সামুদ্রিক মাছের বেচাকেনায় সরগরম বাগেরহাটের মৎস্য আড়ত
মৎস্য
সব ধরনের সামুদ্রিক মাছের বেচাকেনায় সরগরম বাগেরহাটের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। সাগর থেকে ট্রলারে করে জেলেরা ইলিশসহ নানা প্রজাতির মাছ নিয়ে আসেন বাজারে। তবে শীতের কারণে কিছুটা কম সরবরাহ।
কুয়াশার মধ্যেই আশপাশের জেলা থেকে ক্রেতা ও পাইকাররা ভিড় করেন বাগেরহাট শহরের কেবি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে।
প্রচণ্ড শীতে ইলিশসহ নানা প্রজাতির সামুদ্রিক মাছের সরবরাহও কিছুটা কম। তবে ঢেলা, চ্যালা, জাবা, পোয়া, লইট্যা, কলম্বো, চন্দনা, টেংরাসহ নানা মাছের সরবরাহ চোখে পড়ার মতো। এক কেজি ওজনের ইলিশ এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকা, ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। এ ছাড়া জাবা ও পোয়াসহ অন্য মাছ ১০০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ফলে দাম নাগালের মধ্যে রয়েছে বলে জানান ক্রেতারা।
মাছের দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, দাম একদম কম। ৪০০ গ্রামের ইলিশ মাছ ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুব ভোরের এ বাজারে আসি মাছ কিনতে, পরে তার হাটে ঘাটে বিক্রি করি।
সাগরের মাছের সরবরাহ কিছুটা কম হলেও পাইকারি মাছের এই হাট সবসময় সরগরম থাকে বলে জানান মৎস্য আড়তের নেতা। এ বিষয়ে বাগেরহাটের কেবি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের আড়তদার সমিতির সভাপতি আবেদ আলী বলেছেন, বিভিন্ন প্রজাতির মাছ সকাল বেলায় বিক্রি হয়। এখানে প্রচুর পরিমাণ পাইকার আসে।
উল্লেখ্য, বাগেরহাটের এই মাছ বাজারে প্রতিদিন প্রায় লাখ টাকার সামুদ্রিক মাছ বিক্রি হয় বলে জানান ব্যবসায়ীরা।