৪:০০ পূর্বাহ্ন

শনিবার, ১৬ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জানুয়ারী ১৪, ২০২২ ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন
হরিণ বিক্রি করে কোটি টাকার বেশি আয় ঢাকা চিড়িয়াখানার
প্রাণ ও প্রকৃতি

খামারি ও শৌখিন হরিণ পালকদের কাছে ঢাকার জাতীয় চিড়িয়াখানা গত বছর ১৯৮টি চিত্রা হরিণ বিক্রি করেছে। এ থেকে এক কোটি টাকার বেশি আয় করেছে চিড়িয়াখানা।

ঢাকা চিড়িয়াখানায় এখন প্রায় ৪০০ হরিণ আছে। এ থেকে আরো শতাধিক হরিণ বিক্রি করবে কর্তৃপক্ষ।

রাজধানীসহ অন্তত দেশের ২৫ জেলায় এখন খামারে এবং শখ করে হরিণ পালন করা হচ্ছে। ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী ও মানিকগঞ্জে হরিণ পালনের প্রবণতা বেশি। এসব এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকার খামারি ও শৌখিন হরিণ পালকদের কাছেই ১৯৮টি চিত্রা হরিণ বিক্রি করেছে কর্তৃপক্ষ।

ঢাকার জাতীয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ এক জোড়া হরিণ প্রথমে এক লাখ ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে।

এখন জোড়া এক লাখ টাকায় বিক্রি করছে। গত বছর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ কোটি টাকার ওপরে হরিণ বিক্রি করেছে।
এ বিষয়ে চিড়িয়াখানার পরিচালক মো. আব্দুল লতিফ জানান, অনুকূল পরিবেশ, যত্ন আর ভালো ব্যবস্থাপনার কারণে চিড়িয়াখানায় ধারণক্ষমতার চেয়ে হরিণ বেশি হয়ে গেছে। তাই সরকারি নিয়ম-নীতি মেনে আহগ্রীদের কাছে কিছু হরিণ বিক্রি করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু চিড়িয়াখানা একটি প্রদর্শনীকেন্দ্র, কোনো খামার নয়, তাই হরিণ শুধু প্রজনন করলে তো হবে না। তাদের খাবার লাগবে, রাখার জায়গা লাগবে, যত্ন লাগবে। এর জন্য নির্দিষ্ট একটা বাজেট থাকে। এখন চিড়িয়াখানায় ধারণক্ষমতার বেশি হরিণ আছে। তাই দেশের বিভিন্ন চিড়িয়াখানার সঙ্গে আলোচনা করে নিজেদের মধ্যে প্রাণী বিনিময় করার প্রক্রিয়া চলছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ১২, ২০২২ ১২:০২ অপরাহ্ন
বাঁধে বাঘের পদচিহ্ন দাতিনাখালীতে আতঙ্ক
প্রাণ ও প্রকৃতি

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবনসংলগ্ন দাতিনাখালী গ্রামসহ আশপাশের এলাকায় বাঘের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। গত সোমবার সন্ধ্যায় দাতিনাখালীর মহসীন সাহেবের হুলা এলাকায় বাঘের পায়ের চিহ্ন দেখতে পাওয়ার পর থেকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

বাঘটি লোকালয় ছেড়ে বনে প্রবেশ করেছে কি না, তা নিশ্চিত হতে না পারায় বন বিভাগের টহল জোরদারের পাশাপাশি সকলকে সতর্ক থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার বিকেলে দাতিনাখালী গ্রামের দুজন জেলে উপকূল রক্ষা বাঁধের ওপর বাঘের পায়ের চিহ্ন দেখতে পান। ওই দুই জেলে আরও জানান, বাঘের ডাক শোনার কিছু আগে তারা বন থেকে দুটি শূকর নদী পার হয়ে লোকালয়ে আসতে দেখেছিলেন। দ্রুত সে খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের গ্রামের লোকজন সেখানে ভিড় জমায় এবং বাঘ পারাপারের বিষয়টি নিশ্চিত হয়।

স্থানীয় গ্রামবাসী প্রদীপ মুন্ডা ও মনোরঞ্জন মণ্ডল জানান, গত রোববার রাতে তাঁরা নদীর ওপারে বাঘের ডাক শুনেছেন। পরে সোমবার সন্ধ্যায় তাঁরা অন্যদের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পাশের বাঁধের ওপর ও নদীর চরে বাঘের পায়ের চিহ্ন দেখেছেন।

এদিকে বাঘের পায়ের চিহ্ন দেখা যাওয়ার পর থেকে গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। প্রয়োজনে স্থানীয়রা দলবদ্ধভাবে ঘরের বাইরে যাওয়ার পাশাপাশি আত্মরক্ষার্থে লাঠিসোঁটা নিয়ে চলাচল করছেন।

পশ্চিম সুন্দরবনের বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন ফিসার সুলতান আহমেদ জানান, বাঘের পায়ের চিহ্ন দেখার পর থেকে বন বিভাগ টহল জোরদার করা হয়েছে। বাঘটি লোকালয় ছেড়ে বনে চলে গেছে কি না নিশ্চিত হতে না পারায় সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ১০, ২০২২ ২:৫১ অপরাহ্ন
মাদারীপুরে বিরল প্রজাতির প্রাণি উদ্ধার
প্রাণ ও প্রকৃতি

মাদারীপুরের ডাসার উপজেলায় বিরল প্রজাতির একটি অদ্ভূত প্রাণিকে উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা।

গত ৭ জানুয়ারি (শুক্রবার) রাতে উপজেলার পশ্চিম বালিগ্রামে বিরল প্রজাতির এই প্রাণিকে দেখে উদ্ধার করে এলাকাবাসী। প্রাণিটিকে দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন উৎসুক জনতা। এখনো এটিকে সংরক্ষণ করে অবমুক্ত করেনি বন বিভাগ।

স্থানীয়রা জানায়, এর আগে এমন প্রাণি কখনই দেখেননি তারা। গত দুইদিন যাবত প্রাণিটিকে বিভিন্ন খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করছেন স্থানীয় যুবকরা।

মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন সোমবার বিকেলে বলেন, এরইমধ্যে বিরল প্রজাতির প্রাণিটিকে সংরক্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ফরিদপুর আঞ্চলিক বন অফিসকে বলা হয়েছে। শিগগরিই বন বিভাগের লোকজন প্রাণীকে নিয়ে যাবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ৯, ২০২২ ১১:৫২ পূর্বাহ্ন
হাকালুকি হাওরে অবাধে চলছে পাখি শিকার
প্রাণ ও প্রকৃতি

হাকালুকি হাওরে তৎপর হয়ে উঠেছে পাখি শিকারি চক্র। তারা বিষটোপসহ নানাভাবে ফাঁদ পেতে অবাধে পাখি শিকার করছে। কিন্তু পাখি শিকার বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ না থাকায় কোনোভাবেই তা ঠেকানো যাচ্ছে না। পাখিপ্রেমী ও স্থানীয়রা পাখি শিকার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন শীতপ্রধান দেশ থেকে হাকালুকি হাওরে নানা প্রজাতির পাখি আসে। এসব পাখির মধ্যে রয়েছে বালিহাঁস, ভুতিহাঁস, গিরিয়াহাঁস, ল্যাঞ্জাহাঁস, গুটি ইগল, কাস্তেচরা, কুড়া ইগল, সরালি, পানভুলানি, কালিম, সাদা বক, কানি বক, পানকৌড়ি। এর মধ্যে দেশীয় প্রজাতির নানা জাতের পাখি রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, হাওরে অতিথি পাখি আসার সঙ্গে সঙ্গে পাখি শিকারি চক্র তৎপর হয়ে উঠেছে। হাওরখাল, মাইছলা, গজুয়া, পিংলা ও বাইয়াবিলে বেশি শিকারের ঘটনা ঘটছে। চক্রটি রাত-দিন নানাভাবে ফাঁদ পেতে হাওরে পাখি শিকার করছে। বন্দুক ও জাল দিয়ে শিকারের পাশাপাশি বিষটোপ দিয়ে পাখি মারা হচ্ছে। বিষটোপ খেয়ে পাখির পাশাপাশি অনেক খামারির হাঁসও মারা যাচ্ছে। শিকারিরা এসব পাখি বিভিন্ন বাজারেও মাঝেমধ্যে প্রকাশ্যে বিক্রি করছে। বিভিন্ন হোটেলে এসব পাখির মাংস বিক্রি হচ্ছে। এমনকি প্রভাবশালী অনেকের ঘরেও এসব পাখি যাচ্ছে।

হাওরের হাল্লা গ্রামের পাখিবাড়ির বাসিন্দা আক্তার আহমদ শিপু বলেন, হাওরে প্রতি বছরের মতো এবারও অতিথি পাখি এসেছে। বছরজুড়ে আমাদের বাড়িতে পাখি থাকে। শিকার বন্ধে রাতে পাহারা দেই। এর পরও শিকারিরা পাখি শিকার করছে নানাভাবে ফাঁদ পেতে। বাধা দিলে হুমকি দেয়।

স্থানীয় পরিবেশকর্মী রিপন দাস বলেন, হাওরে পাখির সংখ্যা দিনে দিনে কমছে। এর কারণ হচ্ছে, অবাধে পাখি শিকার, পাখির আবাস্থল ধ্বংস ও খাদ্যের সংকট। পাখি শিকার বন্ধ না হলে এখানে পাখি আর আসবে না।

পাখি শিকারের বিষয়টি স্বীকার করে বন বিভাগের হাকালুকি (বড়লেখা) বিটের দায়িত্বে থাকা জুনিয়র ওয়াইল্ডলাইফ স্কাউট তপন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, শিকারিরা বিট অফিস থেকে দূরের বিলগুলোর মধ্যে পাখি শিকার করে। গুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে যেতে দুই থেকে তিন ঘণ্টা লাগে। এর মধ্যে শিকারিরা পালিয়ে যায়। বিশাল হাওর এলাকায় জনবলের সংকট নিয়ে কাজ করছি।

বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী বলেন, ‘পাখি শিকার রোধে আমরা জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছি। এরপরও যদি কেউ পাখি শিকার করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ৬, ২০২২ ১০:৪১ পূর্বাহ্ন
অতিমূল্যবান রত্ন “ঝিনুক” চাষে স্বাবলম্বী হবার সম্ভাবনা
প্রাণ ও প্রকৃতি

মুক্তা একটি অতিমুল্য়বান রত্ন। মুলত গহনা তৈরিতে মুক্তা বেশি ব্য়বহার করা হয়। মুক্তার একমাত্র উৎস হলো ঝিনুক। একসময় প্রাকৃতিকভাবে ঝিনুকে মুক্তা উৎপন্ন হতো আর সেগুলো আহরণ করে মুক্তা সংগ্রহ করতো জেলে বা চাষীরা।কিন্তু পরে মুক্তা উৎপাদনের কৌশল উদ্ভাবিত হওয়ায় বিশ্বব্যাপী এর উৎপাদন ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়।

একটি ঝিনুকে ১০ থেকে ১২টি মুক্তা জন্মায় । প্রতিটি মুক্তার খুচরা মূল্য কমপক্ষে ৫০ টাকা। প্রতি শতাংশে ৬০ থেকে ১০০টি ঝিনুক চাষ করা সম্ভব এবং প্রতি শতাংশে ৮০টি ঝিনুকে গড়ে ১০টি করে ৮০০ মুক্তা পাওয়া গেলে যার বাজারমূল্য প্রায় ৪০ হাজার টাকা। সেই হিসাবে প্রতি একরে ৪০ লাখ টাকার মুক্তা উৎপাদন করা সম্ভব। এছাড়াও ঝিনুকের খোলস থেকে চুন, বোতাম, গহনা তৈরিতে কাজে লাগে ।

মুক্তা একটি লাভদায়ক চাষ হলেও বাংলাদেশের চাষীদের সর্বদাই ভারতের বাজারের ওপর নির্ভরশীল থাকতে হয়। একটি ঝিনুক থেকে সর্বচ্চ ১২ টি মুক্তা পাওয়া যায়। ঝিনুক সংগ্রহের পর এর মধ্যে এক ধরণের বিশেষ ‘ডাইজ’ স্থাপন করতে হয় এবং নিউক্লিয়াস পদ্ধতিতে টিস্যু প্রতিস্থাপন করে ঝিনুককে আবার জলে ছেড়ে দেয়া হয়।

প্রশঙ্গত, বর্তমানে বিশ্ববাজারে মুক্তা রপ্তানিতে শীর্ষে আছে চীন। তারাই বিশ্বে ৯৫ শতাংশ মুক্তা রপ্তানি করে থাকে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ৬, ২০২২ ১০:২৩ পূর্বাহ্ন
বাবুই পাখির জন্য কৃষকের ভালোবাসা
প্রাণ ও প্রকৃতি

কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার রামপুর গ্রাম। এ গ্রামে কৃষক মো. রিপন মিয়ার পাখিদের প্রতি ভালোবাসায় নজর কেড়েছে অনেকের।চারশ’ বাবুই পাখির জন্য তিনি দেখিয়েছেন অসাধারণ ভালোবাসা। রামপুর গ্রামের মূল সড়কের পাশে একটি দীর্ঘ তালগাছ। গাছের মাথায় পাতায় পাতায় বাবুই পাখির দুই শতাধিক বাসা। সম্প্রতি গাছের মালিক গাছটি বিক্রি করে দেন। গাছের পাশেই রিপন মিয়ার ধানের জমি। রিপন খেয়াল করেন গাছটি বেপারি কেটে নিয়ে যাবে। কিন্তু এতে নষ্ট হবে প্রায় চারশ’ পাখির আবাস। পরে তাল গাছটি তিনি কিনে নেন। এছাড়াও যত দিন গাছে পাখি থাকবে তিনি ততদিন সেটি বিক্রি বা কাটবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেন।

বুড়িচং উপজেলার ভরাসার বাজার পার হয়ে যেতে হয় সদর উপজেলার বলেশ্বর। তারপরের গ্রাম রামপুর। রামপুর গ্রামের ভেতর দিয়ে সুন্দর সড়কটি গিয়ে মিলেছে তৈলকুপি বাজারে। রামপুর গ্রামের সড়কের পাশে তাল গাছটি। গাছ আর পাখি দেখতে এখানে ভরাসারে অবস্থিত সোনার বাংলা কলেজের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় তরুণরা ভিড় করে।

কৃষক মো. রিপন মিয়া জানান, জমিতে ফসল ফলানো আর বাড়িতে গরু পালন তার মূল পেশা। জমির পাশের তাল গাছটিতে অনেক বাবুই পাখি কিচির মিচির শব্দ তুলে ডাকে। গাছের কাছে এসে পাখির শৈল্পিক বাসা বুনন আর ডাক শুনলে তার মন ভালো হয়ে যায়। তাদের গ্রামে এ রকম বাবুই পাখির বাসা বাঁধা তাল গাছ আর নেই। তাই তিনি গাছটি কিনে নেন।

সামাজিক বন বিভাগের কুমিল্লার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম জানান, দিন দিন পরিবেশ থেকে বৃক্ষ, পাখি ও বিভিন্ন প্রণি হারিয়ে যাচ্ছে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় এগুলো সংরক্ষণের বিকল্প নেই। কৃষক রিপন মিয়ার এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।

স্থানীয় সোনার বাংলা কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজা সৌরভ জানান, পাখির প্রতি যতেœর বিষয়ে আমরা অনেক উদাসীন। সেখানে একজন কৃষক পাখির প্রতি যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন সেটি বিরল। তার নিকট আমাদের অনেক শেখার আছে। তার মতো অন্যদেরও জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় এগিয়ে আসা উচিত।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ৫, ২০২২ ৩:০৯ অপরাহ্ন
স্কুলের ছাদে শিক্ষকের মনোরম ছাদ বাগান
প্রাণ ও প্রকৃতি

নিজের একান্ত প্রচেষ্ঠায় স্কুলের একাডেমিক ভবনে একটি ছাদ বাগান গড়ে তুলেছেন নীলফামারীর ডোমার উপজেলার পাঙ্গা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের কৃষি শিক্ষক সুকুমার রায়। প্রায় চার হাজার স্কয়ার ফিটের ওই ছাদে স্থান পেয়েছে প্রায় কয়েশত প্রাজাতির গাছপালা। সেখানে রয়েছে ফুল গাছসহ বনজ, ফলদ এবং বিভিন্ন সবজির গাছ।

জানা যায়, স্কুল শিক্ষকের ওই ছাদ বাগানে ঠাঁই পেয়েছে অসংখ্য প্রজাতির সবজি গাছ। পরম যত্নে সেখানে বেড়ে উঠেছে কলাগাছও। রয়েছে পেয়ারা, আম, আতা, কমলা, বাতাবি লেবু, মালটা, পেঁপেসহ আরও অনেক। ফুলের মধ্যে, গোলাপ, রঙ্গন, গন্ধরাজ, দোলন চাঁপা, কাঠ গোলাপ, মাধবী লতা, বিভিন্ন প্রজাতির জবা, চেরি, এলমুন্ড, টগরসহ নানা প্রজাতির মৌসুমী ফুল।

ভেষজ গাছের মধ্যে এ্যালোভেরা, তুলসী, থানকুনী, পাথরকুচিসহ আরও অনেক গাছ। শিক্ষক সুকুমার রায় জানান, প্রতিনিয়তই তার বাগানে বেড়েই চলছে গাছের সংখ্যা। সেখান থেকে শিক্ষার্থীসহ অনেক দর্শনার্থীই তার থেকে গাছের প্রজাতি নিয়ে যান।

তিনি জানান, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তিনি ফুলে ফলে সাজাতে চান স্কুলের চারপাশ। গড়ে তুলতে চান বড় আকারের বাগান। তার স্বপ্ন স্কুল ঘিরে বাগান নয় বরং বাগান ঘিরে স্কুল থাকবে।

২০১৬ সাল থেকে কাজ শুরু করে তিলে তিলে সাজানো এই ছাদ বাগান সম্পর্কে বলতে গিয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন শিক্ষক সুকুমার রায়। তিনি বলেন, আমার সহকর্মী, শিক্ষার্থীসহ সকলেই এ কাজে আমাকে অনেক সহায়তা করেন।

আমি যেখানে যে প্রজাতির গাছ পেয়েছি তাই সংগ্রহ করেছি। বিভিন্নস্থানের বন-জঙ্গল থেকে তুলে এনেছি অনেক গাছ। অনেকেই আমার এসব কাজ দেখে প্রথমে হেসেছেন। আমি থেমে থাকিনি। আজকের এই বাগাম আমার কাছে সন্তানতু্ল্য।

তিনি বলেন, আমরা চাইলে প্রত্যেকেই আমাদের ছাদগুলোকে এভাবে সাজাতে পারি। তাতে প্রাকৃতিকভাবে যেমন আমরা হবো সবল, তেমন অর্থনৈতিকভাবে তৈরি করতে পারি সফলতা। আমার অনেক শিক্ষার্থী তারাও নিজের বাড়িতে ছোট ছোট করে বাগান তৈরি করেছে।

আরো পড়ুনঃ ধান কাটার যন্ত্র উদ্ভাবন করেছে ব্রি, কৃষিতে আসছে বিপ্লব

তথ্যসুত্রঃ প্রথম আলো

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ৩, ২০২২ ১০:৩০ অপরাহ্ন
বাণিশান্তায় পরিবেশবান্ধব কৃষি মেলা
Uncategorized

গত ৩০ ডিসেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার বাণিশান্তা ইউনিয়নের ইউনিয়নে উত্তর বাণিশান্তা গ্রামের পরিবেশবান্ধব কৃষি মেলা এর আয়োজন করা হয়েছে ।  উত্তর বাণিশান্তা গ্রামে জনগোষ্ঠীভিত্তিক বীজ ব্যাংক গড়ে তোলা হয়েছে এবং এর সাথে সম্পৃক্ত কৃষকেরা দেশীয় বীজ পরিবেশবান্ধব উপায়ে চাষ করছে ।  দেশীয় বীজ ও পরিবেশবান্ধব কৃষিকাজের সম্প্রসারণ ঘটানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট এন্ড ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (বেডস্) প্রকল্প সুবিধাভোগী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সম্পৃক্ততায় এ কৃষি মেলা এর আয়োজন করেন । এ মেলায় প্রকল্প সুবিধাভোগীরা সকলকে দেশীয় বীজ ও পরিবেশবান্ধব কৃষিকাজের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন ।

জাপান ট্রাস্ট ফর গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট (জেটিজিই) এর আর্থিক সহায়তায় বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (বেডস্) ও জাপান এনভায়রনমেন্টাল এডুকেশান ফোরাম (জীফ)-এর আয়োজনে সুন্দরবন উপক‚লীয় এলাকায় স্থানীয় জাতের বীজ সংরক্ষণাগার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কৃষি ও প্রাণবৈচিত্র্য সংরক্ষণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে । এ প্রকল্পের আওতায় এই কার্যক্রমটি সম্পাদন করা হয়েছে । এ মেলায় অংশগ্রহণ করেন প্রকল্পের ৪০ জন সদস্য ও বেডস্ সদস্যবৃন্দ । এ মেরায় প্রায় ১৭৭ জন স্থানীয় জনগোষ্ঠী অংশগ্রগহণ করেন ।

আরো পড়ুনঃ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে নতুন কৃষি সচিব এর শ্রদ্ধা

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২, ২০২২ ৪:৪৩ অপরাহ্ন
পাখিদের অভয়ারণ্য
প্রাণ ও প্রকৃতি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলো এখন দু’ দেশের পাখিদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। পাখিদের নিরাপদে থাকা ও তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিকারীদের হাত থেকে রক্ষায় সচেতনতা গড়ে তোলার কাজও চলছে। আর ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগ নিয়েছেন আখাউড়ায় এক কলেজ ছাত্র। যার সঙ্গী হয়েছেন আরো ১৩ জন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার ভারতীয় সীমান্ত সংলগ্ন গ্রামগুলোতে পাখিদের নিরাপদ অবস্থান ও চলাচল নিশ্চিত করতে কাজ করে চলেছে একদল তরুণ। বিভিন্ন গাছে হাঁড়ি বেধে দেয়া হয়েছে। দেয়া হচ্ছে খাবারের যোগানও। এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নজর কেড়েছে সকলের। আর এই কাজটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন আখাউড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী তোফায়েল চৌধুরী। পাখিদের রক্ষায় যিনি গড়ে তুলেছেন একটি সংগঠন।

স্থানীয়রা জানান, ভারত থেকেও অনেক পাখি উড়ে আসে এসব গ্রামে। বাংলাদেশের পাখিরা তো রয়েছেই। তারা যেন শিকারিদের ফাঁদে ধরা না পড়ে সেজন্য তোফায়েল চৌধুরী ও তার সহযোগীদের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক কর্মসূচি চালানো হয়। লাগানো হয়েছে সাইনবোর্ড। বিতরণ করা হয় লিফলেট। এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

পাখি প্রেমিক তরুণ তোফায়েল জানালেন, প্রথমে একাই আখাউড়া সীমান্তের গ্রামগুলোতে পাখি রক্ষায় কাজ শুরু করেন। পরে গড়ে তুলেছেন ‘সীমান্ত পাখী রক্ষা’ নামে একটি সংগঠন। যার সদস্য ১৩জন। তারা সীমান্তবর্তী আবদুল্লাহপুর, সাহেবনগর, বঙ্গেরচর, হীরাপুর, কালিকাপুর, আনন্দপুর ও রাজেন্দ্রপুরসহ আশপাশের গ্রামে পাখি রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন।

স্থানীয় পরিবেশবিদরাও প্রশংসা করছেন এমন উদ্যোগের। তারা বলছেন, পাখি রক্ষা পেলে পরিবেশ উপকৃত হয়। যা দেশের জন্যও উপকারী।

সম্পূর্ণ নিজেদের অর্থে পাখী রক্ষায় কাজ করে চলেছেন তোফায়েল চৌধুরী ও তার সহযোগীরা। এটাও সবার প্রশংসা কুড়িয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২, ২০২২ ৩:৫৪ অপরাহ্ন
চাকরি ছেড়ে মুক্তা চাষে স্বাবলম্বী নাজিম উদ্দিন
প্রাণ ও প্রকৃতি

নাজিম উদ্দিন। সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার সদরপুর গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় ছিলেন একজন এনজিও কর্মী। এনজিওতে কাজ করার সময় পরিচয় হয় ময়মনসিংহের কয়েকজন মুক্তা চাষির সঙ্গে। তাদের চাষ দেখে আগ্রহ বেড়ে যাওয়ায় নিজের ৪০ শতাংশ জায়গার পুকুরে ৫০০ ঝিনুক দিয়ে মুক্তা চাষ শুরু করেন।

নাজিম বছর শেষে দেখেন অধিকাংশ মুক্তা মারা গেছে। হতাশ না হয়ে মুক্তা চাষের উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে আবার শুরু করলে সফল হন। আয় হয় ৭০ হাজার টাকা। এরপর থেকে তার আর পেছনে থাকাতে হয়নি। তিনি এখন সফল মুক্তা চাষি। সিলেট, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারের পাশাপাশি ভারতেও বিক্রি করছেন তার উৎপাদিত মুক্তা। খামারে বেকারদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলছেন তিনি।

মুক্তা চাষি নাজিম উদ্দিন বলেন, মাছের পাশাপাশি মুক্তা চাষ শুরু করি শখের বসে। আমাদের এখানে ঝিনুক কিনতে হয় না। হাওরসহ নদ-নদী থেকে ঝিনুক সংগ্রহ করে অপারেশনের মাধ্যমে মুক্তা চাষ করতে হয়। মুক্তা চাষ করে প্রথমে লোকসান হলেও এখন মুক্তা চাষে লাভবান আছি।

শান্তিগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান, নাজিম উদ্দিন মুক্তা চাষের উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে চাষ করছেন। আমরা তাকে আমাদের সাধ্যমতো সহযোগিতা করে থাকি। প্রথম দুই বছর তিনি অনেক কষ্ট করেছেন, লাভের মুখ দেখতে পারেননি। কিন্তু বর্তমানে তিনি মুক্তা চাষ করে সফল হয়েছেন।

জানা যায়, ২০১৭ সালে শখের বশে নিজের পুকুরে মাছের পাশাপাশি ৭ হাজার টাকা খরচ করে ঝিনুক দিয়ে চাষ শুরু করেছিলেন। শুরুতেই অধিকাংশ মুক্তা মারা যায়। এরপর ২০১৮ সালে ময়মংসিংহ মুক্তা গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অরুণ চন্দ্র বর্মণের কাছে গিয়ে আবারও প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তা চাষের কিছু যন্ত্রপাতি নিয়ে আসেন। ২০১৯ সালে হাওরসহ বিভিন্ন নদ-নদী থেকে ঝিনুক সংগ্রহ করে ৮০০ ঝিনুক দিয়ে চাষ শুরু করে সফল হন। এবার ৫-৬ লাখ টাকা বিক্রি করার আশা করছেন তিনি। পাশাপাশি নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop