৮:৩৬ অপরাহ্ন

শনিবার, ১৬ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : নভেম্বর ২১, ২০২১ ১:২৪ অপরাহ্ন
দুই সপ্তাহে সাতটি হাতির মৃত্যু, বিলুপ্তির আশঙ্কা
প্রাণ ও প্রকৃতি

গেল দুই সপ্তাহে সাতটি হাতির মৃত্যুর ঘটনায় বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলছেন এভাবে চলতে থাকলে খুব দ্রুত বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে এই প্রাণীটি।

সর্বশেষ শুক্রবার উত্তরে সীমান্তবর্তী জেলা শেরপুরের নালিতাবাড়ি থেকে ৪-৫ বছর বয়সী এক হাতির শাবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে বন বিভাগ। এ নিয়ে গত দুই সপ্তাহে শেরপুর ও চট্টগ্রামে সাতটি হাতির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল।

সম্প্রতি শেরপুর ও চট্টগ্রামে হাতির বিচরণক্ষেত্রগুলোতে বন কেটে সবজি কাজ করছেন স্থানয়িরা। এ জন্য হাতির বিচরণক্ষেত্র দখল হয়ে যাচ্ছে।

একইসঙ্গে হাতিরা যেন সবজির ক্ষেত নষ্ট করতে না পারে সেজন্য ক্ষেতের চারপাশে জিআই তারের বেড়া দিয়ে তা বিদ্যুতায়িত করে রাখা হচ্ছে। এই বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়েও মারা যাচ্ছে হাতি।

স্থানীয়রা বলছেন, সন্ধ্যা নামতেই হাতিদের উৎপাত বেড়ে যায়। তাদের তাড়াতে সরকারের পক্ষ থেকে টর্চ লাইট সরবরাহ করা হলেও, হাতিরা এখন আর লাইট, আগুন বা মশালে ভয় পায় না, বলছেন স্থানীয়রা।

এমন অবস্থায় নিজেদের জানমাল রক্ষায় হাতির বিরুদ্ধে চড়াও হন তারা।

এমনটা চলতে থাকলে এই প্রাণীটি বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তাফা ফিরোজ।

তিনি জানান, “এ ধরণের বড় স্তন্যপায়ী প্রাণীর নতুন পপুলেশন গ্রোথ কম, মানে একটা মা হাতি কয়েক বছর পর পর বাচ্চা জন্ম দেয়। সে হিসেবে শেরপুরের হাতির গ্রোথ ভালো হলেও যেভাবে হাতি মারা হচ্ছে, তাতে এই প্রজাতির টিকে থাকা নিয়েই প্রশ্ন উঠবে।”

বন্যপ্রাণী বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা- আইইউসিএন এর হিসেব অনুযায়ী বাংলাদেশের এশীয় প্রজাতির পূর্ণাঙ্গ বয়সী হাতির সংখ্যা ২৫০টির কম।

এজন্যে এই প্রাণীটিকে বাংলাদেশে মহা-বিপন্ন বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

বর্তমান আইনে হাতি নিধনের সর্বোচ্চ শাস্তি দুই থেকে ১২ বছরের কারাদণ্ড এবং এক থেকে ১৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।
সেইসঙ্গে হাতির হামলায় কেউ মারা গেলে তিন লাখ টাকা, আহত হলে এক লাখ টাকা এবং ফসলের ক্ষতি হলে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের বিধানও রয়েছে। কিন্তু এই মামলার কোন প্রয়োগ নেই বলে অভিযোগ বিশেষজ্ঞদের।

এ নিয়ে বন অধিদফতরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক এ এস এম জহির উদ্দিন আকনের দাবি, স্থানীয়দের আইন ভাঙার প্রবণতা এবং জনবল সংকটের কারণে তাদের পক্ষে এতো বিশাল এলাকা নজরদারি করা সম্ভব হচ্ছে না।

“একজন ফরেস্ট গার্ডকে দুই হাজার হেক্টর জায়গা দেখাশোনা করতে হয়। আর ঘটনাগুলো তো নির্দিষ্ট স্থানে ঘটছে না। সব বনাঞ্চলে বিক্ষিপ্তভাবে হচ্ছে। রাতের আঁধারে কেউ যদি বিদ্যুতের তার পাতে সেটা বের করা অসম্ভব ব্যাপার।“

হাতির জন্য আরেকটি বড় বিপদ হিসেবে দেখা হচ্ছে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজারের পর্যন্ত ১২৮ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প।

রেলপথটি ২৭ কিলোমিটার জুড়ে হাতির তিনটি বিচরণক্ষেত্রের ভেতর দিয়ে গিয়েছে। মহা-বিপন্ন এই প্রাণীর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে দেশব্যাপী হাতির এই বিচরণক্ষেত্রগুলো দখলমুক্ত করার পাশাপাশি হাতির নিরাপত্তার স্থানীয় মানুষদের সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২০, ২০২১ ১২:৩৯ অপরাহ্ন
মুক্ত আকাশে উড়লো ১২০টি বক
প্রাণ ও প্রকৃতি

চলনবিল অধ্যুষিত নাটোরের গুরুদাসপুরে মুক্ত আকাশে অবমুক্ত করা হয়েছে শিকারীর ফাঁদ থেকে উদ্ধার হওয়া ১২০টি বক।

আজ শনিবার ভোর ৪টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন বিলে পরিবেশকর্মীরা এ অভিযান পরিচালনা করে এসব পাখি উদ্ধার করেন।

গুরুদাসপুর জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সদস্যরা উপজেলার খুবজিপুর ইউনিয়নের আটটি বিলে অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ১২টি পাখি শিকার করা ফাঁদ ধ্বংস করেন। এসময় শিকারীদের ফাঁদ থেকে ১২টি শিকারী বক ও খাঁচাবন্দি ১০৮টি বুনো বক উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া পাখিগুলো স্থানীয় এলাকাবাসীদের নিয়ে মুক্ত আকাশে অবমুক্ত করেন পরিবেশকর্মী।

গুরুদাসপুর জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান জানান, চলনবিল অধ্যুষিত গুরুদাসপুর উপজেলায় এ মৌসুমে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার অতিথি পাখি আসে। পাখি শিকার বন্ধে প্রতিটি এলাকায় অভিযান পরিচালনাসহ প্রচার-প্রচারণাও চালানো হচ্ছে। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২০, ২০২১ ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন
খাগড়াছড়ির কমলছড়িতে কৃষি জমিতে ইটভাটা, শঙ্কিত স্থানীয়রা
প্রাণ ও প্রকৃতি

খাগড়াছড়িতে কৃষি জমির ওপর নতুন করে ইট ভাটা তৈরির কাজ চলছে। জেলা সদরের কমলছড়িতে লোকালয়ের মধ্যে এমন কাজে স্থানীয়রা উদ্বেগ ও শঙ্কা প্রকাশ করেছেনপাহাড়ে।ইটভাটার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মানছেন না কেউ।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় ব্রিক ফিল্ডের অনুমোদন নেই একটিরও। অথচ ৩০টির বেশি ইট ভাটা চলছে বছরের পর বছর ধরে। এদিকে খাগড়াছড়ি সদরের কমলছড়িতে বসতবাড়ির কাছাকাছি এভাবে টিনের ঘেরাও দিয়ে কৃষি জমিতে নতুনভাবে ইট ভাটা নির্মাণের কাজ চলছে। প্রচলিত আইনে জনবসতি, বনজঙ্গল ও পাহাড়ের কাছে ইটভাটা নির্মাণে কড়া বিধিনিষেধ থাকলেও তা অমান্য করেই এই ইটভাটার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তাই পরিবেশ সংকটাপন্নের শঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় বাসিন্দা মনি ময় চাকমা বলেন, আমরা অনেকবার তাদের বারণ করেছি। কিন্তু তারা কথা শোনেনি। পাশে একটা পুরাতন ইটভাটা আছে। এটার কারণে রাস্তাঘাটে ধুলোবালিতে খারাপ অবস্থা। আশপাশের গাছগুলোতে ফলনও হয়না। তার উপর নতুন করে আরেকটি ইটভাটা হচ্ছে। যা গ্রামের পরিবেশ নষ্ট করবে।

কমলছড়ির পাইলট পাড়ার পাড়াকেন্ত পূর্ণ শোভা চাকমা বলেন, গাছে আগের মতো ফলন না। ঘরবাড়ি, গাছপালা, ফসলি জমিতে শুধু ধুলাবালি। গ্রামীণ রাস্তাঘাটও ইটভাটার কারণে ক্ষতি হচ্ছে।

ইট তৈরিতে পাহাড় ও কৃষি জমির মাটি ও বনাঞ্চলের কাঠ পুড়িয়ে চলছে সবগুলো ইট ভাটা। লোকালয়ের কাছাকাছি পরিবেশের জন্য হুমকি এসব ভাটা বন্ধে হস্তক্ষেপ চান পরিবেশকর্মী ও স্থানীয়রা।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্মল দাশ জানান, প্রতিনিয়ত পাহাড়ের বনজ সম্পদ ধ্বংস করা হচ্ছে। বহু বছর ধরে ইটভাটাগুলোতে বহু টন গাছ পোড়ানো হচ্ছে। তার ওপর বসতিপূর্ণ এলাকায় আরও একটা নতুন ইটভাটা নির্মাণ হচ্ছে। আমরা আশা করবো প্রশাসন নতুন করে কোনো ইটভাটা চালু করতে দেবে না এবং পুরাতনগুলো বন্ধের ব্যবস্থা করবে।

ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইন কার্যকর হওয়ার পর সনাতন পদ্ধতির ভাটাগুলো বিলুপ্তির কথা থাকলেও খাগড়াছড়িতে তা মানা হচ্ছে না।

নতুন করে ভাটা স্থাপনে জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে দাবি করে নির্মাণাধীন ভাটার মালিক মো. হারুন জানান, তিনি ‘ঝিকঝাক’ পদ্ধতির ইটভাটা করবেন। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আবেদনও করেছেন।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, নতুন করে কোনো ইটভাটা হতে দেওয়া হবে না। খোঁজ নিয়ে অভিযান চালিয়ে ইটভাটা বন্ধ করে দেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৯, ২০২১ ৭:৪৩ অপরাহ্ন
শেরপুরে আবারও বন্য হাতির মরদেহ উদ্ধার
প্রাণ ও প্রকৃতি

শেরপুরে আবারও বন্য হাতি মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আড়াই-তিন বছর বয়সের ওই মাদি বন্য হাতি গত রাতের যেকোন সময় মারা গেছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ। আজ শুক্রবার ভোরের দিকে সীমান্ত অঞ্চল নালিতাবাড়ীর রামচন্দ্রকোড়া ইউনিয়নের মায়াগাছি-পানিহাতা অঞ্চলের পরিত্যাক্ত ধান খেত থেকে ওই মৃত বন্যহাতির মৃতদেহ উদ্ধার করে শেরপুর বন বিভাগ।

ওই অঞ্চল বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আব্দুল করিম দাবি করেছেন, হাতিটি দেখতে অনেকটা অসুস্থ। গত ৯ নভেম্বর শেরপুরের সীমান্ত অঞ্চল শ্রীবরদী উপজেলার মালাকোচা এলাকায় আরেকটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার হয়েছিলো। ওই হাতিটিকে স্থানীয়রা বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে হত্যা করে বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই ঘটনায় ১১ নভেম্বর ৪ জনকে আসামি করে একটি মামলাও করে বন বিভাগ।এ নিয়ে ১০ দিনের ব্যবধানে শেরপুর সীমান্তে ২টি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটলো।

বনবিভাগ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরে খাদ্যের সন্ধানে পাহাড় থেকে বন্যহাতির দল লোকালয়ে নেমে এসে ফসলের খেতে হানা দিয়ে আসছিলো।

নালিতাবাড়ীা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হেলেনা পারভীন বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন,  হাতিটি কিভাবে মারা গেছে তা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। ময়নাতদন্তের পর সঠিক তথ্য জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৯, ২০২১ ১:৪৬ অপরাহ্ন
বিদ্যুতের ফাঁদে মেছো বিড়ালের মৃত্যু
প্রাণ ও প্রকৃতি

বুধবার (১৭ নভেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার ধুরিয়াল গ্রামের কৃষক আতাউর রহমান ধানক্ষেতে পাতা ফাঁদে মেছো বিড়ালটির মৃত্যু হয়।

কৃষক আতাউর রহমান জানান, তার বসতবাড়ির পাশের নির্জন ধানক্ষেতে ইঁদুরের আক্রমণ ঠেকাতে বৈদ্যুতিক ফাঁদ পাতা হচ্ছিল। ওই ফাঁদেই মেছো বিড়ালটির মৃত্যু হয়েছে।

খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা। এ সময় বিদ্যুতের ফাঁদে জড়ানো অবস্থায় মৃত মেছো বিড়ালটি দেখতে পান তারা।

এদিকে ধানক্ষেতে বিদ্যুতের ফাঁদে মেছো বিড়ালের মৃত্যুর খবরে দুঃখ প্রকাশ করে বাংলাদেশ বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা জোহরা মিলা বলেন, এই সময়টাতে পাকা ধানের ক্ষেতে ইঁদুরের আক্রমণ হয়। আর মেছো বিড়ালটি ইঁদুর শিকারেই ধানক্ষেতে গিয়েছিল।

তিনি বলেন, মেছো বিড়ালকে (Fishing Cat) অনেক এলাকায় মেছোবাঘ নামেও ডাকে। এর প্রকৃত নাম মেছো বিড়াল। বাঘ নামে ডাকার কারণে শুধু শুধু আতঙ্ক ছড়িয়েছে। প্রাণীটি মানুষকে আক্রমণ করে না, বরং মানুষ দেখলে পালিয়ে যায়। তাই এটি নিয়ে ভীত হওয়ার কিছু নেই। বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্রই এই প্রাণীটি বিচরণ রয়েছে। জলাভূমি আছে এমন এলাকায় বেশি দেখা যায়। প্রাণীটি জলাভূমির মাছ, ব্যাঙ, কাঁকড়া ছাড়াও পোকামাকড় ও ইঁদুর খেয়ে কৃষকের উপকার করে। জনবসতি স্থাপন, বন ও জলাভূমি ধ্বংস, পিটিয়ে হত্যা ইত্যাদি কারণে বিগত কয়েক দশকে এই প্রাণীটির সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পেয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ২০০৮ সালে মেছো বিড়ালকে বিপন্ন প্রাণী প্রজাতির তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করেছে আইইউসিএন। তাছাড়া বন্যপ্রাণী আইন-২০১২ অনুযায়ী এই প্রজাতি সংরক্ষিত। তাই এটি শিকার, হত্যা বা এর কোনো ক্ষতিকরা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৯, ২০২১ ১:০৩ অপরাহ্ন
আকাশে উড়লো অর্ধশতাধিক পাখি
প্রাণ ও প্রকৃতি

সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় অভিযান চালিয়ে অর্ধশতাধিক পাখিসহ সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে জীববৈচিত্র্য কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত জেলার কালিগঞ্জ ও শ্যামনগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালান জীববৈচিত্র্য কর্মকর্তা তন্ময় আচার্য ও বন্যপ্রাণী পরিদর্শক রাজু আহমেদ।

অভিযানে শিকার হওয়া সারস, বক, পানকৌড়ি, ডাহুক, ঘুঘু ও শালিকসহ অর্ধশতাধিক পাখি উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় পাখি ধরার ফাঁদ ও নানা সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।

এ বিষয়ে জীববৈচিত্র্য কর্মকর্তা তন্ময় আচার্য বলেন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ওয়াইল্ডলাইফ মিশনের সহযোগিতায় বিভিন্ন প্রজাতির পাখি উদ্ধার করা হয়েছে। পরে জব্দ করা সরঞ্জাম পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। পরে পাখিগুলো বিভাগীয় বন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৯, ২০২১ ১২:২৩ অপরাহ্ন
নালিতাবাড়ীতে বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার
প্রাণ ও প্রকৃতি

শেরপুরে নালিতাবাড়ী উপজেলার পানিহাতা সীমান্তে আবারও একটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ভোরে হাতির মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এনিয়ে ১০ দিনের ব্যবধানে শেরপুর সীমান্তে ২টি হাতির মরদেহ উদ্ধার করা হলো। এর আগে গত ৯ নভেম্বর শ্রীবরদী উপজেলার মালাকোচা এলাকায় আরেকটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার হয়েছিল।

নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হেলেনা পারভীন এবং বনবিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আব্দুল করিম বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে হাতিটি কিভাবে মারা গেছে সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেননি।

ঘটনাস্থলে থাকা বনবিভাগের মধুটিলা রেঞ্জের গোপালপুর বীট কর্মকর্তা মো. শাহআলম মুঠোফোনে জানান, স্থানীয়দের নিকট থেকে সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। পানিহাতা এলাকার মায়াঘাসি গ্রামে বন্যহাতির মরদেহটি দেখা যায়। তিনি বলেন, উদ্ধার হওয়া বন্যহাতিটি পুরুষ, বয়স আনুমানিক ২ বছর হতে পারে। হাতিটি অসুস্থ্য হয়ে মারা যেতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

ঘটনাস্থলে থাকা পরিবেশবাদী সংগঠন বার্ড কনজারভেশন অব শেরপুর-এর সভাপতি সুজয় মালাকার জানান, হাতিটির কেবল দাঁত উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয়রা গর্ত খুড়ে হাতিটি মাটিচাপা দিতে চেষ্টা করছিল।

উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে খাদ্যের সন্ধানে পাহাড় থেকে বন্যহাতির দল পানিহাতা এলাকার লোকালয়ে নেমে এসে ফসলের ক্ষেতে হানা দিচ্ছিল। স্থানীয় অধিবাসীরা বন্যহাতির কবল থেকে ক্ষেতের ফসল রক্ষায় চেষ্টা করছিল। এদিকে, গত ৯ নবেম্বর শ্রীবরদী উপজেলার মালাকোচা এলাকায় বিদ্যুতের ফাঁদে বন্যহাতি হত্যার অভিযোগে ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছে বনবিভাগ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৮, ২০২১ ৩:১২ অপরাহ্ন
শুঁড় হারানো সুমাত্রান হাতিশাবকটি মারা গেল
প্রাণ ও প্রকৃতি

শিকারদের ফাঁদে পড়ে শুঁড় হারিয়েছিল বিপন্ন প্রজাতির সুমাত্রান বাচ্চা হাতি। এবার প্রাণও হারিয়েছে সে। ইন্দোনেশিয়ার আচেহ জায়াতে এ ঘটনা ঘটেছে।

শিকারীদের ফাঁদে পড়ে পাওয়া আঘাত সামলে উঠতে পারেনি ১ বছরের বাচ্চা হাতিটি। দুই দিন পরই তার মৃত্যু হয়।

শিকারীদের ফাঁদে আটকা পড়লে তাকে উদ্ধার করে চিকৎসা দেওয়া হয়। তার শুঁড় কেটে জীবন বাঁচানোর চেষ্টা চালানো হয়েছিল। কিন্তু আঘাত থেকে ছড়ানো সংক্রমণের কারণ বাঁচানো যায়নি তাকে।

জাতীয় সম্পদ সংরক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে, হাতিটির আঘাত গুরুতর ছিল এবং সংক্রমণ ছড়ানোয় তাকে বাঁচাতে পারিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৮, ২০২১ ২:০০ অপরাহ্ন
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে ১১ টি তক্ষক অবমুক্ত
প্রাণ ও প্রকৃতি

গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে অবমুক্ত করা হয়েছে র‌্যাবের অভিযানে উদ্ধার করা বিভিন্ন প্রজাতির এগারোটি তক্ষক।

বৃহস্পতিবার পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী বন সংরক্ষক তবিবুর রহমান এ তথ্য জানান।

পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, ১১ নভেম্বর রাজধানীতে র‌্যাব-১০-এর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে সংরক্ষিত এবং পাচারের উদ্দেশ্যে আটক করা এই তক্ষকগুলো উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় র‌্যাব ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপির) যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করে তক্ষকগুলো থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের মাধ্যমে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে দেয়। বুধবার পার্ক কর্তৃপক্ষ পার্কের নিরাপদ প্রাকৃতিক পরিবেশে তক্ষকগুলো অবমুক্ত করে।

 

 

 

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৮, ২০২১ ১১:৩১ পূর্বাহ্ন
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে ভারতীয় হাতি, আতঙ্কে এলাকাবাসী
প্রাণ ও প্রকৃতি

ভারত সীমান্তের মেঘালয় থেকে চারটি বন্য হাতি সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বড়গোপ টিলায় প্রবেশ করেছে। হাতির আগমণের খবরে টিলার বসবাসকারীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। একই সঙ্গে উৎসুক জনতা হাতি দেখতে টিলায় ভিড় করেছে।

জানা যায়, মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) রাত দেড়টার যাদুকাটা নদী দিয়ে এই চারটি হাতি এসে বড়গোপ টিলার জঙ্গলে অবস্থান নেয়।

এলাকার বাসিন্দারা জানান, হাতির দল বড়গোপ টিলায় আরশাদ ফকিরের খেতের আলু ও সামছু মিয়ার জমির ধানের সামান্য ক্ষতি করেছে। হাতির আগমনের খবরে বারেকটিলায় বসবাসকারীদের মাঝে আতংক দেখা দিয়েছে। বর্তমানে বিজিবি ও পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে।

বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এস আই মো. শহীদুল ইসলাম জানান, বড়গোপ টিলার জঙ্গলে তিনটি বড় ও একটি হাতির বাচ্চা অবস্থান করছে। তিনি বলেন, আমিসহ পুলিশ ফোর্স ও বিজিবি সদস্যগণ ঘটনাস্থলে আছি। হাতিগুলোকে কেউ যাতে বিরক্ত করতে না পারে সে ব্যাপারে আমরা সচেষ্ট রয়েছি।

গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় বড়গোপ টিলার বাসিন্দা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মনিরা আজিম বলেন, হাতি এখনো বড়গোপ টিলায় অবস্থান করছে। আমরা আতংকে আছি।

পরিবেশকর্মী আহমেদ কবীর বলেন, বন্যপ্রাণি ক্ষতি করলে বন বিভাগ ক্ষতিপূরণ দেয়। মহাবিপন্ন প্রাণি হাতিকে বিরক্ত না করলে কারো ক্ষতি করবে না।

তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. রায়হান কবির বলেন, জেলা প্রশাসক, বন বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকেই জানিয়েছি। কেউ যাতে হাতির দলকে বিরক্ত না করতে পারে সেজন্য পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop