ইয়াসের প্রভাবে ভোলার চরাঞ্চলে গরু মহিষের রোগবালাই
প্রাণিসম্পদ
ভোলায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সাগরের নোনা পানি প্রবেশ করেছে। আর ৫-৬ ফুট উচ্চতায় প্লাবিত হয়েছে জেলার ৪০টি দ্বীপ চর। আর এতে করে এসব চরের তিন লক্ষাধিক গরু মহিষের মধ্যে বেশিরভাগ রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে।
গতকাল শুক্রবার জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ড. ইন্দ্রজিত কুমার মন্ডল নোনা পানি প্রবেশ করায় ওই পানিতে তিন দিন আটকে থাকায় গরু মহিষ মারা যাওয়ার পাশাপাশি রোগ দেখা দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তাদের ২৫টি টিম মাঠে কাজ করছেন বলেও তিনি দাবি করেন।
যেসব চরে রোগ ছড়িয়ে পড়েছে ওইসব চর হচ্ছে, জেলা সদরের কাচিয়া মাঝের চর, রাজাপুর রামদাসপুর, ভেলুমিয়া, ভেদুরিয়া, দৌলতখানের মদনপুর চর, নেয়ামতপুর, চরফ্যাশনের চরপাতিলা, ঢালচর, চরনিজাম, সিকদার চর, কুকরিমুকরি, লালমোহনের চরশাহাজালাল, চরকচ্ছপিয়া, তজুমদ্দিনের চরমোজাম্মেলসহ ৪০টি চর।
প্রাণী সম্পদ বিভাগ সূত্র জানায়, জেলায় গরুর সংখ্যা রয়েছে ৫ লাখ ৯৫ হাজার, মহিষ রয়েছে ১ লাখ ২৪ হাজার, ছাগল রয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার, ভেড়া রয়েছে ২১ হাজার ৩শ’। এর মধ্যে ৫৭টি ইউনিয়নে সরকারি হিসেবে মারা গেছে গরু ৯৪টি, মহিষ ৯৭টি, ছাগল ৫৫টি, ভেড়া ১৭৬টি ও হাঁস ৩,৪৮৪টি। ইতিমধ্যে রোগে আক্রান্ত হয়েছে ৫ হাজার ৫৯৭টি গরু, ৩ হাজার ৩৫৯টি মহিষ, ১১ হাজার ৬১২টি ছাগল, দুই হাজার ৫১টি ভেড়া। বেসকারি হিসেবে গরু মহিষ আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দেড় লাখ।
চরফ্যাশন কুকরিমুকরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মনজুর জানান, ওই উপজেলায় জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে ৫ হাজার গরু মহিষ। যার সন্ধান এখনও মেলেনি। এছাড়া এখন আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। গোলাম দৌলতখান ভবানীপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম নবী নবু জানান, তার ভানীপুর চরহাজারি মৌজায় ৬ হাজার গরু মহিষ আক্রান্ত হয়েছে। মদনপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও জানান একই কথা।