৬:০০ অপরাহ্ন

সোমবার, ১৮ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মার্চ ২১, ২০২২ ১০:২৬ অপরাহ্ন
খুবিতে তিন দিনব্যাপী সংগঠন মেলার উদ্বোধন হয়েছে গতকাল
ক্যাম্পাস

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সহশিক্ষামূলক কার্যক্রম জোরদারের লক্ষ্যে ছাত্র বিষয়ক পরিচালকের দপ্তরের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের অংশগ্রহণে তিন দিনব্যাপী সংগঠন মেলা ২০২২ শুরু হয়েছে।গতকাল ২০ মার্চ ২০২২ খ্রি. রবিবার বিকেল ৫ টায় ফিতা কেটে এ মেলার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। করোনা মহামারির পর সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের সহশিক্ষাকার্যক্রম জোরদারে এ উদ্যোগ নেওয়ায় উপাচার্য ছাত্র বিষয়ক পরিচালকের দপ্তরকে ধন্যবাদ জানান। তিনি অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও তাদের সংগঠকদের প্রতি লেখাপড়ার পাশাপাশি এসব কার্যক্রমে অংশ নিয়ে প্রতিভার বিকাশ ও প্রফুল্লতা অর্জনের পরামর্শ দেন। পরে তিনি মেলায় অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের স্টল পরিদর্শন করেন। এসময় ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর মোঃ শরীফ হাসান লিমন, সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালক তালুকদার রাসেল মাহমুদ, লোপা ইসলাম, উপাচার্যের সচিব সঞ্জয় সাহাসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। এবারের মেলায়  নৃ-নাট্য, অমিত্রাক্ষর, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (খুবিসাস),খুলনা ইউনিভার্সিটি এসোসিয়েশন অফ স্টুডেন্টস অফ এগ্রিকালচার এন্ড রিলেটেড সাইন্সেস(কুয়াস), ওংকার শৃণুতা, চেসক্লাব, ক্যারিয়ার ক্লাব, বায়োস্কোপ, ফটোগ্রাফিক সোসাইটি, ফিল্ম ক্লাব, ইনোভেশন ক্লাব, নৈয়ায়িক, চেতনা ৭১, রোটারেক্ট ক্লাব অব খুলনা ইউনিভার্সিটি, বাঁধনসহ প্রায় ২৫টি সংগঠন অংশগ্রহণ করেছে।

তথ্যসূত্রঃখুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ফেসবুক পেইজ

মোঃ অামিনুল খান

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২১, ২০২২ ১০:১১ অপরাহ্ন
খুবিতে আন্তর্জাতিক বন দিবস উদযাপিত
কৃষি গবেষনা

‘বন সংরক্ষণের অঙ্গীকার, টেকসই উৎপাদন ও ব্যবহার’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের উদ্যোগে নানা আয়োজনে আন্তর্জাতিক বন দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে আজ ২১ মার্চ (সোমবার) বেলা ১১টায় বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। পরে উপাচার্যের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য এক শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি হাদী চত্বর থেকে শুরু হয়ে শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ ভবন ঘুরে অদম্য বাংলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মো. ইফতেখার শামস, সিনিয়র শিক্ষক প্রফেসর এ কে ফজলুলসহ ডিসিপ্লিনের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বেলা সাড়ে ১১টায় আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে থ্রি মিনিটস টক কম্পিটিশনের গ্র্যান্ড ফিনালে ও সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো এবং যুক্তরাষ্ট্রের ফরেস্ট্র সার্ভিসের মানবসম্পদ ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপক (কমপাস প্রোগ্রাম) মোসা. শারমিন খানম। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মো. ইফতেখার শামস। কি-নোট স্পিকার হিসেবে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন ও আলোচনা করেন প্রফেসর ড. মো. গোলাম রাক্কিবু। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. ওয়াসিউল ইসলাম। আরও বক্তব্য রাখেন ডিসিপ্লিনের শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. নাজমুস সাদাত ও সহযোগী অধ্যাপক ড. অরুণ কান্তি বোস।

অনুষ্ঠানে কুইজ প্রতিযোগিতা ও থ্রি মিনিটস টক কম্পিটিশনের গ্র্যান্ড ফিনালের বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথি। টক কম্পিটিশনে চ্যাম্পিয়ন, রানার্সআপ ও পিপলস চয়েজ হিসেবে মোট তিনজনকে পুরস্কারস্বরূপ ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও প্রাইজমানি প্রদান করা হয়। এছাড়া বাকি অংশগ্রহণকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।

তথ্যসূত্রঃ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ফেসবুক পেজ

মোঃ আমিনুল খান

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৭, ২০২২ ৯:১৩ পূর্বাহ্ন
কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে দেশের খাদ্য ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব
ক্যাম্পাস

সিকৃবি প্রতিনিধিঃ কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে দেশের খাদ্য ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব। আগাম বন্যার হাত থেকে ফসল রক্ষা, সেচের অপচয় রোধ করে অধিক ফসল উৎপাদন, বীজ ও সারের সুষম প্রয়োগসহ কৃষির আধুনিকায়নে কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ ও নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের বিকল্প নেই।
বুধবার ১৬ই মার্চ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৗশল ও প্রযুক্তি অনুষদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে নবীনদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তারা উক্ত অনুষদের সম্ভাবনা নিয়ে এসব কথা বলেন। প্রভাষক সুমাইয়া রশিদের সঞ্চালনায় ও সহযোগী প্রফেসর ড. মুক্তারুন ইসলামের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসিআই মটরস লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কৃষি প্রকৌশলী সুব্রত রঞ্জন দাস এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ রাশেদ আল মামুন।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি প্রকৌশলী সুব্রত রঞ্জন দাস বলেন, দেশের কৃষিকে যান্ত্রিক কৃষিতে রুপান্তরিত করতে কৃষি প্রকৌশলীদের ভুমিকা অপরিসীম। বর্তমানে কৃষি প্রকৌশলীরা দেশে ও বিদেশে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. তরিকুল ইসলাস, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, অনুষদীয় শিক্ষকমন্ডলী ও ছাত্রছাত্রীবৃন্দ।

উল্লেখ্য যে, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২রা অক্টোবর ২০১১ সালে কৃষি প্রকৗশল ও প্রযুক্তি অনুষদের যাত্রা শুরু। এরই ধারাবাহিকতায়  ১০ম ব্যাচের নতুন ইঞ্জিনিয়ারদের পথচলা শুরু হলো।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৮, ২০২২ ৯:২০ অপরাহ্ন
নানা আয়োজনে সিকৃবিতে নারী দিবস পালিত
ক্যাম্পাস

অর্ঘ্য চন্দ,সিকৃবি প্রতিনিধি :নানা আয়োজনের মাধ্যমে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত হলো আন্তর্জাতিক নারী দিবস।এবারের নারী দিবসের শ্লোগান হলো ‘টেকসই আগামীর জন্য, জেন্ডার সমতাই আজ অগ্রগণ্য’

এই উপলক্ষে আজ ৮ মার্চ মঙ্গলবার সকালে একটি শোভাযাত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকসাইড থেকে শুরু হয়ে সমগ্র ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রা শেষে শিক্ষক, শিক্ষার্থী,কর্মকর্তা,কর্মচারীদের উপস্থিতিতে একটি কেক কাটা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নারী সহকর্মীদের সামনে রেখে শোভাযাত্রাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন ভাইস-চ্যান্সেলর বীরমুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. মোঃ মতিয়ার রহমান হাওলাদার।

এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিকৃবির রেজিস্ট্রার মোঃ বদরুল ইসলাম শোয়েব, পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা) প্রফেসর প্রফেসর ড. মোঃ মোস্তফা সামছুজ্জামান, নব নির্বাচিত দুই সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ডাঃ মোঃ জামাল উদ্দিন ভূঁইয়া ও প্রফেসর ড. এ এফ এম সাইফুল ইসলাম, বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, বিভিন্ন দপ্তর প্রধানবৃন্দসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ।

এতে বক্তারা বলেন, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকসহ উন্নয়নের সব ক্ষেত্রে নারীর সমান অংশীদারি এবং সম-অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো সবাইকে কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমেই প্রকৃত লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৭, ২০২২ ২:৪৬ অপরাহ্ন
সিকৃবিতে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত
ক্যাম্পাস

অর্ঘ্য চন্দ,সিকৃবি প্রতিনিধি: সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন করা হয়েছে। সোমবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয় বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর। সকাল সাড়ে ন’টায় জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির উদ্যোগে একটি শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। শোভাযাত্রাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ মতিয়ার রহমান হাওলাদার। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের মূল সড়ক প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতির সামনে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রাটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. এম. এম. মাহবুব আলমের সঞ্চালনায় পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি, শিক্ষক সমিতি, অফিসার পরিষদ, কর্মচারী পরিষদ, গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদ, গণতান্ত্রিক অফিসার পরিষদ, প্রক্টর কার্যালয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সিকৃবি শাখা, সিকৃবি সাংবাদিক সমিতি, কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংঘ, ওয়ান বাংলাদেশ, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান (আমুস) ইত্যাদি সংগঠন। ঐতিহাসিক ৭ মার্চ এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির প্রাঙ্গনে বক্তব্য দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ মতিয়ার রহমান হাওলাদার। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মাটি ও মানুষের নেতা। তাই, তাঁর ভাষণেও মাটি ও মানুষের ভাষা লক্ষ করা যায়। প্রমিত বাংলায় প্রদত্ত সে ভাষণে তিনি তুলে ধরেন শোষণ-বঞ্চনার ইতিহাস, সমসাময়িক হত্যাকান্ডের কথা, রাজনৈতিক দোলাচল এবং বাংলার মানুষের স্বাধীনতা লাভের বাসনা। উল্লেখ্য ৭ মার্চে রেসকোর্সের ভাষণের পরে নিউইয়র্কের দ্য নিউজউইক ম্যাগাজিন ৫ এপ্রিলে প্রকাশিত সংখ্যায় বঙ্গবন্ধুকে ‘পোয়েট অব পলিটিক্স’ বা ‘রাজনীতির কবি’ বলে আখ্যায়িত করে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৬, ২০২২ ৩:২৫ অপরাহ্ন
শেকৃবিতে নবীন শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত
ক্যাম্পাস

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ০৬ মার্চ ২০২২ (রবিবার) সকাল ১০ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে উক্ত ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে এবং রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ নজরুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজের ডিন প্রফেসর ড. অলোক কুমার পাল, কৃষি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. পরিমল কান্তি বিশ্বাস, এনিম্যাল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. লাম-ইয়া আসাদ, এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদের ডিন প্রফেসর মোঃ আব্দুল লতিফ, ফিশারিজ, একোয়াকালচার এন্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ এ এম সাহাবুদ্দিন, গবেষণা পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, আইসিসির পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ মোফাজ্জল হোসেন, বিভিন্ন বিভাগের পরিচালক, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, হল প্রভোস্ট, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দসহ নবীন শিক্ষার্থীবৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া নবীন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, কৃষি পৃথিবীর একটি আদিমতম ও মহিমান্বিত পেশা। কৃষি এদেশের ১৮কোটি মানুষের খাদ্য, বস্ত্র ও পুষ্টির সংস্থানের সাথে জড়িত। কৃষি শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্টরাই গবেষণা সম্প্রসারণে যুক্ত এদেশের সৃষ্টিশীল যেকোন কর্মকান্ডের সাথে কৃষিবিদগণ জড়িত। এদেশের যত আবিষ্কার বা উদ্ভাবন তা কৃষিবিদদের চেয়ে অন্য কেউ বেশি করেনি।

তিনি আরো বলেন, কৃষি বিজ্ঞান নির্ভর, প্রযুক্তি নির্ভর ও ব্যবহারিক জ্ঞান নির্ভর শিক্ষা। তাই তোমরা তাত্ত্বিক এর পাশাপাশি ব্যবহারিক শিক্ষাকেও গুরুত্ব দিয়ে চর্চা করে ভবিষ্যতে নিজেকে একজন দক্ষ কৃষিবিদ হিসেবে তৈরি করে জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কৃষকরত্ন শেখ হাসিনার রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাবে।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সিনিয়র ডিন প্রফেসর ড. পরিমল কান্তি বিশ্বাস, প্রক্টর ড. মোঃ হারুন-উর-রশীদ, প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, শেকৃবি ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম মাসুদুর রহমান মিঠু, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান, নবীন শিক্ষার্থী তাশমিয়া রহমান ও আখতারুজ্জামান আকাশ।

ওরিয়েন্টেশন শেষে নবীন শিক্ষার্থীদের ১৩টি বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ করে সকল বিভাগ, গবেষণাগার, গ্রন্থাগার, খামার, গবেষণা মাঠ ঘুরিয়ে দেখানো হয়। আগামীকাল সোমবার (০৭মার্চ ২০২২) থেকে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৫, ২০২২ ১০:৩১ অপরাহ্ন
সিকৃবিতে ডিভিএম ২৩ তম ব্যাচের ইন্টার্নশিপ ওরিয়েন্টেশন
ক্যাম্পাস

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) ভেটেরিনারি, এনিম্যাল ও বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ২৩ তম ব্যাচের ইন্টার্নশিপ ওরিয়েন্টেশন ২০২১-২২ সম্পন্ন হয়েছে। ৫ মার্চ , শনিবার সকাল ১১টায় সিকৃবির ভেটেরিনারি, এনিম্যাল ও বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের সম্মেলন কক্ষে ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়।

ভেটেরিনারি, এনিম্যাল ও বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের  ডিন  অধ্যাপক ড. এম রাশেদ হাসনাত এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিকৃবি’র মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মতিয়ার রহমান হাওলাদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো : নুরুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত পরিচালক, সিলেট বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তর, সিলেট।তাছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ভেটেরিনারি অনুষদের বিভাগীয় চেয়ারম্যানগন ও শিক্ষকবৃন্দ, সিলেট জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা , ডিভিএম ২৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীবৃন্দ ও এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এর সদস্যবৃন্দ।

সার্জারি অ্যান্ড থেরিওজেনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও ইন্টার্নশিপ বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য ড. অনিমেষ চন্দ্র রায়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইন্টার্নশিপ বাস্তবায়ন কমিটির কো-অর্ডিনেটর ও মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো : রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের শুরুতে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া পেশ করেন ফাহমিদা জাকির ফাহিম ও সোহেল রানা।

প্রধান অতিথীর বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. মতিয়ার রহমান হাওলাদার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন,ভেটেরিনারি একটি বহুমুখী কর্মপরিধি বিশিষ্ট পেশা।ভেটেরিনারিয়ানদের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে এবং কাজের সুযোগের পরিধিও বৃদ্ধি পাচ্ছে।ইন্টার্নশিপের সময় গুলো সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। দক্ষ ভেটেরিনারি গ্রাজুয়েট হতে হলে পড়াশোনার পাশাপাশি দক্ষতা অর্জন করতে হবে।যেহেতু হাতে কলমে শেখার সুযোগ রয়েছে, তাই সেটাকে কাজে লাগিয়ে একজন দক্ষ প্রাণিসম্পদ কর্মী হিসেবে নিজেদেরকে গড়ে তুলতে হবে।বর্তমান সময়ে ভেটেরিনারি সায়েন্স প্রাণি চিকিৎসার মধ্যে সীমাবদ্ধ না। সরকারি, বেসরকারি ও গবেষণা  সেক্টরে আমাদের ভেটেরিনারি গ্রাজুয়েটদের অবদান রয়েছে। প্রাণিরা সুস্থ থাকলে আমরা সুস্থ থাকবো।

অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এম রাশেদ হাসনাত বলেন, ডিভিএম ২৩ তম ব্যাচের একাডেমিক ক্ষতি কমানোর জন্য আমরা দ্রুত সময়ে ইন্টার্নশিপ শুরু করেছি।তোমরা আমার উপর আশ্বস্ত থাকো।

উল্লেখ্য, এ বছর ডিভিএম- ২৩ তম ব্যাচের  ৮৮ জন শিক্ষার্থী ৮ টি গ্রুপে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ইন্টার্নশিপ করবে।পুরো প্রোগ্রামের স্পন্সর করেন এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৭, ২০২২ ৯:২০ অপরাহ্ন
বহুল আকাঙ্ক্ষিত প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইল পেতে যাচ্ছে সিকৃবি শিক্ষার্থীরা
ক্যাম্পাস

অর্ঘ্য চন্দ, সিকৃবি প্রতিনিধি: কোনো স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান হতে ইস্যুকৃত সেই প্রতিষ্ঠানের পরিচিয়বহনকারী ইমেইলই হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইল। প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইল ব্যবহারের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী অর্থের বিনিময়ে পেতে হয় এমন বিভিন্ন ধরনের সেবা পেতে পারেন একদম সাশ্রয়ী মূল্যে কিংবা একদম বিনামূল্যে।

বাংলাদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক মেইলের সুবিধা ভোগ করছে। আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নিতে ও বিভিন্ন সুবিধাসমূহ দেয়ার প্র‍য়াসে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি পর্যায়ে শিক্ষার্থদের প্রাথমিকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইল প্রদান করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইল প্রদান অনুষ্ঠানটি আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি রোজ সোমবার সকাল ১১ টায় ভেটেরিনারী, এ্যানিমেল ও বায়োমেডিকেল সায়েন্সেস অনুষদ ভবন-২ এর সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে । এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ টি অনুষদের ৬ জন স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীকে প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইল প্রদান করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

সিকৃবি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সেল এর চেয়ারম্যান প্রণজিত কুমার দাস জানান, আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের নতুন প্রযুক্তির সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে আগামি ২৮ ফেব্রুয়ারিতে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইল সুবিধা প্রদানের উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধনি অনুষ্ঠানের পর প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইল প্রাপ্তির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করার পর আবেদনকারীদের ইমেইল প্রদান করা হবে। উক্ত অনুষ্ঠানে সিকৃবির মাননীয় উপাচার্য বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. মো: মতিয়ার রহমান হাওলাদার মহোদয় উপস্থিত থেকে শুভ উদ্বোধন করার সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন বলে জানান তিনি।

এছাড়াও আইসিটি সেলের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইল প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন সম্মানিত রেজিস্ট্রার, ডিনবৃন্দ, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক, প্রক্টর, অর্থ ও হিসাব শাখার পরিচালক, পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস এর পরিচালক সহ বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালকবৃন্দ।

সিকৃবি সাংবাদিক সমিতির পক্ষ থেকে এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারিতে আইসিটি সেলের চেয়ারম্যান প্রণজিত কুমার দাশের সাথে প্রাতিষ্ঠানিক মেইলের ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে, তিনি দেড় মাসের মধ্যে শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইল প্রদান করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছিলেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগেই দুই সপ্তাহের মধ্যেই তিনি শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইল প্রদান অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন।

প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইল পাওয়ার বিষয়ে কীটতত্ত্ব বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী শরিফ মেহেরিয়া উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, আমাদের বহুল আকাঙ্ক্ষিত স্বপ্নটি পূরণ হতে চলেছে। এমন একটি সংবাদ শুনার জন্য আমরা অনেকদিন যাবৎ অপেক্ষায় ছিলাম। এই খবরটি নিঃসন্দেহে সিকৃবি শিক্ষার্থীদের জন্য আনন্দের। আশা করছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইল প্রদানের কাজটি শেষ করবে।

সারাবিশ্বের সনামধন্য জার্নালগুলোতে গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশনা, গবেষকদের প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধ পড়া, গবেষণা অনুদান প্রাপ্তি ও শিক্ষাবৃত্তির জন্য আবেদনসহ বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের কাজে প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইলের প্রয়োজন হয়। প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইল ব্যবহারের মাধ্যমে এখন থেকে এসব কাজসমূহ অনেকটা সহজেই করতে পারবেন সিকৃবিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৭, ২০২২ ৯:০৯ অপরাহ্ন
হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসের নামফলক স্থাপন
ক্যাম্পাস

অর্ঘ্য চন্দ: হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসের নামফলক স্থাপন করা হয়েছে। রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে হবিগঞ্জ শহরের অদূরে সদর উপজেলার ভাদৈ এলাকায় অস্থায়ী ক্যাম্পাসের নামফলক স্থাপন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট মো. আবু জাহির ও হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবদুল বাসেত।

সংসদ সদস্য এডভোকেট মো. আবু জাহির হবিগঞ্জে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

আরও উপস্থিত ছিলেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের প্লান্ট প্যাথলজি ও সিড সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মনিরুল ইসলাম সোহাগ, এগ্রিকালচার ক্যামিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামরুল হাসান, এগ্রিকালচারাল কন্সট্রাকশন ও এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তরিকুল ইসলাম রানা।

নামফলক স্থাপনের পর মোনাজাতে অংশ নেন উপস্থিত অতিথিবৃন্দ। হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবদুল বাসেত জানান, ‘এই মুহূর্তে স্বল্প পরিসরে অনানুষ্ঠানিকভাবে নাম ফলক স্থাপন করা হয়েছে, পরবর্তিতে ব্যাপক পরিসরে সকলের উপস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে’। তিনি আরো জানান ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষ হতে তিনটি অনুষদের অধীনে (কৃষি, মাৎস্য, ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্স) শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।

তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, গতবছরের ২২ মার্চ রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০২০-এর ১০(১) ধারা অনুসারে মো. আবদুল বাসেতকে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে চার বছরের জন্য নিয়োগ প্রদান করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৯, ২০২২ ৯:৪৪ অপরাহ্ন
খুবিতে পরিবেশ বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন
কৃষি গবেষনা

বর্তমান সরকার জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ইস্যুকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে : মন্ত্রী

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিনের উদ্যোগে পরিবেশ বিষয়ক দু’দিনব্যাপী প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে। সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড ইকোসিস্টেম রেস্টোরেশন’। আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) সকাল ৯টায় আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তে সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত থেকে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন।

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। তবে বাংলাদেশ পরিবেশের ক্ষতি না করেও আজ প্রথম সারির ভুক্তভোগী দেশ। জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে। এজন্য বর্তমান সরকার জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ইস্যুকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। এ বিষয়ে ন্যাশনাল এডাপটেশন প্লান তৈরি করা হচ্ছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় রিসার্চ এবং নলেজ ম্যানেজমেন্টকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী আজ জলবায়ু ইস্যুতে বিশ্বের সোচ্চার দেশ প্রধানদের মধ্যে অন্যতম। তিনি এক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হিসেবে কাজ করছেন। জাতিসংঘের স্বীকৃতিও পেয়েছেন। তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌগলিক অবস্থানজনিত কারণে এখানে গবেষণার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে। এই সম্মেলন থেকে প্রাপ্ত সুপারিশমালা মন্ত্রণালয়ের কর্মপরিকল্পনা গ্রহণে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জলবায়ু পরিবর্তনে পরিবেশের যে ক্ষতি হয়েছে, তা নিয়ে বিশ্ব কতটা চিন্তিত সেটা বুঝতেই এই সম্মেলন।

তিনি বলেন, দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭৩-১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরিবেশ বিষয়ে বিভিন্ন আইন করে গেছেন। তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। পরিবেশ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কারণে তিনি এ বিষয়ে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ পুরস্কার পেয়েছেন। এ থেকেই আমরা বুঝতে পারি পরিবেশ নিয়ে ভাবনা এখন সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের।

উপমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের ১৯৭টি দেশ সবাই এখন বিশ্বাস করে আমাদের পরিবেশ ও প্রতিবেশ ঠিক রাখতে হবে। গত বছর অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনেও পরিবেশের নানা দিক স্থান পেয়েছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল দেশই চায় সুন্দর পরিবেশ ধরে রাখতে। তবে বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলো পরিবেশ বিপর্যয়ের জন্য দায়ী। তাদের বিষয়ে সবাইকে ভাবতে হবে।

তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে পরিবেশ বিষয়ক প্রথম এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বার্তা যে, আমাদের পরিবেশ নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। সকলের গবেষণায় এই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে হবে। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে সুন্দরবন আমাদের রক্ষা করে আসছে। এসব দুর্যোগের কারণে সুন্দরবনের ক্ষতি হচ্ছে, আয়তন কমে আসছে। প্রতিবছর ২-৪টি দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় সুন্দরবন উপকূলীয় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল। সুন্দরবন না থাকলে এ উপকূলে মানব বসতি ও জীবনযাপন সম্ভব হবে না। এ বিষয়ে ভাবতে পরিবেশ বিজ্ঞানীদের এগিয়ে আসতে হবে। সকলের চিন্তা-ভাবনায় আমাদের দেশ বিশ্বে আরও ভাল অবস্থান তৈরি করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সভাপতির বক্তব্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর ও সম্মেলনের চিফ প্যাট্রন প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে তা ভবিষ্যতে মানবজাতি ও সভ্যতার জন্য হুমকী স্বরুপ। তিনি বলেন এই সম্মেলনটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সম্মেলনে শুধু দেশের জন্যই নয় আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত নিয়েও আলোচনা হবে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান উপকূলীয় এলাকায় হওয়ায় পরিবেশ ও প্রতিবেশ নিয়ে শিক্ষা ও গবেষণা করা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। সে দায়িত্ববোধ থেকেই এমন সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্লিনারি স্পিকার হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস প্রফেসর ড. আইনুন নিশাত। প্যাট্রন হিসেবে বক্তব্য রাখেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা এবং জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সম্মেলনের অরগানাইজিং সেক্রেটারি সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ হারুন চৌধুরী এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সম্মেলনের অরগানাইজিং কমিটির কনভেনর প্রফেসর ড. দিলীপ কুমার দত্ত। এর আগে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মেলন শুরু হয়। এরপর অতিথিবৃন্দ এবং বিদেশি ডেলিগেটদের ফুল ও উত্তরীয় দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সম্মেলনের বিষয়ে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংগঠনের অংশগ্রহণে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার। এসময় ভাইস-চ্যান্সেলর ও প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলনে খ্যাতনামা পরিবেশবিদ প্রফেসর ড. আলী রেজা খান ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সুইডেনসহ দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ, বিজ্ঞানী সশরীরে এবং ভার্চুয়ালি এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনে ৬টি কি-নোট পেপার এবং ১২৫টি গবেষণা নিবন্ধ উপস্থাপিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ সম্মেলনে ৬০ জন তরুণ গবেষকের গবেষণা নিবন্ধও উপস্থাপিত হবে।

উৎসঃখুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ফেসবুক পেজ

মোঃ আমিনুল খান

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop