১১:৪২ অপরাহ্ন

মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুলাই ১৭, ২০২১ ৩:৫৮ অপরাহ্ন
১৫ কেজি ওজনের কাতলা রেখে পালালেন শিকারি!
মৎস্য

দেশের অন্যতম মিঠা পানির প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র ও বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদা নদী থেকে বড়শি দিয়ে অবৈধভাবে এক অসাধু মাছ শিকারি ১৫ কেজি ওজনের মা কাতলা শিকার করেন। তবে বিক্রি করতে এনে ভয়ে পালালেন শিকারি।

গত বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মেখল ইউনিয়ন মোজাফফরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, অবৈধভাবে মাছটি শিকারের পর বাজারে বিক্রি করার সময় দুই ক্রেতার মধ্যে দাম নিয়ে তর্কাতর্কি হয়। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় জনতা বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করে। ততক্ষণে ওই মাছ শিকারি ও দুই ক্রেতা মাছ বিকিকিনি বাদ দিয়ে নিরাপদ স্থানে পালিয়ে যান।

পরে এ ঘটনার খবর পেয়ে দিনগত রাত ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহিদুল আলম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাতলা মাছটি জব্দ করার আদেশ দেন।

পরে মাছটি চবি (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়) প্রাণিবিদ্যা বিভাগে গবেষণার জন্য পাঠানো হয় বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে ইউএনও মো. শাহিদুর আলম জানান, হালদা নদীর ১৫ কেজি মা কাতলা মাছ অসাধু ব্যক্তিরা নদী থেকে শিকার করে বাজারে বিক্রি করার সময় স্থানীয় মানুষের সন্দেহ হলে আমার কাছে ফোন করেন। সংবাদ পেয়ে ওই এলাকায় গিয়ে কাতলা মাছটি জব্দ করি। তবে মাছ শিকারি পালিয়ে গেছে।

তিনি আরও জানান, জব্দ করা কাতলা মাছটি হালদা গবেষণা কেন্দ্রে সংরক্ষণের জন্য চবি প্রণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়ার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগ অধ্যাপক ও হালদা নদী গবেষক ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া জানান, হালদা নদীর ১৫ কেজি ওজনের মা কাতলা মাছটি গবেষণার জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। ছয় বছর বয়সের কাতলাটি লম্বা ৪০ ইঞ্চি, উচ্চতা ১৩ ইঞ্চি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১৬, ২০২১ ১১:৫২ পূর্বাহ্ন
পদ্মায় ধরা পড়ল বিলুপ্তপ্রায় ঢাঁই মাছ
মৎস্য

সাড়ে ৪ কেজি ওজনের বিলুপ্তপ্রায় একটি ঢাঁই মাছ পদ্মা নদীতে জেলের জালে ধরা পড়েছে। মাছটি এক শৌখিন ক্রেতা ১৪ হাজার ৪০০ টাকা দিয়ে কিনে নেন।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে স্থানীয় জেলে বাদশা হালদার দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় জাল ফেলেন। এরপর তিনি ভাটিতে যেতে যেতে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন এলাকায় চলে যান। সেখানে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তার জালে সাড়ে ৪ কেজি ওজনের ঢাঁই মাছটি ধরা পড়ে।

সকাল ৭টার দিকে তিনি মাছটি বিক্রির উদ্দেশ্যে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে শাকিল সোহান মৎস্য আড়তে আনেন। আড়তের মালিক সম্রাট শাহজাহান শেখ মাছটি ৩ হাজার টাকা কেজি দরে মোট ১৩ হাজার ৫০০ টাকায় কিনে নেন।

মৎস্য ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান শেখ জানান, ঢাঁই মাছ সহজে পাওয়া যায় না। তাই জেলের কাছে মাছটি দেখেই সর্বোচ্চ দাম দিয়ে কিনে নেই।

পরবর্তীতে মোবাইলে বিভিন্ন পরিচিত ক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করলে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার এক ঠিকাদার মাছটি কিনতে আগ্রহী হন। মাছটি তিনি ৩ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে মোট ১৪ হাজার ৪০০ টাকায় কিনে নেন।

গোয়ালন্দ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল শরীফ বলেন, এ ধরনের মাছ খুব একটা দেখা যায় না। এ জাতীয় মাছ সর্বোচ্চ ৭ থেকে ১০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। অত্যন্ত সুস্বাদু হওয়ায় এর দামও বেশ চড়া।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১৫, ২০২১ ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন
ভুরুঙ্গামারীর নদ নদীতে চলছে ডিমওয়ালা মাছ ও পোনা শিকার
Uncategorized

এক প্রকারের বিশেষ জাল দিয়ে নির্বিচারে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীর নদ-নদীগুলোতে ডিমওয়ালা মা মাছ ও পোনা মাছ নিধন হচ্ছে একটি অসাধু চক্রের হাতে। এতে ভরা মৌসুমে নদ-নদীগুলো মাছ শুন্য হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের পর শুরু হয়েছে চায়না জালের ব্যবহার। চায়না জাল নদী জুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখা হয়। এতে সব ধরনের দেশীয় মাছ ধরা পড়ে। বিশেষকরে ডিমওয়ালা মাছ নিধন করায় ক্রমেই মাছ শ‚ন্য হয়ে পড়ছে নদীগুলো।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার এক শ্রেণীর অসাধু মাছ ব্যবসায়ী বাজার থেকে চায়না জাল কিনে তার সাথে লোহার চিকন রিং দিয়ে বিশেষ কায়দায় ৭০/৮০ ফুট লম্বা এক ধরনের ফাঁদ তৈরি করছেন। এসব ফাঁদের রযেছে বাহারি নাম। কেউ বলছেন ম্যাজিক জাল, কেউ বলছেন পাইলিং জাল, ড্রাগন জাল ও রিং জালও বলছেন কেউ কেউ।

উপজেলার দুধকমার নদের বিভিন্ন স্থানে এসব জাল দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করা হচ্ছে। ডিঙি নৌকা দিয়ে প্রতিদিন বিকাল থেকে শুরু হয় জাল পাতার প্রক্রিয়া। সারারাত পেতে রাখার পর সকালে জাল তুলে মাছ ধরা হয়।

জালে ধরা পড়ছে বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। ছোট বড় কোন মাছই রেহাই পাচ্ছেনা। শুধু মাছই নয়, নদীতে থাকা ব্যাঙ, কুচে সহ জলজ প্রাণীও রক্ষা পাচ্ছে না এই জাল থেকে। দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আদম মালিক চৌধুরী জানান, যারা নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করে নির্বিচারে ডিমওয়ালা মা মাছ ও পোনা নিধন করছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১৫, ২০২১ ১০:২১ পূর্বাহ্ন
ফোন করলেই বাড়িতে পৌঁছে যাবে মাছ
মৎস্য

মানুষের প্রাণীজ আমিষের চাহিদা পূরণের জন্য করোনাকালীন সময়ে পটুয়াখালীতে বিভিন্ন জাতের মিঠাপানির ভ্রাম্যমাণ এবং অনলাইনে মাছ বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

জেলা মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে এই কার্যক্রম নিয়মিত চলমান থাকবে। প্রতিদিন পৌর শহরের মধ্যে ৬ টি ভ্যানে মাছ বিক্রি করবে। এছাড়া ১৩ টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে ২ টি করে ভ্যান গাড়ির মাধ্যমে মাছ বিক্রি কার্যক্রম চলবে।

সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মু. মাহ্ফুজুর রহমান জানান, মানুষের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে যাতে মাছ কিনেত কাউকে বাজারে যেতে না হয় সে কারণে এই ভ্রাম্যমাণ মাছ বিক্রি কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষ যেমন লাভবান হবেন, তেমনি মাছ চাষিরাও তাদের উৎপাদিত মাছ ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পারবেন।

পটুয়াখালী সদর উপজেলার ক্ষেত্র সহকারী সোহেল মাহমুদ জানান ,মাছ ব্যবসায়ীরা ভ্যানগাড়ীযোগে পটুয়াখালীর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে মাছ বিক্রয় করবেন। এই সব মোবাইল নম্বরে ফোন করলে তারা বাড়িতে মাছ নিয়ে হাজির হবেন।

মাছ ব্যবসায়ীদের নাম ও মোবাইল নম্বরঃ- মোঃ আব্দুল ছত্তার হাং-০১৭৪৫৩৭৮৬৫৮, মোঃ সুলতান আহম্মেদ-০১৭৪১৪৭১৭৯৭, মোঃ আঃ গণি সিকদার -০১৭৭৭৮৩৪৯৫৭, মোঃ ফারুক হাং ০১৭৫৬৮৫৫৮২০, মোঃ মজনু চৌকিদার-০১৭৫৭৪৯৫৮৭২, মোঃ বেলাল হোসেন হাং ০১৭৮৭২৪৩৮৩৮, মোঃ রিপন- ০১৫১৬৭৩৫১৭৬।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১৪, ২০২১ ১২:০৫ পূর্বাহ্ন
মাছ চুরির অভিযোগে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রকে গাছে বেঁধে নির্যাতন
মৎস্য

মাছ চুরির অভিযোগে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে এক শিশুকে মধ্যযুগীয় কায়দায় রশি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় মল্লিকপুর তামলাই দিঘির পাড়ে জহিরুল ইসলামের বাড়ির কাছে ঘটনাটি ঘটে। 

মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) নির্যাতনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ছবিতে দেখা যায়, শিশুটিকে যে গাছে বেঁধে নির্যাতন করা হয়।

নির্যাতনের শিকার জুয়েল রানা (৯) দৌলতপুর ইউনিয়নের মল্লিকপুর সরকার পাড়া গ্রামের মনির উদ্দিনের ছেলে। সে পূর্ব মল্লিকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র।

জুয়েলের বাবা মনির উদ্দিন জানান, মাছ চুরির অপবাদে আমার ছেলেকে গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে পেটানো হয়েছে। একই গ্রামের রমজান আলী বাসু এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করেন তিনি।

তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত রমজান বাসু জানান, ‌‘হাসি-তামাশা করে তাকে বেঁধে দুইটা বাড়ি দিয়েছি। নির্যাতন করিনি।’

লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান পীরগঞ্জ থানার ওসি প্রদীপ কুমার রায়।

এগ্রিভিউ/এসএমএ

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১১, ২০২১ ১১:৫৩ পূর্বাহ্ন
যেভাবে চিনবেন টাটকা মাছ
মৎস্য

আমাদের সবার কাছেই অতি প্রিয় খাবার মাছ। মাছ ছাড়া যেন আমাদের চলেই না। তবে এই স্বাদের মাছ যদি হয় পঁচা তাহলে তার টাকাও লস আবার অন্যদিকে শুনতে হয় পরিবারের অনেকের কথা। তাই বাজারে গিয়ে সচেতনতার সাথে কিনতে হবে তাজা মাছ। তাতে একদিকে যেমন থাকবে টাটকা স্বাদ অন্যদিকে কারো কথাও শুনতে হবে না। একটু সাবধানতায় এমনটি সম্ভব। আপনি একটু বুদ্ধি খাটিয়ে কিছু উপায় কাজে লাগালেই খুব সহজেই টাটকা মাছ কিনতে পারবেন।

আসুন টাটকা মাছ চেনার সহজ কিছু উপায় জেনে নিই:
মাছ হাতে তুলে দেখুন। যদি দেখেন যে মাছটি পিছলে যাচ্ছে তবে বুঝবেন মাছ টাটকা। মাছ কেনার আগে মাছের চোখের দিকে লক্ষ্য করুন চোখ যদি ফ্যাকাসে আর ভেতর দিকে বসে যাওয়া হয় তাহলে তা ভুলেও কিনবেন না। কারণ, তাজা মাছের চোখ কখনো ঘোলাটে হয় না। আর তা খানিকটা বাইরের দিকে বেরিয়ে থাকে।

মাছ হাতে নিয়ে কানকো তুলে দেখুন লাল না ফ্যাকাসে। যদি লাল হয় তবেই কিনবেন। ছোট মাছের ক্ষেত্রে পেট কাটার পর যদি পটকার রঙ লাল ও ভেজা থাকে তাহলে সেটি টাটকা। কারণ পচা ছোট মাছের পেটের ভেতরের অংশ শুকনো হয়।

অনেকেই আবার মাছের পেটি কিনেন। এক্ষেত্রে হালকা চাপ দিয়ে দেখুন, কাঁটা থেকে মাছ আলাদা হয়ে গেলে বুঝবে তা তাজা নয়।চিংড়ি কেনার সময় চিংড়ি মাথা সহজেই ভেঙে যাচ্ছে কিনা দেখুন। ভেঙে গেলে তা টাটকা নয়।

এগ্রিভিউ/এসএমএ

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৭, ২০২১ ২:৫৫ অপরাহ্ন
চট্টগ্রামে ৩৯ মণ সামুদ্রিক মাছসহ ট্রাক জব্দ
মৎস্য

সামুদ্রিক মাছের প্রজনন ও সংরক্ষণের কারণে ৬৫ দিনের জন্য মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা চলেছে। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরে বিক্রির সময় ৩৯ মণ সামুদ্রিক মাছসহ একটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ট্রাক চালকের দুই হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত ।

মঙ্গলবার ভোরে আনোয়ারা উপজেলার গহিরা উঠান মাঝির ঘাট এলাকা থেকে ট্রাকটি জব্দ করে উপজেলা মৎস্য বিভাগ। উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. রাশিদুল হকের নেতৃত্বে সাঙ্গু কোস্টগার্ডের সহযোগিতায় এ অভিযান চালানো হয়।

এ সময় ওই ট্রাক থেকে বিভিন্ন ধরনের ৩৯ মণ সামুদ্রিক মাছ জব্দ করা হয়। পরে মাছগুলো উপজেলার ২৮টি এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।

মৎস্য কর্মকর্তা রাশিদুল হক জানান, ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই সামুদ্রিক মাছের প্রজনন ও সংরক্ষণের কারণে ৬৫ দিনের জন্য মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সাগরে মাছ ধরে ঘাটে বিক্রি করছিলেন জেলেরা। ব্যবসায়ীরা ট্রাকভর্তি মাছ নিয়ে ফেরার সময় ওই ট্রাকটি জব্দ করা হয়। পরে উপজেলার ২৮টি এতিমখানায় মাছগুলো বিতরণ করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জব্দ করা ট্রাকের চালককে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানভীর হাসান চৌধুরী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

এগ্রিভিউ/এসএমএ

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৭, ২০২১ ২:১৭ অপরাহ্ন
মাছ শিকারের দায়ে ৮ ট্রলার মালিকের জরিমানা
মৎস্য

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার সোনারচর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকারের দায়ে ৮টি ট্রলারের মালিককে ২ লাখ ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ জরিমানা করে মৎস্য বিভাগ। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা।

জানা গেছে, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অসাধু জেলেরা সমুদ্রে মাছ শিকার করে আসছিল। এমন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই মো. মাহমুদের নেতৃত্বে একটি দল রাঙ্গাবালী উপজেলার সোনারচর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে অভিযান চালিয়ে ৮ টি ট্রলার, ৪ লাভ মিটার জাল ও ৫ মণ মাছসহ ট্রলারে থাকা জেলেদের আটক করে।

পরে কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৮ টি ট্রলারের মালিককে ২ লাখ ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, ৬টি ট্রলারের জরিমানা দিয়ে তারা জেলেদের নিয়ে গেছেন। আর দুইটি ট্রলারের জরিমানার টাকা এখনও দিতে পারেনি। তারা নৌ-পুলিশের হেফাজতে আছেন। জরিমানা দিতে না পারলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আটক ট্রলারগুলো রাঙ্গাবালী, গলাচিপা ও কলাপাড়ার বলে জানান তিনি।

এগ্রিভিউ/এসএমএ

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৫, ২০২১ ৪:২০ অপরাহ্ন
ক্ষতিকর অ্যাকুরিয়ামের সাকার ফিশ
ক্যাম্পাস

বাকৃবি প্রতিনিধি :  পুরো নাম সাকার মাউথ ক্যাটফিশ। বৈজ্ঞানিক নাম হিপোসটোমাস প্লেকোসটোমাস। অ্যাকুরিয়ামে শোভাবর্ধনকারী হিসেবে রাখা হয় বিদেশি প্রজাতির এই মাছটিকে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন ডোবা নালাসহ বিভিন্ন জলাশয়ে হর হামেশাই দেখা মিলছে মাছটির। দেখা মিলছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি)বিভিন্ন জলাশয়গুলোতেও।

দ্রুত বংশ বিস্তারকারী মাছটি জলজ পোকামাকড় ও শ্যাওলার পাশাপাশি ছোট মাছ এবং মাছের পোনা খেয়ে থাকে। তাছাড়া সাকার ফিশের পাখনা খুব ধারালো। ধারালো পাখনার আঘাতে সহজেই অন্য মাছের দেহে ক্ষত তৈরী হয় এবং পরবর্তীতে পচন ধরে সেগুলো মারা যায়। সাকার ফিশ রাক্ষুসে প্রজাতির না হলেও প্রচুর পরিমাণে খাবার ভক্ষণ করে। এতে দেশীয় প্রজাাতির মাছের সাথে খাদ্যের যোগান নিয়ে তীব্র প্রতিযোগিতা হয়। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারে না বিলুপ্তির সম্ভাবনা তৈরী হচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছের।

বাংলাদেশে প্রাপ্ত প্রজাতির সাকার ফিশ ১৬-১৮ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়। মাছটি পানি ছাড়াই প্রায় ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত বাঁচতে পারে। মাছ চাষীরা অভিযোগ করেন, তাদের ঘেরে এই মাছ ঢুকে পড়ে চাষের উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। এর ব্যাপক বিস্তার ঘটলে দেশীয় প্রজাতির মাছ হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন মৎস্য গবেষকরা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, সাকার ফিশের প্রভাবে মায়ানমার ও আরব আমিরাতের মৎস্য চাষীরা ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছে। বাংলাদেশে কয়েক বছর আগে উপকূলীয় জেলাগুলোতে প্রথম এই মাছের দেখা মিলে। তবে এখন সিলেট, ময়মনসিংহ, রংপুরের মত জায়গা যা উপকূল থেকে অনেক দূরে, সেখানেও দেখা মিলছে এই মাছের।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. হারুনুর রশীদ বলেন, সাকার মাউথ ক্যাটফিশ মাছটি সহজেই নতুন পরিবেশের সাথে অভিযোজিত হয়ে দ্রæত বংশ বিস্তার করতে সক্ষম। অনেকে শুরুর দিকে অ্যাকুরিয়াম ফিশ হিসেবে পালন করলেও পরবর্তীতে মাছটি বড় হয়ে গেলে তখন পুকুর বা ডোবায় ছেড়ে দেয়। সেখানে মাছটি নতুন পরিবেশে খাপ খেয়ে বংশ বিস্তার শুরু করে। মাছটি খেতে সুস্বাদু না হওয়ায় সাধারণত কেউ মাছটি খায় না এবং বাজারেও মাছটির কোনো চাহিদা নেই। মাছটি ভক্ষণে কোনো স্বাস্থ্য ঝুকি আছে কিনা সে বিষয়ে এখনো কোনো গবেষণা হয় নি।

তিনি বলেন, এই মাছটি একবার কোনো জলাশয়ে ঢুকে পড়লে এর বিস্তার রোধ করা খুব কঠিন। চাষের পুকুরে এই মাছ ঢুকে পড়লে অন্য মাছের সাথে খাবার ও বাসস্থান নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু করে। এতে করে বাইরে থেকে পর্যাপ্ত খাবার প্রদান করলেও কাঙ্খিত মাছের উৎপাদন পাওয়া যায় না। অন্য দিকে চাষযোগ্য মাছ সাকার ফিশের সাথে খাবার ও বাসস্থানের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারে না। এভাবে মাছ চাষীরা লোকসানের মুখে পড়েন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২, ২০২১ ১১:২৭ অপরাহ্ন
নতুন প্রজাতির মাছের সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশী গবেষকরা
মৎস্য

বাংলাদেশি গিটার ফিশ নামে নতুন এক প্রজাতির মাছের সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশী গবেষকরা। যার বৈজ্ঞানিক নাম ‘গ্লাওকাসটিগাস ইয়ানহোলেএইয়ে’। যা বিশ্ব মাছের তালিকায় নতুন। বাংলাদেশের কক্সবাজারের সামুদ্রিক জলসীমা থেকে প্রথম বারের মতো ২০১৯ সালে একটি নতুন সামুদ্রিক মাছের সন্ধান পায় শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স বিভাগের একোয়াটিকবায়োরিসোর্স রিসার্চ ল্যাবরেটরির গবেষকরা।

মাছটির দেহেরগঠন, বাহ্যিক আকৃতি এবং ডিএনএ বার কোডিং পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রজাতিটি শনাক্ত করা হয়। বাংলাদেশের সামুদ্রিক জল সীমায় পাওয়া যায় বলে প্রজাতিটির ইংরেজি নাম দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশি গিটার ফিশ (Bangladeshi guitarfish)। ২বছর ফিল্ড ওয়ার্ক ও ল্যাবওয়ার্ক শেষে নিউজিল্যান্ডের জু ট্যাক্সা জার্নালে গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়।

এছাড়া ইউরোপভিত্তিক নেটওয়ার্কিং সাইট রিসার্চগেটে গবেষণা পত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। এসব জার্নালে প্রকাশের মাধ্যমে বিশ্ব মাছের তালিকায় যুক্ত হলো প্রজাতিটি।

শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ একোয়কালচার ও মেরিন সায়েন্স অনুষদের ডীন ও ডিপার্টমেন্ট অব ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিক্সের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী আহসান হাবিব এবং সহকারী গবেষক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রক্তন শিক্ষার্থী মো. জায়েদুল ইসলাম গবেষণা পত্রটি লেখেন।

শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অফ ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিক্সের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী আহসান হাবিব জানান, এটি ৭৩০ থেকে ৯৩৩ মিলিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এটির রং হয় বাদামী বা ধূসর। চ্যাপ্টা ধরনের মাছটির মাথা প্রশস্ত। মাথা থেকে ৩১ থেকে ৪০ ডিগ্রি কৌণিকভাবে লেজ পর্যন্ত এটির দেহ ক্রমশ সরু হয়। লেজ বেশ লম্বা।

প্রাপ্তবয়স্ক গ্লাওকাসটিগাস ইয়ানহোলেএইয়ের পরিধি বেশ কম। সরু মুখগহ্বর আর চওড়া নাকের ফুটো অন্যতম বৈশিষ্ট্য। মুখের প্রস্থের তুলনায় নাক প্রায় অর্ধেক। স্টিং রে, ম্যান্টা রে, ঈগল রে, ইলেক্ট্রটিক রে, বাটারফ্লাই রে, স্কেট, স’ফিশ ইত্যাদির সমগোত্রীয় বা একই পরিবারের সদস্য রাইনোব্যাটোস বা গিটারফিশ। সবগুলোই গভীর সমুদ্রের মাছ। দেখা মেলে সাগর-মহাসাগরের বিভিন্ন অঞ্চলে। সূত্র: দৈনিক জনকণ্ঠ

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop