আমন ধান নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক
কৃষি বিভাগ
বোনা আমন ধানের শীষ বের হয়নি এখনও। এরই মধ্যে বিল থেকে নেমে গেছে বর্ষার পানি। ফলে ধান নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে চাটমোহরের কৃষক।
বিলে পানি থাকায় সাধারণত বোনা আমন ধান আবাদে সেচের প্রয়োজন হয় না। আশ্বিন মাসের মাঝামাঝি এসে বোনা আমনের শীষ বের হয়। কিন্তু এ বছর আশ্বিন মাসের শুরু থেকেই বিলের পানি কমতে থাকে দ্রুত এবং কয়েক দিনের মধ্যে ধানক্ষেত শুকিয়ে যায়। তাই ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিল অধ্যুষিত চার ইউনিয়নের হাজারো কৃষক।উপজেলার হান্ডিয়াল, নিমাইচড়া, বিলচলন (আংশিক) এবং ছাইকোলা ইউনিয়নের (আংশিক) এলাকার বিলের পানি ইতোমধ্যে শুকিয়ে যাওয়ায় এসব এলাকার ধানক্ষেতও শুকিয়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে চাটমোহর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকায় ১১২০ হেক্টর জমিতে বোনা আমন ধানের চাষ হয়েছিল। বর্ষা শুরুর দিকে প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ৮৯০ হেক্টর জমির বোনা আমন নষ্ট হয়ে যায়। সে সময় কৃষকরা কাঁচা ধানগাছ কেটে গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে। এরপর বর্ষার পানি দ্রুত নেমে যাওয়ায় আরও একদফা নষ্ট হলো ধান।
উপজেলার বরদানগর গ্রামের কৃষক রতন আলী জানান, চলতি বছর পাঁচ বিঘা জমিতে বোনা আমন ধান চাষ করেছেন। জমি চাষ, বীজ, সার, আগাছা পরিস্কার বাবদ ইতোমধ্যে বিঘ প্রতি খরচ গেছে চার হাজার টাকা করে। অথচ ধানের শীষ বের হওয়ার আগেই জমি শুকিয়ে গেল। ফলে পুরো লোকসানে পড়েছেন তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এ মাসুম বিল্লাহ জানান, উপজেলার নিচু এলাকাগুলোতে ধলদীঘা, আজলদীঘা, জিরাশাইল, কালবোরনসহ স্থানীয় জাতের বোনা আমন ধানের চাষ হয়। অনিয়ন্ত্রিত বন্যার কারণে এ অঞ্চলের কৃষকরা প্রায়ই ক্ষতির শিকার হন। আর এবার বিলের পানি শুকিয়ে গিয়ে ক্ষতির মুখে পড়লেন তারা। তবে মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হলে ধানের ফলন বিপর্যয় কিছুটা কমবে।