অতিমূল্যবান রত্ন “ঝিনুক” চাষে স্বাবলম্বী হবার সম্ভাবনা
প্রাণ ও প্রকৃতি
মুক্তা একটি অতিমুল্য়বান রত্ন। মুলত গহনা তৈরিতে মুক্তা বেশি ব্য়বহার করা হয়। মুক্তার একমাত্র উৎস হলো ঝিনুক। একসময় প্রাকৃতিকভাবে ঝিনুকে মুক্তা উৎপন্ন হতো আর সেগুলো আহরণ করে মুক্তা সংগ্রহ করতো জেলে বা চাষীরা।কিন্তু পরে মুক্তা উৎপাদনের কৌশল উদ্ভাবিত হওয়ায় বিশ্বব্যাপী এর উৎপাদন ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়।
একটি ঝিনুকে ১০ থেকে ১২টি মুক্তা জন্মায় । প্রতিটি মুক্তার খুচরা মূল্য কমপক্ষে ৫০ টাকা। প্রতি শতাংশে ৬০ থেকে ১০০টি ঝিনুক চাষ করা সম্ভব এবং প্রতি শতাংশে ৮০টি ঝিনুকে গড়ে ১০টি করে ৮০০ মুক্তা পাওয়া গেলে যার বাজারমূল্য প্রায় ৪০ হাজার টাকা। সেই হিসাবে প্রতি একরে ৪০ লাখ টাকার মুক্তা উৎপাদন করা সম্ভব। এছাড়াও ঝিনুকের খোলস থেকে চুন, বোতাম, গহনা তৈরিতে কাজে লাগে ।
মুক্তা একটি লাভদায়ক চাষ হলেও বাংলাদেশের চাষীদের সর্বদাই ভারতের বাজারের ওপর নির্ভরশীল থাকতে হয়। একটি ঝিনুক থেকে সর্বচ্চ ১২ টি মুক্তা পাওয়া যায়। ঝিনুক সংগ্রহের পর এর মধ্যে এক ধরণের বিশেষ ‘ডাইজ’ স্থাপন করতে হয় এবং নিউক্লিয়াস পদ্ধতিতে টিস্যু প্রতিস্থাপন করে ঝিনুককে আবার জলে ছেড়ে দেয়া হয়।
প্রশঙ্গত, বর্তমানে বিশ্ববাজারে মুক্তা রপ্তানিতে শীর্ষে আছে চীন। তারাই বিশ্বে ৯৫ শতাংশ মুক্তা রপ্তানি করে থাকে।