৫:৩৫ পূর্বাহ্ন

মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৩, ২০২১ ৪:১৩ অপরাহ্ন
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ শুরু
ক্যাম্পাস

স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে যথাযথভাবে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উদযাপন করা হলো ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২১’।

শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন পুকুরে পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়।

মাছের পোনা অবমুক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. মতিয়ার রহমান হাওলাদার।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, মাৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ, গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের নেতাবৃন্দ, পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা), প্রক্টরিয়াল বডি এবং প্রভোস্ট কাউন্সিলসহ উচ্চপদস্থ শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ।মাছের পোনা অবমুক্ত শেষে ভাইস চ্যান্সেলর ক্যাম্পাসের বিভিন্ন মৎস্য গবেষণার হ্যাচারি ও খাঁচা পরিদর্শন করেন।

উল্লেখ্য, জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘বেশি বেশি মাছ চাষ করি, বেকারত্ব দূর করি’।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৩, ২০২১ ১২:১৩ পূর্বাহ্ন
প্রাধিকারের ৭ম কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা, সভাপতি তাজুল ও সম্পাদক নীলোৎপল
ক্যাম্পাস

প্রাধিকারের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম মামুন ও সাধারণ সম্পাদক নীলোৎপল দে। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণি অধিকার এবং জীববৈচিত্র সংরক্ষণ বিষয়ক সংগঠন “প্রাধিকার” এর ৭ম কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ( ২ সেপ্টেম্বর ) সন্ধ্যা ৭ঃ৩০ মিনিটে ভার্চুয়াল এক অনুষ্ঠানে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।

অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাধিকারের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সম্মানিত সদস্য বায়োটেকনোলজি ফ্যাকাল্টির সম্মানিত ডিন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মেহেদি হাসান খান, ভূমি সন্তান বাংলাদেশের সমন্বয়ক আশরাফুল কবীর, প্রাধিকারের সাবেক সভাপতি ডা. বিনায়ক শর্মা এবং ডা. আনিসুর রাহমান।সাবেক সহ সভাপতি আল আমিন আহমেদ রুয়েল। সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. মহিউদ্দিন রিফাত, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা.মাহদী রাহি।

নতুন কার্যনির্বাহী কমিটিতে সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন ভেটেরিনারি, এনিম্যাল এন্ড বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের লেভেল-৪, সেমিস্টার-১ এর শিক্ষার্থী তাজুল ইসলাম মামুন এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন একই অনুষদের লেভেল-৪, সেমিস্টার-১ এর শিক্ষার্থী নীলোৎপল দে।

নতুন কার্যনির্বাহী কমিটিতে অন্যান্য পদে যারা থাকছে, সহ-সভাপতি- তিলোত্তম ভট্টাচার্য্য তূর্য ,মোঃ আকিব, আল ইবনে রিফাত ,তাশফিয়া তাহজীন। জয়েন্ট সেক্রেটারী আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ আসিফ ,আরিফ ইশতিয়াক, মোঃমোশাররফ হোসেন , রুওনক জাহান উন্নতি,মামুনুর রহমান মুন ।

কোষাধ্যক্ষ -মোঃ মাহাদী হাসান, সহকারী কোষাধ্যক্ষ -উসামা ওয়াসিফা রিভু ও তানভীর হাসান।সাংগঠনিক সম্পাদক (ওয়াইল্ডলা­ইফ) -প্রশান্ত দেবনাথ স্বরণ,আব্দুল্লাহ আল মামুন। সাংগঠনিক সম্পাদক (ডোমেস্টিক­ এন্ড পেট এনিম্যাল)- মোঃ আল ফায়েদুর রহমান , কানন তালুকদার । সাংগঠনিক সম্পাদক (ফিশারিজ)- কাজী রাকিব উদ্দিন সাব্বির, সিদ্দিকুর রহমান সুজন।সংগঠনটির সম্পাদক (জেনেটিক রিসোর্স)- হাঞ্জালা ওসমান নীলয়, আহাদ মোল্লা ।

প্রাধিকার রেস্কিউ উইং হেড -আশরাফুল ইমন, সহকারী রেস্কিউ উইং-তুষার কান্তি, শাকিল মাহমুদ সুপ্ত । ল-কনসার্ন সম্পাদক সোহানুর রহমান, শাকিল আহমেদ । হিউম্যান রিসোর্স সম্পাদক – সূচনা আক্তার, শবনম শায়েস্তা শিফা । জনসংযোগ সম্পাদক – আরিজ আহমেদ সাদ, নাহিয়ান রহমান সাদ ।

এছাড়াও এক্সিকিউটিভ মেম্বারা হলেন- আলিফ আলী জনি, আবদুল্লাহ আল মামু্‌ন, শাওন দেবনাথ নিলয়, প্রমিতোষ দত্ত , পার্থ বিশ্বাস , মো: সাহেকুর রহমান, মো: জাহিদুর রহমান জুয়েল , নাসের ইকবাল , আফসানা মিমি , নাঈম চৌধুরী ।

অতিথিগণ তাদের বক্তব্যে বলেন, প্রাধিকার একটি মহতী সংগঠন যারা বোবা প্রাণীদের অধিকার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। পূর্ববর্তী ধারা অব্যাহত রেখে নতুন কমিটি এই সংগঠনককে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা। এ সময় উপস্থিত শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সর্বসম্মতিক্রমে আগামী এক বছরের জন্য পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২, ২০২১ ৯:০৭ অপরাহ্ন
শেকৃবিতে ভেটেরিনারি টিচিং হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
ক্যাম্পাস

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সমৃদ্ধ আন্তর্জাতিক মানের ভেটেরিনারি টিচিং হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হয়েছে।

আজ বিকাল ৪টা ৩০মিনিটে ভেটেরিনারি টিচিং হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুর রশীদ ভূ্ঁইয়া।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন শেকৃবির মাননীয় ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ নজরুল ইসলাম, গবেষণা পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস এর পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ মিজানুল হক কাজল, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ ফরহাদ হোসেন, এএসভিএম অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. লাম-ইয়া-আসাদ, ভেটেরিনারি টিচিং হাসপাতালের ইনচার্জ ও মেডিসিন এন্ড পাবলিক হেলথ বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কেবিএম সাইফুল ইসলাম, মাইক্রোবায়োলজি এন্ড প্যারাসাইটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. উদয় কুমার মহন্ত, রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম, প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আজিজুর রহমান, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

ভেটেরিনারি টিচিং হাসপাতাল স্থাপনের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, গবেষকদের পাশাপাশি ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার খামারী এবং পোষা প্রাণীর অভিভাবকগন উপকৃত হবেন। পাঁচ তলা বিশিষ্ট ভেটেরিনারি টিচিং হাসপাতালের নির্মান ব্যায় হবে ৫ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২, ২০২১ ৬:২৬ অপরাহ্ন
বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকায় বাকৃবি
ক্যাম্পাস

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু, বাকৃবি: টাইমস হায়ার এডুকেশন বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকায় এক হাজার থেকে এক হাজার দুইশ’র মধ্যে স্থান করে নিয়েছে. বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,ময়মনসিংহ। এ তালিকায় বাংলাদেশের তিনটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থান লাভ করেছে । বিশ্ববিদ্যালয় তিনটি হচ্ছে- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় , বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)।

আজ বৃহস্পতিবার(০২ সেপ্টেম্বর) এক অনলাইন আলোচনা সভার মাধ্যমে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান।

আগামীতে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে আরো সামনে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা বিষয়ক ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল(আইকিউএসি)এর আয়োজনে অনলাইন আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রেখেছেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। বাকৃবি আইকিউএসি এর পরিচালক প্রফেসর ড. মো: তাজ উদ্দিন এর সভাপতিত্বে এবং আইকিউএসি এর অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মো: হারুন অর রশীদ এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মোঃ আবু তাহের, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান, মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব সুভাস সিংহ রায়সহ বাকৃবির সিনিয়র অ্যালামনাইবৃন্দ, বাকৃবির শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং আমন্ত্রিত অতিথিগণ বক্তব্য রাখেন। টাইমস হায়ার এডুকেশন বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র্যাংকিং বিষয়ে বিস্তারিত প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাকৃবি ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মো আলমগীর আলমগীর হোসেন ও ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রফেসর ড.হারুনুর রশীদ ।

টাইমস হায়ার এডুকেশন বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এ তালিকা প্রকাশ করেছে । ২০২১ সালে ৯৩টি দেশের প্রায় ১০ হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্য থেকে ১ হাজার ৬শ’ ৬২টির তালিকা প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি।জাতিসংঘ নির্ধারিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এসডিজি অর্জনের ভিত্তিতে গবেষণা, আউটরিচ এবং শিক্ষণ এর মানদন্ডে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়ে থাকে।

ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার তার বক্তব্যে এদেশের কৃষির ব্যাপক উন্নয়নে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদানের প্রশংসা করেন।তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সাফল্যে সকলকে অভিনন্দন জানান। কৃষি প্রধান বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কাজের ওপর আরও যত্নবান হওয়ার আহবান জানান মন্ত্রী।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান বলেছেন, এ সাফল্যে আমরা উচ্ছসিত । আগামীতে বিশ্বের সেরা ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্থান করে নিতে আমরা সর্বাত্নক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আধুনিক কৃষি শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে যথোপযুক্ত প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও কৃষকদের মাঝে তা সম্প্রসারণ করে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। ছয় দশকে বাংলাদেশ কৃষি বিশবিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েটবৃন্দ কৃষির আধুনিকায়ন ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছেন। যার ফলে দেশ আজ ক্রমবর্ধিষ্ণু জনসংখ্যার জন্য খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনে অসামান্য সাফল্য লাভ করতে পেরেছে।

পথিকৃৎ এ বিশ্ববিদ্যালয় দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কৃষি ক্ষেত্রে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আরও নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করবে এবং ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে তার অগ্রণী ভূমিকা অব্যাহত রাখবে । এ বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞানচর্চা ও মেধার বিকাশ এবং সার্বিক উন্নয়নে সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুপরিকল্পিত দিক নির্দেশণা, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন এর আন্তরিক সহযোগিতা প্রশংসনীয়।

পাশাপাশি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতী শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা, কর্মচারী, অ্যালামনাইবৃন্দ,রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ,বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাবাসী ও সচেতন অভিভাবকগণ, যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে তা অপরিসীম। আমি কৃতজ্ঞতাভরে তাদের স্মরণ করছি।এই শুভক্ষণে আজ সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যিনি এদেশের কৃষি ও কৃষকের দ্রুত সমৃদ্ধির লক্ষ্যে বহু যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। ১৯৭৩ সনে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্বরে এসে তিনি এক ঐতিহাসিক ঘোষণা দেন, যার ফলে আজ কৃষিবিদগণ চাকরির ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড পদমর্যাদায় অধিষ্ঠিত।যার ফলশ্রুতিতে এবং অনুপ্রেরণায় বাংলাদেশের কৃষি ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আজ এ অনন্য উচ্চতায় অধিষ্ঠিত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণা, প্রকাশনা, আন্তর্জাতিকীকরণ, একাডেমিয়া-ইন্ডাস্ট্রি লিঙ্কেজ ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে বিশ্বের অনেক প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিং করে থাকে । একজন ছাত্র বা তার অভিভাবক হায়ার স্টাডিস এর জন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয় পছন্দ করবেন, শিক্ষক/গবেষক কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াবেন বা গবেষণা করবেন, ডোনার কোথায় ফান্ড দিবেন, এমপ্লোয়ার কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট রিক্রুট করবেন, পলিসি মেকার বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে কি ধরনের স্ট্রাটেজিক প্লান নিবেন, স্কলারশীপ এর ক্রাইটেরিয়া পূরনে হোস্ট ইউনিভার্সিটি নির্বাচন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন, ইত্যাদিতে এই র্যাংকিং বিশেষ ভুমিকা রাখে।

সারা বিশ্ব জুড়ে মূলত টাইমস হায়ার এডুকেশন, কিউএস এবং সাংহাই এই তিনটি গ্লোবাল র্যাকিং এর ব্যাপক গ্রহনযোগ্যতা থাকলেও টাইমস হায়ার এডুকেশন ছাত্র, শিক্ষক, গবেষক, এক্সিকিউটিভ, পলিসি মেকার কতৃক সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য ও সবচেয়ে প্রভাবশালী র্যাংকিং। বাংলাদেশ সরকারও বিভিন্ন স্কলারশীপ যেমন, প্রধানমন্ত্রী ফেলোশীপ এর জন্য একমাত্র টাইমস হায়ার এডুকেশন এর র্যাংকিং কেই বিবেচনায় নিয়ে থাকে।

উল্লেখ্য ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল(আইকিউএসি) ২০১৯ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই র্যাংকিং বিষয়ে কাজ করছে এবং আইকিউএসি এর অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মো: হারুন অর রশীদ এ বিষয়ে সার্বিক তত্ত্বাধানে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১, ২০২১ ১১:২৩ অপরাহ্ন
বিশ্ব র‍্যাংকিং এ দেশের সেরা তিনে ‘বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়’
ক্যাম্পাস

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু,বাকৃবি: বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকায় এক হাজার থেকে এক হাজার দুইশ’র মধ্যে স্থান করে নিয়েছে. বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,ময়মনসিংহসহ বাংলাদেশের তিনটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় । বিশ্ববিদ্যালয় তিনটি হচ্ছে- বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

টাইমস হায়ার এডুকেশন বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এ তালিকা প্রকাশ করেছে । ২০২১ সালে ৯৩টি দেশের প্রায় ১০ হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্য থেকে ১ হাজার ৬শ’ ৬২টির তালিকা প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি।জাতিসংঘ নির্ধারিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এসডিজি অর্জনের ভিত্তিতে গবেষণা, আউটরিচ এবং শিক্ষণ এর মানদন্ডে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়ে থাকে।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান বলেছেন, এ সাফল্যে আমরা উচ্ছসিত । আগামীতে বিশ্বের সেরা ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্থান করে নিতে আমরা সর্বাত্নক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আধুনিক কৃষি শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে যথোপযুক্ত প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও কৃষকদের মাঝে তা সম্প্রসারণ করে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। ছয় দশকে বাংলাদেশ কৃষি বিশবিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েটবৃন্দ কৃষির আধুনিকায়ন ও প্রযুক্তি স¤প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছেন। যার ফলে দেশ আজ ক্রমবর্ধিষ্ণু জনসংখ্যার জন্য খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনে অসামান্য সাফল্য লাভ করতে পেরেছে।

পথিকৃৎ এ বিশ্ববিদ্যালয় দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কৃষি ক্ষেত্রে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আরও নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করবে এবং ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে তার অগ্রণী ভূমিকা অব্যাহত রাখবে।

এ বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞানচর্চা ও মেধার বিকাশ এবং সার্বিক উন্নয়নে সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুপরিকল্পিত দিক নির্দেশণা, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন এর আন্তরিক সহযোগিতা প্রশংসনীয়।পাশাপাশি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতী শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা, কর্মচারী, অ্যালামনাইবৃন্দ,রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ,বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাবাসী ও সচেতন অভিভাবকগণ, যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে তা অপরিসীম।

আমি কৃতজ্ঞতাভরে তাদের স্মরণ করছি।এই শুভক্ষণে আজ সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যিনি এদেশের কৃষি ও কৃষকের দ্রুত সমৃদ্ধির লক্ষ্যে বহু যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। ১৯৭৩ সনে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্বরে এসে তিনি এক ঐতিহাসিক ঘোষণা দেন, যার ফলে আজ কৃষিবিদগণ চাকরির ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড পদমর্যাদায় অধিষ্ঠিত।যার ফলশ্রুতিতে এবং অনুপ্রেরণায় বাংলাদেশের কৃষি ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আজ এ অনন্য উচ্চতায় অধিষ্ঠিত।

টাইমস হায়ার এডুকেশন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিং 2022 এ বাকৃবির স্থান লাভে বাকৃবির সকল অ্যালামনাই ,বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশন উচ্ছসিত ,আনন্দিত ।

উল্লেখ্য কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন দিন ব্যাপি THE World Academic Summit 2021 এর প্রথম দিনে টাইমস হায়ার এডুকেশন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিং 2022 প্রকাশ করে। টাইমস হায়ার এডুকেশন এবছর 1662 টি বিশ্ববিদ্যালয় তালিকা প্রকাশ করছে।

May be an image of grass

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণা, প্রকাশনা, আন্তর্জাতিকীকরণ, একাডেমিয়া-ইন্ডাস্ট্রি লিঙ্কেজ ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে বিশ্বের অনেক প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাংকিং করে থাকে । একজন ছাত্র বা তার অভিভাবক হায়ার স্টাডিস এর জন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয় পছন্দ করবেন, শিক্ষক/গবেষক কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াবেন বা গবেষণা করবেন, ডোনার কোথায় ফান্ড দিবেন, এমপ্লোয়ার কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট রিক্রুট করবেন, পলিসি মেকার বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে কি ধরনের স্ট্রাটেজিক প্লান নিবেন, স্কলারশীপ এর ক্রাইটেরিয়া পূরনে হোস্ট ইউনিভার্সিটি নির্বাচন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন, ইত্যাদিতে এই র‍্যাংকিং বিশেষ ভুমিকা রাখে।

সারা বিশ্ব জুড়ে মূলত টাইমস হায়ার এডুকেশন, কিউএস এবং সাংহাই এই তিনটি গ্লোবাল র‍্যাকিং এর ব্যাপক গ্রহনযোগ্যতা থাকলেও টাইমস হায়ার এডুকেশন ছাত্র, শিক্ষক, গবেষক, এক্সিকিউটিভ, পলিসি মেকার কতৃক সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য ও সবচেয়ে প্রভাবশালী র‍্যাংকিং। বাংলাদেশ সরকারও বিভিন্ন স্কলারশীপ যেমন, প্রধানমন্ত্রী ফেলোশীপ এর জন্য একমাত্র টাইমস হায়ার এডুকেশন এর র‍্যাংকিং কেই বিবেচনায় নিয়ে থাকে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১, ২০২১ ৫:০৯ অপরাহ্ন
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে সেমিস্টার ফাইনাল
ক্যাম্পাস

তাজুল ইসলাম মামুন ,সহকারি প্রকাশকঃ করোনার মহামারীর কারণে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস, পরীক্ষাসহ বিভিন্ন একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে শুরু হলো সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা। কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের লেভেল ১, সেমিস্টার ১ এর ৪৯ জন শিক্ষার্থী প্রথম দিনে তাদের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এর আগে অনলাইনে ক্লাস ও ইন্টার্নি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো স্নাতক পর্যায়ে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয় বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর।

বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অফিসে অনলাইনে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু হয়। পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান ডিন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ রাশেদ আল মামুনের আমন্ত্রনে সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভেটেরিনারি, এনিম্যাল ও বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এম. রাশেদ হাসনাত, কৃষি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ রুহুল আমিন, মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ আবু সাঈদ, কৃষি অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. রোমেজা খানম, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কৃষিবিদ মোঃ সাজিদুল ইসলাম, অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নূর হোসেন মিঞা প্রমুখ। কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ রাশেদ আল মামুন জানান, “এটা প্রযুক্তির যুগ। প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে সমগ্র পৃথিবী চলছে, তার ধারাবাহিকতায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইনে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা দেবার চমৎকার প্রযুক্তি আমরা নিয়ে এসেছি।” ডিন কাউন্সিলের আহŸায়ক প্রফেসর ড. রোমেজা খানম, “এই অনলাইন পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেবার কারণে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক উভয়েরই সুবিধা হবে। করোনার কারণে পিছিয়ে পড়া একাডেমিক ব্যবস্থাকে আমরা শীঘ্রই পুনরোদ্ধার করতে পারবো।”

অনলাইন প্লাটফর্মের এই সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা মোট ৩টি সেকশনে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম সেকশনে শিক্ষার্থীরা ৩০ মিনিটে ৩০ নম্বরের বিভিন্ন প্রশ্নের সংক্ষিপ্ত উত্তর দিবেন। দ্বিতীয় সেকশনে ২০ নম্বরের ১টি বা কয়েকটি প্রশ্নের বিস্তারিত বা ব্যাখামূলক উত্তর দিবেন। তৃতীয় সেকশনে ৫০০ শব্দের এসাইনমেন্ট জমা দিতে হবে যার নম্বর থাকবে ২০। এভাবে এক ঘন্টায় মোট ৭০ নম্বরের ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

কৃষি অনুষদ এবং কৃষি অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ আগামী ৮ সেপ্টেম্বর থেকে তাদের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শুর করবে। তদ্রæপ ভেটেরিনারি, এনিম্যাল ও বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদ, মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ ১৩ সেপ্টেম্বর এবং বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে তাদের স্নাতক পর্যায়ের বিভিন্ন সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষা অনলাইনে শুরু করতে যাচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৩১, ২০২১ ১১:১৬ অপরাহ্ন
সৌন্দর্য্য বর্ধনে বাকৃবিতে রোপিত হবে ২০ হাজার গাছের চারা
ক্যাম্পাস

বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয় (বাকৃবি) চত্বরকে সৌন্দর্য্যমন্ডিত করার জন্য বৃক্ষরোপন কর্মসূচীর উদ্বোধন করা হয়েছে। বিট্রিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবি) কোম্পানীর সৌজন্যে ফলজ, বনজ, ঔষধি ও শোভাবর্ধক ২০ হাজার গাছের চারা প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে বাকৃবির টিএসসি চত্বরে ওই বৃক্ষরোপন কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু।

বৃক্ষরোপন কর্মসূচী অনুষ্ঠানে মেয়র ইকরামুল হক বলেন, মুজিববর্ষের ১ কোটি বৃক্ষরোপন কর্মসূচীর আওতায় বিশ^বিদ্যালয় চত্বরকে সবুজায়ন করার জন্যই মূলত এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ফলজ, বনজ, ঔষধি ও শোভাবর্ধক গাছের চারা লাগিয়ে বিশ^বিদ্যালয় চত্বরসহ পুরো ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন ও বিভাগকে সবুজায়ন করতে চাই। এ বিশ^বিদ্যালয়ের সমৃদ্ধিসহ পুরো ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন ও বিভাগের উন্নতি ও সমৃদ্ধি সাধনের লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাকৃবি ভিসি ড. লুৎফুল হাসান বলেন, আজ শোকাবহ আগস্টের শেষ দিনে বৃক্ষরোপন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা সমৃদ্ধির কাজ আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল। বন্যা, জলোচ্ছ¡াস ও ঝড়ের কবল থেকে রক্ষা করতে বৃক্ষরোপনের ভূমিকা অতুলনীয়। বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের প্রতিটি জায়গায় শোভাবর্ধক বৃক্ষ রোপন করে ক্যাম্পাসকে সৌন্দর্য্যমন্ডিত করার কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।

বাকৃবির ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এ.কে.এম জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে বৃক্ষরোপন কর্মসূচীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য ড. লুৎফুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন মেয়র ইকরামুল হক টিটু এবং বিট্রিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবি) কোম্পানীর প্রতিনিধি কৃষিবিদ আখতার আনোয়ার খান। এছাড়াও বিশ^বিদ্যালয় প্রক্টর ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন, বাকৃবি রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেস) পরিচালক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খানসহ বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষকবৃন্দ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৩১, ২০২১ ৪:০৭ অপরাহ্ন
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষ্যে খুবি পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ
ক্যাম্পাস

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২১ উপলক্ষ্যে ‘বেশি বেশি মাছ চাষ করি, বেকারত্ব দূর করি’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে আজ ৩১ আগস্ট ২০২১ খ্রি. তারিখ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কটকা স্মৃতিস্তম্ভ সংলগ্ন পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। পরে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের মৎস্য সেক্টরে উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। এই অগ্রযাত্রাকে টেকসই করতে হবে। মৎস্যখাতে এখনও বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এই খাত আরও অবদান রাখতে পারে। তিনি বলেন, দেশের মানুষের আমিষের যোগানের প্রধান উৎস মৎস্যখাত। এছাড়া মাছ রপ্তানি বৃদ্ধির মাধ্যমে আরও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, মাছের মান নিয়ন্ত্রণ অর্থাৎ মানসম্মত মাছের উৎপাদনে নজর দিতে হবে। তাহলে বিদেশে চাহিদা বাড়বে। এক্ষেত্রে তিনি মাছের মানসম্মত খাদ্যের ওপর জোর দেন। মৎস্য খাতের উন্নয়নে তিনি বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করে বলেন, গবেষণার মাধ্যমে এ খাতের উন্নয়নে দিকনির্দেশনা দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নতুন নতুন গবেষণা প্রয়োজন। তিনি গবেষণার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সম্ভব সহায়তার আশ্বাস দেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা বলেন, মাছে ভাতে বাঙালি, এই প্রবাদের ঐতিহ্য অক্ষুণ্ন আছে। মাছ উৎপাদন দিন দিন বাড়ছে, যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ এন্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুর রউফ। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মোঃ গোলাম সরোয়ার, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারী অধ্যাপক সুদীপ দেবনাথ। এসময় ডিসিপ্লিনের অন্যান্য শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং মৎস্য বিভাগের বিভিন্ন উপজেলার কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৩০, ২০২১ ২:৫৭ অপরাহ্ন
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২১ উদযাপিত
ক্যাম্পাস

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ) জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন কমিটির আয়োজনে মাছের পোনা অবমুক্ত করার মধ্য দিয়ে “জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২১” উদযাপন করেছে।

আজ সোমবার(৩০ আগস্ট) সকাল ১১টায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন কমিটির উদ্যোগে ব্রহ্মপুত্র নদের ঘাটে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান।

এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান বলেন, কয়েক বছর আগেও বাংলাদেশে খাদ্য পুষ্টির অভাব দেখা দিবে এমন একটা সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষক এবং ছাত্র ছাত্রীদের গবেষণালব্ধ ফলাফল প্রান্তিক কৃষকের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে দেশে প্রোটিন এবং ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়েছে। আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যার সুচিন্তা এবং অবদান কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণীর সম্মাননা যার মাধ্যমে এই পুষ্টি ঘাটতি পূরণের অগ্রযাত্রা শুরু। আজকে ফিশারিজ অনুষদের শিক্ষক-ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদরে নিরলস পরিশ্রমের ফসল আজকের এই মাছের ঘাটতি পূরণ। আমি আশাবাদ ব্যক্ত করি ভবিষ্যতে আমরা মাছ উৎপাদনের ব্যাপারে আরো সাফল্যমন্ডিত হবো।

মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ মাহফুজুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. এ. কে. এম. জাকির হোসেন, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন এর পরিচালক প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ, প্রোক্টর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দিন, বাকৃবি জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ আবুল মনসুর ,প্রফেসর ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম সরদার, প্রফেসর ড. মোছাঃ কানিজ ফাতেমা, প্রফেসর ড. ফাতেমা হক শিখাসহ মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের আরোও শিক্ষক-শিক্ষার্থী।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন কমিটির সদস্য-সচিব প্রফেসর ড. এ. কে. শাকুর আহম্মদ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৯, ২০২১ ৯:৪২ অপরাহ্ন
আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবনে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সফলতা
কৃষি গবেষনা

খসরু মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনঃ দেশে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে আধুনিক কৃষি ব্যবস্থাপনা পরিচালনার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন এবং কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ রাশেদ আল মামুন। গবেষণা দলে সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন একই বিভাগের সহকারী প্রফেসর মোঃ তৌফিকুর রহমান ও মোঃ জানিবুল আলম সোয়েব এবং শিক্ষার্থী মারিয়া সুলতানা জেনিন, তানজিনা রহমান মিম, মোঃ রাইসুল ইসলাম রাব্বী, মোঃ নুরুল আজমীর, মিনহাজ উদ্দিন নয়ন, রুকন আহমেদ ইমন, শঙ্খরুপা দে, জিনাত জাহান, আনিকা তাসনিম, শহিদুল বাসার, আসিফ আল রাযী নাবিল, সাদিয়া আশরফি ফাইরুজ, সাদিকুর রহমান, আবু হানিফ, মোঃ আলমগীর আলম, সাব্বাহ তাহসিন চৌধুরী ও তুহিনুল হাসান।

তন্মধ্যে আধুনিক কম্পিউটার ভিশন এর মাধ্যমে চায়ের ইমেজ প্রসেসিং প্রযুক্তির দ্বারা চায়ের দানার টেক্সচারাল ফিচার এবং বাহ্যিক গুনাগুনের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন চায়ের চারটি গ্রেডকে নির্ভুলভাবে নির্ণয়ের পদ্ধতি উদ্ভাবন, সেচ ব্যবস্থাকে সহজ করে আবাদি জমিতে সঠিক মাত্রায় আর্দ্রতা বজায় রাখার লক্ষ্যে মাইক্রোকন্ট্রোলারে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ব্যবহার করে উদ্ভাবন করেছেন স্বয়ংক্রিয় সেচ যন্ত্র যার মাধ্যমে প্রয়োজন অনুযায়ী মাটির আদ্রর্তা ও পানির উচ্চতা পরিমাপ করে স্বয়ংক্রিয় ভাবে পা¤প চালু এবং বন্ধ হবে। ভিন্ন ভিন্ন শস্যের ক্ষেত্রে পানির চাহিদা অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন আদ্রর্তা ও উচ্চতায় এই যন্ত্রের সুবিধা নেয়া যাবে।ফলে কৃষকরা সময় সাশ্রয়ের পাশাপাশি আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। মাইক্রো-কন্ট্রোলার ভিত্তিক স্মার্ট অটোমেশন সিস্টেম এবং স্বয়ংক্রিয় ডিম ঘুরানোর পদ্ধতি সংযোজিত করে ডিমের প্রকার ও প্রজাতি ভেদে আলাদা আলাদা তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা নির্ধারণ করার মাধ্যমে অধিক সুস্থ ও সবল বাচ্চা উৎপাদন করার লক্ষ্যে উদ্ভাবন করেছেন অত্যাধুনিক ইনকিউবেটর যা দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রোটিনের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি গ্রামীণ পর্যায়ে পোল্ট্রি ব্যবসাকে আরো লাভজনক ও জনপ্রিয় করবে।

বাংলাদেশে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে লাকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি উদ্ভাবনও করেছেন তরুণ বিজ্ঞানী ড. রাশেদ। দেশে প্রতিদিন ব্যাপক পরিমাণ চা, মাছ ও গবাদিপশুর বর্জ্য তৈরি হয়, যা সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে পরিবেশের উপর নানাবিধ ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে এমনকি এটা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। এই বর্জ্য পচেঁ প্রচুর পরিমাণে মিথেন গ্যাস নির্গত হয় যা গ্রিনহাউজ গ্যাস হিসেবে কার্বনডাইঅক্সাইড এর চেয়ে ২৫ গুন বেশি ক্ষতিকর অথচ মাছের বর্জ্য, চায়ের বর্জ্য ও গবাদিপশুর বর্জ্য মিশিয়ে ৬৫% নবায়নযোগ্য জ্বালানী উৎপাদন করা সম্ভব। এক সমীক্ষায় দেখা যায় ২০১৫ সালে প্রায় ৩০.২১ মিলিয়ন গরু ও মহিষ, ২৫.৬৯ মিলিয়ন ছাগল ও ভেড়া, এবং ১৬০.৭০ মিলিয়ন পোল্ট্রি রয়েছে যা থেকে প্রায় ১০ বিলিয়ন কেজির মতো বর্জ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হত। যদি এর ৫০% বর্জ্যও নবায়নযোগ্য জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায় তবে তা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে উল্লেখযোগ্য ভ‚মিকা রাখবে।

অন্যদিকে বছরের অর্ধেকটা সময়, বিশেষ করে বর্ষায় জলাবদ্ধতার কারণে দেশের প্রায় ৩০ লাখ হেক্টর জমি অনাবাদি থাকে। ফলে জলাবদ্ধ জমিতে কোন কৃষিকাজ হয় না। সেসব এলাকায় উক্ত সময়টুকুতে কোন কর্মসংস্থানেরও সুযোগ থাকে না। এ সময় জমিতে উৎপাদন না হওয়ায় কৃষকের লোকসানসহ ঘাটতি দেখা দেয় শাক-সবজি ও অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীর। জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও চাষযোগ্য জমির পরিমাণ দিন দিন হ্রাস পাওয়ার ঝুঁকি মোকাবেলা করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি দেশের হাওরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলে বছরব্যাপী কৃষিকাজ অব্যাহত রাখতে উলম্ব ভাসমান খামারে (ভার্টিক্যাল ফ্লটিং বেড) একক স্থান হতে অধিক ফসল উৎপাদন করে ক্রম-হ্রাসমান ভূমির উপর চাপ কমানোর এক অভিনব প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন ড. রাশেদ। এ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বন্যাক্রান্ত অঞ্চলে বদ্ধ পানির উপর কাঠামোটি ভাসিয়ে কৃষকরা অনায়াসেই চাষাবাদ করতে পারবেন এবং বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর কাঠামোটি শুকনো অনাবাদি জমির উপর স্থাপন করে কৃষিকাজ সচল রাখতে সক্ষম হবেন। সম্পূর্ণরূপে অব্যবহার্য জলাবদ্ধ ভূমির উপর কাঠামোটি স্থাপন করে কয়েকটি উলম্ব স্তরে চাষাবাদ করার ফলে কম জায়গা ব্যবহার করে অধিক ফলন নিয়ে আসা যাবে যা গতানুগতিক চাষাবাদ পদ্ধতিতে পাওয়া অসম্ভব। সাশ্রয়ী এবং সহজলভ্য উপাদান দিয়ে তৈরি এই কাঠামোটি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করা যাবে।

এখন পর্যন্ত দেশে টমেটো সংরক্ষণের জন্য অত্যাধুনিক কোন পদ্ধতি নেই যার ফলে কৃষকরা ফসল উৎপাদনের পর যথাযথ পদ্ধতিতে সংরক্ষণের অভাবে অনেক টমেটো পঁচে যায় । ফলে তারা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয় । এ সমস্যা দূরীকরণের লক্ষ্যে টমেটোর জন্য বিশেষভাবে মিনি কোল্ড স্টোরেজ তৈরি করা হয়েছে যেখানে ২০ দিন পর্যন্ত টমেটো সংরক্ষণ করা সম্ভব । এক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ও মাঝারি কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা তাদের অবিক্রিত টমেটো সংরক্ষণের মাধ্যমে গুণগত মান অক্ষুন্ন রেখে ভোক্তাদের সরবরাহ করতে পারবে।
আবার শীতকালীন রবি শস্য সমূহ যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি, সিম, বেগুন ইত্যাদি উৎপাদন করার পর পরিবহন জনিত সমস্যার কারণে যথাসময়ে পণ্য বাজারজাত করা সম্ভব হয় না ফলে এসব পণ্য পঁচে যাওয়ার কারণে কৃষকরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এ সমস্যা সমাধানে অল্প খরচে ইভাপোরেটিভ কুলিং চেম্বার স্থাপন করে ৭ থেকে ১০ দিন সংরক্ষণ করা সম্ভব যাতে পণ্যের গুণগত মান অক্ষুন্ন থাকে এবং তৃণমূল কৃষক সম্ভাব্য লোকসান থেকেও বাঁচতে পারে।

অব্যবহৃত ফুড এন্ড বেভারেজ এর অ্যালুমিনিয়াম ক্যানসমূহ দিয়ে স¦ল্প খরচে সোলার ড্রায়ার তৈরি করে মৌসুমী কৃষিজাত পণ্য ও বীজ বছরজুড়ে সংরক্ষণ করা যাবে। যা একদিকে পরিবেশ দূষণ রোধ করবে এবং অপরদিকে কৃষিপণ্যের অপচয় কমানো সম্ভব হবে। এছাড়াও যেসব অঞ্চলে গ্যাস ও বিদ্যুতের সংকট বিদ্যমান সেসব অঞ্চলে উদ্ভাবিত সোলার কুকার দিয়ে রান্নাবান্নার কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব। এতে জীবাশ্ম জ্বালানির দ্বারা পরিবেশ দূষণ রোধসহ গ্যাস বিদ্যুৎ চালিত চুলা কিংবা লাকড়ির চুলার জন্য যে অর্থের প্রয়োজন হয় তা সাশ্রয় হবে। নগর জীবন ও গ্রামীণ অঞ্চলে সোলার কুকার ব্যবহারের মাধ্যমে জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন করা সম্ভব হবে।

ড. রাশেদ বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয় থেকে বি.এসি. এগ্রি. ইঞ্জি., এমএস ইন ফার্ম পাওয়ার এন্ড মেশিনারি, জাপানের কুমামোতু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যাডভান্সড টেকনোলজি (নবায়নযোগ্য জ্বালানী) বিষয়ের উপর পি.এইচ.ডি. ডিগ্রি অর্জন করেন এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রাউন্ড ওয়াটার লিডারশিপ প্রোগ্রামে রিসার্চ সায়েনটিস্ট হিসেবে গবেষণা করেন। তিনি জাপানের মনবুকাগাকুশু, কুমামোতু বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরাল কোর্স ও জাসসু স্কলারশীপ এবং এশিয়ান ডেভলাপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি-জেএসপি) ও এশিয়ান ইনিস্টিটিউশন অব টেকনোলজি ফেলোশীপ অর্জন করেন। তিনি জাপান, ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়ে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

ড. রাশেদ ইতোমধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানীর উপর একটি বই লিখেছেন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাঁর প্রায় ৪০ টির মতো পিয়ার রিভিউড বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রবন্ধ বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন কনফারেন্স, সেমিনার, সিম্পজিয়াম ও ওয়ার্কশপে বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন । তিনি নিউজিল্যান্ড, আমেরিকা ও সিংগাপুরে অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে এক্সিলেন্ট ও বেস্ট রিসার্চ পেপার অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। তিনি কুমামোতু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট (জাপান) অ্যাওয়ার্ড, কিংডম অব সৌদি এরাবিয়া (মরক্কো) অ্যাওয়ার্ড, ভেনাস ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড (ভারত) থেকে আউটস্টেন্ডিং সায়েনটিস্ট ইন ফার্ম পাওয়ার অ্যান্ড মেশিনারি শীর্ষক আর্ন্তজাতিক পদকসহ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেস্ট পাবলিকেশন (বাংলাদেশ) অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন।

তিনি চলমান গবেষণার পাশাপাশি দেশে কৃষি উন্নয়নের লক্ষ্যে এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড বায়োসিস্টেমস ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর কাজ করার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, প্রিসিশন এগ্রিকালচার, লাকসই কৃষি পণ্য উৎপাদন, পোস্ট-হারভেস্ট ম্যানেজমেন্ট, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ বিষয়ে গবেষণা পরিচালনা করার লক্ষ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতা কামনা করেন।

ড. রাশেদ গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ উপজেলায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই কন্যা সন্তানের জনক।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop