৪:০০ অপরাহ্ন

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • কারখানার বিষাক্ত বর্জ্যে শত শত একর কৃষিজমিতে চাষাবাদ বন্ধ
ads
প্রকাশ : এপ্রিল ১, ২০২১ ১১:০৬ পূর্বাহ্ন
কারখানার বিষাক্ত বর্জ্যে শত শত একর কৃষিজমিতে চাষাবাদ বন্ধ
কৃষি বিভাগ

একটি কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য খালে ফেলায় চট্টগ্রামের পটিয়ার আশপাশের দশটি গ্রামের শত শত একর কৃষিজমিতে হচ্ছে না ফসল। এতে করে চাষাবাদ বন্ধ রেখেছেন কৃষকরা। পাশাপাশি দূষিত পানির দুর্গন্ধে লাখো মানুষ চলাফেরা করছেন নাকে রুমাল চেপে।

জানা যায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-আরকান মহাসড়কের পাশ ঘেঁষে পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়ন পরিষদের নাকের ডগায় ‘ফুলকলি’ নামে একটি কারখানা খালে ইটিপিবিহীন বর্জ্য ফেলছে। এতে জঙ্গলখাইনের নাইখান থেকে মনসা বাদামতল পর্যন্ত আট কিলোমিটারজুড়ে সার্জেন্ট মহি আলম খালের পানি বিষাক্ত হয়ে পড়েছে। পানি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অনেক আগেই মরে গেছে সব মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণী এবং উদ্ভিদ। এসব পচে এখনো ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ।

খাল এলাকার মানুষ গোসল, সেচ, গৃহস্থালি কাজে খালের পানি ব্যবহার করতে পারছে না। না বুঝে কেউ পানিতে নামলে শরীরে চুলকানি হচ্ছে। এ ছাড়া পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে খাল এলাকার মানুষ। খালটি মহাসড়কের পাশে হওয়ায় প্রতিদিন লাখো যাত্রী দুর্গন্ধে নাকেমুখে রুমাল চেপে চলতে বাধ্য হচ্ছেন।

স্থানীয়দের দাবি, স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের ম্যানেজ করে চলছে এই কারখানাটি। পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজন প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করলেও রহস্যজনক কারণে তারা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন।

কারখানাটির লাগোয়া ইউনিয়ন কৃষি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও জঙ্গলখাইন ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়। তারা পরিবেশ অধিদপ্তরে বেশ কয়েকবার অভিযোগ করলেও মাঝেমধ্যে লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করা হয়। কিন্তু এসব অভিযানে স্থানীয় বাসিন্দাদের কোনো উপকার হয়নি। তবে, তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) অকার্যকর রাখায় ২০১৯ সালে কারখানাটিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

স্থানীয়রা আরও জানান, ফুলকলি কারখানায় তৈরি করা হয় মিষ্টিজাতীয় বিভিন্ন পণ্য এবং বিস্কুট ও পাউরুটি। কারখানাটির দূষিত বর্জ্য এভাবে ফেলার কারণে সার্জেন্ট মহি আলম খালের পানিসহ চাঁনখালী খাল ও বোয়ালখালী খালের পানিরও একই অবস্থা।

কস্টিক অ্যাসিডের এ মিশ্রণ খালে ফেলায় কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে খালের পানি কালো হয়ে গেছে। খালের দুই তীরে বর্জ্যরে ফেনা জমে কোথাও কালচে, কোথাও লালচে আকার ধারণ করেছে। সাত বছর ধরে বর্জ্যরে পরিমাণ দিন দিন বাড়তে থাকায় এখন খাল-তীরবর্তী মানুষ দুর্গন্ধে এলাকায় টিকতে পারছেন না।

জঙ্গলখাইন ইউপি চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস জানান, ফুলকলির বর্জ্যরে দুর্গন্ধে ইউনিয়ন পরিষদে কেউ আসে না। আমিও এখানে বসে কাজ করতে পারি না। বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েও কিছু হয়নি।

ফুলকলি কারখানাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ আলম জানান, এ রকম সমস্যা সব কারখানাতেই আছে। আমরা পরিবেশসম্মতভাবে কারখানা চালাচ্ছি। এখন কারও কোনো অভিযোগ থাকার কথা না।

ফুলকলিকে বিভিন্ন সময়ে জরিমানা করা হয়েছে। এখনো যদি তারা পরিবেশ দূষণ করেই যায় তাহলে আবার জরিমানা করা হবে বলে গণমাধ্যমকে জানান পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক জমির উদ্দিন।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop