২:০৬ পূর্বাহ্ন

রবিবার, ২৪ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুলাই ৯, ২০২৩ ১:০১ অপরাহ্ন
কবুতর রোগাক্রান্ত হলে যা করবেন
পাঁচমিশালি

গ্রামের পাশাপাশি এখন শহরেও অনেকেই কবুতর পালন করে। শখের সাথে সাথে এটি এখন বাণিজ্যিকভাবে লালন করছেন অনেকে। তবে কবুতর পালন করতে গিয়ে শুরুতেই অনেকে ভুল করে ফেলেন। যার ফলে প্রত্যাশিত সফলতা লাভ করতে পারেন না। তাই কবুতর পালনের প্রাথমিক বিষয়গুলো জেনে নিতে হবে।

একটা বিষয় লক্ষ্য করে দেখা গেছে যারা কবুতর পালন করেন তারা প্রাথমিক অবস্থায় এর রোগ এবং তার প্রতিকার সম্পর্কে খুব একটা জ্ঞান রাখেন না। অথচ সামান্য একটু বিচক্ষণতার পরিচয় দিলে আপনি নিজের প্রিয় কবুতরটিকে রোগে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা দিয়ে সারিয়ে তুলতে পারেন।

কবুতর রোগাক্রান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে স্যালাইন (ইলেক্ট্রোমিন) এবং রাইস স্যালাইন (কলেরা রোগের চিকিৎসায় ব্যবহারযোগ্য যেকোন রাইস স্যালাইন) এই দুটি ওষুধ খাওয়াতে হবে। এগুলো খুবই স্বল্প মূল্যের সাধারণ ঔষধ। এতে কবুতর দ্রুত সেরে উঠবে। কবুতর পালনের প্রথম দিন থেকেই, কবুতরের সঙ্গী হিসেবে এই দুটি জিনিস বাড়িতে নিয়ে আসা উচিত।

কবুতরের ড্রপিংস পাতলা হলে, খাবার হজম না হলে, কবুতর না খেলে, বা খাবারের পর বমি করে খাবার ফেলে দিলে এবং এর সঙ্গে যখন তার মাঝে ঝিমুনির ভাব দেখা দেবে তখন রোগ সনাক্ত করে চিকিৎসার জন্য চেষ্টার শুরুতে কবুতরকে রাইস স্যালাইন খাইয়ে দিয়ে হবে।
অসুস্থতা দেখা দিলেই আগে আপনার কবুতরকে খাবার দিতে হবে। কবুতরের পানি শূন্যতা যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। খাবার পেলে কবুতর রোগের বিরুদ্ধে টিকে থাকবার জন্য হলেও শক্তি পাবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৫, ২০২৩ ৩:৩৭ অপরাহ্ন
ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগরের পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত
পাঁচমিশালি

ছোট ছোট অনিয়ম ও জবাদিহিতাহীন কর্মকান্ড একট সময় মহীরুহ হিসাবে আর্বিভুত হয়

 
নিয়ম শৃংখলাবিহীন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা কর্মকান্ড যেমন একটা সময় বিশাল অনিয়মের পাহাড়ে পরিনত হয়। আজকে যারা ব্যাংক লুট করছে, দুর্নীতিতে জড়িয়ে আছে, তারা ছোট ছোট অনিয়ম ও নিয়মশৃংখলাবিহীন কর্মকান্ড করে শেষ পর্যায়ে বড় অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন। ঠিক একই ভাবে একটা সময় চিনি, সয়াবিন তেল এ কিছু ব্যবসায়ী কারসাজি করতো। যখন তাদের বিরুদ্ধে সরকার কোন ব্যবস্থার পরিবর্তে পুরস্কৃত করছে, তখন পুরো দেশের ছোট বড় সর্বস্তরের ব্যবসায়ীরা কারসাজি ও অতিমুনাফায় লিপ্ত হয়েছে। যার কারনে কভিড, ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ ও কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে ১০ টাকার সাবান ১৫ টাকা, ৫০ টাকার টুথপেস্ট ১০০ টাকায়, ৩০ টাকার পেয়াঁজ বিনা কারনে ১০০ টাকায় বিক্রি করছে। আর এভাবে সব খাদ্য পণ্যে অতি মুনাফা যেন জাতীয় মহামারী রোগে পরিনত হয়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় নেই এমন পণ্য মেলা ভার এবং সর্বশেষ কাগজ-কলম ও সেখানে যুক্ত হলো। আর দেশের ১৮ কোটি মানুষ  এসমস্ত অন্যায়, অবিচারকে নিরবে মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে অসাধু ব্যবসায়ীসহ মূল্য সন্ত্রাসীরা আরও বেপরোয় হয়ে যাচ্ছে। আবার সরকার তাদেরকে মন্ত্রী, এমপি ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা বানিয়ে পুরস্কৃত করছে। তাই এখন সময় এসেছে এসমস্ত অনিয়ম ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা। তা না হলে এ সংক্রামক ব্যাধি পুরো রাস্ট্র, সমাজ, পারিবারিক বন্ধনসহ সবকিছুকে চুুর্ন বিচুর্ন করে দিবে। আর এই আন্দোলনে যুব সমাজকে সংগঠিত হয়ে নেতৃত্ব প্রদান করতে হবে। ২৪ জুন ২০২৩ইং নগরীর একটি রেস্টোরেন্ট এ কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগরের এর উদ্যোগে আয়োজিত পরিকল্পনা সভায় বিভিন্ন বক্তাগন উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

ক্যাব যুব গ্রুপের চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আবু হানিফ নোমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পরিকল্পনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন। অতিথি আলোচক ছিলেন ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও বিশিষ্ঠ সাংবাদিক এম নাসিরুল হক, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারন সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু। আলোচনায় অংশনেন ক্যাব সদরঘাটের সভাপতি শাহীন চৌধুরী, ক্যাব চান্দগাঁও থানা সভাপতি জানে আলম, সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ ইসমাইল ফারুকী, ক্যাব পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক একেএম হুমায়ুন কবির, ক্যাব যুব গ্রুপের যুগ্ন সম্পাদক আমজাদুল হক আয়াজ, সহ-সাংগঠনিক মহাম্মদ মিশকাত, সহ-অর্থ সম্পাদক ইব্রাহিম ফারুক, আইন সম্পাদক মিনা আকতার, প্রচার সম্পাদক এমদাদুল ইসলাম, মোহাম্মদ করিমুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাব যুব গ্রুপের ফজলে রাব্বি তৌহিদ, তুষার চৌধুরী, ক্যাব যুব গ্রæপের সদস্য ওমর করিম, মুহাম্মদ রায়হান, তানিয়া সুলতানা প্রমুখ।

সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা হয় কিছু করপোরেট গ্রুপ গুলো করপোরেট সোস্যাল রেসপনসিবিলিটির (সিএসআর) নামে নানা ভাবে লোক দেখানো ও পত্রিকা-মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার করে দান খয়রাত করলেও আবার ভোক্তার পকেট কেটে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে নিচ্ছেন। বিজ্ঞাপন ও অনুষ্ঠান পুষ্টপোষকতার অস্ত্র ব্যবহার করে করপোরেট গ্রুপগুলো গণমাধ্যমের মুখ বন্ধ করে নানা অপকর্ম করে যাচ্ছেন। সমাজের অপরাধ, অনিয়ম ও সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজীতে যুক্তরা সুসংগঠিত আর তথাকথিত ভালো মানুষগুলো অসংগঠিত। আর এ সুযোগে গুটিকয়েক দুষ্ঠু লোক পুরো সমাজকে কুলষিত ও নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের হাতে এখন সমাজ, রাজনীতি ও ব্যবসা বানিজ্যসহ সকল ক্ষমতার কাঠামো। মেধাবীরা অবমূল্যায়িত হয়ে দেশ বিমুখ হয়ে দেশের পেশার পেশা ছেড়ে বিদেশ পাড়ি দিচ্ছে।

বক্তাগন আরও বলেন, একটা সময় খাদ্যে ভেজাল, মানহীন খাবার বিক্রি হতো, এখন জীবনরক্ষাকারী ওষুধ থেকে শুরু করে সব ধরণের খাদ্য-পণ্যও ভেজালের সংখ্যা বাড়ছে। খাদ্য-পণ্যের দাম বাড়লে একটা সময় রাজনৈতিক দলগুলো এগিয়ে আসতেন, এখন ভোটের মাঠে ছাড়া অন্য জায়গায় রাজনৈতিক নেতাদের দেখা পাওয়া যায় না। একদিকে খাদ্য-পণ্যে ভেজাল, বাজারে মানহীন পণ্যের ছড়াছড়ি, অন্যদিকে মজুতদারি ও সিন্ডিকেট করে প্রতিটি খাদ্য-পণ্যের বাজারে আগুন দিয়ে মানুষের পকেট কাটছে একশ্রেণীর মূল্য সন্ত্রাসী। ফলে মানুষ জীবন জীবিকা মারাত্মক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন। আয়ের বৈষম্য চরমভাবে বেড়েছে, সংসার চালাতে না পেরে অনৈতিক পন্থার অবলম্বন যেন নিয়তিতে পরিনত হয়েছে। এ অবস্থা চলমান থাকলে সমাজে অস্থিরতা, অসন্তোষ ও সহিংষতার প্রকোপ বাড়তে পারে যা পুরো সমাজ ব্যবস্থায় চরম বিশৃংখলা তৈরী করতে পারে।

সভায় ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগরের কার্যক্রম বাড়ানো, সমাজ পরিবর্তনে আগ্রহী যুবদের সম্পৃক্ত করতে নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহন, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে কমিটি গঠনসহ নানা সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১৩, ২০২৩ ২:০৪ অপরাহ্ন
আগামী ৭ মে থেকে খাদ্যশস্য সংগ্রহ করা শুরু করবে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

চলতি বোরো মৌসুমে ৩০ টাকা কেজি দরে ৪ লাখ মেট্রিক টন ধান, ৪৪ টাকা কেজি দরে সাড়ে ১২ লক্ষ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল এবং ৩৫ টাকা কেজি দরে ১ লাখ মেট্রিক টন গম কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

আগামী ৭ মে  থেকে শুরু হয়ে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে খাদ্যশস্য সংগ্রহ।

বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে খাদ্য পরিধারন কমিটির বৈঠক শেষে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এ কথা জানান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৭, ২০২৩ ৭:০০ অপরাহ্ন
“রোটার‍্যাক্ট ক্লাব অব ঢাকা মিড সিটি গ্রীন”-এর উদ্যোগে এতিমখানার শিশুদের মাঝে ঈদ উপহার ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
পাঁচমিশালি

রোটার‍্যাক্ট ক্লাব অব ঢাকা মিড সিটি গ্রীনের উদ্যোগে এতিমখানার শিশুদের মাঝে ঈদ উপহার হিসেবে নতুন পাঞ্জাবি ও পাজামা এবং প্রতিটি শিশুদের হাতে এক শত টাকার নতুন নোট তুলে দেওয়া হয়। এছাড়াও প্রতিটি শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ হিসেবে খাতা ও কলম প্রদান করা হয়। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালাল বাজার ইউনিয়নের অন্তর্গত বড়পীর হযরত আবদুল কাদের জিলানী (র:) এতিমখানায় ৭৮ জন শিশুর মাঝে ঈদ উপহার ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রোটার‍্যাক্ট ক্লাব অব ঢাকা মিড সিটি গ্রীনের সাবেক সভাপতি ও প্রোগ্রাম চেয়ারম্যান রোটার‍্যাক্টর আবদুর রহমান (রাফি), বর্তমান সভাপতি রোটার‍্যাক্টর মোঃ আরিফুর রহমান, সার্ভিস প্রোজেক্ট ডিরেক্টর রোটার‍্যাক্টর আবুল হাসনাত, রোটার‍্যাক্টর তন্ময় দত্ত, রোটার‍্যাক্টর অভিজিৎ দাস এবং রোটার‍্যাক্টর আনাস বিন সোলায়মান। রোটার‍্যাক্টর আবদুর রহমান (রাফি) বলেন, “আমরা আমাদের স্পন্সর ক্লাব “রোটারি ক্লাব অব ঢাকা মিড সিটি” এর রোটারিয়ানবৃন্দের সহযোগিতায় এবং আমাদের ক্লাব “রোটার‍্যাক্ট ক্লাব অব ঢাকা মিড সিটি গ্রীন” এর সদস্যদের সহযোগিতায় এ মহৎ কাজটি সম্পন্ন করতে পেরেছি। এছাড়াও, আমাদের এ কাজে ব্যক্তি উদ্যোগে অনেকেই সহযোগিতা করেছেন। আমি সকলকেই আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আল্লাহ সকলের দানকে কবুল করে নিক। আমি রোটার‍্যাক্ট জেলা ৩২৮১ এর ডিআরআর কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমাদের এ আয়োজনে যুক্ত থাকার জন্য।”

গরীব ও অসহায়দের মাঝে ঈদ আনন্দ ছড়িয়ে দিতে গতবছর প্রথমবারের মতো “ঈদের খুশি” নামে এ ধরনের কার্যক্রম শুরু করে রোটার‍্যাক্ট ক্লাব অব ঢাকা মিড সিটি গ্রীন। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছর “ঈদের খুশি” নামে দ্বিতীয়বারের মতো এ ধরনের আয়োজন করেছে ক্লাবটি। ভবিষ্যতে প্রতি বছর রমজান মাসে এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার পরিকল্পনার কথা জানায় ক্লাবটি।

উল্লেখ্য, রোটারি ইন্টারন্যাশনালের একটি অঙ্গসংগঠন, যেটি সারা বিশ্বব্যাপী তরুণদের নিয়ে গঠিত হয় তা হলো “রোটার‍্যাক্ট ক্লাব”। “রোটার‍্যাক্ট ক্লাব অব ঢাকা মিড সিটি গ্রীন” রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট ৩২৮১ বাংলাদেশ এর অন্তর্গত একটি ক্লাব।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২০, ২০২৩ ৮:৫৬ অপরাহ্ন
নীলফামারীর সৈয়দপুরে আবাসিক এলাকায় লাল তালিকাভূক্ত কারখানা স্থাপন, এলাকাবাসী আতঙ্কগ্রস্থ
পাঁচমিশালি

নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরের কামারপুকুর কলাবাগান নামক স্থানে শ্যামলী সিমেন্ট সীট মিলস্ লিঃ নামে একটি সিমেন্ট সীট উৎপাদনকারী কারখানা স্থাপিত হয়েছে। কারখানাটি পরিবেশের বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে লাল তালিকা হওয়া সত্বেও সম্পূর্ন একটি আবাসিক এলাকায় স্থাপিত হয়েছে। বিশ্বের আর কোন দেশে লাল তালিকাভূক্ত কারখানা আবাসিক এলাকায় স্থাপনের নজির নাই। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। এলাকাবাসী এ বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের নিকট কথা বলতে চাইলে তারা অসম্মতি প্রকাশ করেন। তাছাড়াও পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়া মিল চালানো হচ্ছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ জানান। কারখানার মালিকপক্ষ এতই প্রভাবশালী যে, কোন প্রকার নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে হাজার হাজার এলাকাবাসির জীবনের হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছেন । উক্ত আবাসিক এলাকার নিরীহ বাসিন্দারা উক্ত কারখানা মালিক কর্তৃপক্ষের কাছে জিম্মী হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বললে তারা জানান পরিবেশ আইন অনুযায়ী লাল তালিকাভূক্ত কারখানা শ্যামলী সিমেন্ট সীট মিলস্ লিঃ বন্ধ করে অতিসত্ত্বর আবাসিক এলাকা হতে অন্যত্র স্থানান্তর করা অত্যন্ত জরুরী। অন্যথায় কারখানাটির কারনে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয় ঘটতে পারে। সিমেন্ট সীট এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট এর সাথে উক্ত বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান যে, লাল তালিকাভূক্ত কারখানা আবাসিক এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে বিধায় উহা অবৈধ স্থাপনা হিসেবে গন্য হওয়ায় শ্যামলী সিমেন্ট সীট মিলস্ লিঃ-কে সিমেন্ট সীট এসোসিয়েশন এর সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি। আতঙ্কগ্রস্থ এলাকাবাসী উক্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারী দপ্তর/কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৯, ২০২৩ ১১:২৮ অপরাহ্ন
মাদক সেবনে বাধা দেয়ায় ৩০০ মাল্টা গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা
কৃষি বিভাগ

ফলবাগানে মাদকসেবনে বাধা দেয়ায় রাতের আধাঁরে কেটে ফেলা হয়েছে ফল ধরা প্রায় ৩০০ মাল্টা গাছ। এ ঘটনায় বাগানমালিক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ঘটনাটি গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে ফরিদপুর পৌরসভার বর্ধিত ৩নং ওয়ার্ডের কোমরপুরে ঘটেছে। এতে প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ওই বাগান মালিক।

ক্ষতিগ্রস্ত বাগান মালিক মেজবাউর রহমান অভিযোগ করেন, বখাটেরা রাতের আঁধারে বাগানের চৌকি ঘরে ঢুকে মাদক সেবন করতো। বিষয়টি জানতে পেরে তিনি তাদের বাগান থেকে বের করে দিলে তারা দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। এরপর সকালে বাগানে গিয়ে গাছগুলো কেটে ফেলা অবস্থায় দেখতে পান।

এ ঘটনায় প্রায় তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মেজবাউর জানান। গাছগুলো দুই বছর আগের লাগানো। সেগুলোতে ফুল এসেছিলো। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত মারুফ ও ওহিদুজ্জামান নামে দুজনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার এস আই ফাহিম জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২৯, ২০২৩ ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন
‘মুক্ত করো রুদ্ধ চেতন’গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
পাঁচমিশালি

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু:

পিদিম ফাউন্ডেশনের প্রশিক্ষণ রুমে শনিবার (২৮ জানুয়ারি ২০২৩)লেখক এডভিন বরুন ব্যানার্জী রচিত ‘মুক্ত করো রুদ্ধ চেতন’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

শনিবার (২৮ জানুয়ারি) পিদিম ফাউন্ডেশনের প্রশিক্ষণ রুমে এটি উন্মোচন করা হয়।

মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত, প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক, বাংলা একাডেমির সভাপতি, সেলিনা হোসেন। উইং কমান্ডার (অব.) খ্রীষ্টফার অধিকারী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গবেষক, বাংলা একাডেমির উপ-পরিচালক ড. তপন বাগচী। অনুষ্ঠানে “মুক্ত করো রুদ্ধ চেতন” বইয়ের লেখক স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

বক্তব্যে তিনি সমসাময়িক বিষয়াবলি কীভাবে তাঁকে আন্দোলিত করেছে এবং বই লেখার পিছনে প্রেরণা যুগিয়েছে তা চমৎকার ভাবে তুলে ধরেন। বইটি লিখতে যাঁরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রেরণা দিয়েছেন এবং সুন্দর সুন্দর মতামত দিয়ে সহযোগিতা করেছেন তাঁদের প্রত্যেকের প্রতি তিনি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

বিশেষ বক্তা সিসিডিবি’র নির্বাহী পরিচালক, জুলিয়েট কেয়া মালাকার তাঁর বক্তব্যে লেখকের সমসাময়িক বিষয়াবলির উপর বিশদ জ্ঞানের ভূয়সী প্রসংশা করেন। তিনি বলেন, বইটিতে যে বিষয়গুলোর উপর আলোকপাত করা হয়েছে তা নি:সন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। বইটি পড়ে পাঠক,পাঠক সমাজ এবং সর্বোপরি সমাজ উপকৃত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সংক্ষিপ্ত আলোচনায় গ্রন্থ আলোচক লেখক ও এনজিও কর্মী ড. ফ্লোরেন্স লিপিকা সমাদ্দার বলেন, বইটিতে লেখক তাঁর লেখনি দিয়ে বহুমুখী প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। বইটি নতুন পাঠকদের কাছে আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করবে। গ্রন্থ আলোচক, লেখক ও লিটল ম্যাগ সম্পাদক, মি. আহমেদ ফয়েজ বলেন, লেখক তাঁর লেখনী দিয়ে সমাজ,ধর্ম ও রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন বিষয়গুলোকে যেভাবে পাঠক সমাজের কাছে তুলে ধরেছেন, তা তাঁর গভীর জ্ঞান ও শিল্পকর্মের-ই বহি:প্রকাশ। পাঠক বই-টি পড়ে নানা উপজীব্য খুঁজে পাবে। যা তাকে জ্ঞান অন্বেষণের ক্ষুধা মিটাবে।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন লেখক রঞ্জনা বিশ্বাস, মি. জুলিয়াস অধিকারী, রেভারেন্ড মিলিতা দাস প্রমূখ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. তপন বাগচী বলেন, লেখক সমসাময়িক বিষয়াবলি তাঁর লেখনী দিয়ে সাবলীল ভাবে তুলে ধরেছেন। বইটিতে একই সাথে সমাজ,ধর্ম ও রাষ্ট্রীয় নানা বিষয় প্রতিফলিত হয়েছে। সুন্দর সুন্দর উপমা এবং যুক্তি দিয়ে তাঁর লেখনীকে সমৃদ্ধ করেছেন। লেখক যে একজন ভালো পাঠক বইটিতে তারও প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠেছে। তিনি লেখককে আরো ভালো বই উপহার দেয়ার আহ্বান জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেলিনা হোসেন বলেন, লেখক “মুক্ত করো রুদ্ধ চেতন”বইয়ের মাধ্যমে আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় বিদ্যমান মূল্যবোধের উপর আঘাত করেছেন। যেন সমাজে পরিবর্তন আসে। এ বইটি পাঠকের নিকট দিকনির্দেশনা হিসাবে কাজ করবে। লেখক তাঁর লেখনী দিয়ে আমাদের মাঝে মহাদিগন্তের দ্বার উন্মোচন করেছেন। যারা পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য রাজনীতি করেন তাঁরা যদি বইয়ের ভাবনাকে সমাজের মানুষের কাছে নিয়ে যান তাহলে আমাদের দেশ একটি মহান দেশে পরিনত হবে। লেখকের বিচিত্রমূখী চিন্তা ভাবনা পাঠকের কাছে ভিন্নমাত্রা যোগ করবে। আমরা সবাই বইটি পড়ে সৎ পথে চলব অন্যকেও সে পথে চলতে উৎসাহিত করব।
সভাপতির বক্তব্যে উইং কমান্ডার (অব.) খ্রীষ্টফার অধিকারী বলেন, বইটিতে লেখক সমাজ পরিবর্তনের যে ডাক দিয়েছেন তা সত্যিই একটি সাহসী পদক্ষেপ। বইটিতে পৌরাণিক ভাষার পাশাপাশি আধুনিক ভাষার চমৎকার মেলবন্ধন খুঁজে পাওয়া যায়।

সমাপনী বক্তব্যে জনাব মোঃ হুমায়ুন কবীর সেলিম (সিনিয়র পরিচালক, কার্যক্রম, পিদিম ফাউন্ডেশন) বলেন, বইটিতে লেখক তাঁর লেখনি দিয়ে সমাজ, ধর্ম এবং রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন বিষাবলীর উপর যুগোপযোগী এবং যুগান্তকারী ভাববিনিময় করেছেন তা নিঃসন্দেহে প্রশংনীয়। বই-টি পড়ে নতুন পাঠকদের মধ্যে সাহিত্য চর্চাবোধ জেগে ওঠবে।

অনুষ্ঠানের সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন জনাব মোঃ শফিউল্লাহ শোভন, সিনিয়র পরিচালক (এন্টারপ্রাইজ, প্রশাসন ও মনিটরিং) পিদিম ফাউন্ডেশন। মোড়ক উন্মোচন
অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন, জয়েস তিথি, উপ-পরিচালক (মানবসম্পদ ও আরটিডি) এবং সোমা সরকার, সহকারী পরিচালক (অর্থ), পিদিম ফাউন্ডেশন ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ৮, ২০২৩ ৬:৩৬ অপরাহ্ন
বিআরবিডি’র “ল্যাটেক্স উইথ ওভারলিফ” শীর্ষক ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত
পাঁচমিশালি

বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে গবেষণাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে দুই বছরের অধিক সময় ধরে নানা আঙ্গিকে অবদান রেখে যাচ্ছে “গবেষক হতে চাই :: Be Researcher BD (BRBD)’ প্লাটফর্মটি। অলাভজনক এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক ও টেকসই উন্নয়নসহ সকল বিষয়ের ওপর গবেষণাধর্মী কর্মসম্পাদনে সহায়তা করে আসছে । গবেষণা বিষয়ক বিভিন্ন বিষয়গুলোকে সবার কাছে সহজ করে তোলার জন‍্য প্লাটফর্মটি ইতোমধ্যে বেশ কিছু ফ্রি কোর্স, ট্রেনিং, ওয়েবিনার/সেমিনার, ওয়ার্কশপ, লাইভ আলোচনা, ইত্যাদি-র আয়োজন করেছে। গবেষণা বিষয়ক এসব কার্যক্রমসমুহের গ্রহণযোগ্যতা আকাশচুম্বী; যা শিক্ষক-শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন গবেষকদের মাঝে ব‍্যাপক সাড়া ফেলেছে। শিক্ষার্থীদের ব‍্যাপক আগ্রহ এবং চাহিদার কথা বিবেচনা করে প্লাটফর্মটির পক্ষ হতে ‘LaTex with Overleaf’ শীর্ষক ফ্রি ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়েছে। এই ওয়ার্কশপের মূল উদ্দেশ্য হল গবেষকদের তাদের বৈজ্ঞানিক লেখায় পরিপূর্ণতা আনতে সহায়তা করা। LaTeX একটি উচ্চ-মানের টাইপসেটিং সিস্টেম; এটি প্রযুক্তিগত এবং বৈজ্ঞানিক ডকুমেন্ট তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় টুলস ও ফাংশনের সুবিধা দিয়ে থাকে। খুব সহজেই মানসম্মত আর্টিকেল তৈরিতে LaTeX -এর বিকল্প নাই।
বিআরবিডি’র “ল্যাটেক্স উইথ ওভারলিফ” শীর্ষক ফ্রি ওয়ার্কশপ
ওয়ার্কশপ চলাকালীন সময়ে একাংশ
আমেরিকা, চীন, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের প্রায় ৩০ টি বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বাংলাভাষাভাষী শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও গবেষকগণ উক্ত ওয়ার্কশপে রেজিষ্ট্রেশন করে। একটি অনলাইন কুইজের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে রেজিষ্ট্রেশনকৃত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে চূড়ান্ত অংশগ্রণকারী বাছাই করা হয় (লিস্টঃ https://tinyurl.com/brbd-latex-registered-list)। কুইজের সিলেবাস ছিল বিশ্ববিখ্যাত গবেষক অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমানের “High Impact Paper Writing Guidelines”-শীর্ষক লেকচার সিরিজটি।
আজ ৭ জানুয়ারি ২০২৩ ইং তারিখে জুম প্ল‍্যাটফর্মের মাধ‍্যমে ভার্চুয়ালি ‘LaTex with Overleaf’ ওয়ার্কশপটি সম্পন্ন হয়।  সকাল ১০:০০ টা থেকে শুরু হয়ে দুটি ধাপে প্রায় ৪ ঘন্টার অধিক সময় ধরে অনুষ্ঠিত এই ওয়ার্কশপটিতে রিসোর্স পার্সন হিসেবে ছিলেন আশীষ পন্ডিত (গবেষক  ও জুনিয়র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, ডাইনামিক সলুশন ইনোভেটরস (DSi))। ওয়ার্কশপে Guest of Honor  হিসেবে ছিলেন BRBD-এর স্বপ্নদ্রষ্টা ও এই ওয়ার্কশপের সম্মানিত মেন্টর, চট্রগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব মোঃ ছাবির হোসাইন। শিক্ষার্থীদের গবেষণায় উৎসাহ প্রদান, ওয়ার্কশপলব্ধ জ্ঞান গবেষণা কাজে লাগানো, প্ল্যাটফর্মটির নানাদিক তুলে ধরেন। প্রশ্ন-উওর পর্ব শেষে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘোষণা করেন তিনি। ওয়ার্কশপটি পরিচালনা করে BRBD প্ল্যাটফর্মের ক্যাম্পাস রিসার্চ অ্যাম্বাসেডর, জনাব মোঃ রিফাত হোসেন (শিক্ষার্থী-আন্ডারগ্র্যাড, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর)। এই ওয়ার্কশপের কো-অরডিনেটর হিসেবে ছিল সাদিয়া কারিমুন (লিডার, ক্রিয়েটিভ কন্টেন্ট ক্রিয়েশন টিম, বিআরবিডি)। অনুষ্ঠান আয়োজনে সহযোগিতা করেছে মহিন উদ্দিন (৪র্থ বর্ষ, গণিত বিভাগ, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ)।
ওয়ার্কশপের রিসোর্স পার্সোন ও মেন্টর-এর বরাতে জানা যায়, যারা সরাসরি অংশগ্রহণ করতে পারেনি তাদের জন‍্য ওয়ার্কশপের লেকচারটি কয়েকটি খন্ডে BRBD-এর ইউটিউব চ্যানেলে “LATEX with Overleaf Workshop”-নামক প্লেলিষ্ট আকারে সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ওয়ার্কশপ সংক্রান্ত সকল তথ্য জানা যাবে BRBD–এর ফেসবুক পেজ, গ্রুপ, লিংকডইন ও চ্যানেল থেকে। গবেষণা, প্রকাশণা ও উচ্চ-শিক্ষাবিষয়ক যেকোন ধরনের তথ‍্য জানতে যোগাযোগ করতে পারেন তাদের ইমেইলে ([email protected])।
শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৬, ২০২২ ৮:৫৯ অপরাহ্ন
১৫০০ হাজার মাছ সমৃদ্ধ বার্লিনের বিশাল অ্যাকুরিয়াম বিস্ফোরিত
পাঁচমিশালি

বার্লিনের রেডিসন ব্লু হোটেলের লবিতে এক মিলিয়ন লিটার জল ধারণকারী একটি বিশাল অ্যাকুরিয়াম ফেটে গেছে, প্লাবিত হয়েছে হোটেল এবং আশেপাশের রাস্তা।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অ্যাকোয়াডম’ নামের এই দৈত্যাকার অ্যাকুরিয়ামটিতে ১ হাজার ৫০০টি মাছ ছিল। এর উচ্চতা ৪৬ ফুট এবং এটিকে বিশ্বের বৃহত্তম ফ্রি-স্ট্যান্ডিং নলাকার অ্যাকুরিয়াম হিসেবে বর্ণনা করা হতো। এর মধ্যে ১০০টির বেশি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ছিল।

পুলিশ বলেছে, বিস্ফোরিত হওয়ায় ‘অবিশ্বাস্য সামুদ্রিক ক্ষতি’ হয়েছে এবং কাঁচের টুকরোর কারণে দুইজন আহত হয়েছে। ভাঙনের ধ্বংসাবশেষও ভবনের সামনের রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, যা প্লাবিত হওয়ার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। অতিথিদের হোটেল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

অ্যাকোয়ারিয়ামটি দুই বছর আগে আধুনিকীকরণ করা হয়েছিল এবং দর্শনার্থীদের ব্যবহারের জন্য ভিতরে একটি পরিষ্কার-প্রাচীরের লিফট তৈরি করা হয়েছে।

বার্লিনের ফায়ার ব্রিগেড জানিয়েছে শতাধিক অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন এবং কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে তা স্পষ্ট নয়।

পুলিশ বলেছে, ‘বিশাল পরিমাণে’ জল কাছাকাছি রাস্তায় প্রবাহিত হচ্ছে এবং এলাকার লোকদের সাবধানে গাড়ি চালানো উচিত।

অ্যাকুয়াডমটি ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে খোলা হয়েছিল এবং বিশ্বের বৃহত্তম নলাকার অ্যাকুরিয়াম হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা করে নিয়েছে। এটি নির্মাণের সময় রিপোর্ট অনুযায়ী প্রায় ১২.৮ মিলিয়ন ইউরো খরচ হয়েছিল।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৫, ২০২২ ৮:৫৪ অপরাহ্ন
পিদিম ফাউন্ডেশন আয়োজিত সেবার মান উন্নয়ন এবং ঝুঁকি মোকাবিলা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত 
পাঁচমিশালি

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: পিদিম ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে ‘সেবার মান উন্নয়ন এবং ঝুঁকি মোকাবেলার সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক গড়ে-তোলা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) পিদিম ফাউন্ডেশনের সেমিনার রুমে অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটি (এমআরএ) এর এক্স্রিকিউটিভ ভাইস-চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) মোঃ ফসিউল্লাহ্, পিদিম ফাউন্ডেশন এর সভাপতি শেখ ইমরান কিবরীয়া এর সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চেয়ারম্যান,সিডিএফ ও নির্বাহী পরিচালক পপি জনাব মি. মুর্শেদ আলম সরকার, নির্বাহী পরিচালক, সিডিএফ ও চেয়ারম্যান সাউথ এশিয়া মাইক্রো এন্টারপ্রেনারস নেটওয়াক মোঃ আব্দুল আউয়াল, এবং প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল অ্যাডভাইজার, অন্তর মোঃ ইমরানুল হক চৌধুরী।

সেমিনারে মূল প্রবদ্ধ উপস্থাপন করেন, প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক, পিদিম ফাউন্ডেশন এডভিন বরুন ব্যানার্জী।

জয়েস তিথি , সহকারী পরিচালক, আরটিডি সেল এবং তারিক সাঈদ হারুন, পরিচালক ( কোর প্রোগ্রাম) , কোস্ট ফাউন্ডেশন সঞ্চলনায় সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন হুমায়ুন কবীর সেলিম ( সিনিয়র পরিচালক,কার্যক্রম, পিদিম ফাউন্ডেশন), মোঃ শফিউল্লাহ শোভন, সিনিয়র পরিচালক ( মানব সম্পদ, প্রশাসন ও অডিট) পিদিম ফাউন্ডেশন প্রমুখ।

এছাড়া এসময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মোঃ ফসিউল্লাহ, পিদিম ভবনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন করেন এবং এর বিভিন্ন দিক ঘুরে দেখেন। পিদিম ফাউন্ডেশনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্নারের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং পিদিম ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহযোগিতায় অস্বচছল এবং মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে “বঙ্গবন্ধু উচ্চশিক্ষা বৃত্তি”র চেক প্রদান করা হয়েছে। এ বৃত্তির আওতায় প্রতি শিক্ষার্থী তাদের স্নাতকোত্তর পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে মাসে ৫ হাজার টাকা হারে শিক্ষাবৃত্তি পাবেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ ফসিউল্লাহ্ বলেন, ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠাণগুলো ঋণের বাইরে নানাবিধ সামাজিক ইস্যু নিয়ে কাজ করে সরকারকে নানাভাবে সহযোগিতা করছে। এ সেক্টরের সাথে প্রায় ৩ কোটি উপকারভোগী। যার অধিকাংশই নারী। জিপিতে এ খাতের অবদান প্রায় ২০ শতাংশ। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মো: আব্দুল আউয়াল বলেন, গরীব মানুষ আর্থিক সহযোগিতা চায় অনুদান নয়।

তিনি আরও বলেন, ক্ষুদ্রঋণের সা:চার্জ বাংলাদেশে বিশ্বের সবচাইতে। প্রতিবেশী দেশ ভারতে সা:চার্জ হচ্ছে ২৭ শতাংশ। তবে এ সেক্টরে আমরা আর্থিক কারিগরী এবং ডিজিটাইজেশনে এখনো পিছিয়ে আছি।

উক্ত সেমিনারে দেশের খ্যাতনামা ক্ষুদ্রঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৪০টি সংস্থার নির্বাহী পরিচালক এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ এবং আমন্ত্রিত অতিথিগণ অংশগ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop