কুয়াকাটার বাজারে মিলল বিরল প্রজাতির মাছ!
মৎস্য
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের ফিস ফ্রাই মার্কেটের একটি দোকানে এবার দেখা মিললো ‘লংফিন ব্যাট ফিস’ বা ‘কিং চান্দা’ নামের এক সামুদ্রিক মাছের।
বিরল প্রজাতির না হলেও বছরে মাত্র ৮-১০ টির দেখা মেলে পটুয়াখালীর উপকূলীয় এলাকায়। তবে কক্সবাজার, সেন্টমাটিন এলাকায় এ মাছের দেখা মিলে সচরাচর।
শনিবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কুয়াকাটা জিরো পয়েন্টের পূর্ব পাশে মায়ের দোয়া নামের একটি ফ্রাই দোকানে দেখা মিলে এ সামুদ্রিক মাছের। সচরাচর যে মাছগুলো ফ্রাই হয় তার থেকে অনেকটা ভিন্ন এবং প্রথম দেখাতে অনেক পর্যটক ভিড় জমায় এ ‘লংফিন ব্যাট ফিস’ দেখতে।
কাওসার নামের ওই ফ্রাই দোকানের মালিক জানান, এক জেলের কাছ থেকে ৩ কেজি ৭৫০ গ্রামের এই মাছটি ৫৫০ টাকা কেজি দরে ২ হাজার ৫০ টাকায় কিনে আনি। এখন আমরা ফ্রাই করে ৭০০ টাকা কেজি বিক্রি করবো। মাছটি এখনো বিক্রি হয়নি, তবে চাহিদা অনেক।
কাওসার জানান, আমরা এই মাছটির নাম ‘কিং চান্দা’ হিসেবে চিনে থাকি। এটা খুব কম পাওয়া যায় আমাদের এলাকায়। এ বছর মাত্র ৭-৮টির মত পাওয়া গেছে। তবে চাহিদা অনেক। যারা একবার নেন তারা আবার আগাম অর্ডার করে রাখেন। এ মাছ দেখার জন্য অনেক মানুষ ভিড় জমায়।
মঈনুল নামের এক পর্যটক জানান, এর আগেও আমি কুয়াকাটা এসেছি, ফ্রাই খেয়েছি। কিন্তু এ মাছ কখনো দেখিনি। মাছটির সঙ্গে ছবি তুললাম। দাম চাইলো ৭০০ টাকা কেজি। অনেক মানুষ দেখছে আগ্রহ নিয়ে।
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, এই মাছটির প্রধান নাম ‘লংফিন ব্যাট ফিস’। এর বৈজ্ঞানিক নাম (Platax teira) প্লাট্যাক্স টেইরা। এছাড়াও এটি টেইরা ব্যাটফিশ, লংফিন স্প্যাডফিশ বা গোলাকার মুখের ব্যাটফিশ নামেও পরিচিত। এটি ইন্দো-ওয়েস্ট প্যাসিফিকের একটি মাছ। মাঝে মাঝে অ্যাকোয়ারিয়াম বাণিজ্যে প্রবেশ করে। এটির দৈর্ঘ্যে ৬০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত আকারে বাড়ে।
তিনি জানান, কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন এলাকায় মাঝে মাঝে পাওয়া গেলেও পটুয়াখালীসহ এসব এলাকায় এটা খুব কম পাওয়া যায়। তবে এখন কিছু দেখা মিলে। স্থানীয় জেলে ও ব্যবসায়ীরা এটার সঠিক নাম না জানার কারণে অনেকে ‘কিং চান্দা’ বা বিভিন্ন নাম দিয়ে থাকেন। আবার অনেকে রুপচাঁদা মাছের সাথেও তুলনা করেন। তবে এটি রুপচাঁদা প্রজাতির মাছ না।