১:২৮ অপরাহ্ন

শনিবার, ১৬ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ডিসেম্বর ১১, ২০২১ ১২:৫৩ অপরাহ্ন
​সাফারীপার্কে থমসন গজেল পরিবারে নতুন অতিথি
প্রাণ ও প্রকৃতি

গাজীপুরের শ্রীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কে এবার আফ্রিকান প্রাণী থমসন গজেল পরিবারে নতুন অতিথির জন্ম হয়েছে। সম্প্রতি পার্কের কোর সাফারীর আফ্রিকান সাফারীতে মায়ের সাথে নতুন শাবকটিকে ঘুরতে দেখতে পেয়ে শুক্রবার (সন্ধ্যায়) বিষয়টি গণমাধ্যমে জানায় পার্ক কর্তৃপক্ষ। নতুন অতিথি নিয়ে সাফারী পার্কে থমসন গজেল পরিবারের সংখ্যা তিনটিতে দাঁড়ালো।

সাফারীপার্ক কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্য মতে, হরিণ বিশিষ্ট থমসন গজেল মূলত আফ্রিকান এন্টিলুপ প্রজাতির প্রাণী। অনেক স্থানে এ প্রাণীকে টমি হিসেবেও ডাকা হয়। পূর্ব আফ্রিকার কেনিয়া ও তানজানিয়ার সেরিঙ্গেটি অঞ্চলে এ প্রাণীর মূল আবাসস্থল। অভিযাত্রী জোসেফ থমসনের নামে এ প্রাণীটির নামকরণ করা হয়েছে। এরা তৃণভূমিতে বিচরণ করে থাকে। এদের প্রধানত খাবার ঘাস। এ প্রাণী দৈর্র্র্ঘ্য হয় ৮৮ সেমিপর্যন্ত। এরা ঘন্টায় ৮০/৯০কিলোমিটার গতিতে দৌঁড়াতে পারে।

এটিকে চিতার পরে চতুর্থ দ্রুততম স্থল প্রাণী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। একটি পুুরুষ গজেলের ওজন হয় ২০/৩০ কেজি, স্ত্রীদের ওজন ১৫/২৫ কেজি পর্যন্ত হয়। চোখের চার পাশে সাদা রিং, চোখের কোন থেকে নাকের দিকে কালো ডোরা, নাকের উপর একটি কালো দাগ থাকে। পুরুষের চোখের সাথে সু-বিকশিত প্রিঅরবিটাল গ্রন্থি থাকে, যেগুলো ঘ্রাণ চিহ্নিত অঞ্চলের জন্য ব্যবহৃত হয়। পুরুষের রিংযুক্ত শিং রয়েছে। স্ত্রীদের শিং থাকেনা। দলের পুরুষ সদস্যগণ অনেকটা যুদ্ধ করে নিজের অবস্থান তৈরী করে, স্ত্রী গজেলের গর্ভকাল সময় ১৬৬দিন। প্রতিবার ১টি করে শাবকের জন্ম দেয় থমসন গেজেল। জনসংখ্যা কমে যাওয়ায় এ প্রাণীকে প্রায় বিপদাপন্ন হিসেবে স্থান দেয়া হয়েছে।

সাফারী পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তবিবুর রহমান বলেন, এরা আফ্রিকান সাফারীতে উন্মুক্ত অবস্থায় বিচরণ করে। তবে গত এক সপ্তাহ পূর্বে গেজেল পরিবারে শাবকের জন্ম হলেও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে মা সন্তানকে লুকিয়ে রাখায় দেখা যায়নি। পরে শাবক নিয়ে বের হয়ে আসায় তাদের দেখা যায়। এখন পর্যন্ত এ প্রাণীটি সুস্থ রয়েছে। মায়ের সাথে ঘুরে দুধ পান করতে দেখা গেছে। এবার এ প্রাণীটিকে টিকিয়ে রাখতে আমরাও নজদারী করছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১০, ২০২১ ৪:৩৫ অপরাহ্ন
বরগুনায় বিরল প্রজাতির শকুন উদ্ধার
প্রাণ ও প্রকৃতি

বরগুনার তালতলী থেকে বিরল প্রজাতির একটি হিমালয়ান শকুন উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে তালতলীর সোনাকাটা ইউনিয়নের কবিরাজপাড়া এলাকার একটি ধানক্ষেত থেকে শকুনটি উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, বিকেলে ধানক্ষেতে শকুনটি দেখতে পান কয়েকজন যুবক। পরে গ্রামবাসীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শকুনটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় শকুনটি খুবই দুর্বল ছিল এবং ভালভাবে উড়তে পারছিল না।

স্থানীয় লোকজন বলেন, শকুন উদ্ধারের খবরটি ছড়িয়ে গেলে পাখিটিকে এক নজর দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় শুরু হয়।

বন বিভাগের তালতলী রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, ধানক্ষেত থেকে স্থানীয়রা একটি শকুনটি উদ্ধার করে আমাদের অফিসে নিয়ে আসে। শকুনটি অসুস্থ রয়েছে বলে আকাশে উড়তে পারছে না। চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে পরিচয় নিশ্চিত হতে শকুনটির ছবি পাঠানো হয় বাংলাদেশ বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা জোহরা মিলার কাছে। তিনি এই প্রজাতিটিকে হিমালয়ী শকুন (Himalayan Griffon) বা ‘হিমালয়ান গৃধিনী’ বলে চিহ্নিত করেন। তার ধারণা, শীতে পরিযায়নের পথে শকুনটি খাবারের অভাব বা অন্য কোনো কারণে অসুস্থ হয়ে থাকতে পারে।

তিনি বলেন, পৃথিবীতে দ্রুততম বিলুপ্ত হতে চলা প্রাণী শকুন। তাই শকুনমাত্রই বিশ্বে ‘মহাবিপন্ন’ (Critically Endangered)। বাংলাদেশে শকুনের পরিস্থিতি খুবই খারাপ।  আইইউসিএনের হিসেবে বাংলাদেশে মাত্র ২৬৮টি শকুন রয়েছে।

জোহরা মিলা বলেন, পশু চিকিৎসায় ডাইক্লোফেনাক ও কেটোপ্রোফেনের ব্যবহার, খাদ্য সংকট এবং বাসস্থান সংকটসহ নানা প্রতিকূল পরিবেশের কারণে প্রকৃতির ঝাড়ুদার হিসেবে পরিচিত এই পাখিটি হারিয়ে যাচ্ছে। শকুন বিলুপ্ত হয়ে গেলে সুন্দর একটি পাখি হারানো পাশাপাশি দেশের মানুষ অ্যানথ্রাক্স, জলাতঙ্কসহ পশু হতে সংক্রামক রোগের ভয়াবহ ঝুঁকিতে পড়বে। বন অধিদপ্তরসহ আইইউসিএন শকুন রক্ষায় বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পাখিটির প্রতি আমাদের সদয় হওয়া খুবই প্রয়োজন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১০, ২০২১ ৪:০৬ অপরাহ্ন
সারোয়াতলীতে সাপ আতঙ্কে ঘুমাতে পারেন না বাসিন্দারা
প্রাণ ও প্রকৃতি

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলী গ্রামের মানুষ এখন সাপ আতঙ্কে ভুগছে। গ্রামবাসীদের দাবি প্রায় সর্বত্র সাপ আর সাপ। যেদিকে যাবেন সেদিকেই সাপ। ঘরের মধ্যে, বিছানায়, পুকুর, রাস্তাঘাট-কোথায় নেই। বাইক চালিয়ে বাসায় যাই। যখন তখন বাইকের সামনে পড়ে নানা ধরণের সাপ।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, গত দু মাস ধরে এ সমস্যা প্রকট হয়ে উঠেছে। সাপের ভয়ে পা ফেলাই আতঙ্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাপের কামড় খেয়ে অনেকে হাসপাতালে আছে।

প্রতি বন্যার সময় অর্থাৎ মে, জুন এবং জুলাই পর্যন্ত এই তিন মাস সাপের দংশন এবং তার কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু বোয়ালখালীতে শীতের এই সময়ে সাপের উপদ্রবের কারণ একটু ভিন্ন।

গ্রামটিতে একটি প্রাচীন খাল ছিলো। সেই খালটি এক বছর ধরে সংস্কারের কাজ চলছে। যে কারণে খালের দু’পাশে দীর্ঘকাল ধরে গড়ে ওঠা ঝোপঝাড় পরিষ্কার করা হয়েছে। মূলত এরপর থেকে অসংখ্য সাপ বেরিয়ে এসেছে। প্রথমে জমি পুকুরে দেখা যেত সাপ পর সাপ। এখন ঘর কিংবা বসতবাড়িতে উঠে আসছে। চলার পথেই অনেক সময় শব্দ শোনা যায় আবার সামনেও পড়ে নানা ধরনের সাপ। সাপ থেকে রক্ষা পেতে অনেকে ঘর বাড়ির জানালা বা অন্য ফাঁকা জায়গাগুলোতে নেট লাগালেও নানা পথে সাপ ঢুকে পড়ছে ঘরের মধ্যে।

গ্রামের অনেক কৃষক ক্ষেতের আইলে কাজ করার সময় হঠাৎ পেছন থেকে সাপে কামড় দেয়। কিসে কামড় দিয়েছে কৃষকরা কিছু বুঝতে পারিনি। পরে হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার বললো বিষধর সাপে কামড় দিয়েছে।

বোয়ালখালী উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম বলেন, গ্রামে একটি প্রাচীন খাল ছিল। কৃষি জমিতে সেচের পানি সরবরাহ ঠিক রাখতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (বিএডিসি) এ খাল খনন করছে। আমরা কর্তৃপক্ষকে বলেছি আপাতত খাল খনন কাজ বন্ধ রাখতে। কয়েক মাস আগে তাদের গ্রামের লাগোয়া রায়খালী খালপাড়ের জঙ্গল কেটে ফেলা হয়। এরপর থেকে বিভিন্ন প্রজাতির সাপ কৃষি জমিতে, উঠানে, রাস্তায় এবং বাড়িঘরে ঢুকে পড়ছে। চারদিকে সাপ আতঙ্ক বিরাজ করছে।

অবশ্য আগের তুলনায় এখন কিছুটা কমে এসেছে। আমরা ব্যাপারটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সাপের থাকার জায়গা নষ্ট করে দেয়া হয়েছে বলেই সাপ ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা তিনজনকে পেয়েছি যাদের একজন বিষধর সাপের কামড় খেয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।

সাপ বিশেষজ্ঞ ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ভেনোম রিসার্চ সেন্টারের বোরহান বিশ্বাস রমন বলছেন, এলাকাবাসীর ধারণাই ঠিক। সেখানে আসলেই সাপের থাকার জায়গা নষ্ট করে দেয়া হয়েছে বলেই সাপ ছড়িয়ে পড়েছে। তবে আতঙ্কের কারণে অনেকে সাপ মারছেন যা মোটেও ঠিক হচ্ছে না। এ সময় এতো সাপ বাইরে থাকার কথা নয়। বাইরে আসছে কারণ তাদের থাকার জায়গা ধ্বংস হয়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া উচিত।

অনেক প্রাচীন ঝোপঝাড় উচ্ছেদ করায় সাপের বসত নষ্ট হয়েছে এ কারণেই প্রতিনিয়ত অসংখ্য সাপ লোকালয়ে সামনে চলে আসছে। সাধারণত শীতের সময় সাপের উপদ্রব কম থাকে বলে এলাকাবাসী আশা করছিলো শীত আসতে আসতে সাপের উপদ্রব কমবে। কিন্তু সেটি না হওয়ায় রীতিমত বিস্মিত এলাকার মানুষ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১০, ২০২১ ১১:৩২ পূর্বাহ্ন
হাকালুকি হাওরের প্রাকৃতিক পরিবেশ সুরক্ষা ও সংরক্ষণে করণীয় বিষয়ক সংলাপ
প্রাণ ও প্রকৃতি

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় হাকালুকি হাওরের প্রাকৃতিক পরিবেশ সুরক্ষা ও সংরক্ষণে করণীয় বিষয়ক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) বৃহস্পতিবার (০৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টায় বড়লেখা উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এই সংলাপের আয়োজন করে। বড়লেখা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় সংলাপে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী, শিক্ষক, পরিবেশকর্মী ও মৎস্যজীবীরা অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক শাহ সাহেদা আখতারের সঞ্চালনায় সংলাপে অংশ নেন উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান রাহেনা বেগম হাসনা, থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রতন দেবনাথ, মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তা মির্জা মেহেদী সারোয়ার, প্রথম আলোর মৌলভীবাজারের নিজস্ব প্রতিবেদক আকমল হোসেন নিপু, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) মৌলভীবাজারের সমন্বয়ক আ.স.ম সালেহ সুহেল, দেশ টিভির জেলা প্রতিনিধি সালেহ এলাহি কুটি, জ্যেষ্ঠ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল হাসান, তালিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান বিদ্যুৎ কান্তি দাস, বর্ণি ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি লুৎফুর রহমান চুন্নু, সাংবাদিক আব্দুর রব, পরিবেশ সাংবাদিক ফোরাম জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নুরুল মোহাইমিন মিল্টন, বড়লেখা নজরুল একাডেমির উপদেষ্টা ও পরিবেশকর্মী জুনায়েদ রায়হান রিপন, মোহাম্মদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজিম উদ্দিন, সাংবাদিক জালাল আহমদ, উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম, মৎস্যজীবী সমিতির সদস্য মোস্তাব আলী প্রমুখ।

সংলাপে আলোচকরা হাওরের প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় প্রতিবেশ সংকটাপন্ন মালাম বিলের চারপাশের কৃত্রিম বাঁধ অপসারণ, যে জায়গায় গাছ কাটা হয়েছে সেখানে গাছ রোপণ, কেউ যাতে সরকারি জায়গা দখল করে কৃষি জমির আওতায় নিয়ে আসতে না পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ, যারা নির্বিচারে গাছ কেটে হাওরের পরিবেশ নষ্ট করছে তাদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা ও প্রতিবেশ সংকটাপন্ন হাওরের বিলের ইজারা বাতিলের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন করতে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণের জন্য মতামত ব্যক্ত করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৯, ২০২১ ২:২২ অপরাহ্ন
বাঘ-হাতির নির্বিঘ্নে চলার পথ তৈরির সম্ভাব্যতা নিরূপণ করা হচ্ছে- পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রী
প্রাণ ও প্রকৃতি

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, সরকারের পরিকল্পনাধীন ‘বঙ্গবন্ধু ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন করিডোর’ হাতি ও বাঘসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এ জন্য ভারত থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের কাসালং, সাঙ্গু হয়ে মিয়ানমার পর্যন্ত এশীয় হাতি ও রয়েল বেঙ্গল টাইগারের জন্য আন্তঃদেশীয় নির্বিঘ্ন চলাচলের পথ বা করিডোর তৈরির সম্ভাব্যতা নিরূপণ করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এটা করা সম্ভব হলে এই তিন দেশের হাতি ও বাঘের খণ্ডিত আবাসস্থলগুলোর ভেতর সংযোগ স্থাপিত হবে। যেটা এই প্রাণী দু’টির প্রজনন ও বংশবৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এবং একইসাথে এই অঞ্চলের অন্যান্য বন্যপ্রাণীর সংরক্ষণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এর মাধ্যমে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নে আরও এক ধাপ অগ্রসর হতে পারবো।

আজ (বৃহস্পতিবার) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বন অধিদফতর আয়োজিত ফিজিবিলিটি স্টাডি অব ট্রান্সবাউন্ডারি ওয়াইল্ডলাইফ করিডোর ইন চট্টগ্রাম, চিটাগাং হিলট্রাক্টস অ্যান্ড কক্সবাজার উইথ মিয়ানমার অ্যান্ড ইন্ডিয়া শীর্ষক সমীক্ষা প্রকল্পের ন্যাশনাল রেজাল্ট শেয়ারিং অ্যান্ড কনসালটেশন ওয়ার্কশপে তিনি এসব কথা বলেন।

শাহাব উদ্দিন বলেন, বনভূমির অভ্যন্তরে বসতি স্থাপন, বনভূমিকে কৃষিজমিতে রূপান্তর ও বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের বনভূমি সংকুচিত হচ্ছে। একই সাথে বন্যপ্রাণী হারাচ্ছে তাদের আবাসস্থল ও চারণভূমি। ফলশ্রুতিতে মানুষ ও বন্যপ্রাণীর দ্বন্দ্ব ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, এতে করে মানুষ ও বন্যপ্রাণী উভয়ই প্রাণ হারাচ্ছে। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ সংস্থার (আইইউসিএন) ২০১৬ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী বাংলাদেশে এশীয় হাতির সংখ্যা সর্বমোট প্রায় ২৬৮টি এবং ২০১৮ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী বাংলাদেশে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা প্রায় ১১৪টি। দ্রুত সংরক্ষণের ব্যবস্থা না করলে অচিরেই এই গুরুত্বপূর্ণ প্রাণিগুলো বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে আশু পদক্ষেপ নেওয়ার উদ্দেশ্যেই পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ বন অধিদফতর এশীয় হাতি ও বেঙ্গল টাইগারের আন্তঃদেশীয় ও দেশের অভ্যন্তরীণ চলাচল নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে চলতি বছর জুন মাসে এ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনার কার্যক্রম নেয়। আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত টিকে থাকা বন্যপ্রাণীদের রক্ষার অঙ্গীকার ও সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

ওয়ার্কশপে সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী হাবিবুন নাহার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী প্রমুখ। প্রকল্পের সার্বিক বিষয়ে বক্তব্য দেন আইইউসিএন বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ রকিবুল আমীন। কীনোট পেপার উপস্থাপন করেন করিডোর প্রজেক্টের ন্যাশনাল এক্সপার্ট এম মনিরুল এইচ খান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৯, ২০২১ ১২:২৯ অপরাহ্ন
জেলেদের জালে আটকে মারা পড়ছে পাখি
প্রাণ ও প্রকৃতি

কুয়াকাটার অদূরে গভীর বঙ্গোপসাগরে জেগে ওঠা চর বিজয়ে মাছ শিকারের জন্য পেতে রাখা অবৈধ জালে আটকা পড়ে মারা যাচ্ছে পাখি। জেলেদের অসচেতনতার কারণে এভাবে পাখি মারা পড়ায় জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে।

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে সাগরের বুকে জেগে উঠেছে চর বিজয়। পাঁচ হাজার একর আয়তনের এ চরের অধিকাংশ এলাকা বর্ষা মৌসুমে পানিতে ডুবে থাকে। তবে শীত মৌসুমে জেগে ওঠে এই চর। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে পর্যটকেরা এই চরে আসেন এবং এটির নাম দেন ‘চর বিজয়’। শীত মৌসুমে জেলেরা এখানে এসে জাল পেতে মাছ ধরেন। তখন তাঁরা এখানে অস্থায়ী ঘরও তৈরি করেন।

এবার শীত মৌসুমের শুরুতেই এই চরে জেলেদের উপস্থিতি বেড়েছে। জেলেরা চরের চারপাশে খুটাজাল পেতে মাছ শিকার করছেন।

কয়েকজন পর্যটক চর বিজয় থেকে ফিরে এ তথ্য দিয়েছেন। তাঁদেরই একজন আরিফুর রহমান জানান, চরে পেতে রাখা জালে আটকে পড়া মরা পাখি দেখা গেছে। জেলেরা মৃত সেই পাখিগুলোকে সৈকতেই ফেলে দিচ্ছেন। মরা পাখি পচে চরে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।

ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার পরিচালক রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, পর্যটন মৌসুমে পর্যটকেরা ট্রলার নিয়ে মাঝেমধ্যে চর বিজয় দেখতে যান। জেলেদের জালে আটকে প্রতি মাসে কম পক্ষে ২০–২৫টি পাখি মারা যাচ্ছে।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জগৎবন্ধু মণ্ডল বলেন, ‘দুই বছর আগে থেকেই চর বিজয়কে সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওখানে কারোরই যাওয়ার কথা নয়। আমরা এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছি। যাঁরা এ কাজে জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৮, ২০২১ ১:২৭ অপরাহ্ন
শেরপুরে বন্য হাতির জন্য অভয়াশ্রম হচ্ছে
প্রাণ ও প্রকৃতি

শেরপুরের সীমান্ত অঞ্চলে হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব চলছে বছরের পর বছর ধরে। এই দ্বন্দে সরকারি হিসাবে গত ১৯ বছরে এখানে ৫৮ জন মানুষ ও ৩২টি হাতি মারা গেছে। গত মাসে ১৯ দিনের ব্যবধানে দুইটি হাতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ১৯ বছরে আহত হয়েছে শতাধিক মানুষ ও অন্তত পঞ্চশটি হাতি। কোটি কোটি টাকার ফসল গেছে হাতির পেটে।

বন্যপ্রাণী হত্যা বন্ধ করতে স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অনেক প্রতিবাদ হচ্ছে। এই এলাকায় হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব কমাতে ও জানমাল রক্ষা করতে সরকারি-বেসরকারিভাবে কোটি কোটি টাকার নানা প্রকল্পও কোনো কাজে আসেনি।দিনদিন বেড়েই চলছে হাতি ও মানুষের মৃত্যু। তাই হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে সরকার চাইছে হাতির জন্য অভয়াশ্রম করতে।

মঙ্গলবার বিকেলে জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার মধুটিলা ফরেস্ট রেঞ্জে হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসন শীর্ষক সচেতনতামূলক আলোচনা সভায় এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন দেশের বন বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

আলোচনা সভায় প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন জানান, এখানে হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব কমাতে বনে হাতির জন্য অভয়াশ্রম করা হচ্ছে। দ্রুত এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে ইতিমধ্যেই সরকার পাহাড়ে জরিপ কাজ শুরু করেছে।

সভায় প্রধান অতিথি বন পরিবেশ ও জলবায়ু সচিব মোস্তুফা কামাল বলেছেন, গত ১৯ নভেম্বর পরিবেশবাদীরা হাতি হত্যা বন্ধে উচ্চ আদালতে রিট করেছেন। রিটে দ্রুত হাতি হত্যা বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ ও দায়িত্বপ্রাপ্তদের করণীয় সম্পর্কিত ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। তাছাড়া দেশ-বিদেশে হাতি রক্ষায় বন বিভাগের কার্যকরী ভূমিকা চাচ্ছে। এই লক্ষ্যেই উক্ত প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আলোচনা সভায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বনের ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষরা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৭, ২০২১ ১১:২৬ পূর্বাহ্ন
রংপুরের বদরগঞ্জ ভাড়ারদহ বিলে অতিথি পাখির মেলা
প্রাণ ও প্রকৃতি

অর্ধশতাব্দী আগে হারিয়ে গিয়েছিল বিলটি। দখলমুক্ত করে বিল খননের পর বসেছে এখানে অতিথি পাখির মেলা। রংপুরের বদরগঞ্জ পৌরশহরের পাশে ভাড়ারদহ বিলে গেলে এখন শোনা যাবে হরেক রকমের অতিথি পাখির কিচির-মিচির শব্দ। শব্দে মুখর পুরো বিল এলাকা। বিলের পাড়ে নানা প্রজাতির উদ্ভিদের বিপুল সমারোহ দেখে চোখ জুড়িয়ে যাবেশীতপ্রধান দেশ থেকে ছুটে এসেছে নানা জাতের পাখির দল। স্থানীয়রাসহ আশপাশের অনেকেই বিলের সৌন্দর্য উপভোগের জন্য প্রতিদিন ছুটে আসছেন।

বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিনের অবহেলায় পড়ে থাকায় বিলটি এক সময় জলাভূমিতে পরিণত হয়। একপর্যায়ে স্থানীয়রা দখল করে বিলটিকে কৃষিভূমিতে পরিণত করে। অর্ধশতাব্দী পর এলাকাবাসী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিলটি পুনর্খননের উদ্যোগ নেয় বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। নকশা দেখে বিলের সীমানা নির্ধারণ করা হয়। এরপর ভূ-উপরিস্থ পানির সর্বোত্তম ব্যবহার ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে বৃহত্তর রংপুর জেলায় সেচ সম্প্রসারণ (ইআইআর) প্রকল্পের আওতায় ১১ দশমিক ৫৯ একরের এ বিলটি চলতি বছরের ১ জানুয়ারি খনন শুরু করা হয়। মার্চে খনন কাজ শেষ হলে বিল ফিরে পায় হারানো প্রাণ। এখন এ বিলে সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি ঝাঁকবাঁধা পাতি সরালি, জলময়ূর, চাপাখি, লরীয়তি, বন ভারত, খঞ্জনা, চাতক, টুনটুনি, ফিঙ্গে, বিভিন্ন প্রজাতির বক, ঘুঘু, শালিক, দোয়েল, মাছরাঙাসহ নানা প্রজাতির পাখির দেখা মিলছে। ৬০ থেকে ১০০ ফুট চওড়া বিলের দুই পাড়ে সোনালু, কৃষ্ণচূড়া, জারুল, নাগেশ্বর, নাগলিঙ্গম, কুরচি, ছাতিম, কদম, চিকরাশি, শ্বেত চন্দন, বকুল, গন্ধরাজ, মহুয়া, শিমুল (বার্মিজ), দেশি শিমুল, পলাশ, কাঞ্চন, হিজল, অশোক, পারুল, তমাল, চাঁপা, করম, বাজনা, গৌরিচৌরি, রাধাচূড়া, কাঠমল্লিকা, মাধবীলতা, টগর, হৈমন্তী, ডুমুর, ঢেউয়া, খড়কি জাম, কোরিয়ান জাম, কতবেল, আঞ্জির, জাফরান, হরীতকী, আমলকী, পানিয়াল, গাব, ননিফল, বুদ্ধ নারিকেল, বিলম্বি, গামারি, কাইজেলিয়া, ইপিল, বাবলা, বওলা, জিগনিসহ শতাধিক প্রজাতির ফলদ, বনজ, ঔষধি ও ফুলের গাছ রোপণ করা হয়েছে। এ ছাড়া মাছ চাষও হচ্ছে।

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রকল্প পরিচালক হাবিবুর রহমান খান বলেন, রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার জামুবাড়ী মৌজার এ বিলটি ‘ভাড়ারদহ’ বিল নামে পরিচিত। বদরগঞ্জ উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত চিকলী ও গডডাংগী নদীর মিলনস্থল বা ঘূর্ণিময় অংশ ছিল এ ভাড়ারদহ বিল। চিকলী নদীর প্রবাহ পরিবর্তনের ফলে এ অংশটি বিলে পরিণত হয়। একপর্যায়ে বিলটি শুকিয়ে গেলে স্থানীয়রা কৃষি জমি হিসেবে ব্যবহার শুরু করে। চলতি বছর বিলের জমি উদ্ধার করে খনন করা হয়। বিলের ধারে বিভিন্ন ধরনের গাছ রোপণ করা হয়েছে। বিলটি এখন অতিথি পাখিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৬, ২০২১ ১:৩৯ অপরাহ্ন
ফরিদপুরে অবাধে চলছে পাখি শিকার
প্রাণ ও প্রকৃতি

ফরিদপুরের বিভিন্ন হাওর ও বিলে অবাধে চলছে পরিযায়ী পাখি শিকার। শৌখিন ও পেশাদার শিকারিরা বিষটোপ, জাল ও বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ পেতে অতিথি পাখি শিকার করছে।

বিক্রি করার জন্যই জেলার হাওর, বিল ও মাঠ থেকে এসব পাখি শিকার করছে একটি অসাধু চক্র।

সরেজমিনে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের দাদুরিয়া বিলে গোলাম মোস্তফা মোল্যা নামে এক ব্যক্তিকে পাখি শিকার করতে দেখা যায়। পেশাদার এ পাখি শিকারি জানান, তিনিসহ বেশ কয়েকজন শিকারি রয়েছেন। তারা বিভিন্ন স্থানে বিল-হাওড় ও মাঠে ঘুরে ঘুরে ফাঁদের মাধ্যমে পাখি শিকার করেন এবং বিক্রি করে থাকেন।

দাদুরিয়া বিল থেকে পাখি শিকারের ব্যাপারে বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, বিষয়টি প্রাণিসম্পদ দপ্তরকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। এ ধরনের শিকারিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দীপক রায় বলেন, ফাঁদ পেতে পাখি শিকার দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে পাখি শিকারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৫, ২০২১ ১:৩৮ অপরাহ্ন
চাঁদপুরের মতলবে শিয়ালের কামড়ে ১৭ জন আহত
প্রাণ ও প্রকৃতি

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে শিয়ালের কামড়ে শিশুসহ ১৭ জন আহত হয়েছে।শনিবার উপজেলার নায়েরগাঁও উত্তর ইউনিয়নের আধারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই স্থানীয় লোকজন শিয়ালটিকে মেরে ফেলেছে বলে জানা গেছে।

এলাকাবাসী ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, হঠাৎ করে একটি শিয়াল উপজেলার নায়েরগাঁও উত্তর ইউনিয়নের আধারা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন মিয়ার স্ত্রী ও তার ভাইয়ের স্ত্রীকে কামড় দেয়।

এরপর একে একে আধারা উচ্চ বিদ্যালয়ের নাইটগার্ড শাহজাহান, একই গ্রামের বাচ্চু মিয়া, মোবারক হোসেন ও তার ছেলের বউ, মামুন হোসেন, শফিকুল ইসলামের স্ত্রী, দুলাল প্রধানের স্ত্রী, মৃত কফিল উদ্দিন হাজীর ছেলে শাহজাহান, খাদিজা ও হাসানুর রহমানের স্ত্রী আম্বিয়া খাতুনসহ বেশ কয়েকজনকে কামড়ে দেয়।

পরে আহত অবস্থায় মামুন হোসেনকে ঢাকা ও আব্দুল মতিন মিয়ার স্ত্রীকে গৌরীপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop