কেজিতে ৩৫ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম
পাঁচমিশালি
হু হু করে বাড়ছে পেঁয়াজের মত নিত্যপণ্যের দাম। চারদিনের ব্যবধানে কেজিতে ৩৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ফলে রাজধানীর খুচরা বাজারে পেঁয়াজের কেজি উঠে গেছে ৮০ টাকায়।পূজার কারণে ভারত থেকে পেঁয়াজ কম আসা এবং সেখানে দাম বাড়ার ফলে বাংলাদেশের বাজারেও বেড়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। ব্যবসায়ীরা বলেন, গত বছর পেঁয়াজ আমদানি করে লোকসান গুনেছেন আমদানিকারকরা। এ কারণে এবার আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন তারা। এরও প্রভাব পড়েছে পেঁয়াজের বাজারে।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুচরা পর্যায়ে পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা। আর পাইকারিতে পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৭-৭০ টাকা।
গত শুক্রবার খুচরা বাজারে পেঁয়াজের কেজি ৪৫ টাকা বিক্রি হয়। আর পাইকারিতে কেজি ছিল ৪০ টাকা। এ হিসাবে চারদিনের ব্যবধানে কেজিতে পেঁয়াজের দাম ৩৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী মো. হাবিবুর রহমান মোস্তফা জানান, পেঁয়াজের দাম বাড়ার চিত্র দেখে আমরাও অবাক। কারণে বাজারে সরবরাহের ঘাটতি নেই। ভারত পেঁয়াজ দেওয়া বন্ধ করেনি।পূজার কারণে ভারত থেকে কয়েকদিন ধরে পেঁয়াজ কম আসছে বলে জানতে পেরেছি। তাছাড়া ভারতেও পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেড়েছে। এর কারণে আমাদের বাজারে পেঁয়াজের দাম ততটুকু বাড়ার কথা তার থেকে বেশি বেড়েছে বলে মনে হচ্ছে।
পেঁয়াজের দামের ওপর কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীদের খুব একটা নিয়ন্ত্রণ নেই বলে জানান এই ব্যবসায়ী। বলেন, শ্যামবাজারে দাম বাড়লেও আমাদের এখানেও বাড়ে। পেঁয়াজ নিয়ে এর আগে কাণ্ড কম হয়নি। তাই সংশ্লিষ্টদের উচিত দ্রুত পেঁয়াজের বাজারে নজর দেওয়া। তা না হলে পেঁয়াজের দাম কোথায় গিয়ে থামবে বলা মুশকিল।
ঢাকার বাজারে যে দেশি পেঁয়াজ পাওয়া যায়, তার একটি বড় অংশ আসে রাজবাড়ী থেকে। রাজবাড়ীর মোকাম থেকে ঢাকায় পেঁয়াজ নিয়ে আসা লোকমান হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, মোকামে প্রতিদিন পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। গতকাল রাজবাড়ীর বাজারে পেঁয়াজের মণ ছিল দুই হাজার ৪০০ টাকা। আজ মণে ২০০ টাকা বেড়ে দুই হাজার ৬০০ টাকা হয়েছে। এই দামে পেঁয়াজ কিনে ঢাকায় পাইকারিতে কেজিপ্রতি ৬৭-৭০ টাকা বিক্রি করতে হবে।
হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বাড়ছে কেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ভারতে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে এবং পূজার কারণে আমদানি কম। সামনে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি আরও কমে যেতে পারে। কারণ গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে পূজা শুরু হলে ভারত বর্ডার বন্ধ করে দেবে।
শ্যামবাজার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ মাজেদ জানান, বাজারে দেশি ও আমদানি সব ধরনের পেঁয়াজের সরবরাহ কম। আর মাল কম থাকলে দাম বাড়বে এটাই স্বাভাবিক।
তিনি বলেন, গতবছর পেঁয়াজ আমদানি করে আমরা অনেক লোকসান গুনেছি। আমি শতশত কনটেইনার পেঁয়াজ আনি। কেজিতে দাম এক টাকা কমলেও আমাদের বিপুল লোকসান গুনতে হয়। গতবার ৭০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ আনার পর দাম পড়ে যায়। তাই এবার আমি কোনো এলসি খুলিনি। আমার মতো অনেকেই এবার পেঁয়াজ আমদানি করছে না বা কম আনছে।