৩:৫১ পূর্বাহ্ন

শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৫, ২০২১ ২:১১ অপরাহ্ন
নার্য্য মূল্য পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আড়তে ধান দিচ্ছেন কৃষক
এগ্রিবিজনেস

দিনাজপুরের হিলিতে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে খোলা বাজারে বেশি দাম পাওয়ায় ও ঝামেলা না থাকায় সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিতে আগ্রহ নেই কৃষকদের। এতে চলতি আমন মৌসুমে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে খাদ্য বিভাগ বলছে, ধান সংগ্রহের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা আশা করছে, নির্ধারিত ধান সংগ্রহ করতে পারবে। 

হিলির পালপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ধান খোলা বাজারে বিক্রি করাই ভালো। গুদামে ধান দিতে গিয়ে নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয়। আড়তগুলোতে ধান বিক্রি করা খুব সহজ। বললে বাড়ি থেকে ধান নিয়ে যান আড়তদারের লোকজন। অপরদিকে, টাকা খরচ করে ধান গুদামে নিয়ে গেলে নানা ধরনের ত্রুটি ধরে। আবার টাকা পেতে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। আড়তে কাঁচা ধান বিক্রি হয়ে যায়। গুদামে টাকা খরচ করে ধান নিয়ে গিলে বলে ভেজা, ১৪ শতাংশ চিটা। এসব ঝামেলার কারণে গুদামে ধান দিই না। গুদামের চেয়ে কিছুটা দাম কম হলেও আড়তে ধান বিক্রি দিচ্ছি আমরা।

আরেক কৃষক আশরাফুল ইসলাম বলেন, এবার আমন মৌসুমে নানা রোগ, পোকামাকড়ের আক্রমণের কারণে ধানের ফলন নিয়ে শঙ্কা থাকলেও আল্লাহর রহমতে ভালো ফলন হয়েছে। বিঘাপ্রতি ১৪ থেকে ১৫ মণ ফলন হয়েছে। ধানের যে দাম তাতে আমরা লাভবান হচ্ছি। তবে গুদামে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে খোলা বাজারে ধানের দাম বেশি। গুদামে ধান দিতে গেলে অনেক ঝামেলা। লটারিতে নাম উঠলে ধান দিতে পারেন কৃষক। এ ছাড়া ধান দিতে পারেন না। আড়তদাররা বাড়ি থেকে ধান কিনে নিয়ে যান। গুদামে ধান নিয়ে গেলে বাড়তি যে ভ্যান ভাড়া লাগতো, তা লাগছে না।

তিনি বলেন, গুদামে ভালো ধান দিতে হয়। এর ওপর ধান দিয়ে টাকা সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায় না। ওই ধান আড়তে দিলে সঙ্গে সঙ্গে টাকা পাওয়া যায়; সে কাঁচা হোক আর পাকা। কিন্তু গুদামে দিতে গেলে সেটি হয় না। ফলে গুদামে ধান দিতে আগ্রহী নই।

হিলির ছাতনি চারমাথা মোড়ের ধানের আড়তদার নুর মোহাম্মদ বলেন, আমরা স্বর্ণা-৫ জাতের ধান কিনছি এক হাজার ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। গুটি স্বর্ণা জাতের ধান কিনছি এক হাজার ১০ টাকা। তবে কিছুদিন আগে এসব ধানের দাম আরও বাড়তি ছিল। বর্তমানে কিছুটা কমেছে। এসব ধান ঢাকা, নওগাঁসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের মোকামগুলোতে সরবরাহ করা হয়। সরকারি গুদামে ধান দিতে গেলে কৃষকদের বাড়তি খরচ লাগে। এর ওপর বাজারে ধানের যেই দাম, সরকারি খাদ্যগুদামে একই দাম। ফলে কৃষকরা গুদামে ধান সরবরাহ করছেন না।

হিলি এলএসডি খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা জোসেফ হাসদা বলেন, চলতি আমন মৌসুমে এই উপজেলায় ৪৪৬ টন ধান সংগ্রহের জন্য বরাদ্দ পেয়েছি। প্রতি কেজি ধান ২৭ টাকা কেজি দরে কিনছি। গত ৭ নভেম্বর সারাদেশের মতো হিলি খাদ্যগুদামেও ধান সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী দিনে দুই কৃষকের কাছ থেকে দুই টন ধান সংগ্রহ করতে পেরেছি। এরপর আর কোনও ধান সংগ্রহ করতে পারিনি। তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, যাতে বাকি ৪৪৪ টন ধান সংগ্রহ করতে পারি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৪, ২০২১ ৩:৪৮ অপরাহ্ন
আশা জাগাচ্ছে কৃষিপণ্য রপ্তানি
এগ্রিবিজনেস

কৃষিপ্রধান বাংলাদেশ এখন অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বিশ্ববাজারেও কৃষিপণ্য রপ্তানির সম্ভাবনা দেখছে। এরই মধ্যে জয় করেছে প্রতিবেশী দেশ ভারত, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং মধ্যপ্রাচ্যের বাজার।

বিশ্বব্যাপী করোনার মহামারির প্রভাবের মধ্যেও গত (২০২০-২১) অর্থবছরে ১০০ কোটি ডলারের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছে কৃষিপণ্য। চলতি অর্থবছরের (২০২১-২২) প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) আয় করেছে প্রায় ৫৬ কোটি ডলার। প্রতি ডলার ৮৭ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় তা দাঁড়ায় চার হাজার ৮৭২ কোটি টাকা। এই আয় আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২৪ শতাংশ বেশি।

খাতসংশ্লিষ্টরা জানান, এই ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি অর্থবছরে ১১০ কোটি ডলারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত সময়ের আগেই পূরণ করা সম্ভব হবে। এ নিয়ে দেশের উদ্যোক্তা ও সরকারের নীতি-নির্ধারকরা আরো বড় স্বপ্ন দেখছেন। তাঁরা জানান, দেশের কৃষিপণ্যের উন্নয়নে সম্প্রতি যুক্তরাজ্য এবং নেদারল্যান্ডস সফর করেছে সরকারি-বেসরকারি একটি প্রতিনিধিদল। এ সময় কৃষিপণ্য নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সুপারশপ সেইন্সবারি ও টেসকো। এ ছাড়া বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কৃষিপণ্য রপ্তানিকারক দেশ নেদারল্যান্ডসের একটি কারিগরি দল সহায়তা দিতে আগামী মার্চ মাসে আসছে বাংলাদেশে।

রপ্তানিকারকরা মনে করেন অবকাঠামোগত সহায়তা পাওয়া গেলে আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে কৃষিপণ্যে রপ্তানি দিগুণ করা সম্ভব। দেশের কৃষিপণ্যের বিশ্ববাজারের সম্ভাবনার কথা জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বিশ্ববাজারে কৃষিপণ্য রপ্তানি বাড়াতে সরকার নানা ধরনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সম্ভাবনা যাচাই ও জ্ঞান অর্জনে সরকারি-বেসরকারি একটি প্রতিনিধিদল সম্প্রতি নেদারল্যান্ডস ও যুক্তরাজ্য সফর করেছে। সেখান থেকে ইতিবাচক সারা মিলেছে। এ প্রেক্ষাপটে আগামী বছর মার্চ মাসে ডেনমার্কের একটি কারিগরি প্রতিনিধিদল আসছে বাংলাদেশে। এই প্রতিনিধিদল দেশের কৃষি আধুনিকায়ন, প্রযুক্তি সহায়তা, উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি, সংরক্ষণ ও বিপণন বাড়াতে সহায়তা করবে।’

সরকার দেশের গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষ এখনো গ্রামে বাস করছে। তাদের আয় বাড়াতে, কৃষিপণ্য রপ্তানি বাড়াতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ জন্য কৃষিপণ্য রপ্তানিতে ২০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেওয়া হয়। ভর্তুকি দেওয়া হয় সারে। এ ছাড়া দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন। নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে শাক-সবজি, ফল দেশের বাইরে যায়। বাড়ছে কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যের রপ্তানি বাজার। এর পরও সরকার চায় কৃষির সঙ্গে জড়িত মানুষদের আয় বাড়াতে।’

রপ্তানিকারকরা জানান, কৃষিপণ্য রপ্তানিতে নানা ধরনের সমস্যা সমাধানে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে ঠিক, কিন্তু বিমানবন্দরে কার্গো সমস্যা, কৃষিপণ্য সংরক্ষণ বিড়ম্বনায় পড়তে হয় তাঁদের। এ ছাড়া দক্ষ জনশক্তি এবং বিশ্বমানের স্বীকৃত মানসনদের সমস্যা তো আছেই।

এ বিষয়ে সবজি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ ফ্রুটস ভেজিটেবলস এলাইড প্রডাক্টস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফভিএলপিইএ) সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘ক্রেতার চাহিদা অনুসারে পণ্য রপ্তানি করা হলেও সব পণ্যের ল্যাব নেই বাংলাদেশে। এ জন্য কিছু কিছু পণ্যে গুজরাট এবং সিঙ্গাপুর থেকে মান পরীক্ষা করে আনা হয়। এ ছাড়া সরকার আন্তরিক হলেও সিভিল এভিয়েশনে কর্তৃপক্ষের সুনজর কম।’ তিনি বিমানবন্দরে স্ক্যানার সমস্যার স্থায়ী সমাধান এবং কার্গো বিমানে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পচনশীল পণ্য পরিবহন করার একটি নীতিমালা করার দাবি জানান।

স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের চিফ অপারেটিং কর্মকর্তা পারভেজ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘কৃষি খাতের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে অংশীদারি বাড়ছে। বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ, একই সঙ্গে নেদারল্যান্ডসও কৃষিতে বিশ্ববাজারের বড় অংশীদার। এই অংশীদারির ফলে বাংলাদেশের উৎপাদন থেকে দক্ষতা উভয় ক্ষেত্রে লাভবান হবে। দেশটির প্রযুক্তি সহযোগিতা নেওয়া গেলে পেঁয়াজ, টমেটো এবং আলুসহ কৃষিপণ্য দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব। আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে ২০০ কোটি ডলারের কৃষিপণ্য রপ্তানি করে আয় করা সম্ভব।’

অ্যাগ্রো ফুড প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইকতাদুল হক বলেন, ‘দেশের কৃষিজাত পণ্যের একটি অংশ ভারতের সেভেন সিস্টারস এলাকায় যায়। এই অঞ্চলে মোট রপ্তানির ১৫-২০ শতাংশ যায়। তবে ভারতের কিছু অশুল্ক বাধা (নন-ট্যারিফ ব্যারিয়ার) আছে। এসব বাধা দূর করা গেলে আরো ৫-১০ শতাংশ রপ্তানি বাড়ানো সম্ভব।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৪, ২০২১ ৩:১৫ অপরাহ্ন
কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২০ টাকা
এগ্রিবিজনেস

সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। নতুন করে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।

রাজধানীতে গত সপ্তাহে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০-৬৫ টাকা কেজিতে। আজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮০ টাকায়। দেশি পেঁয়াজের পাশাপাশি দাম বেড়েছে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের।

পেঁয়াজের এই দামের বিষয়ে শ্যামবাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, দুদিন আগে দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি করেছি ৬০ টাকা করে। এখন সেই পেঁয়াজের কেজি ৭৫ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে। হঠাৎ করেই পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। তাই আমরা বাড়তি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি।

অন্য আরেকজন ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের ধারণা এখন পেঁয়াজের দাম বাড়লেও এবার খুব বেশি বাড়বে না। কারণ ইতোমধ্যেই বাজারে মুড়ি কাটা পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে নতুন পেঁয়াজ বাজারে চলে আসবে। কারওয়ানবাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, বাজারে এখন পেঁয়াজের আমদানি (সরবরাহ) কম, এ কারণে দাম বেড়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৪, ২০২১ ১:৩৪ অপরাহ্ন
শেরপুরে সমতল জমিতে মাল্টা চাষে সাফল্য
এগ্রিবিজনেস

শেরপুরে সমতল জমিতে মাল্টা, আঙুরসহ দেশি-বিদেশি নানা প্রজাতির ফল চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন কৃষক হযরত আলী। প্রথমে একশ’ বিঘা জমিতে একটি বাগান দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে প্রায় আটশ’ বিঘা জমি নিয়ে তার রয়েছে ১২টি বাগান। এসব বাগানে উৎপাদিত ফল ফরমালিন ও কীটনাশকমুক্ত থাকায় বেশ চাহিদাও রয়েছে। হযরত আলীর সাফল্য দেখে মিশ্র ফল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন স্থানীয় অনেকে। 

শেরপুর জেলা সদরের যুবক হযরত আলী। ঢাকায় ব্যবসার ফাঁকে ২০১৯ সালে নিজ এলাকায় ফলের বাগান শুরু করেন। কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে উপজেলার রৌহা গ্রামে একশ’ বিঘা জমিতে মাল্টা, কমলা, আঙ্গুর, ড্রাগন ফল, পেঁপে, পেয়ারা ও লেবুসহ ১২টি প্রজাতির ফল বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু করেন।

একসময় পার্শ্বব্যবসা হলেও এখন হযরত আলীর জীবিকার প্রধান উৎস এই বাগান। নিজের জমির পাশাপাশি আরও ৭শ’ বিঘা জমি লিজ নিয়ে ১২টি বাগান গড়ে তুলেছেন তিনি। যেখানে বিদেশি উন্নত জাতের এভোকাডো, থাই ছফেদা, মালবেরি, ত্বীন ফল, আলুবোখারাসহ ২৭১টি জাতের ফলের চাষ করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন প্রজাতির ফলের চারাও উৎপাদন করছেন।

ফরমালিন মুক্ত ও কীটনাশক ব্যবহার না করায় তার বাগানের ফলের বেশ চাহিদা রয়েছে। ফলে লাভও হচ্ছে ভালো। এছাড়া এসব বাগানে ২ শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।

হযরত আলীর সফলতা দেখে এখন মিশ্র ফল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরাও। এছাড়া জেলায় মিশ্র ফল চাষ ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।

শুধু ফল চাষই নয় চাষী হযরত আলী তার বাগানের ফাঁকা জায়গায় মাছ, মুরগি, কবুতর ও গরু পালনও শুরু করেছেন। যা জোগাচ্ছে বাড়তি অর্থ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৩, ২০২১ ২:২৮ অপরাহ্ন
চীনের পর চাল আমদানিতে দ্বিতীয় বাংলাদেশ
এগ্রিবিজনেস

যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) চলতি মাসের ‘খাদ্যশস্য: বিশ্ববাজার ও বাণিজ্য’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০-২১ বাণিজ্য বছরে বাংলাদেশ ২৬ লাখ ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করেছে।

চাল আমদানিতে প্রথম অবস্থানে থাকা চীন প্রতি বছর ৪৫ লাখ টন চাল আমদানি করে থাকে। অন্যদিকে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ফিলিপাইন প্রতি বছর ২৬ লাখ টন চাল আমদানি করে।

চতুর্থ অবস্থানে থাকা নাইজেরিয়ার আমদানি পরিমাণ ১৯ লাখ টন এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা সৌদি আরব প্রতি বছর ১৩ লাখ টন চাল আমদানি করে।

সম্প্রতি ইউএসডিএর প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, বাংলাদেশ এখন বড় আমদানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে। যদিও বাংলাদেশের আমদানি ধারাবাহিক নয়। মানে হলো, কোনো বছর উৎপাদন কম হলে বাংলাদেশ চাল আমদানি করে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ২০২১-২২ সময়ে চাল উৎপাদন আগের পূর্বাভাসের তুলনায় সাড়ে ৭ লাখ টন কম হতে পারে। উৎপাদন দাঁড়াতে পারে ৩ কোটি ৫৫ লাখ টন।

অন্যদিকে বাজার বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দেশে মোটা চাল খুচরা পর্যায়ে কেজি ৪৪ থেকে ৪৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সরু চালের দাম কেজি ৬৬ থেকে ৭০ টাকা। এ ছাড়া মাঝারি চাল কেজি ৫২ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

আমদানি মূল্যের তালিকা দিতে গিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বর্তমানে ভারত থেকে আমদানি করলে প্রতি কেজি মোটা চালের দাম পড়বে ৩২ থেকে ৩৩ টাকা, পাকিস্তানে ৩৪ টাকা, ভিয়েতনামে ৩৮ টাকা এবং থাইল্যান্ডে ৪০ টাকা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১২, ২০২১ ৫:৪৫ অপরাহ্ন
ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভুট্টা আমদানি বেড়েছে
এগ্রিবিজনেস

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভুট্টা আমদানি বেড়েছে। গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে এ বন্দর দিয়ে ভুট্টা আমদানি বেড়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। ভোমরা স্থলবন্দরের কাস্টমসের বিভাগীয় সহকারী কমিশনার আমীর মামুন এ তথ্য জানিয়েছেন।

আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশীয় বাজারে চাহিদা বাড়ায় আমদানি বেড়েছে।

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের রাজস্ব শাখা থেকে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে ভুট্টা আমদানি হয়েছে ২৫ হাজার ৪৪ টন, যার মূল্য ৭০ কোটি ৪ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময় আমদানি হয়েছিল ১৫ হাজার ২৫৩ টন, যার মূল্য ৪৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা। তবে ভুট্টা আমদানিতে সরকারের কোনো রাজস্ব আসে না।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দহকুলা এলাকার ভুট্টা মাড়াই মিল মালিক মো. আমান জানান, তার প্রতিষ্ঠানে মাসে ২০০-২৫০ টন ভুট্টার চাহিদা রয়েছে। এসব ভুট্টা মাড়াই করে মাছচাষী ও গরু খামারিদের কাছে বিক্রি করা হয়। বর্তমান ভুট্টার দাম কিছুটা বেড়েছে। এক মাস আগেও যে ভুট্টার পাইকারি দাম ছিল কেজিপ্রতি ২৭ টাকা, তা এখন কিনতে হচ্ছে ২৯ টাকা দরে।

অন্যদিকে সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলার সাতটি উপজেলায় ভুট্টা উৎপাদন হয়েছে ৯ হাজার ২৮৫ টন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১১, ২০২১ ৩:০৪ অপরাহ্ন
মিরসরাইয়ের পাহাড়ে গোলমরিচ, ২১ লাখ টাকায় বিক্রির সম্ভাবনা
এগ্রিবিজনেস

পাহাড়বেষ্টিত মিরসরাই উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের কয়লা গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দার প্রধান পেশা ছিল কাঠ ও বাঁশ। এতে উজাড় হতো বনাঞ্চল। পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পুরুষরা চোলাই মদ তৈরিতেও জড়িত ছিল। তবে গত তিন বছরে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে তাদের জীবনে। পরিবর্তনটা এনে দিয়েছে দামি মসলা গোলমরিচ।

গত বছর ২০টি প্লট থেকে পাওয়া গেছে ৭০ কেজি গোলমরিচ। যা বিক্রি হয়েছিল ৪২ হাজার টাকায়। এবছর ফলন সাড়ে তিন হাজার কেজি ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ২১ লাখ টাকা।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের জুলাইতে ২০ জন কৃষককে প্রশিক্ষণ দিয়ে সমাজ উন্নয়ন সংস্থা অপকা’র সহযোগিতায় ও দাতা সংস্থা পিকেএসএফের আর্থিক সহায়তায় কয়লা গ্রামের ১১টি প্লট ও ফটিকছড়ি উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নে ৯টি প্লটে বাণিজ্যিকভাবে গোলমরিচ চাষ শুরু হয়। অপকা’র পক্ষ থেকে চারা, খুঁটি ও প্রয়োজনীয় কীটনাশক দেওয়া হয় কৃষকদের। ২০টি প্লটেই গোলমরিচের ফল এসেছে। পুঁতির মালার মতো ধরেছে ফল। স্থানীয় বাজারেই প্রতিকেজি বিক্রি হবে ৫০০-৬০০ টাকায়। এবছর প্রায় ১০ হাজার কেজি কাঁচা গোলমরিচ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। শুকানোর পর যা হবে সাড়ে তিন হাজার কেজি।

কৃষি কর্মকর্তা ও চাষীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গোলমরিচ সাধারণত পাহাড়ের ঢালু ও আধো ছায়াযুক্ত মাটিতে বেশি হয়। ২৫ শতক জায়গা নিয়ে একটি করে প্লট প্রস্তুত করা হয়। যেখানে প্রতি খুঁটিতে ৪টি করে ১২৫টি খুঁটিতে ৫০০ চারা লাগানো হয়। রোপণের ২ বছর পর ফল আসতে শুরু করে। সঠিক পরিচর্যা পেলে ২০ থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত ফল পাওয়া সম্ভব। প্রতি ৪টি গাছ থেকে বছরে ৭-৮ কেজি কাঁচা গোলমরিচ পাওয়া যায়। পরে যা সেদ্ধ করে শুকানো হয়। ফল আসার পর পরিপক্ক হতে লাগে ছয় মাস। গাছের বয়স দুই বছর হওয়ার পর লতা কেটে কাটিং করা যায়। সেই কাটিং-চারা আবার ২০-২৫ টাকায় বিক্রি করা যায়। ২৫ শতকের একটি প্লট থেকে প্রতি বছর ১০ হাজার চারাও বানানো সম্ভব।

স্থানীয় চাষীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাণিজ্যিকভাবে গোলমরিচ চাষে সফল হলেও তারা সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। স্থানীয় কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তারা মাঝে মাঝে বাগান পরিদর্শনে গেলেও প্রশিক্ষণ কিংবা কীটনাশক পান না বলে দাবি করেন চাষীরা।

করেরহাট ইউনিয়ন ও দাঁতমারা ইউনিয়ন দু’টির বেশিরভাগ অংশ পাহাড়বেষ্টিত হওয়ায় শুষ্ক মৌসুমে পানির লেয়ার শুকিয়ে যায়। এতে সেচ সংকটে পড়ে অনেক গাছ মারা যায়। এজন্য গভীর নলকূপ স্থাপন করা প্রয়োজন বলে জানান মসলা চাষীরা।

গোলমরিচ পাকার পর তা সেদ্ধ করে আবার শুকাতে সময় লেগে যায়। সরকারিভাবে বয়লার মেশিন বসানো গেলে দ্রুত গোলমরিচ বিক্রির উপযোগী করা সম্ভব। এ ছাড়া চারা বিক্রির জন্য একটি নার্সারি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সরকারিভাবে চারা কেনা হলেও স্থানীয় চাষীদের জীবনমান উন্নত হবে বলে জানান তারা।

কৃষক রুহুল আমিন বলেন, ‘গোলমরিচ চাষের প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর ২৫ শতক জমিতে চাষ করি। সাথী ফসল হিসেবে আদা, হলুদ, শাক ও মুলার চাষ করি। গোলমরিচের চারা রোপণের ২ বছর পর ফল আসে। আষাঢ়-জৈষ্ঠ্য মাসে ফুল ধরে। মাঘ মাসে ফল পাকে। গত বছর ৫০০ টাকা কেজিতে ১০ কেজি শুকনো গোলমরিচ বিক্রি করেছি। ঝাঁজ বেশি হওয়ায় স্থানীয় বাজারে এর অনেক চাহিদা। অন্য ফসলের চেয়ে রোগবালাইও কম। অবশ্য বর্ষায় মাটি অতিরিক্ত ভেজা থাকলে ছত্রাক ধরে গাছের গোড়া পচে যায়। এ ছাড়া শুকনো মৌসুমে নিয়মিত পানি দিতে না পারলে পাতা হলুদ হয়েও গাছ মরে যায়।

গোলমরিচ চাষী শ্রীকান্ত ত্রিপুরা বলেন, পাহাড়ের ঢালুতে ফলন বেশি হলেও শুষ্ক মৌসুমে পানি সংকটে গাছ মরে যায়। এজন্য দরকার গভীর নলকূপ। এ ছাড়া বয়লার মেশিন বসালেও চাষীদের উপকার হবে।

অপকা’র নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, মিরসরাই উপজেলার করেরহাট ইউনিয়ন ও ফটিকছড়ি উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নটি পাহাড়বেষ্টিত। অনেক জায়গা অনাবাদি ছিল। পাহাড়ের ঢালুতে গোলমরিচ চাষের জন্য পিকেএসএফের অর্থায়নে প্রথমে ২০ জন কৃষককে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করা হয়। বাণিজ্যিকভাবে গোলমরিচ চাষে সফল হওয়ায় পরে আরও ১২শ’ কৃষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এখন করেরহাট ইউনিয়নে প্রায় ৩০০ কৃষক ব্যক্তিগতভাবে গোলমরিচ চাষ করছেন। পাশাপাশি এর চারা বিক্রি করেও লক্ষাধিক টাকা আয় করা সম্ভব বলে জানান তিনি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রঘুনাথ নাহা বলেন, পাহাড়ের ঢালুতে গোলমরিচ ভালো হয়। বিচ্ছিন্নভাবে পঞ্চগড়, শ্রীমঙ্গলে চাষ করা হলেও বাণিজ্যিকভাবে মিরসরাইতে প্রথম গোলমরিচ চাষ হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

কৃষকদের জন্য বয়লার মেশিন ও গভীর নলকূপ বসানোর বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১১, ২০২১ ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন
আখ সংকটে ঠাকুরগাঁও সুগার মিল, অবৈধভাবে গুড় উৎপাদন
এগ্রিবিজনেস

ঠাকুরগাঁওয়ে আখের অভাবে মাড়াই মৌসুমে ব্যাহত হচ্ছে মিলের কার্যক্রম। আখ সংকটে নির্ধারিত সময়ের আগেই মিল বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

অথচ উৎপাদিত আখ থেকে অবৈধ পাওয়ার ক্রাশার মেশিনে দেদার তৈরি হচ্ছে গুড়। মেশিনে গুড় উৎপাদন লাভজনক হওয়ায় মিলে আখ সরবরাহ করছেন না চাষিরা।শ্যালোমেশিনে নিয়ন্ত্রিত পাওয়ার ক্রাশার মেশিনের সাহায্যে ঠাকুরগাঁওয়ের মিল জোন এলাকায় গ্রামে গ্রামে অবৈধভাবে তৈরি করা হচ্ছে আখের গুড়। মাড়াই মৌসুমে সরকারি বিধিনিষেধ থাকলেও কোনোরকম তোয়াক্কা না করেই গুড় তৈরিতে ব্যস্ত জেলার বিভিন্ন এলাকার চাষিরা।

কৃষকের উৎপাদিত আখ সুগার মিলে সরবরাহ করে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়। অথচ দিনে একটি পাওয়ার ক্রাশার মেশিনে ১০ থেকে ১১ মণ আখ থেকে গুড় উৎপাদন হচ্ছে এক মণের বেশি। যেখানে প্রতি কেজি গুড় বিক্রি হয় ৯০-১১০ টাকায়। এতে মিলে আখ সরবরাহ থেকে তিনগুণ বেশি লাভ হওয়ায় অবৈধ পন্থা অবলম্বন করছেন কৃষকরা। ফলে আখ সংকটে সুগার মিলের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

আখ চাষিরা বলছেন, গুড় প্রক্রিয়াজাত করতে শ্রমিকের প্রয়োজন হয় না। তারা নিজেরাই কাজ করেন। এরপর বাজারে বিক্রি করে আয়ের টাকায় সংসারের ব্যয় মেটান বলেও জানান তারা।

মিল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগও বিস্তর। চাষিরা বলছেন, মিলে আখ দিলে ঠিকমতো টাকা পাওয়া যায় না। এদিকে আখ শুকিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে, অবৈধ এ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার অভিযান পরিচালনা করা হলেও বন্ধ হচ্ছে না গুড় উৎপাদন। এ জন্য জোরালো পদক্ষেপের দাবি মিল কর্তৃপক্ষের।

ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের ইক্ষু সংগ্রহ উপমহাব্যবস্থাপক মনজুরুল ইসলাম বলেন, জেলা প্রশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমরা ইতোমধ্যে মিলজোন এলাকায় যে সমস্ত জায়গায় অবৈধভাবে পাওয়ার ক্রাশার দ্বারা আখ মাড়াই করে গুড় তৈরি হচ্ছে সেখানে অভিযান চালিয়েছি এবং বেশকিছু মাড়াই কল জব্দ করেছি। এভাবে আখ মাড়াই হলে মিলে আখের স্বল্পতা দেখা দেবে ফলে সরকারি প্রতিষ্ঠান আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে।

২০০ থেকে সাড়ে ৩৮ কোটি টাকা ঋণ আর ৭১৬ কোটি টাকা লোকসান নিয়ে ২৪ ডিসেম্বর থেকে চলতি মৌসুমে আখ মাড়াই কার্যক্রম শুরু করবে ঠাকুরগাঁও সুগার মিল।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৯, ২০২১ ৩:১৮ অপরাহ্ন
চলনবিলে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌ-চাষিরা
এগ্রিবিজনেস

চলতি বছর চলনবিলে হলুদ রঙে মাতোয়ারা চলনবিল অঞ্চল। চারদিকের হলুদের সমারোহে পুলকিত মন। দেখলেই মন ছুঁয়ে যায়। চলনবিলে হলুদ ফুলে সুশোভিত মাঠে ভ্রমর পাখা মেলেছে। ভ্রমরের গুঞ্জনে কৃষকের মন আনন্দিত। এ সরিষা ফুলকে কেন্দ্র করে প্রতিবছরের মত এবছর দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহের জন্য চলনবিল এলাকায় এসেছেন মধু চাষিরা। তারা মধু সংগ্রহের মহোৎসবে মেতে উঠেছে। চলতি বছরের চলনবিল এলাকায় প্রায় ১০০ মেট্রিক টন মধু সংগ্রহের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ।

জানা গেছে, চলনবিল এলাকার সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর, পাবনার ভাঙ্গুড়া, চাটমোহর, ফরিদপুর, নাটোরের গুরুদাসপুর, সিংড়া ও আত্রাই উপজেলার এ মৌসুমে প্রায় ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। আর সরিষাকে কেন্দ্র করে মধু চাষিরা বিভিন্ন গ্রামে মৌ-বাক্স পেতে মধু সংগ্রহ করেন। এ বছরও প্রায় পাঁচ শতাধিক মধু চাষি এসেছেন সাতক্ষীরা, যশোর, কুষ্টিয়া ও খুলনা অঞ্চল থেকে মধু সংগ্রহের জন্য।

সাতক্ষীরা থেকে আসা মৌ-চাষি নজরুল ইসলাম জানান, আমরা প্রতি বছরই চলনবিলে সরিষা মৌসুমে মধু সংগহের জন্য আসি। আর এ বছর আবহাওয়া প্রতিকূল ভাল থাকায় গত বছরের চেয়ে বেশি মধু সংগ্রহ করব বলে আশা করছি।

যশোরে মৌ-চাষি আব্দুল মজিদ বলেন, চলনবিল এলাকায় চারদিকে সরিষার ফুলে ছেঁয়ে গেছে। এখনই উপযুক্ত সময় মধু সংগ্রহের। তাই ৫০০ মৌ-বাক্স দিয়ে মধু সংগ্রহ করা হচ্ছে। প্রতিদিন সকালে মৌ-বাক্স খুলে দেয়া হয়। মৌমাছির দল সারাদিন মধু নিয়ে বিকালে বাক্সে ফেরে তারা।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ লুৎফুন্নাহার লুনা বলেন, এ বছর মধু চাষিরা বিভিন্ন মাঠে মৌ বাক্স নিয়ে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত রয়েছেন। আমাদের পক্ষ থেকে তাদেরকে পরামর্শ ও সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে। তাড়াশ উপজেলায় ১১ মেট্রিক টন মধু সংগ্রহের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৮, ২০২১ ৪:০৬ অপরাহ্ন
হিলিতে কাঁচা মরিচের কেজি ২০ টাকা
এগ্রিবিজনেস

সপ্তাহ দুয়েক আগে দিনাজপুরের হিলি বাজারে কাঁচা মরিচের দাম ছিল ৪০ টাকা কেজি। বর্তমান তা পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি দরে। আর দাম কমে যাওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে হিলি বাজার ঘুরে জানা যায়, ১২ থেকে ১৪ দিন আগের চেয়ে কাঁচা মরিচের দাম পাইকারি বাজারে কমেছে কেজিপ্রতি ২০ টাকা। ৪০ টাকার মরিচ আজ বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি। আবার খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজি দরে।

সবজি কিনতে আসা আজাহার আলী বলেন, মরিচ, পেঁয়াজ, লবণ এই তিনটা জিনিসের মানুষের খুব দরকার। তাই এসব জিনিসের দাম বেশি হলে বিপাকে পড়তে হয়। বর্তমান এসবের দাম নাগালের মধ্যে আছে। তবে কাঁচামরিচের দাম একেবারে কমে গেছে। ২০ টাকা কেজি দরে এক কেজি কাঁচামরিচ কিনলাম।

হিলি বাজারে মরিচ ব্যবসায়ী ফারুখ হোসেন বলেন, তিন থেকে চার সপ্তাহ আগে ১২০ টাকার ওপরে ছিল কাঁচামরিচের দাম। দেশি মরিচ বাজারে ওঠার পর ভারতীয় কাঁচা মরিচের আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে এবং দামও কমতে শুরু করেছে। আজ আমরা ২০ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করছি।
শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop