৯:৪২ অপরাহ্ন

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ডিসেম্বর ৭, ২০২৪ ২:৫৭ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে বাংলাদেশ সোসাইটি অফ এগ্রোনমি এর দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
কৃষি গবেষনা

দীন মোহাম্মদ দীনুঃ বাংলাদেশ সোসাইটি অফ এগ্রোনমি (বিএসএ) এর দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ও ২৩তম জাতীয় সম্মেলন ২০২৪ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) এর সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনফারেন্স হলে ০৭ ডিসেম্বর (শনিবার) সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বিএসএ এর সভাপতি ড. নুর আহমেদ খন্দকার এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাল্টিমোড গ্রুপের সিইও ও বাকৃবি সিন্ডিকেট সদস্য জনাব আব্দুল আউয়াল মিন্টু।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. মঈনুল হক, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো: শফিকুল ইসলাম সিকদার, আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. হামনাথ ভান্ডারী, ভিয়েতনাম এফএও এর চিফ টেকনিক্যাল এডভাইজার জনাব সাসু মার্টিনোভ।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিমিট এর উর্ধতন বিজ্ঞানী ড. দেবাশীষ চক্রবর্তী, বিএসএ এর কার্য পরিধি সম্পর্কে আলোচনা করেন বিএসএ এর সহ সভাপতি প্রফেসর ড. এ কে এম রুহুল আমিন, স্বাগত বক্তব্য রাখেন কনফারেন্স আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ও সাধারণ সম্পাদক বিএসএ প্রফেসর ড. মোঃ আবদুল কাদের এবং অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন বাকৃবি এগ্রোনোমি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মো: রমিজ উদ্দিন। এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘দীর্ঘ মেয়াদী শস্য উৎপাদনে স্মার্ট এগ্রোনমি।


প্রধান অতিথির বক্তব্য ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, কৃষিতে বিজ্ঞান তখনই উৎপাদনশীল, লাভবান এবং দীর্ঘস্থায়ী হবে যখন সকল সেক্টর একত্রে কাজ করবে। এখানে সকত্রে বলতে রাষ্ট্র, সরকার, শিক্ষা, গবেষণা, কৃষক, উদ্যোক্তা এবং বহি: পরিসেবা, সহযোগিতাকে বোঝায়।

এসময় তিনি আরও বলেন, এগ্রোনমি সেক্টরটি কৃষির সবচেয়ে পুরাতন সেক্টর। ১৯৭০ সনে বাংলাদেশের জনসংখ্যা সাড়ে ৭ কোটি ছিল এখন ১৭কোটি। আবার আবাদি জমি কমেছে কিন্তু কৃষির উৎপাদন বেড়েছে বলেই ১৭ কোটি মানুষের আজ খাদ্যের যোগান হচ্ছে। এটা স্মার্ট কৃষির অবদান। স্মার্ট কৃষি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের কৃষিবিদদের বিশাল অবদান রয়েছে।
এছাড়াও মাল্টিমোড গ্রুপের সিইও এবং বাকৃবি সিন্ডিকেট সদস্য আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, যদিও কৃষিতে উৎপাদনশীলতা বাড়ছে কিন্তু কৃষি ক্ষেত্রে মানুষের আগ্রহ কমে যাচ্ছে আর সেজন্যেই কৃষি রূপান্তরের সাথে শিল্পায়ন অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।

এ সময় অনুষ্ঠানে প্রায় ৬ শতাধিক কৃষিতত্ত্ববিদ সদস্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, নেদারল্যান্ডস, জাপান, ভারত, নেপাল থেকে আগত বিজ্ঞানীসহ দেশি-বিদেশি আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

দুই দিনব্যাপী এ কর্মশালায় মোট ৮টি কারিগরি সেশন ও পোস্টার সেশন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে রয়েছে ১০০টি ওরাল এবং ১০৫টি পোস্টার প্রদর্শিত হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২৩, ২০২৪ ৩:৫৩ অপরাহ্ন
হাটহাজারীতে এমএসটিএল কর্ণফুলীর সুষম সার সুপারিশ কার্ড বিতরণ, ভেজাল সার শনাক্তকরণ শীর্ষক কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
কৃষি গবেষনা

হাটহাজারী প্রতিনিধি : ‘মাটি পরীক্ষা করে সুষম সার প্রয়োগ করুন, অধিক ফসল ঘরে তুলুন’ স্লোগানকে সামনে রেখে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট সারাদেশে ১০টি ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা পরীক্ষাগারের রবি-২৪ কৃষক সেবা কার্যক্রম শুরু করেছে। কৃষক পর্যায়ে উদ্বুদ্ধকরনের অংশ হিসেবে হাটহাজারী উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট,বিভাগীয় গবেষণাগার চট্টগ্রামের আয়োজনে এবং হাটহাজারী উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা পরীক্ষা গবেষণাগার (এমএসটিএল) “কর্ণফুলী” কর্তৃক কৃষকের ফসলি জমির মাটি পরীক্ষার ভিত্তিতে তৈরিকৃত সার সুপারিশ কার্ড বিতরণ, কার্ড ব্যবহারের নির্দেশনা,ভেজাল সার শনাক্তকরণ শীর্ষক কৃষক প্রশিক্ষণ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রাম বিভাগীয় গবেষণাগারের প্রধান ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বিশিষ্ট মৃত্তিকা বিজ্ঞানী কৃষিবিদ ড. এন.এম.জাহাঙ্গীর এবং সভাপতিত্ব করেন হাটহাজারী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো: আল মামুন শিকদার।

বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও টীম কর্ণফুলীর সদস্য কৃষিবিদ মো: আবুল বাশারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন MSTL কর্ণফুলীর দলনেতা কৃষিবিদ মো: রায়হানুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: রাশিদ শাহরিয়ার রিপন, টীম কর্ণফুলীর সদস্য মো: আফনান হোসাইন চৌধুরী প্রমুখ। প্রধান অতিথি ও মূখ্য আলোচক ড.এন.এম.জাহাঙ্গীর মাটি সৃষ্টির ইতিহাস, মাটির রহস্য, মাটির ভৌত- রাসায়নিক গুণাবলী,পাহাড়ি মাটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য, বিভিন্ন ফসলের উপযোগিতা, মাটির গুণাগুণ, মাটি পরীক্ষার গুরুত্ব, মাটির নমুনা সংগ্রহ পদ্ধতি, মাটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা, ভেজাল সার শনাক্তকরণ, ভেজাল সার চিনার উপায়, ভেজাল সারের কুফল এবং সুষম সার ব্যবহার করে অর্থ সাশ্রয়সহ বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও ট্রেনিং সেশন পরিচালনা করেন। অন্যান্য বক্তারা মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাটি পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা, মাটির প্রাণ জৈব সারের পর্যাপ্ত ব্যবহার বৃদ্ধি, রাসায়নিক সারের যথেচ্ছা ব্যবহার হ্রাস এবং সুষম সার ব্যবহারের উপর গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। সার সুপারিশ কার্ড কিভাবে ব্যবহার করবেন সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন টীম লিডার মো: রায়হানুল ইসলাম। উপজেলা কৃষি অফিসার মো: আল মামুন শিকদার কৃষক পর্যায়ে সরাসরি ভ্রাম্যমাণ ল্যাব কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং হাটহাজারী উপজেলা কৃষি অফিসকে সিলেকশন করার জন্য এসআরডিআই এর নবনিযুক্ত মহাপরিচালক ড.বেগম সামিয়া সুলতানাকে ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে হাটহাজারীবাসী আরও বেশি মাটির সেবা পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। কৃষকের দোরগোড়ায় মৃত্তিকার সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে চলমান এই কর্মসূচিকে কৃষাণ কৃষাণী, উদ্যোক্তারা স্বাগত জানান এবং অন্যান্য কৃষকদেরকেও তারা মাটি পরীক্ষা করে সার দেওয়ার জন্য পরামর্শ দিবেন বলে আশ্বস্থ করেন। মাটি পরীক্ষা করে সার দিলে সারের অপচয় রোধ হয়, ফলন ১৫-২০% বৃদ্ধি পায়, জমির স্বাস্থ্য ভালো থাকে, পরিবেশও ভালো থাকে, মাটি দূষণ, পানি দূষণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।কৃষক পর্যায়ে সচেতনতা তৈরি করতে MSTL কর্ণফুলীর রবি মৌসুমের কার্যক্রম চট্টগ্রাম বিভাগের ৬ টি উপজেলা ফটিকছড়ি, হাটহাজারী, পুটিয়া,বান্দরবান সদর, চকোরিয়া, কক্সবাজার সদরে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। মাত্র ২৫ টাকার বিনিময়ে মাটি পরীক্ষার এই সুবর্ণ সুযোগ পাচ্ছেন চাষীরা যার প্রকৃত খরচ ৪৪৩ টাকা যা সরকার ভর্তুকি দিচ্ছেন। অল্প সময়ে ভ্রাম্যমাণ ল্যাবে মাটি পরীক্ষার সুযোগ পেয়ে চাষীরা আনন্দিত, উচ্ছ্বসিত।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৭, ২০২৪ ৩:০১ অপরাহ্ন
সারাদেশে ১০টি ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা পরীক্ষা গবেষণাগার (এমএসটিএল) রবি-২৪ কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন
কৃষি গবেষনা

মৃত্তিকার রবি-২৪ মৌসুমের ১০টি ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা পরীক্ষা গবেষণাগার (এমএসটিএল- কর্ণফুলী, তিতাস, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, মধুমতি, রূপসা, কীর্তনখোলা, তিস্তা, করতোয়া, সুরমা) এর মাধ্যমে সারাদেশে ১৭ নভেম্বর থেকে ৫৬টি উপজেলায় একযোগে সরাসরি মাটি পরীক্ষা করে সার সুপারিশ কার্ড বিতরণ কর্মসূচির যাত্রা শুরু হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (এসআরডিআই) যেখানে মাটি, পানি, সার, উদ্ভিদের নমুনা বিশ্লেষণ, ফসল বিন্যাস ভিত্তিক সার সুপারিশ কার্ড প্রদান, সয়েল সার্ভে ও মাটির স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করেন।

আজ ১৭/১১/২০২৪ খ্রিঃ রোজ রবিবার এসআরডিআই এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম ‘ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা পরীক্ষা গবেষণাগার (MSTL) রবি-২০২৪’ কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রতিষ্ঠানটির সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত চৌকস ও ডায়নামিক মহাপরিচালক জনাব ড. বেগম সামিয়া সুলতানা। তিনি বলেন, জনগণের দোড়গড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এবং মাটি পরীক্ষা করে জমিতে সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগে কৃষক ভাইদের উদ্বুদ্ধ করতে ১৯৯৬ সাল থেকে ভ্রাম্যমান মৃত্তিকা পরীক্ষা গবেষণাগার চালু রয়েছে। বর্তমানে দেশব্যাপী ১০টি ভ্রাম্যমান মৃত্তিকা পরীক্ষা গবেষণাগারের মাধ্যমে বছরে রবি ও খরিফ মৌসুমে (২ বার) মাটি পরীক্ষা করা হয়। বরাবরের মত এবারও আমরা রবি-২৪ মৌসুমে ১০ টি ভ্রাম্যমাণ ল্যাবের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জেলার ৫৬ টি উপজেলায় একযোগে কার্যক্রম শুরু করেছি।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: ছাইফুল আলম বলেন, এরকম মোটিভেশানাল প্রোগ্রাম কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করবে এবং মাটি পরীক্ষা করে সার সুপারিশ করলে সারের অপচয় রোধ হয়।প্রতিবছর টনের পর টন সার আমদানি করতে হয়, কৃষকের সঠিক ধারণা না থাকায় ইচ্ছেমতো সার প্রয়োগ করে যা অনেকাংশেই কাজে লাগে না। এসআরডিআই এর যেকোনো কর্মসূচিতে অতীতের মতো আগামী দিনেও সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।আমরা প্রতিটি উপজেলা কৃষি অফিসকে মৃত্তিকার ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগারের বিষয়টি অবহিত করেছি। বক্তারা মাটি পরীক্ষার গুরুত্ব, সুষম সার ব্যবহার, মৃত্তিকার সার সুপারিশ কার্ড গ্রহণ, ভেজাল সার প্রয়োগ না করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। প্রতিটি স্টেশনে সাধারণত ৩-৫ দিন অবস্থান করবে এবং মাটি পরীক্ষা ও ফসলের সুষম মাত্রার সার সুপারিশ কার্ড প্রদান করবে। এসব উপজেলার আগ্রহী কৃষক ভাইয়েরা নমুনা প্রতি মাত্র ২৫ টাকা হারে নির্ধারিত ফি প্রদান করে ( প্রকৃত খরচ ৪৪০ টাকা মাত্র) মাটি পরীক্ষার মাধ্যমে সুষম মাত্রার সার সুপারিশ কার্ড নিতে পারবেন। মাটি পরীক্ষা করে সুষম সার প্রয়োগ করলে ফলন ১৫-২০% বৃদ্ধি পায়, উৎপাদন খরচও ১০-১৫% কম লাগে, সারের অতিরিক্ত ব্যবহার হ্রাস পায়, সর্বোপরি পরিবেশ দূষণ (মাটি, পানি দূষণ) থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।অনুষ্ঠানে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী কর্মকর্তা কর্মচারীসহ সুধীজন উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আ ফ ম মঞ্জুরুল হক, আমীর মো: জাহিদ, মো: আব্দুল হালিম, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: আনিছুর রহমান, মো: জয়নাল আবেদিন, ড. নুরুল হুদা আল মামুন, ড. মো: ফারুক হোসেন, কাজী কাইমূল ইসলাম, মো: আমিনুল ইসলাম, ড. এস এম সামচুজ্জামান,ড. লুৎফর রহমান, ড. হুমায়ুন কবির সিরাজী, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ কে এম জগলুল পাশা, মহসিন ফরাজী, সেলিনা তাসনীন খান, ড. মোছা: নাছরীন বেগম, ড. সালমা জান্নাত, আইরিন সুলতানাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

১০ টি ভ্রাম্যমাণ ল্যাবের ঢাকার MSTL যমুনার মাধ্যমে সারাদেশে একযোগে কার্যক্রম শুরু হয়। অনুষ্ঠান শেষে যমুনার টীম লিডার মো: খায়রুল ইসলাম বাশার ও টিমের সদস্য মো: হাছিবুল হক, মো: আব্দুর রহমান টীম নিয়ে মুন্সিগঞ্জের দিকে রওনা করেন। আজকে সিসিবিএস প্রকল্পের অর্থায়নে কারিগরি কর্মকর্তাদের জিআইএস বেস প্রশিক্ষণেরও উদ্বোধন করেন মৃত্তিকার মহাপরিচালক ড. বেগম সামিয়া সুলতানা। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো: ছাইফুল আলম।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৭, ২০২৪ ৮:৪৯ অপরাহ্ন
জাতীয় জীন ব্যাংক স্থাপন অগ্রগতি অবহিতকরণ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
কৃষি গবেষনা

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনুঃ জাতীয় জীন ব্যাংক স্থাপন প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি অবহিতকরণ শীর্ষক দিনব্যাপী সেমিনার বৃহস্পতিবার (২৭ জুন ২০২৪ ) ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি এর কনফারেন্স হল সাভার, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জাতীয় জীন ব্যাংক স্থাপন (১ম সংশোধিত) প্রকল্প এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি আয়োজিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট বায়োটেকনোলজিস্ট ডক্টর আনোয়ার হোসেন। প্রকল্প বাস্তবায়ন অগ্রগতি অবহিতকরণ সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এনআইবি মহাপরিচালক ড. মো. সলিমুল্লাহ, জাতীয় জীন ব্যাংক স্থাপন প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি উপস্থাপন বিষয়ে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন জাতীয় জীন ব্যাবস্থাপন (১ম সংশোধিত) প্রকল্প পরিচালক ড. জাহাঙ্গীর আলম, বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর সিএসও ড. মোবারক ।

সেমিনারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমী, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১০০ জন বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিসহ এনআইবির বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন । দিনব্যাপী এই সেমিনারে প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়। তাছাড়া, জাতীয় জীন ব্যাংক ব্যবস্থাপনা নীতিমালা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা ও উপস্থিত সকলের মতামত নেয়া হয় । এ সেশনটি পরিচালনা করেন প্রকল্প পরিচালক, জাতীয় জীন ব্যাংক স্থাপন (১ম সংশোধিত) ড. জাহাঙ্গীর আলম।

ড. জাহাঙ্গীর আলম জানান, জীন ব্যাংকে দেশে বিদ্যমান উদ্ভিদ, প্রাণী, মৎস্য, অণুজীব, কীটপতঙ্গ, অমেরুদণ্ডী প্রাণী, মেরিন, বনজ এবং মনুষ্য কৌলিসম্পদ কেন্দ্রীয়ভাবে সংরক্ষণ এবং এদের ডাটাবেস প্রণয়ন ও সংরক্ষণ করা হবে। জীববৈচিত্র্য রক্ষাসহ টেকসই ব্যবহারের জন্য উদ্ভিদ, প্রাণী, অণুজীব, ইত্যাদি বা এগুলোর জেনেটিক উপাদান সংগ্রহ ও দীর্ঘমেয়াদে রক্ষণাবেক্ষণ এর উদ্দেশ্য । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বিগত ২৬ এপ্রিল ২০১২ তারিখে অনুষ্ঠিত
ন্যাশনাল টাস্কফোর্স অন বায়োটেকনোলজি অফ বাংলাদেশ এর ২য় সভায় ন্যাশনাল জীন ব্যাংক স্থাপনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সে সিদ্ধান্তের আলোকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি “জাতীয় জীন ব্যাংক স্থাপন” শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করা হয় যা, বাস্তবায়নের প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

তিনি আরও জানান এতে প্রায় ৪০ লক্ষ নমুনা ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি বেজমেন্টসহ ১২তলা বিশিষ্ট ল্যাব কাম অফিস এবং জীন ব্যাংক ভবন, গবেষণাগারসহ অন্যান্য স্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি, এনিম্যাল সেড, ননসীড প্ল্যান্ট সেড ও কোয়ারেন্টাইন সেড, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা, ডরমিটরী ভবনসহ ও অন্যান্য আবাসিক ভবন, ইত্যাদি থাকবে। ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১১, ২০২৪ ৭:০৯ পূর্বাহ্ন
বাকৃবিতে ‘জলবায়ু সহনশীল কৃষি গড়ে তোলা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
কৃষি গবেষনা

দীন মোহাম্মদ দীনু : বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) এগ্রোমেটিওরোলজি বিভাগের আয়োজনে এবং কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থায়নে ‘জলবায়ু সহনশীল কৃষি গড়ে তোলা’ শীর্ষক সেমিনার কৃষি অনুষদীয় কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সেমিনারে এগ্রোমেটিওরোলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. আ.খ.ম গোলাম সারোয়ারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন প্রফেসর ড. মোঃ সোলায়মান আলী ফকির এবং উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কমিটির কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. মোঃ আবু হাদী নূর আলী খান। এগ্রোমেটিওরোলজি বিভাগের লেকচারার উম্মে সুমাইয়া শাম্মীর সঞ্চালনায় সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতের আসাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোমেটিওরোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. প্রশান্ত নিয়োগ।

সেমিনারে কৃষি অনুষদের শিক্ষক এবং এগ্রোমেটিওরোলজি বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৩০, ২০২৪ ৯:৩৭ অপরাহ্ন
নকলায় মৃত্তিকার সার সুপারিশ কার্ড বিতরণ ও সরেজমিনে ভেজাল সার সনাক্তকরণের উপর কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
কৃষি গবেষনা

মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, আঞ্চলিক গবেষণাগার, জামালপুরের তত্ত্বাবধানে ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা পরীক্ষা গবেষণাগার (এমএসটিএল ব্রহ্মপুত্র) কর্তৃক প্রস্তুতকৃত শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার ৮১ জন কৃষকের ফসলি জমির মাটি পরীক্ষা ও রাসায়নিক বিশ্লেষণপূর্বক সুষম সার সুপারিশ কার্ড প্রদান ও সরেজমিনে ভেজাল সার সনাক্তকরণ বিষয়ক কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, আঞ্চলিক গবেষণাগার, জামালপুরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জনাব কৃষিবিদ ড. মো: হাবিবুর রহমান এবং সভাপতিত্ব করেন জনাব কৃষিবিদ শাহরিয়ার মোরসলিন মেহেদী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, নকলা, শেরপুর।আরও উপস্থিত ছিলেন এমএসটিএল ব্রহ্মপুত্রের টীম মেম্বারদ্বয় জনাব কৃষিবিদ মো: মাহবুবুল আলম, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, আঞ্চলিক গবেষণাগার,জামালপুর ও আঞ্চলিক গবেষণাগার,ময়মনসিংহের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জনাব কৃষিবিদ মোঃ আবুল বাশারসহ অনেকেই।

বক্তারা মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাটি পরীক্ষার গুরুত্ব এবং সুষম সার ব্যবহারের উপর গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন। বক্তারা বলেন মাটি পরীক্ষা করে সার প্রয়োগ করলে ফলন ২০-২৫% বাড়ে, সারের অপচয় রোধ হয়, ফলে উৎপাদন খরচ কমে এবং মাটির স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। জমিতে জৈব সারের ব্যবহার বাড়ানোর উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। উল্লেখ্য এবার খরিপ/২৪ মৌসুমে ব্রহ্মপুত্র ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা গবেষণাগারের মাধ্যমে টাঙ্গাইল, শেরপুর, জামালপুর জেলার ৫টি উপজেলায় কৃষকের মাটি পরীক্ষা করে সার সুপারিশ কার্ড বিতরণ ও কার্ড ব্যবহার নিয়মাবলী এবং ভেজাল সার সনাক্তকরণের উপর কৃষক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কৃষকের দোরগোড়ায় মৃত্তিকার সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে চলমান এই কর্মসূচিকে কৃষক কৃষাণী এবং উপজেলা কৃষি অফিসার মহোদয় স্বাগত জানান এবং আগামীতে এই সেবা আরও বেশি বেগবান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সুবিধাভোগীরা।

বেশি বেশি মাটি পরীক্ষা করি
সার সুপারিশ কার্ড গ্রহণ করি,
সুষম সার ব্যবহার করে
সারের অপচয় রোধ করি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২৭, ২০২৪ ৯:৪৭ পূর্বাহ্ন
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবন ব্রি ধান-১০৫
কৃষি গবেষনা

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা ব্রি ধান১০৫ উদ্ভাবন করেছন। এ ধানে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) মান ৫৫। তাই লো জিআই মান সম্পন্ন এ রাইচকে ডায়াবেটিক রাইচ বলা যায়।
ডায়াবেটিস রোগীরা এ ধানের চালের ভাত নিরাপদ মনে করে পেটভরে খেতে পারবেন। লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) সম্পন্ন এ ধানের চালের ভাত খেলে ডায়াবেটিস রোগীর রক্তে শর্করা খুব কম যাবে। ব্রি’র প্রধান কার্যালয়ে পুষ্টি গবেষণা বিভাগের পরীক্ষায় ব্রি ধান-১০৫ এর পুষ্টিমান নির্ণয় করে এ তথ্য জানিয়েছে । এটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বলে জানানো হয়েছে ওই রিপোর্টে । এছাড়া এ ধান ভবিষ্যতে দেশের কৃষি অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে দাবি কৃষি বিজ্ঞানীদের।
আর চলতি বোরো মৌসুমে গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট ও নড়াইল জেলায় ৮.৭ হেক্টর জমিতে ব্রি ধান১০৫ প্রথম আবাদেই সাফল্য মিলেছে। হেক্টর প্রতি কৃষক ৬.৫ টন থেকে ৭.৫ টন ফলন পেয়েছেন বলে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান ও সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার ড.মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, গত বছরের মার্চে চাষের অনুমোদন পায় নতুন উদ্ভাবিত ব্রি ধান১০৫। তারপর ব্রি গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের গবেষণা মাঠে ধানটি চাষ করা হয়। এটি বোরো মৌসুমের ধান হলেও আমন মৌসুমে বীজ হিসেবে চাষাবাদ করা হয়। এতে আশানুরূপ ফলন পাওয়া যায়। আমাদের গবেষণা মাঠে উৎপাদিত ব্রি ধান-১০৫ এর বীজ দিয়ে বোরো মৌসুমে গোপালগঞ্জ, নড়াইল ও বাগেরহাট জেলায় এ ধানের চাষাবাদ কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দেই। এ ধান ভবিষ্যতে দেশের কৃষি অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে জানান ওই কৃষি বিজ্ঞানী।
ব্রি গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের সাইন্টিফিক অফিসার সৃজন চন্দ্র দাস জানান, নতুন উদ্ভাবিত জাতের মধ্যে ব্রি-১০৫ বোরো মৌসুমের একটি কম জিআই সম্পন্ন ডায়াবেটিক ধান। প্রচলিত ধানগুলোতে জিআই এর মান ৬৫ থেকে ৭৫। কিন্তু ব্রি-১০৫ ধানে জিআই এর মান ৫৫। এ চালের ভাত খেলে রক্তে শর্করা কম নামবে। এ ধানের বৈশিষ্ট্য হল মাঝারি লম্বা ও চিকন দানা। কম জিআই হওয়ার কারণে এটি ডায়াবেটিক চাল হিসেবে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা লাভ করবে। ধান পাকার পরও গাছ সবুজ থাকে। এ জাতের পূর্ণ বয়স্ক গাছের গড় উচ্চতা ১০১ সেন্টিমিটার। গড় ফলন হেক্টরে ৭ দশমিক ৬ টন। তবে উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে অনুকূল পরিবেশে হেক্টর প্রতি ৮ দশমিক ৫ টন পর্যন্ত ফলন দিতে সক্ষম।
তিনি জানান, এ জাতের দানার আকার ও আকৃতি মাঝারি সরু ও রঙ সোনালী। এর জীবনকাল ১৪৮ দিন। এ জাতের ১০০০টি দানার ওজন ১৯ দশমিক ৪ গ্রাম। এতে অ্যামাইলোজের পরিমাণ ২৭ শতাংশ এবং প্রোটিনের পরিমাণ ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। রান্না করা ভাত ঝরঝরে এবং সুস্বাদু। তাই এ ধানের আবাদ করে কৃষক লাভবান হচ্ছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবড়ির উপ-পরিচালক আ. কাদের সরদার বলেন, ব্রি ধান১০৫ ডায়াবেটিস রাইসের পর্যাপ্ত বীজ পেলে গোপালগঞ্জ জেলায় এ ধানের চাষাবাদ সম্প্রসারণ করা হবে। এতে ডায়বেটিস রোগীরা উপকৃত হবেন। তারা একটু বেশি ভাত খেতে পারবেন। এ জাতের ধানের গাছ আকারে বড়। তাই খড় গো- খাদ্যের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে।
কাশিয়ানী উপজেলার জঙ্গল মুকুন্দপুর গ্রামের কৃষাণী রিক্তা পারভীন বলেন, ব্রি ধান১০৫ আমরা প্রথম চাষাবাদ করেছি। এ ধান হেক্টর প্রতি সাড়ে ৭ টন ফলন দিয়েছে। ধানটি লম্বা ও চিকন। ডায়বেটিস রোগী এধানের চালের ভাত খেতে পরেন। তাই আনেকই এধান চাষাবাদে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। আমার জমিতে উৎপাদিত সব ধান বীজ হিসেবে রেখে দিয়েছে। এ ধান অন্তত ৫০ টাকা দরে বিক্রি করতে পারব।
কোটালীপাড়া উপজেলার দেবগ্রামের কৃষক স্বপন বিশ্বাস বলেন, নতুন এ জাতের ধান চাষে সেচ ও সার কম লেগেছে । উৎপাদন খরচ সাশ্রয়ী ব্রি ধান১০৫ জাতের ফলন পেয়েছি বাম্পার।এ কারণে এ জাতের ধানচাষ লাভজনক । বাজারে এ ধানের চাহিদা রয়েছে।তাই আগামীতে আমরা ডায়াবেটিক রাইস চাষ সম্প্রসারণ করব।

 

(বাসস)

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২২, ২০২৪ ৬:২৪ অপরাহ্ন
মধুপুরে এমএসটিএল ব্রহ্মপুত্রের সুষম সার সুপারিশ কার্ড বিতরণ, প্রশিক্ষণ, কৃষক সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
কৃষি গবেষনা

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, আঞ্চলিক গবেষণাগার জামালপুর ও আঞ্চলিক গবেষণাগার টাঙ্গাইলের আয়োজনে ও বাস্তবায়নে এবং মধুপুর উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা পরীক্ষা গবেষণাগার (এমএসটিএল) “ব্রহ্মপুত্র” কর্তৃক কৃষকের ফসলি জমির মাটি পরীক্ষার ভিত্তিতে তৈরিকৃত সার সুপারিশ কার্ড বিতরণ, কার্ড ব্যবহার বিষয়ক কৃষক প্রশিক্ষণ, কৃষক সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের সম্মানিত মহাপরিচালক জনাব কৃষিবিদ মো: জালাল উদ্দীন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব কৃষিবিদ ড. মো: আনিছুর রহমান, মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বিভাগীয় গবেষণাগার, ঢাকা, জনাব কৃষিবিদ শাকুরা নাম্নী, উপজেলা কৃষি অফিসার, মধুপুর, টাঙ্গাইল, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, আঞ্চলিক গবেষণাগার, জামালপুর ও এমএসটিএল ব্রহ্মপুত্রের টীম লিডার জনাব কৃষিবিদ ড. রাফেজা বেগম। সভাপতিত্ব করেন জনাব কৃষিবিদ ড. উৎপল কুমার, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, আঞ্চলিক কার্যালয়, টাঙ্গাইল।

আরও উপস্থিত ছিলেন জনাব কৃষিবিদ আর্জিনা হক, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, আঞ্চলিক গবেষণাগার, টাঙ্গাইল, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জনাব কৃষিবিদ ইফফাত জাহান, জনাব কৃষিবিদ মো: আবুল বাশার, জনাব কৃষিবিদ মো: মাহবুবুল আলম, জনাব কৃষিবিদ মো: সালাউল্লাহ সরকারসহ অনেকেই।মহাপরিচালক জনাব মো: জালাল উদ্দীন মাটির সৃষ্টির ইতিহাস, মাটির রহস্য, ভৌত রাসায়নিক গুণাবলী, মধুপুরের মাটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য, বিভিন্ন ফসলের উপযোগিতা,বিশেষ করে মধুপুরের আনারসের মিষ্টিতা, এই এলাকার মাটির গুণাগুণ কেন ভিন্ন, মাটি পরীক্ষা করে সুষম সার ব্যবহার করে সারের অর্থ সাশ্রয়ের উপর গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা রাখেন।

অন্যান্য বক্তারা মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাটি পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা এবং সুষম সার ব্যবহারের উপর গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। সার সুপারিশ কার্ড কিভাবে ব্যবহার করবেন সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন টীম লিডার জনাব ড. রাফেজা বেগম। উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব শাকুরা নাম্নী ভ্রাম্যমাণ ল্যাবের কার্যক্রমের প্রশংসা করেন এবং মধুপুর কৃষি অফিসকে বাছাই করার জন্য এসআরডিআই এর মহাপরিচালককে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং ভবিষ্যতে এরকম সহজ সেবা মধুপুরবাসী আরও বেশি পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। কৃষকের দোরগোড়ায় মৃত্তিকার সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে চলমান এই কর্মসূচিকে কৃষাণ কৃষাণী, উদ্যোক্তারা স্বাগত জানান এবং অন্যান্য কৃষকদেরকেও তারা মাটি পরীক্ষা করে সার দেওয়ার জন্য পরামর্শ দিবেন বলে আশ্বস্থ করেন। মাটি পরীক্ষা করে সার দিলে সারের অপচয় রোধ হয়,ফলন বৃদ্ধি পায়, জমির স্বাস্থ্য ভালো থাকে, পরিবেশও ভালো থাকে।

মাটি পরীক্ষা করে সার সুপারিশ কার্ড গ্রহণ করি, সারের অপচয় রোধ করি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৯, ২০২৪ ১:৫৭ অপরাহ্ন
নাগরপুরে ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা গবেষণাগার “ব্রহ্মপুত্রের মাটি পরীক্ষার মাধ্যমে সার সুপারিশ কার্ড প্রদান
কৃষি গবেষনা

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা পরীক্ষা গবেষণাগার (এমএসটিএল) “ব্রহ্মপুত্র” কর্তৃক কৃষকের ফসলি জমির মাটি পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু হয় ১৬ মে থেকে। উদ্বোধনী দিনে ব্রহ্মপুত্রের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন নাগরপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব রেজা মো: গোলাম মাসুম প্রধান, উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব কৃষিবিদ ইমরান হোসাইন, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার জনাব কৃষিবিদ মো: শাহানুর ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জনাব কৃষিবিদ মো: মনোয়ার হোসেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের এমন জন গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং নাগপুর উপজেলাকে নির্বাচন করার জন্য এসআরডিআই কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।

ভ্রাম্যমাণ ল্যাবের মাধ্যমে নাগরপুর উপজেলার ৫০ জন কৃষাণ- কৃষাণীর ফসলি জমির মাটির রাসায়নিক বিশ্লেষণ শেষে অদ্য ১৯ মে সংশ্লিষ্ট চাষিদের মাঝে সুষম সার সুপারিশ কার্ড প্রদান করা হয় এবং সার সুপারিশ কার্ড কিভাবে ব্যবহার করবেন তা হাতেকলমে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। সার সুপারিশ কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, আঞ্চলিক কার্যালয় টাঙ্গাইলের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জনাব কৃষিবিদ ড. উৎপল কুমার, বিশেষ অতিথি জনাব কৃষিবিদ ইমরান হোসাইন, উপজেলা কৃষি অফিসার, নাগরপুর, টাঙ্গাইল। সভাপতিত্ব করেন জনাব কৃষিবিদ ড. রাফেজা বেগম, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, আঞ্চলিক গবেষণাগার জামালপুর ও টীম লিডার এমএসটিএল ব্রহ্মপুত্র। আরও উপস্থিত ছিলেন জনাব কৃষিবিদ মো: শাহানুর ইসলাম, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার, নাগরপুর, জনাব কৃষিবিদ মো: মাহবুবুল আলম, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, আঞ্চলিক গবেষণাগার,জামালপুর, জনাব কৃষিবিদ মোঃ আবুল বাশার,বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, আঞ্চলিক গবেষণাগার, ময়মনসিংহ, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জনাব কৃষিবিদ মো: মনোয়ার হোসেন।

বক্তারা মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাটি পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা এবং সুষম সার ব্যবহারের উপর গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন। উল্লেখ্য #ব্রহ্মপুত্র* টীমের মাধ্যমে টাঙ্গাইল,শেরপুর, জামালপুর জেলার ৫টি উপজেলায় কৃষকের ফসলি জমির মাটি পরীক্ষা করে সার সুপারিশ কার্ড প্রদান করবেন। কৃষকের দোরগোড়ায় মৃত্তিকার সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে চলমান এই কর্মসূচিকে চাষিরা স্বাগত জানান এবং অন্যান্য কৃষকদেরকেও তারা মাটি পরীক্ষা করে সার দেওয়ার জন্য পরামর্শ দিবেন। মাটি পরীক্ষা করে সার দিলে সারের অপচয় রোধ হয়,ফলন বৃদ্ধি পায়, জমিও ভালো থাকে।

মাটি পরীক্ষা করে সার সুপারিশ কার্ড গ্রহণ করুন, সুষম সার ব্যবহার করে অধিক ফলন গোলায় তুলুন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২১, ২০২৪ ৩:১৯ অপরাহ্ন
বাংলাদেশে অধিক বিপদজনক কীটনাশক এবং রাসায়নিকের উন্নত ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা উন্নয়ন শীর্ষক কর্মশালা ময়মনসিংহে অনুষ্ঠিত
কৃষি গবেষনা

দীন মোহাম্মদ, বাকৃবিঃ  “বাংলাদেশে অধিক বিপদজনক কীটনাশক এবং রাসায়নিকের উন্নত ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা উন্নয়ন” শীর্ষক কর্মশালা ময়মনসিংহে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার অর্থায়নে এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কীটতত্ত্ব বিভাগের আয়োজনে কর্মশালাটি ময়মনসিংহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালকের অফিস-খামারবাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়।

রবিবার (২১ এপ্রিল) সকাল দশটায় ময়মনসিংহ সদর খামারবাড়ির প্রশিক্ষণ কক্ষে ময়মনসিংহের বিভিন্ন উপজেলার কৃষি অফিসার ও কৃষকদের নিয়ে কর্মশালাটি আয়োজিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে খামারবাড়ির সামনে থেকে কৃষক ও কৃষি অফিসারদের নিয়ে একটি সচেতনতামূলক র‍্যালি বের করা হয়।


প্রকল্পের টিম লিডার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. গোপাল দাস মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে বলেন, ২০২২ সালে সারা দেশে প্রায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে বেশিরভাগই অধিক বিপদজ্জনক কীটনাশক যার ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাসায়নিক কীটনাশক বিপনন ও ব্যবহারের সাথে জড়িতদের অধিকাংশই এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জানেন না। কিছু কিছু কীটনাশকের ব্যবহার করার অনুমতি না থাকলেও বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে এবং কৃষক ব্যবহার করছেন। এতে সংশ্লিষ্টরা ভয়াবহ রকমের স্বাস্থ্য ঝুকিতে রয়েছেন। তারা নানা রকমের রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। দেশের সার্বিক স্বার্থে কীটনাশক ব্যবহারের নিয়মাবলী ও নিষিদ্ধ কীটনাশক সম্পর্কে সকল কৃষক ও বিপননকর্মীসহ কৃষি অফিসারদের প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এর প্রতিস্থাপক হিসেবে জৈবিক কীটনাশকের ব্যবহার বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ এলাকার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক আবু মো. এনায়েত উল্লাহের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে ময়মনসিংহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. নাছরিন আক্তার বানু, উপপরিচালক সালমা আক্তারসহ ময়মনসিংহের বিভিন্ন উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাগণসহ কৃষক ,ডিলার উপস্থিত ছিলেন।

ড. নাছরিন আক্তার বলেন, আমাদের মাঠ পর্যায়ে অনেক ক্ষতিকর কীটনাশক ও অন্যান্য সার অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যবহার করা হয়। যা আমাদের জলজ ও অন্যান্য জীব বৈচিত্রে প্রবেশ করে বিষাক্ত করে তুলে। পরবর্তীতে খাবার হিসেবে তা মানবশরীরেও উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি করে। তাই আমাদের এই কীটনাশক ব্যবহারের সঠিন জ্ঞান লাভ ও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। নিরাপদ উন্নতির দ্বিতীয় লক্ষ্যমাত্রাটি অর্জন করতে সবাইকে সচেষ্ট হয়ে কাজ করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে অতিরিক্ত পরিচালক এনায়েত উল্লাহ বলেন, কীটনাশক মূলত আবিষ্কার হয়েছিল কৃষির উন্নতি সাধনের জন্যই। তবে এর অতিরিক্ত ব্যবহার আজ আমাদের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজ আমাদের বায়ুমন্ডল ও জলজ ভূমিতে বিভিন্ন ভারী ধাতু পাওয়া যাছে। আমরা এখনই সচেতন হতে না পারলে একসময় আমরা খুব বড় একটি বিপদে পড়ে যাবো। তাই আমাদের কীটনাশকের সঠিক পরিমাণ ও সময় নির্বাচন করে আমাদের কৃষকদের জানাতে হবে। এতে আমাদের পরিবেশ তার পুরনো রূপ ফিরে পেতে পারে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop