১২:৫৮ অপরাহ্ন

সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অক্টোবর ১৫, ২০২৩ ১০:৪৭ অপরাহ্ন
সিকৃবিতে সেমিনার: চায়ের উৎপাদন ১০-১৫ মিলিয়ন কেজি বৃদ্ধি করা সম্ভব
কৃষি গবেষনা

সিকৃবি প্রতিনিধি: সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে চায়ের উৎপাদন ১০-১৫ মিলিয়ন কেজি বৃদ্ধি করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন সিকৃবির গবেষকবৃন্দ। ১৫ অক্টোবর (রবিবার) সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) কৃষি অনুষদের ভার্চুয়াল সম্মেলন কক্ষে “চা উৎপাদনে উপকারী আর্থোপোড সংরক্ষণে ছায়াবৃক্ষের ভূমিকা” শীর্ষক সেমিনারে গবেষকবৃন্দ এসব তথ্য জানান। এ সময় তারা বলেন বাংলাদেশে প্রতি বছর ৮৫-৯৫ মিলিয়ন কেজি চা উৎপন্ন হয়ে থাকে। আর চা ব্যবহার হয়ে থাকে ৯০-৯৫ মিলিয়ন কেজি । বর্তমানে চা বাগানের অব্যবহৃত জমি সঠিক ভাবে ব্যবহার করার পাশাপাশি ২০ ফুট দূরত্ব বজায় রেখে ছায়াবৃক্ষ লাগালে সর্বোচ্চ চা উৎপাদন করা সম্ভব।

উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব ও বীজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. আব্দুল মুকিতের সঞ্চালনায় এবং সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেম (সাউরেস) এর পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ছফিউল্লাহ ভূইয়ার সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডাঃ মোঃ জামাল উদ্দিন ভূঞা। এ সময় তিনি বলেন, “আমাদের নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি পণ্য রপ্তানির সুযোগ তৈরি করতে হবে।” প্রফেসর ড. মো: আব্দুল মালেক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। কৃষি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ নজরুল ইসলাম,  কীটতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক চৌধুরীসহ অন্যান্য বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ উক্ত সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১৪, ২০২৩ ১০:২৮ অপরাহ্ন
চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বারি উদ্ভাবিত প্রযুক্তি বিস্তার শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
কৃষি গবেষনা

দীন মোহাম্মদ দীনুঃ চট্টগ্রামের হাটহাজারীস্থ আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের স্বাগতিকায় চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বারি উদ্ভাবিত প্রযুক্তি বিস্তার শীর্ষক গবেষণা-সম্প্রসারণ-কৃষক সন্নিবদ্ধ কর্মশালা শনিবার ১৪ অক্টোবর ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় অধীনস্থ কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন পেশার কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার বলেন, নিরাপদ-বিষমুক্ত কৃষি পণ্য উৎপাদনে কৃষি-বান্ধব উন্নত জাত-প্রযুক্তির সম্ভারে দেশের খাদ্য উৎপাদনে ভুমিকা রাখবেন বিজ্ঞানীরা যা কৃষি সম্প্রসারণ এর মাধ্যমে কৃষকের দ্বার প্রান্তে পৌঁছে দিতে হবে। উন্নত টেকশই জৈব-বালাই ব্যবস্থাপনায় উদ্ভিদের বালাই দমন, আধুনিক মানসম্পন্ন, গুণগত এবং কাঙ্খিত বৈশিষ্টের উন্নত জাত উদ্ভাবন, উন্নত সেচ, সার, মাটি ব্যবস্থাপনা উদ্ভাবনে বিজ্ঞানীদের আরো নিরলসভাবে কাজ করতে হবে। বিভিন্ন বিভাগের সাথে বিশেষ করে কৃষি সম্প্রসারণ, বিএডিসির সাথে একই যোগসূত্রে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি আরো বলেন, মানসম্পন্ন বীজ-চারা উৎপাদনের টেকসই জাত-প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা আজ বড় প্রয়োজন যা বিজ্ঞানীদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। কৃষির এই প্রকট সমস্যা দূরীকরণে বিজ্ঞানীদের গবেষণা আরো জোড়ালো করার জন্য তিনি আহবান জানান। আর এটি তখনই বাস্তবায়ন হবে যদি তা কৃষকের দ্বার প্রান্তে যেতে পারে এবং তা বাস্তবায়নে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের প্রতি তিনি উদাত্ত আহবান জানান।


কর্মশালায় ড. মুহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন রনি, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার কোরআন তেলাওয়াত এর মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়। কর্মশালাটি উদ্বোধনী এবং করিগরি অধিবেশন এর মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়। ড. মো. সামছুর রহমান, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার সভাপতিত্ত্বে মো.রাশেদ সরকার ও আনিকা তাবাসসুম বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার সঞ্চালনায় এতে
বিশেষ অতিথি হিসেবে ড. ফেরদৌসী ইসলাম, পরিচালক, সেবা ও সরবরাহ, ড. মো. আব্দুল্লাহ ইউছুফ আখন্দ, পরিচালক, গবেষণা এবং ড. দিলোয়ার আহমদ চৌধুরী, পরিচালক, পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন, বিএআরআই মহোদয়গন উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগতিক বক্তব্য রাখেন মো. মসিউর রহমান, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা।
বিশেষ অতিথি ড. ফেরদৌসী ইসলাম বলেন, ক্রপ মিউজিয়াম এর মাধ্যমে বারি উদ্ভাবিত বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রদর্শনী করে কৃষক এবং সংশ্লিষ্টদেরকে আকর্ষণ করে তুলতে হবে; তবেই বারির প্রযুক্তি কৃষক নিতে আগ্রহী হবে। ড. আব্দুল্লাহ ইউছুফ আখন্দ বলেন, জীন প্রযুক্তি ব্যবহার করে বারির বহুল প্রচলিত বারি সরিষা ১৪ এর ইউরেসিক এসিড কে কমানো সম্ভব। তিনি উক্ত বিষয়ে গবেষণা করার আহবান জানান। ড. দিলোয়ার আহমদ চৌধুরী বলেন, সরেজমিন গবেষণার মাধ্যমে বারির উদ্ভাবিত প্রযুক্তি সমূহ কৃষকের দ্বার প্রান্তে পৌঁছে দিতে হবে এবং এর মাধ্যমে সম্প্রসারণের সাথে যোগসূত্র বাড়বে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শেষে কারিগরি অধিবেশনটি ড. দেবাশীষ সরকার, মহাপরিচালক, বিএআরআই, গাজীপুর সঞ্চালনা করেন। মূল প্রবন্ধ উপস্হাপনা করেন ড. মো. সামছুর রহমান, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা। ড. রহমান কৃষি গবেষণার বিভিন্ন জাত প্রযুত্তি নিয়ে বক্তব্য তুলে ধরেন। পরে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা শেষে বিজ্ঞানের নানা বিষয় সম্বলিত প্রযুক্তি বিস্তার এবং কৃষক পর্যায়ে তাদের অবস্থা নিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ, বিএডিসি এবং গবেষণার কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সম্পন্ন হয়। আরো উপস্থাপনা করেন কিশোর কুমার মজুমদার, উপপরিচালক, খাগড়ছড়ি, মো. ওমর ফারুক, অতিরিক্ত উপপরিচালক, চট্টগ্রাম। তাঁরা বারি উদ্ভাবিত জাত প্রযুক্তি, উন্নত বীজ, চারা কলম উক্ত কর্মশালার মাধ্যমে চাহিদা উপস্থাপন করেন। এই সময় বারি মহাপরিচালক মহোদয় তাদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, বিজ্ঞানীরা প্রস্তুত রয়েছে, অচিরেই সরেজমিন গবেষণা কেন্দ্র চন্দনাইশ, দিঘীনালায় স্হাপন করা হবে এবং তাদের মাধ্যমে এই যোগসূত্র আরো বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এ মতবিনিময় আলাচনায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ মো.নাছির উদ্দীন, অতিরিক্ত পরিচালক, চট্টগ্রাম অঞ্চল, কৃষিবিদ তপন কুমার পাল, অতিরিক্ত পরিচালক, রাংগামাটি অঞ্চল, এ এফ এম শফিকুল ইসলাম, যুগ্ম পরিচালক (বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ) বিএডিসি, চট্টগ্রাম। করিগরি অধিবেশনে আরো বক্তব্য দেন মো. আব্দুচ ছোবহান, উপপরিচালক, চট্টগ্রাম, নাসির উদ্দিন চৌধুরী, জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার, হাবিবুননেছা, অতিরিক্ত উপিপরিচালক, চট্টগ্রাম, বিভিন্ন উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা, কৃষকবৃন্দ প্রমুখ।
বিভিন্ন ফসলের জার্মপ্লাজম সংগ্রহ, ঢলে পড়া রোগ দমন ব্যবস্থাপনা, বেসিলাস ব্যাক্টেরিয়ার কার্যক্রম বাড়ানো, কেনোলা জাতীয় বারি সরিষা-১৮, বারি মাল্টা ২ এর বিস্তারসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় বক্তরা তুলে ধরেন। পরে কারগরি অধিবেশন শেষে মহাপরিচালক মহোদয় আইসি ব্লকের বিভিন্ন মাতৃবাগান এবং বিভিন্ন পরীক্ষাকার্য পর্যবেক্ষণ করেন। উৎসবমুখর পরিবেশে এই কর্মশালাটি শতাধিক কর্মকর্তার সমন্বয়ে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এই কর্মশালাটির মাধ্যমে এই অঞ্চলের কৃষকদের আশা-আকাঙ্ক্ষার মূর্ত প্রতীক বাস্তবায়িত হবে বলে কর্মকর্তারা মনে করছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩ ৬:৫৬ অপরাহ্ন
জনপ্রিয় সবজি লাউ এর পুষ্টিগুণ
কৃষি গবেষনা

জনপ্রিয় সবজিগুলোর মধ্যে লাউ অন্যতম। সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর এই সবজিটি ঝোল, নিরামিষ, ভাজি কিংবা সালাদ হিসেবে খাওয়া যায়। এর খোসা, শাঁস, পাতা সবই খাওয়া যায়। প্রতি ১০০ গ্রাম লাউয়ে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট ২.৫ গ্রাম, প্রোটিন ০.২ গ্রাম, ফ্যাট ০.৬ গ্রাম, ভিটামিন-সি ৬ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২০ মি.গ্রা., ফসফরাস ১০ মি.গ্রা., পটাশিয়াম ৮৭ মি.গ্রা., নিকোটিনিক অ্যাসিড ০.২ মি.গ্রা. রয়েছে। এছাড়া এতে রয়েছে খনিজ লবণ, ভিটামিন বি-১, বি-২, আয়রন প্রভৃতি আরও নানা উপাদান। এসব উপাদান শুধু ওজন কমাতেই ভূমিকা রাখে না, হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতেও ভালো কাজ করে। আবার ত্বকের যত্নেও সমান উপকারী লাউ।
লাউয়ের গুণাগুণ

ওজন কমাতে – ওজন কমাতে খাবারের তালিকায় প্রথমেই লাউ রাখুন। কম ক্যালোরি সম্পন্ন এই খাবারটিতে ৯৬ শতাংশ পানি রয়েছে। এছাড়া লাউয়ে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার এবং খুব কম ক্যালোরি থাকে; যা ওজন কমাতে অত্যন্ত সহায়ক। খাবারে স্বাদ নিয়ে আসার পাশাপাশি শরীরে কম ক্যালোরি যুক্ত করবে লাউ।

হজমে সাহায্য করে – লাউয়ে প্রচুর পরিমাণে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় ফাইবার আছে। দ্রবণীয় ফাইবার সহজে খাবার হজম করতে সাহায্য করে এবং হজম সংক্রান্ত সব সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে। এছাড়া নিয়মিত লাউ খেলে অ্যাসিডিটি ও কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হয়। আর অদ্রবণীয় ফাইবার পাইলসের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।

শরীর ঠাণ্ডা রাখে – লাউ এর মূল উপাদান পানি। তাই লাউ খেলে শরীর ঠাণ্ডা থাকে। নিয়মিত সূর্যের আলোতে কাজ এবং দীর্ঘ সময় রোদে থাকার পর লাউ তরকারি খেলে শরীর ঠাণ্ডা হয়। শরীরের ভেতরের অস্বস্তি কমে। গরমের কারণে শরীর থেকে যে পানি বের হয়ে যায়- তার অনেকটাই পূরণ করতে পারে লাউ। এতে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমে।

ত্বকের যত্নে – লাউয়ে প্রাকৃতিক প্রোটিন ও ভিটামিন রয়েছে। তাই ভেতর থেকে ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে লাউ। ত্বকের তৈলাক্ততা সমস্যা কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এ সবজি। লাউ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে পেট পরিষ্কার করে বলে মুখে ব্রনের প্রবণতাও কমে যায়।পানি শূন্যতা দূর করে জ্বর, ডায়রিয়া ও অন্যান্য বড় ধরনের অসুখে শরীরে পানির অভাব দেখা দেয়। প্রচুর পরিমাণে পানি বের হয় বলে পানি শূন্যতা দেখা দেয়। এতে কিডনিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। পানি শূন্যতা দেখা দিলেই প্রচুর পরিমাণে লাউয়ের তরকারি খাওয়া উচিত। এতে শরীরের পানি শূন্যতা দূর হয় এবং শরীর সতেজ থাকে।

প্রসাবের জ্বালা পোড়া কমায় – যাদের প্রসাবে জ্বালা-পোড়ার সমস্যা আছে কিংবা প্রসাব হলদে হয়- তাদের নিয়মিত লাউ খাওয়া উচিত। নিয়মিত লাউ খেলে এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

গুণে ভরা লাউ শাক – লাউয়ের মতো লাউ শাকেরও নানান রকমের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ রয়েছে। গর্ভস্থ শিশু, সংক্রমণ, কোষ্ঠকাঠিন্যসহ অন্যান্য রোগ-প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে এ শাক ।

১. ফলিক এসিড সমৃদ্ধ একটি খাবার হলো লাউ শাক। তাই গর্ভস্থ শিশুর স্পাইনাল কর্ড এবং মস্তিষ্কের বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া প্রয়োজন। এর অভাবে গর্ভস্থ শিশুর স্পাইনাল কর্ডের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়; ফলে প্যারালাইসিস, মস্তিষ্ক বিকৃতি অথবা মৃত শিশুর জন্ম হতে পারে।
২. লাউ শাকে উচ্চ মাত্রার ভিটামিন-সি রয়েছে। ঠাণ্ডা এবং যেকোনো ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে ভিটামিন-সি। লাউ শাকে যথেষ্ট পরিমাণে আঁশ থাকে। লাউ শাকের আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করে এবং পাইলস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
৩. উচ্চ মাত্রায় ক্যালসিয়াম থাকায় অস্টিওপোরেসিস এবং অন্যান্য ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত রোগের ঝুঁকি কমায় লাউ শাক।
৪. কোষের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান পটাসিয়াম; যা শরীরে তরলের মাত্রা ঠিক রাখে, হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে। লাউ শাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে; যা হাড় শক্ত ও মজবুত করে।
৫. লাউ শাকে প্রচুর আয়রন রয়েছে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ এবং লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২২, ২০২৩ ১০:৩০ পূর্বাহ্ন
বিষ ছাড়া শাকসবজির পোকা দমনের টিপস
কৃষি গবেষনা

শাকসবজি ও ফসলে বহু রকমের পোকামাকড় আক্রমণ করে। আবার এক এক সবজিতে এক এক পোকার আক্রমণ দেখা যায়। যেমন বেগুনের ডগা ও ফলছিদ্রকারী পোকা শুধু বেগুনই আক্রমণ করে। আবার একই পোকা একই সাথে অনেক সবজিতে আক্রমণ করে। যেমন জাব পোকা, জ্যাসিড, মাকড়, লেদা পোকা ইত্যাদি। তাই শাক সবজির পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণে কৌশলী না হলে সেসব শত্রু পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় না।

সাধারণত এ দেশের সবজি চাষিরা শাক সবজির পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণে বিষাক্ত কীটনাশকের উপর বেশি নির্ভর করেন। এখনো এ দেশে বিভিন্ন ফসলের মধ্যে সবজিতে সবথেকে বেশি কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। সবচেয়ে বেশি কীটনাশক দেয়া হয় বেগুন, শিম, বরবটি ইত্যাদি ফসলে। তাতে পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ হয় বটে, কিন্তু তার ক্ষতিকর প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে পরিবেশ ও মানুষের উপর। যত্রতত্র কীটনাশক ব্যবহারের ফলে একদিকে যেমন পোকামাকড়ও সেসব কীটনাশকের প্রতি ধীরে ধীরে প্রতিরোধী হয়ে ওঠে অন্যদিকে তেমনই চাষি ও সবজি ভোক্তারা কীটনাশকের বিষাক্ততায় আক্রান্ত হয়ে নানারকম অসুখ-বিসুখে ভোগে। এ অবস্থা কাম্য নয়। তাই বিষের হাত থেকে ফসল, পরিবেশ ও মানব স্বাস্থ্যকে রক্ষা করতে বসতবাড়িতে এখন প্রাকৃতিক উপায়ে শাক সব্জির পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণে জোর দেয়া উচিত।

প্রকৃতিতেই এসব শত্রু পোকাদের শায়েস্তা করার নিদান লুকিয়ে আছে। আছে বিভিন্ন বন্ধু পোকা ও মাকড়সা, উপকারী রোগজীবাণু। ক্ষেতে কোনও বিষ না দিলে এরা বেঁচে থাকে এবং প্রাকৃতিক নিয়মেই শত্রু পোকাদের মেরে ফেলে। এছাড়া আছে বিভিন্ন কীটবিনাশী গাছপালা। এসব গাছপালা থেকে উদ্ভিদজাত কীটনাশক তৈরি করে আক্রান্ত ক্ষেতে প্রয়োগ করলে তাতে শত্রু পোকা নিয়ন্ত্রণ হয় অথচ সেসব প্রাকৃতিক কীটনাশক বন্ধু পোকাদের কোনও ক্ষতি করে না। বিভিন্ন পরীক্ষা নীরিক্ষার ফলাফলে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে নিচে শাক সবজির ৫টি গুরুত্বপূর্ণ পোকামাকড়ের প্রাকৃতিক উপায়ে নিয়ন্ত্রনের পদ্ধতি বর্ণনা করা হল। আশা করি ক্ষেত জরিপ করে পোকামাকড়ের অবস্থা বুঝে এসব পদ্ধতি প্রয়োগ করে বিনা বিষে সবজির পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।

সবজির জাব পোকা
জাব পোকা সবজি ফসলের একটি মহা শত্রু পোকা । শিম, বরবটি, মটরশুটি, মরিচ, টমেটো, ঢেঁড়শ, বেগুন, কুমড়া, কপিসহ প্রায় সব সবজিতেই এ পোকা আক্রমণ করে থাকে । এমনকি লেবু ও পেয়ারা গাছেরও জাব পোকা ক্ষতি করে । জাব পোকারা দলবদ্ধভাবে সাধারণতঃ পাতার নিচের পিঠে থাকে । পোকাগুলো দেখতে খুব ছোট ছোট, রঙ সবুজ থেকে কালচে সবুজ । জাব পোকা যেখানে থাকে সেখানে পিঁপড়াও ঘুরে বেড়ায় । তবে শুধু পাতা নয়, এরা কচি ফল ও ফুলেও আক্রমণ করে। সেখান থেকে রস চুষে খায় । ফলে পাতা, ফুল, ফল বিকৃত হয়ে যায়, বৃদ্ধি থেমে যায় । পূর্ণাঙ্গ ও বাচ্চা দু অবস্থাতেই এরা ক্ষতি করে । এ ছাড়া জাব পোকা সবজির ভাইরাস রোগের বাহক হিসেবে কাজ করে । বিনা বিষে এ পোকাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে নিম্নলিখিত ব্যবস্থাদি নেয়া যেতে পারে-

শুকনো গোবর গুঁড়ো করে সবজি গাছের জাব পোকা আক্রান্ত অংশে ছিটিয়ে দিতে হবে। একইভাবে কাঠের ছাই ছিটিয়েও উপকার পাওয়া যায় ।

একটি মাটির পাত্রে গো মূত্র রেখে ১৪ থেকে ১৫ দিন পচাতে হবে । পরে তার সাথে ১০ গুণ বেশি পানি মিশিয়ে ক্ষেতে স্প্রে করতে হবে ।

সমপরিমাণ রসুন ও কাঁচা মরিচ বেটে তা ২০০ গুণ পানির সাথে মিশিয়ে জাব পোকা আক্রান্ত ক্ষেতে ছিটালে ভাল উপকার পাওয়া যায় ।
সেচ দেয়ার সময় সেচের পানির সাথে সেচ নালায় সামান্য পরিমাণ ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে দিলে উপকার পাওয়া যায় ।

আতা, শরিফা, রসুন, নিম, তামাক ইত্যাদি গাছ গাছড়া থেকে বালাইনাশক তৈরি করে জাব পোকা নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহার করা যায় ।এসব গাছের কাঁচা পাতা বেটে রস করে পানিতে মিশিয়ে আক্রান্ত গাছে স্প্রে করা যায় । শুকনো তামাকপাতা সারারাত পানিতে ভিজিয়ে সেই পানি ছেঁকে তার সাথে দশগুণ পানি মিশিয়ে আক্রান্ত গাছে স্প্রে করা যায় । ১০০ থেকে ২৫০ গ্রাম রসুনের কোয়া বেটে রস করে তা ১০ লিটার পানির সাথে মিশিয়ে আক্রান্ত গাছে স্প্রে করা যায়।

হলদে রঙের আঠা ফাঁদ পেতেও পাখাযুক্ত জাব পোকাদের আকৃষ্ট করা যায়। একটা ছোট স্বচ্ছ প্লাস্টিকের বয়মের ভেতরে হলুদ রঙ করে সেটা একটি কাঠির মাথায় উপর করে আক্রান্ত ক্ষেতে টাঙ্গিয়ে দেয়া যায়। এর ভেতরে গ্রীজ বা আঠালো পদার্থ লেপে দিলে পাখাওয়ালা জাব পোকারা হলুদ রঙে আকৃষ্ট হয়ে বয়ামের ভেতরে ঢুকে আঠায় আটকে মারা পড়বে । এতে ক্ষেতে জাব পোকার সংখ্যা ও বিস্তার কমে যাবে ।

সবজির জ্যাসিড পোকা
জ্যাসিড পোকা দেখতে খুব ছোট এবং হালকা সবুজ রঙের। পূর্ণাঙ্গ পোকা প্রায় ২.৫ মিলি মিটার লম্বা। পোকা সাধারণত পাতার নিচে লুকিয়ে থাকে গাছ ধরে ঝাঁকালে জ্যাসিড চারদিকে লাফিয়ে উড়ে যায়। এরা বেশ স্পর্শকাতর। ছোঁয়া লাগলেই দ্রুত অন্যত্র সরে যায়। জ্যাসিড বাংলাদেশে ঢেঁড়স ও বেগুন এর একটি অন্যতম প্রধান ক্ষতিকর পোকা। এ ছাড়া জ্যাসিড আলু, মরিচ, কুমড়াজাতীয় সবজি, টমেটো, তুলা, বরবটি ইত্যাদি ফসলেরও ক্ষতি করে থাকে। এ দেশে প্রায় ১০ প্রকার ফসলে জ্যাসিড ক্ষতি করে। শুষ্ক আবহাওয়ায়, বিশেষ করে ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে ক্ষেতে জ্যাসিডের আক্রমণ বেশি দেখা যায়। কোনো কোনো ক্ষেতে এ সময়ে জ্যাসিডের ব্যাপক আক্রমণে প্রায় সব বেগুন গাছই নষ্ট হয়ে যায়। বছরের অন্য সময় এদের দেখা গেলেও মূলত বসন্তকালে এদের আক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করে। পর্যায়ক্রমে এসব গাছে উপর্যুপরি বংশবিস্তার করে, ফলে সারা বছরই এদের দেখা যায়। প্রবল বর্ষায় এদের আক্রমণ কমে যায়। একটি প্রজাতির জ্যাসিড বেগুনে ক্ষুদে পাতা রোগের জীবাণু ছাড়ায় বলে জানা গেছে।

পূর্ণাঙ্গ ও অপূর্ণাঙ্গ, দুই অবস্থাতেই জ্যাসিড সবজি গাছে আক্রমণ করে। চারা রোপনের পর পাতায় থাকে ও পাতা থেকে রস চুষে খায়। এর ফলে আক্রান্ত পাতা বিবর্ণ হয়ে যায় এবং কচি পাতা কুঁচকে যায়। আক্রমণ বেশি হলে পাতা শুকিয়ে ঝরে পড়ে । পাতা থেকে রস চুষে খাওয়ার সময় জ্যাসিড পাতায় এক রকম বিষাক্ত পদার্থ গাছের ভিতর ঢুকিয়ে দেয়। এতে আক্রান্ত পাতা প্রথমে নিচের দিকে কুঁকড়ে যায়। পরে পাতার কিনারা হলুদ হয়ে যায় এবং শেষে পাতায় মরিচা রঙ হয়। একটি গাছের সমস্ত পাতা এমনকি আক্রমণ অত্যধিক হলে সম্পূর্ণ ক্ষেত ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে করনীয় হচ্ছে-

বর্ষাকালে চারা রোপণ করতে হবে ।

বিএআরআই-এর কীটতত্ত্ব বিভাগ এক গবেষণা করে দেখেছে যে ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত প্রতি লিটার পানিতে ৫ মিলিলিটার নিমতেল অথবা নিমবিসিডিন মিশিয়ে তিন বার ক্ষেতে স্প্রে করতে পারলে জ্যাসিড দমনে সুফল পাওয়া যায় । নিম তেল ব্যবহার করলে নিম তেল ও পানির সাথে ১ মিলিলিটার তরল সাবান যেমন ট্রিক্স মেশাতে হবে ।

নিমতেল ছাড়া ১লিটার পানিতে ৫০টি নিম বীজের শাঁস ছেঁচে ২৪ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে তারপর সে পানি ছেঁকে স্প্রে করলেও উপকার পাওয়া যায়।

প্রতি লিটার পানিতে ৫ গ্রাম ডিটারজেন্ট বা গুড়া সাবান গুলে ছেঁকে সে পানি পাতার নিচের দিকে স্প্রে করেও জ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।

চারা অবস্থায় আক্রান্ত গাছে ছাই ছিটানো যেতে পারে । চারা অবস্থায় জ্যাসিড দেখা গেলে মসলিন বা মসৃণ কাপড়ের তৈরি হাতজাল দ্বারা জ্যাসিড ধরে সংখ্যা কমাতে হবে ।

তামাক পাতা ১কেজি পরিমাণ নিয়ে ১৫ লিটার পানিতে এক রাত ভিজিয়ে রাখতে হবে । এর সাথে সামান্য সাবান যোগ দিতে হবে। ছেঁকে সেই দ্রবণ স্প্রে করতে হবে ।

থ্রিপস
থ্রিপস সবজির একটি প্রধান ক্ষতিকর পোকা। শিম, বরবটি, টমেটো, বেগুন ইত্যাদি সবজিতে এরা আক্রমণ করে থাকে। এমনকি ধান ফসলেও চারা অবস্থায় থ্রিপস ক্ষতি করে । ধানের থ্রিপস দেখতে কালচে রঙের, সবজির থ্রিপস বাদামি বা কালচে বাদামি। তবে শিমের থ্রিপস আবার কালো। থ্রিপস খুব ছোট, কাল পিঁপড়ার মত, পাখাযুক্ত । পাখাগুলো নারিকেল পাতার মত সূক্ষ্ম পশমে চেরা। পূর্ণবয়স্ক থ্রিপস কচি পাতা ও ফুলের রস চুষে খেয়ে ক্ষতি করে। এতে কচি পাতা কুঁকড়ে যায় এবং আক্রমণ অধিক হলে পাতা বিবর্ণ হয়ে যায় ও ফুল ঝরে পড়ে। এজন্য ফলন কমে যায়। প্রত্যক্ষ ক্ষতির পাশাপাশি থ্রিপস পরোক্ষ ক্ষতিও করে। যেমন এরা টমেটোর দাগযুক্ত নেতিয়ে পড়া রোগের ভাইরাস ছড়ায়।

বিনা বিষে এ পোকাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে নিম্নলিখিত ব্যবস্থাদি নেয়া যেতে পারে।
রসুন কোয়া ১০০ গ্রাম বেটে আধা লিটার পানিতে ২৪ ঘণ্টা ভেজাতে হবে। এর সাথে ১০ গ্রাম গুড়া সাবান মেসাতে হবে। এর পর ছাঁকতে হবে। এর সাথে ২০ গুণ অর্থাৎ ১০ লিটার পানি মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

সাবান পানি স্প্রে করলেও থ্রিপস পোকা দমন করা যায়। পরিমাণ হল প্রতি ১০ লিটার পানিতে ৪০ গ্রাম গুড়া সাবান।

তামাক পাতা ১ কেজি পরিমাণ নিয়ে ১৫ লিটার পানিতে এক রাত ভিজিয়ে রাখতে হবে । এর সাথে সামান্য সাবান যোগ করতে হবে । ছেঁকে সেই দ্রবণ স্প্রে করতে হবে।

গুড়া সাবান ৩০ গ্রাম বা শ্যাম্পু ৩০ মিলিলিটার পরিমাণ ৫ লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। একটি মাটির পাত্রে গো মূত্র রেখে ১৪-১৫ দিন পচাতে হবে। পরে তার সাথে ১০ গুণ পানি মিশিয়ে ক্ষেতে স্প্রে করতে হবে।

সবজির মাকড়
সবজি ফসলে সাধারণত লাল মাকড়ের আক্রমণ দেখা যায়। লাল মাকড় একটি বহুভোজী শত্রু। বেগুন, কুমড়া, ঢেড়শসহ প্রায় ১৮৩টি ফসলে এদের আক্রমণ লক্ষ্য করা গেছে। মাকড় অত্যন্ত ক্ষুদ্র। ভাল করে লক্ষ্য না করলে চোখে পড়েনা । এদের নিম্ফ বা বাচ্চা দেখতে হলে শক্তিশালী মাগনিফায়িং কাঁচ বা অণুবীক্ষণ যন্ত্র লাগে। দৈর্ঘ্যে একটি মাকড় মাত্র ০.৩৫ মিলিমিটার। রং হালকা বাদামী থেকে লাল। তবে স্ত্রী মাকড় বাদামী লাল অথবা সবুজ ও হলুদ বা গাঢ় বাদামী সবুজ।

পূর্ণবয়স্ক মাকড় ও নিম্ফ বা বাচ্চা উভয়ই সবজির ক্ষতি করে। এরা দলবদ্ধভাবে পাতার তলার পাশে থেকে পাতা থেকে রস চুষে খেতে থাকে। ফলে পাতার নিচের পিঠে লোহার মরিচা পরার মত রং দেখা যায়। মাকড়ের সূক্ষ্ম জাল, গোলাকৃতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ডিম এবং মাকড়ও সেখানে দেখা যায়। অধিক রস চুষে খেলে পাতা ধীরে ধীরে শুকিয়ে যায়। এদের বোনা জালে গাছের বৃদ্ধি ব্যহত হয় ও ফলন কমে যায়। সেক্ষেত্রে নিম্নলিখিত ব্যবস্থাদি গ্রহণ করা যেতে পারে-

প্রতি ৩ দিন পর পর সবজির জমিতে জরিপ করে মাকড়ের উপস্থিতি নিরুপন করতে হবে। এ সময় মাকড় আক্রান্ত পাতা তুলে পলিব্যাগে নিয়ে তা মাঠের বাইরে এনে ধ্বংস করতে হবে।

রসুন ১০০ গ্রাম পরিমাণ বেটে, পানি ১ লিটার, ১০ গ্রাম সাবান ও ২ চা চামুচ কেরসিন তেল একত্রে মিশিয়ে আক্রান্ত ক্ষেতে স্প্রে করতে হবে।

পাটায় পিষে নেয়া নিম বীজ ৫০০ গ্রাম পরিমাণ ৪০০ লিটার পানিতে মিশিয়ে এক রাত রেখে দিতে হবে। তারপর তা ছেঁকে এক একর জমিতে স্প্রে করতে হবে। একবার স্প্রে করলে তা ২ সপ্তাহ পর্যন্ত মাকড়ের আক্রমণ মুক্ত থাকতে পারে।

গুড়া সাবান ৩০ গ্রাম বা শ্যাম্পু ৩০ মিলিলিটার পরিমাণ ৫ লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

সবজি পাতার ম্যাপ পোকা
শিম, বরবটি, কুমড়ো, টমেটোর ছোট গাছ বা চারা পাতায় অনেক সময় হালকা বা সাদা রঙের আঁকাবাঁকা সুরঙ্গের মত অনেক দাগ দেখা যায়। পাতা সুরঙ্গকারী এক ধরনের মাছির বাচ্চারা এ ধরনের দাগ সৃষ্টি করে থাকে। দাগগুলো দেখতে ম্যাপের মত বলে এ পোকাকে ম্যাপপোকা ও বলে। এসব সজীব দাগ বা আক্রান্ত স্থানে পাতার উপর ও নিচের পর্দার মধ্যে দাগ ফাটালে এ পোকার হলদেটে ম্যাগোট বা কীড়া দেখা যায়। অধিক আক্রমণে পুরো পাতাই শুকিয়ে যায়। এর ফলে চারা গাছ দুর্বল হয়ে পড়ে। এমনকি আক্রান্ত চারা মারাও যায়। আক্রান্ত গাছে ফলন কম আসে ও ফল হয় ছোট। বিনা বিষে এ পোকাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে নিম্নলিখিত ব্যবস্থাদি নেয়া যেতে পারে-

আক্রান্ত পাতা তুলে পুড়িয়ে ফেলতে হবে ।

তামাক পাতা ১ কেজি পরিমাণ নিয়ে ১৫ লিটার পানিতে ১ রাত ভিজিয়ে রাখতে হবে । এর সাথে সামান্য সাবান যোগ করতে হবে । ছেঁকে সেই দ্রবন স্প্রে করতে হবে ।

প্রতি লিটার পানিতে ৫ মিলিলিটার নিমতেল মিশিয়ে তিনবার ক্ষেতে স্প্রে করতে পারলে সুফল পাওয়া যায়। নিম তেল ব্যাবহার করলে নিম তেল ও পানির সাথে ১ মিলিলিটার তরল সাবান যেমন ট্রিক্স মেশাতে হবে । সূত্রঃ কৃষি বাংলা

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৫, ২০২৩ ১০:৩২ পূর্বাহ্ন
ধানের ব্লাস্ট রোগ দমনে যা করবেন
কৃষি গবেষনা

ধানের ব্লাস্ট একটি ছত্রাকজনিত মারাত্মক ক্ষতিকারক রোগ। বোরো ও আমন মৌসুমে সাধারণত ব্লাস্ট রোগ হয়ে থাকে। অনুকূল আবহাওয়ায় এ রোগের আক্রমণে ফলন শতভাগ পর্যন্ত কমে যেতে পারে।

চারা অবস্থা থেকে শুরু করে ধান পাকার আগ পর্যন্ত যে কোন সময় রোগটি দেখা দিতে পারে। এটি ধানের পাতা, গিট এবং নেক বা শীষে আক্রমণ করে থাকে। সে অনুযায়ী রোগটি পাতা ব্লাস্ট, গিট ব্লাস্ট ও নেক ব্লাস্ট নামে পরিচিত।

আমন মৌসুমে সবি সুগন্ধি জাতে এবং বোরো মৌসুমে ব্রিধান-২৮, ব্রিধান-৫০, ব্রিধান-৬৩, ব্রিধান-৮১, ব্রিধান-৮৪, ব্রিধান-৮৮সহ সরু আগাম সুগন্ধি জাতে শীষ ব্লাস্ট রোগ বেশি হয়ে থাকে। এ রোগ প্রতিরোধে কী করবেন সে করণীয় জানিয়েছে কৃষি তথ্য সার্ভিস।

রোগ আক্রমণের পরে করণীয়:
১. আক্রান্ত জমিতে ইউরিয়া সারের উপরি প্রয়োগ সাময়িক বন্ধ রাখতে হবে।

২. ব্লাস্ট রোগের প্রাথমিক অবস্থায় জমিতে ১-২ ইঞ্চি পানি ধরে রাখতে পারলে এ রোগের ব্যাপকতা অনেকাংশে হ্রাস পায়। শুকনা জমিতে এই রোগ বেশি দেখা যায়।

৩. পাতা ব্লাস্ট রোগ দেখা দিলে বিঘা প্রতি অতিরিক্ত ৫ কেজি পটাশ সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে।

৪. ব্লাস্ট রোগের জীবাণু প্রধানত বাতাসের মাধ্যমে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় দ্রুত ছড়ায়। দিনের বেলায় গরম (২৫-২৮ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড) ও রাতে ঠাণ্ডা (২০-২২ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড), শিশিরে ভেজা দীর্ঘ সকাল, অধিক আর্দ্রতা (৮৫% বা তার অধিক), মেঘাচ্ছন্ন আকাশ, ঝড়ো আবহাওয়া এবং গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি এ ধরনের আবহাওয়া বিরাজ করলে ধানের জমিতে রোগ হোক আর না হোক, থোর ফেটে শিষ বের হওয়ার সময় একবার এবং ৫-৭ দিন পর আরেকবার ৫ শতাংশ জমির জন্য ১০ লিটার পানিতে ৬ গ্রাম টেবুকোনাজল ৫০% + ট্রাই-ফ্লক্সিস্টোবিন ২৫ শতাংশ গ্রুপের ছত্রাকনাশক অথবা ৮ গ্রাম ট্রাইসাইক্লাজল গ্রুপের ছত্রাকনাশক পানিতে ভালভাবে মিশিয়ে শেষ বিকালে স্প্রে করতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৪, ২০২৩ ৭:২৬ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে কৃষিতে ব্লকচেইন নিয়ে আলোচনা সভা
কৃষি গবেষনা

মো. শাহীন সরদার, বাকৃবি প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) কৃষিতে  ব্লকচেইন নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৪ আগস্ট) বিকেল তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদীয় গ্যালারীতে ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান ‘নন- অ্যাকাডেমি’।

আলোচনা সভার মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন নন- অ্যাকাডেমির প্রধান নির্বাহী মো. আরিফুল ইসলাম। এসময় তিনি কৃষিতে  ব্লকচেইন,  পণ্য সরবরাহ চেইনে স্বচ্ছতা, বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি, স্মার্ট পেমেন্ট ও চুক্তি, কৃষকদের আধুনিক পরিচয় তৈরি, মার্কেটপ্লেস তৈরির বিষয়ে আলোচনা করেন।
এসময় তিনি বলেন, ব্লকচেইন হচ্ছে তথ্য সংরক্ষণ করার একটি নিরাপদ এবং উন্মুক্ত পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে তথ্য বিভিন্ন ব্লকে একটির পর একটি চেইন আকারে সংরক্ষণ করা হয়। এটি একটি অপরিবর্তনযোগ্য ডিজিটাল লেনদেন যা শুধুমাত্র অর্থনৈতিক লেনদেনের জন্যই প্রযোজ্য নয়। এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে যেকোনো কার্য-পরিচালনা রেকর্ড করা যেতে পারে। কেবল একজনের কাছে সকল তথ্য পুঞ্জীভূত না থেকে সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বিশ্বের কোথায় খাবার সংকট আছে, কোথায় উদ্বৃত্ত আছে সকল তথ্য সহজেই জানা যাবে। ফসল উৎপাদন সম্পর্কিত সকল তথ্য সহজেই পাওয়া যাবে।

পরবর্তীতে ব্লকচেইনের  উপরে মানুষের বিশ্বস্ততা এবং এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব নিয়ে আলোকপাত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থসংস্থান ও ব্যাংকিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আক্তারুজ্জামান খান। তিনি বলেন, ব্লকচেইনের অর্থনীতি হচ্ছে বিশ্বাসযোগ্য অর্থনীতি। কৃষিপণ্য উৎপাদন থেকে বাজারজাতকরণ সবকিছুর তথ্য সরবরাহ করা সম্ভব হবে। নিজস্ব নিয়ন্ত্রণে থাকবে নিজের তথ্য। যে কেউ চাইলেই সেটি পরিমার্জন বা পরিবর্তন করতে পারবে না।


প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. মঞ্জুরুল আলম বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে যা কিছু উদ্ভাবনী তার সবটাই আমাদের গ্রহণ করতে হবে। কৃষি ব্যবস্থাকে স্মার্ট সিস্টেম হিসেবে গড়তে ব্লকচেইন সিস্টেম প্রয়োজন হবেই। প্রতিনিয়ত প্রযুক্তির সাথে কৃষিকেও উন্নত করতে হবে। নিজেদেরকেও স্মার্ট হতে  হবে। প্রযুক্তিগত যোগ্যতা বাড়াতে শিক্ষার্থীদের এধরনের উদ্যোগ আরো বাড়াতে হবে। স্মার্ট মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মঞ্জুরুল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ম্যাথমেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ মোস্তাগীজ বিল্লাহ, কৃষি অর্থসংস্থান ও ব্যাংকিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আক্তারুজ্জামান খান, কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের অধ্যাপক ড. চয়ন কুমার সাহা, অধ্যাপক ড. মো. রোস্তম আলী। আরোও উপস্থিত ছিলেন কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী।
আলোচনা শেষে কুইজ সেশনের আয়োজন করা হয় এবং বিজয়ীদের পুরষ্কৃত করা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৭, ২০২৩ ১১:২৮ পূর্বাহ্ন
ফসলের জন্য মাটি পরীক্ষার গুরুত্ব
কৃষি গবেষনা

মাটি পরীক্ষা বিভিন্ন কারণে গুরুত্বপূর্ণ

ফসলের উৎপাদন অপ্টিমাইজ করা, অতিরিক্ত সারের প্রবাহ এবং লিচিং দ্বারা পরিবেশকে দূষিত করা থেকে রক্ষা করা, উদ্ভিদ সংস্কৃতি সমস্যা নির্ণয়ে সহায়তা করা, ক্রমবর্ধমান মিডিয়ার পুষ্টির ভারসাম্য উন্নত করা এবং অর্থ সাশ্রয় করা। এবং শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় পরিমাণ সার প্রয়োগ করে শক্তি সংরক্ষণ করুন। মাটি পরীক্ষা এবং সঠিক সার প্রয়োগের আকারে সঠিক মাটি ব্যবস্থাপনা আরও দক্ষ এবং আর্থিকভাবে ন্যায়সঙ্গত। মৃত্তিকা পরীক্ষা কৃষকদের সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে যে তাদের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি তাদের ফসলের জন্য ভাল কি না।

মাটির ধরন, পুষ্টির অবস্থা এবং মাটি ও মাটির উপ-মাটির স্তরের অন্যান্য অবস্থার উপর ভিত্তি করে ফল গাছ নির্বাচন করা হল একটি বাগানের পরিকল্পনা করার সময় প্রথম এবং উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। বাগান রোপণের আগে মাটি বিশ্লেষণ মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ সম্পর্কে জানাতে উপযোগী। ফলের ফসল জৈব পদার্থ থেকে প্রচুর উপকার করে কারণ এটি মাটির গঠন, আর্দ্রতা ধরে রাখার এবং পুষ্টির ‘আধার হিসেবে কাজ করে পুষ্টির প্রাপ্যতায় অবদান রাখে। দ্বিতীয়ত, মাটির pH পুষ্টি ব্যবস্থাপনার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। বেশির ভাগ ফল গাছ মাটিতে ভালো কাজ করে যার pH 6.5 -7.5 এর মধ্যে থাকে।

যেমন, বেশিরভাগ পুষ্টি উপাদান এই pH পরিসরে উদ্ভিদের জন্য উপলব্ধ। উদাহরণস্বরূপ, সাইট্রাস প্রজাতির কিছু গাছ, পীচ, নাশপাতি, আম ক্ষারীয়তা সহ্য করতে পারে না। অন্যদিকে, কিছু ফলের গাছ যেমন বের, খেজুর, পেয়ারা এবং আমলা পিএইচ 9.0. প্রাপ্ত মাটিতেও খুব সহজেই ভাল কাজ করতে পারে।

মাটির নমুনা নেওয়ার সময়

অন্যান্য ক্ষেতের ফসলের তুলনায় ফলের গাছগুলি দীর্ঘমেয়াদী এবং গভীর মূলের ফসল যার প্রাথমিক বিনিয়োগ বেশি। তাই, ভালো মানের ফল ও নেট লাভের জন্য কৃষককে যে ক্ষেতের বাগান স্থাপন করতে হবে তার বিভিন্ন মাটির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে। এই উদ্দেশ্যে, রোপণের আগে সর্বদা মাটি পরীক্ষা করা উচিত কারণ এটি বাগান রোপণের উপযুক্ততা বিচার করার সর্বোত্তম হাতিয়ার। বাগান রোপণের আগে মাটি বিশ্লেষণ আমাদেরকে প্রয়োজনীয় প্রয়োজন ভিত্তিক মাটি সংশোধনের একটি ধারণা দেয়।

স্যাম্পলিং পদ্ধতি: মাঠের মাঝখানে একটি 6 ফুট গভীর গর্ত খনন করুন যার একপাশ উল্লম্বভাবে সোজা এবং অন্যটি তির্যক। উল্লম্বভাবে সোজা দিক থেকে, প্রায় 1″ পুরু মাটির স্তর খুর্পার সাহায্যে 0-6, 6-12, 12-24, 24-36, 36-48, 48-60 এবং 60 থেকে প্রায় আধা কেজি মাটি সংগ্রহ করুন। -72 ইঞ্চি গভীরতা। কালার পুনরুদ্ধারের জন্য উপরে বর্ণিত বিভিন্ন গভীরতা থেকে নমুনা সংগ্রহ এবং প্রক্রিয়া করুন। যদি কোন কংক্রিশন স্তর থাকে, তবে এটি আলাদাভাবে নমুনা করুন এবং এর গভীরতা এবং প্রস্থ নোট করুন। যদি নমুনাগুলি ভিজে থাকে তবে কাপড়ের ব্যাগে রাখার আগে ছায়ায় শুকিয়ে নিন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৫, ২০২৩ ৭:০০ অপরাহ্ন
খুবিতে কুয়াসের উদ্যোগে ন্যাচার বেসড সল্যুশন বুট ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
কৃষি গবেষনা

‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এসোসিয়েশন অফ স্টুডেন্টস ইন এগ্রিকালচারাল এন্ড রিলেটেড সাইন্স’ (কুয়াস) ক্লাবের উদ্যোগে ‘Nature based Solution Boot-Camp’ শীর্ষক সেমিনার নুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৫ আগস্ট) স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের উঠানে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

‘প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান’ এ প্রতিযোগিতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিন থেকে মোট ১৫ টি দল অংশগ্রহণ করে। এতে প্রথম ও দ্বিতীয় দল হিসেবে নাম লেখায় ব্যাক স্পেসার ও রিসাইকেল পিয়েল।

উল্লেখ্য, টিম রিসাইকেল পিয়েল-বায়োএনজাইম-বিষাক্ত রাসায়নিক ক্লিনজারের চূড়ান্ত প্রাকৃতিক সমাধান দেখান। ‘সবুজ ফিল্টার’ : একটি বায়োইনস্পায়ারড কম খরচে কম শক্তি চালিত জল ডিস্যালিনেশন মেকানিজম গ্রিন মস ব্যবহার করে তাদের প্রাকৃতিক সমাধান দেখান ক্যাম্পের শীর্ষ দল ব্যাক স্পেসার।

আয়োজক সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় রাউন্ডে বিজয়ীরা ন্যাশনাল রাউন্ডে অংশগ্রহণ করবেন এবং সেখানকার বিজয়ীরা নেদারল্যান্ডসের ওয়েনিংগেন ইউনিভার্সিটি এন্ড রিসার্চ এর শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন।

অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও সঞ্চালনায় ছিলেন কুয়াস এর সভাপতি অভিজিৎ কুমার পাল। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর মো. শরীফ হাসান লিমন।

অনুষ্ঠানে বিচারক হিসেবে ছিলেন এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মতিউল ইসলাম, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মাসুদুর রহমান ও বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনেের প্রফেসর ড.কাজী মুহাম্মাদ দিদারুল ইসলাম।

অতিথিরা বলেন, শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার পাশাপাশি কো-কারিকুলার এক্টিভিটি বাড়াতে হবে। তাদের ভাবনা থেকেই নতুন কিছু সৃষ্টি হবে। তারা মনে করেন শিক্ষার্থীদের ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে এই ক্লাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।

মোঃ আমিনুল খান

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৬, ২০২৩ ৫:০৮ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে কৃষিতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব শীর্ষক কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
কৃষি গবেষনা

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: কৃষিতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব: ফসল, গবাদি পশু, মাছ উৎপাদনে কৃষকের করণীয় শীর্ষক এক কৃষক প্রশিক্ষণ ২৬ জুলাই (বুধবার) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদীয় সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এমদাদুল হক চৌধুরী ।
মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদীয় ডিন প্রফেসর ড. মোঃ আবুল মনসুর এর সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এমসিসিএ প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর ড. যতীশ চন্দ্র বিশ্বাস এবং প্রকল্পের ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ মিজানুর রহমান।
অনুষ্ঠানে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় আমাদের কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। গবাদি পশু পালনের ক্ষেত্রেও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা করতে পারে এমন জাত বাছাই করতে হবে এবং সঠিকভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে। সবার সচেতনতার মাধ্যমেই আমরা আমাদের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারব।
প্রকল্পের উপ-প্রধান সমন্বয়কারী ড. দেবাশিস চন্দ্র আচায্য এর সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণে রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একোয়াকালচার বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক, ফিশারিজ বায়োলজি এন্ড জেনেটিক্স বিভাগের প্রফেসর ড. এ. কে. শাকুর আহম্মদ, মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মো. মফিজুর রহমান জাহাঙ্গীর, বশেমুরকৃবির ডেইরি এন্ড পোল্ট্রি সায়েন্স বিভাগের প্রফেসর ড. মুর্শেদুর রহমান ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাশ। এছাড়াও প্রশিক্ষণে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এমএস ও পিএইচডি ছাত্রছাত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী কৃষক-কৃষাণীগণ উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করে ফসল, গবাদি পশু, মাছ উৎপাদনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে তাদের অভিজ্ঞতা ও সমস্যার কথা উত্থাপন করেন এবং রিসোর্স পার্সনগণ সম্ভাব্য সমাধান প্রদান করেন। উল্লেখ্য, প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ময়মনসিংহ অঞ্চলের ৭০ জন কৃষক-কৃষাণী অংশগ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৬, ২০২৩ ১০:০৩ পূর্বাহ্ন
পাকা আম যেভাবে সংরক্ষণে রাখবেন
কৃষি গবেষনা

আম পছন্দ করেন না এমন লোকের সংখ্যা পৃথিবীতে খুব কম। বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালকে বলা হয় মধু মাস।এসময় আম, কাঁঠাল, লিচুসহ নানা দেশীয় ফলে বাজার থাকে সয়লাব। পাকা আম হিমসাগর, ল্যাংড়া, আম্রপালি, হাঁড়িভাঙা, ফজলিসহ নানা জাতের আম রয়েছে। একেক জাতের আমের একেক স্বাদ। তবে খুব বেশি দিন পাওয়া যায় না। এ জন্য করে রাখতে হয় সংরক্ষণ। তবে কিনে আনার পর দুই দিন পরই দেখা যায় আম পচে গেছে। আমের স্বাদ, গন্ধ ও পুষ্টিমান অটুট রেখে ১০-১৫ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। জেনে নিন আম সংরক্ষণের উপায়-

সংরক্ষণের জন্য পরিপক্ব আম বেছে নিতে হবে। একটু শক্ত থাকতেই আম সংরক্ষণ করতে হবে। মাপমতো কাগজ কেটে প্রতিটি আম আলাদাভাবে মুড়িয়ে নিয়ে বড় পলিব্যাগে ভরে ফ্রিজের নরমাল চেম্বারে রাখুন। এভাবে এক মাসেও আম ভালো থাকবে। তবে সে ক্ষেত্রে ১০ দিন পরপর খুলে দেখে নিন। আবার কাগজ বদলে দিতে হবে।

দীর্ঘদিন ডিপ ফ্রিজে আম সংরক্ষণ করার জন্য প্রথমে ভালো পাকা আম বেছে নিন। খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে ছোট ছোট করে কেটে জিপলক ব্যাগে রাখুন। মুখ বন্ধ করে ব্যাগটি ডিপে রাখুন। খাবার কিছুক্ষণ আগে ডিপ থেকে জিপলক ব্যাগ বের করে রাখুন। এভাবে ছয় থেকে আট মাস পর্যন্ত আম সংরক্ষণ করা যায়।

আস্ত আম বেশি দিন সংরক্ষণ করতে চাইলে খবরের কাগজে মুড়ে নিয়ে সব আম একটি কাপড়ের ব্যাগে ভরুন। কাপড়ের ব্যাগের মুখ ভালো করে আটকে সেটিকে আবার একটি বড় পলিথিনে মুড়ে ডিপ ফ্রিজে রাখুন। এভাবে আম চার থেকে ছয় মাস পর্যন্ত রাখা যায়।

পাকা আম কেটে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে আইসবক্স কিংবা ছোট পাত্রে আমের পাল্প দিয়ে ডিপ ফ্রিজে রেখে জমিয়ে নিন। জমে গেলে জিপলক ব্যাগে ভরে আবার ডিপে রাখুন। সারা বছর যে কোনো সময় বের করে স্মুদি, লাচ্ছি বা ডেজার্টেও ব্যবহার করতে পারবেন।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop