৭:৩৮ পূর্বাহ্ন

সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মার্চ ১৫, ২০২৪ ৯:৪৩ পূর্বাহ্ন
বাকৃবিতে বাংলাদেশ ও নেপালের উন্নত প্রযুক্তিভিত্তিক শহর এবং উদ্যান কৃষি বিষয়ক কর্মশালা
কৃষি গবেষনা

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনুঃ বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি অনুষদের সম্মেলন কক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফিড দ্যা ফিউচার ইনোভেশন ল্যাব ফর হর্টিকালচার’ ও ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএআইডি) অর্থায়নে “উন্নয়ন দক্ষতা ও কর্মসংস্থানের সম্পর্ক: বাংলাদেশ ও নেপালে উন্নত প্রযুক্তিভিত্তিক শহর এবং এর আশেপাশে উদ্যান কৃষি” শীর্ষক প্রকল্পের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী বলেন, নেপাল ও বাংলাদেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ ও বহুমুখী।
তিনি বলেন, নেপাল ও বাংলাদেশের মানুষের আশা, প্রত্যাশা, প্রতিকূলতা ও সম্ভাবনা একই রকমের। চমৎকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে শিল্প, বাণিজ্য, যোগাযোগ, শিক্ষা ও কৃষিতে আরও উন্নয়ন করা সম্ভব।এ সময় রাষ্ট্রদূত নেপালের প্রেক্ষাপটে শহর ও এর আশেপাশে ফল ও সবজি চাষের অবস্থা, সম্ভাবনা ও প্রতিকূলতা সম্পর্কে আলোচনা করেন।
প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আবেদীন বলেন, প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে ,আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শহর এবং শহরের আশেপাশের অঞ্চলে ফল ও সবজি জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি। তিনি বলেন শহর অঞ্চলের যেসকল পতিত জায়গা আছে যেমন ছাদ বড়ির আঙিনা এই সকল জায়গায় ফল ও সবজি জাতীয় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি করা।নারী ও যুবসমাজকে এই পদ্ধতিতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।

‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রতি বছরই আমাদের জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। তাই শহর ও এর আশেপাশের জায়গাগুলোতে ফল ও সবজি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও নেপালে প্রকল্পটি পরিচালিত হচ্ছে। দেশের নারী ও যুব সমাজকে এই প্রকল্পের আওতায় এনে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার পাশাপাশি কম্পিউটার মডেলিংয়ের মাধ্যমে নতুন নতুন জায়গা এই প্রকল্প প্রতিষ্ঠা করা হবে।’

তিনি আরও জানান, নেপালের চারটি অঞ্চল ও বাংলাদেশের তিনটি অঞ্চলে প্রকল্পটি চালু রয়েছে।
কর্মশালায় নেপালে প্রকল্পটির অগ্রগতি সম্পর্কে তুলে ধরেন দেশটির এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফরেস্ট্রি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কল্যাণী মিশ্র ত্রিপাঠী।
মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রাব্বানী, আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা কেন্দ্রের বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. হোমনাথ ভান্ডারী, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহফুজা বেগম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পরিচালক আবু মো. এনায়েত উল্লাহ।
কর্মশালায় শিক্ষক সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তাগণ ছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথিগণ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৪, ২০২৪ ৮:৫৭ পূর্বাহ্ন
গোপালগঞ্জে বিনা ১ খেসারীর রেকর্ড পরিমাণ ফলন
কৃষি গবেষনা

গোপালগঞ্জে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত মানবদেহের সহনশীল বিনা খেসারী ১ রেকর্ড পরিমাণ ফলন দিয়েছে।  গোপালগঞ্জ জেলায় প্রতি হেক্টরে এ জাতের খেসারী ১ হাজার ৯শ’ কেজি উৎপাদিত হয়েছে। প্রচলিত জাতের খেসারী প্রতি হেক্টরে ৭শ’ কেজি উৎপাদিত হয়। প্রচলিত জাতের তুলনায় প্রায় ৩ গুণ উৎপাদন দিয়েছে বিনা খেসারী ১। বিনা চাষে অনুর্বর নিচু জমিতে এ খেসারী আবাদ করা যায়। রোগ বালাই তেমন নেই। এ জাতের খেসারীতে মানব দেহের ক্ষতিকর বেটা অকজাইল এ্যামাইনো এলানিন নেই। বোপনের ১১০ থেকে ১১৫ দিনের মধ্যেই ক্ষেত থেকে ফসল তোলা যায়। এ ফসল চাষাবাদ করে গোপালগঞ্জের কৃষক লাভবান হয়েছেন।

গোপালগঞ্জ বিনা উপকেন্দ্র জানিয়েছে, এ বছর গোপালগঞ্জ জেলার ২৬ একর জমিতে ৫০টি প্রদর্শনী প্লটে এ জাতের খেসারী আবাদ করা হয়। প্রতি প্লটেই রেকর্ড পরিমাণ খেসারী উৎপাদিত হয়েছে। কাশিয়ানী উপজেলার দক্ষিণ ফুকরা গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি এ বছরই প্রথম বিনা খেসারী ১ আমার ৫২ শতাংশ নিচু ও অনুর্বর জমিতে আবাদ করেছি। প্রচলিত জাতের তুলনায় এ খেসারীর প্রায় তিনগুণ ফলন পেয়েছি। এ জাতের খেসারীতে রোগবালাই নেই বললেই চলে। তাই অধিক উৎপাদন পেয়ে লাভবান হয়েছি। কাশিয়ানী উপজেলার বেথুড়ি ইউনিয়নের নড়াইল গ্রামের বাসুদেব বিশ্বাস বলেন, এ মৌসুমের যে কোন ফসলের তুলনায় বারি খেসারী আবাদ করে অধিক লাভের টাকা ঘরে তুলেছি। আমার দেখাদেখি আমাদের গ্রামের কৃষক এ খেসারী আবাদের আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

বিনা প্রধান কার্যালয়ের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (গবেষণা) ড. মোঃ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, গোপালগঞ্জ জেলার জমি নিচু ও অনুর্বর। এখানে সাধারনত কৃষক একটি ফসল ফলিয়ে থাকে। এ জেলার কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করতে বিনা উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল জাতের ফসল আবাদ সম্প্রসারেণে আমরা কাজ করে যাচ্ছে। বিনা খেসারী ১ এ জেলায় কৃষকে রেকর্ড পরিমান ফলন দিয়েছে। প্রচলিত জাতের খেসারীতে মানব দেহের ক্ষতিকর বেটা অকজাইল এ্যামাইনো এলানিন মাত্রা অতিরিক্ত পরিমানে রয়েছে। পক্ষান্তরে বিনা ১ জাতের খেসারীতে ওই উপাদান মানব দেহের সহনীয় মাত্রায় রয়েছে। এটি মানব দেহের কোন ক্ষতি করবেনা। এ খেসারী মানুষ নিরাপদে খেতে পারবেন। এ জাতের খেসারী আবাদ করে কৃষক যেমন উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারবেন, তেমনি লাভবান হবেন।

বিনা গোপালগঞ্জ উপকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, এ জেলার কৃষক প্রতি হেক্টরে এ জাতের খেসারী ১ হাজার ৯শ’ কেজি উৎপাদন করেছে। জাতীয় পর্যায়ে আমাদের দেশে প্রতি হেক্টরে খেসারীর গড় উৎপাদন মাত্র ৭শ’ ৫০ কেজি। বিনা খেসারী ১ বাংলাদেশর প্রচলিত যে কোন জাতের খেসারীর তুলনায় সবচেয়ে বেশি ফলন দিতে সক্ষম। এ ছাড়া এ জাতের বীজ আগামী বছরের আবাদের জন্য সংরক্ষণ করা যায়। এটির আবাদ সম্প্রসারিত হলে সারাদেশে খেসারী বিপ্লব ঘটবে। আমদানী নির্ভরতা কমবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপ-পরিচালক বিধার রায় বলেন, গোপালগঞ্জে জেলার ৫ উপজেলায় ৮ হাজার ৯শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে খেসারীর আবাদ হয়। কৃষক বিনা ১ জাতের খেসারী আবাদ সব জমিতে সম্প্রসারিত করলে এ জেলায় খেসারীর উৎপাদন রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। কৃষক লাভবান হবেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৯, ২০২৪ ১০:৩২ পূর্বাহ্ন
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশীয় কারিগরি জ্ঞান [Indigenous Technical Knowledge (ITK)] সম্পর্কিত কর্মশালা অনুষ্ঠিত
কৃষি গবেষনা

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে গতকাল  [৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি.] অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বাংলাদেশের আপামর জনসাধারনের দেশীয় কারিগরি জ্ঞান সম্পর্কিত কর্মশালা। আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনে অবস্থিত সাংবাদিক লিয়াকত আলী অডিটোরিয়ামে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা এবং উদ্ভাবনী কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর ড. কাজী মোহাম্মাদ দিদারুল ইসলাম। প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. শামীম আহমেদ কামাল উদ্দিন খান। গবেষণা প্রকল্পের প্রধান বক্তা হিসেবে তথ্য পরিবেশন করেন ‘Identification and Efficacy Assessment of Indigenous Technical Knowledges (ITKs) as Climate Smart Agriculture (CSA) Technology’ শীর্ষক গবেষণা প্রকলপের প্রধান গবেষক প্রফেসর ড. মোঃ মতিউল ইসলাম এবং সহযোগী হিসেবে ছিলেন এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের গ্রাজুয়েট  চঞ্চল বিশ্বাস, সাবরিনা ইমরোজ,  সুমনা সরকার এবং মো. আমিনুল খান। গবেষণা প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশীয় প্রাচীন কারিগরি জ্ঞান খুঁজে বের করা এবং এর ব্যবহার ও উপযোগিতাসমূহ বৈজ্ঞানিকভাবে পর্যালোচনা করা। গবেষণা প্রকল্পের জন্য তথ্য ৫টি জেলার ৫টি উপজেলা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। উপজেলাগুলোর দেড় ডজনের অধিক ইউনিয়নকে নির্বাচন করা হয়েছিল । এগুলো হচ্ছে বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার শিবপুর , চিতলমারী ও চরবানিয়াড়ী ইউনিয়ন; সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমারী ও শ্যামনগর ইউনিয়ন; খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার রাড়ুলী ও চাঁদখালী ইউনিয়ন; গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার  আমতলী ও কোটালীপাড়া ইউনিয়ন; যশোর জেলার সদর উপজেলার চুড়ামনকাঠী ও হৈবতপুর ইউনিয়ন। গবেষণা প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপজেলা কৃষি অফিস কৃষকবৃন্দের কাছ থেকে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেছে। গবেষণা প্রকল্পটির প্রথম অংশটির তথ্য সংগ্রহ পরিচালিত হয়েছে ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। গবেষণা প্রকল্পের জন্য প্রত্যেক উপজেলা থেকে ১০০ জন করে মোট ৫০০ জন সম্মানিত কৃষকদের বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. কাজী মোহাম্মাদ দিদারুল ইসলাম বলেন এটি খুবই চমৎকার উদ্যোগ এবং ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে দেশব্যাপী এই প্রকল্পের কাজ বিস্তৃত করার অনুরোধ করেন এবং প্রাপ্ত দেশীয় প্রাচীন কারিগরি জ্ঞানসমূহকে বই আকারে প্রকাশিত হবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন । প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রফেসর ড. শামীম আহমেদ কামাল উদ্দিন খান বলেন এগুলো খুবই পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতি এবং ভবিষ্যতে এ গবেষণা কাজে সম্ভব সকল ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে খুলনার নিকটস্থ স্থানসমূহের কৃষকসহ মোট ৬৫ জন উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২৫, ২০২৪ ১০:১৪ পূর্বাহ্ন
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে দৃষ্টিনন্দন আদর্শ বীজতলা
কৃষি গবেষনা

পলাশবাড়ী পৌরসভায় মহেশপুর গ্রামে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শর্মিলা শারমিনের পরামর্শে এক সাথে ৭ বিঘা দৃষ্টিনন্দন বোরোর আদর্শ বীজতলা করেছেন। বোরো মৌসুমে বীজতলায় উৎপাদিত ধানের চারা যেকোন বৈরী আবহাওয়া মোকাবিলা করতে পারে। আদর্শ বীজতলায় চারা উৎপাদন খরচ সাশ্রয় হয়।  তাই বীজতলার দিকে ঝুঁকছেন চাষিরা।
আদর্শ বীজতলা তৈরিতে নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন পলাশবাড়ী উপজেলা পৌরসভা ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ।
মহেশপুর গ্রামের কৃষক কালাম মিয়া জানান শর্মিলা আপার পরামর্শে ২০ জন কৃষক মিলে এক সাথে আদর্শ বীজতলা করেছি।
আগে যে বীজতলা করতাম তার  তুলনায় আদর্শ বীজতলায় উৎপাদিত চারার স্বাস্থ্য ভালো এবং কোল্ড ইনজুরির ঝুঁকিও কম। চারা তোলার সময় শিকড়ে মাটি না ধরায় চারা গুলো আঘাত পায় না। রোপণের পর প্রায় শতভাগ চারা জীবিত থাকে। খরচ কম এবং চারা ভালো হওয়ায় সকল কৃষক আমরা খুশি।
শর্মিলা শারমিন জানান আদর্শ বীজতলায় ১-১.২৫ মিটার চওড়া ও জমির সাইজ অনুযায়ী জায়গায় বেড তৈরি করা হয়। বেডের দু’পাশে ড্রেন থাকে। এ পদ্ধতিতে বীজতলায় বীজ ছিটাতে সহজ হয়। বীজতলায় রোগ ও পোকা-মাকড়ের আক্রমণ হলে সহজে পরিচর্যা করা যায়। আগের পদ্ধতির তুলনায় এ পদ্ধতিতে বীজ নষ্ট হয় কম। তিনি আরো জানান তার পৌরসভা ব্লকে মোট  ৬৫ হেক্টর বীজতলা হয়েছে। তার মধ্যে ভেজা আদর্শ বীজতলা ৩৫ হেক্টর, শুকনা আদর্শ বীজতলা ৫ হেক্টর ও পলিথিন আবৃত শুকনা আদর্শ বীজতলা ১ হেক্টর হয়েছে । আগামীতে শতভাগ  বীজতলা করার চেষ্টা করা থাকবে।
শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ১৩, ২০২৪ ৭:২২ অপরাহ্ন
খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনে ভূমিকা রাখবে অধ্যাপক ড. আরিফ হাসান খান রবিনের সরিষা নিয়ে গবেষণা
কৃষি গবেষনা

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু ,বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,ময়মনসিংহঃ স্বল্প মেয়াদী ও উচ্চ ফলনশীল সরিষার জাত উদ্ভাবনে কাজ করছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক।আর এ গবেষনা কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাকৃবির জেনেটিক্স এন্ড প্লান্ট ব্রিডিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আরিফ হাসান খান রবিন। দীর্ঘদিন ধরেই উচ্চফলনশীল সরিষা নিয়ে কাজ করছেন তিনি। তার সাথে কাজ করছেন তার স্নাতক -স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি শিক্ষার্থীরা।

অধ্যাপক রবিন জানান, বাকৃবির জেনেটিকস এন্ড প্লান্ট ব্রিডিং বিভাগ থেকে এ পর্যন্ত সরিষার মোট দশটি জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। এগুলো হলো সম্পদ, সম্বল এবং বাউ সরিষা-১ থেকে ৮ পর্যন্ত। সম্পদ এবং সম্বল উদ্ভাবনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন অধ্যাপক ড. লুৎফুর রহমান এবং অধ্যাপক ড. আব্দুল কুদ্দুস । বাউ সরিষা-১,২,৩ এই তিনটি জাত লবণাক্ততা সহিষ্ণু। তিনটি জাত উদ্ভাবনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। ওই গবেষণা দলে আমিও ছিলাম। এরপরে অতি স¤প্রতি বাউ সরিষা-৪,৫,৬,৭,৮ পাঁচটি উচ্চ ফলনশীল জাত আমি রিলিজ করেছি। জাতগুলো ছত্রাকজনিত অলটারনারিয়া ব্লাইট রোগের প্রতি অধিক মাত্রায় সহনশীল। এগুলোর উৎপাদন বেশি হওয়ায় কৃষকের মাঠে দুই টনের বেশি ফলন পাচ্ছি। যশোর এবং খুলনা অঞ্চলে এই জাতগুলোর দুই থেকে আড়াই টন ফলন পেয়েছি। এর মধ্যে বাউ সরিষা-৫ কৃষকের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে আমরা জাতগুলো দেশের বিভিন্ন জেলা যেমন- কুমিল্লা, কিশোরগঞ্জ, শেরপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা , সাতক্ষীরা, বরিশাল, যশোর, বগুড়া এবং নওগাঁসহ বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দিয়েছি এবং কৃষকের আগ্রহে পরিণত হয়েছে বাউ সরিষা-৫।

জাতগুলোতে ফ্যাটি এসিডসহ সরিষার গুরুত্বপূর্ণ তেলের উপাদানগুলো ভারসাম্য মাত্রায় থাকায় এ জাতের সরিষাগুলো মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে আমি মনে করি। বাউ সরিষা-১ থেকে ৮ পর্যন্ত যে জাতগুলো আমরা কৃষকের জন্য রিলিজ করেছি, সেই জাতগুলো ছিলো ব্রাসিকা জুসিয়া প্রজাতির। এগুলো ৮৮ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে ফসল তো যায় এবং ফলনও ভালো। বর্তমানে আমরা স্বল্প জীবন দৈর্ঘ্যের জাত উদ্ভাবন করার চেষ্টা করছি যেগুলো হবে ব্রাসিকা ন্যাপোস প্রজাতির। এই জাতগুলোর ৭৮ থেকে ৮২ দিনের মধ্যে ফসল তোলা যাবে এবং ফলনও উচ্চপর্যায়ের হবে।

বর্তমানে কৃষি জমির পরিমাণ কমছে কিন্তু জনসংখ্যা ক্রমবর্ধমান। এমনতাবস্থায় দেশের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উল্লেখিত গবেষণা ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন রাজবাড়ী জেলার কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ পরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ।

বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় সরকারের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর নানা উদ্যোগে দেশে সরিষার আবাদ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশীয় চাষ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিগত বছরের তুলনায় বর্তমানে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার ভোজ্য তেল কম আমদানি করেছে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ।
ডক্টর রবিনের সরিষা নিয়ে গবেষণা কাজটি চলছে বাকৃবির গবেষণা মাঠে। ওখানে গিয়ে দেখা যায় সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহের কাজ করছে মৌমাছিরা। দেখলাম দুইজন শিক্ষার্থী কাজ করছেন মাঠে। তাদের মধ্যে একজন আতকিয়া আবিদা। তিনি জানান, আমি এখানে হাইব্রিডাইজেশন কাজ করছি। এক জেনোটাইপের সাথে অন্য জেনোটাইপের নিয়ে হাইব্রিডাইজেশন করছি। এভাবে কোনো পরিবর্তন হয় কি না কিংবা নতুন কোনো বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায় কিনা সেটিই আমরা দেখছি। মুন মোদক নামে স্নাতকে অধ্যায়নরত একজন শিক্ষার্থী জানান, এখানে সরিষার অনেকগুলো জাত লাগানো হয়েছে। কোন জাতের সরিষায় আগে ফুল এসেছে, কোনটিতে পরে ফুল এসেছে, কোনটিতে ৫০ শতাংশ ফুল এসেছে, কোন জাতের সরিষায় রোগ কম বা বেশি হচ্ছে সেটির পর্যেবক্ষণ এবং নিয়মিতভাবে তথ্য রাখছি আমরা। পরে দেশে বহুল প্রচলিত বারি সরিষা-১৪ এর সাথে তুলনা করবো। কারণ, আমরা চাই তার থেকেও উন্নত জাত উদ্ভাবন করতে।

আমাদের দেশের উন্নয়নের ভিত্তি হলো কৃষি। স্বাধীনতা উত্তর দেশের উন্নয়নে এবং মানুষের খাদ্য নিরাপত্তায় সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন কৃষক ও কৃষিবিদরা। নতুন নতুন জাত উদ্ভাবনে কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতাও অর্জিত হয়েছে। কৃষি গবেষণার আতুঁড়ঘর এই বাকৃবির শিক্ষক ও গবেষকবৃন্দ নিরলস প্রচেষ্টায় নিশ্চিত হবে কৃষি বিপ্লব।

দেশে সনাতন কৃষি ব্যবস্থার আধুনিকায়নে তথা বিজ্ঞান-ভিত্তিক চাষাবাদের মাধ্যমে টেকসই কৃষি উন্নয়ন ও কৃষি-বিজ্ঞান-ভিত্তিক অর্থনৈতিক বুনিয়াদ গড়ে তোলার লক্ষ্যে ১৯৬১ সালের ১৮ আগস্ট বাংলাদেশের প্রথম উচ্চতর কৃষি শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পথ চলা শুরু হয়। ধীরে ধীরে কৃষি উন্নয়নের কারিগর তৈরির কারখানা হয়ে ওঠে বাকৃবি। কৃষি গবেষণার আতুঁড়ঘর এই বাকৃবির শিক্ষক ও গবেষকবৃন্দ নিরলসভাবে শিক্ষার্থীদের মাঝে জ্ঞান বিতরণ শুরু করেন। শুরু হয় কৃষির বিপ্লব।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ৬, ২০২৪ ৪:৩৭ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে বোরো ধান রোপন উদ্বোধন
কৃষি গবেষনা

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের খামার ব্যবস্থাপনা শাখার আয়োজনে শনিবার ০৬ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ০৯টায় বোরো বীজ ধানের চারা রোপন-২০২৪ উদ্বোধন করেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এমদাদুল হক চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে খামার ব্যবস্থাপনা শাখার প্রধান খামার তত্ত¡াবধায়ক প্রফেসর ড. মোঃ রাশেদুর রহমানের সভাপতিত্বে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, ধানের চারা রোপন ও ধান কাটা বাংলাদেশের একটি উৎসব। বাংলাদেশে একসময় ছয় কোটি মানুষের খাবারের যোগান অপর্যাপ্ত ছিল কিন্তু এখন তুলনামূলক কম জমিতে আঠারো কোটি মানুষের খাবার নিশ্চিত রয়েছে। ১৯৭৩ সনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘কৃষিবিদ ক্লাস ওয়ান’ অমর বাণীর ফলশ্রæতিতে কৃষি বিজ্ঞানীগণ এ সাফল্য অর্জন করেছে, যার সিংহভাগ কৃতিত্বের দাবিদার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েটগণ। কৃষিক্ষেত্রে গত কয়েক বছরের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মোকাবেলায় বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে আছে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-অর-রশিদ, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ মোঃ অলিউল্লাহ, বাউরেস এর পরিচালক প্রফেসর ড. মাহফুজা বেগম, গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সভাপতি প্রফেসর ড. কাজী শাহনারা আহমেদ, সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আফরিন মোস্তারি, খামার ব্যবস্থাপনা শাখার এডিশনাল রেজিস্ট্রর কৃষিবিদ মোঃ হেলাল উদ্দীন, উপ-প্রধান খামার তত্ত¡াবধায়ক কৃষিবিদ মোঃ জিয়াউর রহমানসহ খামার ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩ ৮:০৪ অপরাহ্ন
বালাই ঠেকাতে বিশেষজ্ঞ ও সরকারী প্রতিনিধির সমন্বয়ে জাতীয় টাস্ক ফোর্স গঠনের আহবান বিশেষজ্ঞদের
কৃষি গবেষনা

ফসল, বন ও মৎস্য সেক্টরের বালাই অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ এবং সরকারী প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি জাতীয় টাস্ক ফোর্স গঠনের আহবান বিশেষজ্ঞদের ।বক্তারা বলেন বালাই অনুপ্রবেশ রোধ করা এবং কার্যকর ব্যবস্থাপনার জন্য বহুমুখী পদ্ধতি অবলম্বন করা অপরিহার্য।

সেন্টার ফর এগ্রিকালচার অ্যান্ড বায়োসায়েন্স ইন্টারন্যাশনাল(ক্যাবি) আয়োজিত ঢাকায় অনুষ্ঠিত দুই দিন ব্যাপী বাংলাদেশের বালাই ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ বিষয়ক কর্মশালার সমাপনী দিনে বিভিন্ন সেক্টরের বিশেষজ্ঞগণ এসব কথা বলেন । কর্মশালার প্রধান পরামর্শদাতা এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ বলেন, কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী সরকারি বেসরকারি ও প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের নিকট থেকে প্রাপ্ত সুপারিশসমূহ হচ্ছে, বালাই ব্যবস্থাপনার জন্য দেশের নাগরিকদের মধ্যে দায়িত্ববোধ জাগ্রত করতে হবে , এজন্য শিক্ষামূলক কর্মসূচি ও প্রচারণার মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও আমাদের কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থাকে শক্তিশালীকরতে হবে । এছাড়া অনুপ্রবেশকারী বালাই অধ্যয়নের জন্য উন্নত পরীক্ষাগার স্থাপন প্রয়োয়জন।
কর্মশালার আয়োজকগণ মনে করেন এই সুপারিশসমূহ সম্মিলিতভাবে আমাদের পরিবেশ রক্ষা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং একটি টেকসই ভবিষ্যত নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ।
ঢাকাস্থ গুলশানের লেকশোর হোটেলে বুধবার দুপুরে (১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ) অনুষ্ঠিত দুই দিন ব্যাপী কর্মশালায় সমাপনী বক্তব্য রাখেন সেন্টার ফর এগ্রিকালচার অ্যান্ড বায়োসায়েন্স ইন্টারন্যাশনাল(ক্যাবি) এর রিজিওনাল কোর্ডিনেটর প্লান্টওাইজ এশিয়া, ড. মালভিকা চৌধুরী । উপস্থিত ছিলেন ক্যাবি বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. মোঃ সালেহ আহমেদ, কর্মশালার প্রধান পরামর্শদাতা ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক এবং ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। ক্যাবি ইউকে সেন্টারের জুনিয়র কৃষি অর্থনীতিবিদ হিদিও ইশি আদাহার এবং কর্মশালা সহযোগী হোমায়রা জাহান সনম। কর্মশালায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সরকারি -বেসরকারি প্রতিনিধি এবং এনজিও প্রতিনিধিসহ ক্যাবি কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় জাতীয় বালাই ব্যবস্থাপনা, বাংলাদেশের বালাই ব্যাবস্থাপনার প্রস্তুতি এবং দক্ষতার সাথে দেশের বালাই ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলায় বিভিন্ন বিষয়ের ওপর জোর দেয়া হয় ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১২, ২০২৩ ৫:১৮ অপরাহ্ন
বাংলাদেশের বালাই ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ বিষয়ক কর্মশালা ঢাকায় অনুষ্ঠিত
কৃষি গবেষনা

দীন মোহাম্মদ দীনু, ঢাকাঃ সেন্টার ফর এগ্রিকালচার অ্যান্ড বায়োসায়েন্স ইন্টারন্যাশনাল(ক্যাবি) এর আয়োজনে ‘বাংলাদেশের বালাই ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালীকরণ বিষয়ক স্টেকহোল্ডার কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে । ঢাকাস্থ গুলশানের লেকশোর হোটেলে মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দিন মিয়া। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (উদ্ভিদ সংরক্ষন উইং ) এর পরিচালক মোঃ আশরাফ উদ্দিনএর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিএই-সরেজমিন উইং এর পরিচালক মোঃ তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, ক্যাবি বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ডঃ মোঃ সালেহ আহমেদ এবং ক্যাবি রিজিওনাল কোর্ডিনেটর প্লান্টওাইজ এশিয়া, ড. মালভিকা চৌধুরী। আরো উপস্থিত ছিলেন ক্যাবি ইউকে সেন্টার, জুনিয়র কৃষি অর্থনীতিবিদ হিদিও ইশি আদাহার।
কর্মশালায় কীটপতঙ্গের প্রস্তুতি ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক এবং কর্মশালার প্রধান পরামর্শদাতা ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ।

কর্মশালার কারিগরি সেশনে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজনীন সুলতানা, প্যাথলজি সেক্টর নিয়ে মৎস্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ নওশের আলী, মৎস্য সেক্টর এবং বাংলাদেশ জাতীয় হার্বেরিয়ামের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ সায়েদুর রহমান, বনায়ন এবং ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ ,কীটতত্ত্ব বিষয়ে আলোচনা করেছেন । অনুষ্ঠানে সরকারি -বেসরকারি প্রতিনিধি এবং এনজিও প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় জাতীয় বালাই ব্যবস্থাপনা, ফল আর্মিওয়ার্মের উপর করা একটি স্প্রোকলার অনুসন্ধানের অন্তর্দৃষ্টির উপস্থাপনা এবং বাংলাদেশের বালাই ব্যাবস্থাপনার প্রস্তুতি এবং ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করা হয় । দক্ষতার সাথে দেশের বালাই ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলায় সম্মিলিত অঙ্গীকারের ওপর জোর দেয়া হয় ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৯, ২০২৩ ৪:৪৬ অপরাহ্ন
নিরাপদ কৃষিপন্য উৎপাদনের আহবান বাকৃবি ভিসির
কৃষি গবেষনা

বাকৃবিতে বাংলাদেশ সোসাইটি অব এগ্রোনমীর ২২তম বৈজ্ঞানিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

দীন মোহাম্মদ দীনু, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ঃ
আধুনিক ও উচ্চতর গবেষণা ছাড়া টেকসই কৃষি উন্নয়ন সম্ভব নয়। টেকসই কৃষি উন্নয়নে শুধু কৃষি পন্য উৎপাদন বাড়ালে হবে না নিরাপদ কৃষি পন্য উৎপাদনের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।বাংলাদেশের কৃষিতত্ত¡বিদগণ এব্যাপারে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আমার বিশ¦vস,কথাগুলো বলেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। তিনি কৃষি জমিতে সার, কীটনাশক, ছত্রাকনাশকের পরিমিত ব্যাবহার নিশ্চিত করতে মাঠ পর্যায়ে যারা কৃষি সম্প্রসারণে কাজ করছেন তাদের প্রতি আহবান জানান। বাংলাদেশ সোসাইটি অব এগ্রোনমি (বিএসএ) এর ২২তম বৈজ্ঞানিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ সোসাইটি অব এগ্রোনমি (বিএসএ) বাংলাদেশের কৃষিতে রূপান্তর : কৃষি শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক এই ২২তম বৈজ্ঞানিক সম্মেলনের আয়োজন করে । শনিবার (০৯ ডিসেম্বর ২০২৩) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ এর সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী।

বাংলাদেশ সোসাইটি অব এগ্রোনমি (বিএসএ) এর সভাপতি ড. নূর আহম্মেদ খন্দকার এর সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুর রহমান সরকার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান, ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. মো: ওমর আলী এবং ইউজিসি প্রফেসর ড. মো. সুলতান উদ্দিন ভূঞা। সম্মেলনে এফএও বাংলাদেশের সিনিয়র কারিগরি উপদেষ্টা জনাব সাসো মার্টিনভ সম্মানিত অতিথি ছিলেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাকৃবির কৃষিতত্ব বিভাগের সাবেক শিক্ষক ও ফ্রিল্যান্স আন্তর্জাতিক কৃষি গবেষক ড. মইন-উস-সালাম এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেম এর পরিচালক প্রফেসর ড.মাহফুজা বেগম এবং অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সোসাইটি অব এগ্রোনমি (বিএসএ) এর সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মো. আবদুল কাদের ।

সম্মেলনে ভাইস-চ্যান্সেলর বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে কৃষি প্রযুক্তিকে আরো উন্নত করতে ভার্টিক্যাল কৃষি, নিয়ন্ত্রিত কৃষির ওপর জোর দিতে হবে। আমাদের শুধুমাত্র স্মার্ট কৃষি হলেই হবে না বরং স্মার্ট কৃষক তৈরীতে বিশেষ নজর দেয়া প্রয়োজন।তিনি বলেন, বাংলাদেশের কৃষি বিজ্ঞানীরা স্বল্প জমিতে তুলনামূলকভাবে অধিক উৎপাদনের মাধ্যমে ১৮ কোটি মানুষের খাবারের যোগানের ব্যবস্থা করেছে। কৃষি বিজ্ঞানীগণই কৃষি ক্ষেত্রে প্রযুক্তিকে পরিচয় করিয়েছেন। সম্মেলনে ১২২টি টেকনিক্যাল পেপার ৩টি টেকনিক্যাল সেশনে উপস্থাপন করা হয়। এ ছাড়া কনফারেন্সে ১টি পোস্টার সেশন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনে পাঁচ শতাধিক কৃষিতত্ত¦বিদসহ দেশ-বিদেশের গবেষক, শিক্ষক ও স্বনামধন্য কৃষি বিজ্ঞানীগণ অংশ গ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২০, ২০২৩ ১১:১২ অপরাহ্ন
গোপালগঞ্জে বিনাধান-১৭ এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত
কৃষি গবেষনা

বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট(বিনা) উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন বিনাধান-১৭ এর চাষাবাদ সম্প্রসারণের লক্ষে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা গ্রামে বিনা গোপালগঞ্জ উপকেন্দ্র আয়োজিত এ মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন- বিনা’র মহাপিরচালক (রুটিন দায়িত্ব)ড. মো. আবুল কালাম আজাদ।

বিনা গোপালগঞ্জ কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম আকন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে বিনা গোপালগঞ্জে উপকেন্দ্রের ফার্ম ম্যানেজার আলমগীর কবির, বিনাধান-১৭ এর প্রদর্শনী প্লটের কৃষক রফিকুল ইসলাম সুমনসহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন- বিনা গোপালগঞ্জ উপকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৌরভ অধিকারী।

বিনার মহাপরিচালক ড. আজাদ বলেন- বিনাধান-১৭ একটি উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন ধানের জাত। এই ধানের জীবনকাল মাত্র ১০০ দিন থেকে ১০৫ দিন। কৃষক এই ধানের আবাদ করে ৩ ফসলী জমিকে ৪ ফসলী জমিতে রূপান্তরিত করতে পারবেন।  বিনা প্রধান বলেন, বিনাধান-১৭ চাষাবাদে সেচের পানি সাশ্রয় করে। এছাড়া ইউরিয়া বা নাইট্রোজেন সার ৩০ শতাংশ কম লাগে। এতে কৃষক কম খরচে বেশি ধান উৎপাদন করে লাভবান হতে পারবেন।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop