১১:৫৬ অপরাহ্ন

শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৬, ২০২২ ১২:৫৭ অপরাহ্ন
রংপুর চিড়িয়াখানার একমাত্র বাঘিনী শাওনের মৃত্যু
প্রাণ ও প্রকৃতি

রংপুর চিড়িয়াখানার একমাত্র বাঘিনী ‘শাওন’ মারা গেছে। গত শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে খাঁচাবন্দি থাকা অবস্থায় বাঘটির মৃত্যু হয়। ফলে এখন বাঘশূন্য রংপুর চিড়িয়াাখানা।

শনিবার সন্ধ্যায় বাঘটি মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর আম্বর আলী তালুকদার।

তিনি বলেন, খাঁচায় একটি মাত্র বাঘিনী ছিল। এই বাঘিনীকে শাওন নামে ডাকা হতো। ২০১০ সালে রংপুর চিড়িয়াখানায় শাওনকে আনা হয়। এর জন্ম ২০০৩ সালের ৩০ জুন। বয়স হয়েছিলো ১৮ বছর সাত মাস। মৃত্যুর আগে কোনো রোগে আক্রান্ত ছিলো না।বাঘটি বার্ধক্যজনিত কারনে মারা গেছে।

তিনি আরও বলেন, বাঘটি বয়স বেশি হয়েছিল। বাঘ সাধারণত ১৫ থেকে ১৬ বছর পর্যন্ত বাঁচে। সে অনুযায়ী বার্ধক্যের কারণে বাঘিনীর মৃত্যু হয়েছে। গত ২৫ দিন ধরে তার খাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল এসে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর শুক্রবার রাতে ময়নাতদন্ত শেষে চিড়িয়াখানাতেই তার মরদেহ মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, ২০১২ সালে বাঘ সুলতান মারা যাওয়ার পর দীর্ঘসময় একাকিত্ব আরো তাকে নিসঙ্গতা এনে দেয়।

উল্লেখ্য সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে রংপুর নগরীর হনুমানতলা এলাকায় ১৯৮৯ সালে রংপুর চিড়িয়াখানাটি গড়ে ওঠে। এটি দর্শনার্থীদের জন্য ১৯৯২ সালে খুলে দেওয়া হয়। প্রায় ২২ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এই চিড়িয়াখানাটিতে ৩৩ প্রজাতির ২৬০টি প্রাণী রয়েছে। এরমধ্যে সিংহ, বাঘ, জলহস্তী, হরিণ, অজগর সাপ, ইমু পাখি, উটপাখি, বানর, কেশওয়ারি, গাধা, ঘোড়া, ভাল্লুক উল্লেখযোগ্য।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৪, ২০২২ ২:৩৩ অপরাহ্ন
সাফারি পার্কে জেব্রা ও বাঘের পর সিংহীর মৃত্যু
প্রাণ ও প্রকৃতি

গাজীপুরের শ্রীপুরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে জেব্রা আর বাঘের পর এবার একটি সিংহীর মৃত্যু হল।

বৃহস্পতিবার ১১ বছর বয়সী ওই আফ্রিকান সিংহীর মৃত্যু হয় বলে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা দীপংকর বর গণমাধ্যমকে জানান।

মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১১ অগাস্ট থেকে ওই সিংহী অসুস্থ ছিল। পেটের দিকে পানি জমে থলির মত ঝুলে থাকতে দেখা যায়।

মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানার সাবেক কিউরেটর ডা. এবিএম শহীদ উল্ল্যাহ এবং ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি টিচিং হাসপাতালের সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক রফিকুল আলমের পরামর্শে পার্কের ভেটেরিনারি অফিসার ওই সিংহের চিকিৎসা করছিলেন।

চিকিৎসকরা জানান, সিংহীটির বাঁ পায়ে সমস্যা দেখা দেয় এবং মুখ দিয়ে কয়েকবার রক্ত বের হয়। সে সময় শ্বাসকষ্টের লক্ষণও চোখে পড়ে। বুধবার বিকালে সিংহীটির কাঁপুনি শুরু হয়। পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান চেষ্টা করেও বাঁচাতে পারেননি প্রাণীটিকে।

উল্লেখ্য চলতি বছরের ২ জানুয়ারি থেকে ২৯ জানুয়ারির মধ্যে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে ১১টি জেব্রা ও একটি বাঘের মৃত্যু হয়েছে, যা নিয়ে পরিবেশবাদীরা এখনো নানা সমালোচনা করছেন।

আগের জেব্রাগুলোর মৃত্যুর জন্য প্রাণঘাতী ‘ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমণ ও নিজেদের মধ্যে মারামারিকে’ কারণ হিসেবে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করেছে পার্ক কর্তৃপক্ষ। তবে আরও তদন্ত করতে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

এ অবস্থায় ‘সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে’ গত ৩১জানুয়ারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী বন সংরক্ষক তবিবুর রহমান ও সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি অফিসার ডা. হাতেম সাজ্জাদ মো. জুলকারনাইনকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

পার্কের প্রকল্প পরিচালক জাহিদুল কবীরকে প্রত্যাহার করে ঢাকার বন সংরক্ষক মোল্যা রেজাউল করিম-কে তার নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে সাফারি পার্কের প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৩, ২০২২ ১২:০৬ অপরাহ্ন
জেব্রা’র মৃত্যুঃ এবার পদ হারালেন সাফারি পার্কের প্রকল্প পরিচালক
প্রাণ ও প্রকৃতি

জেব্রা’র মৃত্যুর ঘটনায় এবার গাজীপুরের শ্রীপুরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের প্রকল্প পরিচালক মো. জাহিদুল কবিরকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর স্থলে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চল, ঢাকা এর বন সংরক্ষক (চলতি দায়িত্ব) মোল্যা রেজাউল করিমকে।  

বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা-২ শাখার জারি করা এক প্রজ্ঞাপণে বন অধিদফতরের বাস্তবায়নাধীন “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক, গাজীপুর এর এ্যাপ্রোচ সড়ক প্রশস্তকরণ ও অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়ন (২য় সংশোধিত)” শীর্ষক প্রকল্পটির পরিচালক পরিবর্তনের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এর আগে সাফারি পার্কটিতে জেব্রা’র মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটন এবং দায়িত্বে অবহেলাকারীদের শনাক্তকরণের লক্ষ্যে গঠিত মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে বর্তমান কর্মকর্তাদের পরিবর্তনের পরামর্শ দেয়। তাঁর আলোকে ৩১ জানুয়ারি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারি বন সংরক্ষক তবিবুর রহমান এবং ভেটেরিনারি অফিসার ডা. হাতেম সাজ্জাদ মো. জুলকারনাইনকে প্রত্যাহার করে নতুন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২, ২০২২ ২:৩৬ অপরাহ্ন
সরাইলে বিরল প্রজাতির হিমালয়ান শকুন উদ্ধার
প্রাণ ও প্রকৃতি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে বিলুপ্ত প্রায় হিমালয়ান শকুন উদ্ধার করেছে কয়েকজন কিশোর। উদ্ধারের পর পাখিটিকে এক নজর দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় করে

উদ্ধারকৃত শকুনটিকে মঙ্গলবার (০১ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় হবিগঞ্জ জেলা বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ চেীধুরীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময়উপস্থিত ছিলেন বন বিভাগের ফরেস্টার তাপস ভর, টিপলু দেব ও স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশীদ প্রমূখ।

বন বিভাগের কর্মকর্তাদের ধারণা, বিশাল আকৃতির এই হিমালয়ান শকুনটি প্রচন্ড ঠান্ডাজনিত কারণে হিমালয়ের পাদদেশ থেকে উষ্ণ আবহাওয়ার সন্ধানে বাংলাদেশে ছুটে এসেছে।

স্থানীয় লোকজন জানায়, গত ৩০ জানুয়ারী উপজেলার সূর্যকান্দি গ্রামের ফসলী জমিতে শকুনটিকে দেখতে পেয়ে মাঠে খেলতে আসা শিশু-কিশোররা ঢিল মারতে মারতে পাখিটির পিছু পিছু ধাওয়া করে। অসুস্থতাজনিত কারণে শকুনটি উড়তে পারছিল না। এক পর্যায়ে ওই গ্রামের শেখ মো. মুবাশ্বির ও তার এক ছোট ভাই শেখ মো. রাফি শকুনটিকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে তারা বন বিভাগের সাথে যোগাযোগ করলে হবিগঞ্জ জেলা বন বিভাগ কর্মকর্তারা এসে শকুনটি নিয়ে যান।

হবিগঞ্জ জেলা বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ চেীধুরী বলেন, ফসলী মাঠ থেকে স্থানীয় কিশোররা শকুনটি উদ্ধার করে আমাদের অফিসে ফোনে যোগাযোগ করে। শকুনটি অসুস্থ রয়েছে বলে আকাশে উড়তে পারছে না। চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১, ২০২২ ৩:২১ অপরাহ্ন
লাউয়াছড়ায় খাওয়ার পানি সংকটে বন্যপ্রাণী
প্রাণ ও প্রকৃতি

নানা প্রজাতির বৃহদাকার গাছগাছালিতে ঘন সন্নিবেশিত থাকলেও গত তিন দশকে লাউয়াছড়া বনের ঘনত্ব অনেক কমে গেছে। দু’দশক আগেও শুষ্ক মৌসুমে ছড়া, খাল ও জলাধারে পানি ছিল। বনের ঘনত্ব কমে যাওয়ায় এখন আর পানি নেই।

বিশ্বের বিলুপ্তপ্রায় উল্লুকসহ বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণী, উদ্ভিদ ও বৃক্ষরাজি সমৃদ্ধ লাউয়াছড়া উদ্যানটিতে প্রাকৃতিক অনেক গাছ ক্রমাম্বয়ে বিলীন হয়ে যাওয়ায় শুষ্ক মৌসুমে বনের ছড়া ও খাল শুকিয়ে বন্যপ্রাণীর খাওয়ার পানি সংকট তীব্র হচ্ছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ও খাবারের জোগান না থাকার কারণে প্রাণীগুলো লোকালয়ে বেরিয়ে নানা সময়ে মৃত্যুমুখে পড়ছে।

স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক দশকে লাউয়াছড়া বনের ঘনত্ব অনেকটা হ্রাস পেয়েছে। এ বনের পুরোনো মূল্যবান গাছ উজাড় হয়েছে। শুকনো মৌসুমে খাল, ছড়া শুকিয়ে যাওয়ায় বন্যপ্রাণী খাওয়ার পানি সংকটে পড়ছে। খাবার ও পানির তৃষ্ণা মেটাতে বন্যপ্রাণী লোকালয়ে চলে আসছে। গাছ পাচার, মাগুরছড়া গ্যাস কূপ দুর্ঘটনা, বনের ভেতর দিয়ে রেল ও সড়ক পথ নির্মাণ, লেবু-আনারসবাগান স্থাপন, পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন, অত্যধিক দর্শনার্থীর বিচরণ ইত্যাদি কারণে অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে বন।

লাউয়াছড়া বনঘেঁষা মাগুরছড়া খাসিয়া পুঞ্জি প্রধান জিডিসন প্রধান সুচিয়ান ও লাউয়াছড়া পুঞ্জির বাসিন্দা সাজু মারজিয়াঙ বলেন, আজ থেকে ১৫- ২০ বছর আগেও শুকনো মৌসুমে এখানকার ছড়া ও খালে পানি থাকত। এখন পানি নেই। গাছ কাটার কারণেই এমনটা হচ্ছে বলে তারা দাবি করেন।

জিডিসন প্রধান সুচিয়ান আরো বলেন, ইতিপূর্বে লাউয়াছড়া সিএমসি কমিটিতে থাকাকালীন ছড়ার কিছু কিছু স্থানে ড্রেজিং করে পানি রাখার জন্যও প্রস্তাব করেছি। তবে সে ধরনের কোনো কাজ হয়নি।

লাউয়াছড়া বন্যপ্রাণী বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ১৯১৭ সালে আসাম সরকার কমলগঞ্জের পশ্চিম ভানুগাছের ১ হাজার ২৫০ হেক্টর এলাকাকে সংরক্ষিত বন হিসেবে ঘোষণা করে। পরবর্তী সময় ১৯২৩ ও ১৯২৫ সালে পর্যায়ক্রমে কালাছড়া ও চাউতলী এলাকাকে সংরক্ষিত বন ঘোষণা করা হয়। ১৯৯৬ সালে ১ হাজার ২৫০ হেক্টর এলাকাকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়। লাউয়াছড়ায় ৪৬০ প্রজাতির দুর্লভ উদ্ভিদ ও প্রাণীর মধ্যে ১৬৭ প্রজাতির উদ্ভিদ, ৪ প্রজাতির উভচর, ৬ প্রজাতির সরীসৃপ, ২৪৬ প্রজাতির পাখি এবং ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী রয়েছে। আয়তনে ছোট হলেও বিরল প্রজাতির প্রাণীর সংমিশ্রণে এ বনটি জাতীয় পর্যায়ে গুরুত্ব বহন করে।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের লাউয়াছড়া রেঞ্জের প্রাক্তন এক কর্মকর্তা বলেন, ৩৫ বছর আগেও লাউয়াছড়ায় যে বন ছিল সেটি এখন আর নেই। বন ফাঁকা হওয়ায় হুমকির মুখে পড়ছে জাতীয় উদ্যানের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য।

লাউয়াছড়া বনরেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বন্যপ্রাণীর খাওয়ার পানি সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, কিছু লেকে পানি আছে। তবে এগুলো শুষ্ক মৌসুমে বন্যপ্রাণীর জন্য পর্যাপ্ত নয়। খাবার ও পানির সংকট থাকার কারণেই নানা সময়ে অজগরসহ বিভিন্ন ধরনের প্রাণী লোকালয়ে বেরিয়ে পড়ে। সংবাদ পাওয়ার পর লোকালয় থেকে উদ্ধার করে লাউয়াছড়ায় আবার অবমুক্ত করা হয়।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, লাউয়াছড়া ও সাতছড়ি উদ্যানে পানির জন্য জলাধার তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। এ বছরই সুফল প্রজেক্ট থেকে দুটি উদ্যানে জলাধার তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বৃষ্টি ও গাছ কমে গেছে আর জনসংখ্যা বেড়ে গেছে। যে কারণে শুষ্ক মৌসুমে উদ্যানের ভেতর পানির কিছুটা সংকট থাকে। তবে পানি না পেলেও প্রাণী গাছের পাতা চিবিয়ে নেয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১, ২০২২ ১২:১০ অপরাহ্ন
জেব্রার মৃত্যু নাইট্রেট ব্যাকটেরিয়ায়
প্রাণ ও প্রকৃতি

গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে ১১টি জেব্রা ও একটি বাঘের মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় চলছে। একসঙ্গে এত প্রাণীর মৃত্যুতে উদ্বিগ্ন সংশ্নিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারাও। এ নিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় দফায় দফায় বৈঠক করছে। মাঠে কাজ করছে তদন্ত কমিটি। এমন উৎকণ্ঠার মাঝে জেব্রার খাবারের একটি নমুনায় মিলেছে বিষাক্ত রাসায়নিকের প্রমাণ। ফলে কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, সাফারি পার্কে আরও জেব্রার পাশাপাশি অন্য প্রাণীও মারা যেতে পারে।

১১টি জেব্রা মারা যাওয়ার পর আরও একটি খুঁড়িয়ে হাঁটছে। ক্রমশ নির্জীব হয়ে পড়ছে। তবে বাকি প্রাণীগুলোকে সুস্থ রাখতে বিশেষজ্ঞ দল তৎপর। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ঘটনাস্থলে যেতে পারছেন না। তবে তিনি বাসায় বসে সংশ্নিষ্টদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করছেন। গতকাল সোমবার সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ভেটেরিনারি অফিসারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হবে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

খাবারের নমুনায় বিষাক্ত উপাদানের প্রমাণ: বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের প্রকল্প কর্মকর্তা জাহিদুল কবির বলেন, জেব্রার পাশাপাশি আরও প্রাণী মারা যেতে পারে। আমরা বিষয়গুলো নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন এবং চিন্তিত। একটি নমুনা পরীক্ষায় ইনফ্লুয়েঞ্জা পাওয়া গেছে; বাকিগুলোর সবটাতেই আছে ব্যাকটেরিয়া।

এদিকে বাঘের মৃত্যুর কারণ এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি পার্ক কর্তৃপক্ষ। বাঘটি অ্যানথ্রাক্স রোগে মারা গেছে বলে ধারণা করছে কর্তৃপক্ষ, যা ভয়ঙ্কর ছোঁয়াচে। কর্মকর্তারা বলছেন, বাঘটির নমুনা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। যদি অ্যানথ্রাক্সেই বাঘটি মারা যায়, তাহলে আরও অনেক প্রাণী এ রোগে সংক্রমিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পার্ক কর্তৃপক্ষ।

জাহিদুল কবির বলেন, জেব্রার খাবারের একটি নমুনায় বিষাক্ত উপাদানের প্রমাণও মিলেছে। নমুনার মধ্যে একটিতে নাইট্রেট পাওয়া গেছে। এটি বিশেষ করে ঘাস জাতীয় খাবারের মধ্যে থাকে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাঠ থেকে সংগ্রহ করার সময় বিষাক্ত কিছু ঘাসও চলে আসতে পারে। এ ঘাস পরীক্ষা না করে খাওয়ানোর ফলে জেব্রার শরীরে বিষক্রিয়া ঘটতে পারে। ঘাস সংগ্রহের পর বিষাক্ত উদ্ভিদ কিংবা ঘাস আলাদা করা উচিত। এ ছাড়া অনেকেই গবাদি পশুকে খাওয়ানোর জন্য উন্নত জাতের ঘাসের চাষ করে থাকে এবং বিভিন্ন সময়ে ঘাসের ফলন বৃদ্ধি ও ঘাসের পাতাকে পিঁপড়া, পোকা-মাকড়ের হাত থেকে বাঁচাতে সার-কীটনাশক প্রয়োগ করে। এ থেকেও প্রাণীর শরীরে বিষক্রিয়া হতে পারে। খরার পর বৃষ্টিতে বেড়ে ওঠা তরতাজা ঘাসে মারাত্মক নাইট্রেট বিষ উৎপন্ন হয়, যা খাওয়ার ৩-৪ ঘণ্টা পর ক্রিয়া করে। ফলে প্রাণী মারা যায়। এসব ঘাস ভেজা অবস্থায় খাওয়ানোর কারণে জেব্রা মারা যেতে পারে। ভেজা ঘাস শুকানো ছাড়া খাওয়ানো উচিত নয়।

তবে এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন অনুবিভাগ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক বলেন, মারা যাওয়া প্রাণীগুলোর নমুনা ইতোমধ্যে দেশ-বিদেশের ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। সেখানে এখনও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। ওই রিপোর্ট পাওয়ার পরই জানা যাবে প্রাণীগুলো মারা যাওয়ার প্রকৃত কারণ।

৯টি জেব্রারই মৃত্যু হয়েছে গত ২ থেকে ২৪ জানুয়ারির মধ্যে। সর্বশেষ গত শনিবার সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে মারা যায় আরও দুটি। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার উপস্থিতিতে সব জেব্রার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করার পর তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের নমুনা ঢাকার মান নিয়ন্ত্রণ গবেষণাগার ও ময়মনসিংহের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া কিছু পরীক্ষার রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায়ও। তবে বিশেষজ্ঞ দল আগেই বলেছিল, নিজেদের মধ্যে মারামারি করে চারটি জেব্রা মারা গেছে। আর বাকিগুলোর মৃত্যু হয়েছে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে।

বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রধান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগের প্রফেসর আবু হাদী নুর আলম খান বলেন, একই ঘাস সব ধরনের তৃণভোজী প্রাণী খাচ্ছে। অন্য কোনো প্রাণীর সমস্যা হচ্ছে না, শুধু জেব্রারই হচ্ছে। এ জন্য আপাতত অবজারভেশনের জন্য এক সপ্তাহ বা ১০ দিন ঘাস পরিবর্তন করে অন্য জায়গার ঘাস দেওয়া হবে। সব প্রাণীর পাকস্থলীর ক্ষমতা বা হজম ক্রিয়া এক রকম না।

সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ২ জন প্রত্যাহার : গতকাল সোমবার সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী বন সংরক্ষক তবিবুর রহমান এবং ভেটেরিনারি অফিসার ডা. হাতেম সাজ্জাদ মো. জুলকারনাইনকে প্রত্যাহার করে বন অধিদপ্তর, ঢাকায় সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া সাফারি পার্কের প্রকল্প পরিচালক মো. জাহিদুল কবিরকে প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তদন্ত কমিটির নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে দায়িত্বরতদের প্রত্যাহার ও বদলির পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তাদের স্থলে যথাক্রমে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে ফরিদপুর সামাজিক বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম এবং কক্সবাজারের ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানকে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু প্রতিরোধে সংশ্নিষ্ট সবাইকে প্রত্যাহার করা, দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাসহ প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

৩ হাজার দর্শনার্থীর জায়গায় ২৭৬ জন :গাজীপুর প্রতিনিধি জানান, সাফারি পার্কের টিকিট কাউন্টারে ভিড় নেই। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মুখে আতঙ্কের ছাপ। বিষণ্ণতায় যেন ছেয়ে আছে পুরো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক। গতকাল সোমবার দুপুরের দৃশ্য এটি। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে পাল্টে গেছে চেনা দৃশ্যপট। ইজারাদার শাওন এন্টারপ্রাইজের টিকিট কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা মাসুদ রানা জানান, সারাদিনে ২৭৬ জন দর্শনার্থী কোর সাফারিতে প্রবেশ করেছেন। অথচ গত শুক্রবার টিকিট বিক্রি হয়েছিল প্রায় ৩ হাজার।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ৩১, ২০২২ ২:৩০ অপরাহ্ন
অসুস্থ শকুন উদ্ধারের পর বন বিভাগে হস্তান্তর
প্রাণ ও প্রকৃতি

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার পশ্চিম কালুডাঙ্গা মধ্যপাড়া গ্রাম থেকে উদ্ধার হওয়া সাড়ে ছয় কেজি ওজনের একটি শকুনকে বন বিভাগে হস্তান্তর করেছে স্থানীয়রা।

রোববার (৩০ জানুয়ারি) দিনগত রাতে উদ্ধারকৃত শকুনটি নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে উলিপুর উপজেলা বন বিভাগ।

এর আগে সকালে গুনাইগাছ ইউনিয়নের পশ্চিম কালুডাঙ্গা মধ্যপাড়া গ্রামের একটি মাঠ থেকে শকুনটি উদ্ধার করে স্থানীয়রা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের পশ্চিম কালুডাঙ্গা মধ্যপাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের বাড়ি সংলগ্ন মাঠে সকালে একটি শকুন উড়ে এসে পড়লে তাকে ধরে বাড়ির উঠানে বেঁধে রাখে স্থানীয়রা। শকুনটির উচ্চতা দুই ফুটের বেশি, দৈর্ঘ্য প্রায় ৯ ফুট (পাখা মেলা অবস্থায়), ওজনে সাড়ে ছয় কেজি।

এলাকাবাসীদের ধারণা, শকুনটি কিছুটা অসুস্থ হওয়ায় উড়তে না পেরে মাঠে থেকে যায়। এ সময় শকুনটির সামনে দুটি মুরগির বাচ্চা দিলে তা খেয়ে নেয়। শকুনটি দল বেঁধে পার্শ্ববর্তী ভারতের পাহাড়ি এলাকা থেকে আসতে পারে, কোনো কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ায় আর যেতে পারেনি।

স্থানীয় অধিবাসী সফিকুল ইসলাম বলেন, আগে আমাদের এলাকায় অনেক শকুন দেখা গেলেও বিগত প্রায় ৩০ বছর ধরে চোখে পড়ে না। আগে যখন আমাদের যুবক বয়স তখন দেখেছি, অসুস্থ হয়ে কোনো গরুর মৃত্যু হলে খোলা জমিতে বা বাঁশঝাড়ে ফেলে দেওয়া হলে শকুনের দল উড়ে এসে খেয়ে ফেলতো।

উলিপুর উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা ফজলুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পশ্চিম কালুডাঙ্গা মধ্যপাড়া গ্রামের মানুষ শুকনটিকে সকালে উদ্ধার করে। পরে রাতেই শকুনটি বন বিভাগের তত্ত্বাবধায়নে নেওয়া হয়। শকুনটি কিছুটা অসুস্থ। সুস্থ করার পর অবমুক্ত করা হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ৩১, ২০২২ ১২:২৯ অপরাহ্ন
বাঘের মৃত্যুও গোপন করেছে সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ
প্রাণ ও প্রকৃতি

গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে জেব্রার পাশাপাশি একটি বাঘেরও মৃত্যু হয়েছে।

রবিবার (৩০ জানুয়ারি) সাফারি পার্কে একের পর এক জেব্রার মৃত্যু নিয়ে রহস্যের মধ্যে গাজীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অভিযোগ তোলেন, এই প্রাণীগুলোকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি এই ঘটনায় আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। এমনও জানিয়েছেন, পার্কটিতে একটি বাঘের মৃত্যু হয়েছে, যে তথ্য কর্তৃপক্ষ গোপন করেছে।

গত ২ জানুয়ারি থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত এই পার্কে ১১টি জেব্রা মারা গেছে। এসব জেব্রার মৃত্যুর কারণ ও তা নিরাময় নিয়ে যখন পার্ক কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ব্যস্ত সময় পার করছে, ঠিক তখনই বাঘের মৃত্যুর খবর জানা গেল।

ইকবাল হোসেন জানিয়েছেন, গত মাসে সাফারি পার্কে একটি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। এটা কেউ জানে না। এত মূল্যবান প্রাণী মারা যাচ্ছে, অথচ পার্ক কর্তৃপক্ষ তথ্য গোপন করে যাচ্ছে। পার্কে ১০টি বাঘ ছিল, একটি পুরুষ বাঘ মারা যাওয়ায় এখন মোট বাঘের সংখ্যা ৯টি।

পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক প্রকল্পের পরিচালক মো. জাহিদুল কবীর বাঘের মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, বাঘ বেষ্টনীতে একটি বাঘ বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ অবস্থায় ছিল। এমতাবস্থায় গত ১২ জানুয়ারি বাঘটি মারা যায়। পরে তার নমুনা ঢাকার একটি ল্যাবে পাঠানো হয়। ওই বাঘ বেষ্টনীতে পায়ে আঘাত পেয়েছিল। এরপর এটি দুইমাস অসুস্থ ছিল। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা চিকিৎসা করেছেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক চিকিৎসক রফিকুল আলম অসুস্থ বাঘটির সার্জারি করেছিলেন। দেড়-দুই মাস পর অসুস্থ বাঘটি খাবার কমিয়ে দেয়। এরপর গত ১২ জানুয়ারি মারা যায়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ৩০, ২০২২ ১:১০ অপরাহ্ন
জেব্রার মৃত্যু: দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঠানো হল পরীক্ষার ফলাফল
প্রাণ ও প্রকৃতি

গাজীপুরের শ্রীপুরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে ১০টি জেব্রার রহস্যজন মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছে তদন্ত কমিটি। এরইমধ্যে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষাও শেষ হয়েছে।

জেব্রার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটন, দায়িত্বে অবহেলাকারীদের শনাক্তকরণ এবং করণীয় বিষয়ে মতামত প্রদানের লক্ষ্যে গঠিত মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি আজ রোববার সাফারি পার্ক পরিদর্শন করছেন।

জেব্রাগুলোর এ ধরনের মৃত্যু প্রতিরোধে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ দেশের বাইরে অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন।

জেব্রাগুলো দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আমদানি করা হয়েছিল। সেখানকার খামার মালিকের সঙ্গে সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের কথা হয়েছে। রোগের বিস্তারিত লক্ষণ এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলাফল ইমেইলের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকা পাঠানো হয়েছে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার দীপংকর বর স্বাক্ষরিত এক জরুরি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জেব্রাগুলোর মৃত্যু প্রতিরোধে জরুরি চিকিৎসা প্রদান এবং এ ধরনের অসুস্থতার কারণ উদঘাটনে এর আগে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যেরা ২৫ ও ২৯ জানুয়ারি সাফারি পার্কে বৈঠকে বসেন। গত ২৫ জানুয়ারি বিশেষজ্ঞ টিম প্রদত্ত ১০ দফা সুপারিশ অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২৯, ২০২২ ৪:২৮ অপরাহ্ন
সাতক্ষীরায় হরিণের ৭ কেজি মাংসসহ দুই শিকারি আটক
প্রাণ ও প্রকৃতি

সাতক্ষীরায় হরিণের ৭ কেজি মাংসসহ দুই শিকারিকে আটক করেছে কোস্টগার্ড। আটককৃতরা হলেন- রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল (৩৫) ও আব্দুল মাজেদ সানা (৪৫)।

শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন বাজারে অভিযান চালিয়ে এই দুইজনকে আটক করা হয়। এরা দুজনই হরিণ শিকারি বলে জানিয়েছে কোস্টগার্ড।

আটক রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল শ্যামনগর উপজেলার বড়ভেটখালী গ্রামের বিনয় মণ্ডলের ছেলে এবং আব্দুল মাজেদ সানা একই উপজেলার হরিনগর গ্রামের আফতাব সানার ছেলে।

শনিবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের জোনাল কমান্ডারের পক্ষে লে. কমান্ডার (বিএন) এম. মামুনুর রহমান।

কৈখালী কোস্টগার্ড জানায়, সকালে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন বাজার এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময়ে সেখান থেকে ৭ কেজি হরিণের মাংস ও একটি মোটরসাইকেলসহ দুই শিকারীকে আটক করা হয়। আটকের সময় তাদের কাছ থেকে হরিণ শিকারের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের জোনাল কমান্ডারের পক্ষে লে. কমান্ডার (বিএন) এম. মামুনুর রহমান জানান, আটক দুই শিকারির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মরগাং ফরেস্ট অফিসের মাধ্যমে আদালতে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop