সরিষা মাঠে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌ খামারিরা
এগ্রিবিজনেস
উল্লাপাড়ায় সরিষা মাঠে শুরু হয়েছে মৌ খামারিদের মধু সংগ্রহের কাজ। গত ১৫ দিনে এখানে এখন পর্যন্ত ১১৫টি মৌ খামারি উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের বিভিন্ন সরিষার মাঠে মধু সংগ্রহের জন্য মৌ বাক্স ফেলেছেন খামারিরা। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর এখানে মৌ খামারিদের সংখ্যা বেশি।
এ বছর উল্লাপাড়ায় অন্ততঃ ১৯০ টন মধু উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছে উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি বিভাগ।
উল্লাপাড়ার আশার আলো মৌ খামারের মালিক আব্দুর রশিদ জানান, চলনবিল অধ্যুষিত আলীগ্রাম মাঠে ৩৫০টি মৌ বাক্স স্থাপন করেছেন। তার মৌ খামারে ৪ জন শ্রমিক কাজ করছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর তিনি মধু উৎপাদনে সফল হবেন বলে উল্লেখ করেন। তিনি জানান, মধু পাইকারি ২৫০ টাকা কেজি দরে এবং খুচরা ৩০০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
সংগৃহীত মধু দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে। আশার আলো খামারে কর্মরত অনার্স পড়ুয়া শ্রমিক মো. শরিফুল ইসলামের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, প্রতি বছর মধু সংগ্রহের সময় তিনি মৌ খামারে কাজ করেন। এ সময় যে আয় হয় তা দিয়ে তিনি সারা বছর পড়াশোনার কাজে ব্যয় করেন।
তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে তিনি নিজেই মৌ খামার স্থাপনের পরিকল্পনা করছেন।
উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আজমল হক জানান, চলতি রবি মৌসুমে উল্লাপাড়ার ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌর সভায় ১৮ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। ইতিমধেই উপজেলার বিভিন্ন সরিষা মাঠে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ১ শত মৌ খামারি মধু সংগ্রহের জন্য উল্লাপাড়ায় এসেছে। এদের মৌ বাক্সের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ১২ হাজার। আগামী কয়েকদিনে আরও ১৫ জন মৌ খামারি উল্লাপাড়ায় আসার প্রস্তাব দিয়েছে।
গেল বছর উল্লাপাড়ার সরিষা মাঠ থেকে ১৭০ টন মধু সংগ্রহ করেছিলেন। এ বছর এখানে ১৯০ টন মধু সংগ্রহ করা হবে বলে কৃষি বিভাগের ধারণা। দেশে উপজেলার মধ্যে উল্লাপাড়া উপজেলা সরিষা উৎপাদনে শীর্ষে রয়েছে। ফলে দেশের সবচেয়ে বেশি মধু উল্লাপাড়ায় উৎপাদিত হয়। এখান থেকে দেশের বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি ও বিভিন্ন বাজারে মধু পাঠানো হয়ে থাকে। সরিষা মৌসুমে এখানে অনেক বেকার যুবক সাময়িকভাবে কাজের সুযোগ পান।