৪:২৭ অপরাহ্ন

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • আতা ফলের বাণিজ্যিক বাগান করে তাক লাগিয়েছেন বাদশা মিয়া
ads
প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৬, ২০২১ ৩:২১ অপরাহ্ন
আতা ফলের বাণিজ্যিক বাগান করে তাক লাগিয়েছেন বাদশা মিয়া
কৃষি বিভাগ

বাণিজ্যিকভিত্তিতে আতা ফল চাষ করে বাজিমাত করেছেন পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার বক্তারপুর গ্রামের চাষি শাহজাহান আলী বাদশা ।

জানা যায়, আজ থেকে ১৫ বছর আগে বাণিজ্যিকভিত্তিতে এ বাগানটি শুরু করেন বাদশা মিয়া। এখন এ বাগানের আয়তন ৪০ বিঘা। ২০১২ সাল হতে তিনি এ বাগান থেকে ফল পাওয়া শুরু করেন। এখন তার বাগান থেকে পরিপূর্ণ ফলন যাচ্ছে। বাজারে ফল বিক্রি করে ভালো দাম পাচ্ছেন।

বাদশা মিয়া জানান, বিলুপ্তপ্রায় দেশি ফলকে বাঁচিয়ে রাখার ইচ্ছা থেকেই বাণিজ্যিকভিত্তিতে শুরুতে এক একরের বাগান গড়ে তুলেছিলেন। তার বাগানই দেশে বাণিজ্যিকভিত্তিতে গড়ে তোলা প্রথম আতা ফল বাগান বলে দাবি করেন তিনি। দীর্ঘ ১৫ বছরে তা ৪০ বিঘার বাগানে রূপ নিয়েছে। শ্রমে-ঘামে তিনি আতা ফলিয়েছেন। ১৫ বছর আগে ২০০৬ সালে ঢাকার বায়তুল মোকারম এলাকা থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে তিন কেজি আতা ফল কিনেছিলেন। প্রায় হাজার টাকার ঐ ফল থেকে বীজ সংগ্রহ করে চারা করেন।

বাদশা মিয়া জানান, বৈশাখ মাসে ফুল আসে আর ভাদ্র মাসে ফল সংগ্রহ করা যায়। আতা ফল চাষের উৎপাদন খরচ ও লাভ সম্বন্ধে জানতে চাই বাদশা মিয়ার কাছে। তিনি জানান, উৎপাদন খরচ বলতে চারা লাগানো, যত্ন-পরিচর্যা সব কিছু মিলিয়ে বিঘা প্রতি ১০-১২ হাজার টাকা খরচ হয়।

ফলন পাওয়ার আগে অর্থাৎ ৫-৬ বছর পর্যন্ত সাথী ফসল হিসেবে ওল কচু ও অন্যান্য শাক-সবজি আবাদ করা যায়। এ দিকে বিঘা প্রতি ২০০ গাছে গড়ে একশ-দেড়শ ফল ধরে। গাছ প্রতি গড়ে একশ, ফল হিসেব করে বিঘা প্রতি অন্তত দুই লাখ টাকা লাভ থাকে বলে তিনি জানান।

বাদশা মিয়া জানালেন, বাগানের গাছের উচ্চতা ৭ থেকে ৮ ফুট থাকলে ভালো হয়। উচ্চতা এর চেয়ে বাড়ানো যায়। তবে উচ্চতা একটু কম থাকলে ঝড়ে ডালপালা ভেঙে যাওয়া আশঙ্কা কম থাকে। যত্ন-পরিচর্যা সম্বন্ধে তিনি জানান, আগাছা দূর করা ও সার দেয়া ছাড়া তেমন যত্ন-পরিচর্যা করতে হয় না। কাটিং করে গাছের আকৃতি ছোট রাখা যায়।

রোগ-বালাইয়ের মধ্যে মিলিব্যাগ নামক ছোট ছোট পোকার আক্রমণ দেখা যায়। তবে প্রতিষেধক দ্বারা সহজেই তা দমন করা যায়। পাকা আতা ফল পাখি খেতে আসে। এ জন্য পাকা ফল দ্রুত তোলাই ভালো। ফল পাকলে এটি সাদা হয়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পাবনার উপ-পরিচালক আবদুল কাদের জানান, বাদশা মিয়া আতা বাগানটি যখন শুরু করেন তিনি তখন ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ছিলেন। তাই তিনি বাগানটি সম্বন্ধে সম্পূর্ণ অবগত।

তিনি জানান, দেশীয় প্রজাতির এ ফলটি যেমন শরীরের জন্য খুবই উপকারী তেমনি এর চাষ করাও লাভজনক। পাবনা জেলা শহরের ফলের দোকানেই প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ঢাকায় এর দাম আরো বেশি। তিনি জানান, পাবনা অঞ্চলের মাটি এ ফল চাষের জন্য বেশ উপযোগী।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop