে। এর আলোকে ওই বছরই ডিসেম্বরে জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে  প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিত করার অঙ্গিকার পুর্নব্যক্ত করেন। ২০২৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রী পরিষদ এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য অনুমোদন দেয়। এতে বাংলাদেশে ২০৩০ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ, ২০৪১ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ২০৫০ সালের মধ্যে শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করা হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার বিরুদ্ধে গিয়ে প্রস্তাবিত সমন্বিত বিদুৎ ও জ্বালানি মহাপরিকল্পনা (আইইপিএমপি)’র চতুর্থ খসড়া তৈরি করা হয়েছে। এই খসড়ায় ২০৪১ সালের মধ্যে সবোর্চ্চ ৪০ শতাংশ তথাকথিত ‘পরিছন্ন জ্বালানির’র লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। পরিছন্ন জ্বালানির আওতায় উন্নততর প্রযুক্তির নামে আমদানি-নির্ভর অনির্ভরযোগ্য তরল হাইড্রোজেন, আ্যামোনিয়া ও কার্বন সংরক্ষণ প্রযুক্তি প্রবর্তনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা দেশের অর্থনীতির ক্ষতিকর হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, এই অবস্থায় বাংলাদেশ সরকারের ভিশন ২০৪১ ও অধীনে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, জ্বালানি নিরাপত্তা ও নিরাপদ পরিবেশ সংরক্ষণে বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবি জাইকার অর্থায়নে জাপানি প্রতিষ্ঠান আইইইজে প্রণীত বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী খসড়া আইইএমপি অবিলম্বে বাতিল করা হোক। পাশাপাশি মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনার’র শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি বাস্তবায়নের জন্য সৌর ও বায়ুবিদ্যুৎ প্রাধান্য দিয়ে দেশজ মালিকানায় দেশের নীতি নির্ধারক ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা দরকার।

বক্তারা বলেন জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সির (জাইকা) সহযোগিতায় ইনস্টিটিউট অব এনার্জি ইকোনোমিক্স, জাপান (আইইইজে) বাংলাদেশের জন্য আইইপিএমপি প্রণয়ন করছে। এর আগে ২০১০ ও ২০১৬ সালেও জাইকার সহোযোগিতায় বিদুৎ খাত বিষয়ক মহাপরিকল্পনা (পিএসএমপি) প্রণয়ন করা হয়েছিল। এগুলোতে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছিল আমদানী-নির্ভর কয়লা ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি)। করোনা-পরবর্তী অর্থনৈতিক সংকটে এখন বাংলাদেশ আমদানিকৃত জ্বালানির ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ফলে কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগ করেও বিদুৎ সমস্যার সমাধান করা যাচ্ছে না। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বিশেষ করে সৌর ও বায়ু বিদুতে বিনিয়োগ করলে বর্তমান সংকট এতটা গভীর হতো না।

বক্তারা আরও বলেন, আইইপিএমপি প্রনয়ণ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার চরম ঘাটতি রয়েছে। জাইকা বা বাংলাদেশ সরকার-কোন পক্ষই এই প্রকল্পের বাজেট ও কার্য়ক্রমে প্রবেশ করেনি। জাপানের কারিগরি সহায়তার অধীনে গোপনে জাপানি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করে জাইকা এই কাজ করছে যা ওইসিডি ওইসিডিভুক্ত (আন্তর্জাতিক সংস্থা অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) দেশ হিসেবে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop